গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #4
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)
শুয়ে আছি কেমন জানি ডাণ্ডা ডাণ্ডা লাগছে! চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি আমি মেজোতে শুয়ে আছি কি ব্যপাার আমি এখানে কেনো? আমি তো সোফায় শুয়ে ছিলাম। তখন হাত’টা ব্যথা অনুভব করলাম! পরে বুঝতে পারলাম যে আমি ঘুমের সময় হয়তো পরে গেছি। হঠাৎ ওরনি’র দিকে চোখ যায়, ওরনি বেডে শুয়ে আছে। ইসসস দেখতে কি মায়াবি দেখাচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের মতো। এভাবে অনেকটা সময় কেটে গেলো ওরনি’দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে! ওরনি’র যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন নিজেকে সামলিয়ে নেই! ওরনি ফ্রেশ হতে চলে যায়! আমিও উঠে যাই। আজ আমার কলেজ খুলা। তাই আর দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার সময় ওরনি বলে!
ওরনিঃ আম্মু আজ একটু শপিং যাবো!
আম্মুঃ ভালো তো সৌরভ কে সাথে করে নিয়ে যাও!
কথাটা বলার পর ওরনি’র মুখটা কালো হয়ে যায়। আমি তো খুশিই ছিলাম যে ওর সাথে শপিং যাবো। কিন্তু ওরনির ব্যপরটা বুঝতে পেরে বলি!
আমিঃ আম্মু আজ আমার কলেজ আছে আমি যেতে পারবো না!
আম্মুঃ চুপপপ! বেশি কথা বলিস কেনো? বউ মা কি একা যাবে না, তুই ওর সাথে যাবি!
ওরনিঃ থাক আম্মু আমি যেতে পারবো, ওর যেতে হবে না!
আম্মুঃ তুমি একা একা যাবে কেনো, তুমি একটা মেয়ে একা যাবে তারউপর দিন কাল ভালো না। এই সৌরভ তুই ওর সাথে যাবি! বাসসসস আর একটাও কথা হব না!
আম্মুর উপরে আর কথা বলতে পারলাম না! দুইজনে নাস্তা করে রুমে চলে আসলাম!
ওরনিঃ তুই আমার সাথে যেতে রাজি হইলি কেনো!
আমিঃ আরে আমি কি যেতে চাইছি নাকি হুদাই! আম্মু বলছে তাই যাইতাছি!
ওরনিঃ তুই আমার সাথে গেলে লোকজন কি বলবে, আর তাদেরও বা আমি কি বলবো!
আমিঃ বলবা যে আমরা স্বামী-স্ত্রী!
ওরনিঃ তোর মাথায় সমস্যা আছে নাকি হ্যা (ঝারি দিয়ে)
আমিঃ না তো?
ওরনিঃ তাহলে কোন মুখে স্বামী-স্ত্রী কথা বলতাছিস হ্যা!
আমিঃ আমি মনতেছি যে তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মানো না, কিন্তু সমাজ তো তা মানে!
ওরনিঃ সমাজের মুখ থেকে এই কথা তুলে নিবো ৬ মাস পর!
আমিঃ মানে?
ওরনিঃ তোকে আমি ডিভোর্স দিবো?
কথাটা বলে অন্য রুমে চলে গেলো! আমি সেখানেই ডায় মেরে দারিয়ে রইলাম! না ওকে কখনো দূরে যেতে দিবো না। তারপর রেডি হলাম উদ্দেশ শপিং মলে! ওরনি একটা পিংক কালারের শাড়ি পরছে। অবস্য ব্লু আর পিংক আমার পছন্দের কালার! ওরনি এমনিতেই অনেক সুন্দর তারউপর পিংক কালারের শাড়ি” জাস্ট ওয়াও কি বলবো এক কথায় ক্রাশ। ভালোবাসার মানুষকে যত দেখবেন তত তার প্রতি মুগ্ধ হবেন।
ওরনিঃ কিরে এই ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো! (রাগি গলায়)
আমিঃ না মানে, তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগতাছে!
ওরনিঃ তুই তো আসলেই একটা বদ ছেলে রে, কত বার বলছি তোকে আমি স্বামী হিসেবে মানিনা। তাহলে কেনো তুই আমার দিকে এইভাবে তাকাবি হ্যা!
আমি কি বললবো, মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি! নিজের প্রিয় মানুষের কাছ থেকে যদি এমন কথা শুনতে হয়, তাহলে কেমন লাগবে সেটা আমিই জানি!মাথা নিচু করে কথাগুলা ভাবছিলাম!
