#মায়া_মহল (১৭) #রহস্য
কলমে #রেহানা_পুতুল
এরপর মায়া বাকি স্যুপের বাটি হাতে করে দ্রুত পায়ে হেঁটে কায়রুসের রুমের সামনে গেলো। দরজায় দাঁড়িয়ে নম্র হেসে অনুমতি প্রার্থনা করলো,
আংকেল আসতে পারি?
হুম। আসো মায়া।
আংকেল এই নেন, স্যুপ বানিয়েছি আপনার জন্য।
ওহ হো। ধন্যবাদ মায়া।
কায়রুস স্নেহপূর্ণ হাসি দিয়ে সব স্যুপগুলো খেয়ে নিলো খুব আয়েসী ভঙ্গিতে।
মায়া রুমের ভিতরে চেয়ারে একপাশে বসে রইলো কায়রুসের সামনেই। দরজা চাপানো ভিতর থেকেই।
দারুণ স্যুপ বানাতে পারো তুমি। মাশাল্লাহ।
জি আংকেল। দোয়া করবেন আমার জন্য।
এভাবে একথা ওকথা বলতে বলতে প্রায় বিশমিনিট সময় অতিক্রম হয়ে গেলো। মায়া তীক্ষ্ণ নজরে কায়রুসকে দেখছে আড়চোখে।
কায়রুসের মুখের স্বাভাবিক ভঙ্গি অস্বাভাবিক আকার ধারণ করলো। সারামুখ বিকৃত করে ফেলল কায়রুস।
আংকেল কি হয়েছে? কোন সমস্যা? খারাপ লাগছে?
হুম। বুঝলাম না। এত অস্বস্তি হচ্ছে কেন। আমিতো চিকেন স্যুপ সবসময় খাই। গলাটা চুলকাচ্ছে কেন?
খুব চুলকাচ্ছে নাকি আংকেল? ধীর কন্ঠে ছল করে বলল মায়া।
কায়রুসের গলা থেকে শুরু করে পেটের ভিতরেও অসহনীয় জ্বালাপোড়া শুরু হলো। ক্রমশ তা ছড়িয়ে যাচ্ছে গোটা শরীরে। তীব্র যন্ত্রণা ও চুলকানি শুরু হলো। রেগে গিয়ে মায়াকে বলল,
তোমার বানানো স্যুপ খেয়েইতো এমন কষ্ট হচ্ছে। জলদি যাও। মহলের সবাইকে ডেকে আনো। আমাকে হসপিটালে নিতে বলো।
উহ! আহ! মাগো! ওহ খোদা রহম করো!
মায়া বসেই রইলো। উঠে গেল না।
কায়রুস আর্তচিৎকার করে উঠলো। কিন্তু মায়া ছাড়া এই বিশাল মহলে কারোই কর্ণকুহরে পৌঁছালো না তার চিৎকার। এই অসভ্য মেয়ে, যাওনা কেন সবাইকে ডাকতে?
মায়া উঠে দাঁড়ালো আস্তে করে। এভাবে সময় গড়িয়ে এক ঘন্টা অতিবাহিত হলো।
আমি কাউকে ডাকতে পারব না আংকেল।
কেন? বলে কায়রুস বিদঘুটে ভয়ংকর চাহনি নিক্ষেপ করলো মায়ার মুখাবয়বে।
মায়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বলল,
কারণ আমি চাইনা আপনি সুস্থ হোন। বেঁচে যান। প্রতিশোধ নিয়েছি আমি। পিতামাতা হত্যার প্রতিশোধ। আজ হতে উনিশ বছর আগের এক ঝড়ের রাতের বিভৎসতার কথা মনে আছে আংকেল? মনে আছে আপনার ছোট ভাই আমিনুলের মেয়ে মায়ার কথা? যার নামে এই মায়া মহল?
কায়রুস ভয়ার্ত করুণ মুখে চাইল মায়ার দিকে। কেএএ…কেএএ তুমি?
