গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #1/এক
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)
আম্মুঃ এই কোথায় যাচ্ছিস! (পিছন থেকে ডাক দিয়ে)
আমিঃ তুমি জানো না, আজ আমার লাস্ট পরীক্ষা!
আম্মুঃ হ্যা জানি তবে, নাস্তা তো করে যা!
আমিঃ না” এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে!
আম্মুঃ একটু কিছু তো মুখে দিয়ে যা!
আমিঃ আচ্ছা দেও ( মন খারাপ করে, কারন আম্মুর কথা আমি না’ করতে পারি না)
আম্মুঃ তুই দারা নেহা (ভাবি) কে দিয়ে পাঠাইতাছি
আমিঃ আম্মু তুমি কি ভুলে গেছো ভাবি এখন প্যাগন্যেন্ট। বেশি চলাফেরা করতে ডাক্তার না করছে।
আম্মুঃ আজ আমার কি যে হলো, সব কেমন জানি গুলিয়ে যাচ্ছে।
আমিঃ রাতে মনে হয় তোমার ঘুম হয়নি! তুমি ভাবির কাছে যাও, আমি যাচ্ছি!
আম্মুঃ খালি মুখে পরীক্ষা দিবি নাকি!
আমিঃ না” ( কথাটা বলে ফ্রিজ থেকে একটা আপেল নিয়ে চলে আসলাম রাস্তায়)
সামনেই কলেজ তাই রিকশা দিয়ে যাবো। ওইতো একটা রিকশা আসতাছে। অতএবঃ রিকশায় উঠে গেলাম! এখন আপেল’টা খেতে খেতে আপনাদের পরিচয় দিয়ে দেই!
***পরিচয়***
আমি সৌরভ আহম্মেদ! আমার ব্যপারে আর কিছু জানতে হলে প্রোফাইলে চলে যান। আমরা দুই ভাই এক বোন আর আব্বু অনেক আগে মারা গেছে। আম্মু আব্বুর আদর সবটুকু দিয়েই বড় করেছে আমাদের। ভাইয়া বিয়ে করেছে, ভাইয়ার ব্যবসা আছে। আপুর বিয়ে হয়ে গেছে। এখন বাসায় আমি আর আম্মু ভাবি থাকি। ভাইয়া মাজে মাজে বাসায় আসে। কারন এত দূর থেকে প্রতিদিন আসা সম্ভাব না। আপাতত এইটুকু যেনে সন্তুষ্ট থাকুন, আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।
হঠাৎ রিকশা’টা একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। পরে গেলাম মহা-জামেলায়। এইদিকে পরীক্ষার মাএ এিশ মিনিট আছে। গাড়ি’টা থেকে একটা মেয়ে নেমে আসলো! সজিব’ ভাই বিশ্বাস করেন এটা মেয়ে না। মেয়ে নামে একখান পরি। কি বলবো, মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। নীল কালার শাড়ি, নীল কাচের চুড়ি, হালকা মেক-আপ, ঠোঁটে গোলাপি কালার লেবেস্টিক। জাস্ট ওয়াও। এক কথায় আমি এই প্রথম কোনো মেয়ের প্রতি ক্রাশ খেলাম। ক্রাশ’টা সামনে এসে ঠাসসসসসসস করে একটা চড় বসিয়ে দেয়। আরে পাঠকরা ভয় পান কেনো রিকশাওয়ালাকে চড় দিছে আমাকে না। আমি তো অবাক ক্রাশ’টা রিকশাওয়ালাকে চড় কেনো দিলো। তখন আমি বললাম>
আমিঃ এই আপনি অনাকে মারলেন কেনো!
মেয়েটিঃ এই পিচ্চি তুই চুপ থাক!
