নির্মোচন পর্ব ২০

1
1959

#নির্মোচন . ❤
#পর্বসংখ্যা_২০ .
#ফাবিয়াহ্_মমো .

নিজের ভুলটার জন্য করুণ লজ্জায় ম রে যাওয়া উচিত। কীভাবে এই ভুলটা আবার করল? কেন! কীভাবে ফোনের টাচ অপশনে অন্যজনের নাম্বারটা চলে যায়? ভাগ্য ওর সাথে কী ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে? বুকের ভেতরে জমাট বাঁধা অস্থিরতা আরো অশান্ত, অস্থির, ভীতিগ্রস্ত করে তুলল ফিহাকে। চোখের সামনে সুনীল আকাশের ধূ ধূ শান্ত অবস্থা ওর মনের ভেতরে নানা অদ্ভুত কিছু প্রশ্ন খুঁচিয়ে যাচ্ছে। ও কী কোনোভাবে ওই লোকটার উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে? তাকে দেখার জন্য, ছোঁয়ার জন্য, বোঝার জন্য এমন হাঁশফাঁশ, আকুলিবিকুল অবস্থা আগে তো কখনো হয়নি। এমনকি ওই জাঁদরেল মেজাজের লোকটার সামনে ওরা সবগুলো ভাইবোন ভয়ে চুপসেই থাকে, সেখানে ফিহা ও সে, দুজন দুজনার সাথে কোনো সংকোচ ছাড়াই কথা বলছে। কেন? এতো বছরের যোগাযোগহীন সম্পর্কে এতটুকু তো জড়তা থাকা উচিত, সেখানে কিনা একটুও জড়তা নেই! বুক ফুলিয়ে দম ছেড়ে ডানহাতের মুঠোয় থাকা বন্ধ ফোনটার দিকে তাকাল ফিহা। অতিরিক্ত ভয় ও উত্তেজনার চোটে সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা সুইচড্ অফ করে দিয়েছিল। এখন সেটা চালু করে ওই মানুষটার নাম্বারে “Unknown” লিখে সেভ করে দিল। কানে, মনে ও মস্তিষ্কের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে বারবার বেজে চলছিল ওই খরখরে কণ্ঠের শব্দগুলো— “অপেক্ষা করুন। আপনার কাছে সন্ধ্যায় পৌঁছে যাব।”

আচ্ছা সন্ধ্যায় যখন মানুষটা সত্যি সত্যিই এখানে এসে পড়বে, তখন কীভাবে, কোথায়, কোন জায়গাটায় নিজেকে লুকিয়ে রাখবে ও? বাড়ির ঠিক কোন খুপরিতে নিজেকে ঢেকেঢুকে ছোট্ট ইঁদুরের মতো আড়াল করা সম্ভব? ভুল করেও যদি তার মুখোমুখি পড়ে যায়, যদি ওই মানুষটা খুঁজে খুঁজে ওকে সামনে এনে দাঁড় করায়, যদি. . . যদি আবারও ভাগ্যের কোনো কারসাজিতে ওই কর্তৃত্বের মতো চোখদুটো ওকে বেঁধে ফেলে, তখন কীভাবে নিজের লাল টকটকে লজ্জালু মুখটা ঢেকে রাখবে ফিহা? কী করে?

.

