#প্রেয়সী
#নন্দিনী_নীলা
৩১.
বিয়ে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিল তিন্নির সাথে মধু। বরের জুতো চুরি করবে। কমিউনিটি সেন্টারের অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও বর গাড়ি করেই বউ নিতে আসবে এখানে। তাই গেইন ধরা থেকে শুরু করে অনেক হইহুল্ল করবে সবাই। কিন্তু মধু তার কিছুই করতে পারবে না মনে হয়। ওর জন্য তিন্নির ও মন খারাপ। মধুকে হঠাৎ গোমড়া মুখো হয়ে যাওয়াতে দেখে ও পুরা অবাক। ফুয়াদ ভাই ওর পেছনে যতই লেগে থাকুক না কেন মধু এমন গুমড়ে যায়নি একবার ও।
হঠাৎ মধু এমন গুমড়ে গেল কেন বলতেও না। কেন যে রুম থেকে বের হয় না। ভয়ে নিয়ে রুমে বসে থাকে। ওর ভয়ার্ত মুখশ্রী দেখে তিন্নি না জিজ্ঞেস করে পারল না কি হয়েছে। মধু শুধু বলেছে ওকে চিনে, ওর বাবাকে চিনে, এমন একজন কে পেয়েছে এখানে তার থেকে নিজেকে রক্ষা করতেই এভাবে ঘর বন্দি হয়ে থাকছে ও। মহিলাটা কে কোন পক্ষের সেটাও মধু জানে না। সেই মহিলা বাবাকে চিনে মানে বাবাকে ওর খবর দিয়ে দিতে পারে সেই ভয়ে শঙ্কিত হয়ে আছে মধু। তিন্নি মধুকে নিয়ে বাইরে ঘুরেছে কোনটা সেই মহিলা মধু তার দেখা আর পায়নি কিন্তু তার মুখের বর্ণনা হাজার বার তিন্নি কে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মধুর বর্ণনা শুনে তিন্নি কথার আগাগোড়া কিছুই বুঝে নি।
শুধু হু হা করেছে।
তিন্নি আর রাহী গিয়েছে পার্লারে সাথে ওদের আরো মামাতো ফুফাতো বোন আছে। মধু কে যেতে বলেছিল মধু যায় নি। তাই এখন বোরিং হয়ে বসে আছে রুমে। দরজা চাপানো ছিল হঠাৎ দরজা শব্দ করে খুলে ফাহাদ রুমে এসে হাজির। মধুর কাছে এসে ওর হাত থেকে টান দিয়ে ফোন নিয়ে বলল,,” মৌমাছি তুমি নাকি একটা মহিলাকে দেখে ভয়ে রুমে বন্দি হয়ে আছো।”
মধু শোয়া থেকে উঠে বসে ফাহাদ এর হাত থেকে ফোন কেড়ে নেবার জন্য হাত বাড়িয়ে দিল। ফাহাদ বলল,,” আমি কিন্তু মহিলাটিকে চিনি।”
মধু অবাক কন্ঠে বলল,,” কে ওই মহিলা?”
” কোন মহিলা?”
” এই মাত্র বললে তুমি চিনো!”
“চিনিই তো। বিয়েতে আছে এমন সবাইকে আমার চেনা।”
“ফাজলামো করো না ফাহাদ?”
” মৌমাছি তোমার ফোনটা আমাকে আধঘন্টার জন্য দাও না।”
” ফোন দিয়ে তুমি এখন কি করবে?”