ওরনিঃ থাক আর ভাব দেখাতে হবে না, এখন আমরা কি ভাবে যাবো!
আমিঃ বাইকে যাবে, তারাতারি যেতে পারবা!
ওরনিঃ তুই কি ভালো হবি না হ্যা, বাইকে নিয়ে জাগায় জাগায় ব্রেক দিবি আর আমি তোর উপরে গিয়ে পরবো, তোর চালাকি আমি ধরে ফেলছি!
আমি কি বলবো এই মেয়ের কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না! যে যেমন তার মানোসিকতা ঠিক তেমনি! আসলে আমার এটা ড্রিম ছিলো যে নিজের বউ কে বাইকে করে ঘুরাবো কিন্তু সেই জাগায় যে এমন কথা শুনতে হবে জানতাম না, ও হ্যা, ওরনি তো আমাকে বর হিসেবে মানে না, তাহলে কেমনে কি! (মনে মনে)
ওরনিঃ যা একটা রিকশা নিয়ে আয়?
আমি আশেপাশে খুজে একটা রিকশা পেলাম! প্রথমে ওরনি উঠলো তারপর যখন আমি উঠতে যাবো!
ওরনিঃ এই তুই কোথায় আসছিস, তুই আরেকটা রিকশা করে আয়!
আমিঃ কেনো?
ওরনিঃ যেখানে বেডে শুইতে দেই না, আর তুই রিকশায় একসাথে বসবি কখনো না, মামা চলেন তো!
ওরনি তার রিকশা করে শপিং মল এর উদ্দশে রওনা দিলো! আমি আরেক টা রিকশার খুজতে থাকি!
***ওইদিকে ওরনি***
ওরনি রিকশা দিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ কে জানি ওরনি’ বলে ডাক দেয়! তাকিয়ে দেখে যে তার ছোট বেলার বন্দু জিসান, একটা প্রাইভেট কার এর সামনে দারিয়ে আছে! ওরনি তার কাছে যায়!
ওরনিঃ আরে জিসান তুই কবে কোথা থেকে আসলি!
জিসানঃ এইতো কয়েকদিন হলো আমেরিকা থেকে আসলাম! আজ কতদিন পর দেখা! তা কেমন আছিস!
ওরনিঃ ভালো! তুই কেমন আছিস!
জিসানঃ ভালোই, তা কোথায় যাচ্ছিস!
ওরনিঃ এইতো শপিং মলে যাইতাছি, আর তুই এখানে কি করিস?
জিসানঃ গাড়ি’টা মনে হয় নষ্ট হয়ে গেছে, তাই দারিয়ে আছি! তুই তো শপিং মলে যাবি, আর আমিও যাবো, চল একসাথে যাই!
[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন।
#Childhood_love
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]
ওরনিঃ আচ্ছা চল!
তারা দুইজন একি রিকশায় উঠলো!
জিসানঃ আচ্ছা তোর কি বিয়ে হয়েছে!
ওরনিঃ তুই কেমনে বুঝলি? (মন খারাপ করে)
জিসানঃ তুই তো আগে শাড়ি পরতি না, এখন পড়ছিস তাই বুঝতে পারছি!
ওরনিঃ হ্যা- দশ দিন আগে হইছে তাও এ্যাক্সসিরেন্ট!
জিসানঃ মানে?
তারপর ওরনি জিসান কে সব ঘটনা ঘুলে বলে! জিসান সব শুনে যেনো চাঁদ তার মুখে হাসির রেখা চলে আসলো! কারনটা অজানা, থাক বলেই দেই জিসান ওরনি কে ভালোবাসতো কিন্তু বলেনি! ওরনি’র কথা শুনে আবারো তার ভালোবাসা জেগে উঠে!
জিসানঃ তাহলে এখন কি ডিসিশন নিলি?
ওরনিঃ সৌরভ কে ডিভোর্স দিয়ে দিব!
জিসানঃ তারপর কি করবি!
ওরনিঃ কি আর করবো, সেটা না হয় পরে দেখা যাবে!
তারা কথা বলতে বলতে শপিং মলে চলে আসে!
***অন্যদিকে আমি তাদের আগে চলে আসি, আমি তাদের থেকে অনেকটা দূরে, আমি দেখি যে ওরনির সাথে একটা ছেলে তাও এক রিকশা থেকে নামতাছে। জিনিসটা দেখে চোখের পানি আর দরে রাখতে পারলাম না! তাহলে কি ওরনি এই ছেলেটাকে ভালোবাসে। না আমি কান্না করবো না কার জন্য কান্না করবো যে আমাকে একটুও বুঝে না। তারাতারি চোখের পানি মুছে নেই নয়তো লোকজন পাগল বলবে! তারপর তাদের ফলো করতে থাকি দেখি যে তারা কোথায় যাচ্ছে!
