হৃদয়জুড়ে প্রেয়সীর আভাস (২) পর্ব ১১

0
2388

#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস (২)
#পর্ব_১১
#মোহনা_হক

-‘এ বিয়ে হবে না।’

ফজলুল চৌধুরী চমকে আয়াজের দিকে তাকালেন। নাইমুর রহমান কিছুটা ভ্রু কুচকে চেয়ে আছেন। চোখের পানি মুছে রুয়াত আয়াজের দিকে তাকায়। মনে মনে ভরসা পায় ভীষণ। তার বিয়ে করার ইচ্ছে নেই। সেটা নিয়ে কয়েক বছর পর ভাববে। আপাতত মেহরুবা আর রূহান কে ছেড়ে কোঁথাও যেতে চায় না। মুলত বিয়ে নিয়ে কখনো সেরকম ভাবে ভেবে দেখেনি। আজ হঠাৎ এমন দিনে এরকম একটা খবর শুনে মন বিষিয়ে গিয়েছিলো তার। আয়াজের কথায় কিছুটা হলেও ভরসা পায়।

-‘এসব কি বলছেন এমপি সাহেব? আর আপনি এটা কিভাবে বলছেন? রুয়াত তো আপনার বোন হয়। আপনি কি আপনার বোনের ভালো চান না?’

আয়াজ দাঁতে দাঁত চেপে তার রাগ কন্ট্রোল করে। এগুলো কোনো কিছুই তার ভালো লাগছে না। তাই সোজাসাপ্টা বলে দেয়,

-‘কিভাবে বলেছেন মানে? আমি আমার মুখ দিয়ে কথাটা বলেছি। রুয়াতের ভালো আমরা সবাই চাই। আর কোনো বাগদান কিছু হবে না। আমি মানছি ওর বাবা কয়েক বছর আগে আপনার সাথে কথাটা বলেছে। এখন ওনি নেই। আমরা কিভাবে বুঝবো যে আপনি সত্যি কথা বলেছেন? এর কোনো যথাযথ প্রমাণ আছে? আপনি এখন এটাও বলতে পারেন যে তখন কি আর ভেবেছিলাম আমার বন্ধু এতো তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে? আবার প্রমাণের যে বিষয় বলেছি আপনি এটাও বলবেন আমরা কি জানতাম নাকি যে ভবিষ্যতে এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। যাই হোক আর রুয়াত কি আপনার ছেলে কে মেনে নিবে? কখনো মানবে না। যদি আপনার সাথে ওর বাবা বিয়ের কথা বলেও থাকে তাহলে কি আমার বাবা কে জানাবে না? জানার কথা। কারণ আমার বাবা ওনার সবচেয়ে ক্লোজ মানুষ ছিলেন। অবশ্যই সেরকম কিছু হলে নিশ্চয়ই শেয়ার করতেন। আপনি কিভাবে ভাবছেন যে আমরা কোনো কিছু না শুনে, বুঝে আপনার ছেলের সাথে রুয়াতের বিয়েতে মত দিবো? ওর বড় আমার বোন। বয়সের পার্থক্য রয়েছে। সেখান থেকে যদি বলি আমার বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। পড়াশোনা করছে আপাতত। আমার বোন কে যদি আমরা এতদূর পড়াতে পারি তাহলে রুয়াত কেনো পড়বে না? এখন ওর বিয়ে না হোক, বিয়েটা ঠিক হয়ে থাকলে আশেপাশে মানুষ বলবে না নিজেদের মেয়েকে এতদূর পড়াচ্ছে আর ফজলুল চৌধুরী তার ভাইয়ের মেয়ের বিয়েটা এতো তাড়াতাড়ি ঠিক করে রেখেছে। পরে আমার, বাবার বদনাম ছড়াবে। মোট কথা এটাই যে কেউ রাজি নয় এই বিয়েতে।’

