#বিয়ে
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব- ২২
ধ্রুব ওর কপালে কপাল ঠেকালো। এরপর আচমকা চোখমুখে অসংখ্য চুমু দিতে দিতে বলল,
— আমার ব্যথা এরচেয়ে ভয়ংকর।
অদ্রি এবার জোরে ধাক্কা দিয়ে ওকে সরিয়ে দিলো। ধ্রুব নিজের মধ্যে ফিরে এলো, ও হাঁপাচ্ছে। অদ্রি কাঁদতে কাঁদতে বলল,
— আপনি ভালোবাসতে জানেন না। খুব স্বার্থপর…
— আমি স্বার্থপর?
প্রশ্নটা যেন নিজের মনকেই করলো ধ্রুব। তবে উত্তর পেলো না। অদ্রিকে এভাবে প্রথম কাঁদতে দেখছে সে। ও হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। অনুমতি ছাড়া চুমু খেয়েছে এজন্য অদ্রি রেগে গেছে সেটা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে ও। মেয়েটা তো এখনো সহজ হয়নি ওর সাথে।
ধ্রুব কিছু বলার চেষ্টা করলো কিন্তু অদ্রি তা শুনতে রাজি নয়। একপ্রকার জেদ আর অভিমানের সংমিশ্রণে দারুণ রেগে গেছে ও। সেজন্য ধ্রুব’র কোনো কথা না শুনেই ও বিছানায় এসে শুয়ে পড়েছে। ধ্রুব হন্তদন্ত হয়ে ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলো,
— কান্না বন্ধ করো অদ্রি। আমি এমনটা করতে চাইনি…
অদ্রি ভেজা গলা। ও বিরক্ত হলো। বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,
— আমাকে এখন ঘুমাতে দিন। প্লিজ…
ধ্রুব আবারও অধৈর্যবোধ করলো,
— তুমি এত দুর্বোধ্য ব্যবহার কেন করছো আমার সাথে?
অদ্রি শক্ত কন্ঠে বলল,
— কারণ আপনার প্রতিটি ব্যবহার আমি ভুলতে পারিনি এখনো। আপনার প্রত্যেকটি অপমান মনের ভেতর গেঁথে আছে, যেখান থেকে মুছতে পারছি না। সবথেকে বেশি কোন কথাটা মনে আছে জানেন? আপনার বিয়ে ভাঙার সেই লেইম অফারের কথাটা।
— আমি তো ক্ষমা চেয়েছি অদ্রি, যত দিন গিয়েছে আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।
— ক্ষমা জিনিসটা কি এতই ঠুনকো? যে আপনি চাইলেন আর আমি করে দিলাম? এরজন্য তো…
ধ্রুব ওর কথা শেষ করতে দিলো না। তার আগেই বলে ওঠলো,
— তোমার কি তাহলে সময় প্রয়োজন? কতদিন? একদিন? একমাস? একবছর? ঠিক কতদিন অদ্রি?
— উহু! আদৌ জানিনা আমি আপনাকে মাফ করতে পারবো কি-না!
— ভালোবাসি এটা যথে..
অদ্রি হাসলো। সেখানে স্পষ্ট তাচ্ছিল্য মিশে আছে,
— শুনুন, আমার মা-বাবার প্রেমের বিয়ে, কিন্তু মা মারা যাওয়ার ঠিক পনেরোদিন পরেই আমার বাবা অন্য একজনকে বিয়ে করে নিয়ে আসে। ঠিক পনেরোদিন। ভালোবাসার স্থায়িত্ব ঠিক পনেরোদিন ছিলো…
ধ্রব নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল,
— আমি তো তোমার বাবা নই অদ্রি।
অদ্রি তীক্ষ্ণ স্বরে বলল,
— যে মানুষটা আমায় জন্ম দিয়েছে, যে মানুষটা আমাকে বড় করেছে সে যদি এভাবে পালটে যেতে পারে, মা’কে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি আর নিজের ভালোবাসাকে ভুলে যেতে পারে, কি করে বিশ্বাস করবো আপনি আমার সঙ্গে এমনটা করবেন না?
ধ্রুব নমনীয় হওয়ার চেষ্টা করলো,
— সব মানুষ তোমার বাবার মতো নয়। তাহলে পৃথিবীতে ভালোবাসার এত এত মহাকাব্য আর রচনা থাকতো না।
পৃথিবীর সব মেয়ে যেমন তোমার মতো কঠিন হৃদয়ের না, তেমনি সব ছেলেও তোমার বাবার মতো না।
অদ্রি ভ্রু কুঁচকে চেয়ে রইলো,
— আপনি তো আমার প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হওয়ায়, আমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারছেন না, সেজন্য ভালোবাসার দাবি নিয়ে এসেছেন। এটা কি স্বার্থপরতা নয়?
