অবশেষে সন্ধি হলো পর্ব:১০

0
714

#অবশেষে_সন্ধি_হলো
#পর্ব:১০
#লেখিকা :ইনায়া আমরিন

আজ চারটে সপ্তাহ ফুরিয়ে এলো দীপ্তের দেখা পায় না উর্মি। সেইদিন ক্যাফেটেরিয়ায় সে নিজের উত্তর জানিয়ে চলে এলো।তারপর?সে তো আর দেখা দিলো না। হ’ঠাৎ কী হলো।

আজকাল সিঁড়ি বেয়ে যেতেও দেখে না, আগের মতো সিঁড়িতে দেখা যায় না তাকে। উর্মির জানো কী হয়েছে।আগে সিঁড়ি দিয়ে যেতে পালাই পালাই করতো আর এখন সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় উঁকি ঝুঁ’কি মা’রে যদি চাশমিশের দেখা পায়।

দীপ্ত এখন আর তাকে মেসেজও করে না।মানে সে পুরোপুরি উধাও।বাসায় যেয়ে কী খোঁজ নিবে একবার? না না এটা বেশি হয়ে যাবে। আচ্ছা সে কী বেশি চিন্তা করছে দীপ্তকে নিয়ে?করছেই তো।এটাকে তো বেশি চিন্তা করাই বলে।আর এর মূল কারণ ক্যাফেতে বসে দীপ্তর বলা সেই কথাগুলো।যে কথাগুলো প্রতিটা রাতে উর্মির কানে বা’জে। সেই কথাগুলোই তো বাধ্য করে দীপ্তের কথা ভাবতে।উর্মির কী দো’ষ?

উর্মি কখনো বিয়ে সংসার এসব নিয়ে ভাবে‌ নি।তার ধ্যান জ্ঞান শুধু আম্মু আব্বু আর ভাইয়া।তার পরিবারই সব।এর বাহিরে আর কোনো কিছু নিয়ে ভাবতো না।তবে মায়ের কাছে যখন মায়ের জীবন কাহিনী শুনেছে তখন থেকেই এসব নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

সবসময় সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করতো তার ভাগ্যে যাকে রাখা হয়েছে সে যেনো একজন ভালো মনের মানুষ হয়। সৎ, আদর্শবান,দায়িত্ববান,ব্যক্তিত্ববান একজন হয়।যাতে বউ আর মায়ের মর্যাদা বোঝে।তার জন্য যেনো মাকে ক’ষ্ট না দেয় আবার মায়ের জন্য যেনো তাকে ক’ষ্ট না দেয়।তার মন বুঝতে পারবে,তাকে ভালোবেসে সারাজীবন নিজের কাছে আগলে রাখতে পারবে এমন কেউ।

এসব চিন্তা ভাবনা শুধু একপাক্ষিক নয়।সে নিজেও নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছে।মানিয়ে চলা,স্বামীর মন বুঝে চলা,শশুড় বাড়ীর সবার মন বোঝার চেষ্টা করা, নিজের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার মতো মানসিকতা মনে পুষে রেখেছে।অবশ্য এসব কথা রাবেয়াই তাকে শিখিয়েছে।যখন মা মেয়ের মাঝে মধ্যে আড্ডা হতো।আড্ডার ফাঁকে রাবেয়া এসব কথা বলে মেয়েকে জ্ঞান দিতো যা সব মায়েরাই করে।

সত্যি বলতে সে মনের একটা গোপন কুঠুরিতে অনেক ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছে।সঠিক মানুষটার জন্য।সময় হলে সেই মানুষটা যখন তার জীবনে আসবে তখন সব উজাড় করে দিবে।তার মানুষটাকে ভালোবেসে সেও আগলে রাখবে।তবে সে সৃষ্টিকর্তার নির্ধারণ করা মানুষটাকেই ভালোবাসতে চায়,অন্য কাউকে নয়। এবার সেটা যদি দীপ্তই হয় তাহলে তার কোনো আপত্তি নেই।সে রাজি।

