শব্দহীন_অনুভূতি #পর্ব_২২

0
614

#শব্দহীন_অনুভূতি
#পলি_আনান
#পর্ব_২২

সময়ের সাথে সাথে এনায়েত বাড়িতে থাকাটা হৃদিতার জন্য বড্ড কঠিন হয়ে গেছে।কেটে গেছে আরো এক সাপ্তাহ।ডিভোর্সের কাগজ পত্র একদম তৈরি এখন শুধু সই করা বাকি।গত দুইদিন থেকে নোমান বার বার আরাফকে ফোর্স করছে সই’টা করার জন্য।কিন্তু আরাফের একটাই কথা হৃদিতা যদি সই করে দেয় তবেই সে সই করবে।এদিকে হৃদিতা নাছোড়বান্দা কিছুতেই সে আরাফকে ছাড়বে না।হৃদিতার কারনে তার খালু ওয়ালীদকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে নোমান। সবটা দাতে দাত চেপে সহ্য করছে হৃদিতা।কিন্তু আজ সকালে যা হলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না সে।মিথ্যা খুনের মামলায় ওয়ালীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠায় নোমান।বিষয়টি জানতে পেরে হৃদিতা নোমানকে কথা দেয় খুব শীঘ্রই ডিভোর্সের কাগজে সই করবে।হৃদিতার স্বীকারোক্তিতে বেশ খুশি প্রভা এবং নোমান।বাড়ির ভরা মজলিশে সবার সামনে বাধ সাধে মাইশা।তার কথা তার আর নোমানের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত হৃদিতার ডিভোর্স হবে না।
মাইশার এমন কথা প্রভার পছন্দ না হলেও অবশেষে নোমান মাইশার কথায় সম্মোতি জানায়।

বিছানায় মাথা হেলান দিয়ে ফুফিঁয়ে কাদঁছে হৃদিতা। তার সামনেই চুপচাপ চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে আরাফ।
– এখানে এমন দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
হৃদিতার কথায় আরাফ চোখ খুললো। গাঢ় নিশ্বাস ছেড়ে হৃদিতার পাশে হাটু মুড়ে বসে তার কোলে মাথা রাখে,
– তোকে ছেড়ে আমি থাকতে পারবো না রে।
– না পারলেও থাকতে হবে নিয়তিতে যা আছে তাই হবে। আর তুই তো জানতি একটা সময়ে আমাদের আলাদা হতেই হবে তবে কিসের এত দুঃখ!
– তখন তো ভেবেছিলাম হয়তো বা মেনে নেবে বাড়ির সবাই। সাপোর্ট করবে আমাদের কিন্তু কেউ করলো না একমাত্র মাইশা ছাড়া।দেখিস মাইশা আমাদের আলাদা হতে দেবেনা।
– যদি আলাদা হয়ে যাই তবে কি হবে আরাফ?

হৃদিতার প্রশ্নে আরাফ কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকে।নিজেকে ধাতস্ত করে হৃদিতার চোখে চোখ রাখে,
– আমি আর এই বাড়িতে ফিরবো না রে। ভুলেও ফিরবো না৷তারপর দেখে নেবো নোমান এনায়েত কী করতে পারে!
– কিন্তু নোমান ভাই তো তোকে যে করেই হোক খুঁজে বের করবে।পালাতে পারবি না তুই।

-হৃদিতা একটু থাম আমাদের ডিভোর্স তো দূরের কথা আমরা এক দিনের জন্যে আলাদা হবো না। শুধু দেখতে থাক এই বাড়িতে কী কী হয়।আমার কাছে বর্তমান বাড়ির পরিবেশটা তেমন স্বাভাবিক লাগছে না।
– মানে?
– কিছুনা।
আরাফ হৃদিতার কপালে তার ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে হৃদিতা নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে থাকে তার যাওয়ার দিকে।
লেখনীতে পলি আনান।
রাত নয়টার কাছাকাছি। প্রভা বাড়িতে আরেকটা কান্ড জুড়ে দিয়েছে।সে হৃদিতাকে এই বাড়িতে কিছুতেই সহ্য করতে পারছেনা। সে চায় ডিভোর্সের আগে হৃদিতা ওই বাড়িতে থাকবে।প্রভার কথায় তাল মিলিয়ে নোমানে’রো একই সিধান্ত। পুরো বাড়ির সবাই এক জোট হয়ে প্রভার সিধান্তে সহমত জানালেও মাইশা হৃদিতার পক্ষ নিয়ে কথা বলে।আরাফকে জানানো ছাড়া হৃদিতা কিছুতেই বাড়ি থেকে যাবেনা। এদিকে আরাফকে বিরতিহীন ভাবে ফোন করেও পেলেনো হৃদিতা।

