প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২২

0
1108

#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব___২২

‘দর্শিনী, একটা প্রশ্নের উত্তর দিন কাল ডক্টর নিহাল রায়হান কী বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো আশরাফ আঙ্কেলের কাছে?’

দর্শিনী আবিদের কথায় বিস্মিত হয়,যেন অবাকতার চূড়ান্ত পর্যায়ে সে। দর্শিনী বুঝতে পারছে না, এতকিছু আবিদ কীভাবে জানলো? আবিদ দর্শিনীর দিকে সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। দর্শিনীর হঠাৎ দুশ্চিন্তা হচ্ছে আবিদ তাকে ভুল বুঝছে নাতো? অদ্ভুত হলেও সত্যি আবিদ সবটা মানুষ লাগিয়ে আগেই জেনেছে। কিন্তু দর্শিনীর ভিতরে কী চলছে ব‍্যাপারটা তার জানা দরকার। এজন‍্য দর্শিনীকে ইচ্ছেকৃত প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দর্শিনী আবিদের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সবটা খুলে বলবে। এদিকে দর্শিনীর যেন অসস্থি না হয় এজন্য আবিদ তাকে সহজ সাবলীলভাবে জিগ্যেস করে,

‘দর্শিনী! আম ড‍্যাম শিয়র আপনার কাজিন আপনাকে পছন্দ করে, ইজেন্ট হি?’

দর্শিনী চমকায়, বিস্মিত হয়। আবিদের উদ্দেশ্যে নির্বিঘ্নে বলে,

‘আপনি নিহাল ভাইয়ার ব‍্যাপারটা কীভাবে জানেন? প্লীজ বিশ্বাস করুন আমি বিন্দুমাত্র টের পাইনি নিহাল ভাইয়া আমাকে পছন্দ করে। রেহানা আন্টি সবকিছু জানার সত্ত্বেও কাল বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বাবার কাছে। এসব আমি জানতাম না। আমি নিজেই মা’রাত্মক শকড হয়ে গেছিলাম সব জানার পর। আমাকে প্রথমে কেউ কিছু বলেনি। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী, আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না প্লীজ।’

দর্শিনীর কথায় আবিদ হাসলো। তাকে এখন অনেকটা ডেস্পারেট দেখাচ্ছে। সেটাও আবিদ যেন তাকে ভুল না বোঝে সেজন্য। আবিদ দর্শিনীর দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

‘আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন আমি আপনাকে ভুল বুঝছি? বা আপনার উপর আমি রাগ করবো?একদম না দর্শিনী। আমি জানি সবকিছু আপনার অজান্তেই ঘটেছে। আমি এটাও জানি আপনার সবটা জুরে আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর অস্তিত্ব রয়েছে।’

আবিদ কপালে আঙ্গুল ঘোষে অনেকটা ভাবুক হয়ে বলে,

‘তবে আমি জানতে চাই, শুধু এজন্যই কী আপনার মন খারাপ? আজকে এতো আনন্দের দিন তবুও আপনার মধ্যে কোন একটা ব‍্যাপার মিসিং মনে হচ্ছে?’

দর্শিনীর হাসি পায় আবিদের অঙ্গভঙ্গিতে। সে আবিদের কথায় ভ্রু কুঁচকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে,

‘আমার মন খারাপ নয়। আমার মধ‍্যে কোন ব‍্যাপারটা মিসিং মনে হচ্ছে আপনার?’

‘এইযে আপনার মধ‍্যে প্রাণোচ্ছল মনোভাবটা পাচ্ছিনা দর্শিনী।’

আবিদ একদৃষ্টে দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে আছে। দর্শিনী আবিদের উদ্দেশ্যে অকপটে বলে,

‘আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম। বাগদানের একদিন আগে এমন একটা খবর শুনে আপনারা কী রিঅ‍্যাক্ট করতেন? হয়তো আমাদের ভুল বুঝতেন এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিলো।’

‘ভয় নেই দর্শিনী। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী, সবসময় আপনার পাশে থাকবে আমৃত্যু পর্যন্ত। আপনাকে আমি আপনার চেয়ে ব‍েটার চিনি ভুল বোঝার প্রশ্নই আসেনা।’____আবিদ মিষ্টি মধুর হেসে বলে।

আবিদ হঠাৎ দর্শিনীর অনামিকা আঙ্গুলের আংটির দিকে তাকিয়ে বলে,

‘আজ আমাদের এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে, আগামী শুক্রবার আমাদের বিয়েটা হলে কেমন হয়? আমি চাইছিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা মিটে যাক। বাবাকে বলেছি আশরাফ আঙ্কেলকে দ্রুত রাজি করাতে। দর্শিনী! এতে আপনার কোনো সমস্যা নেইতো?’

