#সূর্যোদয়
#পর্ব_২১
#কারিমা_দিলশাদ
৫৩.
পহেলা বৈশাখের পর এক সপ্তাহ কেটে গেছে। এই এক সপ্তাহে ঐশীর জীবনে নতুন এক ঝামেলার উৎপাত শুরু হয়েছে। এসপি মারুফ হাসান। ওইদিনের পর থেকে লোকটা প্রতিদিন তাকে ফোন, মেসেজ করে যাচ্ছে। কোত্থেকে নাম্বার পেয়েছে তা তার জানা নেই। যদিও আজকালকার যুগে কারো কনটাক্ট নাম্বার বের করা আহামরি কোনো বিষয় না। তারউপর যদি হয় ক্ষমতাবান কেউ।
ঐশী তিক্ত বিরক্ত মন মেজাজ নিয়েও লোকটার ফোন মেসেজের রিপ্লাই যথাসম্ভব দিয়ে যাচ্ছে। এর জায়গায় অন্যকেউ হলে এতোক্ষণে ওই লোকের গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়তো। এখানে লোকটা পুলিশ। এখন চাইলেই তো আর তাকে কিছু বলা যায় না।
কিন্তু ঐশী তার কথাবার্তায় এড়িয়ে যাওয়ার ভাব রেখে কথা বলে। যেন লোকটা বুঝতে পারে সে বিরক্ত। এন্ড ঐশী সিওর লোকটা এসব বুঝতে পেরেও আমলে নিচ্ছে না। এটাই ঐশীর মেজাজ আরও বেশি খারাপ করছে।
৫৪.
ঐশী ক্লাস শেষে আশার সাথে কথা বলতে বলতে ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হচ্ছিল। আজকে ঘুরবে বলে ঠিক করছে তারা। আজকে ঐশীর ডান্স ক্লাস নেই। আজ কাল দুদিন বন্ধ। ডান্স ক্লাস শুরু করার পর থেকে ফ্রেন্ডদের সবাইকে আর তেমন টাইম দেওয়া হয় না। যদিও বাকিরাও ব্যস্ত। তাই প্ল্যান করছে স্পেশাল কিছু করার।
এরমধ্যে ঐশীর ফোনে কল আসে। ফোন সামনে নিয়ে ‘ও গড!’ বলে উঠে ঐশী। আশা বলে,
“ কি হইছে? কে কল দিছে?”
“ প্যারা কল দিছে….” — বলে ফোনটা আশার চোখের সামনে ধরে। আশা ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফোনে ভাসছে “মি. প্যারা calling”. ঐশী মারুফের নাম্বার এই নামেই সেভ করে রেখেছে। আশা তা দেখে কিটকিটিয়ে হেসে উঠে।
ঐশী একটা মুখ মুচড়া দিয়ে চরম বিরক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করে লাউড স্পিকার অন করে দেয়। ভিতরে বিরক্তি থাকলেও ঐশী স্বাভাবিকভাবেই হ্যালো বলে। যার বিপরীতে ওপাশ থেকে ভেসে আসে,
“ হ্যালো ঐশী। কেমন আছেন?”
“ জ্বি স্যার ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?”
“ গুড। আমম ঐশী আপনার সাথে আমার কিছু জরুরি কথা আছে। আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনি চলে আসুন। আজকে তো আপনি ফ্রী তাই না? কলেজের ক্লাসও শেষ আর আপনার ডান্স ক্লাসও আজকে অফ তাই না?”
এসব শুনে ঐশী চোখ বড় বড় করে আশার দিকে তাকায়। ফোন দূরে সরিয়ে বলে,
“ এসব এ কিভাবে জানে?”
ওদিকে মারুফ হ্যালো হ্যালো করছে। তাই ঐশী তাড়াতাড়ি আবার ফোনটা কাছে নিয়ে বলে,
“ জ্বি স্যার শুনছি।”
“ তো আপনি আসছেন তো? আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। ”
“ স্যার স্যার… না মানে গাড়ি পাঠানোর কি দরকার। আসলে আজকে আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে। অন্য আরেকদিন আমরা মিট করি?”
