#মনের_অন্দরমহলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১১
(বিশেষ দ্রষ্টব্য পড়ে নেবেন সকলে।)
সামনে ফিরতে চেয়েও পারলাম না সেই কোমড়ে থাকা ঠান্ডা স্পর্শের কারণে। আস্তে আস্তে তীক্ষ্ণ হয়ে চলেছে সেই স্পর্শ। জোরে চেপে ধরছে আমার কোমড়। কিছুক্ষণ নিরব থেকে সহ্য করার পর যখন আর পারা গেল না আমি মৃদু সুরে বলে উঠলাম…..
–“আমার লাগছে! ছাড়ুন।”
–“ওহ রিয়েলি? লাগছে তোমার? এসব পুলিশ ডাকার সময় মনে ছিল না? নিজের স্বামীকে অপমান করার সময় মনে ছিল না?”
ক্রোধ নিয়ে কথাটা বললেন আয়াশ। সঙ্গে সঙ্গে অন্য হাত দিয়ে আমার চুলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে টেনে ধরেন। আমি চোখমুখ খিঁচে মৃদু চিৎকার দিতেই এক ঝটকায় আমায় নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন উনি। আমাকে নিজের সঙ্গে চেপে ধরলেন। আমার কানের পিঠে চুল সযত্নে গুঁজে দিয়ে বললেন…..
–“ঠকিয়ে কি শান্তি পাও তোমরা মেয়েরা বলো তো?”
–“আমি আপনাকে ঠকায়নি। বরণ আপনি আমায় ঠকিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন।”
কন্ঠে ঝাঁঝ মিশিয়ে বললাম আমি। আয়াশ আমার হাত শক্ত করে ধরে বললেন…..
–“যদি তাই হয় বেশ করেছি। দরকার পড়লে হাজার বার তোমায় জোর করেই বিয়ে করব। অবশ্য তার আর কোনো দরকার হবে না। কারণ তুমি দুই বছর পর স্বেচ্ছায় বিয়ে করবে।”
–“আমি? আমি তো আজকেও স্বেচ্ছায় বিয়ে করিনি। তাহলে কি করে আশা করলেন দুই বছর পর আপনাকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করব? যদিও সময়টা দুই বছর নয়। একবছরই ধরা যায়। কারণ সামনে আমার ১৭ বছর পূর্ণ হবে।”
–“গ্রেট! হাতে থাকল মোটামুটি এক বছর তাই তো? দ্যাটস ইনাফ ফর মি নিশাপাখি। সময় এমন একটা জিনিস যা সবকিছু পাল্টে দেয়। সবকিছু মানে সবকিছু! এমনকি মনও পাল্টে দেয়।”
আমার দুই কাঁধে হাত রেখে আরো কাছে টেনে কনফিডেন্সের সঙ্গে বললেন আয়াশ। আমি সরে যাওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হলো না। অস্বস্তি বাড়ছে আমার। হৃদপিণ্ড তড়িৎ গতিতে লাফাচ্ছে। বার-বার যেন আমার নাম ধরে বলছে….
–“ওহ হো আনিশা! এমন মানুষের সামনে যাস তুই যাতে আমি কন্ট্রোলেই থাকতে পারি না।”
আমি হালকা কেশে বললাম…..
–“আর যদি মন না পাল্টায়? সে যদি আপনাকে কখনোই না চায়?”
আমার এই কথাটাতে আয়াশ ধমক দেওয়ার আগে যেন মনটাই ধমক দিয়ে উঠল।
–“আনিশা? তোর মাথায় কি বুদ্ধি-সুদ্ধি কিছু হবে না? অলরেডি যার খপ্পরে পড়ে গেছিস আবার বড় মুখ করে বলছিস মন যদি না চায়? আমার দোষ একেবারেই দিবি না। আমি ভদ্র!”
