ভালোবাসি_প্রিয় পর্ব_৫

0
2365

ভালোবাসি_প্রিয়
পর্ব_৫
#সুলতানা_সিমা

সকাল নয়টায় শাওন আর নীল চলে আসলো দিহানদের বাসায়। কলিং বেল দিয়ে দুজন দাঁড়িয়ে আছে কেউ এসে দরজা খুলে দিচ্ছে না। নীল শাওন দুজন ব্লাক টি’শার্ট পড়েছে,ব্লাক জিন্স। সিক্স প্যাক ফর্সা বডিতে এমন ড্রেসাপে দুজনকে হিরো লাগছে।চিল্কি চুল গুলা উপরের দিকে তুলে খাড়া খাড়া করে রাখছে। হাতে ব্লাক ওয়াচ। দুজনের কাধে ব্যাগ। দেখে মনে হচ্ছে দুজন যমজ ভাই শুধু ফিগারটা আলাদা। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শাওন বিরক্ত হয়ে নীলকে বললো”
_হারামি দেখলি তো এখনো সবাই ঘুমে আছে। আমি আগেই তোকে বলেছিলাম দুপুরের দিকে যাই।
_তুই বিরক্ত হলে তুই চলে যা।
_সত্যিই কিন্তু চলে যাবো।
_ওকে যা গা বাগ।” শাওনকে সরিয়ে নীল এসে একের পর এক কলিং বেল দিতে লাগলো। শাওন বললো”
_নীল এটা কিন্তু ভদ্রতার মাঝে পরেনা। ওদের ডিস্ট্রাব হবেনা?
_come on ইয়ার সব কিছু ভাবলে চলে?
নীল আবরও কলিং বাজাতে লাগলো। লুপা এসে দরজা খুলে দিলো। কুকড়া চুলগুলা এলোমেলো। চোখে মোটা ফেমের চশমা। কালো রংয়ের একটা টপস পড়া সাদা রংয়ের একটা লেগিংস। কেমন যেন পিচ্চি পিচ্চি লাগছে। নীল লুপার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। সদ্য ঘুম থেকে উঠে আসা মেয়েটাকে দেখতে কিউটের ডিব্বা লাগছে। লুপা দাঁতে দাঁত চেপে বললো ”
_কলিং বেজ বাজাচ্ছেন কেন? এটার ভেতর ঢুকে গেলেই পারেন।
নীল বললো “কলিং বেলের ভেতর বুঝি ঢুকা যায়? আমার না জানা ছিলনা।
_সকাল সকাল মানুষের বাড়িতে আসেন লজ্জা করেনা?
_আমার না একটুও লজ্জা করে না। এই শাওন তোর করে?
ঘরের ভিতর উঁকিঝুঁকি করছিল শাওন নীলের ধাক্কায় হুস আসে তার। হতভম্ব হয়ে নীলের দিকে তাকায় সে। সত্যি বলতে এতক্ষণ এরা দু’জন কি কথা বলছিলো তার কান দিয়ে ঢুকেনি। ইতস্তত হয়ে লুপাকে বললো”
_হ্যাপি বার্থডে কিউটি। “” লুপার গরম চোখ শীতল হয়ে এলো। কপালের কুঁচকানো বিলিন হয়ে গেলো। মুখে লজ্জার আভা ফুটে উঠলো। ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা টেনে বললো “thank you so much!” নীল বললো “শাওন তোর ওকে কোন দিক থেকে কিউট মনে হয় রে? তাকিয়ে দেখ ওর তো নাক বুচা।” লুপা নীলের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলে গেলো। নীল শাওন ভিতরে ঢুকলো। আসলে তারা যা ভাবছিলো তাই। সবাই এখনো ঘুমে আছে। দিহানের রুমে গেলো দু’জন। শাওন গিয়ে দিহানকে জাগালো দিহান উঠেনি। নীল বললো “এভাবে নয় মাম্মা ভালো ভাবে জাগানো লাগব।” বলেই ওয়াসরুম থেকে মগ ভর্তি পানি এনে দিহানের উপরে ঢেলে দিলো। দিহান লাফ দিয়ে উঠলো। নীল বললো ”
_কিরে বিছানায় হিশু করা এখনো ছাড়িস নি?
নীলের উপর একটা বালিশ ছুড়ে মেরে দিহান বললো”
_হারামি তোর কারনে এই দুই দুইবার আমি মেয়েটাকে ধরতে পারিনি।
_কোন মেয়েটা তোর ললিপপ?
_তোর খালাম্মা। “রাগে হনহন করে দিহান ওয়াসরুমে চলে গেলো।