এই মেয়ে বলে কি আমি নাকি পিচ্চি। কিন্তু মেয়ে’টা তো ঠিকি বলছে। মেয়েটা বেশ বড় হবে আমার থেকে। তখন মেয়েটা বললো>
মেয়েটিঃ কি করছিস তুই। গাড়িটার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিস। এখন আমি আব্বুকে কি জবাব দিবো। জরিমানা দে, নাহলে পুলিশকে কল দিবো। (রিকশাওয়ালাকে বললো)
আমিঃ আরে উনি কেনো টাকা দিবে। আপনিই তো রং সাইট দিয়ে আসছিলেন। আপনি উল্টো রিকশা ঠিক করার টাকা দিবেন।
আমার কথা শুনে মেয়েটি গাবরিয়ে যায়। তারপর নিজেকে সামলিয়ে বলে>
মেয়েটিঃ কিরে পিচ্চি তোরও কি থাপ্পড় খাওয়ার সখ হইলো নাকি!
আমিঃ মানে..! (গাবরিয়ে গিয়ে)
[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন, লেখককের আইডির লিংক?
https://www.facebook.com/sourav.ahmed.908132
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]
মেয়েটিঃ মানে হলো! এখানে আমার কোনো দোষ নাই আর তুই বলছিস আমার দোষ! আর যদি একটা কথা বলিস তো এমন থাপ্পড় দিবো বাসার নাম ঠিকানা ভুলে যাবি!
হায় হায় এ মেয়ে বলে কি! এখানে যদি থাপ্পড় খাই তো আমার মান-সম্মান কিছুই থাকবে না। তার উপর পরীক্ষা লেট হয়ে যাইতাছে। আমি নিরিহ ছেলের মতো দারিয়ে আছি! কিছু বললেই পাবলিক খেতে হবে।
মেয়েটিঃ ওই মিয়া টাকা দেন (রিকশাওয়ালাকে বলল)
রিকশাওয়ালাঃ আমা কাছে টাকা নাই
মেয়েটি কিছুসময় কি জানি ভাবলো তারপর আমার কাছে আসলো!
মেয়েটিঃ তুই টাকা দে! তোর জন্যই এমন ক্ষতি হয়েছে!
না এই মেয়েটির থেকে বাচতে হবে। নাহলে টাকাও যাবে সাথে ইজ্জত ফ্রিতে নিলামে উঠবে! মনে পরছে একটা আইডিয়া দেখি কাজে লাগাতে পারিকিনা।
আমিঃ সজিব’ ভাই বিশ্বাস করেন আমার কাছে কোনো টাকা নাই!
মেয়েটিঃ এই সজিব কে?
আমিঃ আমার সাথে ভিক্কা করে
মেয়েটিঃ তুই তাহলে ফকির…?
আমিঃ হ্যা
মেয়েটিঃ সকালে কার মুখ দেখে যে উঠছিলাম যে আজ এমন একটা সিচেরেসন এ পরতে হবে তাও ফকিরের আওতায়! ( আস্তে আস্তে)
আমিঃ আন্টি আপনার মাথায় কি গেষ্টিক হইলো নাকি, কি সব আবল তাবল বকতাছে।
মেয়েটিঃ এই তোর চোখে কোন দিক থেকে আমাকে আন্টি মনে হয়!
আমিঃ সব ঙ্গেল থেকেই তো মনে হয়। (মিথ্যা বললাম, আমার ক্রাশ বলে কথা, সত্যি কথা বলতে কি মেয়েটি এমন সুন্দর চায়ের দোকানের ৮০ বছরের বুড়া দেখলেও ক্রাশ খাবে)
মেয়েটিঃ কি বললবি তুই তোর তো আজকে খবর আছে..! (রেগে গিয়)
আমি তো আর সেখানে নাই! সোজা দৌর দিলাম সামনেই কলেজ ছিলো চলে আসলাম। আর হ্যা আমি ইন্টারে ১ম বর্ষে পরীক্ষা দিবো অতএবঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই ভালোই পরীক্ষা দিলাম! পরে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার আগে ভাবির জন্য ক্যাডভেরি নিয়ে নিলাম। এটা অবস্য প্রতিদিনের ট্রিট। আমি যখন বাড়ির বায়রে যাই তো ভাবির জন্য এই ক্যাডভেরি নিতে হবে। এতে ভাবি অনেক খুশি হয়। আমার ভাবি আমাকে অনেক আদর করে এক হিসেবে আম্মুর পরে যে ব্যক্তিটা আমাকে ভালোবাসে সে তাহলে ভাবি, বলতে গেলে আমার ২য় আম্মু! বাসায় চলে আসলাম। সোজা ভাবির রুমে চলে আসলাম। এসে দেখি যে বেড গুছাচ্ছে ! আমি তখন ভাবির দুই চোখ বন্দ করে দরলাম। তখন ভাবি বলে>
ভাবিঃ সৌরভ আমি জানি তুমি!
