ভালোবাসি_প্রিয় পার্ট_২৭

0
2111

ভালোবাসি_প্রিয়
পার্ট_২৭
#সুলতানা_সিমা

স্বামীর সাথে স্ত্রীর সম্পর্ক যেমনই থাকুক, স্বামীর ফোনে তার পাক্তনের কল মানে একটা মেয়ের কলিজা ছুরি চালানো। আজ দুদিন হলো দিহানের ফোনে তন্দ্রা বার বার কল দিচ্ছে। সেদিন তন্দ্রা কল দেওয়ার পরে দিহানের সাথে তন্দ্রার অনেক কথা কাটাকাটি হয়। দিহানকে তন্দ্রা মেয়েবাজ চরিত্রহীন আরও অনেককিছু বলে। এমনি অরিনের নামেও অনেক খারাপ কথা বলে। দিহান সেদিন রাগে তন্দ্রাকে গালাগালি করেছে,তন্দ্রার নাম্বার ব্লক করে দিয়েছে। তন্দ্রার নাম্বার ব্লক করার পরে তন্দ্রা তাঁর মায়ের ফোন থেকে কল দেয়,দিহান সে নাম্বারটিও ব্লক করে দেয়। তন্দ্রা থেমে থাকছে না বার বার নতুন সিম দিয়ে ফোন দিচ্ছে। দিহানও নিজের নাম্বার বন্ধ রাখতে পারছেনা যদি বাসা থেকে কেউ কল দেয় সেইটা ভেবে। যতই রাগ থাকুক মায়া তো আর কেটে যায়নি। বাবা অসুস্থ মা অসুস্থ কখন কী ঘটে যায় কে জানে। কিন্তু অরিন নিজেকে সামলাতে পারেনা। যতবারই দিহানের ফোনে কল আসে ততবারই সে কেঁদে দেয়। কান্নাটা তাঁর নিজের অজান্তেই চলে আসে চাইলেও আঁটকাতে পারেনা। দিহানের সাথে অরিনের এখনো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেনি,না তন্দ্রার সাথে দিহান কথা বলে, তবুও অরিনের কষ্ট হয়। বুক ফেটে যায় দিহানের ফোনে কল আসলে। দিহানের ফোনের রিংটোনে শব্দ তার কলিজা বিষাক্ত তীরের মতো লাগে। যে কেউ কল দিলেও তার মনে হয় তন্দ্রা কল দিছে। আজ দুপুরে দিহানের ফোনে দিহানের এক টিচার কল দেয়। দিহান ফোন নিয়ে উঠুনে বের হয়ে ফোনে কথা বলে। কথা শেষে যখন ঘরে যায় তখন দেখে অরিন কান্না করছে। কেন কান্না করছে জিজ্ঞেস করতেই অরিন দিহানকে বলে “আপু ফোন দিছিল তাইনা?” টিচারের সাথে কথা বলে দিহানের মেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়ে গেছিল, অরিনের কথা শুনে রাগ উঠে যায় আর সে চেঁচিয়ে বলে” এখন কী আমাকে ফোন ইউজ করা ছেড়ে দিতে হবে?” রাগে দিহান ঘর থেকে বেরিয়ে যায় আর আসেনা ঘরে।