আমি মায়া। কাজল ও আমিনুলের একমাত্র সন্তান। আপনার প্রাণনাশকারী। তফুরা আমার পালিত মা।
তোকে এক্ষুনি আমি মেরে ফেলব বলে কায়রুস তাকে হাত বাড়িয়ে ধরতে গেলো। মায়া প্রায় দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে মায়ের পাশে শুয়ে গেলো দরজার ছিটকিনি আটকে দিয়ে।
কায়রুস কাত চিৎ হয়ে শাহেরের রুমের সামনে গিয়ে আছড়ে পড়লো। চিৎকার করতে করতে দরজা ধাক্কাতে লাগলো। শাহের পিতার কন্ঠ শুনেই বেরিয়ে এলো।
বাবা বাঁচাও। মায়া কালনাগিনী। আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে। স্যুপে বিষ মিশিয়েছে। হাসপাতালে নাও আমাকে।
শাহের সবাইকে ডেকে তুলল চেঁচিয়ে। সবাই জড়ো হয়ে গেলো। আঞ্জুমান ও এলো। মায়া ও তফুরাও এলো চোখ র*গড়াতে র*গড়াতে। শাহের মায়ার দিকে অবজ্ঞার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। মুখে কিছুই বলল না। সে সময়টুকু এখন নেই।
মহলের কেউই বাকি রইল না কোথাও। পরশ ও এলো। সবাই কায়রুসের দৈত্যের ন্যায় শরীরটাকে ধরাধরি করে গাড়ির ভিতর বসিয়ে দিলো। শাহের গাড়ি ড্রাইভ করে পিতাকে নিয়ে গেলো নামকরা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে। গাড়িতে করে আরো গেলো রুস্তম,আঞ্জুমান, কুমকুম। মহল খালি হয়ে গেলো। মর্জিনা ও তফুরা কিছুক্ষণ মহল নিয়ে আলাপ আলোচনা করলো। তারপর তফুরা ঘুমিয়ে গেলো। মর্জিনাও ঘুমিয়ে গেলো।
পরশ মায়াকে ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল,
কি করলা আম্মা?
কিছুই করিনি চাচা। স্যুপ খাওয়াইছি মাত্র।
তোমার হাতের স্যুপ তো ম্যালা স্বাদ হুনলাম।
সেটা বাদ দেন চাচা। কাজের কথায় আসি। এই সুযোগ। গুপ্তধনের বিষয় বলেন আমাকে। আর মহলের পিছনে একটা পরিত্যক্ত দরজা দেখলাম। সেটা কিসের? রুস্তম বলল এই মহলে কেউ ঢুকলেই তার লা*শ পড়ে। আমি আসার পর হতেতো কই এমন কিছুই শুনলাম না। আভাস ও পেলাম না। সব বলেনতো আমাকে।
পরশ ইতিউতি চাইলো। লম্বা গোঁফ দাঁড়িয়ে বার কয়েক হাত বুলিয়ে নিলো। বলল,
এটা আমিও লক্ষ্য করছি মা। খোদার অশেষ রহমত। তোমার পা পড়ার পর হতেই বাইরের কেউই আর গুপ্তধন চুরি করতে আসেনি। আগে কয়েকবার আসছে আর তাদের গলা কাটা পড়ছে।
আর তোমার দেখা দরজা দিয়ে ঢুকলেই গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যাবে। যদিও তারা সবাইকে বলে বেড়ায় এটা ধানের গোলাঘর। এমনিতে এইটাও সত্যি। তবে মূল উদ্দেশ্যে সোনাদানা লুকিয়ে রাখা।
