ভালোবাসি_প্রিয় পর্ব_৩৪

0
1832

ভালোবাসি_প্রিয়
পর্ব_৩৪
#সুলতানা_সিমা

শুকনো একটা ঢোক গিলে লুপা কিঞ্চিৎ ভয়ার্ত স্বরে বলল”
_ভাইয়া তু তু তুমি এখানে?” দিহান রুমের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে বলল” হ্যাঁ।” দিহানের গলার স্বর গম্ভীর শোনালো। লুপা ভয় পেয়ে ঘামতে লাগে। দিহান কী সব শুনে ফেলছে? যদি সব শুনে ফেলে তাহলে দিহান তাকে খুন করে ফেলবে। লুপার চেহারায় ভয়ের চাপ। দিহান আবারও গম্ভীর গলায় বললো” এই বাড়িতে কারো মুখে যেন আমি এই খুনির নাম না শুনি। কথাটা যেন মাথায় থাকে।” দিহানের কথা শোনে বুঝা গেল সে শুধু শেষের কথা গুলা শোনেছে আগের কিছু সে শোনেনি। লুপা স্বস্থির নিশ্বাস নিলো। দিহান চলে যেতে লাগলো। পিছন থেকে লারা দিহানকে বলল”

_দিহান কারো হাতে পিস্তল দেখা মানে এই দাঁড়ায় না সে কাউকে খুন করেছে। তুমি তো অরিনকে ভালোবাসো তুমি অন্তত অরিনকে বিশ্বাস করো। কোনো প্রমাণ ছাড়া কেন তাকে সন্দেহ করছো?”

দিহান থেমে গেলো। পিছন ঘুরে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য হাসলো। এই হাসির মাঝেও তাঁর একরাশ কষ্ট লুকিয়ে আছে। কাটা গলায় বলল”
_সন্দেহ করছি আমি? কোনো প্রমাণ নাই? কী করিনি ওর জন্য আমি? নিজের বাবা মা নিজের পরিবার সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। কথায় কথায় বলতো আমার মাকে খুন করে দিবে। একদিন নয় অনেকদিন বলেছে। তবুও আমি একটা বকা দেইনি ওকে। কখনো একটা ধমকও দেইনি। ও ভুল করলেও ভালোবেসে বুঝিয়েছি। আমি ভাবতাম ও যা বলছে রাগের মাথায় বলছে। বিশ্বাস করতাম ওকে,তাই এসব কথায় আমি কান দিতাম না। ইশিকে মারার ঘন্টাকয়েক আগে আমায় বলেছে, ইশি আমার পাশে আসলে সে নাকি সবাইকে মেরে দিবে। হ্যাঁ ইশি তো আমার পাশেই ছিলো তাইতো ও মেরে দিয়েছে। আমার মাকেও মারতে চেয়েছে। কীভাবে বিশ্বাস করবো আমি। যখন সব কিছু নিজের চোখের দেখা নিজের কানে শোনা।
_আমি বুঝতে পারছি দিহান তুমি এমন একটা জায়গায় আছো যেখান থেকে অরিনকে দোষী মনে হচ্ছে। কিন্তু অরিনের উপর বিশ্বাস রাখা উচিৎ। এভাবে অরিনকে শাস্তি দিয়না, পরে আফসোস করতে হবে।
_কার জন্য আফসোস করবো? যে আমাকে এতিম করে দিতে চাইছিলো। যদি গুলিটা আমার মায়ের বুকে লাগতো তখন? আরে তোমরা কী বুঝবা? কখনো ধোঁকা খেয়ে দেখেছো?” লারাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে যায় দিহান। লারার শান্তি লাগছে না অশান্তি লাগছে তাঁর। এভাবে অরিন ফেসে যাবে জানলে কখনোই অরিনের হাতে পিস্তল দিতনা সে।

দিহান নিজের রুমে গিয়ে ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ে। বাইরে থেকে যতটা শক্ত দেখাচ্ছে থেকে ভেতর থেকে সে ততটাই দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। কতো বিশ্বাস করতো সে অরিনকে। কী করেনি অরিনের জন্য? নিজের সব ছেড়ে দিয়েছিলো। আর এই অরিন কিনা এভাবে তাঁর দিকে বিষাক্ত তীর ছুঁড়ে মারল? দিহানের ভিতর বুকটা ভারি লাগছে। এতো ভারি যে মনে হচ্ছে পুরো পৃথীবির পাহাড় তাঁর বুকের উপর রাখা আছে। ড্রেসিং টেবিলের উপর এখনো ভাতের প্লেট রাখা আছে। অরিন তাকে বলে গিয়েছিলো তাঁর কাজ শেষ করে এসে এক সাথে খাবে। এই কাজে গিয়েছিলো অরিন? রাগে দিহান উঠে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সব কিছু ছুঁড়ে ফেলল। চিৎকার করে বলতে লাগলো”
_বেইমানি করেছো অরিন। তোমাকে আমি খুন করে দিবো। ধোঁকা দিয়েছো আমায়।