দর্শিনী অগোচরে স্মিত হাসে। তার তো আপত্তি থাকার কথা নয়। তার স্বপ্নের নায়ক নিজে তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন‍্য উদগ্রীব। তারা খুব দ্রুত হালাল সম্পর্কে আবদ্ধ হবে। দর্শিনী তো ভিষণ আনন্দিত। আবিদ চাতক পাখির ন‍্যায় দর্শিনীর দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে,

‘মৌনতা কী সম্মতির লক্ষণ?’

‘জানিনা।’___বলে দর্শিনী মিষ্টি হেসে ছাদ থেকে নিচে নামতে থাকে।

সময়টা অপরাহ্ণের মাঝামাঝি। গৌধুলীর লগ্ন শুরু হয়েছে কেবল। নীল আকাশটা লালচে হতে শুরু করেছে। আবিদ হেসে চারদিকে চোখ বুলিয়ে নেয়। আবিদ নিচে নামার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। হঠাৎ ছাদের দরজার কাছে প্রজ্জ্বলিনীকে দেখে আবিদ ভ্রু কুঁচকে ফেলে। প্রজ্জ্বলিনী সাবধানে হেঁটে আবিদের মুখোমুখি দাঁড়ায়। আবিদ স্বাভাবিক ভাবে পাশ কাটিয়ে যেতে উদ্ধত হয়। প্রজ্জ্বলিনী আবিদকে উদ্দেশ্যে করে বলে উঠে,

‘আমার বোনের সঙ্গে এসব ভালোবাসা, বিয়ের নাটক বন্ধ করুন মিস্টার আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী। প্রিয়কে যেভাবে ব্রেইন ওয়াশ করে রেখেছেন। আমার সহজ সরল বোনের কিছু হলে আমি আপনাকে ছাড়বো না বলে দিলাম। আমি চাইনা আমার বোন আপনার মতো কারো সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোক।’ ____প্রজ্জ্বলিনীর সহজ সাবলীল স্বীকারোক্তি।

তৎক্ষণাৎ আবিদের পা থেমে যায়। প্রজ্জ্বলিনীর দিকে ফিরে তাকায়। যেভাবে ছিল সেভাবে অবস্থান করে বলে,

‘নাটক? সেটাও দর্শিনীর সঙ্গে? নিজের ভালোবাসার সঙ্গে নাটক করার মতো মেন্টালিটি আমার নয়। যথেষ্ট কারণ বশত আমার থেকে রিজেকশন পেয়েছেন বলে, আমার প্রতি ক্রো’ধ হিংসা জাহের করা বন্ধ করুন। আমি আপনার বোনকে ভালোবাসি। দর্শিনী যদি কারো হয়, সেটা আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর হবে মাইন্ড ইট। আর হ‍্যাঁ, এই বিয়েতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে ফল ভালো হবে না। সিংহের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো বোকা নিশ্চয়ই আপনি নন প্রজ্জ্বলিনী। নিজের পরিবার, স্বামী, সন্তান নিয়ে ভালো থাকুন। এটাই আপনার জন‍্য কল‍্যাণকর হবে।’ ____বলেই আবিদ চলে যায়।

প্রজ্জ্বলিনী অপমানিত বোধ করে। একটু ক্রু’দ্ধ হয়। আবিদ তাকে খোঁচা মারল তার কিশোরী বয়সে প্রেমে পড়া, রিজেকশন নিয়ে। প্রজ্জ্বলিনী এসেছিল আবিদকে কথা শোনাতে সেখানে আবিদ তাকে কথা শুনিয়ে চ‍্যালেন্জ ছুড়ে দিয়ে গেছে। প্রজ্জ্বলিনী তাচ্ছিল্যতার সঙ্গে বলে,