শোন,এই গ্রামের পাশের গ্রামে বেশী হিন্দুদের বসবাস ছিলো। বিশেষ করে বিহারি জাতির। এই স্থানটা ছিলো পরিত্যক্ত জংলা। দিনেও লোকজন আসতে ভয় পাইতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য যখন যুদ্ধ হইলো। তখন হিন্দুরা সব গ্রাম ছেড়ে,দেশ ছেড়ে পালায়া গেছিলো। কারণ তারা মুসলমানের চাইতে বেশী ডরায়া গেছিলো। তো এমন এক সময় সেই গ্রামের সবাই আইসা তাদের সোনা গহনা পুটলি ভইরা এইখানে মাটির নিচে পুইঁতা রাখছিলো। তাদের হিসাব ছিলো যুদ্ধ থাইমা গেলে আবার গ্রামে ফিরা আইবো।।আর গয়নাগুলো ফিরা নিবো। তো এমন একদিন আমার আব্বা আমগোরে নিয়া এখানে লুকাইছে। এমন সময় কিছু হিন্দু মুসলিম আইসা তাদের গয়না লুকায়া গেছে। আব্বায় সেটা দেখছে। আমাদের বাড়ি ছিলো এই গ্রামেই। তবে কয়েকবাড়ি পরেই ছিলো তা। একসময় দেশ স্বাধীন হইলো। তারা কেউ আর ফিরা আইলো না। তাদের গয়নার বিষয়টা আমাদের পরিবার ছাড়া কেউই জানতো না।
এরপর আমার আব্বা এই পুরা জায়গাটা কিনে নেয়। আমি ও তোমার আব্বা তখন ছোট। কিছুই তেমন বুঝতাম না। কিন্তু কায়রুস ভাই বড় ছিলো। সব বুঝতো। তো আব্বা লোকজন দিয়ে গাছাগাছালী কাইটা,জংলা পরিষ্কার কইরা বাড়ি বানানোর উপযুক্ত করে নেয়। আমাদের এই বাড়ি তৈরি হইয়া গেলো। এসব কিন্তু আমি শুনেছি। আর পরেতো নিজেই দেখলাম। আব্বার বেশ কৌতুহল জাগলো মনে। ভাবলো তারাতো এসে যার যার গয়নাগুলো নিয়ে গেল। তবুও একটু খুইঁড়া দেখি।
আব্বা এক নির্জন রাতে বড় ভাইরে নিয়া মাটি খুদে নিলো। সঙ্গে আমিও ছিলাম। ওরেব্বাপ! মাটির হাঁড়ি ভর্তি গহনা পেয়ে গেলো। আব্বার কৌতুহল সপ্তমাকাশে উঠে গেলো। এভাবে মাটি খুদে খুদে সব গয়না তুলে নিলো। সব মিলিয়ে কয়েক কেজি সোনার গহনা হয়ে গেলো। যেমন চকচকে তেমন সুন্দর গয়নাগুলো। আব্বা বিস্মিত হয়ে গেলো। সবগুলো গহনা ঘরে নিয়ে আলমারিতে রেখে দিলো। ঠিক করলো থানায় নিয়ে জমা দিবে। কিন্তু বড় ভাই ছিলো ভীষণ লোভী ও স্বার্থপর। সে বাধ সাধলো। নয়ছয় করে আব্বাকে বুঝিয়ে নিলো। কয়েক মাস হলো কিন্তু সে গয়নাগুলো জমা দিতে দিলনা। কাউকে জানাতেও দিল না। আব্বার লগে এই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলল। সে গয়নাগুলো নিজের দখলে নিয়ে নিলো। আমাকে ও তোমার আব্বাকে তো পাত্তায় দেয়না। হামকি ধুমকি দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে থামিয়ে দিতো। এভাবে একসময় আব্বা শারীরিকভাবে নরম হয়ে যায়। আব্বা সব সম্পত্তি তোমার আব্বার নামে দেওয়ার এটাও একটা বড় কারণ ছিলো। আমি সেদিন তোমাকে বলতে ভুলে গেছি মা। আইচ্ছা বয়স হইছে না। আর কত কি ইতিহাস মনে রাখবো। কও।
একসময় আব্বা মইরা যায়। আমরা বড় হই। আমিনুল বড় অফিসার হয়। গয়নার বিষয় পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করে বড় ভাইরে। সে কিছুতেই রাজী হয়না। তার বউর অনেক গয়না এখান থেকেই হইছে। ঢাকায় সে বাড়ি করছে এই গয়না কিছু বেইচাই। বড় ব্যবসা শুরু করছেও এই গহনা বেইচাই। সেই পরিবারদের কেউ হয়তো ফিরা আসছে। বা কোনভাবে কেউ জানছে বাইরের লোকজনের মইধ্যে। তাই এই গুপ্তধন সোনাদানার জন্য মাঝে মাঝে চোর, ডাকাত আসতো। অচেনা কেউ ঢুকে পড়তো মহলে। বুঝলে মা এই হলো গুপ্তধনের গুপ্ত রহস্য।
মায়া বলল,তো এখন এগুলো কার তত্ত্বাবধানে আছে চাচা?
