এক মুঠো প্রণয় (সিজন টু)পর্ব ৭

0
127

#এক_মুঠো_প্রণয়
#সিজন_টু
#পর্ব_০৭
লেখনীতেঃ একান্তিকা নাথ

সাঈদের সাথে মেহুর সংসার বাঁধা হবে না এই বিষয়টা মেহু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল ক্ষনে ক্ষনে। চেষ্টা করল ঐ মানুষটাকে ভুলে যেতে।কিন্তু আসলেই কি তা সম্ভব? হয়তো সম্ভব নয়। তাই তো বেহায়ার মতো আবারও কথা বলতে চাইল সাঈদের সাথে। লাগাতার কল দিল সাঈদের নাম্বারে। ছটফট করা হৃদয় নিয়ে অপেক্ষায় থাকল সে মানুষটার কন্ঠ শোনার জন্য। সাঈদ অবশ্য প্রথমেই কল তুলল না। যখন কল তুলল ততক্ষনে মেহু আর কান্না আটকাতে পারল না। ধরা গলায় ঠোঁট কাঁমড়ে কোনরকমে বলল,

“সাঈদ ভাইয়া? আপনি না বাসলেও, আমি আপনাকে ভালোবাসি৷ একবার কি হ্যাঁ বলা যায় না সাঈদ ভাইয়া?একবার কি রাজি হওয়া যায় না?মিথ্যে করে হলে ও একবার বলবেন ভালোবাসি?”

সাঈদ দীর্ঘশ্বাস ফেলল।কিয়ৎক্ষন চুপ থেকে শান্তস্বরে উত্তর দিল,

“ যায় না মেহু। আমার মতে তুমি অনেক ভালো মেয়ে মেহু৷ কোনকালে নিজের আশপাশে ছেলেদের সঙ্গ দাওনি। সে জায়গায় আমি অসংখ্য মেয়েকে সঙ্গ দিয়েছি। প্রেম প্রেম কথা বলেছি।তোমার মনে হয় না তুমি ভুল মানুষকে ভালোবেসেছো? ”

মেহু ফের কাঁদল। কান্নারত স্বরে উত্তর দিল,

“ ভুল হলেও আমার মন সে ভুলকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে।অন্তত একটিবার? একটিবার ভাবুন না আমার কথা।প্লিজ। ”

সাঈদ বারকয়েক শ্বাস ফেলল। আবারও কিয়ৎক্ষন চুপ থেকে উত্তর দিল,

“ মেহু শোনো, আমার কাছে এসব প্রেম ভালোবাসার কোন স্থান নেই।খুব বেশি হলে আমি মেয়েদের শরীরের প্রতি এট্রাক্টশন ফিল করি, তাদের সাথে এসব প্রেম প্রেম অভিনয় করে মজা নিই। কিন্তু সিরিয়াসলি আমি এসবে কোনকালেই বিশ্বাসী ছিলাম না।তুমি বলো, তোমায় কখনো ভালোবাসি বলেছিলাম?কিংবা প্রোপোজ করেছিলাম?বাকি সবার মতোই তোমার সাথেও প্রেম প্রেম কথা বলেছি, প্রেম প্রেম নজরে তাকিয়েছি। সেসবকে তুমি অন্য কিছু ভেবে থাকলে তো আমার দোষ কি? ”

শেষের কথা গুলো শুনেই নিজেকে খুব বেহায়া অনুভব হলো মেহুর। গলা শক্ত হয়ে আসল৷ পরপরই কান্না থামিয়ে দৃঢ় গলায় উত্তর দিল,

“ আমি আপনাকে আর কখনোই কল করব না।”

কথাটা বলেই কল কেঁটে দিল মেহু৷ সাঈদ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এই প্রথম মনে হচ্ছে তার কান্না পাচ্ছে। কিন্তু পুরুষ মানুষের যে কান্না করা মানা। সাঈদ চোখ বুঝল। একহাতে কপালে হাত বুলাতে বুলাতে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে উষ্ণ শ্বাস টানল। ঠিক তখনই তার ঘরে ডুকলেন এক মধ্যবয়স্কা মহিলা।সাঈদের কপালে হাত ছুঁয়ে কোমল স্বরে জিজ্ঞেস করল,