নীল আর শাওন হাসতে লাগলো। দিহান নিশ্চয়ই কোনো মেয়েকে স্বপ্নে দেখেছে আর তারা এসে তার স্বপ্নে পানি ঢেলে দিলো। অনেকক্ষন পরে দিহান,শাওন ও নীলের ডাক আসে নিচে যাওয়ার জন্য। শাওন নিচে নামার সময় চারিদিকে চোখ বুলিয়ে কাউকে খুঁজল। মনটা তার তৃষ্ণার্ত কাউকে একটা পলক দেখার জন্য। নিচে নামতেই দিহানের বড় মা এগিয়ে এসে বললেন “” কি ব্যাপার তোমরা একা কেন তোমাদের আব্বু আম্মু কই?” শাওন বললো ” উনারা সময় পেলে আসবেন সন্ধ্যার দিকে।” লুপা তখন টেবিলে বসে ছিলো। নীল লুপাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো ” আন্টি আমরা যে এতো সকাল সকাল এসেছি আমার না লজ্জা করছে। আচ্ছা সকাল সকাল কোথাও গেলে আপনারও কি লজ্জা করে? ” লুপা নীলের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো। নীল একবার আড়চোখে তাকিয়ে আর তাকায়নি।

নাস্তার টেবিলে বসলো তারা। রুহান দিয়া এসে বসলো লুপার দু পাশে। দিহান,নীল,শাওন তারা এক পাশে। দিহান বললো।” বাবা আর চাচ্চুরা কই?” লুপা মা টেবিলের উপর ডিম ভাজার প্লেট রাখতে রাখতে বললেন “সবাই তাদের কাজে চলে গেছে।” নীল চোখ তুলে তাকালো লুপার মায়ের দিকে। উনি সবুজ রংয়ের সেলুয়ার কামিজ পড়েছেন। বড় চুল গুলায় বেণি করা। চেহারায় বয়সের কোনো চাপ নেই। উনাকে দেখে লুপার মা বলে মনে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে লুপার বোন। উনি খুব ছটফটে স্বভাবের। নিজের প্রশংসা শুনতে উনার অনেক ভালো লাগে। শাওন ও নীলকে প্লেটে ডিম ভাজা তুলে দিয়ে চেয়ার টেনে তিনিও বসলেন। শাওন মুখে তুলতেই উনি প্রশ্ন ছুড়ে মারলেন “ডিম ভাজা কেমন হয়েছে? একদম পার্ফেক্ট তাইনা? আমি ভাজছি। ছোট ভাবি ভাজলে তো কেউ মুখে দিতে পারেনা। কি তিতা বাবা গ।” দিহানের মা রাগি লুকে তাকালেন। একদিন একটু লবন বেশি হয়েছে বলে প্রতিদিন এভাবে বলবে? শাওনের গলা দিয়ে খাবার নামছে না। মনে হচ্ছে সে ডিম ভাজা নয় ডিরেক্ট লবন খাচ্ছে। উনি নিজেই তিতা বানান আবার অন্যের দুষ দিচ্ছেন। নীল একটু মুখে নিয়ে তারও একই অবস্থা। চোখ বড় বড় করে দু’জন দুজনের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো ফেইস বানিয়ে লুপার মায়ের দিকে তাকালো। উনি বেশ আগ্রহ নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। নীল এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢকঢক করে পানিটা খেয়ে খাবার নিচে নামালো। তারপর লুপার আম্মুকে বললো “”