অরিনরা যেখানে থাকে সেখানে ছোট ছোট কয়েকটা ঘর একটা ঘরে একজন বৃদ্ধা মহিলা আর উনার স্বামী থাকেন। এর থেকে একটু দূরে আরেকটা ঘরে একজন মধ্যবয়সি মহিলা উনার নাম জেসমিন উনি একা থাকেন। আর একটা ঘরে দিহান আর অরিন থাকে। জেসমিনকে অরিন খালা বলে সম্বোধন করে দিহান উনাকে খালা বলে ডাকে তাই। উনার জন্যই দিহান অরিনকে একা ছেড়ে যাওয়ার সাহস পায়। অরিন রাত আটটা পর্যন্ত উনার সাথেই ছিল কিন্তু কতক্ষণ আর থাকবে এখানকার সবাই এশারের নামাজ পড়েই ঘুমিয়ে যায়। তাই সে আটটা বাজতেই নিজের ঘরে ফিরে আসে কিন্তু দিহানের কোনো খোঁজ নাই। একা ঘরে অরিনের যতটা ভয় করছে ততটা বেশি কষ্ট হচ্ছে দিহানের অনুপস্থিতিতে। রাতের জন্য রান্নাটাও করেনি অরিন কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলছে। বার বার দরজা খুলে উঁকি দিচ্ছে বাইরে কিন্তু না দিহানের দেখা নাই। আচ্ছা দিহান তাঁকে একা ফেলে চলে যায়নি তো? না না দিহান তাঁকে ছেড়ে যাবে কেন দিহানই তো তাঁকে এইখানে নিয়ে এসেছে। আচ্ছা এমন তো নয় দিহান ঠিক নেই ওর কোনো ক্ষতি হয়েছে? ভাবতেই কলিজায় মুছড় দিয়ে উঠে অরিনের। হাঁটুতে মুখ গুঁজে কান্না করতে লাগে। অনেকক্ষণ পরে দরজার ওপাশ থেকে দিহানের গলা ভেসে আসে।

_অরি।” দিহানের গলা শুনে অরিন যেন প্রাণ ফিরে পায়। তৎক্ষণাৎ ওঠে দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিহানের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয়। দিহান কিছুটা ইতস্তত হয়ে যায়। কিন্তু অবাক হয়নি,সেই দুপুর থেকে সে রাগ করে বেরিয়ে গেছে কান্না করাটা স্বাভাবিক। আর তাছাড়া দিহান ফোনটাও সাথে নেয়নি যে অরিন তাঁকে একটা ফোন দিতে পারবে। দিহান অরিনকে কোমল গলায় বলল”

_কেঁদনা কান্না থামাও।” অরিন দিহানকে আরও শক্ত করে ধরে বলে।
_কই গেছিলেন আপনি? জানেন আমার কতটা কষ্ট হইছিল? একা একা কত ভয় হচ্ছিল আমার জানেন?
_এসে গেছি তো এখন আর ভয় কিসের ছাড়ো।

অরিন তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিল। এতক্ষণ সে হুসেই ছিলনা, দিহানকে দেখে আবেগী হয়ে গেছিল। অরিন কিঞ্চিৎ লজ্জায় পড়ে গেল। দিহান অরিনের পাশ কেটে ঘরে ঢুকে গায়ের জামাটা পাল্টে নেয়। অরিন রান্নার ঘরের দিকে যায়, ভাত রান্না হয়নি আজ, এখন যদি দিহান খেতে চায় কী দিবে খেতে? নিজের প্রতি কিছুটা রাগ হল অরিনের, কেন যে সে রান্না করে রাখল না। অরিন ছোট ছোট কয়েকটা লাকড়ি এনে চুলায় রাখে। আগুন জ্বালানোর আগেই দিহানের ডাক আসে উঁচু গলায় অরি অরি বলে ডাকছে। অরিন দ্রুত পা ফেলে ঘরে আসে।

