Childhood Love, পর্ব:১০

0
1236

গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #10 (The end)
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Afran)

দ্বীর্ঘ তিন ঘন্টা পার হয়ে যায় অপারেশন শেষ হয় না! ওরনি টেনশনে একাকার! হঠাৎ আই সি ইউ ভিতর থেকে ডাক্তার আফরান আহম্মেদ বের হয়ে আসলো! ওরনি সেটা দেখে দৌড়ে ডাক্তারকে জরিয়ে দরে বলতে লাগলো!

ওরনিঃ আমি জানি তুমি পারবা আমাদের মেয়েকে বাঁচাতে, আমার বিশ্বাস ছিলো তোমার উপর! (জরিয়ে দরে)

ডাঃ আফরান আহম্মেদঃ এই যে মিস ছারুন বলছি! আপনি এমন কেনো হ্যা, দেখা মাএই জরিয়ে দরেন, আর আপনার মেয়ে এখন শুস্থ! ১২ ঘন্টা পর দেখা করতে পারেন!

ওরনিঃ তুমি এইগুলা কি বলছো, দেখো আমার উপর রাগ করে থেকো না! (হাত দরে)

ডাঃ আফরান আহম্মেদঃ এই আপনার সমস্যা কি, হাত কেনো দরছেন, দেখুন আপনি আমার থেকে যথেষ্ট অনেক বড় হবেন, সো ভদ্রতা বঝায় রেখে ব্যবহার করুন!

ওরনিঃ তুমি কি সত্যি আমার সৌরভ নাকি, আফরান রুপে সৌরভ!

আফরানঃ দেখুন আর একবার আজেবাজে বকবেন না, আর এই সৌরভ বা কে, সে যাই হোক না কেনো আমার সাথে আপনি এমটা করতে পারেন না! আর পেশেন্টের পাশে যান! (কথাটা বলেই চলে গেলো)

ওরনি ডাঃ আফরানের চলে যাওয়ার দিকে তাকাচ্ছে! তারপর ওরনি সৌরভির পাশে চলে যায়! দেখে যে সৌরভির এখনো ঙ্গেন ফিরেনি! ওরনির না চাইতেও চোখ দিয়ে দুইফোটা পানি পরে যায়! ওরনি গিয়ে সৌরভির কপালে মায়ার পরশ একে দেয়! হঠাৎ ওরনির একটা কথা মনে পরে যায়, যে, সৌরভের কপালে আর গলায় তিল’ আছে আর এই ডাঃ আফরান আহম্মেদ এর তো গলায় আর কপালে তিল’ আছে! তারমানে এই আফরান আমার সৌরভ, কিন্তু ও কেনো না করছে, না ওর খোজ খবর নিতে হয় তো! ওরনি সেখান থেকে সোজা ডাঃদের ক্রেবিনে চলে যায়! সেখানে গিয়ে দেখে যে আফরান নেই!

ওরনিঃ আচ্ছা সৌরভ কোথায়, না মানে ডাঃ আফরান আহম্মেদ কোথায়?

নার্সঃ ওনি তো ফ্রেশ হচ্ছে!

ওরনি সেখান থেকে সোজা ফ্রেশ রুমে চলে যায়! গিয়ে দেখে যে আফরান ওয়াশরুমে ফ্রেশ হচ্ছে, আর আফরানের যাবতীয় জিনিস পএ একটা ট্রেরি তে রাখা! ওরনি কি মনে করে যেনো ডাঃ আফরান এর ফোন হাতে নিয়ে, ফোন অন করে তো ওরনি অবাক না হয়ে পারলো না কারন ফোনের ওয়ালপেপার ওরনির আর সৌরভির পিক! ওরনির আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা আফরান রুপে সৌরভ! কিন্তু সৌরভ আমার সাথে এমন করছে কেনো! যে ভাবেই হোক না কেনো ওর রাগ অভিমান ভাঙ্গতে হবে! ওরনি না চাইতেও তার মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো! হঠাৎ ওয়াশরুম থেকে সৌরভ বের হয়ে আসে আর বলে!

আফরানঃ একি আপনি এখানে কি করছেন?

