Childhood Love, পর্ব:৫

0
790

গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #5
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)

ওরনি সৌরভকে অবাক করে দিয়ে! জিসানের হাত থেকে ফুলগুলা নিয়ে নেয়। সজিব তার পকেটে থেকে একটা রিং বের করে। ওরনি কে পরিয়ে দেয়। সৌরভ এইসব দেখে তার চোখের পানি দরে রাখতে পারলো না! সৌরভ গিয়ে তাদের মাজে যায়, আর বলে>

আমিঃ তুমি এটা কি করলে!

ওরনিঃ কেনো কি করছি?

আমিঃ তুমি আমার বউ হওয়া সওে, আরেক জনের প্রোপোজ কিভাবে গ্রহন করো!

ওরনিঃ তোকে আমি কতবার বলবো, আমি তোকে বর হিসেবে মানিনা!

তখন সজিব বলে>

জিসানঃ ও তাহলে তুই সৌরভ, এই দেখি পিচ্চি একটা ছেলে!

আমিঃ আমি পিচ্চি হই বা বড় হই সেটা আপনার কি?

জিসানঃ তর সাহস তো কম না আমার উপর দিয়ে কথা বলিস!

কথাটাা বলে আমাকে একটা স-জোরে থাপ্পড় মারে! আমি আর কি থেমে থাকবো নাকি, যে সম্মান দিতে পারে না, সে সম্মান পাওয়ার যৌগ্য না! তাই সাথে সাথে আমি চড় দিতে যাবো ঠিক সেই সময় ওরনি আমার হাত দরে নেয়! পাল্টা ওরনি আমাকে একটা চড় দেয়! তাতে শপিং মলের সব লোকজন তাকিয়ে আছে! আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনাই যে ওরনি এই পাবলিক প্লেসে আমাকে চড় দিবে। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না! তখন আমি বলি!

আমিঃ তুমি আমাকে মারতে পারলে? (গালে হাত দিয়ে)

ওরনিঃ হ্যা মারতে পারলাম, কারন আমি চাই না আমার ভালোবাসার উপর কোনো দাগ আসুক!

আমিঃ মানে? (অবাক হয়ে)

ওরনিঃ মানে হলো, আমি জিসান কে ভালোবাসি!

আমিঃ না তুমি ওরে ভালোবাসতে পারো না!

ওরনিঃ কেনো?

আমিঃ কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি?

ওরনিঃ তুই আমাকে ভালোবাসিস সেটা হাস্যকর! আর হ্যা আমরা দুইজন খুব তারাতারি বিয়ে করছি, কিন্তু তার আগে তোকে ডিভোর্স দিতে হবে।

জিসানঃ হুম, তুমি ঠিক বলছো, খুব তারাতারি আমরা এক হয়ে যাবো। এখানে থেকে কি হবে, দেখো না লোকজন কিভাবে তাকিয়ে আছে চলো আমরা কোনো কফি শপে যাই।

ওরনি আর জিসান তারা দুইজন চলে গেলো! রয়ে গেলাম আমি সাথে বোকে ব্যথা! কেনো যে ব্যথা করছে ঠিক জানিনা, হয়তো গ্যাষ্টিকরে ব্যথা। তাকিয়ে দেখি যে অনেকেই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কি আর করবে এটাই বাঙালি। সেখান থেকে চলে গেলাম সোজা সজিবের বাসায় চলে গেলাম! সজিবের বাসায় গিয়ে?

[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন।
#Childhood_love
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]

আমিঃ আন্টি কেমন আছেন?

আন্টিঃ ভালো, তুমি কেমন আছো?

আমিঃ আমি তো বিন্দাস!

আন্টিঃ দেখে তো তা মনে হচ্ছে না!

যা বাবা আন্টি কি কিছু বুঝে গেলো নাকি!

আমিঃ না মানে আন্টি কিছু না এমনি, সজিব কোথায়?

আন্টিঃ ও রুমে আছে?

সজিবের রুমে গিয়ে!

আমিঃ কিরে কি করিস?

সজিবঃ কি আর করবো বল, মিম আমাকে ধোকা দিছে?

আমিঃ তোর বারোভা** বন্দ কর! আমি আছি আমার প্যারায়? মন খারাপ করে!

সজিবঃ কেনো কি হইছে?

তারপর ওরে সব ঘটনা খুলে বললাম

সজিবঃ বলিস কি মামা মেয়েটা দেখি পল্টিবাজ! থাক তুই মন খারাপ করিস না, তোকে আরেকটা মেয়ের সাথে সেট করে দিবো নে!

আমিঃ আব্বে শালা ওইটা আমার বউ, তোর মতো বারোভা** জিএফ না! এখন আমাকে আইডিয়া দে! কি করবো আমি!

সজিবঃ যে তোকে ভালোবাসে না, তার জন্য এত আকুল হয়ে লাভ নাই! ওরে ভুলে যা!

আমিঃ না রে আমি ওরে অনেক ভালোবাসি যেটা তুই বুঝবি না। এখন বল কি করা যায়!

সজিবঃ এখন তো তোদের মাজে দেওয়াল হয়ে দারিয়ে আছে জিসান!

আমিঃ হুম তো?