“ কি হয়েছে বাবা? ক্লান্ত তুমি? ”

সাঈদের মেজাজ খারাপ হলো। গত এক সপ্তাহ ধরেই মেজাজ চরম রকমে খারাপ তার৷ সম্মুখ মহিলার গলা শুনেই যেন সে মেজাজ খারাপটা তড় তড় করে বাড়ল। উঠে দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠল,

“জাস্ট শাটাপ,বাবা বলছেন কাকে?কেন বললেন? ”

ভদ্রমহিলা সে রাগ দেখে বিস্মিত হলেন। আলতো হাতে ছেলের গালে হাত রেখে বললেন,

“এতোটা রাগ? এতোটা রাগ কেউ করে মায়ের উপর? ”

সাঈদ এক ঝটকায় গাল থেকে হাত সরাল। গলা উঁচিয়ে বলতে লাগল,

“ আমি আপনাকে সহ্য করতে পারি না।ঘৃণা করি । আর কয়বার বলতে হবে?আপনাকে দেখলেই আমার গা ঘিনঘিন করে। চলে যান৷ চলে যান প্লিজ এখান থেকে। কেন এসে পড়ে আছেন এখানে?নতুন কি প্ল্যান আপনার?কি প্ল্যান?আব্বুকে খুন করবেন এবারে?”

মহিলা এবারে হাসলেন। উত্তরে বললেন,

“তোমার আব্বু আমায় অন্ধের মতো ভালোবাসত সাঈদ। সে অন্ধচোখে এখন দৃষ্টি এলেও সত্যিটা কি জানো সাঈদ?সে এখনও আমায় ভালোবাসে৷ তাই তো এখনও আমি যখন আসি, থাকি এ বাসায় সে দুর্ব্যবহার করতে পারে না।করে ও না। ”

সাঈদের রাগ এবারে চূড়ায় পৌঁছাল। শুধাল,

“ কিন্তু আমি আমার আব্বুর মতো অতোটা নরম মনের নয়৷ আমি কখনো নারীর ছলনায় অন্ধ হই না।সেজন্যই এতকাল আমি আপনার মাতৃস্নেহ দেখেও গলতে পারিনি৷ শুধুমাত্র আপনার জন্যই আমি নারীজাতিকে আর বিশ্বাস করতে পারিনা৷ কাউকেই না!”

শেষের কথাটা অনেকটা রাসমেতই দাঁতে দাঁত চেপে বলল সাঈদ। পরপরই এক ধাক্কায় দরজার সামনে থাকা ফুলদানিটা ফেলে ভেঙ্গে ফেলল। আর এক মুহুর্তও না দাঁড়িয়ে হনহন করে বেরিয়ে গেল রুম ছেড়ে। ভদ্রমহিলা দীর্ঘশ্বাস টানলেন। জীবনে সবসময় যৌবনেন ছোঁয়া না থাকলেও যৌবনে করা ভুলের শাস্তি তাকে আজীবনই বয়ে নিতে হবে। এই যেমন এখনও বয়ে যাচ্ছে। নিজেরই একমাত্র ছেলের চোখে তারই জন্য ঘৃণার পাহাড়। এর থেকে বড় শাস্তি হয় কোন মায়ের জন্য?

.

বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট।জ্যোতি সাধারনত এমন রেস্টুরেন্টে আসে না।তবে আজ আসতে হলো সাঈদের জন্যই। সাঈদকে কল করে যখন কথা বলতে চাইল, দেখা করতে চাইল তখন সাঈদ এই ঠিকানাটাই দিয়েছিল। জ্যোতি সময় মেনে চলে। নির্দিষ্ট সময়ে এসেই বসে থাকল অনেকটা সময়। কিন্তু সাঈদ ঠিক সময়ে এল না।এল আরো মিনিট বিশেক পর।জ্যোতি সম্মুখে সোজাসুজি হয়ে বসেই ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলে উঠল,

“ বাহ!শুরু থেকেই কেন জানি আমি তোমার সাথে ফ্লার্ট করে উঠতে পারিনি জ্যোতি। তোমার গম্ভীর আর একাকী চলনে কেন জানি ফ্লাটিংটা আসেনা আমার বুঝলে?তো, কি অর্ডার করব বলো?”

