#পুনরারম্ভ। পর্ব-৪
লেখক- ইতি চৌধুরী
সারারাত ঠিক মতো ঘুম হয়নি সেহেরের। কীভাবে এই বিয়ের হাত থেকে বাঁচা যায় তা ভেবেই রাত পার করে ভোর করেছে। কিন্তু এত ভাবনা ভেবেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কোনো উপায় খুঁজে পায়নি। রাস্তা একটাই বাবাকে মাহিরের কথা বলে দেয়া কিন্তু তা অসম্ভব। বরং মাহিরের কথা জানতে পারলে যে হিতে বিপরীত হতে সময় লাগবে না তা সেহেরের ভালো করেই জানা। তার বাবা ভীষণ স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড একজন মানুষ। তিনি আগেই বলে দিয়েছেন লেখাপড়া করতে গিয়ে প্রেম টেমের চক্করে পরা যাবে না। প্রেমের জন্য নাকি সম্পূর্ণ জীবন পরে আছে কিন্তু কথা হচ্ছে যেটা যে সময়ের জন্য উপযুক্ত। প্রেমের বয়সই তো এইটা। ছেলেমেয়েরা এই বয়সে প্রেম করবে না তো কবে করবে? দুই চারটা নাতি নাতনী হয়ে যাওয়ার পর!
সারারাত নির্ঘুম থাকায় এখন ঘুমে ডুলতে ডুলতে ইউনিভার্সিটির রাস্তা মাপতে হচ্ছে সেহেরকে। যদিও আজ ক্লাস করার একদম ইচ্ছা ছিল না কিন্তু ক্লাসে না গিয়েও উপায় নেই। মাহিরকে এখনো বলা হয়নি তাদের প্রেমের জীবনে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখা দিয়েছে। চেষ্টা করেও ফোনে মাহিরকে সে কিছুই বলতে পারেনি। গলা দিয়ে কথাই বের হয়নি। একবার এসএমএস এর মাধ্যমে বলতে নিয়েও থেমে গিয়ে চিন্তা করেছে সরাসরি বলাটাই হয়তো সবচাইতে ভালো হবে।
রিকশা ইউনিভার্সিটির সামনে এসে থামতেই দুম করে দৌড়ে আসে মাহির। এখনো সেহের রিকশা থেকে নামেনি। রিকশায় উঠে বসে হরহর করে মাহির বলতে লাগে,
‘কী ব্যাপার আজ এত দেরি করলা কেন? পুরা সাত মিনিট লেইট তুমি। জানো এক একটা মিনিটের কত মূল্য? কতবার ফোন দিলাম ধরো নাই কেন?’
কিঞ্চিৎ চেঁচিয়ে ওঠে সেহের,
‘আস্তে মাহির। একসাথে মানুষ এত প্রশ্ন করে কেউ? কোনটা রেখে কোনটার জবাব দিব আমি?’
‘সব কয়টাই দিবা। আমি তো তোমাকে বেছে জবাব দিতে বলি নাই। যা যা জিজ্ঞেস করছি সব উত্তর দিবা।’
‘উফ! ফোন ব্যাগে খেয়াল করি নাই তাই রিসিভ করতে পারি নাই।’
‘তারপর?’
‘তারপর আবার কী?’
‘আচ্ছা বুঝছি। এই মামা তুমি চলো তো।’ রিকশা ওয়ালাকে এগিয়ে যেতে বলে মাহির। তা শুনে চমকে সেহের জিজ্ঞেস করে,
‘কই যাব? ক্লাস করব না?’
‘না, আজ আমরা ক্লাস করব না।’
‘কেন? যাব কই এইসময়?’
‘বেড়িবাঁধ যাব সেজন্য আজ আমরা ক্লাস করব না। আজ আমাদের ছুটি।’
‘কিন্তু কেন যাচ্ছি সেটা বলবা তো?’
‘চুপ এত প্রশ্ন করো কেন তুমি? আমাকে ভরসা করো না? আমি কি তোমাকে নিয়ে মেরে ফেলব না তোমাকে আটকে রেখে তোমার বাবার কাছে ফিরতি চাইব?’
‘আজব আমি এই কথা বলছি নাকি? কই যাচ্ছি এটা জিজ্ঞেস করতে পারব না?’
‘না, পারবা না। কারণ এটা তোমার জন্য সারপ্রাইজ।’
‘এত ঢং না করে এটা বললেই পারতা। সব কিছুতে তোমার বাড়াবাড়ি না করলে হয় না তাই না?’
‘না, হয় না ম্যাডাম। ভালোবাসি আমি একটু আধটু ঢং না করলে কি চলে বলো?’
