গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #9
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)
অতএবঃ এইভাবেই ওরনির একাত্বিকভাবো ৭ বছর পার হয়!
#৭বছর_পর
ওরনিঃ আম্মু আমি সৌরভিকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছি!
সৌরভের আম্মুঃ আচ্ছা যাও, দেখো শুনে যাবে!
ওরনিঃ ঠিক আছে আম্মু!
ওরনি বাসার থেকে বের হয়, বাসার সাথেই স্কুল! ২ মিনিট সময় লাগে সৌরভির স্কুলে চলে যায়! গিয়ে দেখে যে সবাইকে ছুটি দিয়ে দিছে! ওরনি তার মেয়ের কাছে যায়!
সৌরভিঃ তোমাল এতন আতার তময় হলো?(অভিমান করে)
ওরনিঃ আরে আমার আম্মুটার কি হয়েছে, তুমি রাগ করছো কেনো! তুমি তো জানোই কত কাজ থাকে আমার!
সৌরভিঃ আমাল টেকে তোমাল তাজ বল হয়ে গেলো? (রেগে গিয়ে)
ওরনিঃ একি তুমি রাগছো কেনো, আর হবে না আম্মু এখন থেকে ঠিক টাইমে চলে আসবো!
সৌরভিঃ তত্যি তো? (কিছুটা হেঁসে)
ওরনিঃ হ্যা, এখন আসো, দারোয়ান কাকু গেট লাগিয়ে দিবে!
সৌরভিঃ তিক আতে, তলো!
আর হ্যা এই যে পিচ্চি মেয়ে সৌরভি সেটা ওরনির মেয়ে! সে পুরাপুরি শুদ্ধ ভাবে কথা বলতে শিখিনি, কিছুটা না অনেকটাই তোতলা ভাবে কথা বলে! ওরনি তার শাশুরির মানে সৌরভের আম্মুর থেকে শুনছে যে সৌরভ ও ছোট বেলায় এমন তোতলা ভাবে কথা বলতো! যাই হোক ওরনি আর সৌরভি তারা দুইজানেই রাস্তার সাইট দিয়ে যাচ্ছে! হঠাৎ সৌরভি বলে যে?
সৌরভিঃ আম্তু আম্তু আতি হাতায় মিতাই তাবো! (হাত দিয়ে দেখিয়ে)
ওরনিঃ বায়রের খাবার তোমার না খাওয়া নিষেধ!
সৌরভিঃ তিতু হবে লা, এতটু তাবো! প্লিস! (মায়াবি দৃষ্টিতে)
ওরনি তো এখানে দুই দৃধায় পরে গেলো! সে কি করবে, কারন সৌরভি ওরনির কাছে যা আবদার করে তা সে কখনো ফিরায় না! তখন ওরনি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে> ঠিক আছে আমার লক্ষি আম্মুটা, তুমি এখানে থাকো আমি নিয়ে আসছি?
সৌরভিঃ লা আম্তু, আতি তোমাল তাতে যাবো!
ওরনিঃ ওই পারের মাজে এখানে অনেক গাড়ি, যদি কিছু হয়ে যায়, তার চেয়ে বরং তুমি এখানে এই কাকুর দোকানের এখানে থাকো ”এই যে কাকু ওরে একটু দেইখেন তো”
সৌরভঃ লা, আতি তোমাল তাতে যাবো!
ওরনিঃ সৌরভি (বিরক্তকর ভাব নিয়ে)
সৌরভি তখন চুপ হয়ে যায়! ওরনি দুই সাইটের গাড়ির দিকে তাকিয়ে ক্রশ করে ওইপারে যাচ্ছে! এইদিকে সৌরভি তার আম্মুর দিকে তাকিয়ে আছে! ওরনি হাওয়াই মিঠাই এর কাছে গিয়ে! হাওয়াই মিঠাই কিনে টাকা দেওয়ার সময় সাইট ব্যগ থেকে টাকা দিতে যাবে ঠিক তখন কেউ একজন সাইট ব্যগ টা ধাবা দিয়ে নিয়ে গেলো! লোকটা সাইট ব্যগ টা নিয়ে দৌড় দিলো, ওরনিও তার পিছনে দৌড়াতে থাকে চোর চোর বলে ডাকতে থাকে! হঠাৎ ওরনি পায়ে হোচট খেয়ে পরে যায়, ঠাসসস করে মেজো তে পরে যায়! ওরনি মাথায় হাত দিয়ে দেখে যে ওর মাথায় রক্ত! অন্যদিকে সৌরভি এটা দেখে আম্মু বলে চিৎকার দিয়ে দৌড় দেয়! মাজ পথে যাওয়ার সময় একটা বড় সর ট্রাক এসে ধাক্কা মারে, সৌরভির মুখ দিয়ে একটা কথায় বের হয় “আম্মু” অন্যদিকে ওরনি দেখে যে সৌরভি রাস্তার মাজে পরে আছে, তাও রক্ত মাখা অবস্থায়! ওরনি এটা দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে না পেরে ঙ্গেন হারিয়ে ফেলে!