বড়ো একটা শ্বাস ফেলে ফোন হাতে নেয় উর্মি। ফেসবুক লগ ইন করে। দীপ্তের আইডিতে ঢোকে।দীপ্ত ফেসবুকে একটিভ থাকলেও তেমন পোস্ট করে না।তার করা শে’ষ পোস্টটা দেখে উর্মি।কানাডায় থাকাকালীন সময়ে পোস্ট করেছিলো দীপ্ত।তার বয়সী অনেকজন একসাথে দাঁড়িয়ে গ্রুফ ফটো তুলেছিলো,সেগুলোই আপলোড করেছে।হয়তো এরা সবাই দীপ্তের কানাডার ফ্রেন্ডস হবে,ছবি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে উর্মির।স্ক্রল করে সব গুলো ছবি দেখে।এতোগুলো মানুষের মধ্যে ওর চোখ বারবার দীপ্তের দিকেই চলে যাচ্ছে।গ্রুফ ছবিটাতে দীপ্তকে জুম করে। খুঁ’টিয়ে খুঁ’টিয়ে দেখে। একবার দেখে,দুবার দেখে বারবার দেখে। তারপর বেরিয়ে এসে দীপ্তের ডিপিতে দেওয়া ছবিটাও দেখে।ছবিটা সম্ভবত কোনো এক পাহাড়ে।পরনে জিন্স আর ব্ল্যাক জ্যাকেট।হাত দুটো জ্যাকেটের পকেটে পুরে রেখেছে।চোখে সচরাচর রাখা চশমার জায়গায় এখন কালো রোদচশমা।মুখে সেই পরিচিত হাসি।পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে উর্মি।
হ’ঠাৎই ধ্যান ভা’ঙে।ব্যাক বাটন প্রেস করে দ্রুত বেরিয়ে আসে দীপ্তের আইডি থেকে তারপর ফেসবুক থেকে।ফোনটা হাত থেকে রেখে নিজেই নিজেকে বলে_

“আজকাল অনেক নির্ল’জ্জ হয়ে যাচ্ছি।”
.

অফিস টু বাড়ি আবার বাড়ি টু অফিস ভালোই ব্য’স্ত সময় যাচ্ছে আহনাফের। প্রথম প্রথম অফিসে প্রেশার নিতে হিম’শিম খেতো তবে আস্তে আস্তে সামলে নিয়েছে সে। সারাদিন অফিসের কাজ শে’ষে ক্লা’ন্ত হয়ে বাড়ি ফিরে।সবার সাথে বসে একসাথে খাবার খায়।বাবা ছেলের দারুন আড্ডা হয় খাবার টেবিলে। প্রথমে একটু সং’কচ কাজ করতো অনেক দিনের দূরত্ব ছিলো কী না।তবে দিন দিন সেই সং’কোচ কা’টিয়ে উঠেছে বাবা ছেলে দুজনেই। আশফাক সাহেব আহনাফকে একটা বাইক উপহার দিয়েছেন।অনেকদিন থেকেই ছেলেকে কিছু একটা দিতে চেয়েছিলেন।
বাইকের প্রতি ছেলেদের ইমোশন কাজ করে।আর আহনাফের নতুন চাকরি তাই আশফাক সাহেবের মনে হয়েছে ছেলের জন্য বাইকই উপযুক্ত উপহার হবে।আর কাকতালীয় ভাবে আহনাফও খুব খুশি হয়েছে বাবার কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে।বাবাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদও দিয়েছে।ছেলের এই জড়িয়ে ধরে উচ্ছাস প্রকাশ করা আশফাক সাহেবকে পৃথিবীসম প্রশান্তি এনে দিয়েছিলো।উর্মি আর রাবেয়াকে দুটো গোল্ড পেন্ডেনন্টের সেট উপহার দিয়েছে। রাবেয়ার এখন আর স্বর্ণ গয়না পরে ঘোরার বয়স নেই তবে স্বামী যখন ভালোবেসে উপহার এনেছে আবার নিজের হাতে পরিয়ে দিয়েছে তখন উনি গ্রহণ না করে পারলেন না।