_কিছু লাগবে?
_কই গেছিলা?” অরিন কোনো জবাব দিলনা মাথা নিচু করে আঙুলে ওড়না পেছাতে থাকে। দিহান অরিনকে ডাকছিল ক্ষিধে লাগছে ভাত দিতে তাই। কিন্তু অরিনের ভাব দেখে মনে হচ্ছে রান্না হয়নি। এখন যদি খেতে চায় অরিন কষ্ট পাবে দিহান ওই কথাটা চেপে গিয়ে অরিনকে বলল”
_আব,,,,আমার ফোন খোঁজে পাচ্ছিনা।
_ফোনটা তো আপনার পাশেই আছে। এই যে দেখুন বালিশের পাশে।
_অহ আমি দেখিনি। আসো বসো এসে।
_আমি আসছি আপনি বসুন।
_কই যাবা?” অরিন কিঞ্চিৎ স্বরে বলল
_রান্না ঘরে।
_রান্না হয়নি তাইতো?” অরিন মাথা নিচু করে ফেলল। দিহান অরিনের হাত ধরে তাকে খাটে বসাল তারপর বলল”
_খুব কষ্ট দিয়েছি আজ তাইনা? কী করবো বলো স্যার ফোন দিয়ে বলছে আমি ভার্সিটি যাইনি কেন? লোকের মুখে যা শুনছেন তা কী সত্যি হ্যান ত্যান। উনি বাবার বন্ধু হন উনাকে কীভাবে রাগ দেখাতাম তাই ফোন কেটে দিছিলাম। তারপর ঘরে আসার পরে তোমার ওই কথা, আমি নিজেকে শান্ত রাখতে পারিনি। সরি অরি মাফ করে দাও প্লিজ।” অরিন ছলছল চোখে দিহানের দিকে তাকিয়ে আছে। দিহানকে যতই দেখছে সে ততই অবাক হচ্ছে দিহানের প্রতি দিন দিন ভালোবাসা বেড়েই চলছে। দিহান যে মানুষটাই এমন যার প্রেমে না পড়ে থাকা যাবেনা। অরিনের চোখ থেকে টুপ করে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরল। দিহান বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে জলটা মুছে বলল”

_ আমার ক্ষিধে নেই রান্না করার দরকার নেই শুয়ে পরো।
_উঁহু আমার ক্ষিধে লাগছে।
_ওকে চলো আমি তোমায় হেল্প করবো।
_হুম।” অরিন দিহান দুজন মিলে রান্না ঘরে গেল। অরিন যদিও বলেছে তার ক্ষিধা লাগছে আসলে কিন্তু তার ক্ষিধা লাগেনি, দিহানের জন্যই সে রান্না করতে এসেছে। দিহান যে ক্ষুধার্ত সেটা তাঁর মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে। দিহান অরিনকে হেল্প করতে এলেও সব কিছু দিহানই করছে। চুলায় আগুন জ্বালানো। চুলায় ভাত বসানো মার ফেলা সব কিছুই দিহান করছে। অরিন বটি নিয়ে বসল। বটি দিয়ে কাজ করার অভ্যাস তাঁর নেই। দিহান অরিনকে বলে”

_কী কাটবা?
_কাচা মরিচ।
_কেন?
_তরকারিতে দিলে ভালো লাগবে তাই।
_দেওয়ার দরকার নেই এমনিই ভালো লাগবে।
_না লাগবে না। ওটা দিলে বেশি ভালো লাগবে।
_তাহলে কাঁটবা কেন আস্ত দিয়ে দাও।
_না। আস্ত হলে আমার ভালো লাগেনা। আর আমি মরিচের গুঁড়ো দেইনি এটা দেবো বলে।
_তাহলে দাও আমার কাছে আমি কেঁটে দিচ্ছি।
_না আমি পারবো।
_হাত জ্বলবে আমার কাছে দাও।
_আপনার ওতো জ্বলবে।
_জ্বললে জ্বলোক দাও আমার কাছে।”

দিহান এক প্রকার জোর করেই অরিনের থেকে বটি নিয়ে মরিচ কেঁটে দেয়। কিছুক্ষণ পরে তার হাত জ্বলা শুরু হয়ে যায়। হাত জ্বলার জন্য ঠিক মতো খেতেও পারেনা। তবে অরিনকে কিছুই বুঝতে দেয়নি। রাত ১১টায় অরিনকে আসছি বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যখন ফিরে আসে তখন ১২টা বেজে যায়। অরিন অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে। ঘরে ফেরার পথে হঠাৎ করে বৃষ্টি নেমে গেছিল তাই দিহান বিজে গেছে। জামা পাল্টে দিহান লাইট অফ করে জানালা খুলে দিয়ে অরিনের পাশে এসে বসে। অরিনের হাতের উপর হাত রেখে মৃদু গলায় ডাক দেয়”