নাইমুর রহমান কিছুটা বিরক্ত হয় আয়াজের কথায়। কিন্তু কোনো রকম কথা বললো না। যে কথাগুলো শুনিয়েছে সে তো আর ছোটখাটো মানুষ নয়। এমপি সাহেব বলেছেন কথাগুলো। এখন কিছু বললে যদি ফেঁসে যায়? তবে এটা ঠিক হান্নান তার সাথে বিষয়টা নিয়ে অনেক বার কথা বলেছে। সেই রাজি ছিলো। প্রস্তাব হান্নান দিয়েছিলো। এখন কিভাবে বোঝাবে তাদের? বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি।

-‘দেখুন এমপি সাহেব আপনি আমার কথা বিশ্বাস করুন। হান্নান নিজে প্রস্তাব দিয়েছিলো আমার কাছে। আচ্ছা তাহলে আপনিই বলুন কেনো আমি এসব বলতে যাবো? এতোগুলো মিথ্যে কথা বলে আমার কোনো লাভ আছে বলুন?’

-‘অবশ্যই আছে কারণ রুয়াত অনেক সুন্দর। আর এরকম মেয়েকে আপনার ছেলের বউ করে নিতে পারলে তো আপনাদেরই লাভ। আপনি কথা বাড়াবেন না। যে জায়গায় আমি বলেছি এ বিয়ে হবে না, সেখানে আমার বাবা রাজি থাকলেও এ বিয়ে হবে না।’

প্রথম কথা শুনে রুয়াত হতভম্ব হয়ে যায়। মানে আয়াজ কি তার রূপের প্রশংসা করলো নাকি? তাও কিনা এভাবে? ফজলুল চৌধুরী ছেলের কথা শুনে কাঁশি দেয়। কিভাবে বলে দিলো তিনি রাজি রাজি থাকলেও এ বিয়ে হবে না। মায়া চৌধুরী বেশ মজা পাচ্ছেন তার ছেলের কথায়। রুয়াতের বিয়ে ভাঙার জন্য কিভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে তার ছেলে।

-‘ফজলুল সাহেব আপনি এবার বলুন কি করবেন? দেখেছেন তো এমপি সাহেব কি বললেন! দয়া করে আপনি এবার কিছু বলুন। আমার কথা বিশ্বাস করুন। আমি শুধু চাই আমার বন্ধুর কথা পূরণ করতে। তার ইচ্ছেটা রাখতে। আপনি মানা করবেন না প্লিজ। হান্নান আমার কাছের বন্ধু ছিলো ওর কথাটি আমি রাখতে চাই। রুয়াত কে আমার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে চাই। আপনি রাজি হলে নিশ্চয়ই এমপি সাহেব ও রাজি হয়ে যাবেন।’

ফজলুল চৌধুরী কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যান। রুয়াত মনে মনে দোয়া করছে যাতে তার বড় বাবা না করে দেন। সে সত্যিই মন থেকে চাচ্ছে যাতে বিয়েটা ভেঙে দেওয়া হয়। এসব আর ভালো লাগছে না। আয়াজ চুপ হয়ে থাকলো। সে শুনতে চায় তার বাবা কি বলবে। রাজি থাকলেও এই বিয়েটা হবে না। কোনো মতে হবে না। প্রেয়সীর পাশে তাকে ছাড়া আর অন্য কোনো পুরুষ কে কখনো কল্পনা করেনি। বিয়ে তো দূরে। মাঝেমধ্যে রুয়াতের সাথে আরহামের এতো হাসাহাসি সহ্য করতে পারে না। আর বিয়েটা তো মোটেই সহ্য করবে না। এ বিয়ে ভেঙেই তবে দম নিবে। সেটা যেকোনো মূল্যেই হোক।

-‘দেখুন নাইমুর সাহেব আপনার কথা নাহয় আমি বিশ্বাস করে নিলাম। কিন্তু এখানে তো রুয়াতের মতামতের প্রয়োজন আছে। ওর মায়ের মতামতের প্রয়োজন। তারপর বিষয়টা নিয়ে কথা বলা হবে।’

-‘তুমি ওনার কথা বিশ্বাস করলে কিভাবে বাবা? আমার তো মনেহচ্ছে ওনি সব ভুয়া কথা বলেছে। আবার বিষয়টা নিয়ে কথা বলবে? তুমি সব বিশ্বাস করে নিলে কিভাবে আমি সেটাই ভাবছি।’