_ওয়াও এতো মজার ডিম ভাজা আমার চৌদ্দ গুষ্ঠির মধ্যে কেউ জীবনে খায়নাই। আমিও আমার বাপের জন্মে এমন ডিম ভাজা খাইনাই। এত্ত মজা হইছে যে এই মজাটা খেয়ে আমার সুইসাইড করতে ইচ্ছে করছে।
লুপার আম্মু অবাক হয়ে বললেন”ওমা সুইসাইড করতে ইচ্ছে করছে কেন?
_এই যে এমন খাবার আমার বাপের জন্মে খাইনাই। আজ খেলাম সেই খুশির টেলায় আরকি।” লুপার আম্মু খুশিতে গদগদ হয়ে সব ডিম গুলা তার প্লেটে তুলে দিলেন। নীল এবার কেঁদেই দিবে এমন একটা অবস্থা। দিহানের আম্মু এসে নীলের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন “লজ্জার কিছু নেই বাবা তোমার ভালো লেগেছে খাও”। নীল বললো ” না আন্টি আসলে আমার পেট ভরে গেছে।” দিহানের বড় মা এসে বললেন “ওই ছেলে চুপচাপ খাও। মাত্রই তো খেতে বসলা এখন পেট ভরলো কেমনে?” নীল বললো “আসলে ডক্টর আমাকে ডিম খেতে নিষেধ করেছে।” লুপা বললো “নীল ভাইয়া একদিন খেলে কিচ্ছু হবে না খেয়ে নিন।” লুপার মা মুখ মলিন করে বললেন “ও বুঝেছি মজা হয়নি তাইনা?” নীল এবার মহা বিপদে পড়লো। একটু পরোটা ছিড়ে মুখে নিলো। সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে তাই একটু ডিম ভাজাও নিলো। নীল গিলতে পারছে না বার বার কাঁদো কাঁদো ফেইস বানিয়ে শাওনের দিকে তাকাচ্ছে। নীলের এমন কান্ডে দিহান বুঝে গেলো ব্যাপারটা কি।তাই সে লুপার আম্মুকে বললো” ছোট আম্মু তুমি এতো কষ্ট করে বানালা তুমি খাবানা?” পুরো একটা ডিম ভাজা হাতে নিয়ে বললো “এই নাও হা কর।” বলেই উনার মুখে ডিম ভাজা ঢুকিয়ে দিলো। উনি মুখে নিয়েই মারবেলের মতো চোখ বানিয়ে মূর্তির মতো বসে থাকলেন। রুহান বললো “আম্মু সব পার্ফেক্ট তো?” উনি মুখ চেপে উঠে দৌড় মারলেন। দিহানের মা ও তার বড় মা কিছুই বুঝলেন না। লুপা হাসতে হাসতে বললো “এখন আব্বু থাকলে আম্মুকে ইচ্ছামত পঁচাতো।আমি তো আম্মু বানিয়েছে শুনেই আর খাইনি। একমাত্র বড় আম্মু ছাড়া কেউ ভালো ভাবে ডিম ভাজতে পারেনা।

নাস্তা করে তিনজন বাইরে বেরিয়ে গেলো। আর বিকালে আসলো বাসায়। ততক্ষণে পুরো বাসা ভরে গেছে মেহমানে। তিন বন্ধু মিলে বসলো বাগানে। দিহান চোখ বন্ধ করে দুলনায় বসে আছে। শাওন একটা বল নিয়ে পিলারে মারছে আবার বেক করছে তো আবার মারছে। আর নীল গান গাইছে। দিহান একবার বিরক্ত হয়ে বলল “তোর গানের থেকে কুত্তার ঘেউ ঘেউ শুনতে ভালো লাগে।” নীল এসব কথা কানে নিলনা সে তার মত গান করেই যাচ্ছে।