অবশেষে হৃদিতা বাড়ি থেকে একাই বেরিয়ে গেলো
ওয়ালীদের বাড়ির উদ্দেশ্য।

রাত এগারোটার পরেই বাড়ি ফিরে আরাফ।কিন্তু হৃদিতার সাথে ঘটে যাওয়া কথা গুলো শুনে আর এক মূহুর্তে ও বাড়িতে না থেকে বেরিয়ে যায়।

নিকষ কালো আধাঁরে ওয়ালীদের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরাফ।হৃদিতাকে বেশ কয়েকবার ফোন সহ টেক্স করেছে কিন্তু হৃদিতা কোন প্রত্যুত্ত করলো না।এতে ভীষণ রেগে যায় আরাফ।বিরক্ত হয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে দরজায় করাঘাত করা শুরু করে। কিছুক্ষন পরেই ওয়ালীদ এসে দরজা খুলে দেয়। তাদের দুজনের মাঝে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতা হয়।নোমানের কান্ড কীর্তিতে ওয়ালীদের কাছে ক্ষমা চায় আরাফ।
হৃদিতা আর আরাফের দেখা হলে দুজনের মাঝেই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। হৃদিতা আর ওই বাড়িতে যাবে না বলে সিধান্ত নেয়।হৃদিতা যেমন এক কাপড়ে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ঠিক আবার আরাফ তাকে জোর করে এক কাপড়েই ওই বাড়ি থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসে।

রাতের অন্ধকারে হাতে হাত রেখে হাটছে দুজনে।দুজনের মনেই জমে আছে রাশভারী রাগ।হৃদিতা আরাফের হাতের মুঠো থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর জন্য মোচড়ানো শুরু করলে আরাফ তৎক্ষনাৎ ধমকে উঠে,

– এই পিচ্চি, তুলে একটা আছাড় দেবে বলে দিলাম।এত রাগ কেন তোর?আর আমার পারমির্শন ছাড়া বাড়ি থেকে তুই কেন বের হলি?
– তোকে আমি কতবার ফোন করেছি তুই জানিস?আমার জন্য বার বার খালুজান অপমানিত হচ্ছে আর আমি কি না ওই বাড়িতে মিথ্যা ভালোবাসার দোহায় দিয়ে বসে থাকবো!

– মিথ্যা ভালোবাসা মানে?আমার ভালোবাসা তোর কাছে মিথ্যা।
– তা নয় তো কি?তুই আমাকে বিপদের মুখে রেখে এসে দিব্যি আড্ডা মাস্তি করছিস আর আমি কি না ওই বাড়ি থেকে ছিহহহ!আর এইসব কথা তুলতে ভালো লাগছেনা।

– আমি আড্ডা মাস্তি করতে যাই নি।আমার কাজ ছিল তাই গেছিলাম। যাই হোক বাইকে কি উঠবি?নাকি এখনো ঘাড় ত্যারামো করবি।
হৃদিতা ভেঙচি দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।আরাফ তার হাত ছেড়ে অনুনয় সুরে বলে,

– না বিয়ের আগে আমার বাইকে উঠেছিস, না বিয়ের পর।কি একটা করুন অবস্থায় আছি আমি তুই কি জানিস।
– তোর বাইকে উঠতে আমার রুচিতে লাগে। এই বাইকে কত মেয়ের সাথে যে ঘুরেছিস তার কোন ইয়ত্তা নেই।
– তোর গালটা বাড়িয়ে দে।আমার হাত অনেকক্ষণ যাবৎ নিশপিশ করছে।তোর গালে একটা চড় দিয়ে হাতের অস্থিরতা কমাই একটু।
– মানে কি আরাফ?
– ডাফার মেয়ে, এটা বিয়ের পর কিনেছি। আগের টা বিক্রি করে দিয়েছি।
– ওহ আচ্ছা। যাই হোক।
-এবার কি আমার বাইকে উঠে আমায় ধন্য করবেন মহারানী!