“ কথা বলার প্রয়োজন ছিল সাঈদ ভাইই।কোনকিছুই অর্ডার করতে হবে না।”

“তা বললে হয় নাকি? ”

সাঈদ ওয়েটারকে ডেকে অর্ডার করল স্বল্প খাবার। হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল,

“ কি দরকারে ডাকলে জ্যোতি? ”

জ্যোতি মৃদু হাসল। উত্তরে বলল,

“ সাঈদ ভাই, আমি আপনাকে ভাই ডাকি। আপনার ছোটবোন থাকলে সে নিশ্চয় আমার বয়সীও হতে পারত৷ তাই না?তো এই বোনের একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন? সঠিক উত্তরই দিবেন কিন্তু।”

সাঈদ হাসল এইবারে।বলল,

“ উহ টিচার টিচার মনে হচ্ছে তোমায় হঠাৎ।বলো, বলো,সত্যিটা জানলে অবশ্যই উত্তর দিব। ”

জ্যোতি এবারে হাসল না। সোজাসুজি হয়ে বসে তাকাল সাঈদের মুখে। স্পষ্ট স্বরে জিজ্ঞেস করল,

“মেহু আপুকে কি সত্যিই ভালোবাসতেন না?সত্যিই কোন অনুভূতি নেই আপুর জন্য?”

সাঈদের হাসি হাসি মুখে হঠাৎই হাসি মিলিয়ে গেল। কি আশ্চর্য!এইখানেও একই প্রশ্ন? তপ্তশ্বাস ফেলে গম্ভীর গলায় শুধাল,

“ নেই।”

জ্যোতির দৃষ্টি এবার অসহায় হলো। বলল,

“ আপনাকে ভাই সম্বোধন করেছি সাঈদ ভাই। বোন ভেবে সঠিকটা বলবেন না?”

সাঈদ মৃদু হাসল। মুহুর্তেই দক্ষতার সাথে একটা মিথ্যে বলে দিল,

“সঠিকটাই বললাম যে বোন, ওর প্রতি কোন অনুভূতি নেই।”

“কেন নেই?আপু যথেষ্ট সুন্দরী, ম্যাচিউরড, শিক্ষিত। তো?”

সাঈদ এবারে হাসিটা বিস্তৃত করল। মজার ভান করে বলল,

“পৃথিবীতে সুন্দরী, শিক্ষিত, ম্যাচিউরড মেয়ের কি অভাব পড়েছে জ্যোতি? ”

জ্যোতির গম্ভীর গলা,

“ আপু আপনাকে ভালোবাসে।পৃথিবীতে সুন্দরী, শিক্ষিতা হাজারটা মেয়ে থাকলেও তার মতো ভালোবাসবে কেউ?”

“ যে ভালোবাসা মানুষকে প্রতিনিয়ত মরন যন্ত্রনা দেয়, যে ভালোবাসার কলঙ্ক সারাজীবন বয়ে নিয়ে একটা মানুষকে নিঃশেষ হতে হয় সে ভালোবাসা আমার জীবনে না আসুক জ্যোতি !”

জ্যোতির এবারে ফের আর কিছু জিজ্ঞেস করল না। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই ভেবেই উঠে দাঁড়াল। বলল,

“ আসছি সাঈদ ভাই। ”

সাঈদ উঠে দাঁড়াল। জ্যোতির দিকে তাকিয়েই বলল,

“ চলো,রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে আসি। ”

পরমুহুর্তে বিল পে করে বেরিয়ে আসল দুইজনে। রিক্সা ডেকে জ্যোতিকে উঠিয়ে দিবে ঠিক তখনই মেহেরাজের দেখা মিলল। সাঈদ দাঁত কেলিয়ে হাসল ওকে দেখামাত্রই। ঘাড়ে চাপড় বসিয়ে শুধাল,

“ বাহ!পার্ফেক্ট টাইম। এতোটা সময় মেনে কি করে চলিস তুই?”