[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন!
#Childhood_Love
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]
অন্যদিকে- সজিব দেখে যে রাস্তার মাজে অনেক ভির! সজিব কি মনে করে যেনো সেখানে যায়! গিয়ে দেখে যে ওরনি ঙ্গেন হারিয়ে পরে আছে! সজিব ওরনিকে কোনো রকম সেখান থেকে ভালো একটা অবস্থায় নিয়ে যায়! তখন সজিবের মাথায় একটা কথা আসে যে! এ সময় তো সৌরভিকে স্কুল থেকে আনতে যায়, তাহলে সৌরভি কোথায়? তখন দুইটা লোক বলাবলি করছিলো!
কেউ একজনঃ কিরে ওইখানে এত ভির কেনো?
২য় কেউ একজনঃ ছোট একটা মেয়ে রক্ত মাখা অবস্থায় পরে আছে, মনে হয় মেয়েটা স্কুল থেকে আসছে!
১ম জনঃ তাহলে হোসপিটালে নিয়ে যাস নি কেনো?
২য় জনঃ আরে এইসব জামেলায় কে জরাবে, হুদাই পুলিশ কেস! না যাওয়াটাই বেটার!
সজিব তাদের কথা শুনে, তার আর বুঝতে বাকি রইলো না সেটা যে সেটা সৌরভি! সজিব দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখে যে সৌরভি রক্ত মাখা অবস্থায় পরে আছে!
অতএবঃ সজিব ‘ওরনি আর সৌরভি’ কে হোসপিটালে নিয়ে যায়! এতসময়ে খবরটা তাদের রিলেটিভদের কাছে পৌছে যায়! সৌরভিকে আই সি ইউ তে নিয়ে গেলো! আর এই দিকে কিছু সময় পর ওরনির ঙ্গেন ফিরে আসে! ওরনির ঙ্গেন আসার পর, তখন এক দৌড়ে বায়রে এসে দেখে যে ওরনির রিলেটিভরা সবাই চলে আসছে! ওরনি ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে যে আই সি ইউ এর সামনে দারিয়ে আছে! তখন তার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে কিছু একটা হয়েছে! ওরনি দেখে যে সজিবের গায়ে রক্ত, ওরনি গুটি গুটি পায়ে সজিবের কাছে গিয়ে বলে যে!
ওরনিঃ আমার সৌরভি কোথায়?
সজিবঃ…..
ওরনিঃ সজিব আমার সৌরভি কোথায়?
সজিবঃ…..
ওরনিঃ কি হলো, কথা বলছিস না কেনো? ( কলার দরে)
সজিবঃ না মানে?
ওরনিঃ কি না মানে হ্যা, বল আমার সৌরভি কোথায়?
তখন আই সি ইউ ভিতর থেকে ডাক্তার বের হয়ে বলেঃ এখানে সৌরভির রিলেটিভ কে আছে?
তখন ওরনি, সজিব আর রিলেটিভরা এগিয়ে যায! ওরনি বলেঃ আমি সৌরভির আম্মু, সৌরভির কি হয়েছে! (কান্না করে)
ডাক্তারঃ দেখুন নিজেকে শক্ত করুন!