ধ্রুব দূরে দাঁড়িয়ে থেকেই বলল,
— তাহলে তুমিও কি স্বার্থপর নও অদ্রি?
ধ্রুবর চোখ জ্বলজ্বল করছে। অদ্রি থমকে গেলো। আড়ষ্ট কন্ঠে বলল,
— আমি?
ধ্রুব কঠোর গলায় বলল,
— আমার কাছ থেকে ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট নিতে চাও না, আমাকে তুমি চাও না, স্বাভাবিক লাইফ চাও না। তাহলে কেন আছো এ বাড়িতে? কি আছে তোমার এখানে?
অদ্রি নিশ্চুপ। ধ্রুব বলল,
— সবকিছু নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য করছো তুমি। আমার মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে,
একটা পরিবারের সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে এখানে পড়ে আছো। এরপর এডমিশন হয়ে গেলে চলে যেতে চাও। সবটাই নিজের স্বার্থপূরণের জন্য। তাই নয় কি?
অদ্রির চারপাশটা দিকশূন্য ঠেকলো। বিব্রতবোধ কেমন জেঁকে ধরলো আষ্টেপৃষ্টে। ধ্রুব’র বলা কথাটা তো আংশিক নয়, পুরোপুরি সত্যি। বাবার প্রতি রাগ দেখিয়ে বিয়ে করলেও সে তো জানতো এই মানুষগুলো ওকে মা-বাবার স্নেহ দেবে। খানিকটা লোভেই তো সে এ বাড়িতে এসেছে। ধ্রুব’র ভালোবাসার অভাব বোধ করেনি কোনোদিন শুধুমাত্র ওদেরই জন্য! অদ্রি কি জবাব দেবে এবার? ওর কাছে এই প্রশ্নের কোনো উত্তরই তো নেই। সেজন্য খুব সন্তপর্ণে এড়িয়ে গেলো কথাটা। উল্টো স্তিমিত কন্ঠে প্রতুত্তর করলো,
— আমি ঘুমাতে চাই।
অদ্রির মনোভাব অনুমান করতে পারলো ধ্রুব।
অবশেষে একটি ছোট্ট প্রশ্নে অদ্রি আটকেছে। ও ইচ্ছেকৃত এসব বলতে চায়নি, কিন্তু কি করবে সে? অপ্রিয় সত্যগুলো কখনো কখনো প্রকাশ করতে হয়, যাতে করে নিজের জিনিস নিজেরই থাকে। অদ্রি যতই এড়িয়ে যাক না কেন ধ্রুব’র করা এই প্রশ্নের জবাব অদ্রির নিজেকেই দিতে হবে। হোক আজ, কাল বা পরশু। ধ্রুব তীক্ষ্ণ কন্ঠে অদ্রিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— তুমি সত্যিই একটা ইগোস্টিক মেয়ে।
অদ্রি শুনলো, ব্যথিত হলো কিন্তু কোনো দ্বিরুক্তি করলো না। ওর বড্ড ক্লান্ত লাগছে। ধ্রুব’র করা অভিযোগ গুলো ওর হৃদয়ে তীব্র এক দহন তৈরি করেছে। সত্যিই পৃথিবীর সব মানুষ আলাদা, তাঁদের চলন-বলন, কথাবার্তা, স্বভাব-চরিত্র আলাদা। তাহলে অদ্রির কেন শুধু মনে হয় পৃথিবীর পুরুষরা ওর বাবার মতো, ওরা ভালোবাসতে জানে না? সত্যিই! ভালোবাসা না থাকলে পৃথিবীতে এতো মহাকাব্য রচনা হতো না। অদ্রি আপনমনে ধ্রুব’র বলা কথাগুলোর গভীরে ডুবে যেতে থাকে, ওর চোখের কোণে জল!
