বামনের ঘরে চাঁদ পর্ব ১১

0
648

বামনের ঘরে চাঁদ

সাজিয়ানা মুনির

১১.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

সূর্যের তাপ কমে এসেছে। মিয়িয়ে যাওয়া বিকেল পাখনা মেলেছে। তিরতির করে শীতল হাওয়া বইছে। চারিপাশ শান্ত, প্রশান্তিতে ডুবে। চাঁদের মন বিষণ্ণ অস্থিরতায় মজে। কোনো কিছু ভালো লাগছে না। সবকিছুতেই যেন অনিহা তার। অস্থির চোখজোড়া তুলে বারবার ফোনের স্কিনে চাইছে। সকালে আষাঢ় দুইবার ফোন করেছিল, তুলেনি চাঁদ। ভেবেছিল আবার ফোন করবে বা টেক্সট পাঠাবে। কিন্তু কোনটাই করেনি। আষাঢের এমন উদাসীনতা তাকে বড্ড পোড়ায়। সেই প্রথম থেকে আষাঢ়ের দৃষ্টিতে অব্যক্ত হাজারো অনুভূতি দেখেছে অথচ কোনদিন প্রকাশ করেনি সে। এসব অনুভূতির মানে খুঁজতে যেয়ে ক্লান্ত চাঁদ। পারছেনা আর। তাই খানিকের দুরত্ব গড়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই দুরত্ব শুধু তার জন্যই সাজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আষাঢ় তো দিব্যি ভালো দিন কাটাচ্ছে। মনের অভিমানের দেয়াল আরও বেশি মজবুত হচ্ছে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে। অসার ক্লান্ত শরীর ছাদের রেলিং’য়ে হেলিয়ে দিলো। চোখের সামনে ভেসে উঠলো বছর দুএক আগের দৃশ্য।

তখন সবে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছে চাঁদ। ছোট থেকে বাবার অবহেলা, ফুপুর কড়া শাসনে বেড়ে উঠা তার। বাবার দৃষ্টিতে সর্বদা অলক্ষী সে। মায়ের মৃত্যুর দায়ভার তাকেই মানে। ভাইদের চোখের মণি, অগাধ ভালোবাসা পেয়েও কোথাও একটা বিশাল ঘাটতি ছিল। সবসময় বাবার আদরের তৃষ্ণায় কাতর থাকত। বাবার একটুখানি স্নেহ ভালোবাসা পাওয়ার আশায় ছোট থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম পড়াশোনা অন্যসব এক্টিভিটিতে সবসময় প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শিকদার সাহেব সবসময় চাঁদকে এড়িয়েই এসেছে। বাবার এত অবহেলা, এড়িয়ে চলা চাঁদের আত্মসম্মানে বেশ জোরালো আঘা*ত করে। একটা সময় অনুভব করে ফাস্ট পজিশন ধরে রাখা, একটুখানি স্নেহ ভালোবাসার লোভে নিজের খুশি বিসর্জন দিয়ে মানসিক চাপ নিয়ে দিনদিন নিজের অস্তিত্ব হারাচ্ছে। কৃত্রিম অনুভূতি শূন্য প্লাস্টিক মানুষে পরিবর্তন হচ্ছে। চারিপাশের বন্ধ দুনিয়া যেন তার নিশ্বাস কেড়ে নিচ্ছে।তাকে একান্তই নিজের জন্য বাঁচতে হবে, ভালো থাকতে হবে। এসব কিছু থেকে পিছিয়ে যায়। ভেতরে ভেতরে জেদি, একরোখা হয়ে উঠে। এতবছরের সব প্রেসার মাথা থেকে ঝেরে । একান্ত নিজের খুশি, ভালো লাগার জন্য বাঁচতে শুরু করে। এতে পড়াশোনায় বেশ বড়সড় ঘাটতি আসে। কলেজ থেকে অভিযোগ আসে। বড় ভাইজান ব্যাপারটা নিয়ে গম্ভীর হয়ে পড়ে। বাড়ির অন্দরমহলে ঢোকার জন্য বিশ্বস্ত বন্ধু আষাঢ় বাছাই করে।

