#এক_ফালি_রোদ্দুর?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
#পর্ব:০৮
“ছাঁদের রেলিং ধরে উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ ভাইয়া, হয়তো রাতের আকাশের তাঁরা দেখছে সে,আমিও বেশি কিছু না ভেবে চলে গেলাম রিয়াদ ভাইয়ার সামনে’!!তারপর বলে উঠলামঃ
—-“এখানে কি করছো ভাইয়া….
“আচমকা কারো কন্ঠ শুনে পিছন ঘুরে তাকালো’ রিয়াদ’!!সামনেই তানজুকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বললো সেঃ
—-“তুই এখানে….
—-“তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল ভাইয়া…
—-“কি কথা…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“সরি ভাইয়া…
“হুট করে তানজুর মুখে ‘সরি’ শব্দটি শুনে কিছুটা বির্বত হয় রিয়াদ’!!ভূ-কুচকে বলে সেঃ
—-“কেন?
—-“আসলে সেদিন গায়ে হলুদের দিন তোমায় গায়ে কাঁদা ফেলার জন্য,বিশ্বাস কর ভাইয়া আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি,আর সেদিন আমি তোমায় গায়ে ওগুলো দিতে চাইনি আমি তো শিউলি আপুর দেবর ভেবে ভুল করে তোমার গায়ে কাঁদা দিয়ে ফেলেছিলাম,তাই আই এম রিয়েলি সরি ভাইয়া….
“তানজু যে এসব বলবে এগুলো শোনার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না রিয়াদ’!!কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বললো সেঃ
—-“হর্ঠাৎ বদলে গেলি….
—-“বদলে গেছি মানে বদলাই নি তো জাস্ট তোমায় সরি বলার জন্য এসেছি, আসলে আমি জানি তুমি সেদিনের আমার কাজের জন্য হয়তো আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলো না,তাই আমি চাইছি তোমার সাথে আর ঝগড়া করবো না,আর কোনো মজা করবো না,একদম স্বাভাবিক কাজিনদের মতো থাকবো….
—-“ওহ এই ব্যাপার…
—-“হুম we Are Friend ভাইয়া….
“বলেই মুচকি হেঁসে হাতটা এগিয়ে দিলাম আমি রিয়াদ ভাইয়ার দিকে’!!তানজুর কাজে রিয়াদ কিছুটা বিষন্নতা ফিল করছে সে বুঝতে পারছে না তানজু কি সত্যি সত্যি তার বন্ধু হতে চাচ্ছে নাকি কোনো নতুন ফন্দি আঁটছে’!!রিয়াদ বিষন্ন ভরা চোখে তাকলো তানজুর দিকে তারপর বললোঃ
—-“তুই কি এগুলো সব সত্যি বলছিস নাকি…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ
—-“তুমি কি আমায় সন্দেহ করছো…
—-“না সন্দেহ কেন করবো,আর কি নিয়েই বা তোকে সন্দেহ করবো….
—-“তাহলে হাত দিচ্ছো না কেন,নাকি আমার ফ্রেন্ড হতে তোমার ইচ্ছে নেই…
“তানজুর এবারের কথা শুনে বেশি কিছু না ভেবেই রিয়াদ এগিয়ে দেয় তার হাত তারপর মুচকি হেঁসে বললোঃ
—-“ওকে,আজ থেকে তুই আর আমি ফেন্ড…
“রিয়াদ ভাইয়ার কাজে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর আর বেশি কথা না বারিয়ে বললামঃ
—-“ঠিক আছে ভাইয়া তুমি থাকো আমি গেলাম…
—-“ঠিক আছে যা তুই…
—-“তুমি যাবে না এমনিতেও রাতের বেলা ছাঁদে থাকা সেইভ নয় ভাইয়া,তোমাকে একটা কথা বলি…
—-“কি..
—-“একটু নিচু হও তো..
“তানজুর কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললো রিয়াদঃ
—-“কি…
—-“আরে তুমি কানা নাকি তুমি তো আমার থেকে লম্বা একটু নিচু হও, যা বলবো তা জোরে বলা যাবে না কানে কানে বলতে হবে….
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদও আর বেশি কিছু না ভেবে নিচু হল’!!রিয়াদ ভাইয়া একটু নিচু হতেই তার কানে কানে বললাম আমিঃ
—-“ওই যে সামনে আম গাছটা দেখছো ওখানে পেত্নী থাকে,তাই একা একা ছাঁদে থেকো না….
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—-“কি….
—-“আরে চেঁচাও কেন আস্তে বলো কেউ শুনতে পেলে…
—-“কে শুনবে..
—-“কে আবার সেই পেত্নীনিটা….