মনের কথা পাত্তা না দিয়ে আয়াশের কথায় মনোনিবেশ করলাম।
–“যদি না চায় মানে? চাইতেই হবে নয়ত…..”
কথাগুলো বেশ চিল্লিয়ে বললেন আয়াশ। পুরোপুরি কথা শেষ না করেই দমে গেলেন উনি। দুটো বড় বড় শ্বাস নিয়ে বললেন…..
–“আই মিন যদি তবুও তুমি আমাকে না চাও তবে তুমি যা চাও তাই হবে।”
–“যদি মু….মুক্তি চাই এ…এই সম্পর্ক থেকে?”
কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলাম আমি। তৃষ্ণার্ত চেহারায় আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করলাম আয়াশের উত্তরের। আয়াশ বেশ কিছুক্ষণ পরে থমথমে গলায় জবাব দিলেন…..
–“মুক্তি পাবে তুমি।”
হঠাৎ করে আয়াশের কথায় খুশি হতে চেয়েও যেন পারলাম না। মিথ্যে মিথ্যে খুশি হওয়া যায় নাকি? তাই ঠোঁটে ঠোঁট চেপে দাঁড়িয়ে থাকলাম। উনি সমানে আমার গালে স্লাইড করে চলেছেন। হঠাৎ করে বাম গালের কালো তিলটাতে চুমু খেয়ে বসেন উনি। আমি বিষম খাই তৎক্ষনাৎ। চোখ রসগোল্লার ন্যায় হয়ে যায়। আবারও একই কাজ করেন উনি। আমার চোখমুখ আঁচড়ে পরে উনার গরম তপ্ত নিঃশ্বাস! যেটা আমার মনের সাজানো গোছানো পরিবেশ লন্ডভন্ড করার জন্য যথেষ্ট। আচমকা তৃতীয় বারের মতো একই জায়গায় চুমু খেলেন উনি। বাম হাত দিয়ে আমার কোমড় চেপে ধরে আছেন উনি। নাহ, এই লোক কি চুমুর প্রতিযোগিতা লাগিয়ে যাচ্ছেন নাকি? বিষয়টা থামাতে হবে! আর পারা যাচ্ছে না। এই ভেবে আয়াশকে সরাতে কোমড়ে থাকা হাতটা ধরে সরাতেই কুকিয়ে মৃদু আওয়াজ দিয়ে একটু সরে গেলেন।
আমি সঙ্গে সঙ্গে হতবিহ্বল হয়ে পড়লাম। মনে হলো উনি ব্যাথা পেয়েছেন। ভ্রু কুঁচকে বললাম…..
–“কি হলো?”
–“তেমন কিছু না। জাস্ট ওইতো ছুরি দিয়ে হালকা কেটে গিয়েছিল সেখানে তোমার হাত পড়ে গেছে।”
কোমল সুরে উত্তর দিলেন উনি। আমি ফিচেল গলায় বললাম…..
–“আপনি সেখানে ব্যান্ডেজ করেননি এখনো?”
–“না।”
–“কেন? একে তো জায়গাটা বেশ সেনসেটিভ। ওখানে মেইন শিরা আছে তার ওপর বেশ খানিকটা কেটেও ফেলেছিলেন আবার ব্যান্ডেজও করেননি। এটা কি যৌক্তিক আমায় বলুন তো।”
–“আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ব্যান্ডেজ করে দেবে। তাই এখনো সেই ভাবেই রেখে দিয়েছি। তোমার ছোঁয়া অনেক স্নিগ্ধ! যেমন মরুভূমিতে কোনো পানি উৎস পেলে প্রাণ আসে যেমনই নিশাপাখির ছোঁয়া লাগলে আমার হৃদয়ে প্রাণসঞ্চার হয়। তাছাড়া একহাতে ব্যান্ডেজ কি করে করব?”
