#কাছে_দূরে ??
#muhtarizah_moumita
#পর্ব___৬০
ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে আদ্রিক। তরী আর কিরন তাকে লোকেশন দেখাচ্ছে। রোজও বিচলিত মনে সামনের পথ দেখছে। আচমকা তরী হৈহৈ করে উঠে গাড়ি থামাতে বলল। আদ্রিক তরীর হৈহৈ শব্দে ভড়কে গিয়ে গাড়ি থামালো। রোজ উদ্বিগ্ন মনে তরীর দিকে ফিরে তাকাতে নিলেই মনে হলো কিছুটা দূরে একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। রোজের বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। মন মস্তিষ্ককে প্রশ্ন করল, ‘মম-ড্যাড নয়তো?’
তরী হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। কিরনও নামলো। আদ্রিক আর রোজ ভড়কানো দৃষ্টিতে মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। তরী দৌড়ে গেলো সেদিকটাতে। কিরনও ছুটল তরীর পেছন পেছন। রোজ আর আদ্রিক হন্তদন্ত হয়ে গাড়ি থেকে বের হলো। তরী আর কিরনের যাওয়ার পানে তাকিয়ে তারাও ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলো সেদিক পানে।
মাঝরাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চোখে মুখে পানি দিচ্ছিলো সাবাব আর বাকিরা। দিন পেরিয়ে রাত এলো আর রাত পেরিয়ে ভোর রাত। তবুও কারোর খোঁজ মিলল না। এভাবে আর কত সময় ব্যায় হয়ে যাবে কারোরই আন্দাজ নেই। সাবাব উপরে উপর ভীষন শক্ত আছে দেখালেও ভেতর থেকে সে একদম ভেঙে পড়েছে। হীরের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগছে নিজের কাছে। মালয়েশিয়া তার কাছে একদমই নতুন জায়গা। এর আগে সে কখনও এখানে আসেনি। কেবল নাম-ধাম শুনেছে। নামেই পরিচিত শহর মালয়েশিয়া। কিন্তু এখানে এসে যে এমন বাজে পরিস্থিতির স্বীকার হতে হবে সেটাও একপ্রকার দুঃস্বপ্ন বলা যায়।
হাওয়ার বেগে ছুটে এসে কেউ ঝাপটে ধরলো মীরকে। পাশ থেকে ইভানকেও। আকষ্মিক ধড়ফড়িয়ে ছিটকে পড়ল সবাই। সাবাব অন্যমনস্ক থাকায় তার মস্তিষ্ক তাকে সংকেত দিলো কেউ এট্যাক করেছে। তাই চটজলদি পকেটে হাত দিয়ে রিভলবার বের করতেই উচ্ছ্বসিত কন্ঠে চেঁচিয়ে উঠলো মীর,
—-‘ তরী!’
ইভানও চেঁচালো কিরনের নাম নিয়ে। আভিক, মাহদী আনন্দে ঝাপটে ধরলো কিরন আর ইভানকে। সাবাব অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে দেখছে তরী আর কিরনকে। মনটা চিৎকার করে উঠলো হীরের নামটা নিয়ে। তাই অসহায় চোখে তাদের আসার পথে তাকালো। তাদের আসার পথ ধরে হেঁটে আসছে দুই তরুন-তরুনী। সাবাব তাদের পেছনে দেখার চেষ্টা করলো। তাদের পেছনে আর কেউ নেই! মানে হীর আসেনি! সাবাবের মনটা নিরাশ হয়ে গেলো। মাথা নীচু করে উদ্বিগ্ন চোখে তরী আর কিরনের দিকে তাকালো। মনেমনে বলল,
—-‘ হীরপাখি! কোথায় তুমি?’
মীর তরীকে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে নিজের সাথে। যেন একটু আলগা হলেই পূনরায় হারিয়ে যাবে তরী।
কিরন ইভানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কাছের মানুষ গুলোর কাছে ফিরতে পেরে যেন আরেকটা জীবন ফিরে পেয়েছে তারা। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিক আর রোজ। তারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছে হীর হয়তো এদের কথাই বলেছিলো। রোজ সবার মুখের দিকে তাকাতে লাগলো। এক পর্যায়ে সাবাবের দিকে চোখ পড়তে তাকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। সাবাব এক হাতে পানির বোতল আর অন্যহাতে রিভলবারটা নিয়ে এগিয়ে এলো তাদের পানে। রোজ আর আদ্রিক নড়েচড়ে দাঁড়ালো। সাবাব পেছন মুড়ে তরী আর কিরনকে ইশারা করে বলল,
—-‘ আপনারা নিয়ে এলেন ওদের?’