ইশির মায়ের কান্না কিছুতেই থামছে না। লুপার মা প্লেটে করে ভাত নিয়ে বসে আছেন উনার হাতে। খাওয়ানোর জন্য অনেক্ষণ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু খাওয়াতে পারছেন না। কান্না করতে করতে একটু পর পর অজ্ঞান হচ্ছেন শুধু। দিশা দরজার পাশে এসে দাঁড়াতেই তাঁর বড়মা তাকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠেন। দিশা দৌড়ে গিয়ে উনাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁন্না জুড়ে বসে। ইশির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন”
_দিশারে এই দিশা আমার ইশির এ কী হয়ে গেলো। আল্লাহ কোন পাপের শাস্তি দিল আমায়। আমার কলিজাটা পোড়ে যাচ্ছে রে দিশা আমার কলিজাটা পোড়ে যাচ্ছে।” কিছুক্ষণ কেঁদে হঠাৎ কঠিন গলায় বলে উঠলেন” আমি এই মেয়ের ফাঁসি দিব। বাঁচতে দিবনা এই ডাইনিকে, নিজের হাতে ফাঁসি দিবো আমি। আমার সন্তানকে যে মেরেছে তাকে আমি বাঁচতে দিবনা। ” লুপা মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন। সন্তান হারানোর কষ্ট কেমন তা উনি অনেক আগেই জেনেছেন। উনার ইচ্ছে করছিল বলতে ভাবী দেখছো সন্তান হারানোর কষ্ট কেমন। আমি কাঁদতাম বলে তুমি না আমায় বলতা এমন সন্তানের জন্য কেঁদে কী হবে। এখন বুঝতে পারছো ভাবী সন্তানের মৃত্যু মেনে নেওয়া কতোটা কঠিন।” ঠোঁটের কাছে আসা কথা গুলাও গিলে নিলেন তিনি। তাঁদের মতো হৃদয়হীন তিনি নয়। তাঁরা তো সবাই হৃদয়হীন। তাইতো নিজের কষ্ট ছাড়া অন্যদের কষ্ট অনুভব করার শক্তি নেই তাঁদের।

____________________________

জেলের ভেতর দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে বসে আছে অরিন। ধোঁকা খেয়েছে সে, অনেক বড় ধোঁকা। নিজের সব থেকে কাছের বন্ধু ধোঁকা দিয়েছে তাঁকে। এর থেকে বেশি কষ্ট আর কী হতে পারে। বন্ধুকে নাকি মানুষ সুখ দুঃখের কথা বলে, যদি এই বন্ধুটাই হয় জীবনের সব থেকে বড় কষ্টের কারণ। তখন? মূর্তির মতো বসে থাকা অরিনের চোখ থেকে দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। লুপার থেকে ধোঁকা খেয়ে লারার কাছে ছুটে আসছিলো সে। শেষমেষ লারাও তাকে ফাসিয়ে দিলো। ঠোঁট কামড়ে নিজের কষ্টটা কমাতে চেষ্টা করলো অরিন। এত কষ্টের মাঝেও দিহানকে খুব মিস করছে সে। সারাটা রাত কেটে গেলো তাঁর পাষাণ স্বামীটা একবারও এসে দেখা দিলোনা। সেই যে জ্ঞান ফিরেছে থেকে সে অপেক্ষা করছে দিহানের জন্য, এখনো তাঁর অপেক্ষার ফলাফল জিরো। এই পাষাণ মানুষটার জন্যেও তাঁর মনটা কাঁদছে। সে কিছু খেয়েছে কিনা,বাসায় আছে নাকি বাইরে আছে, কেমন আছে। এই চিন্তাগুলা চেপে ধরেছে তাঁকে। বার বার সে বলছে এই পাষাণ স্বামীটার কথা আর ভাব্বে না, তবুও সে ভাবছে। হয়তো স্বামী নামক শব্দটার উপর নারী জাতি দূর্বল বলে না চাইতেও তাঁর জন্য চিন্তা হচ্ছে।

_আপু।” কান্নাজড়িত গলায় কারও আপু ডাক শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে থাকাল অরিন। তানভী দাঁড়িয়ে আছে। পরনে স্কুল ড্রেস, কাঁধে ঝুলানো একটা ব্যাগ,হাতে একটা পত্রিকা। অরিন তৎক্ষণাৎ ওঠে এসে হন্তদন্ত হয়ে বলল”