‘যত্তসব…’
আর কথা বাড়ায় না সেহের। মন মরা হয়ে সামনের পথের দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে থাকে। আচমকাই মাহির নিজের ব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে সেহেরের দিকে তাক করে বলে,
‘নাও তোমার টাকা টা।’
‘গতকালই না নিলা? আজকেই ফেরত দিয়ে দিচ্ছো যে?’
‘ভাইয়া পাঠিয়েছে সেজন্য তোমারটা ফেরত দিয়ে দিচ্ছি।’
‘রেখে দাও তোমার কাছে।’
টাকাটা জোরপূর্বক সেহেরের হাতে গুজে দিয়ে মাহির বলে,
‘তোমার কাছেই রাখো আমার যদি প্রয়োজন হয় আমি চেয়ে নিব।’
‘আরে…’
‘হুস, নো মোর টক।’
আর কেউ কোনো কথা বাড়ায় না।
মাহির সেহেরকে নিয়ে বেড়িবাঁধে একটা এতিমখানায় এসেছে। এই এতিমখানায় ওরা প্রায়ই আসে, মাসে অন্তত একবার হলেও আসে। আজ হঠাৎ এখানে আসার কারণ কি তাও এভাবে বলা নেই কওয়া নেই। কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে সেহের জিজ্ঞেস করে,
‘আমরা আজ এখানে কেনো?’
‘ভেতরে চলো।’
ছোট্ট একটা এতিমখানা। এখানে পঁচিশজন এতিম বাচ্চা থাকে। বাচ্চাদের থাকা, খাওয়া, লেখাপড়া সব বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে হয়। অল্প বয়সের বাচ্চা সব ক’টাই। সেহের তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে এখানে এসেছিল প্রথমবার। সেই থেকেই প্রায় এখানে আসে। সেহের যখন প্রথম এখানে এসেছিল তখন সে সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তখন থেকেই এই এতিমখানার বাচ্চাদের সাথে একটা মনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মাহিরের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর তাকে নিয়ে এসেছিল। তারপর থেকেই দু’জনে প্রায়ই এখানে আসে কিছুটা সময় বাচ্চাদের সাথে কাটাতে। এখানে এসে দু’জনেই মনের শান্তি খুঁজে পায় নিষ্পাপ বাচ্চাগুলোর সঙ্গে সময় কাটিয়ে।
‘চলো চলো তাড়াতাড়ি ভেতরে চলো। এখানে দাঁড়ায় থাকলে চলবে?’
মাহিরের তাগাদায় ভেতরে প্রবেশ করে সেহের। মোটামোটি আকারের হল ঘরটায় ডুকতেই থ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বেলুন দিয়ে সাজিয়ে একাকার অবস্থা। তাৎক্ষণিক চিন্তা করে সেহের আজ কি তার জন্মদিন? কিন্তু না আজ তো তার জন্মদিন নয়। তার জন্মদিন তো আগামী কাল। তাহলে আজ এসব কেনো! মাহির এগিয়ে এসে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে খানিক ঝুঁকে কানের কাছাকাছি এসে ফিসফিসে বলে,
‘প্রি হ্যাপি বার্থডে জান।’
‘প্রি হ্যাপি বার্থডে! অবাক হয় সেহের।
‘কি করার বলো কাল আমাদের ক্লাস নেই। আর ক্লাস না থাকলে কাল যে তুমি বাসা থেকে বের হতে পারবে না তা তো আমি জানি। আর আমি তোমার বার্থডে সেলিব্রেট করব না তা কি হয়? সেজন্যই প্রি বার্থডে সেলিব্রেশন। কেমন লাগলো?’