তীব্র বর্ষণের এক সকাল। বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধও
নেই। ঘন-কালো মেঘ জড়িয়ে রেখেছে আকাশটাকে। দূর থেকে দূরান্ত, বিশাল নীলাম্বরের কোথাও সূর্যের ছিঁটেফোটা পর্যন্ত দেখা যায় না। ভেজা গাছের পাতাগুলো প্রচন্ড বেগে দুলছে। হাসনাহেনা আর কামিনীর সুঘ্রাণ মাতাল করে দিচ্ছে পুরো প্রকৃতিকে। নীরবতায় ঘেরা প্রকৃতিতে শুধুমাত্র শোনা যাচ্ছে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ। ঠান্ডা বাতাসে ক্রমেই সবকিছু শীতল হয়ে ওঠছে। একটু পরপর কেঁপে ওঠছে জানালার কপাট। বৃষ্টির শব্দে এবং প্রচন্ড ঠান্ডা লাগায় অদ্রি ওঠলো। বহুকষ্টে দু’চোখ মেলে তাকালো। চাদরে শীত মানছে না, সেজন্য ওঠে গিয়ে কম্বল নিয়ে এলো। তারপর আবার শুয়ে পড়লো। সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম নামলো না চোখে।
একটু পর খেয়াল করে দেখলো ঘুমের মধ্যে ধ্রুবও ঠান্ডায় গুটিশুটি মেরে কাঁপছে। না চাইতেও অদ্রির ভীষণ হাসি পেয়ে গেলো। লোকটা কি বোকা নাকি? এত ঠান্ডায় কোথায় কম্বল মুড়িয়ে ঘুমুবে তা নয়তো শীতে জবুথবু হচ্ছে। অদ্রি আবারও ওঠে বসলো। দু’জনের মধ্যে প্রায় এক হাত দূরত্ব। তাছাড়া কীভাবে কম্বলটা দিয়ে দুজনকে কভার করবে সেটা নিয়েও অস্বস্তি হচ্ছিলো ওর। কিন্তু এত ঠান্ডায় অস্বস্তিকে মনের ভেতর জায়গা দিলে চলবে নাকি? এমনিতে যদিও অদ্রি ওর ওপর রেগে আছে কিন্তু এখন আর কি করা যাবে? ও তো আর এতোটাও কেয়ারলেস না। এসব সাতপাঁচ ভেবে অদ্রি ধ্রুবকে নিজের দিকে আনার চেষ্টা করলো। ওর ঘুম ভাঙানোর ইচ্ছে ছিলো না অদ্রির। কিন্তু এত বড় শরীরটাকে টেনে নিয়ে আসার সাধ্য ওর নেই। সেজন্য অদ্রি নিজেই ধ্রুব’র একটু কাছে গিয়ে শুয়ে পড়লো, একরাশ অস্বস্তি নিয়ে। কম্বলটা দিয়ে ভালোমতো ঢেকে দিতেই ধ্রুব নড়েচড়ে শুলো। কিন্তু আরামদায়ক আবহাওয়ার দরুন কিছুতেই ওর ঘুম ভাঙলো না।
গতরাতে বলা ধ্রুবর কথাগুলো মনমস্তিষ্কে জড়াতেই অদ্রির কপালে ভাঁজ পড়লো। ধ্রুব’র আচরণ, ক্ষমা চাওয়া সবকিছু ওর ভাবনার বাইরে ছিলো। অদ্রি একদৃষ্টিতে ওকে দেখতে থাকে। উত্তাল হয় নতুন এক অনুভূতি। “আমিসহ আমার সমস্ত কিছু তোমার হয়ে গেছে” এই কথাটায় যেন মিশে ছিলো অন্যরকম কিছু। অদ্রি অনুভব করতে পারছিলো তখন। একরাশ দ্বিধা আর ধ্রুব’র কর্মকান্ড ভাবতে ভাবতে অদ্রি চুপচাপ জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে। স্বচ্ছ কাঁচ বেয়ে গড়িয়ে চলা বর্ষণের তীব্রতা কেমন কাঁপন ধরায় ওর হৃদস্পন্দনে। নিজের কম্পিত হাতটা আলতো করে বুলিয়ে দেয় ধ্রুব’র শাইন করা কালো চুলগুলোতে।
বৃষ্টির দিন হওয়ায় শায়লা চুলায় খিচুড়ি চাপালেন। সঙ্গে আরও নানা পদের তরকারি। জরিনা মশলা বাটছে। রুখসাত জাহান নিজের জন্য কফি তৈরি করছেন। তিনি খুব মিশুক মানুষ। এ বাড়িতে আসার পর শায়লা আর জরিনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেন। কোনোপ্রকার দ্বিধাবোধ না করেই। বাড়ির অন্যান্যরা সবাই এখনো গভীর ঘুমে থাকায় লিভিংরুমটা শান্ত, নীরব হয়ে আছে৷ রুখসাত জাহান কফির মগে চুমুক দিতে দিতে রাদিফের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছেন। তারও ইচ্ছে দেশের কোনো মেয়েকে