আয়াজের কথায় ফজলুল চৌধুরী বিরক্তিকর শব্দ করে।
-‘আহা তুমি যেটা জানো না সেটা নিয়ে কথা বলবে না। আমি মেহরুবা কে জিগ্যেস করবো। হুট করে তো আর আমি এগুলো নিয়ে কথা বলবো না তাইনা! অবশ্যই বিষয়টা ভাবার পর বলবো। যদি মেহরুবার থেকে তেমন কোনো কিছু না জানি, তাহলে এই বিয়েটা হবে না। আমরা তো আর আমাদের বাড়ির মেয়েকে নিয়ে এভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। অবশ্যই সব দিক ভেবে সঠিক একটা সিদ্ধান্ত নিবো।’

নাইমুর রহমান চিন্তায় পড়ে যান। হয়তো বা মেহরুবা না ও জানতে পারে এগুলো নিয়ে। আয়াজ চুপ হয়ে যায়। ফজলুল চৌধুরী রূহানের উদ্দেশ্যে বলে-

-‘রূহান তোমার মা কে ডেকে আনো। যাও।’

রূহান তাড়াহুড়ো করে তার মাকে নিয়ে আসতে যায়। বর্তমানে এখন ছিমছাম নিরবতা পালন করছে সবাই। আয়াজ বারবার রুয়াতের দিকে তাকাচ্ছে। রুয়াত নিমির হাত ধরে চেপে দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখশ্রীতে অস্থিরতা ছোঁয়া। আয়াজ উঠে মায়া চৌধুরীর কাছে যায়। তার মা কে নিয়ে লিভিং রুম থেকে সরে আসে। অতঃপর বলা শুরু করে,

-‘মা তুমি বাবা কে বলবে যাতে এই বিয়েতে সে কোনো রকম মত না দেয়। তাহলে কিন্তু আমি সব শেষ করে দিবো। এমনকি আমি সবার সামনে বাবা কে বলবো তার ছেলের ভালোবাসা যেনো অন্যের হাতে তুলে না দেয়। সত্যি সব শেষ করে দিবো কিন্তু বলে দিলাম।’

মায়া চৌধুরী তার ছেলের পাগলামো তে হাসে। কিসব কথা বার্তা শুরু করেছে। ছেলের পিঠে হাত রেখে বলে-

-‘নিজেকে শান্ত কর বাবা। মা আছি না? আমি বলবো তোর বাবাকে। এতো রাগ করলে তো রুয়াত ও তোকে বিয়ে করবে না। মেয়ে মানুষের সাথে এভাবে কথা বললে কিন্তু হয় না। আরো নরম করে কথা বলতে হবে। আর মেহরুবা আসুক। দেখি কি বলে? তারপর যদি এসবেও না হয় আমি তোর বাবার সাথে কথা বলবো।’

আয়াজ কিছু না বলে আবার চলে আসে সে জায়গায়। মায়া চৌধুরী ও পিছন পিছন আসে। মেহরুবা রূহানের কথায় নিচে আসে। ফজলুল চৌধুরী প্রথমেই বলে-

-‘মেহরুবা তোমার সাথে আমি কথা বাড়াবো না। তাই আগেই বলছি হান্নান নাইমুর সাহেবের ছেলের সাথে রুয়াতের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলো। এ কথা তুমি জানতে?’

মেহরুবা মাথা নাড়িয়ে বলে-
-‘এরকম কোনো কথা আমার কাছে রুয়াতের বাবা কখনো বলেনি। আমি জানিও না। তবে প্রায় সময়েই ওনার ছেলের কথা আমার কাছে বলেছেন। আবার ওনার ওয়াইফের কাছ থেকেও শুনেছি রুয়াতের বাবা নাকি অনেক আদর করতেন ওনার ছেলে কে।’