—-“তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি এইসব ভূত পেত্নী বলে কিছু হয় না…
“বলতে না বলতেই হর্ঠাৎই আম গাছের কিছু পাতা নড়ে উঠল’!সাথে সাথে ভয়ে আমি রিয়াদ ভাইয়া হাত ধরে বললামঃ
—-“এটা কি আমি তো মজা করে বলছিলাম তাহলে গাছের পাতা নড়লো কেন?
—-”তুই আবার আমায় বোকা বানাতে চাইছিলি….
“এই রে ঘাবড়ে গিয়ে এটা কি বলে দিলাম’!!কিছুটা ঘাবড়ানো ফেস নিয়ে বললাম আমি রিয়াদ ভাইয়াকেঃ
—-“ইয়ে না মানে ওই আর কি একটু মজা করছিলাম…..
“বলেই আমি দৌড়!’আমায় আর পায় কে?’
”এদিকে রিয়াদ তানজুর কান্ড দেখে বললোঃ
—-“এ মেয়ে শুধরানোর নয়….
“এমন সময় ফোন বাজলো রিয়াদের’!!রিয়াদও আর বেশি কিছু না ভেবে ফোনটা তুলে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পরলো…..
_______________________
“নিজের রুমে ঢুকে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগলাম আমি’!!
—-“আর একটু হলেই না জানি কি করতো ভাইয়া আমায়,তবে যাই বল তোর একটিং কিন্তু দারুন ছিল তানজু’!!
“এমন সময় বিছানায় বসে থাকা রুহি শিফা আর তরী একসাথে বলে উঠলঃ
—-“কি তানজু পেরেছিস ডেয়ার পালন করতে….
“ওদের কথা শুনে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“তানজু ডেয়ার হেরে যাবে এটা কখনো হয়েছে নাকি….
—-“ওহ তার মানে তুই রিয়াদ ভাইয়াকে সরি বলেছিস….
—-“হুম শুধুমাএ তোদের জন্যই বিলেতি হনুমানকে সরি বলা লাগলো….
“আমার কথা শুনে শিফা আর তরী হাসলেও হাসলো না রুহি’!!কিছুটা ক্ষিপ্ত মেজাজে বললো সেঃ
—-“একদম রিয়াদ ভাইয়ার নামে উল্টো পাল্টা বলবি না…
—-“ওহ বাবা গায়ে লাগলো নাকি…
—-“তার কি সুন্দর নাম থেকে তুই কি নামে ডাকিস রিয়াদ ভাইয়াকে…
“হুট করে রিয়াদ ভাইয়ার প্রতি রুহির এতো টান আসলো কোথা থেকে’!!আমি দৌড়ে রুহির পাশে দাঁড়িয়ে বললামঃ
—-“কি ব্যাপার বল তো,হর্ঠাৎ করে রিয়াদ ভাইয়ার প্রতি এত দরদ, নিশ্চয়ই ঢাল মে কুচ কালা হে…..
“আমার কথা শুনে রুহি মাথা নিচু করে বললোঃ
—-“তুই যা ভাবছিস তা কিন্তু একদমই নয়…
—-“আমি কি ভাবছি,সেটা তুই কি করে বুঝলি,তার মানে মনু সামথিং সামথিং….
“সাথে সাথে রুহি বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে চলে গেল আর যাওয়ার আগে বললোঃ
—-“নাথিং নাথিং….
“এদিকে আমি আর শিফা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বললামঃ
—-“ব্যাপার টা কি হলো…
—-“কি জানি…?♀️(শিফা)
||
“ডিনার সেরে বিছানায় শুয়ে আছে আহান’!!আজকে তার ভিতর এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে,তবে এটা কেন হচ্ছে জানা নেই আহানের,ভীষণ ভালো লাগে তার শিফাকে,শিফার হাঁটা-চলা কথা বলার স্ট্যাইল সাথে মায়াবী ফেস,নজর কারা চোখ,চোখ বন্ধ করলেই শিফার ফেসটা বার বার ভেসে আসছে আহানের,যার ফলে সে একবার এদিক ফিরছে তো আবার ওদিক ফিরছে!’
“অন্যদিকে আরেকজন আহানের পাশে শুয়ে থাকা রিয়াদ, আহানকে এভাবে ব্যাংঙের মতো লাফাতে দেখে কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলে উঠলঃ
—-“ওই আহানের বাচ্চা তুই ব্যাংঙের মতো লাফাচ্ছিস কেন?’
“বলেই তার মাথার বাতিশটা বের করে মারলো এক বারি’!!
“আহান বালিশের বারি খেয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো’!!তারপর বললোঃ
—-“দোস্ত একটা কথা বলবো…
—-“তোর এতরাতে আবার কিসের কথা….
—-“আরে শোনই না আই এম ইন লাভ….