তার ছেলের বউ করাবেন। কানাডার আধুনিক মেয়েরা দেখতে রূপবতী হলেও বউ হিসেবে নিজের দেশের মেয়েরাই সেরা। শায়লা প্রস্তাব দিলেন তার মেঝো ভাইয়ের মেয়ের জন্য। এসব নিয়েই দুজনের মাঝে বিস্তর আলোচনা চললো বহুক্ষণ। একটু পরেই অদ্রি নিচে এলো। জরিনা চা নিয়ে এলো ওর জন্য। হেসে হেসে জানালো রাদিফের বিয়ের ব্যাপারটা। শায়লা ডাইনিংয়ে খাবার বেড়ে দিতে দিতে অদ্রিকে বললেন ধ্রুবকে ডাকতে।
অদ্রি ধীরপায়ে করিডোর ধরে এগিয়ে চলেছে। ধ্রুব হয়তো এখনো ঘুমিয়ে আছে ভেবে নব ঘুরিয়ে দরজা খুলতেই দেখলো ধ্রুব তোয়ালে পরে দাঁড়িয়ে আছে আয়নার সামনে। ফর্সা, বলিষ্ঠ দেহের ধ্রুব’র এমন রুপ দেখে একরাশ বিস্ময় নিয়ে থমকে গেলো ও। আর দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ধ্রুব ঘাড় ফিরিয়ে দেখতে পেলো অদ্রিকে। এরপর ভীষণ অবাক দৃষ্টিতে ওভাবেই তাকিয়ে থাকলো। পরক্ষণেই পুরো ব্যাপারটা ওর মাথায় আসতেই ত্বরান্বিত পায়ে এগিয়ে গেলো দরজার দিকে। অদ্রি ততক্ষণে নামিয়ে ফেলেছে ওর নিজের দৃষ্টি। ধ্রুব’কে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে চোখ বন্ধ করে আড়ষ্ট গলায় বলল,
— আমি সত্যি কিছু দেখিনি।
ধ্রুব দেখলো অপ্রস্তুত অদ্রিকে। কোমল, মুখখানা
কি স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে! গলার কাছের তিলটায় চোখ পড়তেই শীতল শিহরণে ডুবে গেলো ও। এরপর স্মিত হাসলো। মৃদু গলায় বলল,
— জানি কিছু দেখো নি। কিন্তু দেখলেও কিছু মনে করবো না….
অদ্রি চট করেই চোখ খুলে ফেললো। ভ্রু কুঁচকে রেগে তাকালো। তারপর বলে ওঠলো,
— নির্লজ্জতার সীমা পার করে ফেলেছেন অনেক আগেই। তবে এতটা সীমাও অতিক্রম না করলে পারতেন।
ধ্রুব অস্থির গলায় ফের জিজ্ঞেস করলো,
— এখানে নির্লজ্জের কি হলো? হুহ? তুমি আমার অল টাইম লাইফ পার্টনার! আমার এই সুন্দর বডি দেখে কি তুমি ইম্প্রেস হও নি?
ধ্রুব’র এমন লাগামহীন, ঠোঁটকাটা কথাগুলো শুনে অদ্রি র বিস্ময়ের সীমা রইলো না। সঙ্গে সঙ্গে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিলো অন্যদিকে। এরপর তীক্ষ্ণ গলায় বলল,
— আন্টি খেতে ডাকছে!
ধ্রুব নিষ্পলক চেয়ে রইলো ওর মুখপানে। অদ্রি চলে যেতে লাগলে ও মৃদুস্বরে বলল,
— কিছুই যখন বলোনি তার মানে তুমি আমার সুন্দর বডি দেখে ইম্প্রেস হয়েছো!
অদ্রি নিজের হাসি কিভাবে আর কোথায় লুকাবে ভেবে পেলো না। এই ধ্রুব এমন অদ্ভুত আচরণ করছে যে বহুদিন পর ওর পেট ফেটে হাসি আসছে। ও পেছনে না তাকিয়েই বলল,
— বডি দেখে বোকারা ইম্প্রেস হয়, আমি না!
বলে অদ্রি নেমে গেলো। ধ্রুব’র মুখ শুকিয়ে গেলো একথা শুনে। ও তো জানতো অদ্রি ওকে ডাকতে আসবে, সেজন্যই তো আয়নার সামনে ওভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো যাতে অদ্রি ওর বডি দেখে ইম্প্রেস হয়। কিন্তু না, এই মেয়ে উল্টো ওকে তাচ্ছিল্য করে চলে গেলো। অদ্রিকে টলানোর জন্য ও কি করবে ভেবে পাচ্ছিলো না, বন্ধুদের কাছে তো আর এসব শেয়ার করা যায় না। সেজন্য ইউটিউবে বউয়ের ভালোবাসা পাওয়ার টিপস দেখেছিলো সে। ১০০% কার্যকারিতার এই টিপসেও অদ্রির মন না গলাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউটিউবারকে কে এই টিপস দিলো ধ্রুব রাগ নিয়ে বসে এটাই চিন্তা করতে লাগলো।
[ অদ্রি চরিত্র লিখে এই প্রথম এত রোষানলের শিকার হলাম। যাইহোক, ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ]
চলবে…..