এটুকু বলেই মেহরুবা থেমে যায়। নাইমুরের সব জল্পনা কল্পনা শেষ। তার শেষ আশাটুকুও একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এখন তার মনেহচ্ছে এই বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে আশাটাই ভুল হয়েছে। কি যে এক যন্ত্রণায় ভুগছেন। আবার এমপিও তো এখন কথা শোনাতে ছাড়বে না। নিশ্চয়ই কয়েম গাদা শুনিয়ে তারপর ছাড়বেন। এতক্ষণ পরে আয়াজের মুখে একটু হাসি এসেছে। বেশ শান্তি লাগছে। ফজলুল চৌধুরী বলা শুরু করে,

-‘আচ্ছা নাইমুর সাহেব আপনিই বলুন আমি এখন কিভাবে আপনার কথা বিশ্বাস করে আমাদের বাড়ির মেয়ে কে তুলে দিই? বা এই প্রস্তাবে রাজি হই? আর হান্নান যদি মন থেকেই রাজি থাকতো তাহলে একবার না একবার হলেও কথাটি রুয়াতের মায়ের কাছে বলতো তাইনা!’

নাইমুর ইতস্ত বোধ করলো। অসহায় চোখ দিয়ে তাকায় ফজলুল চৌধুরীর দিকে। ভাঙা গলায় বলে-

-‘আমার কথা কিন্তু সবটা সত্যি ছিলো ভাই। বিশ্বাস করুন ভাই আমি একটু খানিও মিথ্যা কথা বলিনি। আমি শুধু চেয়েছিলাম আমার বন্ধুর ইচ্ছেটা পূরণ করতে এইটুকুই। এর পিছনে আমার আর কোনো কারণ ছিলো না।’

-‘আচ্ছা বুঝেছি নাইমুর সাহেব। মেহরুবা কে আমি একটা কথা বলতে চাই যেহেতু নাইমুর সাহেব এতো করে বিয়ের কথাটি বলেছেন তাহলে তুমি রাজি হয়ে যেতে পারো প্রস্তাবটায়।’

কথাটি শোনামাত্রই রাগ উঠে যায় আয়াজের। তার বাবা কি ইচ্ছে করেই শত্রুতা করছে নাকি তার সাথে? মায়া চৌধুরীর ও রাগ হয় স্বামীর কথায়। মেহরুবা সাথে সাথে বলে উঠে,

-‘সবটা আমার মেয়ের উপর নির্ভর করছে।’

সবাই রুয়াতের দিকে তাকিয়েছে। একটু ভড়কে যায় মেয়েটা। অনেক সাহস জুগিয়ে রুয়াত বলে-
-‘আমি রাজি নই।’

দ্রুত পায়ে সেখান থেকে চলে যায় রুয়াত। আয়াজ অনেক বড় হাসি দেয়। যেনো বিশ্ব জয় করে ফেলেছে সে। ফজলুল চৌধুরী নাইমুর রহমানের উদ্দেশ্যে বলে-

-‘দুঃখিত। রুয়াত যেহেতু বলেছে সে রাজি নয়। আমরা কেউ আর এগোতে পারছি না।’

নাইমুর রহমান সবার কাছ থেকে বলে বিদায় নেয়। কেউ রাজি নয় তাই সেখানে থেকে আর কি লাভ তার। দুঃখভরা মুখটা নিয়ে বের হয়ে আসে বাড়িটা থেকে। ফজলুল চৌধুরী তার রুমে চলে যায়। নিমি গিয়েছে রুয়াতের কাছে। যাওয়ার আগে আয়াজ বলে দিয়েছে রুয়াত কে যেনো ছাদে আসার জন্য বলে। নিমিও রুমে গিয়ে রুয়াত কে কথাটি বলে।

ছাদের একপাশে দাঁড়িয়ে আয়াজ পকেটে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। এক হাতে জলন্ত সিগারেট। এখনো মুখে দেয়নি। হাতে রেখে দিয়েছে। দৃষ্টি যানজটযুক্ত শহরের দিকে। সারা শহর রাতের বেলায় ও কৃত্রিম আলোতে ঝলমল করছে। ধীর পায়ে এগিয়ে যায় রুয়াত অনেকটা আয়াজের দিকে। এমন নিরবতা কাঁটিয়ে বলে-

-‘ভাইয়া ডেকেছেন আমায়?’