ওরনি পিছনে তাকিয়ে দেখে যে, সৌরভ দারিয়ে আছে! ওরনি আর একটুও সময় নষ্ট না করে, দৌড়ে সৌরভ কে জরিয়ে দরে! ওরনি যে দৌড়ে সৌরভকে জরিয়ে দরছে সেই জুক না সামলাতে পেরে দুইজেই মেজোতে পরে যায়! ওরনি সৌরভকে উরাধুরা কিস করছে?! এইদিকে যে সৌরভ মাটিতে পরে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে সেটার কোনো হুস নেই, সৌরভ ব্যথায় টিকতে না পেরে উউউউ শব্দ করে উঠে! সাথে সাথে ওরনির পাগলামি শেষ হয়! ওরনি বুঝতে পারে সৌরভের উপর থেকে উঠে দারায়, আর বলে>

ওরনিঃ সরি সরি, আমি বুঝতে পারিনি, দেখি কোথায় লেগেছে!

আফরানঃ হয়েছে আর দয়া দেখাতে হবে না, আর আপনার চরিএ এমন কেনো, কি সব বাজে কাজ করছিলেন হ্যা! আর আপনি কে?

ওরনিঃ কেনো তুমি আমার সৌরভ?

আফরানঃ দেখুন আপনাকে আমি চিনি না, আর আমি সৌরভ না!

ওরনিঃ তুমি যখন সৌরভ না, আমাকে যখন চিনোই না, তাহলে আমার আর তোমার মেয়ে পিক তোমার ফোনের ওয়ালপেপারে কেনো!

আফরানঃ ওইটা আমার ফোন না, অন্য কারো হবে হয়তো!

ওরনি সৌরভের সামনে হাটু গেরে, সৌরভের দুই পা দরে কান্না করছে আর বলছে!

[ গল্পের আগের বা পরের পাট গুলা পড়তে চাইলে আমার টাইমলাইনে চলে যান -> Sourav Ahmed (Afran) । #Childhood_Love ]

ওরনিঃ প্লিজ সৌরভ আমাকে মাফ করে দেও! আমি তোমাকে বুঝতে পারিনি!

ওরনি এমন কান্না দেখে সৌরভ বলে> তোমার এইসব অভিনয় বন্দ করো!- তুমি আজ খুব অবাক তাই না!

ওরনিঃ মানে?

সৌরভঃ মানেটা হলো যে, একজন মৃত্য লোক এখনো বেঁচে আছে কিভাবে?

ওরনি সৌরভের কথা শুনে, ওর মুখের মধ্যে তাকিয়ে আছে!

সৌরভঃ তাহলে শুনো, তুমি একজন সাইন্স এর স্টুডেন্ট হয়ে, এটাও জানো না যে কোথায় চাকু ঢুকিয়ে দিলে মারা যাবে! কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে তোমার চাকু টা আমার কিডনির সাইট দিয়ে গেছে! তারফলে তেমন ক্ষতি না হলেও অঙ্গেন হয়ে যাই! পরে আমার আর কিছু মনে নেই! হঠাৎ আমি শুয়ে থাকা অবস্থায় কে জানি আমার উপরে মাটি দিতেছে! মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না, কোনো রকম একটু হাত টা উঠাই পরে> ওই লোকগুলা আমার এমন আচরন দেখে ঘাবড়ে যায়! তারপর তাদের উপর আল্লাহর হয়তো রহমত পরছে যে কারনে আজ আমি বেঁচে আছি। (কথাটা শেষ না করতেই ওরনি বলা শুরু করে দিলো)

ওরনিঃ সৌরভ তুমি যা বলবা আমি তাই করবো। তখন আমি না বুঝে অনেক অন্যাই করছি তোমার সাথে। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেও।(কথাটা বলার পর, ওরনির চোখের কয়েক ফোটা পানি সৌরভের পায়ে পরলো, যার ফলে সৌরভ আচমকা সরে গেলো, সাথে সাথে তার বোকটা মোচর দিয়ে উঠলো, কারন একজনের প্রিয় মানুষের চোখের অশ্রু তার পায়ে পরলে তার রিহৃয়টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়)

আমি সেখানে আর ঠিক থাকতে না পেরে সেখান থেকে চলে যাচ্ছি। ঠিক, তখনই ওরনি আউউউ করে শব্দ করে উঠে। আমি পিছে তাকিয়ে দেখি। ওরনি তার হাতের রগ’ কেঁটে ফেলছে। আমি অবাক হয়ে ওরনিইইইই বলে চিতকার দিয়ে সোজা ওরনিকে জরিয়ে দরে বলি।

আমিঃ এ তুমি কি করলা, এমনটা কেউ করে পাগলের মতো। (চোখের পানি পরতাছে, ওরনি কে যখন পাঁচকোল করে নিয়ে যেতে লাগবো ঠিক তখন, ওরনি বাধা দেয় আর বলে)