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে রইলাম। এবার সত্যিই এই লোকটা আমায় পাগল করে ছাড়বেন। একদিকে দয়া আরেকদিকে ভালোবাসা। উনি আমার জন্য কোনটা অনুভূত করেন সেটাই বুঝতে পারছি না। ঢোক গিলে বললাম…..
–“আমি হেল্প করছি ঘরে আসুন। আপনাকেও হেল্প করতে হবে আমায়। আমি একা একা তো ব্যান্ডেজ করতে পারব না।”
আমার হাত ধরে ঘরে নিয়ে এলেন উনি। আমায় বসিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এসে নিজেও আমার পাশ ঘেঁষে বসে পড়লেন। আমি সময় নিয়ে বক্স খুলে বললাম…..
–“মেডিসিন আর তুলো আমায় দিন।”
আমার হাতে দুটোই ধরিয়ে দিলেন আয়াশ। আমি সাবধানে তুলোতে মেডিসিন ভরিয়ে সেটা আয়াশের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম….
–“নিন এটা লাগিয়ে নিন।”
–“তুমি লাগিয়ে দাও।”
ছোট বাচ্চার মতো বায়না করে বললেন উনি। আমি অবাক হয়ে কিছু বলার আগেই আমার হাত উনি উনার কাটা স্থানের সামনে এনে রাখলেন।
–“লাগিয়ে দাও।”
আমার হাসি পেয়ে গেল হঠাৎ। এতো মিষ্টি করে কথা বললে হাসি না পেয়ে থাকা যায়? কিন্তু এতো মিষ্টি সুর থাকতেও কেন যে এতোটা গর্জে গর্জে কথা বলতে হয় কে জানে? না পেরে ফিক করে হেসেই দিলাম আমি। কিন্তু দৃঢ় ভাবে বুঝতে পারলাম আয়াশ আমার দিকে তাকিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই হাসি থামাতেই উনি বলে ওঠেন…..
–“হাসলে তোমার মাধুকরী মাধুর্য কয়েকগুন বেড়ে যায়। স্পেশালি তোমার ডান গালে পড়া টোল অধিকতর সৌন্দর্য দেখিয়ে দেয়।”
আয়াশের অদ্ভুত প্রশংসায় কিছু বলার ভাষা পেলাম না আমি। উনার হাত ধরে কাটা স্থানে আলতো করে মেডিসিন ভরানো তুলো চেপে ধরলাম। আয়াশ ব্যাথায় কাতর হয়ে মৃদুস্বরে চিৎকার দিলেন। হয়তবা উনার কাটা জায়গায় জ্বলছে। আমি নিজের হাত সরিয়ে নিলাম। একটু পর আবার সেখানে আলতো করে চেপে ধরতেই আচমকা আমার হাত সজোরে চেপে ধরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন আয়াশ। রাগে ফুঁসে উঠে দাঁড়ালেন উনি।
–“তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে ব্যাথা দেওয়ার? আমাকে ব্যাথা দিচ্ছো তুমি? হাউ ডেয়ার ইউ?”
এই মূহুর্তে আমার রিয়েকশনটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত সেটাই বুঝতে পারছি না। সোজা হয়ে বসে আছি। তবুও উনাকে বলার চেষ্টা করলাম।
–“আপনি ভুল বুঝছেন। এটা দিলে তো একটু জ্বালা ক…..”
–“জাস্ট শাট ইউর মাউথ। কথা বলবে না। তুমি আয়াশ রায়হানকে ইন্টেশনালি যন্ত্রণা দিচ্ছো। তোমাকে আমি ছাড়ব না। কে বলেছে ওই মেডিসিন লাগিয়ে দিতে? বলো, কে বলেছে?”
খুব জোরে আওয়াজ হলো। মনে হচ্ছে ফার্স্ট এইড বক্স ফেলে দিলেন উনি। আমি কানে হাত দিয়ে বসে রইলাম। আমার কানে হাত দিয়ে থাকায় আরো রেগে গেলেন উনি। আমার হাত জোর করে সরিয়ে দিয়ে দ্বিগুন চিৎকার দিয়ে বললেন…..