অতি খুশিতে মানুষ কথা বলতে পারে না। এই মুহূর্তে সেহেরও পারছে না। মাহির এমন কিছু করবে তা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি সে। কখন এত কিছু পরিকল্পনা করল মাহির? তাকে একদম বুঝতে দেয়নি। কেক, খাবার দাবার, বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা সব আয়োজন করেছে মাহির। সেহের দেখেই বুঝতে পারছে বেশ ভালো রকমের একটা এমাউন্ট খরচ করেছে মাহির তার জন্য। তার দিনটাকে বিশেষ করে তোলার জন্য।
বাচ্চাদের সাথে মাহিরটাও যেন বাচ্চা হয়ে গেছে পুরোদমে। ছেলেটা হাতে পায়েই বড়ো হয়েছে। বাচ্চাদের সাথে একদম বাচ্চা হয়ে যায়। সারাটাদিন সেহেরকে মাতিয়ে রেখেছে। সারাদিনের হৈ-হুল্লোড়ে সব ভুলেই গিয়েছিল সেহের। মাহিরকে তার আর কিছুই বলা হয়নি বিয়ে সংক্রান্ত।
সারাদিন এতিমখানায় বাচ্চাদের সাথে কাটিয়ে বাসায় ফিরতেই আবার বিয়ের প্রসঙ্গটা মনে পরে যায় সেহেরের। বাসার গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজেই বলে, ‘এই যা আসল কথাই তো বলায় হয়নি।’ কিন্তু এখন আর লাভ নেই। মাহির অনেক আগেই চলে গেছে। তবে আর দেরি করাও ঠিক হবে না। তাই চিন্তা করে ফ্রেশ হয়েই মাহিরকে ফোন করে সব জানাবে। আরেকটা দিন অপেক্ষা করা অসম্ভব। শাওয়ার নিতে ঝর্ণার নিচে দাঁড়াতেই আজ যেন সেহেরের মাথার বুদ্ধির পিটারা খুলে যায়। কথায় আছে অতিরিক্ত চিন্তায় মানুষের চিন্তা ভাবনা লোপ পায়। আজ মনটা ভালো বলেই হয়তো মাথার ঝট খুলে গেছে। সে নিজে বাবাকে মাহিরের কথা না বলতে পারলেও পাত্রের সঙ্গে দেখা করে তাকে তো বলতেই পারবে। পাত্রকে সব বুঝিয়ে বললে সে নিশ্চয়ই বিয়ের জন্য আপত্তি করবে। যে মেয়ের চার বছরের প্রেম চলছে সেই মেয়েকে নিশ্চয়ই সে বিয়ে করতে চাইবে না।
‘এত চমৎকার একটা বুদ্ধি এতক্ষণ আসে লাই কেন আমার মাথায়।’ নিজের সাথে বলে সেহের।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে ড্রইং রুমে এসেই সেহের একবার দেখে নেয় বাবা কোথায় আছে। খুব কৌশলে পাত্রের নম্বর চাইতে হবে যেন কেউ সন্দেহ না করে। বাবাকে কোথাও না দেখে মায়ের পাশে বসতে বসতে সেহের জিজ্ঞেস করে,
‘আব্বু কই আম্মু?’
‘একটু বাইরে গেছে।’
‘ওহ! আচ্ছা।’
‘কিছু বলতে চাস?’
‘না মানে বলছিলাম কি…’
‘কি বলছিলি বল শুনি।’
‘ঐ যে আমাকে যে গতকাল দেখতে আসলো পাত্রটা কি যেন নাম?’
‘অতুল।’
‘হ্যাঁ অতুল, ডাক্তার অতুল। উনার ফোন নম্বরটা দিবা?’
সেহেরের কথা শুনে টেলিভিশন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে এনে মেয়ের দিকে সন্দেহ ভরা চাহনিতে তাকিয়ে কামরুন্নাহার বলেন,
‘নম্বর দিয়ে তোর কী কাজ?’
‘বারে যার সাথে বিয়ে ঠিক হচ্ছে তার নম্বর চাইতে পারি না আমি?’
‘না, পারিস না। তোকে নম্বর দেয়ার হলে তোর বাবাই দিবে আর তোর যদি একান্তই বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে নিজে বাবার কাছে চেয়ে নে। আমার কাছে বসে ঘ্যানঘ্যান করে লাভ নেই। টেলিভিশন দেখছি একদম কানের কাছে বসে প্যানপ্যানাবি না বলে দিলাম। বসতে হলে চুপচাপ বসে টেলিভিশন দেখ নয়তো বিদায় হো।’
আর রা করে না সেহের। মায়ের উপর বড্ড দুঃখ, অভিমান হয়। কেমন মা মেয়ের জন্য কোনো দয়া মায়া নাই। মনে মনে বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের ঘরে ফিরে আসে। কাজের কাজ কিছু হলো না। ভাবলো কি আর হলো কি! সেহের ভেবেছিল খুব সহজেই সে পাত্রের ফোন নম্বর পেয়ে যাবে কিন্তু এখন বুঝতে পারছে পথে অনেক কাটা বিদ্যমান। বাবার কাছে নম্বর চাওয়া অসম্ভব। নম্বর চাইতে গেলেই একশত একটা প্রশ্ন করে জেরা করা হবে তাকে। শেষকালে না ধরা পরে যায়, অসম্ভব! কি করা যায় ভাবতে ভাবতে নিজেই নিজের চুল টানতে লাগে সেহের। সোনিয়া যে ঘরে প্রবেশ করেছে তা সে খেয়ালই করেনি। খেয়াল করবেই বা কীভাবে? দিনদুনিয়ার খেয়াল থাকলে তো বর্তমানের কিছু খেয়াল করবে। এখন তো বেচারীর মাথায় কেবল একটাই চিন্তা। এই বিয়ে নামক গলার দড়ির হাত থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়?