অফিস আর পরিবার নিয়ে এমন সুন্দর ব্যস্ত সময় কা’টিয়ে আহনাফ যখন রাতে ঘুমাতে যায় তখন তার মনে হয় সব কিছুই আছে কিন্তু কিছু একটা জানো মি’সিং।আর সে খুব ভালো করে বুঝতে পারে কী মি’সিং।
একটা তোতাপাখি।যে তোতাপাখি আহনাফকে সারাক্ষণ জ্বা’লাতন করতো। তোতাপাখির মতো কথা বলে হৈ হুল্লোড় বাঁধিয়ে রাখতো সবসময়।যার জন্য আহনাফের অনেক ব’কাও শুনতো।কিন্তু আজ প্রায় এক মাস হতে চললো সেই তোতাপাখির দেখা নেই।

হ’ঠাৎ কী হলো মেয়েটার। সেইদিনের ফোনালাপের পর তো আর কোনো খবরই নেই। নতুন অফিসের ব্যস্ততার জন্য আহনাফ বিষয়টা অতোটা খেয়াল করে নি। কিন্তু যতো দিন যাচ্ছে বিষয়টা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। সেইদিনের পর নো ফোন কলস,নো টেক্সট।ফেসবুকে আগের মতো তেমন পোস্ট করে না।একটিভ স্ট্যাটাস ব’ন্ধ করে রাখায় কখন ফেসবুকে ঢোকে কখন বের হয় কিছুই বুঝতে পারে না আহনাফ। তাদের বাসায়ও তো আসে না আগের মতো। আহনাফ মনে করে দেখে সে কী এমন কোনো কথা বলেছে যার জন্য অথৈ রা’গ করবে?

মনে করে দেখলো এমন কোনো কথা তো বলেনি।আর সে যা-ই বলুক অথৈ তো কখনো রা’গ করে না।তাহলে?

চ’ঞ্চল মেয়েটা হ’ঠাৎ শান্ত হলো কেনো।মূলত এইটাই আহনাফের ছট’পট করার কারণ।ওকে এতোদিন জ্বা’লিয়ে, ফাঁ’সিয়ে এখন কে’টে পড়ছে?এতো সহজ নাকি সব?

নিজের রুমে বসে আছে আহনাফ,হাতে ফোন।চোখে ঘুমের ছিটেফোঁটাও নেই।অথচ রাত হয়েছে অনেক। টেবিল লেম্পের আলোতেই ঘরটা ক্ষীণ আলোকিত।

অথৈয়ের ইনবক্সে কয়েকবার ম্যাসেজ টাইপ করেও সেন্ড করে নি আহনাফ,কে’টে দিয়েছে। বির’ক্ত লাগছে, অশা’ন্তি লাগছে।কী শুরু করেছে মেয়েটা?এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয়?
উর্মিকে যে জিজ্ঞাসা করবে তাতেও সং’কোচ কাজ করছে।আর যা-ই হোক সে উর্মির বড়ো ভাই।ছোট বোনের কাছে তার বান্ধবীর খোঁজ নেওয়া ভালো দেখায় না।তাই সেটাও করতে পারছে না।

আচ্ছা সে কী একবার কল দিবে?
স্ক্রল করে কল লিস্টে চলে যায় আহনাফ।চোখ যায় “Parrot” দিয়ে সেভ করা একটা নাম্বারে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে নামের দিকে।বুড়ো আঙুল দিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে দেয়।

অনেক্ষণ হয়ে যায় কল দেয় না আহনাফ, দিতে পারছে না। মে’জাজ খারাপ হচ্ছে। সাধারণ একটা ব্যাপার অথচ সে পারছে না।

ব্যাক বাটন ক্লিক করে বেরিয়ে আসে।ফোন ছুড়ে ফেলে বিছানায়।দু হাত দিয়ে চুল খা’মচে ধরে চোখ ব’ন্ধ করে।বির বির করে_

“এবার সত্যি সত্যি পা’গল হয়ে যাবো।”
.

সকালে নাস্তার টেবিলে সবাই একসাথে নাস্তা করছে। রাবেয়া একটু পর পর আহনাফের দিকে তাকাচ্ছে। আহনাফের চোখ মুখ কেমন শুকনো শুকনো লাগছে।ছেলেটাকে কিছুদিন থেকে খেয়াল করছে।তার গোছালো ছেলেটা কেমন অগো’ছালো আচরণ করছে না?