–“আমার কথা শুনতে চাও না কেন? কথা শুনবে। আমি কথা বলব আর তুমি কানে হাত দিয়ে থাকবে তা তো হবে না।”
–“আপনি চুপ করুন। আপনিই তো আমাকে বলেছিলেন মেডিসিন লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করায় হেল্প করতে। এখন কেন রেগে যাচ্ছেন?”
–“আমি কখন রাগব না রাগব সেটা তুমি ডিসাইট করবে নাকি? আমি যখন ইচ্ছে রাগব। তোমার কি তাতে?”
উনার চিৎকারে বেরিয়ে যেতে চেয়েও পারছি না। হাতে দুটো খুব জোরে চেপে ধরে রেখেছেন উনি। চোখে পানি টলটল করছে আমার। কাঁদো কাঁদো সুরে কাতর হয়ে বললাম…..
–“আমার হাতে লাগছে! প্লিজ ছাড়ুন। আর এমন কেন করছেন আমার সাথে? আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার?”
আমার কথায় হয়ত একটু হলেও শান্ত হলেন আয়াশ। হাতটা আলগা করে দিলেন উনি। হঠাৎ বলে উঠলেন…..
–“আমিও তো খুব কষ্ট পাচ্ছি নিশাপাখি! মাথা যন্ত্রণা করছে। মাথা কাজ করছে না। কি করব এখন?”
আমি বিস্ময় কাটাতে পারছি না। কি বলব তাও বুঝে উঠতে পারছি না। কিছু বলার আগেই উনি বললেন…..
–“এমন কিছু নেই যেটা দিয়ে মাথা কেটে ফেলা যাবে? থাকলে দাও তো!”
–“এসব কি বলছেন আপনি?”
চরম বিস্ময় নিয়ে বলে উঠলাম আমি। তবে আয়াশের জবাব পেলাম না। উনার কন্ঠস্বর পেলাম না। আমি উঠে দাঁড়িয়ে আশেপাশে হাতিয়ে উনাকে ডাকলাম।
–“আয়াশ? আয়াশ?”
কোনো সাড়াশব্দ নেই। উনার ব্যবহারে আমিই একপ্রকার পাগল হয়ে যাচ্ছি। কি এমন করলাম যে উনি এমন করলেন সেটাই খুঁজে পাচ্ছি না। সাবধানে পায়ের ধাপ ফেলে বাইরে বেরিয়ে এলাম আমি। করিডোরে আসতেই ফুলকি ধরে ফেলল আমায়। অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করল…..
–“ম্যাম কোথায় যাচ্ছেন?”
–“আয়াশ?”
–“স্যারের কথা জিজ্ঞেস করবেন না। আমি আর বড় মালিক চেঁচামেচি পেয়ে এখানে এসেছি। তারপর আয়াশ স্যারকে দেখলাম দৌড়ে নিজের ঘরে ঢুকতে। তাই বড় মালিক স্যারের ঘরের দরজা আঁটকে দিলেন।”
–“কি? এটা কেমন কথা? ভেতরে উনার যদি কিছু হয়ে যায় তখন? এখন উনাকে দেখে মনে হলো উনার মাথার ঠিক নেই।”
ফুলকি ভয় নিয়ে বলল…..