ওরনিঃ সৌরভির কি হয়েছে সেটা বলুন! (কান্না থামিয়ে)
ডাক্তারঃ পেশেন্টের অনেক বড় একটা আঘাত লাগার কারনে, তার ব্রেন্ডে চাপ পরে, এতে বাঁচা মুশকিল হয়ে গেছে! এখানে ভালো কোনো চিকিৎসা পাবেন না, পেশেন্ট কে সিংঙ্গাপুর নিয়ে যান, সেখানে উন্নত মানের চিকিৎসায় পেশেন্ট ভালো হবার চাঞ্জ বেশি!
ডাক্তারের কথা শুনে ওরনির মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে! ওরনি সাথে সাথে মেজোতে বসে পরে! ওরনির এমন ভেঙ্গে পরা দেখে সবাই অবাক! সৌরভির যে এমন কিছু একটা হবে কেউ ভাবতে পারিনি! তখন সজিব বলে?
সজিবঃ দেখুন ভাবি এই ভাবে ভেঙ্গে পরলে কি হবে, তাই বলছি কি, আর দেরি না করে সিংঙ্গাপুর চলে যাই! আমার বিশ্বাস যে সৌরভির কিছু হবে না!
সজিব আর নানান ভাবে বুঝিয়ে ওরনিকে ঠিক করে তুলে! তারপর সজিব আর ওরনি সৌরভি কে নিয়ে রওনা দেয় সিংঙ্গাপুর!
সৌরভঃ ওরনি কই তুমি, অফিসের আজ প্রচুর লেট হয়ে যাচ্ছে!
ওরনিঃ লেট হবে না কেনো, এত বেলা পর্যন্ত মেয়ের সাথে আড্ডা দিলে তো হবেই! আর এখন সে তাঁরা দেখাচ্ছে!
সৌরভিঃ এই আম্মু তুপি, আব্বু কে তেনো বকতাছো!
ওরনিঃ বকবো না তো কি করবো হ্যা!
সৌরভিঃ তেনো আমাল আব্বুকে তুপি আদর কলবা!
ওরনিঃ মানে? (ব্রু কুচকিয়ে)
সৌরভিঃ তুপি আমাল আব্বু কে আদর কলো না তেনো,,, তুপি চিনিয়র বউ হয়েছো ডেকে তি হয়েছে, তাই বলে আমাল আব্বুকে বকা দিতে পালবা না, আর আমাল আব্বু তে তপতময় আদর কলবা!
অন্য দিকে সৌরভ তাদের মা মেয়ের এমন কথাবার্তা শুনে হাসতে হাসতে গরাগরি গাচ্ছে!
ওরনিঃ এই বদমাশ মেয়ে একধম চুপপ, অনেক পেকে গেছো তাই না! আর হ্যা এই যে তুমি মেয়েটাকে তো ভালোই মাথায় তুলতাছো!
সৌরভঃ কেনো, মাথায় উঠাবো না তো কই উঠাবো, আমাদের তো একটাই মেয়ে তাই না!
ওরনিঃ তোমার আজ খবর আছে, আজ তোমার জন্য মেয়েটা মুখে মুখে তর্ক করে! (কথাটা বলে ওরনি সৌরভের কাছে যায়)
সৌরভ তো ভয়ে শেষ ওরনির এমন রাগি ফেস দেখে! ওরনি যখনি সৌরভকে ধরতে যাবে তখন সৌরভি বলে আম্মুউউউ…..!
কেউ একজনঃ এই যে ম্যাম আপনি একা একা কি সব আজে বাজে বকতাছেন! আর সিট ব্যাল টা বেঁধে নেন, প্লেন এখনি লেন্ড করবে!
ওরনি তো অবাক কারন এত সময় তাহলে সপ্ন দেখতাছিলো! ওরনির চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি পরে যায়! আর মনে মনে বলে! আজ আমার জন্য এই অভাগা পরিস্থিতি! আমার জন্য সৌরভ না বলার দেশে চলে গেছে আর আজ সৌরভি! ভালোই ছিলো সপ্ন, কেনো যে বাস্তবে ফিরলাম, আচ্ছা সৌরভির যদি কিছু হয়ে যায় তো আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো, এই সৌরভিই তো সৌরভের দেওয়া শেষ্ঠ সৃর্তি! না সৌরভির কিছু হলে আমি আর এই নিষ্টুর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো না!