“সাথে সাথে রিয়াদ চোখ বড় বড় করে শোয়া থেকে উঠে বসলো’!!তারপর বললোঃ
—-“তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে…
—-“আই এম ইন লাভ দোস্ত…
—-“এতরাতে ফালতু বক বক না করে ঘুমা…
—-“আই এম ইন লাভ দোস্ত….
“আহানের এবারের কথা শুনে রিয়াদ সত্যি সত্যি ভেবে নিলো আহানের মাথা খারাপ হয়ে গেছে’!!রিয়াদ আর কিছু বলার আগেই আহান আবারও বলে উঠলঃ
—-“আই এম ইন লাভ দোস্ত…
“সাথে সাথে রিয়াদ বিরক্ত হয়ে বালিশ দিয়ে আহানের মাথায় আরেকটা বারি দিয়ে বললোঃ
—-“এতই যখন লাভে পাইছে তাহলে খাটে কি করছিস তুই, যা নিচে গিয়ে ঘুমা…
“শালা নিজেও ঘুমাচ্ছে না আমায়ও ঘুমাতে দিচ্ছে না…
“বলেই রিয়াদ কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো’!!আর এদিকে আহান হাবলার মতো আবারো বলে উঠলঃ
—-“আই এম ইন লাভ দোস্ত….
_________________________________________
_____________________
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!জানালার পর্দা ভেদ করে আসছে সকালের ফ্রেশ বাতাস’!!হাল্কা রোদ্দুর এসে পরছে আমার মুখে,চোখ তুলে তাকালাম আমি সেই জানালার দিকে,এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে আমার,গায়ের কাঁথাটা আরেকটু জড়িয়ে নিয়ে চোখটা বন্ধ করে নিলাম আমি,,সাথে সাথে কেউ এসে টান মেরে কাঁথাটা নিয়ে গেল আমার!’একরাশ বিরক্তমাখা মুখ নিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“ওই কোন হাঁদারাম রে,আমার সুন্দর মুহূর্তটাকে নষ্ট করলো…
—-“তানজু আপু তুমি আমায় হাঁদারাম বললে..(তরী)
—-“ওহ তরী তুই কি হইছে আপু এত সকালে কাঁথা টানছিস কেন?
—-“কাঁথা টানছি কোথায় আপু,তোমায় ঘুম থেকে উঠাচ্ছি আজকে সবাই মিলে পিকনিক করবো না তাই নানাভাই সবাইকে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিচে যেতে বলেছে কিন্তু তুমি তো ঘুম থেকেই উঠছো না….
—-“ওহ এই ব্যাপার তুই যা আমি পাঁচ মিনিটে আসছি…
—-“আসবে কিন্তু আপু, তুমি না গেলে আম্মু আমায় খুব বকবে….
—-“খালামনির চামচা যা বলছি….
“বলেই বালিশটা মারলাম আমি তরীর গায়ের উপর,কিন্তু তরী সরে যাওয়াতে সেটা পরলো শিফার মাথার উপর’!!যাতে ব্যাথা পেয়ে শিফা বলে উঠলঃ
—-“আহ্,তানজু…
“শিফার কন্ঠ শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম আমি,তারপর বললামঃ
—-“কি হইছে,কি হইছে….
—-“উফ তানজু তোর জন্য মাথায় ব্যাথা পেয়েছি আমি…
“সাথে সাথে ঘুম আমার উড়ে গেল,আমি বিছানা ছেড়ে দৌড়ে চলে গেলাম শিফার সামনে,হতভম্ব হয়ে বললাম আমিঃ
—-“সরি বোইন আমি বুঝতে পারি নি….
—-“ঘুম ভেঙে গেছে তোর…
—-“ঘুম তো কখনোই উড়ে গেছে আগে বল তুই কোথায় ব্যাথা পেয়েছিস…
—-“কোথাও ব্যাথা পাই নি তো…
—-“তার মানে….
—-“তোকে ঘুম থেকে উঠানোর নিনজা টেকনিক…
—-“কি তোকে তো আমি…
“আর কিছু বলার আগেই শিফা তরী দুজনেই গায়েব….’!!
__________________
“আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে বড় বাগানটায় পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে ,এই পিকনিকের একটা বড় ব্যাপার হলো আজকের রান্নাটা ছেলেরা করবে আর খাওয়ার দায়িত্ব মেয়েদের…তবে শুধু খেলে চলবে নাকি সাথে ছেলেদের হেল্প ও তো করতে হবে,আজকের রান্নার দায়িত্ব নিয়েছে রিয়াদ,আহান,দিহান,মামা,আর এদের হেল্প করবে তানজু,শিফা,রুহি,আর মামি,আর বাকিরা শুধু খাবে….