পিছন ফিরে আয়াজ তার প্রেয়সীর পানে তাকায়। প্রেয়সী কে জড়িয়ে ধরে আচমকা। হুট করে এমন হওয়াতে কিছু পা পিছিয়ে যায় রুয়াত। আয়াজ জড়িয়ে ধরেছে। অনুভব করতেই শরীরটা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে।

-‘আপনি আমায় এভাবে জড়িয়ে ধরেছেন কেনো? এখন আপনার ম্যাডাম কিছু বলবে না? ছেড়ে দিন আমায়। কেউ দেখলে কি ভাববে? আশ্চর্য তো।’

অস্থির স্বরে আয়াজ বলে-
-‘তোমায় যদি আজ আমি হারিয়ে ফেলতাম কি হতো তখন? ভেবেছিলাম জানাবো না তোমায়। জানি আমার কথাটি শোনার পর নিশ্চিত তুমি আমায় অনেক কথা শোনাবে। কেনো আজ আমার তোমাকে হারানোর ভয় জেগেছিল মনে? কেনো? হৃদয়কোঠায় গোপনে রেখে দিয়েছিলাম না! মানুষের নজরে কিভাবে আসলো আমার প্রেয়সীকে? আমি চেয়েও কথাটি লুকিয়ে রাখতে পারছি না। বলতে পারো এমপি সাহেব তার আত্মসম্মান বিলিয়ে আজ তোমাকে বলছে, ❝ভালোবাসি প্রেয়সী❞। অজান্তেই মনে চলে এসেছো। আবার সেই মনেই আজকাল রাজত্ব করছো। এক মুহূর্ত ও তোমাকে ছাড়া ভাবতে পারি না। কেনো বলো তো?’

থমকে যায় রুয়াত। আয়াজ ভালোবাসে তাকে? কান ঝাঁ ঝাঁ করছে তার। বক্ষ পিঞ্জিরায় ধুকপুক শব্দ শুরু হয়েছে। শরীর ছেড়ে দেয় একেবারে। জোর করে আয়াজের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে আনে।

-‘আপনার হবু বউ আছে না? তাহলে এসব কি? পাগল হয়ে গিয়েছেন ভাইয়া?’

-‘উহু প্রেয়সী। হবু বউ, বিশেষ কেউ, ম্যাডাম, প্রেয়সী। সব তুমি। সব সব সব।’

-‘আমিই কেনো?’

-‘হ্যাঁ তুমিই। ভালোবাসি বলেই তো সবখানেই তুমি।’

রুয়াত তপ্ত শ্বাস ছাড়ে। অতঃপর আয়াজের দিকে তাকায়।
-‘এইজন্যই কি আপনি বিয়ে ভাঙার জন্য এতো চেষ্টা করেছেন?’

আয়াজ রেলিং এ হেলান দেয়। হেসে বলে-
-‘ইয়েস প্রেয়সী। আমি ছাড়া তোমার সাথে অন্য কারোর বিয়ে? মেনে নিবো কিভাবে? তাই তো এতো চেষ্টা করা। পুরো বাড়িতে তান্ডব শুরু করে দিতাম যদি তোমার বিয়েটা না ভাঙা হতো।’

-‘আর আমি রাজি হলে?’

-‘তুমি রাজি হবে না এটা আমি ভালো করেই জানি। আমি ছাড়া তোমার বিয়ে? উহু। এটা কখনোই সম্ভব নয়।’

-‘কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না। তাহলে?’

-‘বাসবে একদিন হলেও বাসবে। তোমাকে ভালোবাসি কথাটা বলার আগেও তো তুমি আমায় ভালোবাসোনি। তখন কি আমার ভালোবাসা কমে গিয়েছিলো? হু? কোনো এক সময় তুমি নিজ থেকে এসে বলবে আমি আপনাকে ভালোবাসি এমপি সাহেব। খুব শিগগিরই বলবে প্রেয়সী।’

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম। অসুস্থতার কারণে পর্বটা গোছাতে পারিনি। একটু খাপছাড়া লাগতে পারে। তার জন্য দুঃখিত।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here