চুমকি চলেছে একা পথে …..দিহান তর বউ আসছে।
গানের মাঝকানে নীলের এমন কথায় দিহান ধড়ফড়িয়ে উঠে কই কই বলে চারিদিকে তাকায়। যেন সে আসামি আর তাকে তাড়া করতে পুলিশ এসেছে। গেটের দিকে তাকিয়ে দেখলো তন্দ্রা হেলেদুলে হেটে আসছে। পিংক কালারের একটা গাউন পড়ছে এটা কাল দিহান নিজেই কিনে দিছে। তাদের বাসার সব মেয়েরা পিংক গাউন কিনেছে তাই সেও তন্দ্রাকে দিলো। ৮০কেজি মেকাপ মুখে। তন্দ্রাকে দেখে দিহান একটা সস্থির নিশ্বাস নেয়। নীলের দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে বললো।”
_এটা কি নীল? সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করার মানে কি?
_আমি তো সব সময় এভাবে বলি আজ নতুন নাকি?
_আগে বলতি এখন আর বলবি না নিষেধ করে দিলাম।
তন্দ্রা এসে দাঁড়ালো তাদের সামনে। ন্যাকামি করে বললো “” বেবি তুমি ওকে বকছো কেন?
_না ভাবি বকছে না। আর বকলেও তোমার এমন কথা শুনে কলিজা ঠান্ডা হয়ে গেছে।
নীলের কথায় তন্দ্রা হেসে বললো ” নীল ভাইয়া তুমিও না অনেক দুষ্টু।
_হ্যাঁ ভাবি আর তুমি একদম আমার কিটক্যাট ভাতিজির মতো ও না একদম তোমার মতো করে নাকে নাকে কথা বলে।
_নাকে নাকে কথা কেমনে বলে?
_এই যে বড়রা যখন বাচ্চাদের মতো কথা বলতে চায় তখন যেভাবে কথার স্বর হয়ে যায় আরকি।
_মানে?””” দিহান নীলকে আর কিছু বলতে না দিয়ে বললো ওই যা তো তোরা। নীল শাওন চলে গেলো। তন্দ্রা দিহানের গলা জড়িয়ে ধরলো। দিহান নিজেকে ছাড়িয়ে বললো ”
_তন্দ্রা সব সময় ঘেঁষে লেপ্টে থাকতে চাও কেন এগুলা আমার পছন্দ না।
_হুহ্। নিরামিষ। মাঝে মাঝে আমার কি মনে হয় জানো? আমার প্রতি তোমার কোনো ফিলিংস ই নাই। ফিলিংস থাকলে এভাবে আমার ছোঁয়াতে বিরক্ত হতানা।
_চুপ কর। অলওয়েজ ঝগড়া করনা। ফিলিংস না থাকলে কি বিয়ে করতে চাইতাম?
_ ওকে বাদ দাও। এখন আস আমার সাথে আমার একটা কাজ আছে।
_কি কাজ? আর কই যাবো?
_বাবু আমি তো হোস্টেলে থাকি জানই তো। আমি বাসায় যেতে পারিনি। দেখ গায়ে কোনো অলংকার নেই। এভাবে ফকিন্নি বেশে অনুষ্ঠানে থাকব কেমনে? সবাই কি বলবে?
_গলায় এতো বড় একটা হার, হাতে এতো গুলা চুড়ি, কানে ইয়া মোটা ঝুমকা তারপরও বলছো কোনো অলংকার নেই?
_এগুলা তো নরমাল সব সময় পরি বাবু। পার্টিতেও এগুলা পরবো? তুমি কিপ্টামি করছো?
_ওকে আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি তুমি কিনে নিয়ে আস।
_তুমি যাবা না?
_দেখ বাসায় অনেক কাজ আছে বাবাও বাসায়। এখন কোথাও যেতে পারবো না। আমি টাকা বিকাশ করছি তুমি চলে যাও। “তন্দ্রা চলে গেলো। দিহান যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো। পিছন ঘুরতেই দেখলো দিশা আর ইশি কমরে হাত বেঁধে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে। দিহান পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে দুজন পথ আটকে ফেলে।