_তানভী তুই? তুই এখানে কেন এসেছিস?” তানভী ডুকরে কেঁদে উঠে বলল”
_আপু আমার জন্য এসব হলো তাইনা? শেষ পর্যন্ত একেবারে জেল পর্যন্ত আসলে। আমি এমনটা না করলে কখনোই তোমাকে ওই বাড়িতে যেতে হতোনা ওই বাড়িতে না গেলে কখনোই এখানে আসতে হতোনা।” অরিন অবাক হয় তানভী কী তাহলে সব জানতো? অরিন হাতটা বাইরে বের করে তানভীর চোখ মুছে দিয়ে বলল”
_কাঁদছিস কেন কাঁদবি না। আমি এখানে তুই জানলি কেমনে?
তানভী কাগজটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল”
_এই দেখো আপু পত্রিকায় তোমার ছবি বেরিয়েছে তুমি নাকি খুনি, তুমি নাকি লইয়ার মাহফুজা চৌধুরীর মেয়েকে খুন করেছো। আপু আমি জানি তুমি এমন কিছু করবে না। দেখ আপু এখানে তাঁরা কী লিখেছে, সবাই নাকি স্বচোক্ষে দেখেছে তুমি মেরেছো। আপু তুমি পালিয়ে যাও প্লিজ। ওঁরা তোমাকে ফাঁসি দিয়ে দিবে আপু।
_হোক ফাঁসি এটাই চাই আমি চলে যা তুই। ” অরিনের কণ্ঠ ভেজা, একরাশ অভিমান জমা। তানভী বলল”
_তুমি দোষ না করে কেন ফাঁসিতে ঝুলবে আপু? দোষ ওঁদের তুমি কেন মরবে? আমি জানি তুমি এমনটা করনি।
_চলে যা তানভী এসবে নিজেকে জড়াবি না। সাংবাদিক কারো চোখে পড়লে খুনির বোন হিসাবে পরিচিত হয়ে যাবি।
_নিজের কথাটা একবার ভাবো আপু। কেন এতো মহৎ হতে হবে তোমায়? জানো আপু,,,,” তানভী কিছু বলতে যাবে তখনই এক দারোগা এসে বলল”
_এই মেয়ে তোমার পাঁচ মিনিট শেষ যাও।” তানভী মিনতির স্বরে বলল” আর দুই মিনিট প্লিজ চলে যাবো আমি।”
_আর এক মিনিটও দেওয়া যাবেনা যাও বের হও।”

তানভী ব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট বের করে বলল” পাঁচ মিনিট প্লিজ।” দারোগা চারদিকে তাকিয়ে টাকাটা হাতে নিয়ে চলে গেলো। অরিন ধমক দিয়ে বলল”
_তানভী তুই এই লোকটাকে টাকা দিয়েছিস? টাকা পেলি কই তুই?
_আপু রাগছো কেন তোমার জন্যই তো দিছি। “তানভী কেঁদে দিলো। অরিনেরও কান্না চলে আসলো। যতই হোক এক রক্ত বইছে তাদের দুজনের শরীরে। রক্তের টান তো থেকেই যাবে। এই রক্তের টানেই তো তানভী ছুটে এসেছে। অরিন হাত বাড়িয়ে তানভীর চোখের পানিটা মুছে বলল”
_মা কেমন আছে রে? আপু আর তানজু কেমন আছে?
_সবাই ভালো আছে। জানো আপু, বড় আপু তোমার বরকে বিয়ে করতে চায়। আম্মু বলছে যতই হোক বিবাহিত ছেলের কাছে কখনো বিয়ে দিবেনা। এ নিয়ে আম্মুর সাথে আপুর অনেক ঝগড়াও হয়, একবার দুদিন না খেয়ে ছিলো৷।
_অহ।” অরিনের বুকটা ধুক করে উঠে। তাঁর স্বামীর ভাগ যদি তন্দ্রা নিয়ে নেয়? ভাবতেই অরিনের বুকের ভারি পাথরের ঢিল পড়লো।

_আপু প্লিজ পালিয়ে যাও। ওঁরা তোমাকে মেরে দিবে আপু। ওদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবেনা। এখানে থাকলে নিশ্চিত তোমাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে।

অরিন চোখ ভর্তি জল নিয়ে ঠোঁটে অদ্ভুত হাসির রেখা টেনে বলল” আমার আবার ফাঁসি। “একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল “তোর বয়ফ্রেন্ড কেমন আছে?
_ও আরেকটা রিলেশনশিপে জড়িয়েছে আপু।” বলেই তানভী মাথা নিচু করে ফেলল। অরিন অবাক হলনা। দেহের সম্পর্ক কতোদিন টিকে তা সে অনেক আগে থেকেই জানে। বুক ছিড়ে আসা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। দারোগা এসে তানভীকে বলল চলে যেতে। তানভী কাকুতি মিনতি করে কিছু সময় চাইলো কিন্তু পেলোনা। তানভী কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।