হৃদিতা মুচকি হেসে আরাফের বাইকে উঠে যায়। আরাফ ঘাড় ঘুরিয়ে হৃদিতার দিকে তাকিয়ে বিশ্ব জয়ের হাসি দেয়।
– ধন্য ধন্য ধন্য,আমার বাইক ধন্য সাথে আমিও ধন্য! মহারানী আমার বাইকে উঠেছেন আমি আজ সত্যি ধন্য।
– এত কথা না বাড়িয়ে এবার চল।

আরাফ ঠোঁট কামড়ে হেসে দ্রুত বাইক স্টাট দেয়।

রাত গভীর প্রায়।বাড়ির সবাই ঘুতে তলিয়ে গেছে।নিয়াজ তার রুমে নেশায় মগ্ন।হঠাৎ করেই তার রুমে প্রবেশ করে মাইশা।তাকে দেখে নিয়াজের ভূত দেখার মতো অবস্থা প্রায়।

– আরে সুন্দরি এত রাতে আমার রুমে?
– কেন তোমার রুমে আসাটা কি আমার জন্য অপরাধ নাকি?
– কি যে বলো?তোমার পদধূলি আমার রুমে প্রবেশ করেছে তুমি বুঝতে পারছো আমি কতটা ধন্য?
– হুম তা বুঝতে পারছি।তা কি গেলা হচ্ছে আজ?
– প্রতিদিন যা গেলা হয়।সেয়ার করবে নাকি এক প্যাগ?
– ওকে দাও।

মাইশা নিয়াজের হাত থেকে গ্লাসটা হাতে তুলে নেয়।রুমের এদিক সেদিক ভালো করে পরখ করতে থাকে।এদিকে নিয়াজ তার দিকে তাকিয়ে লালসার দৃষ্টিতে।
– নিয়াজ তোমার রুমে প্রভা আসবে কখন?আই মিন প্রতিদিন রাতে ড্রিংস করতে সে কখন আসে?
– আনুমানিক একটায়। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলেই আসে।
নিয়াজের কথায় মাইশা প্রত্যুওর করলো না। সে ঘুরে ঘুরে সেন্টার টেবিলের উপর থাকা প্রত্যকটি মদের বোতল পরখ করতে ব্যস্ত।নিয়াজের দিকে তাকিয়ে মেকি হাসি দিয়ে বলে,

– তোমার ফেবারিট ড্রিংসটা একবার ট্রাই করতে চাই।
মাইশার কথা শুনে নিয়াজ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। মাইশার দিকে তাকিয়ে একটা প্যাগ তুলে দেয়।মাইশা সাদরে তা গ্রহন করে বারান্দার দিকে হাটা দিলো।পাশের বারান্দায় তাকিয়ে বুঝতে পারলো আরাফ এখনো বাড়ি ফিরে নি।দ্রুত একটা কাগজ ছিড়ে ভেতরে থাকা কিছু পাউডার সেই গ্লাসে দিয়ে দিলো।নিয়াজকে আসতে দেখে আবার স্বাভাবিক হয়ে তার দিকে ঘুরে দাড়ালো।

– প্রভা আসার সময় হয়ে গেছে আমি এখন আসি বেবি।এই নাও গ্লাস, এখানে কিন্তু আমার চুমুক আছে চাইলে ট্রাই করতে পারো।
– অবশ্যই বেবি তোমার ছোঁয়ায় বিষ ও গ্রহন করতে পারি।

মাইশা সন্তর্পণে হেসে চলে যায়।মনে মনে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে,
– একটা আগাছা ঝেরে ফেলেছি।মেয়েদের দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকানো।হৃদিতার সাথে বাজে ব্যবহার করায় তোর শাস্তি দিয়ে দিয়েছি ওপারে ভালো থাকিস।

মাইশা নিজের রুমে ঢুকতেই নিয়াজের রুমে প্রবেশ করে প্রভা।তা দেখে পৈচাশিক আনন্দ সৃষ্টি হয় মাইশার মনে।

পিচ ঢালা রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট গুলোকে সাক্ষি রেখে এগিয়ে যাচ্ছে একজোড়া যুগল দম্পত্তি।অতীতের দুঃখ,ভবিষ্যতের ভাবনা ভুলে তারা যেন এই মূহুর্তেটা নিয়ে বাচঁতে চায়।থাকতে চায় দুজনের হাতে হাত রেখে বছরের পর বছর।

– কোথায় যাবি হৃদিতা?এই মূহুর্তে বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে না।
– যেখানে নিয়ে যাবি ঠিক সেখানেই যাবো।
– চল আরো একবার পিছিয়ে যাই সময়ের কাছে।সেই কফিশপে যেখান থেকে শব্দহীন অনুভূতি গুলোর ভালোবাসা আদান-প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয়।
– কিন্তু এত রাতে কফিশপ খোলা থাকবে তো?
– না থাকলেও খুলে নেবো।