_কি পিলারের মতো দুইটা সামনে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
_কাল বলেছিলাম আমায় শপিংয়ের জন্য কিছু টাকা দে। কি বলছিলি? হাতে টাকা নাই। আজ বলতে না বলতেই টাকা বেরিয়ে গেলো? (দিশা)
_টাকা আমাদের দেবে কেমনে রে? ওর তো একটা সংসার আছে বউ চালাতে হয়। আমাদের টাকা দিলে ওটারে চালাবে কেমনে? (ইশি)
_ওই তুই বউ বললি কেন? তন্দ্রা কি বউয়ের মতো স্বাংগাতিক মেয়ে?
_দেখেছিস দিশা আমি বলেছিলাম না এই মেয়েটা আমাদের দিলদারকে পাগল বানিয়ে দেবে? শুন কিসব বলছে। অলরেডি ও পাগল হয়ে গেছে।
“দিহান একবার একটা মেয়েকে পঠাতে চেয়ে ছিলো মেয়েটা দিহানের নাম ভুলে যেতো তাই দিহান না বলে দিলদার বলে ডাকতো। সেই থেকে ইশি দিশা তাকে দিলদার বলে ক্ষেপায়। দিহান দিলদার শুনেই তেজি গলায় বললো”
_ওই কংকাল,কুকুরের হাড্ডি আমারে আরেকবার দিলদার বলে ডাকবি তাহলে তর নাক কেটে কানে ঝুলিয়ে দিবো।
_ইশি চুপ কর তুই আমার কুত্তার মতো পেচা গন্ডার ভাইটাকে মোটেও দিলদার বলবি না। একবার তাকিয়ে দেখ ওরে একদম পাশের বাসার আন্টির বিড়ালের মতো লাগছে। আর তুই কিনা দিলদার বলছিস” দিহান দিশা ও ইশির দিকে তেড়ে আসলো। ওরা দুজন দু দিকে দৌড় দিলো। দিহান রুহানকে ডাক দিয়ে বললো “রুহান দিশাকে ধর” রুহান দিলো দিশার পিছনে দৌড়। দিহান দিলো ইশির পিছনে দৌড়। ইশি দৌড়ে আসলো তার মায়ের কাছে। উনি জিজ্ঞেস করলেন “কিরে কি হইছে দৌড়াস কেন?” ইশি শুধু দিলদার বললো বাকিটা বলতে পারলো না দিহান দৌড়ে কাছে চলে আইছে দেখে দৌড় মারলো। দিহান বললো “বড়মা ওরে ধর।” ইশি ততক্ষণে দূর চলে গেছে দিহানও পিছু নিল। দিহানের বড় মা ইশিকে উদ্দেশ্য করে চিল্লিয়ে বললেন “ওই দিলদার কি বললি বুঝিনি।” কথাটা এমন শুনালো যেন দিহান কি বলছে তিনি বুঝেন নি। দিহান দৌড় তামিয়ে তার বড়মার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে গজগজ করতে লাগলো। তিনি আবারও বোকার মতো প্রশ্ন করে বসলেন “কিরে দিলদার কি হইছে বুঝিনি?” রাগে গিজগিজ কর‍তে করতে দিহান উপরে চলে গেলো। একবার ইশিকে হাতে পেয়ে যাক ওকে বুঝাবে মজা।

সন্ধ্যার দিকে সবাই রেডি হতে লাগলো। তখনই কলিং বেল বেজে উঠল। কেউ নিজের কাজ, গল্প, সাজগোছ ছেড়ে উঠল না। দুবার কলিং বাজতেই দিহান গিয়ে দরজা খুলল। দরজা খুলেই দেখল অরিন দাঁড়িয়ে আছে। দুজন দুজনকে দেখে একসাথে আহহহহহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠল।
চলবে….।

দিহানদের এসব ঝগড়া আপনার কাছে যদি ন্যাকামি মনে হয় তাহলে দয়া করে ইগনোর করবেন। আমরা সব কাজিনরা মিলে অলওয়েজ এমন ঝগড়া করি তাই এগুলা আমার কাছে নরমাল বিষয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here