সেদিন ছিল বর্ষণের কোন এক স্যাঁতসেঁতে বিকেল। বৃষ্টি ঝরছে টিপটিপ। স্টাডি রুমে আষাঢ়ের আসার অপেক্ষা করছিল চাঁদ। ঘড়িতে তখন ঠিকঠিক পাঁচটা। সামনের ধোঁয়া উড়া কফির মগ নিয়ে যেই চুমুক দিবে অমনি কেউ ঘরে ঢুকল। সুঠাম দেহি, বলিষ্ঠ সুদর্শন একজন। গায়ে কালো শার্ট জড়ানো, ভীষণ ফর্মাল। ভাইয়ের মুখে এর আগেও বহুবার অনেক প্রসংশা শুনেছিল চাঁদ। সেই থেকেই মানুষটাকে জানার, চোখে দেখার কৌতূহল ছিল তার। যেমন সুদর্শন তেমনি তার ভদ্র গোছানো ব্যবহার। প্রথম দিন থেকে লক্ষ্য করল চাঁদ, আষাঢ় তাকে এড়িয়ে চলে। কথায় আছে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আসক্তি বেশি। চাঁদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো। প্রথম প্রথম স্বাভাবিক মনে হলেও ব্যাপারটা নিয়ে চাঁদের মনে বেশ কৌতূহল জাগলো। আষাঢ়কে তার পরিবারকে জানতে শুরু করল। মানুষটার ব্যক্তিত্ব, দায়িত্ববোধ সবকিছু চাঁদকে মুগ্ধ করল। ধীরেধীরে আষাঢ়ের প্রতি দুর্বল হতে শুরু করল। কারণে অকারণে সবকিছুতে আষাঢ়কে অনুভব করতে শুরু করল। মাঝেমধ্যে চাঁদও অনুভব করত হয়তো আষাঢ়ের দৃষ্টিতেও তার জন্য অন্যরকম লুকায়িত কোন অনুভূতি ছিল। তা প্রকাশ করতে কোথাও যেন তার ঘোর দ্বিধাদ্বন্দ্ব। চাঁদের বেপরোয়া আচরণ বাড়ির সবার চক্ষুশূল হলো। চারিপাশ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করল। শিকদার সাহেব চিন্তিত। ব্যবসায় ভীষণ টানাপোড়েন চলছে তখন। ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত করতে পারিবারিক করাটা জরুরী ছিল। চারিদিক থেকে যখন বিয়ের প্রেসার দিচ্ছিলো , চাঁদের মনে তখন আষাঢ়ের জন্য জন্মানো অনুভূতি গুলো ডালপালা মেলে দিনদিন বাড়ছিল। ভীষণ গভীর ভাবে অনুভব করতে শুরু করল। হ্ঠাৎ একদিন নিজের মনের কথা আষাঢ়কে বলল। বিনা জবাবে আষাঢ় বেরিয়ে গেল। সেই থেকে এড়িয়ে চলতে শুরু করল। চারিদিকের মানসিক চাপ, আষাঢ়ের তাকে এভাবে এড়িয়ে চলা মানতে পারল না চাঁদ। নিজের অনুভূতি, ভালোবাসা, ভালো থাকা কোনকিছু বি*সর্জন দিবে না আর, চাপা জেদ আওড়াল। বাড়িতে আষাঢ়ের কথা জানাতে শিকদার সাহেব ক্ষেপে উঠল। চাঁদকে ঘরবন্দী করে বিয়ের দিন তারিখ সামনে এগিয়ে আনলো। চাঁদ রেগে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলো। ভেবেছিল বিয়ের পর আষাঢ় তার সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সম্পর্কটা মেনে নিবে। কিন্তু তা হলো না। তার যেই কঠোর ব্যক্তিত্বকে ভালোবেসেছিল আজ যেন সেই ব্যক্তিত্বটাই গলার কাটার মত বেঁধেছে তার। মাঝেমাঝে চাঁদের মনে হয়, এতটা ভালো না হলেও পারতো আষাঢ়!