” দাও না প্লিজ।”
মধু বিরক্তিকর মুখে আবার শুয়ে পড়ল। ফাহাদ ও ফোন নিয়ে চলে গেল। মধু বালিশে মুখ গুজে চোখ বন্ধ করে পরে রইল। বাবার কানে কি খবর চলে গেছে? তিনি যদি এখানে চলে আসে উফফ।
মিতুল নিজের ছোট বোন কে নিয়ে নিজেই রুমে সাজগোজ করছে। আজকে মিতুল শাড়ি পড়ছে নাফিসা বেগম বলেছে পড়তে। তার কারণ ও আছে তিনি আজ হবু পুত্র বধূ বলে পরিচয় করিয়ে দেবে মিতুল কে নাঈম এর আত্নীয় স্বজন পরিবারের সামনে। তাতেই মিতুল খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে। পার্লারে সাজতে চেয়েছিল কিন্তু নাফিসা বেগম বলে গেছে পার্লারে না সাজতে। তার বারণ শুনেই পার্লারে সাজার ইচ্ছে মাটি চাপা দিতে হয়েছে। মনে মনে এই কারণে মন ক্ষুন্ন হয়েছে মিতুলের কিন্তু সামনে তার আদেশ কেই মাথা পেতে নিয়েছে। তার কাছে ভদ্র মেয়ে হয়ে থাকতে হবে আর তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে তবেই না ফুয়াদ কে পাওয়া যাবে।
মিতুলের ছোট বোন মিতুলের শাড়ির আঁচল কাঁধে পিন করতে ছিল। তখনি দরজা ধাক্কা দিয়ে একটা মহিলা উঁকি মারে। নেহা দরজার দিকে তাকাতে গিয়ে পিন মিতুলের কাঁধে ফুটো করে দেয়। মিতুল গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে নেহা কে ধাক্কা দিয়ে আঁচল ফেলে কাঁধ চেপে ধরে। আগুন চোখে বোনের দিকে তাকায়। নেহা ঢোক গিলে সরি বলতে লাগে।
মিতুল ঠাস করে নেহার গালে চর মেরে দেয়। নেহা গালে হাত দিয়ে অপরিচিত মহিলা টির দিকে তাকায় তার জন্য এসব হলো সব রাগ গিয়ে পরে তার উপর।
মহিলাটি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভেতরে এসে দুই বোনের কার্যকলাপ মারামারি দেখছে।
নেহা মহিলাটি কে রাগী গলায় জিজ্ঞেস করল,,” কে আপনি এখানে কি করছেন?”
মহিলাটি বত্রিশ দাঁতের পাটি বের করে হেসে উত্তর দিল,” আমি বরের ফুপি।”
” এখানে কি করছেন?”
” এমনিতেই ঘুরছিলাম।”
” রুমে নক না করেই এমন হুটহাট ঢুকে পড়ছেন কেন? দেখছেন না আমরা রেডি হচ্ছি।”
” বাইরে থেকে দেখা যায়নি। আমি একজন কে খুঁজছিলাম তাই নক না করেই ঢুকেছি।”
” কাকে খুঁজছেন? আর সে আমাদের রুমে থাকবে এটাই বা শিউর হলেন কি করে?”
মহিলাটি কিছু বলতে যাবে মিতুল রক্ত বর্ণ চোখে তার দিকে তাকিয়ে বলল,,” বের হোন রুম থেকে। যতসব ফালতু লোক কোথা থেকে আসে।”
মিতুলের কর্কশ শব্দে মহিলা টি চোখ মুখ লাল করে বেরিয়ে গেল।
মিতুল আরেক ধমক দিয়ে নেহা কে দরজা লক করতে বলে।
জাহানারা বেগম বিড়বিড় করে মিতুল আর নেহা কে গালিগালাজ করে বাইরে এল। কত বেয়াদব মেয়ে একটু রুমে যাওয়াতে কেমন তাচ্ছিল্য করে তাড়িয়ে দিল। আমি বরের ফুপি।
আমাকে অপমান করা? রাগে উনি মুখ বেঁকিয়ে হাঁটতে লাগলেন! ফাহাদ ফোন নিয়ে দৌড়ে আসছিল জাহানারা বেগমের সাথে অসাবধানতায় ধাক্কা লেগে যায়। ধাক্কা খেয়ে জাহানারা বেগমের ভারী শরীর দোলে উঠে। মাথা চক্কর দেয়।
ফাহাদ ভো দৌড়ে পালিয়েছে এখানে দাঁড়িয়ে বকা খেতে চায় না। জাহানারা বেগম সোজা হয়ে মাথায় হাত দিয়ে কে চেঁচিয়ে বলে,,” কোন হারামি ধাক্কা দিলি রে সামনে আয়। আজ তোর একদিন কি আমার যতদিন!”
আশেপাশে কেউ নাই।
মধু কে সারা রিসোর্ট চক্কর দিয়ে গতকাল থেকে খুঁজছে জাহানারা বেগম। মাইয়া হারাই গেল কই?
আর খোঁজ করার ঝামেলায় যাবে না এখন তিনি নিজের রুমে ফিরে যাবে বলে রুমের দিকে হাঁটতে লাগে।
মিতুল শাড়ির আঁচল দোলাতে দোলাতে নাফিসা বেগম কে দেখিয়ে এল। তারপর মধুর কাছে গেল। মধুর থেকে জানতে পেরেছে গতকাল নাকি কে ওকে চিনতে পেরেছে ওর বাবার নাম বলেছে। সেটা শোনার পর থেকে মিতুল সেই মহিলাটিকে খোঁজ করা শুরু করে দিয়েছে। এতো দিন পর আপদ তাড়ানোর ওয়ে পেয়ে গেছে তা ও হাত ছাড়া করতে চায় না। কিন্তু মধুকে দিয়ে সেই মহিলা কে খোঁজে বের করা যায়নি এখনো। মিতুল চায় সেই মহিলার সাথে ওর দেখা হোক আর ও নিজে তাকে ধরে নিয়ে আসবে মধুর কাছে। মিতুল মধুর রুমে ঢুকতে যাব পেছনে থেকে কেউ গম্ভীর গলায় বলে উঠে,” কোথায় যাচ্ছ?”