শাহের বাবাজির তত্বাবধানে। এখনতো বাইরে চলে তার হুকুমদারি। আর অন্দরে চলে তার মায়ের বেগমগিরি।
চাচা আপনি কি আমাকে সেই গোলাঘরে ঢুকতে সাহায্য করবেন?
কখন? এখন তো রাইত বাইড়া গেলো।
আরেহ চাচা। এখন নাহ। পরে অন্যদিন। সময়-সুযোগ করে। আপনি এখন চলে যান। গিয়ে ঘুমান।
পরশ চলে গেলো। পরেরদিন ভোরেই হাসপাতাল থেকে সবাই বাড়িতে এলো। সঙ্গে করে নিয়ে এলো কায়রুসের মৃতদেহ। আঞ্জুমান তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী। এক সন্তান মরে গেলো। কোন মেয়ে নেই তার। নেই কোন মায়ের পেটের বোন। তাই কায়রুসের জন্য বুক চাপড়ে বিলাপ কেউই করল না। দূরাত্মীয় অনাত্মীয় কিছু নারী অল্পকিছু অশ্রু ফেলল হায় হায় করতে করতে।
নিয়মানুযায়ী স্বাভাবিক পরিবেশেই কায়রুসের লা*শ দাফন সম্পন্ন হয়ে গেলো। মায়া অভিভাবকের মতো দায়িত্ব পালন করতে লাগলো। কারণ আঞ্জুমান ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বিছানায় পড়ে আছে নির্জীবের মতো। কুমকুম ও জরিনার মনও বিপন্ন হয়ে আছে। শাহেরের চোখেমুখেও ঘোর অমাবশ্যা লেগে আছে।
সেদিন বিকেলে মায়া শাহেরের রুমে গেলো।
শাহের ভাইয়া মন খারাপ করবেন না। আংকেলের জন্য আমারও খুব খারাপ লাগছে।
শাহের বেদনার্ত মুখে মায়ার দিকে চাইলো। বলল,
ভিতরে এসে বসো মায়া। ছোটবাবু বাদ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মায়া। ভাইয়া বলার প্রয়োজন নেই। ফরমালিটি সব সিচুয়েশনে সব ব্যক্তির ক্ষেত্রে মানায় না। তুমি জানো এবং মানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। বাবা বলল তুমি বাবার স্যুপে বিষাক্ত কিছু মিশিয়েছো।অর্থাৎ বাবাকে তুমিই মেরে ফেললে।
মায়া আকুল চোখে শাহেরের দিকে চেয়ে রইলো। বলল,
একই সময়ে একই প্যানে বানিয়ে আপনাকেওতো স্যুপ দিয়েছি। আর বিষ কই পাবো আমি?