পড়ন্ত বিকেলের শেষ রোদের আঁচ আস্তে আস্তে ফ্যাকাশে হয়ে এলো। গোধূলির রঙে শান্ত হয়ে আসা প্রকৃতি কালো কুচকুচে আঁধারে ডুবে যাবার জন্য প্রস্তুতিপর্ব নিচ্ছে। মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হতেই বিয়েবাড়ির জমজমাট বিশেষ আয়োজনটা এবার চারধার কাঁপিয়ে শুরু হলো। চারতলার ফাঁকা, শূন্য, বিরান জায়গাটা জুড়ে মস্ত এক প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে “হ্যালো, হ্যালো, মাইক টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি ফোর” বলে শব্দ পরীক্ষা করছে দীপের বন্ধু হাসিব। লাইটিংয়ের জন্য পুরো অন্ধকার তলাটা আজ ফকফকে আলোতে আলোকিত। গানের প্রতিটি বিট যুক্ত শব্দে কাঁপছে প্যান্ডেল-সহ পুরো পায়ের তলার জমিন। ঝাঁকে ঝাঁকে ছাদে প্রবেশ করছে বাড়ির ছেলেমেয়েরা এবং আশপাশ থেকে আসা দীপের প্রতিবেশি বন্ধুদল। দোতলার সবচেয়ে সুন্দর রুম— চৌদ্দ বাই তেরো ফুটের ঘরটায় চিন্তিত মুখে পায়চারি করছেন সুফিয়া। একবার দেয়ালঘড়ির দিকে তাকাতেই বাথরুমের বন্ধ দরজার দিকে চোখ বুলালেন তিনি। না পারতে এবার ঠাস ঠাস করে দরজা ধাক্কিয়ে বাইরে থেকে চ্যাঁচিয়ে উঠলেন,

– তুমি কী বাথরুমে বইয়া বইয়া ঘুমাইতাছ? তুমার কী রেডি হওনের নাম নাই? সবতে সাইজ্জা গুইজ্জা হেই কহন গেছে গা, আর তুমি এহনো ছায়া-বেলাউজ লইয়া পইরা আছ! দেহি বাইর হও তো তুমি। কোন দিয়া আকামটা করছ দেইখা দেই।

ভেতর থেকে ফিহা একপ্রকার যুদ্ধ চালিয়ে বলল,

– না না, প্রয়োজন নেই। ব্লাউজের হুকগুলো সমস্যা করছে খালা। আরেকটু দাঁড়ান। আমার প্রায় হয়ে গেছে। আপনি একটু মাকে বলে আসুন আমি দশমিনিটের ভেতর বের হচ্ছি।

– এত্তো টাইম লাগোনের তো কথা না। আইচ্ছা তুমি জলদি জলদি বাইর হও। তুমার আম্মারে খবর দিয়া আইতাছি। দেরি কইলাম করবা না। তুমার মায় চেঁতলে তুমারে বোম্বা মরিচের ডলা দিব।