_অরি। এই অরি। অরিইইইই।” দিহানের ডাক শুনে অরিন চোখ খুলে তাকাল। চাঁদের আলো জানালা দিয়ে এসে খাটের উপর পরছে। দিহানের মুখটা চাঁদের আলোয় আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। মনে হচ্ছে দুনিয়ার সমস্ত মায়া সুন্দর্য সব কিছু দিহানের রাজত্বে। মাত্রই ঘুম থেকে ওঠা অরিনের ইচ্ছে করছে দিহানকে একটু আদর করে দিতে। দিহানের কাছে একটা রাত চাইতে দিহানকে মন ভরে আদর করার জন্য শুধু একটা রাত ভিক্ষে চাইতে। দিহানের সব নিঃশ্বাস গুলো তাঁর উপরে এসে পরছে। সমস্ত শরীর জুড়ে শীতল শিহরণ বয়ে চলছে। দিহান অরিনের হাত ধরে বলল”

_একটু উঠবে? “ধ্যান ভাংলো অরিনের। ওঠে বসে ওড়নাটা ঠিক করতে করতে বলল”
_কী হইছে?
_দিহান অরিনের হাত ধরে নিয়ে জানালার পাশে গেল। আকাশে এক থালা চাঁদ তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। দিহান চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল”
_চেয়ে দেখো এই পূর্ণ চাঁদকে যে কখনো এক ফালি তো কখনো এক চিমটি। সে রাত বদলানোর সাথে সাথে বদলে যায় নিজেও। কখনো বা ক্ষয় হয়ে বদলায় কখনো বা পূর্ণ হয়ে। মানুষ জীব কিছুটা চাঁদের মতোই আজ সে পূর্ণ তো কাল শূন্য।

দিহানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে অরিন। দিহান তাঁর হাত ধরে আছে। দিহানের ছোঁয়া,কোমল গলা, চাঁদের আলোয় দিহানের মায়াভরা মুখ অরিনের নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছে করছে দিহান যা ভাবার ভাবুক দিহানের কাছে নিজেকে সপে দিতে। অরিনের হার্ট বিট বেড়ে চলছে দিহান জানালাটা বন্ধ করে দিল ঘরটা একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার। দিহান একটা চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা কাঁচের বৈয়াম হাতে নিল। চাদরটা সরাতেই বৈয়ামের আলোয় দিহান অরিনের মুখ সবুজ রঙে চকচক করতে লাগে। অরিন অবাক হয়ে তাকায় বৈয়াম ভর্তি জোনাকিপোকা। দেখে মনে হচ্ছে অনেকগুলা সবুজ বাতি জ্বালিয়ে বৈয়ামে ঢুকিয়ে রাখছে। দিহান বৈয়ামের ঢাকনা খুলে দিল। সাথে সাথে জোনাকি গুলা বেরিয়ে পুরো রুম জুড়ে ছড়িয়ে পরলো। অরিনের হাঁ হয়ে পুরো রুম দেখতে লাগল। অন্ধকারের কোনো ছিটেফোঁটাও আর নেই চারিদিকে সবুজ বাতি জ্বালানো জোনাকি উড়ছে। অরিন হাত বারিয়ে দুইটা জোনাকি তার হাতের মুঠোয় নিয়ে মুখের সামনে আনলো জোনাকির আলোয় অরিনের চারিদিক চকচক করছে। অরিনের মনে হচ্ছে সে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছে যেন ঘুম ভেঙ্গে গেলেই সে এই স্বপ্নের মতো সুন্দর সময়টা হারিয়ে ফেলবে। অরিন ঘুরে ঘুরে মুগ্ধ হয়ে পুরো ঘর দেখছে চোখ থেকে তার খুশির জল গড়িয়ে পরছে ঠোঁটে খুশির হাসি। এই দিনটা কী সত্যিই তাঁর জীবনে লেখা ছিল? অরিন হাত মেলে ঘুরছিল তখনই চোখে পড়ে দিহান হাঁটু গেড়ে তাঁর সামনে বসে আছে। অরিন থেমে যায় অবাক চোখে দিহানে দিকে তাকায়,যা দেখছে সে ঠিক দেখছে তো? দিহানের দুহাত অরিনের দিকে বারিয়ে দিল। হাতে কচু পাতায় মুড়ানো বৃষ্টির জল। হাত বারিয়ে দিয়ে দিহান বলল”