অতএবঃ তারা সিংঙ্গাপুর বড় নাম করা উন্নত মানের হোসপিটালে আসে! সেখানে একটা বড় ডাক্তার কে দেখাবে! তাঁরা হোসপিটালে আসে! হোসপিটালে ভোট মিটিং করে কিভাবে সৌরভিকে বাঁচানো যায়! সেখানে সজিব আর ওরনিকে ডাকা হয়!
মিটিং রুমের ডাক্তারঃ দেখুন আপনার মেয়ের যা অবস্থা তাকে বাচাতে অনেকটাই মুশকিল!
অন্য আরেকজনঃ শুধু মুশকিলই না, তাকে যদি রিক্স নিয়ে অপারেশন করতে যাই তো হিতে বীপরিত হয়ে যেতে পারে!
অন্য আরেকজনঃ পেশেন্ট এর বাঁচার মাএ ৩% সম্ভাবনা আছে আর বাকিটুকু উপরওয়ালার হাতে!
ওরনিঃ তাহলে কি কোরো রাস্ত নেই, দেখুন আমার মেয়ে বাদে আমার আর কেউ নেই, আপনারা আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরে দেন (অসহায় হয়ে)
ডাক্তার’রা কিছু সময় কি জানি ভেবে বললোঃ দেখুন একটা রাস্তা আছে, আমাদের এইখানে একজন বড় দক্ষতার একজন ডাক্তার আছে! তার টিটমেন্ট এ সব কয়টা সার্কের্স হয়েছে!
ওরনিঃ তাহলে তাকে দিয়েই টিটমেন্ট করান!
ডাক্তার’রাঃ সে অনেক বিজি ডাক্তার, তার দেশে বায়রে ভিবিন্ন জাগায় কাজ থাকে! তবে আপনাদের ভাগ্যে ভালো যে সেই ডাক্তার এই সিটিতেই আছে!
সজিবঃ তাহলে তো কোনো কথাই নেই, তাকে দিয়েই টিটমেন্ট এর ব্যবস্তা করুন, টাকার জন্য কোনো চিন্তা করবেন না!
অতএবঃ সব কিছু রেডি, সৌরভিকে অতিতে নিয়ে গেলো! ওরনি দেওয়ালে হেলান দিয়ে চোখের পানি ঝরতাছে! হঠাৎ ওরনি মাথা উচু করে সামনে তাকিয়ে দেখে যে, চার পাঁচ জন ডাক্তারের সাথে খুব চিরোচিনা একজন লোক আসতাছে! ওরনি যে এমন কাউকে দেখবে সে আশা করেনি! মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বললো “সৌরভ” ওরনি কথাটা বলেই সেই চিরোচেনা লোকটাকে জরিয়ে দরে বলতে থাকে! তুমি এতদিন কোথায় ছিলা, জানো তোমার জন্য আমি কত কান্না করছি, একটাদিন নেই যে তোমার জন্য কান্না করেনি! আমি বুঝতে পারিনি তোমার অবুঝ ভালোবাসা, যখন তুমি ছিলা না, তখন তোমার না থাকারয় আমাকে কুরে কুরে শেষ করে দিছে! আমি এখন তোমায় ভালোবাসি, সৌরভ তুমি আমাকে মাফ করে দেও!
চিরোচেনা লোকটাঃ আপনি কে?
ওরনি যে এমন একটা কথা শুনবে সে আশা করেনি! সেই লোকটা ওরনিকে ছারিয়ে নিয়ে বলেঃ অনি কে, আর আপনি আমাকে জরিয়ে দরেছেন কেনো?
ওরনিঃ সৌরভ আমি ওরনি, তোমার সিনিয়র বউ ওরনি!
লোকটাঃ দেখুন আপনি যেই নামগুলা বললেন, এর আগে কখনো শুনেনি! আর আমি আফরান আহম্মেদ! কোনো সৌরভ ওরনি কে চিনি না! আর সামনে থেকে সরে দারান, আমার লেট হয়ে যাচ্ছে!
কথাটা বলে আফরান আহম্মেদ অতিতে চলে যায়! ওরনি তো অবাক এটা কি হরে হতে পারে! সাথে সাথে মেজোতে বসে পরে আর চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি পরে যায়!
***********চলবে না দউরাবে************