রোজ সাবাবের পেছন দিকে একবার দৃষ্টিপাত করে বলল,
—-‘ ইয়াহ্। আপনি মি. সাবাব? ব্রিগেডিয়ার-
সাবাব অবাক চোখে তাকালো রোজের দিকে। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে বলল,
—-‘ আপনি আমাকে চিনেন?’
রোজ আদ্রিকের দিকে একবার তাকিয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বলল,
—-‘ নামেই শুধু চিনি।’
—-‘ কিভাবে?’
—-‘ আমি রোজ। মনিকা আর ফরহাদ রেজার মেয়ে।’
রোজের মুখে তার পরিচয় শুনে অকস্মিক চমকে উঠলো সাবাব। একই সাথে বাকিরাও চমকালো। মীর তরীকে পাশে দাঁড় করিয়ে অবাক চোখে তাকালো রোজের দিকে। সাবাব আঁড়চোখে একবার টিম মেম্বারদের দিকে দেখে রোজের দিকে তাকালো। কন্ঠ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বলল,
—-‘ রোজ! তুমি তরী আর কিরন কে কোথায় পেলে? আর ওদেরকে ছাড়ালে কি করে? আর সবচেয়ে বড় কথা ওদেরকে নিয়ে তুমি এখানে কি করে এলে?’
সাবাবের প্রশ্ন রোজ আদ্রিকের মুখ চেয়ে তাকালো। আদ্রিক বলল,
—-‘ হ্যালো ব্রো আম আদ্রিক। এক্চুয়েলি আমাদের এক্ষনি যেতে হবে। এই মুহুর্ত এতো কথা বলার সময় আমাদের হাতে নেই।’
সাবাব আদ্রিকের দিকে অস্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
—-‘ যাবে? কোথায়! আচ্ছা তোমরা যদি তরী আর কিরনকে পেয়ে থাকো তবে তো আ..আমার হীরকেও পাবে! আমার হীর কোথায়? বলো? কোথায় আমার হীর!’
রোজের মুখে বিস্ময় খেলে গেলো সাবাবের কথা শুনে। রোজ বিস্মিত কন্ঠে বলল,
—-‘ তোমার হীর মানে?’
রোজের প্রশ্নে পেছন থেকে জবাব এলো তরীর,
—-‘ রোজ? সাবাব হীরের হাজবেন্ড। রিয়াদ স্যারের একমাত্র ভাতিজা সাদমান সাবাব।’
তরীর জবাব শুনে রোজ যেন না চাইতেও আকাশের চাঁদ পেয়ে গেলো হাতে। খুশিতে চেঁচিয়ে উঠে বলল,
—-‘ দ্যাটস ট্রু?’