‘দেখা যাক মিস্টার আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী! সিংহ বিপদে পড়লে কারো সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে কী না? আপনি অষ্টাদশী প্রজ্জ্বলিনীর জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলেন। আমি এখন অনুভব করতে পারি। আমার নিষ্পাপ বোনকে সেই ভুলের সঙ্গে জড়াতে দেই কীভাবে? আপনাকে আমি এতো সহজে ক্ষমা করব না।’

****

প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নেমেছে। ড্রয়িংরুমে দুই পরিবারের সবাই মিলে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। শাহরিয়ার চৌধুরীর ইচ্ছে অনুযায়ী পরবর্তী শুক্রবার বিয়ের ডেট ঠিক করা হয়। দর্শিনী, আবিদকে পাশাপাশি বসিয়ে তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আবিদ দর্শিনীকে জিগ্যেস করা হলে আবিদ তাতে সম্মতি দেয়। অন‍্যদিকে দর্শিনী নিরাবতা পালন করে। তার নিরাবতাকে সম্মতি হিসাবে গ্রহণ করেন আহমেদ মুহতাসিম এবং আশরাফ মুহতাসিম। শাহরিয়ার চৌধুরীর কথায় বিয়েটা আগামী শুক্রবারে হবে। প্রথমে আশরাফ মুহতাসিম এতো তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছিলো কিন্তু শাহরিয়ার চৌধুরী এবং অনুসা বেগম তাকে মানিয়ে নিয়েছে। আবিদ সবার অগোচরে বাবার দিকে তাকিয়ে হাসলো। এদিকে শাহরিয়ার চৌধুরী তার ম‍্যাজিস্ট্রেট ছেলের চ‍্যালেন্জ রাখতে পেরেছেন বলে মনে মনে ভিষণ গর্ববোধ করলেন। ব‍্যাপারটা আসফির নজরে পড়েছে। বেচারির তো করুণ অবস্থা। বাগদান তো আটঁকাতে পারেনি। কিন্তু বিয়ের ডেট এতদ্রুত ঠিক হবে আশা করেনি একদম। যদি বিয়েটা বাগদানের মতো আটঁকাতে না পারে, আসফি কীভাবে সহ‍্য করবে আবিদ দর্শিনীকে? এসব ভেবে আসফির ভেতরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। যেন তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব। প্রচন্ড অসস্থি হচ্ছে আবিদ দর্শিনীকে পাশাপাশি একে অপরের হাত আঁকড়ে ধরে থাকতে দেখে। তার সবার সামনে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে প্রিয়দর্শিনী আমার। তোমরা তাকে আমার থেকে কেড়ে নিও না। কিন্তু ভিতর থেকে এমন দুঃসাধ্য কাজটা করার সাহস পাচ্ছেনা আসফি। একজন সাবলম্বী ছেলের জন‍্য এরচেয়ে লজ্জাজনক কিছু নেই। আসফির এখন নিজের উপর রাগ হচ্ছে। নিজেকে নিজের ধিক্কার দিতে ইচ্ছা করছে।

আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। হঠাৎ আশেপাশ থেকে আযানের সুমধুর ধ্বনি শোনা যায়। দুই পরিবারের সব ছেলেরা একসঙ্গে নামাজ পড়ার জন‍্য রওনা দেয়। মুহতাসিম ভিলা থেকে একটু দূরেই সুন্দর একটা মসজিদ আছে। শুধু বয়স্ক আহমেদ মুহতাসিম বাদে সবাই গেছে। কারণ আহমেদ মুহতাসিমের জন‍্য সেখানে হেঁটে যাওয়া কষ্টসাধ্য। এজন্য তিনি নিজের ঘরেই নামাজ পড়বেন। এদিকে নামাজের পর সবাই একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করবে। প্রিয়মা বেগম কাজের লোকজনের সহযোগিতায় খাওয়া-দাওয়ার পর্বের জন‍্য সব রেডি করে ডাইনিং টেবিলে রাখেন। আজকে মেহমানদের জন‍্য অনেক ধরনের পদ রান্না হয়েছে। দর্শিনী আর হৃদি, পুস্পিতা অনুসা বেগম আদিবার নামাজ পড়ার জন‍্য ড্রয়িং রুমেই জায়নামাজ বিছিয়ে দেয়। এদিকে ওরা দুজন নামাজ শেষ করে প্রিয়মা বেগমকে যথেষ্ট সাহায্য করে। অন‍্যদিকে পুস্পিতা, আদিবা, অনুসা বেগম সবাই নামাজ শেষে ড্রয়িং রুমে বসে আছে। প্রজ্জ্বলিনীও সেখানে উপস্থিত ছিল। অনুসা বেগম প্রজ্জ্বলিনীর সঙ্গে ভালো মন্দ দু’চার কথা জিগ্যেস করে। প্রজ্জ্বলিনী ভদ্রতার খাতিরে সব উত্তর দেয়। ছেলেরা নামাজ শেষে প্রফুল্ল হয়ে একসঙ্গে ফিরে আসেন। তারপর সবাই এক এক করে ড্রাইনিং টেবিলে বসে পড়ে। আশরাফ সাহেব প্রিয়মা বেগম, চৌধুরী পরিবারের যত্নে কোন ত্রুটি রাখেনি। তাদের আন্তরিকতা বরাবরের মতো সুন্দর ছিলো। চৌধুরী পরিবার পুরোপুরি মুগ্ধ। শাহরিয়ার চৌধুরী দর্শিনীকে তার পাশে বসায়। এদিকে তার ঠিক উল্টোদিকে আবিদ আশরাফ মুহতাসিমের পাশে। দর্শিনী আবিদ মাঝেমধ্যে একে অপরের দিকে তাকায়। আবিদের চোখে মুখে সু’ক্ষ্ম হাসি থাকলেও দর্শিনী সবার মাঝে নিশ্চুপ থাকে। চৌধুরী পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রিয়মা বেগমের রান্নার প্রশংসা করলেন। সবাই তৃপ্তি নিয়ে খেলেও আসফি সেভাবে কিছুই খায়নি। মূলত তার গলা দিয়ে খাবার নামেনি। সবার অগোচরে বিষণ্ন মন নিয়ে বসেছিল।

এদিকে সবকিছু ঠিকঠাক মিটে গেলে চৌধুরী পরিবারের সবাই বিদায় নেওয়ার জন‍্য প্রস্তুত হয়। উজান আর আশরাফ মুহতাসিম সৌজন্যতা বজায় রাখতে চৌধুরী পরিবারের সবাইকে বাহির পযর্ন্ত এগিয়ে দিতে আসেন। দর্শিনী প্রজ্জ্বলিনী আর প্রিয়মা বেগমের সঙ্গে ভেতরে থেকে যায়। অবশ‍্য যাওয়ার আগে আবিদ দর্শিনীকে কিছু ইশারা করে যায়। চৌধুরী পরিবারের সবাই গাড়িতে চড়ে বিদায় নেয়। দুটো গাড়ি গেট পার করে রওনা দিলে, উজান আর আশরাফ মুহতাসিম নিশ্চিন্ত হয়। কিছুক্ষণ পর তারা বিয়ের ব‍্যাপারে আলাপ করতে করতে ভিতরে চলে আসে।

এদিকে প্রিয়মা বেগম রাত হয়ে যাওয়ায় হৃদিকে দর্শিনীর সঙ্গে থেকে যেতে বলেন। তিনি নিজ দায়িত্বে ফোন করে হৃদির পরিবারের থেকে পারমিশন নিয়ে নেন। রাতে দুজন কাজের লোক অর্ধেক কাজ সেরে খাবার দাবার নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। অন‍্যদিকে দর্শিনী আর প্রিয়মা বেগম নিজ দায়িত্বে বাকি কাজ সেরে নিজেদের রুমে ফিরে আসে। রুমে এসেই দর্শিনী দ্রুত চেন্জ করে নেয়। হৃদিকে সারা ঘরে খুঁজে না পেয়ে, বেলকনিতে উঁকি দিয়ে দেখে হৃদি ফিসফিস করে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। দর্শিনীর হৃদির দিকে ভ্রুকুঁচকে তাকায়। হৃদি তো কথা বলতেই ব‍্যাস্ত দর্শিনীর দিকে তার খেয়াল নেই।

#চলবে

[ আজকের পর্বটা কেমন অগোছালো লাগছে। কেউ রাগ করবেন না। সবাই আমাকে একটু সময় দিন প্লীজ। নাহলে ঠিক মতো গুছিয়ে লিখতে পারবো না। ভুলত্রু’টি ক্ষমার নজরে দেখবেন। আগের মতো রেসপন্স করবেন পাঠকবৃন্দ 🧡]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here