ওরনিঃ আমি কোথাও যাবো। (ছারিয়ে নিয়ে, অভিমান করে)

আমিঃ তুমি কি পাগল টাগল হয়ে গেছো নাকি হ্যা। তারাতারি তোমার চিকিৎসা করা লাগবে, নয়তো বিপদ হতে পারে।

ওরনিঃ আমার যা হবার হক। তার আগে তুমি আমাকে আপন করে বোকে টেনে নেও। (মায়াবি চাওনিতে)

আমি আর কি করবো। চোখের সামনে নিজের থেকে যাকে বেশি ভালোবাসে তার রক্ত ঝরছে আবার এমন মায়াবি চাওনিতে তাকিয়ে আছে। না চাইতেও ওরনিকে বোকে টেনে নিলাম।

অতএবঃ ৩ মাস পর।

তারা সবাই মানে, সৌরভি ওরনি সুস্থ হয়ে গেছে। সৌরভ আর তার মেয়ে ওরনিকে নিয়ে আজ বাসায় ফিরছে। সৌরভের ফ্রেমিলি যেন আকাঁশের চাঁদ টা হাতে পেয়ে গেছে। ওরা এমন খুশি হয়তো ঈদেও হয়না। যাইহোক ওদের হাঁসির মুহুত্ব ইনজয় করতে থাকুক। তারপর যখন ওরা রাত হয়। যে যার ডিনার করার পর, সবার মতো এক সাথে আড্ডা দিয়ে। সবাই ঘুমাতে চলে যায়।

আমি যখন সোফায় বসে ফোন টিপতাছি ঠিক তখন কে জানি আসলো। তাকিয়ে দেখি একটা নীল শাড়ি পড়া মেয়ে। মুখটা ঠিক বুঝা যাচ্ছে না, শাড়ি দিয়ে মুখ ঢাকা। আমি যখন বললা কে ওইখানে? ঠিক তখনই শাড়িটা মুখের উপর থেকে সরিয়ে নেয়। তখন আমি হা’ হয়ে তাকিয়ে আছি। ভাই বিশ্বাস করেন এমন সুন্দর মায়াবি চাওনি কখনো দেখি নাই। নীল শাড়ি, নীল চুড়ি, হালকা মেকআপ, ঠোঁটে গোলাপি লিবেষ্টিক, হায় মে তো মারযাওয়া। তার এমন অপরুপ দৃশ্যে আমি স্বপ্নে চলে যাচ্ছি। ওয়েট ওয়েট, এটা তো ওরনি। নাহ্, একটু মজা করা যাক, তারপর না হয়, দুজুনে একসাথে স্বপ্নে যাবো। তারপর আমি বলি।

আমিঃ এরেহ্ ভাই তুই কে রে?

ঠিক তখনিই ওরনি এসে আমার গলা টিপে দরে বলে।

ওরনিঃ আমি তোর ভাই না বলদ, আমি তোর কাগজে, কলমে পেপারে, মুখে, সরিয়াতের বউ।

আমিঃ ওয়েট মিস, তাহলে আপনাকে চিনা যাচ্ছে না কেন।?

কথাটা বলার সাথে সাথে ঠাসসসস করে চড় বসিয়ে দেয় আমার গালে। আমি তো হা’ তাকিয়ে আছি এটা কি হলো। আমি আর কথা না বলে চুপ্টি মেরে বসে থাকি। মাথা নিচু করে রাখি। এই থাপ্পড় আমাকে আগের অতিত এর কথা মনে করে দিচ্ছে। না চাইতোও চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি পরে গেলো। ওইদিকে ওরনি কি জানি বক বক করতাছে। আমি তার কোনো কথায় শুনতাছি না। হঠাৎ ওরনি আমার মুখ টা উচু করে তুলে। ওরনি দেখে যে আমার চোখে পানি। ওরনি সাথে সাথে আমাকে জরিয়ে দরে বলে। প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও, ভুল বসতে আমি তোমাকে চড় দিয়ে ফেলছি। আমার প্রচুর রাগ হয়, কারন তুমি আমাকে চিনতে পারো নাই। আমি তখন আমার মুখটা অন্যদিকে সরিয়ে নিলাম। তখন ওরনি অবাক করিয়ে দিয়ে আমাকে ইচ্ছে মতো কিস করা শুরু করা দিলো যে গালে চড় দিছিলো। আমিও আর রাগ করে থাকতে পারলাম না এমন একটা রোমান্টিক মুহুর্তে। শুরু হলো আমাদের জীবনের আরেকটি অধ্যায়।

-(হ্যাপি ইন্ডিং

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here