সাবাব রোজের খুশি হওয়া দেখে বিস্মিত চোখে তাকালো। হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে বলল,
—-‘ ইয়াহ।’
রোজ আদ্রিকের দিকে তাকিয়ে মৃদু চিৎকার করে বলল,
—-‘ আদ্রিক- এখন তো আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে গেলো। আমরা এখন ইজিলি আপুকে বাঁচাতে পারবো।’
আদ্রিকও রোজের ন্যায় হাসল। সাবাব দু’জনের কথা মানে বুঝতে না পেরে কিছু জিজ্ঞেস করতে নিলেই রোজ সাবাবের হাত টেনে নিয়ে যায় তাদের গাড়ির কাছে। আদ্রিক পেছন মুড়ে বাকিদের উদ্দেশ্যে বলে,
—-‘ গাইস ফলো মি। ফাস্ট।’
______________
সাবাব আর তার টিম মেম্বারদের নিয়ে পৌঁছে গেছে রোজ। বাড়ির সব গার্ডদের চোখে ফাঁকি সবাইকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকেছে সে। রেজা আর মনি এই সময়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের আন্দাজও নেই বাড়ির ভেতর ঘটে চলা সব কান্ড। রোজ সাবাবকে নিয়ে সরাসরি হীরের ঘরের দিকে চলে এলো। আর বাকিদের নিয়ে আদ্রিক রোজের ঘরের দিকে গেলো। বাড়ির গার্ডদের আর মনিকার চেলাদের আগে বেঁধে ফেলতে হবে। নয়তো আসল সময় এসে এরাই বিপদের মুল হবে। তাই তরী আর কিরনকে রোজের ঘরে রেস্ট নেওয়ার জন্য রেখে তারাও কাজে লেগে পড়ল।
বাইরে থেকে দরজার খোলার শব্দ পেতেই সতর্ক হয়ে উঠল হীর। চেয়ারের পাশ থেকে সরে পড়ে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। হাতে মোটা একটা রড। রডের মাথা চুইয়ে টপটপ করে রক্ত পড়ছে ফ্লোরে। গত দুই-ঘন্টায় এই রডের আঘাতে সে তিনজনকে বেহুঁশ করেছে। আর সেই তিনজনের মধ্যে দু’জনকে খুন করেছে আর একজনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এবার তৃতীয় ব্যাক্তির পালা ছিলো। কিন্তু তার আগেই আবারও কারোর আসার শব্দ পেলো। হীর নিজের মধ্যে নেই। নিজেকে উদ্মাদের মতো মনে হচ্ছে। ঘন্টা দুয়েক আগে দু’জন লোক ঢুকেছে তার ঘরে। মদ খেয়ে ঢুলছিলো তারা। হীর তাদের আগমনে ভড়কে গেলো। তাদের উদ্দেশ্য ঠিক মনে হচ্ছিল না। লোকদুটোর ধারনা ছিলো না হীরের হাত-পায়ের বাঁধন আলগা। তারা হীরকে বেঁধে থাকা অবস্থায় দেখে পৈশাচিক ভাবে হাসল। শার্টের বোতাম গুলো খুলতে খুলতে বিশ্রী চাহনি নিয়ে এগোতে লগল হীরের দিকে। হীর প্রথমে নিজের আসল রূপে না এসে আকুতি মিনতি করতে লাগল। লোক দুটোকে বাঁচার একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছিলো। কিন্তু তারা হীরের নরম আচরণের সুযোগ নিয়ে তার শরীরের পানে হাত বাড়ায়। তাই হীরও আর চুপ থাকেনা। চেয়ার থেকে ছিটকে পড়ে হাতের কাছে যা পায় সেটা দিয়েই দু’জনকে আঘাত করে। দু’জনকে আঘাত করাবস্থায় পেছন থেকে এসে দাঁড়ালো শিলা। শিলা এতোদিন এখানে ছিলো না। আজই এলো। এসে শুনলো হীরকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। শিলা আর নিজের খুশি ধরে রাখতে না পেরে ভাবল হীরের কাটা ঘায়ে একটু নুনেরছিটে দিয়ে আসবে। কিন্তু এসে যা দেখল তাতে তার মাথা ঘুরিয়ে উঠলো। মুখে হাত চেপে চিৎকার করে উঠল শিলা।৷ পেছন কে আছে হীর না দেখে ঘুরে গিয়ে তাকেও একই ভাবে আঘাত করে। আচমকা আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো শিলা। হীর দ্রুত শিলাকে তার জায়গায় বেঁধে দিলো। প্রায় অনেকক্ষণ যাবত অপেক্ষা করল শিলার জ্ঞান ফেরার। অবশেষে যখন জ্ঞান ফিরলো তখন হীর শিলাকে আরও ভয় দেখানোর জন্য লোক দুটোকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে লাগল। শিলা ভয়ে সিঁটিয়ে গেলো। হীরের এই ভয়ংকর রূপে শিলার মৃত্যু কামনা করতে ইচ্ছে হলো।