_হরিণ টানা চোখ গুলা যখন চোখে পরেছিল তখন ঘোর লাগা চোখ ফিরিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। গাল জুড়ে ছড়িয়ে পরা এক গুচ্ছ চুল যখন কানে গুঁজছিলে,তখন অবাক হয়ে দেখেছিলাম কানে চুল গুঁজার দৃশ্য কতটা সুন্দর হয়। পিচ্ছিল ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে নামার জন্য যখন প্রথম তোমার কোমল হাতের ছোঁয়া পেয়েছিলাম সেদিন বুকের ভেতর তোলপাড় হচ্ছিলো,জানিনা কেন। ধীরে ধীরে তোমার প্রতিটা জিনিস আমায় আকৃষ্ট করেছে। যতবার তোমাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে গিয়েছি ততবার নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। কেন যেন তোমাকে আমি অপরাধী ভাবতে পারিনা। আজকাল জানতে ইচ্ছে করেনা কেন তুমি বিয়ে করেছ আমায়, ভয় হয় যদি সব জেনে হারিয়ে ফেলি তোমাকে । নিজের সবকিছু ছেড়ে তোমার হাত ধরেছি, এমনি এমনি নয় অরিন ভালোবাসি তোমাকে তাই ধরেছি। ফুল দিয়ে তো সবাই সবার জীবনে আসে আমি না হয় ভিন্নকিছু নিয়ে আসলাম। যেমন ভিন্ন ভাবে তুমি আমার জীবন্র এসেছিলে। পবিত্র জল বৃষ্টি জল, আর এই পবিত্র জল দিয়ে তোমার সব কষ্ট মুছে দিতে এসেছি। দিবে সুযোগ আমায় তোমার দুঃখ মুছার? তোমায় দু’হাতে গুছিয়ে দেওয়ার? কথা দিচ্ছি সারাজীবন আগলে রাখব বুকে। ভালোবাসবে আমায়। অধিকার দিবে তোমার জীবন গুছানোর? তোমাকে আগলে রাখার।”

অরিনের চোখ থেকে সুখের জল গড়িয়ে পরছে। সত্যি কী তাই হচ্ছে যা সে দেখছে? দিহান তাকে ভালোবাসে? যে মানুষটাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য সে ব্যাকুল হয়ে থাকে সে মানুষটা তার কাছে অধিকার চাইছে? এই মূহুর্তে অরিনের মনেই হচ্ছেনা সে অসহায় একটা মেয়ে। মনে হচ্ছে পৃথীবির সব থেকে সুখী নারী সে। দিহান অরিনকে আবার বলল”

_কী হল অরি দিবেনা অধিকার? থাকবেনা আজীবন আমার পাশে?” অরিন কেঁদে কেঁদে উপর নিচ মাথা নাড়াল। তারপর দিহানের হাত থেকে কচুপাতায় মুড়ানো বৃষ্টি জল নিয়ে দিহানকে বলল”

_সব অধিকার দিব আপনায়। আমার জীবনের সবকিছুতেই আপনার অধিকার দিলাম। যদি কেউ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়না? সোজা তাকে উপরে পাঠিয়ে দিব। তবুও কখনো আপনার ছেড়ে যাবনা।

চলবে……।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here