আজও সারাদিন গেলো দিহান একবারও আসেনি। অরিন ভেবেছিলো একবার হলেও দিহান আসবে, কিন্তু এলোনা। অরিনের চিন্তা হচ্ছে দিহান ঠিক আছে কিনা। হয়তো বাসার ঝামেলায় পড়ে আসতে পারিনি। হঠাৎ করে হয়তো অরিনের বিচার শুরু হবে। তারপর ফাঁসি। আচ্ছা অরিনের পক্ষে লড়বে কে? তানভী হয়তো ঠিকই বলেছে ওদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবেনা। এখানে থাকলে সে মরে যাবে। সে মরে গেলে তো তাঁর বাচ্চাও মারা যাবে। বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো অরিনের। না এখানে থেকে তাঁর সন্তানকে সে মারবে না। কিন্তু এখান থেকে যাবেই বা কী করে?

অনেক্ষণ থেকে একটা দারগা এই মাথা হতে ওই মাথা হাঁটছে। হয়তো রাতের ডিউটি তাঁর। অরিন দারোগাকে কিঞ্চিৎ স্বরে ডাক দিলো।

_এই যে শোনোন।” দারোগা থাকাতেই অরিনের কলিজা ভয়ে কেঁপে ওঠে। লোকটাকে দেখে ডাকাত ডাকাত লাগছে। অরিন ভেতরে ভেতরে ভয় পেলেও বাইরে থেকে তা প্রকাশ করল না। আপাতত তাকে এখান থেকে পালাতে হবে। তাঁর বাচ্চার জন্য হলেও তাকে পালাতে হবে। আঙুলে শাড়ীর আঁচল পেছাতে পেছাতে লাজুকবতীদের মতো মিটিমিটি হাসতে লাগলো। দারোগা ককর্শ গলায় বলল”
_কী হইছে ডাকলা কেন?
_আপনি না অনেক সুন্দর। “দারোগার মুখে হাসি ফুটে উঠলো,লজ্জার হাসি। অরিন আবারও বলল”
_আপনার মতো সুন্দর মানুষের সামনে বসে যদি চাঁদ দেখতে পারতাম আমি আমার জেলের জীবনটা স্বার্থক মনে করতাম। “লোকটা কপাল কুঁচকে তাকাল মনে হয় বুঝে গেছে অরিন যে ওকে কথার ফাঁদে ফেলতে চাইছে। লোকটা গম্ভীর মুখ করে চলে যেতে লাগলো অরিন বললো”
_আমি ভেবেছিলাম আপনার মনটা আপনার মতো সুন্দর তাই মনে আসা কথাটা বলে দিয়েছিলাম।” অরিনের কণ্ঠে মিথ্যে কান্না ছিলো যা দারোগাকে ফাসিয়ে দিলো। দারগা চারদিকে তাকিয়ে অরিনকে এসে বলল”
_বেশিক্ষণ কিন্তু চাঁদ দেখা যাবেনা।” বলেই তালা খুলে অরিনেকে বের করে পা টিপে টিপে বেরিয়ে আসলো। বাইরে এসে অরিন অযথাই কাশতে লাগলো দারোগা ভিতু গলায় বললো”
_এই কাশতেছো কেনো? সবাই ঘুম থেকে উঠে যাবে।” অরিন আবারও কাশলো তারপর বললো”
_আমি কী করবো বলুন, আজ দুদিন ধরে চা কফি খাইনা। [একটু থেমে] আপনাদের বড় স্যার যেখানে বসেন ওখানে ফ্লাক্স আছে দেখলাম। একটু চা নিয়ে আসুন না প্লিজ।” দারগা নড়লো না অরিন বলল”
_ঠিক আছে ভেতরেই গিয়ে খাই চলুন। আমাকে যখন বিশ্বাস হচ্ছেনা এখানে থেকে কী হবে। কতো আশা নিয়ে এসেছিলাম আপনার কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ দেখবো।” দারগার মনে লাড্ডু ফুটলো। মিটিমিটি হাসতে হাসতে চা আনতে চলে গেলো। অরিন এক সেকেন্ডও দেরি করলো না। পালাতে দৌড়ে দিলো। দেয়াল টপকাতে একটু কষ্ট হলো তাঁর। দেয়াল থেকে লাফ দিয়ে পড়েনি সে যেভাবে বেয়ে উঠেছে ওইভাবেই নামলো। যে বাচ্চার জন্য এতোকিছু সে বাচ্চার যদি ক্ষতি হয়ে যায় সেই ভয়ে। দেয়ালের এপারে এসে নিজের সব জোর দিয়ে দৌড় দিলো সে। এই কালো জগত থেকে দূরে যাবে সে অনেক দূরে যেখানে থাকবেনা কোনো বেইমান ধোঁকাবাজের ছায়া।

চলবে……।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here