*** এইদিকে ওরনি আর জিসান রিকশা থেকে নেমে শপিং মলে ডুকে। ওরনি’র যোনো মনেই নাই যে সৌরভ তার সাথে আসছে! তারা দুইজন একটা শাড়ির দোকানে ডুকে!
ওরনিঃ কিরে তুইও কি শাড়ি কিনবি নাকি?
জিসানঃ হ্যা কিনবো!
ওরনিঃ কার জন্য, তুই তো বিয়ে করিস নি?
জিসানঃ আছে এক স্পিয়াল মানুষ!
ওরনি কথাটা শুনে কিছুটা অবাক হলো! কারন ওরনি সজিব কে কিছুটা পছন্দ করে সেটা যে ভালোবাসা সে আর জানে না!
ওরনিঃ ও, আচ্ছা (মন খারাপ করে)
তারপর তারা দুইজন শাড়ির দোকানে যায়! ওরনি তার মতো সে শাড়ি চয়েজ করলো! অনদিকে জিসান একটা শাড়ি কিনে শাড়িটা কালো ছিলো! এইদিকে সৌরভ তাদের ফলো করছে দেখছে যে তারা কি করে! ওরনি’র আর জিসানের শপিং শেষের বিল জিসান দিলো অবস্য ওরনি অনেকটা জোরা জোরি করছি তাতে হার মানতে হলো! তারা আরো অন্য কিছু কিনলো! অতএবঃ এখন তাদের চলে যাওয়ার পালা! ওরনি আর জিসান যখন শপিং মল এর মাজে চলে আসে তখন জিসান বলে>
জিসানঃ ওরনি একটু দারাও!
ওরনিঃ কেনো, কি হলো!
জিসানঃ তুমি একটু এখানে দারাও আমি আসতাছি, আর হ্যা এখানে থাকবে!
কথাটা বলে জিসান কোথায় জানি চলে গেলো! ওরনি সেখানেই ডায় মেরে দারিয়ে রইলো! প্রায় দশ মিনিট পর ওরনির পিছন থেকে ‘ওরনি’ বলে ডাক দেয়, ওরনি পিছনে তাকিয়ে দেখে যে জিসান তার সামনে হাঁটু গেরে গোলাপ হাতে নিয়ে বলতে থাকে>
জিসানঃ তোর সাথে স্টাডি করছি সব সময় তোকে স্পিয়াল মনে হতো। কিন্তু কখনো বুঝতে পারিনি যে আমি তোকে ভালোবাসি যখন বুঝতে পারি তখন আমি তোর থেকে অনেক দূরে বিদেশ। তখন তোর কাছে আসতে চাইছিলাম কিন্তু শুনি যে তোর বিয়ে তখন আমি আর নিজের মধ্যে ছিলাম না। আবার যখর শুনতে পারি যে তোর বিয়ে ভেঙ্গে গেছে তখন অনেকটা খুশি হলেও তোর জন্য আফসোর্স হতো। তারপর আর খুজ নেওয়া হয়নি! তাই তারাতারি বিদেশ থেকে চলে আসি! তোর সাথে যোগাযোগ করার কোনো পথ ছিলো না আজ যখন তোর সাথে দেখা হলো তখন মনে করছি যে চাঁদ টা আমার হাতে পেয়েছি আবার যখন তোর বিয়ে হয়েছে সেটা শুনলে আবার অবাক হই যে তুই সেই ছেলেকে ডিভোর্স দিবি। তাই আমি সব দিকে থেকে ভেবে বলতাছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং কি তোমাদের ডিভোর্স হলে তোমাকে আমি বিয়ে করবো! I love you orni…! please accept করো!
অন্য দিকে সৌরভ তো এইগুলা দেখে মাথা গরম হয়ে যায় সৌরভ তাদের কাছে আসতে থাকে! তাদের এমন কান্ড দেখে শপিং মলের সব লোকজন তাকিয়ে আছে। ওরনি তো অবাক জিসানের প্রোপোজ দেখে, ওরনি’র কাছে সব সপ্নের মতো লাগছে। ওরনি দেখে যে সৌরভ তাদের কাছে আসতাছে তখন ওরনি বুঝতে পারে যে সৌরভ তো আমার সাথে শপিং মলে আসছিলো মানে রিকশায়। এখন ওরনি কি উওর দিবে জিসান কে!
***********চলবে না দউরাবে************