“ নো প্রবলেম। আমি বেশি সময় নিব না। আমিই নাহয় আপনাকে আপনার গন্তব্য পৌঁছে দিব। বাট প্লিজ ব্যাপারটা জরুরি। আমি আর ওয়েট করতে পারছি না প্লিজ।”
ঐশী অসহায় হয়ে আশার দিকে তাকায়। আশার অবস্থাও সেম। যেতেই হবে। ঐশী এরপর তড়িঘড়ি করে বলে,
“ স্যার স্যার স্যার থাক থাক গাড়ি পাঠাবেন না প্লিজ। কোথায় যেতে হবে আপনি বলুন আমি আসছি।”
মারুফও মেনে নেয়। আর লোকেশন বলে কল কেটে দেয়। কল কেটে গেলে ঐশী ফোনটা দিয়ে নিজের মাথায় নিজেই আঘাত করে। আশাকে বলে,
“ কি আজব! এইভাবে একটা মেয়েরে কে ডেকে নিয়ে যায়? ব্যাটার মতলব কি বলতো?”
“ আল্লাহ জানে। এহন যাওয়া তো লাগবোই। বাই দ্যা ওয়ে একলা যাবি?”
“ হুয়াট!! পাগলা তুই! আমি একলা যামু কোন সাহসে? তুই যাবি আমার সাথে। একলা আমি জিন্দেগীতেও যামু না। আরও কিছু মানুষ হইলে ভালো হয়।
অনিকরা গেছে গা। কবিতাও গেছে গা। আচ্ছা প্রীতি রে ফোন দে। আমার ফোনে টাকা নাই। ওইটারে আসতে বল। না জানি ব্যাটা কি কয়।”
“ আচ্ছা দিতেছি। বাট দোস্ত… আমার মনে হইতেছি কি জানস? ব্যাটা তোরে প্রপোজ করবো।” — বলেই দাঁত বের করে হেসে দেয়।
আর আশার এমন কথায় ঐশী চোখ বড় বড় করে আশার উদ্দেশ্য বলে,
“ পাগলা নাকি তুই? ব্যাটা বিয়াত্তা। ”
“ ব্যাটা বিয়ে করছে তুই জানস? বলছে তোরে?”
“ আমম বলে নাই। বাট দেখ মাথার সামনে চুল নাই, তার উপরে আবার এসপি। তাইলে বয়স তো ভালোই।”
“এসপি কি বয়স দেইখা নেয়?”
“ কি জানি। বাট বিসিএস পাশ তো করা লাগে। এএসপি থিকা এসপি হয়। তো বয়স কম কইরা ৩০-৩৫ তো হবোই। তাই না। তো বিয়া না কইরা বইসা আছে? ”
“ কি জানি বইন।”
“ আচ্ছা যাইয়া নেই আগে। পরে দেহি কি কয়। আগেই আলতু ফালতু চিন্তা করতেছি।”
“ হুমম…. বাট দেহিস আমার কথায় ঠিক হবো।”
এতে ঐশী কিছুটা রা’গান্বিত হয়ে তাকায়। তাই আশা আর কিছু বলে না।
এরপর প্রীতি এলে ওকে নিয়ে তিনজন মিলে মারুফের বলা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্য রওনা হয়।
৫৫.
মারুফ বেশ অনেক্ক্ষণ ধরে ঐশীর জন্য রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছে। তার ভিতরে মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। নার্ভাস ফিল হচ্ছে উত্তেজনাও ফিল হচ্ছেআবার ভয়ও করছে। ঐশীকে দেখার পর থেকে তার মাঝে কিচ্ছু ঠিক নেই।
আজকের দিনটা তারজন্য বেশ স্পেশাল। রাফ এন্ড টাফ পুলিশ অফিসার হিসেবে ডিপার্টমেন্টে তার বেশ নামডাক আছে। অথচ সেই রাফ এন্ড টাফ পুলিশ অফিসারের বুক আজ যেন হাজার মাইল গতিতে লাফাচ্ছে। আরও কিছুক্ষণ পর দুটো মেয়ের সাথে ঐশী রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।
কফি কালারের থ্রি পিছ পড়া, খোলা চুলগুলো কাঁধের বামসাইডে এনে রাখা, কাঁধে কালো ফিতের টোট ব্যাগ, গরমে ঘেমে যাওয়া শ্যামলা মুখশ্রীতে নেই কোনো কৃত্রিমতার ছাপ। কিন্তু কি অসম্ভব মায়া সারা মুখ জুড়ে। ঐশী ঠিক শ্যামবরণও না, উজ্জ্বল শ্যামলা। তবে কোনো শ্যামবরণ নারীও বুঝি এতোটা মোহময়ী, মায়াবী হতে পারে তা মারুফের জানা ছিল না।
ঐশীকে আসতে দেখে মারুফ আপনাআপনি দাঁড়িয়ে যায়। তার চোখেমুখে ঘোর স্পষ্ট।
ঐশী রেস্টুরেন্টে ঢুকে চারদিকে নজর দিতেই মারুফকে দেখতে পায়। ইউনিফর্ম গায়ে দিয়ে লোকটা অদ্ভুত চোখে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ভিতরে ভিতরে অস্বস্তি আর বিরক্তি থাকা সত্বেও তা বাইরে একটু বুঝতে দেয় না সে। বরং একগাল হাসি নিয়ে এগিয়ে যায় মারুফের দিকে।
ঐশী যেতেই মারুফ খুবই ভদ্রতার সহিত গ্রহণ করে তাদের। ঐশী হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলে,
“ হাই স্যার। সরি। লেইট হয়ে গেছে না?”