।।
“হতভম্ব হয়ে সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“আমাকে কি করতে হবে ভাইয়ারা…
—-“এই তো তানজু চলে এসেছে… (আহান)
—-“এতক্ষণ কি করছিলি তুই… (শিফা)
—-“কিছুই করি নি এখন বল কি করবো আমি…
—-“তুই গিয়ে রিয়াদকে হেল্প কর তানজু…(দিহান)
—-“হুম কেন নয়?’
“বলেই রিয়াদ ভাইয়ার সামনে দাঁড়াতেই রুহি বলে উঠলঃ
—-“আমি তো আছি রিয়াদ ভাইয়ার পাশে তোকে লাগবে না….
—-“ওহ তাহলে আর কি তুই কর রিয়াদ ভাইয়াকে সাহায্য….
—-“কিছু মনে করিস নি তো…
—-“আরে আমি আবার কি মনে করবো…
“বলেই আমি সরে আসলাম!’এমন সময় আহান ভাইয়া বলে উঠলঃ
—-“ওখানে যখন রুহি আছে তাহলে তুমি এখানে আসো তানজু….
“সাথে সাথে আমি লাফ মেরে চলে গেলাম আহান ভাইয়ার সামনে’!!তারপর আমি,শিফা,আর আহান ভাইয়া তিনজন মিলে কাটাকাটি সাথে হাসাহাসি করতে লাগলাম,আর এদিকে রিয়াদ,রুহি আর দিহান ভাইয়া মিলে রান্নার দিকটা দেখতে লাগলো….
….
“বেশ কয়েক ঘন্টা পর রান্না বান্না প্রায় শেষ আমাদের’!!এমন সময় ফোন বাজলো রিয়াদ ভাইয়ার সেও ফোনটা তুলে বেরিয়ে আসলো রান্নাঘরের মজলিস থেকে,কিছুক্ষণের জন্য নেমে আসলো নীরবতা….
—-“এভাবে নীরবতা ভালো লাগছে না…
“হুট করেই একটা শয়তানি মার্কা বুদ্ধি আসলো আমার, একটুখানি হলুদ লাগিয়ে দিলাম আমি শিফার গালে সাথে সাথে ওহ হাত ভর্তি করে ময়দা নিয়ে লাগাতে গেল আমায়,আমার পিছনেই ছিল আহান ভাইয়া ও আমার দিকে আসতেই আমি নিচে বসে পরলাম সাথে সাথে পুরো আটা গিয়ে লাগলো আহান ভাইয়ার গালে….’!! শিফা তো ঘাবড়ে গিয়ে আহান ভাইয়ার গালের আটা মুছতে মুছতে বললোঃ
—-“সরি সরি ভাইয়া,ভুল করে মিসটেক হয়ে গেল…
“এদিকে শিফার কাজে আহান অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো শিফার দিকে’!!মুচকি হেঁসে বললো সেঃ
—-“ইট’স ওকে….
“রান্নাবান্না আমাদের শেষ এখন একটু ময়দা নিয়ে মজা করলে কি হবে,ভেবেই এক মুঠো ময়দা দিয়ে দিলাম আমি শিফার মাথায়’!!তারপর বললামঃ
—-“ইট’স পার্টি টাইম গাইস….
“সাথে সাথে সবাই মিলে আনন্দে মেতে উঠলাম’!!আমি একে একে সবাই গায়ে আটা দিয়ে ভূত বানিয়ে দৌড় আমায় আর পায় কে?’
.
.
.
“এদিকে আমার কান্ডে আমার পিছনে দৌড়াতে লাগলো ওরা সবাই আর বলছে….
—-“আজকে তোকে একবার ধরি তারপর তোর একদিন কি আমাদের একদিন….
—-“আগে ধর তারপর তো….
“এমন সময় ফোনে কথা বলা শেষ কর রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো রিয়াদ,সামনে তাকাতেই সবার অবস্থা দেখে অবাক সে!’
“আচমকাই রিয়াদ ভাইয়া সামনে এসে পরাতে আমি হুমড়ি খেয়ে পরলাম রিয়াদ ভাইয়ার উপর সেও তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায় নিচে আমায় নিয়ে,আর আমার হাতে থাকা আটা সব গিয়ে লাগলো রিয়াদ ভাইয়ার মুখে…
—-“হায় রে এখন কি হবে তোর তানজু,তোকে কে বাঁচাবে…..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে কমেন্ট করে জানাবে কিন্তু,আর অনেকের একটাই প্রশ্ন কবে রিয়াদের ফিলিংস আসবে তানজুর ওপর তাদের উদ্দেশ্যে বলছি একটু ধৈর্য ধরো সময় মতো সব হবে]
#TanjiL_Mim♥️