সেটা ভেবেইতো কনফিউজড আমি। তবে আমার ধারণা অন্যকিছু মায়া।
আপনার ধারণা একশো পারসেন্ট রাইট ভাইয়া। বলতেও লজ্জা লাগে এসব। তবুও বলতে হচ্ছে,
উনি বাড়ি আসলো কতদিন হলো। নারী সঙ্গ ছাড়া বাড়িতে একাকী উনি। চোখের সামনে একটা যুবতী মেয়েকে দেখছে। তাই সেদিন উনিও অন্যদের মতো আমাকে…পরে আমি হাত কামড়ে পালিয়ে যাই। আপনার কাছে গিয়ে সত্যিটা না বলতে পেরে বানিয়ে অপরাধী করে দিলো আমাকে।
মায়া মায়াকান্না শুরু করে দিলো। শাহের মায়ার মাথাকে নিজের বুকের ওমে মিশিয়ে নিলো। চুলের ভিতর পাঁচ আঙ্গুল গলিয়ে দিলো। বলল,
থাক আর বলতে হবে না। সেটা গতরাতেই আমি ধারণা করতে পেরেছি।যাইহোক আমার তো বাবা। খুব মিস করতেছি বাবাকে। শাহের কেঁদে ফেলল। মায়া শাহেরকে শান্তনা দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
তার দুইদিন পর রাত বাড়লে মায়া সন্তপর্ণে জল্লাদ রুস্তমের রুমে যায়। ওড়নার নিচে লুকিয়ে নেয় ধারালো একটি বড় চাকু।
আরেহ মায়া ক্যান আইলা? আসো। বসো।
আমি আপনার কাছে একটা জরুরী কাজে আসছি চাচা।
কি মায়া?
আপনি এই বাড়ির আমিনুল ও তার স্ত্রী কাজলকে মেরে ফেলতে সাহায্য করেছেন কেন?
তা দিয়া তোমার কাম কি? কে কইছে এমন ভুয়া কথা তোমারে?
মায়া দেখলো রুস্তমের লোভাতুর দৃষ্টি মায়ার বক্ষযুগলের উপরে নিবদ্ধ। সে বারবার জিহবা দিয়ে নিজের শুকনো ঠোঁটকে ভিজিয়ে নিচ্ছে।
সত্যি কিনা স্বীকার করেন। নইলে, মায়া চাকুটা তাকে দেখিয়ে মাটিতে রাখলো।
করমু। চাকু ক্যান তোমার সঙ্গে? আমারে মারবা বুঝছি। তার আগে তোমারে ভালোমতো খাইয়া লই। আসো খুকী। সবার এত আকর্ষণ তোমার কচি দেহটার উপরে। না জানি কত মধু এর ভিতরে। রুস্তম মায়াকে চিৎ করে শুইয়ে দিলো। তার দরজা বন্ধ। সে মায়ার সেলোয়ার খোলার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় দরজায় শব্দ করে লাথি পড়ে কারো। টিনের দরজা খুলে যায় শাহেরের বুটের আঘাতে।
শাহের ভিতরে ঢুকেই বাঘের ন্যায় গর্জন করে উঠে। বিশ্রী ভাষায় গালি দেয় রুস্তমকে। গলা টিপে ধরে রুস্তমের। মায়া উঠে সরে যায় একপাশে। শাহের মাটি থেকে চাকুটি হাতে তুলে নেয়। এক পোচ মেরে রুস্তমের গলার র*গ কেটে ফেলে। রুস্তম গলা কাটা মুরগীর মতো তড়পাতে তড়পাতে মারা যায়।
শাহের মায়ার গলা টিপে ধরে। রক্তচক্ষু নিয়ে বলে,
তুমি এর কাছে এলে কেন? সমস্যা কি তোমার? ভালোবাসি বলে মনে করনা তোমার সাতখুন মাফ। উল্টাপাল্টা চললে তোমাকে বরফ কুচি বানিয়ে নিবো একদম।
আপনিও মনে করবেন না ভালোলাগে বলে আপনার কোন অপরাধ আমি টলারেট করবো। কিমা বানিয়ে ফেলব এক্কেবারে কুচি কুচি করে।
শীতল কন্ঠে বলল মায়া।
মায়ার শাণিত কথার আঘাতে শাহের বিষ্ফোরিত চোখে তাকালো মায়ার দিকে। বলল,
তোমার এত দুঃসাহসী হয়ে উঠার রহস্য আমি ভেদ করবোই।
চলবে…