“ নো নো ইটস ওকে। আপনারা বসুন না।”
“ ওহহ…… স্যার ওরা আমার ফ্রেন্ড। ও আশা আর ও প্রীতি।”
সবার সাথে পরিচিত হবার পর মারুফ ওদের বসতে বলে। ওরা তিনজন একসাথে বসে আর মারুফ অপর পাশে বসে। এরপর খাবার অর্ডার দেওয়া হয়।
সবাই চুপচাপ বসে আছে। ঐশী, আশা, আর প্রীতি একবার একজন আরেকজনের দিকে তাকাচ্ছে আবার মারুফের দিকে তাকাচ্ছে। আর মুখে ঝুলছে ক্যাবলা হাসি। কিসের জন্য তাকে এখানে ডাকা তার কিছুই বুঝছে না। মারুফও কিছুই বলছে না।
আর মারুফ ঐশীর সাথে আসলে অন্য কাউকে আশা করে নি। যদিও ঐশীর একা না আসাটাই স্বাভাবিক, সেটা সে জানে। তবুও তার খুব অস্বস্তি হচ্ছে। কিভাবে বলবে বিষয়টা বুঝতে পারছে না। তবুও সে কোনোরকমে টুকটাক কথা বলা চালিয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে সে বলে,
“ ঐশী আমার আপনার সাথে কিছু কথা ছিল।”
“ জ্বি স্যার, আপনি বলুন না।”
কিন্তু মারুফ ইতস্তত ভঙ্গিতে বারবার আশা এবং প্রীতির দিকে তাকাচ্ছে। ঐশীও মারুফের নজর ফলো করে ওদের দিকে একবার তাকায়। আশা আর প্রীতিও বিষয়টা বুঝতে পারে। তাই আশা বলে,
“ আচ্ছা আপনারা কথা বলুন।আমরা ওখানটাতে বসি। ” — এটা বলতেই টেবিলের নিচে আশার হাতটা খপ করে ধরে ফেলে ঐশী। যার মানে হচ্ছে প্লিজ যাস না। কিন্তু আশা ঐশীর কথা না শুনে ওর দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসি দিয়ে তাদের পাশের টেবিলে যায়। ওরা যেতেই ঐশী ইতস্তত ভঙ্গিতে একটা হাসি দেয়। এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে এখন এই হাসিই একমাত্র সঙ্গী।
এরমধ্যে ওয়েটারও খাবার দিয়ে যায়। মারুফ খাওয়া শুরু করতে বলে। খেতে খেতে ঐশী বলে,
“ স্যার আপনি কিছু বলার জন্য ডেকেছিলেন আমায়।”
“ ওহ হ্যা..”
মারুফ খাওয়া বাদ দিয়ে গলাটা একটু খাঁকারি দিয়ে নেয়। এরপর ঐশীর দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। এরপর বলে,
“ ঐশী আমি এতো নাটকীয়তা করতে পারি না। আমি সোজা মূল পয়েন্টে আসছি। আম আমি আ আমি আপনাকে… আই মিন আই ওয়ান্ট টু ম্যারি ইউ।”
ঐশী সবেই স্ট্র দিয়ে লাচ্ছিটা মুখে নিয়েছিল। মারুফের কথা শুনে সে বাজেভাবে বিষম খায়। অনবরত কাশতে থাকে ঐশী। মারুফ উঠে ঐশীকে টিস্যু দেয়। আর মাথায় হালকা করে ছুঁয়ে দিতে থাকে। একটু পর ঐশী ঠিক হলে মারুফ সরি বলে।
“ না না স্যার আই এম সরি। আপনি কি বললেন মাত্র?”
