একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি পর্ব ১২

0
120

একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি -১২

অমিত এফডিসিতে ডাবিং শেষ করে বাসায় ফিরছিল। পরশু ব্যাংককের ফ্লাইট। পুরো সাতদিন সেখানে শ্যুটিং। ফিরে এসে সিলেটে কাজ আছে, সিলেট থেকে কক্সবাজার৷ দুই সপ্তাহ পুরো প্যাকড।
নওরিনকে ফোন করতে গিয়ে অমিত ভাবল, নওরিনের জীবনে সে ঢুকে ওকে একটা সমস্যায় ফেলে দেওয়া হবে। যেটুকু কাছে আসা হয়েছে, সেটুকু এখনো তেমন কোনো ক্ষতি হয় নি। আর নওরিনের জব হয়ে গেছে৷ আশফাকের সাথে হয়তো বিয়েও হয়ে যাবে, এখন শুধু শুধু ওর লাইফে না ঢোকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

অনেক রাতে বাসায় ফিরল অমিত। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয়। ডিনার করে নিয়েছিল বাইরেই। এখন খিদে পাচ্ছে। এক কাপ কফি হলে মন্দ হতো না।
অমিতের আবারও মনে হলো, সে নওরিনকে মিস করছে, একান্ত ভাবে আশা করছে।

সকালে নাস্তার টেবিলে, অমিত মাকে বলল, আমি বিয়ে করতে চাই। তোমাদের কোনো আপত্তি আছে?

অমিতের মা ভীষণ অবাক হয়ে বললেন, এই না বলতি বিয়ে করলে ক্যারিয়ারের বারোটা বেজে যাবে।
ম্যারিড হিরো পাবলিক পছন্দ করে না!

অমিতের বাবা বললেন, মেয়ে কি পছন্দ করেছ নাকি?

অমিত বলল, এখনো ফাইনাল না। তবে পছন্দ করেছি। বিয়ে করলেও সেটা মিডিয়ায় জানানো যাবে না। খুবই কনফিডেন্সিয়াল রাখতে হবে।

তাহলে বউ বাসায় আনবি কি করে?

অমিত চিন্তা করে বলল, সেটাও একটা সমস্যা। কিন্তু বিয়ে করতে চাচ্ছি, আর সিক্রেটও রাখতে চাচ্ছি।

★★★

নওরিনের মা ফোন করেছেন সকালে। নওরিনের আজ অফিসে যেতে হবে। সে একটু ব্যস্ত ছিল, রেডি হচ্ছিল।

আশফাকের সাথে কথা হয়েছে তোর?

না মা, আর কথা হয় নি।

ওর বাসায় কথা বললাম, খুবই ভালো ফেমিলি। মায়ের কথাবার্তাও নরম। শাশুড়ী নরম হওয়া ভাগ্যের বিষয়।

মা আমি এখন অফিসে যাব। আজকে আমার প্রথম দিন। পরে কথা বলি?

আশফাকের সাথে কথা ফাইনাল করে ফেলি, তোর চাকরির বিষয়ে তো ওর আপত্তি নাই৷

নওরিন বের হতে হতে বলল, যা মন চায় করো।

★★★★

নওরিন অফিসে গিয়ে নিশ্চিত হলো, সত্যিই তার জবটা হয়েছে। সে একটা ডেস্ক পেয়েছে। আরো আট জন জয়েন করেছে৷ এই নয়জনকে ট্রেনিং করতে হবে তিনমাস। তারপর মূলত কাজ শুরু হবে।

ব্যাংকক যাওয়ার আগে অমিত আর একবারো ফোন করেনি নওরিনকে। নওরিনও করে নি।

ব্যাংককের ফ্লাইটে ওঠার আগে অমিত নওরিনকে ফোন করল ।

নওরিন একটু ব্যস্ত ছিল।

নওরিন, আমি ব্যাংকক যাচ্ছি। আমাকে ফোনে পাবে না কয়েকদিন।

নওরিন বলতে যাচ্ছিল, আমি তো আপনাকে খুঁজবও না, কিন্তু বলতে পারল না। বরং বলল, হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাবে না?

হ্যা, যাবে৷ আর আমি এয়ারপোর্টে নেমে সিম নিয়ে তোমাকে জানিয়ে দেব। টেনশন করো না। সময় ছিল না বলে দেখা করে যেতে পারলাম না।
টেক কেয়ার অফ ইওরসেলফ!

নওরিন বলল, সাবধানে থাকবেন। ফি আমানিল্লাহ৷

ফোন রাখার পরে নওরিন ভাবল, এভাবে কেন কথা বলল নওরিন!
অমিত ভাবল, ফোন না করলে কি হতো! কি দরকার ছিল ওকে জানানোর!

চলবে

শানজানা আলম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here