ওয়াশরুমে প্রায় অনেকক্ষণ ধরে পিঠের হুকগুলো নিয়ে যুদ্ধ চালাচ্ছে ফিহা। সমস্যা হলো, হুকগুলোর আংটা খুবই নিম্নমানের এবং হুকের ছোটো ছোটো ঘরগুলো কেমন যেন আঁটকে থাকছে না। এর মধ্যে মা এই ব্লাউজটা ধরিয়ে দিয়ে মেহমান দেখার জন্য সেই কখন চলে গেছে। গোসল করতে দেরি হবার দরুন এখনো পুরোপুরি রেডি হতে পারেনি ফিহা। যদিও সুফিয়া খালার তত্ত্বাবধানে শাড়িটা অন্তত পরে ফেলেছে। শেষপর্যন্ত হুক নিয়ে ধস্তাধস্তির যুদ্ধটা সমাপ্ত হলে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। পড়ণে লাল পেড়ে বাসন্তী রঙের জামদানী শাড়ি। চমৎকার সুন্দর শাড়িটায় লাল রঙের ছোটো ছোটো ফুলের চিহ্ন, সুতির লাল ব্লাউজটা একটু আঁটসাঁট হলেও কনুই পর্যন্ত ওর হাতদুটো ঢেকে রেখেছে। নরম ঠোঁটদুটোতে লালচে রঙের ছোঁয়া, চোখদুটোতে কাজল মাখা আইলাইনারের সুক্ষ্ম সৌন্দর্য, গালে লেগে আছে হালকা ভাবে গোলাপি বুরুশের আভা। ডানহাতটা সেদিনের মতো চোখের সামনে তুলে চুপচাপ দেখতে লাগল। আজ হাতভর্তি করে চুড়ি নেই, রিনিঝিনি শব্দ নেই, কোথাও এতটুকু মন ভালো হবার কারণ নেই। হাতের কবজিতে একইন্ঞ্চির মতো গর্ত হয়ে কেটেছে। কেটেছে চুড়ির ভাঙা অংশটা ভুলবশত হাতে ঢুকে পরার জন্য। কেটেছে বৃষ্টির ভেতর হাঁটতে গিয়ে শাড়িতে পা বিঁধিয়ে পরে যাওয়ার জন্য। সে তো কখনো শাড়ি পরে অভ্যস্ত নয়, এমনকি জানাও নেই কীভাবে আরো সাবধানতার সাথে শাড়ি পরে হাঁটতে হয়। আজ যদি ওই লোক এসেও থাকে, তাহলে ভুল করেও নিজেকে তার সামনে ধরা দিবে না ফিহা। আত্মসম্মানে আঘাত দেবার ভুল, কথা দিয়ে কথা না রাখার অপরাধ, নিজের দোষ স্বীকার না করে একগুঁয়েমি করার দণ্ড— এসব কী ক্ষমা করার যোগ্য? সম্ভবত না। ড্রেসিং-টেবিলের উপর থেকে বাবার কিনে দেওয়া সোনালি চেইনের ঘড়িটা ডানহাতে পড়ে নেয়। টেবিলের উপর ছড়িয়ে থাকা গতকালকের লাল চুড়িগুলো ছুঁয়েও দেখে না। চুলের মধ্যখানে সিঁথি তুলে ওভাবেই পিঠময় ছেড়ে দিয়ে ছাদের পথে হাঁটা দেয় ফিহা। চিন্তাও করতে পারে না সামনে কী অপেক্ষা করছে ওর জন্য!

.

আফসানা এখানে এসেছেন আধঘণ্টা হতে চলল। এই আধঘণ্টার ভেতর একশোবার বুঝি জানালা দিয়ে নীচে তাকালেন তিনি। বারবার হাতঘড়িটায় ব্যস্ত নয়নে কী যেন হিসাব কষে যাচ্ছেন। কপালের দু’পাশে মৃদু মৃদু ঘামের চিহ্ন। ঠোঁটের উপরে বিন্দু বিন্দু ঘামের কণা ডানহাতের টিস্যুতে মুছে নিলেন। কিন্তু কপালের ঘামগুলোর কথা এবারও ভুলে গেলেন তিনি। ডানে মুখ ফিরিয়ে ইজিচেয়ারে দুলতে থাকা গম্ভীর মেজাজি পুরুষটার দিকে বললেন,

– ছেলে কিন্তু এখনো আসলো না মেজর সাহেব। ফোনটা কী দিবেন? আমার চিন্তা এখনো কমছে না। বরং সেটা বাড়ছে।

চোখ বন্ধ করে ইজিচেয়ারে দুলছেন সেনাবাহিনীর কর্মঠ সদস্য সোয়াদ আহমেদ জাকির। মুখে তীব্র কঠোরতার ছাপ। ইজিচেয়ারের হ্যান্ডেলে দু’হাতের কনুই ঠেকিয়ে বুকের কাছে দশটি আঙুল একে অপরের সাথে মিলিয়ে রেখেছেন। সামনে একটি খোলা জানালা, জানালা দিয়ে সন্ধ্যায় ছাঁচে দূরের নক্ষত্রখচিত আকাশটা দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রশ্নটা শুনেছেন কি না তা মুখ দেখে বোঝা সম্ভব না। তবে আফসানা জানেন, মেজর সাহেব প্রশ্নটা শুনেছেন। এবং শুনেছেন বলেই ছেলের প্রসঙ্গ শুনে এখন আস্তে আস্তে দুলছেন। আফসানা আরো একবার হাতঘড়িতে চোখ বুলিয়ে দু’হাত বুকের কাছে ভাঁজ করে বললেন,