“ আই সেইড আই ওয়ান্ট টু ম্যারি ইউ।”
ঐশী হা করে তাকিয়ে আছে মারুফের দিকে। ঘাড় ঘুড়িয়ে আশাদের দিকে তাকিয়ে দেখে আশা মুখে স্ট্র নিয়ে তারদিকেই তাকিয়ে আছে। প্রীতিও সেম। মাঝখানের দূরত্ব কম হওয়ায় ওরা সবই শুনতে পারছে। ঐশী আবার মারুফের দিকে তাকায়, দেখে সেও তার দিকে তাকিয়ে আছে। ঐশী থম মে’রে যায়। কি বলবে সে। সে এসব এক্সপেক্ট করে নি। বিষয়টা একেবারেই আন-এক্সপেক্টেড। ঐশী হালকা হেসে বলে,
“ হুয়াট!! স্যার আর ইউ ওকে? কি বলছেন আপনি এসব! ইউ প্রপোজড মি!”
“ ইয়েস ঐশী।” — থেমে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলা শুরু করে মারুফ,
“ ঐশী আমার বাবা নেই৷ আমি অনার্স ফাস্ট ইয়ারে থাকতেই তিনি একটা এ’ক্সিডেন্টে মা*রা যান। আমরা তিন ভাই দু বোন। পরিবারের বড় সন্তান আমি। বাবা মা’রা গেলে পরিবারের সব দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে পড়ে। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি জব, ভাই বোনের পড়াশোনা, বোনদের পাত্রস্থ করা, সংসারের যাবতীয় খরচ সব আমাকেই সামলাতে হয়েছে।
এখন বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। একটা ভাইয়ের পড়াশোনা অলমোস্ট শেষের পথে আরেকজন এবার অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের দ্বায় দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে নিজের ভালো লাগা খারাপ লাগা নিয়ে কখনো চিন্তা করার সুযোগ পাই নি। আর তেমন কাউকে কখনো মনেও ধরে নি। বাট ফর দ্যা ফাস্ট টাইম আই এম স্টাক। লাভ এট ফাস্ট সাইড কিনা আমার জানা নেই। তবে আপনাকে দেখার পর থেকে, জানার পর থেকে আমি আর নিজের মাঝে নেই।
ঐশী দেখুন আমি জানি আপনার জন্য এটা খুবই আন-এক্সপেক্টেড। এই অল্প সময়ের পরিচয়ে আমার এই প্রপোজাল আপনার কাছে হাস্যকর লাগছে বাট আই এম হেল্পলেস। আমি আর পারছি না। আই ওয়ান্ট ইউ। প্লিজ……”
ঐশী স্তব্ধ। কি বলবে সে? ঐশী বেশ সময় নেয়। এরপর জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিয়ে দম ছেড়ে বলে,
“ স্যার আমি এসব প্রেম ভালবাসায় বিশ্বাসী না।”
“ আমি কিন্তু আপনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেই নি। সোজা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। এসব প্রেম ভালবাসার বয়স আমারও নেই।
হ্যা এই বিষয় নিয়ে আমার আপনার বাবা মা’র সাথেই কথা বলা উচিত। আমার মনে হয় না তারা এই প্রস্তাবে অরাজি হবেন। আশা করছি আমি। বাট আপনার মতামতটা জানা আমার জন্য জরুরি। আমি চাই আপনি মন থেকে আমাকে মেনে নিন।”
“ স্যার আমি এখন বিয়েও করতে চাই না। আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুত না।”
“ ঐশী আপনি বিয়ের পরও আপনার পড়াশোনা ডান্স ক্লাস কন্টিনিউ করতে পারেন। এতে আমার পূর্ণ সমর্থন পাবেন এবং আমাকেও আপনার পাশে পাবেন। আর বিয়ে তো এখনই হচ্ছে না। টাইম তো অবশ্যই লাগবে।”
“ না না এ হয় না। এসব আপনি কি বলছেন স্যার। কোথায় আপনি আর কোথায় আমি৷ এটা কখনোই সম্ভব না। ”
“ ঐশী তুমি নিজেকে ছোট করছো কেন। তুমি কি, কি যোগ্যতা এসব আমার জন্য এক্সিস্ট করে না। আমার কাছে কেবল তুমি এক্সিস্ট করো।
ঐশী ইউ আর দ্যা ফাস্ট গার্ল, যাকে দেখে আমার মনে হয়েছে তুমি আমার। ইউ আর মাই ড্রিম গার্ল। আমি বুঝাতে পারবো না ঐশী তোমাকে নিয়ে আমি কি অনুভব করি। ”
মারুফ আপনি থেকে কখন তুমিতে এসে পড়েছে কেউই তা খেয়াল করে নি। ঐশী বেচারি চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে। কি বলবে সে?
#ক্রমশ ……
( কপি করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।)