আরাফ আর হৃদিতা পৌছে যায় কফিশপে।অতীতের অনুভূতি গুলো।আরো একবার সতেজ হয়ে উঠেছে মনে প্রাণে।আরাফ হৃদিতার হাত ধরে কফি শপের ভেতরটায় প্রবেশ করে।দুজনে একসাথে বসে যায় সেই স্থানে যেখানে দুজনে একসাথে আড্ডায় মেতে ছিল।

– তফাতখানি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছিস হৃদিতা?
– কিসের তফাত?
– তখন তুই ছিলি আমার না বলা ভালোবাসা, সেদিন ছিলাম একে অপরের চোখের বালি,সময়টা থাকতো পড়ন্ত বিকেল।আর এখন তুই আমার স্ত্রী,তোকে চোখে হারানো আমার জন্য দায়।আর এখন মধ্যে রাত!
– এখনো কি নিজের ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছিস নাকি?
হৃদিতার গম্ভীর কন্ঠের কথায় খিলখিল করে হাসে আরাফ।হৃদিতার হাত টেনে উঠিয়ে কফি শপের কিচেনের সামনে নিয়ে যায়।সেখানে আগে থেকেই আরাফের নির্দেশে ধৌয়া ওঠা দুই কাপ গরম চা রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে একটা কাপ চা আরাফ হৃদিতার হাতে তুলে দেয়,

– তুমি আমার গরম ধৌয়া ওঠা চায়ের আড্ডার সঙ্গী হবে?আমার পড়ন্ত বিকালের আড্ডায়, মধ্যে রাতের তন্দ্রাহীন প্রহরের সঙ্গী হবে?আমরা না হয় হাতে হাত রেখে চুপটি করে সূর্য অস্তের দৃশ্য দেখবো।নিকষ কালো রাতের আধারে আকাশের বুকে জ্বলজ্বল করে থাকা তারা গুলো গুনবো।নির্ভেজাল একটি শহরে বাস করবো।যেখানে আমাদের পিছুটান থাকবে না।প্রতিটি সকালে তোর রিনঝিন চুড়ির শব্দে আমার ঘুম ভাঙবে।একটি কাপ চায়ে দুজনে চুমুক দিয়ে আমাদের সপ্নময় দিন শুরু করবো। কিরে হবি তো আমার সঙ্গী?

হৃদিতা নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে আছে আরাফের দিকে।সে কি রেগে গেছে নাকি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে তা ধরতে পারলো না আরাফ।আরাফ ভ্রু কুচকে হৃদিতার দিকে তাকালে হৃদিতা গমগম সুরে বলে,
– এত নাটক করে কথা বলতে পারিস আর “ভালোবাসি” এই শব্দটা বলতে পারিস না?
– না পারি না। আমি পাগল প্রেমিক নই যে ভালোবাসি ভালোবাসি বিলাপ দেবো।আমার প্রপোজাল পছন্দ না হলে মুড়ি খা।আমার আর কিচ্ছু করার নেই।

হৃদিতা গাল ফুলিয়ে চলে যেতে নিলেই আরাফ পেছন থেকে হাত টেনে ধরে,
– কই যাচ্ছিস তুই?খালি তেজ দেখানো, মেয়ে মানুষ কিছু পারিস আর না পারিস তেজ দেখাতে ভালোই পারিস।
– সামর্থ্য থাকলে তোকে একটা চড় দিতাম। কিন্তু পারছি না বলে।আফসোস হচ্ছে।
– সাহস দেখি দিন দিন তোর বেড়েই যাচ্ছে। আচ্ছা যা এটা দ্বিতীয় প্রপোজ। এবার পছন্দ না হলে আমার কিচ্ছু করার নেই।
আরাফ হৃদিতাকে একটানে তার সাথে মিশিয়ে নেয়।হৃদিতার পীঠ আরাফের বুকে গিয়ে ঠেকে।আরাফ হৃদিতার কানে সামনে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

– আমি তোমায় আমার ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে রাখবো;আর আমি তোমার প্রতিটি ভালোবাসার স্পর্শে বেঁচে রইবো!
ভালোবাসি তো বুঝিস না কেন?

হৃদিতা কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকে।হুট করেই উলটো ঘুরে আরাফকে জড়িয়ে ফুফিঁয়ে কেঁদে উঠে।
– আজব কাদঁছিস কেন?
– আমাদের মনে হয় সত্যি সমাপ্তি ঘটবে রে। প্রভা তোকে না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না।
– বোকা মেয়ে কাদিঁস না। দেখবি যা হবে ভালোর জন্যই হবে।আমার উওর কই?
– জানি না।তোর শব্দহীন অনুভূতি গুলো অনুভব কর পেয়ে যাবি।
#চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here