বুক চিড়ে তপ্ত নিশ্বাস ফেলল চাঁদ। পড়ন্ত বিকেলের ঝিমিয়ে পড়া আকাশে তাকালো। বিড়বিড় বিষণ্ণ সুরে বলল,
‘ আষাঢ়! আমার শূণ্যতা কি আদৌ আপনার মন পোড়ায়?’
চোখ জোড়া যখন জলে ভরাক্রান্ত। আচমকা পেছন থেকে কেউ পুরুষালি কন্ঠে ডাকল,
‘ এক্সকিউজ মি!’
চাঁদের কপালে ভাঁজ পড়লো। পেছন ফিরে তাকালো। সামনে ছাব্বিশ সাতাশ বছরের একজন পুরুষ দাড়ানো। অধর জোড়ায় তার হাসি মাখানো। চাঁদকে দেখে যেন সেই হাসিটা আরও গাঢ় হলো। মানুষটার চোখে মুগ্ধতা মাখানো। প্রগাঢ় হেসে হাত বাড়িয়ে বলল,
‘ হ্যালো, আমি আইমান হাসান।’
কপালের ভাঁজ আরো গাঢ় করল চাঁদ। অস্বস্তি চেপে বলল,
‘ আমি মেহজাবিন চাঁদ।’
‘ এই বাড়িতে নতুন এসেছেন?’
‘ না বেড়াতে।’
‘ ওহ! এটা আমার খালার বাসা। গলির সামনের বাড়িটা আমাদের। বাই দ্যা ওয়ে, কার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন?’
‘ রাজিব..
আইমান কথা কাটলো। চাঁদের মুখের কথা ছিনিয়ে বলল,
‘ ওহ আচ্ছা, রাজিব ভাইয়ের বাড়ির গেস্ট ! ভীষণ ভালো মানুষ তিনি। কে হয় আপনার?’
বিরক্তি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদ। লোকটা বেশি কথা বলে। তার ভীষণ অসহ্য লাগছে। কন্ঠে একপ্রকার বিরক্তি জুড়েই উত্তর দিলো,
‘ দুলাভাই।’
পাশ কাটিয়ে তড়িঘড়ি পায়ে যেতে চাইল চাঁদ। আইমান আওয়াজ করে বলল,
‘ আপনি ভীষণ সুন্দরী চাঁদ। একটু হেসে কথা বললে কি খুব বেশি ক্ষ/তি হয়?’
চাঁদ থামলো। রাগ চেপে পিছন ফিরে বলল,
‘ যার তার সাথে হাসাহাসি করতে পছন্দ না আমার। আপনার ফ্লাটিং লেভেল ভীষণ জ/ঘন্য, রাস্তার পাড়ে পরে থাকা দুর্গন্ধের মত। মেয়েমানুষ তো দূর থাক, মাছিও পাশ ঘেঁষবে না আপনার।’
হনহন করে ছাদ থেকে নেমে গেল চাঁদ। আইমান চাঁদের যাওয়ার দিক হতভম্ব তাকিয়ে এটা মেয়ে নাকি জলন্ত কোন অগ্নিশিখা।