চমকে ঘাড় কাত করে পেছনে তাকিয়ে দেখে ফুয়াদ দাঁড়িয়ে আছে।
মিতুল ঢোক গিলে বলল,,” মধুর কাছে কেন?”
” তোমাকে বলছি না মধুর থেকে দূরে থাকবে?”
” দেখো ফুয়াদ তুমি আমায় ভুল বুঝছ। আমি কিন্তু আর আগের মতো রেগে নাই। মধু কে আমি এখন হেট করি না!
ফুয়াদ কপাল কুঁচকে বলল,,” তাই! কিন্তু হঠাৎ এ পরিবর্তন কেন হলো তোমার? আমি তো মধু কে রেখে তোমায় ভালোবাসি বলিনি। তাহলে তুমি এতো ভালো হয়ে গেলে কি করে? মায়ের দেওয়া শাড়ি পরে হবু বউ এর রেওয়াজ পালন করছ। আবার আমার পছন্দ এর মানুষকে ও মেনে নিচ্ছ। তুমি কি বাই এনি চান্স, সতীন নিয়ে সংসার করার কথা মাথায় রেখেছ?”
মিতুল কি বলবে বুঝতে পারছে না। ও যে কি ভেবে কি করছে সেটা তো আর ওরা জানে না। মধু কে মেনে নেয়া এতো সহজ নাকি সবটাই তো দেখানো।
ঢোক গিলে তাকিয়ে আছে মিতুল।
ফুয়াদ ওর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে বলল,,” কি হলো কথা নাই? আগের মতোই মধুর প্রতি রাগ তোমার সেটা তোমার চেহারায় স্পষ্ট তাই ড্রামা বাদ দিয়ে এখানে থেকে প্রস্থান করো।”
মিতুল শাড়ির আঁচল শক্ত করে ধরে তাকিয়ে আছে ফুয়াদ এর দিকে। ওর মুখের বর্ণ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে ধরা খেয়ে কিন্তু ধরা পড়লেই স্বীকার করতে হবে এমন কোন কথা নাই। ও ধরা পরে গেছে তা কিছুতেই স্বীকার করবে না।
মধু ঘুমিয়ে গিয়েছিল দরজার বাইরে কথার আওয়াজ পেয়ে ওর ঘুম ছুটে যায়। ও আড়মোড় ভেঙে বেরিয়ে এসে দেখে মিতুল আর ফুয়াদ দাঁড়িয়ে আছে। মধু কপালে সুক্ষ্যু চিন্তার ভাঁজ ফেলে দুজনের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
মিতুল ওকে দেখেই এগিয়ে এসে বলে,,” আরে মধু তুমি এখনো এই পোশাকেই কেন রেডি হবে না? বর চলে আসবে তো।”
মধু একপলক ফুয়াদ এর দিকে তাকিয়ে মিতুল কে বলল,,” রাহী আপুরা কি চলে আসছে?”
” না আসতেছে কল দিয়েছিলাম।”
” ওহ।”
ফুয়াদ হনহনিয়ে চলে গেছে জায়গা ছেড়ে যাবার আগে মিতুল কে আগুন গরম দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গেছে। চোখ দিয়ে শাসিয়ে গেছে। মধু কে নিয়ে মিতুল রুমে প্রবেশ করে। মিতুল নিজের পরণের শাড়ি দেখিয়ে মধুকে বলে,,” মধু দেখো এটা নাফিসা আন্টি দিয়েছেন আমাকে পরতে। আজ আন্টি আমাকে ফুয়াদ এর হবু বউ বলে পরিচয় করিয়ে দিবেন।”
বলেই মিতুল লাজুক হাসলো।
মধু মিতুলের লজ্জা পাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেও হেসে বলল,,” বাহ ভালোই তো।”
” হুম আমার খুব লজ্জা লাগছে। আমাদের বিয়েটাও খুব জলদি হয়ে যাবে। আন্টি বলেছেন সমুদ্রের জন্য আর আটকে থাকবে না।”
” তাহলে তো আরো ভালো। যাইহোক আমি রেডি হয়ে আসি। আপনি কি বসবেন নাকি চলে যাবেন?”