সজিবঃ দেখ মামা, ও তো তোকে ডিভোর্স দিবে তাই না, ডিভোর্স তো ছয় মাসের আগে দেওয়া যায় না! তুই এই ছয় মাসে যেভাবে পারস ওর মন’টা জয় কর, পরে দেখবি ও তোকে মেনে নিবে। আর হ্যা মেয়েদের মন অনেক নরম যেভাবে বলবি সেভাবেই শুনবে। তুই ওরে নানাভাবে ইম্পেস করতে থাকবি। তারপর ছয় মাস পর রেজাল্ট আসবে। ওর পিছে শুধু গুর গুর করবি!

আমিঃ দূর শালা এটা কোনো কথা হলো, তুই যেমন তোর আইডিয়া তেমন! দেখি তোর আইডিয়া কেমন! আচ্ছা একটা কাজ করতে পারবি!

সজিবঃ কি?

আমিঃ কি নাম জানি ও হ্যা ‘জিসান’ নামে একটা ছেলে ওরনির বন্দু, ওদের পাশেই বাসা, একটু খবর নিয়ে দেখবি ছেলেটা কেমন!

সজিবঃ আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না, খবর পেয়ে যাবি!

তারপর বাসায় দিকো রওনা দেই! বাসায় গিয়ে দেখি যে ওরনি বাসায় পৌছে গেছে! আসার সময় ভাবির জন্য ফুচকা নিয়ে আসি! সেটা ভাবিকে দিলাম। তারপর ভাবি আর ওরনি খায়। অবস্য ভাবির জোরা জোরিতে! রুমে চলে আসার একটু পর ওরনি চলে আসে!

ওরনিঃ কিরে আজকে কেমন দিলাম, ইসস গাল’টা লাল হয়ে গেছে। মনে তো হয় কেউ তোকে কিস টিস দিছে। তুই যে এত লুচ্চ আগে জানতাম না!

আমিঃ আপনি তো ভালো অভিনয় করতে পারেন, আপনিই তো থাপ্পড় দিছেন! আর লুচ্চা কাকে বলছেন হ্যা, আমি লুচ্চা নই। আর কে ক্যারেক্টারলেস সেটা তো আমিই জানি যে কিনা তার বিয়ে করা স্বামী থাকা সওে অন্যের সাথে ঘুরেবেরায়!

ওরনিঃ সৌরভ সাবধানে কথা বল, ওরে আমি ভালোবাসি আর আমি কার সাথে ঘুরাফেরা করবো সেটা আমার নিজের ব্যক্তিগত ব্যপার! তোর সেটাতে নাক না গলালেও চলবে!

আমি আর কথা বললাম না, কারন ওর সাথে যত কথা বলবো ততই কথা বারবে! এইভাবেই দিনকাল যাচ্ছে। হঠাৎ একিদন ওরনি আমাকে বলে কোর্ডে যেতে। কোর্ডে গিয়ে বুঝতে পারি যে ডিভোর্সের জন্য এ্যাপলাই করতে। আমি কোনো ভাবেই রাজি ছিলাম না। ওরনির নানান কথা আমি বাধ্য হই। আমি ওরনি কে নানান ভাবে বুঝাতে থাকি, সে তার মতো আমাকে অপমান করতো, কিন্তু আমি তা পরোয়া করতাম না, আমি আমার মতো চেস্ট করতে থাকি, কখনো কখনো থাপ্পড় খেতে হয়। আমাদের

মাজে যে কোনো মিল নেই সেটা আমাদের পরিবার জানেনা, মানে বুঝতে দেই না। রাত দিন জিসানের সাথে ফোনে কথা বলে, কখনো দেখাও করতে যায়, আম্মুর কাছে বলে তার বান্দুবির কাছে। আমি জানি যে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরতেছে। আমিই বা কি করবো আমি তো আমার মতো চেস্টা করছি। এই ভাবে পাঁচ মাস পার হয়ে গেলো। এখনো সেই আগের মতোই সম্পর্ক। এখনো আমাকে সে মানতে পারিনি। যত দিন আসতাছে মনে একটা কিছু হারিয়ে ফেলার ভয় বিরাজ করতাছি। সজিবের মাধ্যমে জিসানের খোজ করছিলাম। জিসান ছেলেটা নাকি বিদেশ থেকে আসছে অনেকদিন পর। তাই তার ব্যপারে কোনো কিছু কেউ খারাপ রেকর্ড পাইনি। তবুও জিসান ছেলেটা আমার কাছে

ঠিক লাগতো না। ওরনি যখন জিসানের সাথে ঘুরতে যেতো। তখন আমি তাদের পিছনে মানুষ লাগাইতাম। জিসান নাকি ওরনির সাথে একটু বেশিই মিলে মিসে কথা বলে। হাত দরে কথা বলে, আরো কত কি। এইগুলা শুনে নিজের কাছেও খারাপ লাগতাছে। তাই নিজে থেকে ডিসিশন নেই যে। যাকে মন থেকে এত ভালোবাসলাম তাকে যখন পাইতাছি না, তাহলে এত জোর করার কি দরকার। তাই আর জোর জবস্তি করে বুঝাই না! মুখে আর ভালোবাসি কথাটা প্রকাশ করি না, সেটা মনেই থাকে। হঠাৎ এমন একটা দিন আসে যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! এখান থেকে আমার জীবন অন্দকার নেমে আসে।

***********চলবে না দউরাবে**********

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here