আমিঃ ভাবি তুমি কি কোনো জাদু টাদু জানো নাকি। তুমি কেমনে বুঝো যে আমি! (ছেরে দিয়ে)
ভাবিঃ তুমি কি বলদ নাকি!
আমিঃ কেনো কেনো?
ভাবিঃ আমরা এই বাসায় তিনজন থাকি আর তোমার ভাই কোন সময় আসে তার তো কিনো ঠিক ঠিকানা নাই যদি এই বাসায় দুষ্ট বাদর নামে কোনো প্রানী থাকে তো সেটা তুমি। তাহলে কেমনে বুঝবো না যে তুমি এটা!
আমিঃ আম্মু না মানে ভাবি সবিই বুঝলাম কিন্তু তুমি আমাকে দুষ্ট বাদর বলতে পারলে। ( অন্য দিকে ঘুরে, অভিমান করে)
ভাবিঃ আরে আমার দেবর টা রাগ করেছে! দেখি দেখি! আচ্ছা আর বলবো না। কই আমার ক্যাডভেরি কোথায়! (আমার গাল টেনে দিয়ে)
আমিঃ তুমি এই কৌশলটাই সব সময় ব্যবহার করো (ক্যাডভেরি দিয়ে)
ভাবিঃ যা বাবা আমি আবার কি করলাম! (খেতে খেতে)
আমিঃ তুমি জানো না! আমার গাল টানলে আমি যেমন রাগ হয় তেমন ভালো লাগে!
ভাবিঃ ভালো লাগে মানে!
আমিঃ কারন বিনা পায়সাতে কেউ আমার গাল’টা মালিস করে দিলো! তাকে তো চাকর বলে!
ভাবিঃ ওরে সয়তান পোলা আমি তোর চাকর হ্যা, দারা আজ আমার একদিন তোর যতদিন লাগে।
দেখি আম্মু আসতাছে এই রুমে আমি গিয়ে সোজা আম্মুর পিছনে পালাই!
আমিঃ ভাবি তুমি কি কিন্তু ডাইলগ টা ভুল বললে! ডাইলগ’টা হবে তোর একদিন আমার যতদিন লাগে
ভাবিঃ থুক্কু ভুল বলে ফেলেছি!
আমিঃ তুমি সঠিক বললে কবে..! (রাগানোর জন্য)
ভাবিঃ আম্মু তুমি সরে যাও ওরে আজকে আমি মেরে তক্তা বানিয়ে দিবো।
আম্মুঃ তোরা কি শুরু করছিস হ্যা (কথাটা বলে আমার কান ধরে আম্মু)
আমিঃ আম্মু ছারো ব্যথা লাগছে
ভাবিঃ তাহলে তুই আমার নেহা মা’ কে তুই এই কথা বলবি কেনো!
আমিঃ আম্মু তুমিও ভাবির দলে চলে গেলে! আমি খেলবো না! আমি যাচ্ছি!
ভাবিঃ তা এখানে কোন কোন দেশের খেলে হচ্ছে যে তুমি খেলবে না!
আমিঃ টিভিতে খেলে হচ্ছে ওই যে (টিভি দেখিয়ে)
আম্মুঃ না আমি তোদের ভারত চীন এর মাজে আমি এক নিরিহ বাংলাদেশ থাকবো না তোদের সাথে! (কথাটা বলে আম্মু চলে গেলো)
আমিঃ ভাবি তুমি হলো ভারত দেখলেই বমি আসে আর আমি হইলাম চীন নামে শুনলেই ভি,আই,পি ভাব আসে (ভাব নিয়ে)
আম্মুঃ ওরে কিছু বলো নয়তো! (রেগে গিয়ে)
আমিঃ ভাবি পাবনায় কল দিবো নাকি!