” আমি যাই। তুমি রেডি হয়েই আসো।”
” আচ্ছা।”
মধু ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে রুমের বারোটা বেজে গেছে। রাহী বউ সাজে খাটের কোনায় বসে আছে ওর সাথে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে আছে কথা বলছে। মধু ওয়াশরুমের দরজার সামনে ভেজা চুলে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় মুখ করে। এতো মানুষের মধ্যে যেতে ও অস্বস্তি লাগছে। তিন্নি ও সুন্দর করে সেজে গুজে আছে। লেহেঙ্গা পরেছে। আজ সবাই লেহেঙ্গা পড়বে এমনটাই ভাবা হয়েছে। মধু শাওয়ার নিয়ে ওর জন্য রাখা লেহেঙ্গা টাই পরেছে। পরেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসেছে কারণ ওয়াশরুমের ফ্লোর ভেজা লেহেঙ্গার নিচে ভিজে যাচ্ছিল। দরজার মাথায় কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে? ও দাঁত নখ কাটছে আর চিন্তিত করছে। তখনি কোথা থেকে সেই জাহানারা বেগম কে নজরে পরে যায় মধুর। জাহানারা বেগম রাহীর হাত ধরে কি জানি বলছে। মধু চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে। লেহেঙ্গার ওরনা গলায় ছিল সেটা টান দিয়ে মুখ ঢেকে ও দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। দরজায় হাজার মানুষের গিজগিজ এই দরজা দিয়ে বের হবে কি করে? পেছনে চুলের পানি পরে পিঠ ভিজে যাচ্ছে। এমন বেকায়দায় পড়তে হবে মধু কল্পনা ও করেনি।
হঠাৎ কে জানি ওকে ডেকে উঠল মধু বলে। মধুর পিল চমকে উঠল মনে হলো ঐ মহিলা ডেকেছে ও তাড়াতাড়ি চোখ বাদ মুখ ডেকে সবাইকে ঠেলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এল। বাইরে এসে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো যেন। মুখ না খুলেই এলোমেলো হাঁটতে লাগল ভয়ার্ত দৃষ্টি জোড়া এদিক ওদিক মেলতে লাগল। ঠাস করে সমুদ্রের সাথে ধাক্কা লাগল। সমুদ্র ফোনে কথা বলছিল আচমকা মধুর সাথে জড়োসড়ো ধাক্কা খেয়ে ওর হাত থেকে ফোন ধপাস করে ফ্লোরে পরে যায়।
মধু করুন মুখে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল,,” সরি সরি,”
বলতে বলতে মধু নিচু হয়ে সমুদ্র ফোন তুলতে যায়। সমুদ্র অবাক বিস্ময়ে বলল,,” এমন এলোমেলো হয়ে কোথায় যাচ্ছ মুখ ডেকে?”
মধু ফ্লোর থেকে ফোন হাতে নিয়ে দেখে স্ক্রিন ফেটে গেছে। ও জিভে কামড় দিয়ে আবার সরি বলে ফোন ঠিক আছে নাকি দেখতে সাইটে চাপ দিয়ে ফোন অন করে। ফোন সঙ্গে সঙ্গে অন হয় ও ভেবেছিল অফ হয়ে গেছে। কিন্তু তা হয়নি। ফোন অন হতেই স্ক্রিনে ওয়ালপেপার এ থাকা ছবি দেখে মধু ৪৪০ ভোল্টেজের শক খায়। থমকানো, নির্বাক দৃষ্টি মেলে স্ক্রিন এর দিকে তাকিয়ে থাকে। মধুর ফোন ধরে রাখা হাতটা অবশ হয়ে আসে। ফোনটা ধরে রাখতেও কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই ফোনের ওজন কয়েক সেকেন্ড এ ওর সামলানোর ক্ষমতা শুষে নিয়েছে। মধু প্রশ্নতুক চোখে সমুদ্রের দিকে তাকায়। সমুদ্র নিজেও চমকে গেছে। মধুর সাথে নজর মেলাতে পারে না। সমুদ্র দ্রুততার সাথে একটানে মধুর হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয়। মধু কিছু বলবে তার সুযোগ টাই পায় না সমুদ্র ঝড়ের গতিতে পালিয়ে যায় একপ্রকার ওর সামনে থেকে। মধু বিষ্ময়ে হতভম্ব হয়ে পিছু ঘুরে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। হাতে কারো উষ্ণ স্পর্শ পেতেই মধু মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সমুদ্রের উপর থেকে। কপাল কুঁচকে পিছু ফিরে দেখে ফুয়াদ দাঁড়িয়ে আছে। ফুয়াদের হাতের মুঠোয় ওর হাত। ও হাত ছাড়ানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে হতবুদ্ধি চোখে ফ্যালফ্যাল করে ফুয়াদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
#চলবে……