– আপনার নীরবতা আমার ভালো লাগে না সাঈদের বাবা। ছেলেকে নিয়ে একটু মাথা ঘামাবেন তা আপনি করতে চান না। ছেলে কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কী ধরণের পেশায় আছে সেটা নিয়ে আপনার কোনো মাথাব্যথাই নেই। অথচ, ছেলে বিয়ে কেন করছে না সেটা নিয়ে আপনার যত অভিযোগ। ও ওর মতের বিরুদ্ধে আজপর্যন্ত কোনো কাজ করেছে যে আজ করবে? পাত্রী দেখা তো বন্ধ করিনি। নিজের বোনের মেয়েকে পর্যন্ত ওর জন্য পছন্দ করতে চেয়েছি, কিন্তু আপনার ছেলে তো ওর সাথেও ঝামেলা করে বসে আছে। কোনোদিন কী একটু নিজের জন্য ভাববে?

বুকের কাছে মিলিয়ে রাখা আঙুলগুলো নীরবে নামিয়ে রাখলেন সোয়াদ। দু’চোখের দৃষ্টি শান্ত আকাশের বুকে নিক্ষেপ করে ভারী ভারী গলায় বলে উঠলেন,

– তোমার বোনঝিকে সে মেনে নিবে সানা। তুমি ওকে নিয়ে একটু বেশি বেশি ভাবছ। আমার পাশে একটা চেয়ার টেনে আজকের আকাশটা দেখে যাও। বেগুণি রঙটা খুব সুন্দর হয়ে ফুটেছে। এমন রঙ সচরাচর দেখা যায় না।

স্বামীর মুখ থেকে চিরচেনা সেই সম্বোধনটুকু শুনতে পেয়ে মুখ ঘুরালেন আফসানা। বুক থেকে ভাঁজ করা হাতদুটো স্থির পলকে আস্তে আস্তে আলগা করে ফেললেন। তিনি হেঁটে এসে স্বামীর পাশে একটা চেয়ার টেনে ঠিকই বসলেন, কিন্তু আকাশের দিকে না তাকিয়ে স্বামীর মুখপানে চুপটি করে তাকিয়ে রইলেন। ব্যাপারটা আড়চোখে অনুমান করার পর মৃদুস্বরে বললেন সোয়াদ,

– সবসময় জীবনটাকে জটিল ভাবতে যেয়ো না। চোখের সামনে যা মনে হচ্ছে খুবই খারাপ, হতে পারে সেটা আগামীর জন্য ভালো আভাস। তুমি এখন ভাবতে পারো তোমার ছেলেটা নৈপথের দিকে চলে গিয়েছে, কিন্তু আমি আমার শিষ্টাচার থেকে হলফ থেকে বলতে পারি সে তোমার-আমার শিক্ষাগুলো ভুলে যায়নি। হতে পারে সে অন্যদের মতো চলাফেরা করে না, অথবা ওর বন্ধুদের মতো খোলামেলা মনের নয়, তাই বলে ও নিজের জগতটা চিনে নিতে কোনো অংশে ভুল করেনি। আমি কী আমার কথাটা বোঝাতে পেরেছি?

– তাই জন্য ছেলেকে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই?