ভাবিঃ কেনো কেনো?
আমিঃ কারন তুমি যে পাবনার পালিয়ে আসা রুগি, সেটা কি ভাইয়া জানে! (কথাটা বলে এক দৌরে আমার রুমে চলে আসলাম)
না আজ আর ভাবির সাথে দেখা করা যাবে না! যে রাগা রেগে আছে আমাকে পেলেই মসলা ছারাই চিবিয়ে খাবে। সেইদিন ভালোই কাটলো! সন্দার দিকে বন্দুদের সাথে আড্ডতে গেলাম। আর হ্যা আমাদের বন্দুদের মাজে কোনো বেজাল নাই। সিগারেট বাজে কিছু খাবে ওই সব বন্দু আমাদের বন্দুত্বের দলে রাগি না যে গুলা বাজে বন্দু ওইগুলাকে চান্দে পাঠাই দেই, না মানে বন্দুত্বের থেকে বের করে দেই। রাতে আড্ডা দেওয়ার পর বাসায় আসলাম অবস্য বেশি রাত হয়নি। আসার সময় ভাবির জন্য ফুচকা নিয়ে আসি। আমি ভাবির সামনে যাইনি আম্মুকে দিয়ে পাঠিয়ে দিছি। একটু পর আম্মু আমার রুমে আসে।
আম্মুঃ সৌরভ তোর কি কোনো কাজ আছো পৌরশু দিন!
আমিঃ না আম্মু আমার আবার কি কাজ থাকবে! আমার তো ঘুরা ফেরা পড়ালেখা ছারা আর কিছুই নাই।
আম্মুঃ আরো কিছু ভুলে গেলি তো!
আমিঃ যা বাবা কি আবার ভুলে গেলাম!
আম্মুঃ তুই কি সব ছাইপাস গল্প টল্প লিখস আর ভাবির সাথে দুষ্টামি, বন্দুদের সাথে আড্ডা, এইগুলা কে বলবে!
আমিঃ আরে আম্মু ছাইপাস টল্প না গল্প!
আম্মুঃ সে যাই হোক এই গল্প লিখেই তো চোখে মাজে মাজে ঝাপসা দেখিস আবার মাজে মাজে চশমাও তোর ব্যবহার করতে হয়। দেখ বাবা এই গল্প লেখা ছেরে দে নয়তো দোর চোখ কি হবে আল্লাহই ভালো জানে!
আমিঃ আম্মু তুমি তো জানো আমার গল্প লিখতে ভালো লাগে, তারপরও এই কথা বলছো (মন খারাপ করে)
আম্মুঃ আচ্ছা মন খারাপ করিস না! শুন যেই জন্য তোর কাছে আসা! পৌরশু আমার বান্দুবির মেয়ের বিয়ে আমার সবাই সেখানে যাবো!
আমিঃ তোমার আবার কোন বান্দুবি, আম্মু?
আম্মুঃ সে তোর না চিনলেও হবে!
আমিঃ যে ভাবে বলছো মনে হয় তোমার বান্দুবিকে কিডনাপ করে নিয়ে যাবো!
আম্মুঃ আরে না, বান্দুবির সাথে অনেক দিন পরে দেখা কালকে ফোন করে বললো যে ওর মেয়ের নাকি বিয়ে!
আমিঃ ও এই খবর!
আম্মুঃ আয় ডিনার করে যা!
আমিঃ না আম্মু আর কিছু খাবো না, বন্দুদের সাথে আজ পিকনিক করেছি তাই আর খিদে নাই।
তারপর আম্মু চলে গেলো! আমি মোবাইল টা হাতে নিয়ে গল্প লেখা শুরু করলাম। টানা এিশ মিটিন গুতাগুতির পরে গল্প লেখা শেষ হলো। তারপর ফব’ তে চলাফেরা না মানে চালিয়ে। আজকের ক্রাশের সাথে ঘটনা মনে করতে ঘুমিয়ে পরি।
***********চলবে ***********