“আহনাফ?”

মায়ের কথা সেইদিকে তাকায় আহনাফ।উর্মি আর আশফাক সাহেবও তাকায়।

আহনাফ হাল্কা আওয়াজে বলে_
“বলো?”

“তুমি ঠিক আছো?চোখ মুখ এমন শুকনো লাগছে কেনো বাবা?রাতে ঘুমাও নি?”

আশফাক সাহেবও ব্যাপারটা ধরেছিলেন কিন্তু জিজ্ঞাসা করে নি কিছু।এখন রাবেয়ার প্রশ্নে ছেলের দিকে চেয়ে আছেন, উত্তর জানতে।

মায়ের কথা নড়েচড়ে বসে আহনাফ।মুখে বলে_
“তেমন কিছুই না। অফিসে একটু প্রেশার যাচ্ছে, তাই হয়তো এমন লাগছে।ঠিক হয়ে যাবে।”

আশফাক সাহেব বোঝার ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন।সবাই আবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। কিন্তু রাবেয়ার কেনো যেনো কথাটা বিশ্বাস হলো না। আচ্ছা তিনি যেটা ভাবছেন সেটা নয় তো?ব্যাপারটা খুঁ’টিয়ে দেখার জন্য অনেকক্ষণ সময় দিয়ে উর্মিকে বলে_

“উর্মি?অথৈয়ের কী খবর?মেয়েটা অনেকদিন হলো বাসায় আসে না। তোমার সাথে কথা হয়?জানো কিছু?”

আহনাফের খাওয়া ব’ন্ধ হয়ে যায়।চ’ট করে সামনে তাকায়।অথৈয়ের কথা জানার জন্য উর্মির দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু খেয়াল করলো না তার মা তার দিকেই তাকিয়ে আছে।যা বোঝার বুঝে ফেলেছে রাবেয়া।ছেলে যে পিছলে গেছে টের পেয়েছে আগেই। এখন শুধু নিশ্চিত হওয়া বাকি।

মায়ের কথায় মুখটা ম’লিন করে ফেলে উর্মি। বলে_
“ওর হ’ঠাৎ কী হয়েছে কে জানে। আগের মতো তেমন ফোনও দেয় না কথাও বলেনা।আমি ভাবলাম অ’সুস্থ কী না তাই নিজেই ফোন করেছিলাম কালকে।বললো সামনে পরীক্ষা এজন্য পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ত।সময় সুযোগ পেলে আসবে।”

কথাটা একটুও বিশ্বাস হলো না আহনাফের।পড়াচো’রটা হ’ঠাৎ খুব পড়ুয়া হয়ে গেছে তাই না?তাকে জ্বা’লিয়ে এখন পড়াশোনার দোহাই দেওয়া হচ্ছে। নিজেকে খুব চালাক মনে করে? আহনাফ কী বোকা?তার এসব ভেল’কি বোঝা হয়ে গেছে আহনাফের।চোখ মুখ শ’ক্ত করে খাওয়ায় মন দেয়।মনে মনে ভাবে_

“একবার হাতের নাগালে পাই, পড়াশোনার ডেফিনেশন বোঝাবো তোমাকে আমি।”

আহনাফের গতি বিধি খুব ভালো ভাবে খেয়াল করছে রাবেয়া। মায়ের চোখে সব ধ’রা পড়ে গেছে।সে নিশ্চিত তার ছেলে অথৈতে আ’টকে গেছে।এখন অথৈয়ের অ’নুপস্থিতে তার বুক ফা’টছে কিন্তু মুখ ফা’টছে না।সবার আড়ালে ঠোঁটের কোণ টেনে হেসে ফেলল।তার গ’ম্ভীর ছেলেটাও প্রেমে পড়লো তবে।

অথৈয়ের কার্যকলাপে অনেক আগেই বুঝেছিলো অথৈ আহনাফকে পছন্দ করে।মেয়েটার চা’ঞ্চল্যতা,ব্যা’কূলতা,অ’স্থিরতা যে তার ছেলেকে ঘিরে তা অনেক আগেই বুঝেছিলো রাবেয়া।অথৈকে নোটিস করার সাথে সাথে আহনাফকেও দেখতে চাইছিলো।তার ছেলে কী চায়?তার ছেলে মেয়ের চাওয়াটাই তার কাছে মূখ্য।