মেহেরাজ ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ল। বিরক্তির সুরে বলল,

“ফোনে যেভাবে গম্ভীর গলায় ডেকে পাঠালি ঠিক সময়ে না এসে তুই আহাম্মকের মতো দেরি করে আসাতে লাভ হতো?এবার বল, মন খারাপ কেন? ”

সাঈদ হাসল৷ ছেলেটা সত্যিই বন্ধু হিসেবে উত্তম। কি করে বুঝল তার মন খারাপ? আলতো হাসতেই মেহেরাজ তীক্ষ্ণ চোখে চাইল। ভ্রু নাচিয়ে শুধাল,

“কি? ”

কথাটা বলার পরপরই চোখে পড়ল জ্যোতিকে। সাঈদের পেঁছনেই দাঁড়ানো। মুহুর্তেই যেন কপালে ভাজ পড়ল। ভ্রু জোড়া কুঁচকে নিয়ে জ্যোতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ল,

“ তুই? তুই এখানে কেন সাঈদের সাথে ? ”

জ্যোতি নির্লিপ্ত স্বরে উত্তর দিল,

“ সাঈদ ভাইয়ের সাথে কিছু প্রয়োজন ছিল তাই৷ ”

ফের প্রশ্ন,

“ কি প্রয়োজন? ”

“ওটা ব্যাক্তিগত বিষয় মেহেরাজ ভাই। ”

কথাটা বলেই দ্রুত রিক্সায় উঠল জ্যোতি। মেহেরাজ বিরক্ত হলো। একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের ব্যাক্তিগত বিষয় কি থাকতে পারে?কেনই বা থাকবে যেখানে মেয়েটা জ্যোতিই? ভ্রু নাচিয়ে সাঈদের দিকে তাকাল এবার। সাঈদও উত্তর দিল না। উত্তর কিই বা দিবে? তারই বোন সাঈদকে ভালোবাসে, আর সে বিষয়টা নিয়েই কথা বলতে এসেছিল জ্যোতি এটা বলার চেয়ে বোধহয় ঘটনাটা চেপে যাওয়াই ভালো। তাইতো বাঁকা হেসে শুধাল,

“ সিক্রেট ব্রো!”

মেহেরাজের মেজাজ খারাপ হলো। দুইজনেরই সিক্রেট বিষয় কি থাকবে?দাঁতে দাঁত চেপে শুধাল,

“ তুই আবার অন্যদের মতো ওর সাথেও রিলেশন করে মজা নিচ্ছিস না তো?”

সাঈদ অসহায়ের মতো তাকাল। নিরস গলায় বলল,

“উহ, সত্যি বলছি দোস্ত !আমি ওর সাথে শুরু থেকে ফ্লার্টিং বয়কট করেছি। জিজ্ঞেস করতে পারিস। ”

মেহেরাজ গম্ভীর স্বরে শুধাল,

“তোকে বিশ্বাস নেই। তুই দুনিয়ার সব মেয়ের সাথেই যা ইচ্ছে করতে পারিস।”

.

মেহু মেহেরাজের থেকেই মেঘের নাম্বার নিল। কল দিবে ভেবেও দেওয়া হয়নি সারাদিন। অবশেষে কল দিয়েই দিল। ওপাশ থেকে রিসিভড হতেই বলে উঠল,

“আমি মেহু মেঘ। আপনাকে কিছু কথা বলার ছিল। বলব?”