দরজা খুলে হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে ঢুলে এলো সাবাব আর রোজ। হীর মানুষ গুলোকে না দেখেই ক্ষেপাটে গলায় চেঁচিয়ে উঠে রড তুলে মারতে উঠল তাদের। সাবাব হীরের পজিশন বুঝে নিজে পাশে সরে যেতে যেতে রোজকে অন্যপাশে ধাক্কা দিলো। রোজ ধাক্কা খেয়ে টাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়ল নীচে। আর এপাশ থেকে সাবাব পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নিলো। হীরের আঘাত গিয়ে লাগল দেওয়ালের বুকে। দেয়ালের বুকে আঘাত লাগতেই মনে হলো চারপাশ ঝনঝন করে কেঁপে উঠলো। হীর আঘাত করতে না পেরে আরও ভয়ানক ক্ষেপে উঠলো। পাশ ফিরে আবারও আঘাত করতে নিলে সাবাবের মুখ খানা যেন ভেসে উঠলো চোখের সামনে। সাবাব এবার আর সরে যেতে পারল না। তাই আঘাত থেকে বাঁচতে দু-হাত তুলে নিজেকে আঘাত থেকে বাঁচাতে চাইলো। ঠিক তখনই ফ্লোরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ ভেসে আসল কানে। সাবাব মুখ উঁচিয়ে তাকানোর মাঝেই ভেসে এলো রোজের কন্ঠ,
—-‘ আপু তুমি কাকে মারছো? উনি তো সাবাব। তোমার বর।’
হীরের দৃষ্টি কোমল হয়ে গেলো। চোখ জোড়া ঘোলা হয়ে উঠলো কান্না পেতে। হাত জোড়া কাঁপতে লাগল থরথর করে। একই ভাবে পুরো শরীরেও চাপা উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপতে লাগল। সাবাব হীরের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে টান দিয়ে হীরকে মিশিয়ে নিলো নিজের সাথে। হীর সাবাবকে আঁকড়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠলো। সাবাবের চোখ থেকে জল গড়াচ্ছে। সেও কাঁদছে, তবে নিঃশব্দে। সাবাব হীরের মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলতে চেষ্টা করল,
—-‘ একি হাল হ,,হয়েছে তোমার হীরপাখি!’
হীর কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলেছে। তার মুখ থেকে কোনো কথাই বের হচ্ছে না। সাবাবকে ছাড়া এই পুরো সময়টা সে কি করে পার করেছে তা একমাত্র সেই জানে। সাবাব ঢোক গিলে কান্না গুলো গিলে খেলো। পূনরায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
—-‘ ওরা তোমার উপর খুব টর্চার করেছে!’
হীর ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলল,
—-‘ একটু!’
সাবাব হীরকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে হীরের আহত জায়গা গুলোয় হাত বুলিয়ে বলল,
—-‘ এগুলো একটু? খুব কষ্ট হয়েছে তাই না?’
হীর মুখ বাঁকিয়ে বাচ্চাদের মতো করে বলল,
—‘ একটু।’
সাবাব হীরের বাচ্চা সুলভ আচরনে হেসে পড়লো। আলতো করে জড়িয়ে ধরে হীরের কাটা-ছেঁড়া জায়গা গুলোয় ভালোবাসার পরশ একে দিলো। হীর আচমকা সাবাবের গালে, কপালে হাত রেখে বিচলিত কন্ঠে বলল,
—-‘ তোমার এই অবস্থা কি করে হলো? কি করে কাটল এমন করে? মনি কি তোমার উপরেও-
সাবাব হীরকে থামিয়ে দিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরে বলল,
—-‘ এগুলো তেমন কিছুই না। আমি তোমার কাছে পৌঁছোতে পেরেছি, আমার হীরপাখিকে আবার আমার কাছে ফিরে পেয়েছি সেটাই এখন আসল।’
—-‘ না! আগে তুমি বলো এসব কি করে হলো?’
সাবাব কিছু বলে ওঠার আগেই পেছন থেকে রোজের ভয়ার্ত কন্ঠ ভেসে আসল,
—-‘ আপু! এই দুটোকে মারল কে? আ- আর শিলা! শিলা এখানে কি করে এলো? ও তো-
শিলা এখনও বেহুঁশ হয়ে আছে। লোক দুটোকে মারতে দেখে শিলা সেই যে বেহুঁশ হয়েছে আর কোনো খবর নেই। সাবাবও এতক্ষণ এসব কিছু খেয়াল করেনি। আচমকা ঘরের ভেতরের এমন অবস্থা দেখে সেও ভড়কে গেলো। হীরের দিকে অবাক চোখে তাকাতেই হীর বাঁকা হাসল। শিলার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগল কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া কাহিনি গুলো।
#চলব___