যেখানে আহনাফ কিছু উল্টো পাল্টা হলেই রে’গে যায় সেখানে অথৈয়ের এতো পা’গলামি স’হ্য করছে?আদেও সম্ভব?
কেউ কাউকে ভালো না বাসলে তার পা’গলামী স’হ্য করে? অবশ্যই না।তখন থেকেই খ’টকা লাগে রাবেয়ার।আর আজ তো সব পরিষ্কার। আহনাফের ছট’পট করার কারণও বুঝে ফেলেছে।

অথৈ হয়তো সত্যিই পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু ছেলের এই অ’স্থিরতা দেখে হাসি পাচ্ছে রাবেয়ার। ঠিকই আছে,এতো চাপা স্বভাব হবে কেনো?এতো গ’ম্ভীর হবে কেনো?মা হয়েই ছেলের এই স্বভাব অপছন্দ রাবেয়ার।
এবার যদি অথৈয়ের বদৌলতে একটু সোজা হয়।

মনে মনে দোয়া করে তার দুটো ছেলে মেয়ের জন্য।তার ছেলে মেয়ে সবসময় ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। কখনো কোনো খা’রাপ পরিস্থিতি যেনো না আসে ওদের জীবনে।
.

তখন শুক্রবার বিকেলের দিকে।ছুটির দিন,তাই সবাই সেইদিন বাসায়ই আছে। কলিং বেলের আওয়াজ জানান দিচ্ছে কেউ এসেছে।আজ রাবেয়া দরজা খুলতে গেলো।
আশফাক সাহেব সোফাতে বসে টিভিতে খবর দেখছিলো।তখন উর্মি আহনাফ বেরিয়ে এলো।উর্মি ভেবেছিলো অথৈ এসেছে হয়তো।

রাবেয়া দরজা খুলে অবা’ক হলো। তারপর মুখে হাসি নিয়ে সেভাবেই বলে_
“আপনারা?”

উর্মি চম’কিত। দরজার বাহিরে দীপ্ত আর তার বাবা মা দাঁড়িয়ে আছে। দীপ্ত তার দিকে তাকিয়ে কেমন যেনো ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি দিলো। উর্মি শ’ক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যখন বুঝতে পারলো দৌড়ে রুমে চলে গেলো।

হাত পা কেমন থর’থর করে কা’পছে। হ’ঠাৎ অপ্র’ত্যাশিতভাবে দীপ্তকে আশা করে নি। কিন্তু দীপ্তের হাসিতে সাথে বাবা মাকে দেখে যা বোঝার বুঝে ফেলেছে।ফর্সা কপালে ঘাম দেখা যাচ্ছে।হাত দিয়ে মুছে ফেললো উর্মি।খুব নার্ভাস লাগছে তার।

সবকিছু খেয়াল করেছে আহনাফ। একবার সোফায় বসা দীপ্তের পরিবারের দিকে তাকাচ্ছে আবার উর্মির রুমের দিকে। পরিবার সমেত দীপ্তকে আর দীপ্তকে দেখে উর্মির স্থান ত্যা’গ করাতে কী হতে যাচ্ছে কিছুটা বুঝতে পেরেছে সে।বাকিটা দেখা যাক।

চলবে…

(অথৈকে ভদ্র বানিয়ে দিয়েছি হিহি।
আর একটা কথা এখন থেকে একদিন পর একদিন গল্প দিলে রা’গ করবেন? প্রতিদিন গল্প দিতে গেলে আমাকে অনেক সম’স্যা ফেইস করতে হয়।একটা পর্ব লিখতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়।পুরোটা সময় স্ক্রিনে চোখ রাখার জন্য চোখ ব্যা’থা করে। তাছাড়া গল্প লিখতে গিয়ে এই কয়দিন পড়াশোনা একদম এলো’মেলো হয়ে গেছে।তাই ভাবছি একদিন পর একদিন দিবো।যাই হোক হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here