– না নেই। একসময় যে ধরণের আচরণ ওর সাথে আমি করেছি, সেটা বরং উচিত হয়নি সানা। আমার আরো একটু নরম হওয়া উচিত ছিল।

আফসানা স্বামীর কথাগুলো শুনে এবার শান্ত আকাশের পানে তাকালেন। বেগুণি রঙটা পানি ছেড়ে দেবার মতো ছাড়া ছাড়া হয়ে তিরতির করে নিভে যাচ্ছে। তার দু’চোখ জুড়ে ছলছলে অশ্রু, সেই অশ্রুতে মিশে আছে কিছু পুরোনো ঘা। যেই ঘায়ে আঘাত পেয়ে তার গর্ভের সন্তানটা বড়ো অমিশুক হয়ে গেছে। তবু সন্তানের জন্য মন থেকে দু’আ করেন এবার সে স্বাভাবিক হোক। অন্য দশটা ছেলের মতো সংসার বুঝে নিক। স্বপ্ন বোনা ইচ্ছেগুলো একে একে, আস্তে আস্তে, সবটুকুই পূর্ণ করুক।

.

ছাদে জড়ো হওয়া প্রতিটি মানুষ উৎসবমুখর আনন্দের মতো হৈচৈ জুড়েছে। গানের উচ্চশব্দে কান তাক লাগার জোগাড়। আফসানা ও সোয়াদ বাদে একটা মানুষও বাদ নেই এখানে উপস্থিত হতে। শুধু বাদ হিসেবে এখনো যে আসেনি, তাকে নিয়ে চিন্তিত মুখে একটু পরপর পানি গিলছেন সুফিয়া। তিনি সচেতন প্রহরীর মতো ফিহার আশপাশ থেকে পুরুষালি নজরটা দূরে হটিয়ে রেখেছেন। আজ বিকেলে লাবিবের মুখ থেকে যা শুনেছেন তা মোটেই স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। যদি উঁচুনিচু কিছু একটা হয়ে যায়, তাহলে খাল তুলে খালে ফেলে দেবার মতো অবস্থা করে ছাড়বে! ছাদের এককোণায় মেয়েদের গোল আড্ডায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছে ফিহা। সেদিকে একপলক তাকিয়ে তিনি হাতের ছোট্ট বাটন ফোনটায় সময়টুকু দেখলেন, সন্ধ্যা ছয়টা বেজে পন্ঞ্চান্ন। সময় নেই আর। হয়ত আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পরবে। দ্রুত চোখ তুলে তিনি দূরে দাঁড়িয়ে থাকা লাবিবের দিকে সতর্কচোখে তাকালেন। লাবিব তখন স্থিরচোখে কী যেন বলতে উদ্যত হয়েছিল, এমন সময় গুম গুম গাড়ির দাপুটে আওয়াজে তৎক্ষণাৎ সবকিছু বদলে যায়! গানের ভয়ংকর উচ্চ শব্দটা আকস্মিকভাবে ভেতর বন্ধ হয়ে গেল। কেউ বুঝতেই পারল না কী হচ্ছে! বৈদ্যুতিক লাইনটা বারি খাওয়ার মতো নিভতে নিভতে শেষপর্যন্ত টিকল ঠিকই , তবু ছাদের মধ্যে লাইনটা নিভে গিয়ে চারধার অন্ধকারে তলিয়ে গেল। সবার মধ্যে অদ্ভুত এক আতঙ্ক সৃষ্টি হতেই হৈ হৈ করে উঠল দীপের বন্ধু তপন,

– কী হইতাছে এগুলা? সাউন্ড বক্স বন্ধ হইল কেন? ওই আফিদ তুই না বললি লাইনে কোনো ফল্ট নেই তাহলে এগুলা কী!

ফোনে কথা বলতে থাকা শিহাব চরম বাকরুদ্ধ হয়ে গেল! মারাত্মক অবাক হয়ে দেখল, তার ফোনে কোনো নেটওয়ার্ক-ই নেই! নেটওয়ার্কের দাগগুলো সব শূন্য। স্ক্রিনে উঠে আছে, “No network ” .

#FABIYAH_MOMO .

#নোটবার্তা — আগামী পর্বে ব্যাপারটা শুরু হতে যাচ্ছে। প্রস্তুত থাকুন। ❤

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here