চাঁদের ফোন বিকাল থেকে বন্ধ। কোন উপায় না পেয়ে সন্ধ্যায় আরশির নাম্বারের ফোন করল আষাঢ়। জানলো, চাঁদ ভীষণ অসুস্থ। মাগরিবের পর থেকে কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে। প্রচন্ড জ্বরে কাঁপাকাঁপি করছে। শোনার পর থেকে অস্থির হয়ে পড়েছে আষাঢ়। কোথাও কিঞ্চিৎ শান্তি মিলছেনা না তার। কারখানার কাজ রাশেদকে বুঝিয়ে ততক্ষণাত আরশির বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল। পথে মাকে ফোন করে আজ রাতে বাড়ি ফিরবেনা, রাত জেগে অপেক্ষা করতে বারণ করল। রাস্তায় জ্যামে আটকে আরশির বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে গভীর রাত নামলো।
ঘড়িতে তখন দেড়টা কি দুইটা। সকালে রাজিবের অফিস আছে, ঘুমিয়ে পড়েছে। প্রেগ্ন্যাসির প্রথম থেকেই আরশির ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় প্রতিরাতে দেরিতে ঘুমায়। দরজায় বেল বাজছে অনবরত। আরশি এসে দরজা খুলল, এতরাতে ভাইকে দেখে বেশ অবাক হলো। আরশিকে কিছু বলতে সুযোগ না দিয়ে অস্থির কণ্ঠে আষাঢ় বলল,
‘ চাঁদ কোথায়? জ্বর কমেছে ওর?’
আরশির হতভম্ব মুখখানায় হাসি ফুটলো। ভাইয়ের অস্থিরতা, ব্যকুলতা দেখে ঠোঁট টিপে হাসলো। চাঁদের ঘরে নিয়ে গেল। অন্ধকারে গুটিসুটি মে/রে ঘুমিয়ে আছে চাঁদ। ঘরের আলো জ্বালালো না আষাঢ়। চাঁদের দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ রাতে কিছু খেয়েছে?’
‘ জোর করে একটু ভাত খেয়েছে। সাথেসাথে বমি করে উবলে ফেলেছে আবার।’
আষাঢ়ের চোখেমুখে চিন্তার ছাপ। একটু চুপ থেকে আরশি বলল,
‘ তোদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে? আসার পর থেকে তোর সাথে একবারও কথা বলতে দেখিনি চাঁদকে। সারাদিন কেমন মন ম/রা হয়ে থাকে। কিছু কি হয়েছে?’
আষাঢ় ঠোঁট মেলে মৃদু হাসল। বলল,
‘ তেমন কিছু না। সবসময়কার সেই পুরানো অভিযোগ। আমি কেন অনুভূতি প্রকাশ করি না! নিজেকে লুকাই। ভালোবাসি না।’
‘ আমারও একই অভিযোগ! কেন নিজেকে লুকাতে চেষ্টা করছিস তুই? আদৌ কি এতে লাভ আছে কোন!’
আষাঢ় বিরক্ত হলো। ক্লান্ত স্বরে সামান্য চেঁচিয়ে বলল,
‘ আমার ওর প্রতি কোন অনুভূতি নেই। কেন লুকাবো?’
আরশি তাচ্ছিল্য হাসলো।বলল,
‘ সত্যি কি তাই? অনুভূতি, ভালোবাসা না থাকলেই বুঝি কেউ অসুস্থতার কথা শুনে এমন পাগল পাগল হয়ে ছুটে আসে! তুই নিজেও জানিস চাঁদকে পাগলের মত ভালোবাসিস। এইযে তোর মনে দ্বিধার দেয়াল এটাই একমাত্র বাঁধা তোর। চাঁদ বুদ্ধিমতী। বয়স কম হলেও তোকে পড়তে সময় লাগবে না ওর।’
আষাঢ় গম্ভীর হলো। চাঁদের মুখপানে চেয়ে বলল,
‘ এতটা বুদ্ধিমতী বুঝদার না হলেও পারতো মেয়েটা।’
আরশি নিরাশ হলো। তার দায়িত্বশীল ভাইটার ভালোবাসার নামে কেন এত উদাসীনতা? আশাহত সুরে বলল,
‘ চাঁদ মুখ ফিরিয়ে নিলে সইতে পারবি তো?’
আষাঢ় থমকে গেল। চোখমুখ কেমন যেন ফ্যাকাসে রঙে বদল হলো। আরশি চলে গেল। যাওয়ার আগে আষাঢ়ের জন্য খাবার এনে রেখে গেল। আরশি জানে এখন হাজার জোর করলেও, খাবেনা। অস্থিরতা ক্ষান্ত না হওয়া অবধি খাবার মুখে তুলবেনা সে।
আরশি চলে যেতেই আষাঢ় দরজা ভিড়িয়ে বিছানায় উঠে বসলো। চাঁদের মুখের উপর থেকে কাঁথা সরালো। ড্রিম লাইটের আবছা আলো চোখমুখে ছড়িয়ে পড়ল। একদিনের জ্বরে চুপসে গেছে মেয়েটি। চেহারার উজ্জ্বলতা কেমন যেন নিভে মলিন হয়ে আছে। কপালে হাত ছুঁয়ে দেখলো, শরীরে প্রচন্ডরকম জ্বর তখনো। আলতো, নরম কণ্ঠে ডাকলো আষাঢ়। নিভুনিভু দৃষ্টি মেলে তাকালো চাঁদ। আষাঢ় তার সামনে? এত কাছে! নিভুনিভু আঁখিজোড়ায় বিস্ময় ফুটে উঠল। আওয়াজ করে কিছু বলতে চাইলো। পারলো না। কণ্ঠে বাঁধা পড়লো। আষাঢ় বলল,
‘ উঠে বসো। হালকা কিছু খেয়ে ঔষধ খেয়ে নেও।’
চাঁদ বাচ্চাদের মত বায়না করল। বলল,
‘ ভালো লাগছেনা। খেতে ইচ্ছা করছেনা আমার।’
‘ পেট খালি রেখে ঔষধ খাওয়া যাবেনা। আমি খায়িয়ে দিচ্ছি। উঠে বসো।’
ফ্যালফ্যাল চেয়ে রইল চাঁদ। ব্যথাতুর শরীর নিয়ে উঠে বসলো। আষাঢ় যত্ন করে খায়িয়ে দিলো। পুরোটা সময় চাঁদ নিভুনিভু চোখজোড়া মেলে অপলক চেয়ে রইল। সবকিছু যেন কোন সুন্দর স্বপ্ন।

আষাঢ় ফ্রেশ হয়ে বিছানায় আসতে দেখলো শীতে কাঁপাকাঁপি করছে চাঁদ। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে চাঁদকে বুকের মাঝে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিলো। মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। জ্বরের ঘোরে আষাঢ়ের বুকের উষ্ণতায় মুড়িয়ে গভীর আবেশে বিড়বিড় করে বলল চাঁদ,
‘আষাঢ়! আমার শূণ্যতা কি আদৌ আপনার মন পো/ড়ায়?’
ছোট্ট নিশ্বাস ফেলল আষাঢ়। আনমনে চাঁদের কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো। নিগূঢ় কণ্ঠে বলল,
‘ বড্ড পোড়ায় চাঁদ। তুমিহীনা আমার প্রতিপ্রহর বিষাক্তময়, অসহ্যকর!’

চলবে……

(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেক দিন পর গল্প দিচ্ছি পেজের রিচ কম। গল্প পৌঁছালে রেসপন্স করবেন)

টাইপোগ্রাফি করেছে Maksuda Ratna আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here