উত্তর এল,

“ অবশ্যই, বলো।”

মেহু ছোট শ্বাস ফেলল। বলল,

“আমি আপনাকে ভালোবাসি না মেঘ।ভালোবাসতে পারব কিনা তাও জানা নেই।কারণ অন্য কাউকে ভালোবাসি আমি।অন্য কাউকে ভালোবাসি জানার পর কি আপনি আমায় বিয়ে করতে চাইবেন? বিয়েটা না করাই উত্তম না?”

মেঘের গলা হঠাৎই থেমে গেল। ভয়টা যেন সত্যি হয়ে গেল এইবার। হৃদয় দুমড়ে মুঁছড়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে। উহ!যাকে এতকাল ভালোবেসেছে, এতকাল যাকে নিয়ে স্বপ্ন সাঁজাল সে তাকে ভালোবাসে না। বরং অন্য কাউকে ভালোবাসে। এর চেয়ে কষ্টময় কিছু হয়? হয় না। এর চেয়ে যন্ত্রনা আর কোনকিছুতে নেই। একমুহুর্তের জন্য মনে হলো সবটা মিথ্যে। অস্ফুট স্বরে বলল,

“সত্যিই ভালোবাসো অন্য কাউকে?”

“হ্যাঁ।”

মেঘের দম আটকে আসল। হঠাৎ অনুভব করল সে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। হাত পা কাঁপছে কেন জানি। বুকের ভেতর কি ভীষণ যন্ত্রনা! দুমড়ে মুঁছড়ে যাওয়া যন্ত্রনা। সে যন্ত্রনা নিয়েই আহত স্বরে বলল,

“তোমার সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ তোমার বাবা মা মারা যাওয়ার পরই মেহু। বারো, তেরো বছর বয়সী একটা মেয়ে ছিলে।নিরবে চোখের পানি ফেলছিলে। আমি জানি না সে বয়সে আমার কি হলো। তোমার সে কান্নাভেজা চোখ দেখেই আমার মায়া হলো। কিশোর মনে কোথাও অস্থিরতা অনুভব হলো। সে থেকে আমার এক সাংঘাতিক অসুখ করেছে। অসুখটার নাম হলো মেহু!ঘুমাতে পারি না, খেতে পারিনা, সর্বক্ষন তোমার ভাবনায় ঘিরে থাকে আমায়। আমার তো দোষ ছিল না। দোষ ছিল কোন?এই বারোটা বছর আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন সাজালাম, একপাক্ষিক অনুভূতি পুষলাম, দূর থেকে ভালোবেসে গেলাম সব তবে ভুলে যেতে বলছো?জানো মেহু? ভালোবাসার মানুষ ভালো না বাসলেও অতোটা কষ্ট হয়না, যতোটা কষ্ট হয় যখন জানতে পারি ভালোবাসার মানুষটাই অন্য কাউকে ভালোবাসে। বিধাতা আমার ভাগ্যেও তো কিছু ভালোবাসা লিখতে পারত। ”

মেহু বিনিময়ে উত্তর দিতে পারল না।মেঘ ফের বলল করুণ স্বরে,

“মেহু? আমাকে কি এইটুকু ভালোবাসারও সম্ভাবনা নেই? এইটুকু ভালোবাসাও কি যায়না মেহু? আমার কেমন দমবন্ধ হয়ে আসছে। ইচ্ছে হচ্ছে মারা যাই। অবশ্য এর চেয়ে বোধহয় মৃত্যুই উত্তম!”

“ আমি আপনার মৃত্যু চাই না।”

“ অথচ তুমি এই মুহুর্তে আমায় মৃত্যুযন্ত্রনাটাই উপহার দিলে৷কি সাংঘাতিক বিষাদময় যন্ত্রনা।বিধাতার কি অদ্ভুত নিয়ম দেখো মেহু। যে ভালোবাসাটা আমি এতোটা সময় ভালোবেসেও, এতোটা প্রার্থনা করেও পেলাম না সে ভালোবাসাটাই অন্য কেউ কতোটা সহজে পেয়ে গেল। বিধাতা বড়ই নিষ্ঠুর! ”

#চলবে…

[ কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here