–“সেকারণেই তো দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বড় মালিক। ক্ষ্যাপা ষাঁড় দেখেছেন কখনো? এখন আয়াশ স্যার আর ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। যাকে পাবেন তাকে আঘাত করবে।”
আমি কিছু বলেও লাভ হলো না। কিন্তু মনে অস্থিরতা বাড়তেই থাকল। এক অজানা ভীতি মনে গড়ে উঠল। নিজের স্বামীর অদ্ভুত আচরণ আমার সন্দেহজনক লাগলো। মনে হলো, কোথাও কিছু গরমিল আছে! তবে আমায় আর আয়াশের ঘরে যেতে দিল না ফুলকি। নিজের ঘরে দিয়ে গেল। আর মানা করে গেল এখন যেন আয়াশের ঘরে যাওয়ার কথাও না ভাবি।
ঘরে পায়চারি করতে করতে ঘুম পেয়ে গেল আমার। ইতিমধ্যে দুইবার আয়াশের রুমে গিয়েও ফিরে এসেছি। শেষবারের মতো আয়াশের রুমের সামনে গেলাম। দুরু দুরু মন নিয়ে দরজার ছিটকানি খুলেই স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকলাম। পরিবেশটা একেবারেই শান্ত। ঘরের ভেতরে এলাম। আয়াশের সাড়াশব্দ না পেয়ে ভয়টা বেড়ে গেল আমার। আবার সেদিনের মতো কিছু করে বসেন নি তো নিজের? কম্পন ধরানো সুরে বললাম…..
–“আয়াশ?”
তবুও সাড়াশব্দ নেই। বেডের কাছে এসেই আয়াশের পায়ের সাথে আঘাত লেগে বেডেই পড়ে গেলাম আমি। পাশে অনুভব করলাম আয়াশের উপস্থিতি। হাফ ছেড়ে উঠে বসে উনাকে ঝাঁকিয়ে বললাম….
–“আয়াশ?”
এবার আমাকে দুইহাত দিয়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলেন উনি। চমকে উঠলাম আয়াশের কর্মেকান্ডে। ঘুম জড়ানো গলায় বললেন…..
–“একটু ঘুমাতে দাও তো! কাল ঘুমাতে পারিনি। প্লিজ!!”
মনটা যেন একটু হলেও শান্ত হলো। আয়াশ তারমানে ঘুমোচ্ছেন। এতো কিছুর পরেও এতো স্বস্তিকে কোনো লোক ঘুমাতে পারে? আমার ওপর বিনাদোষে অতিমাত্রায় রাগ ঝাড়ার কারণে প্রচন্ড রাগ জেগে উঠল ভেতরে ভেতরে। নাক ফুলিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ালাম। আন্দাজমতো জোরে জোরে পা ফেলে আসতেই পায়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কিছু একটা পড়ে গেল। তৎক্ষনাৎ বসে পড়লাম সেটা তুলতে। হাত ছোঁয়াতেই বুঝলাম ময়লা ফেলার ঝুড়ি পড়ে গেছে। দ্রুত ময়লা তুলতেই সুচ ফুটলো হাতে। হাত সরিয়ে নিলাম সঙ্গে সঙ্গে। এখানে আবার সুচ এলো কোথা থেকে? সাবধানে আবারও সেখানে হাত দিতেই বুঝলাম এটা ইনজেকশন। একে একে তিনটে ইনজেকশনের সিরিজ হাতে এলো। বুঝেই উঠতে পারলাম না এগুলো কি কাজে লাগে? আয়াশ কীসের ইনজেকশন নেন তাও একা একা? নিজেই ইনজেকশন কি করে পুশ করেন?
চলবে…….
[বি.দ্র. গতকাল আমার একটা ভুল হয়েছিল তাড়াহুড়োতে। সেটা হলো বিয়ের বিষয়টা। ১৮ বছরের আগে ধর্মীয়ভাবে বিয়ে করা যায়। রেজিষ্ট্রেশন ১৮ বছর হলে তবেই করা যায়। যাকে বলে আইনত বিয়ে। ১৮ বছরের আগে কাবিননামাতে সাক্ষর করা যায় না। তাই ধর্মীয় মতে বিয়ে করা জায়েজ ১৮ বছরের আগে। আইনত নয়। আমি তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে উল্টোটা লিখে দিয়েছি। পরে ইডিটও করে দিয়েছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]