‘তোমার মতলবটা কি আপু?’
আচমকা সোনিয়ার কন্ঠ শুনে আঁতকে ওঠে সেহের। ইদানিং কেউ ঘরে আসলেও ভয় পেয়ে যায় বেচারী। ভাবে বাবা এসেছে। এখনও বাবা মনে করেই চমকে উঠেছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বুকে থুতু ছিটিয়ে নিয়ে বলে,
‘আমার কিসের মতলব?’
‘ডাক্তার পাত্রের নম্বর খুঁজছ যে।’
‘খুঁজছি কই? আম্মুর কাছে চাইলাম।’
‘ঐ একই কথা। নম্বর দিয়ে কি করবা তুমি?’
‘আজব তো! যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে সেই মানুষটার নম্বর আমি চাইতে পারি না নাকি?’
‘চাইতে পারো কি পারো না সেটা তো আসল কথা নয়। তবে তুমি যে নম্বরটা এমনি এমনি চাইছ না সেটা কিন্তু আমি ঠিকই বুঝতে পারছি আপু।’
‘তুই অহেতুকই আমাকে সন্দেহ করছিস সোনি।’
‘একদম সোনি বলবা না আমাকে। আমার নাম সোনিয়া। যাক সেসব কথা। তোমাকে অহেতুক সন্দেহ করছি না হেতুক সন্দেহ করছে সেটা তো সময়ই বলে দিবে।’
‘তোর কাছে আছে নম্বর?’ মুখটা কিঞ্চিৎ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সেহেরের।
‘না, আমার কাছে নেই।’
সেহেরের উজ্জ্বল হওয়া মুখটা আবার সঙ্গে সঙ্গেই দপ করে নিভে যায়।
‘তবে…’
‘তবে কী?’
‘একটা আইডিয়া দিতে পারি যা অবলম্বন করে তুমি তার নম্বর না পেলেও মানুষটাকে ঠিকই পেয়ে যাবে।’
‘কীভাবে?’
‘মতিঝিল সিটি হাসপাতালে কর্মরত আছেন তোমার হবু বর, ডাক্তার সাহেব। হাসপাতালে ফোন করলেই হয়তো তাকে পেয়ে যাবে বা চাইলে সেখানে গিয়েও তার সাথে দেখা করতে পারবা।’
‘আয়, বোন আমার বুকে আয়। তোকে আমি একটা চুম্মা দেই।’
‘নো থ্যাংক্স। ইউ কেন থ্যাঙ্ক মি লেইটার।’
আর অপেক্ষা করে না সোনিয়া, নগদে বেরিয়ে যায়। এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে বোন তার ঠিকই ঠেসে ধরে চুম দিয়ে বসতে পারে। তাই আগে ভাগে কেটে পরে।
মনে মনে ছোট বোনকে হাজারটা থ্যাঙ্কিউ জানায় সেহের। ফোন হাতে বসে পরে গুগলে সিটি হাসপাতালের নম্বর বের করতে। কিন্তু যেই নম্বর বের করে কল দিতে যাবে ওমনি খেয়াল হয় এভাবে হাসপাতালে ফোন করে ডাক্তারের পার্সোনাল নম্বর চাওয়াটা হয়তো ঠিক দেখাবে না। এর চাইতে সরাসরি চলে গেলেই হয়তো বেশি ভালো হবে। আপাতত এই পরিকল্পনাই করে রাখে সেহের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কাল তার কেনো ক্লাস নেই। তাই পরশু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাকে। পরশু সেহের ক্লাসের জন্য বের হবে সকাল ১০ টায়। বেরিয়েই সোজা চলে যাবে সিটি হাসপাতাল। গিয়ে সরাসরি দেখা করে সামনাসামনি যা বলার বলবে। মনে মনে এসব পরিকল্পনা করে একটা মোটামোটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। আর একটা দিন, পরশু হয়তো তার ঘাড়ে চাপা বিয়ে নামক এই সমস্যার একটা সমাধান করে ফেলতে পারবে। ভাবতে ভাবতে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ফোন বেজে ওঠে সেহেরের। মাহিরের নম্বর দেখে মনে পরে সে এখনো তাকে কিছুই জানায়নি। আজ জানাবে ভেবেছিল যদিও কিন্তু এই মুহূর্তে আবার ভাবে যেহেতু পরশু সে যাচ্ছেই সমস্যার সমাধান করতে তাই আর এখন মাহিরকে কিছু বলে বেচারাকে ভয় দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আর মাত্র একটা দিন সব চেপে যাবে কেবল। পরশু সমাধান হয়ে গেলেই সব বিস্তারিত জানাবে সে মাহিরকে।
চলবে…