#অনিমন্ত্রিত_প্রেমনদী
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#পর্ব_৩৩
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
(কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ)
রামি চলে গিয়েছে আজ দুদিন হলো। মিঠু পুরোদমে কাজে লেগেছে। নমিনেশন পেপার হাতে পেতেই তার ব্যস্ততা বাড়লো। এক সাথে দু-দুটো নমিনেশন, বলতেই হয় তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন। আজকাল সুহার সাথে খুব একটা আলাপ হয় না। বেশ রাত করে ক্লান্ত ভঙ্গিতে বাড়ি ফেরে, ততক্ষণে হয়তো সুহা ঘুমিয়ে পড়ে। আর কল দেওয়া হয় না। ভোরের আলো ফোটার পরই আবার বেরিয়ে পড়ে সে। গোসল সেরে শরীরে শার্ট চাপিয়ে বের হলো মিঠু। অরু বাবার সাথে নাস্তা করতে বসেছে। মিঠু হাতা গুটিয়ে এসে অরুর পাশে বসলো। চুপচাপ অরু নাস্তা এগিয়ে দিল তার দিকে। খাবার মুখে তুলে চিবানোর পরই বাবা গলা খাঁকারি দিলেন। গম্ভীরমুখে বললেন,“আমি সুহার মামার সাথে কথা বলে এসেছি।”
মিঠু খেতে খেতে মনোযোগ দিয়ে বাবার কথা শুনলো। মুখের খাবার গলাধঃকরণ করে বলল,“কী বলেছেন তিনি?”
“উনারা বিয়ের ব্যাপারে দ্রুত এগোতে চাইছেন।”
মিঠু দুর্বোধ্য হাসলো। উপরে নিজেকে বেশ স্বাভাবিক করে বলল,“এত দ্রুত মত পরিবর্তন কীভাবে?”
“সব যেহেতু আগে থেকেই রেডি, তাই আর দেরি করতে চাইছেন না তিনি।”
মিঠু চিন্তিত স্বরে বলল,“আমার জন্য ঝামেলা হয়ে যাবে, জানোই তো এখন প্রেশারের মধ্যে আছি।”
“তিন দিনেরই তো ব্যাপার। ম্যানেজ করতে পারবি। আর বাদবাকি আয়োজনের দিক আমরা সামলে নেব।”
“দেখছি কী করা যায়!”
বাবা রয়েসয়ে বললেন,“আমি আরো একটি কথা চিন্তা করেছি।”
“সেটা কী?”
বাবা অরুর দিকে একঝলক তাকিয়ে মিঠুর দিকে ফিরলেন৷ বললেন,“সাথে অরু আর রামির বিয়ের অনুষ্ঠানটাও সেরে ফেলবো।”
এতক্ষণ চুপচাপ বাবা আর ভাইয়ের কথা শুনলেও এবার খানিকটা লজ্জা পেল অরু। কথা না বলে দ্রুত খাবার গিলে উঠে পড়লো। মিঠু অরুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে বলল,“এত দ্রুত অরুকে বিদায় করতে চাইছো কেন?”
“বিদায় কোথায়? অরুতো আসা-যাওয়া করছেই। যখন যেখানে ইচ্ছে থাকবে। যদিও অনুষ্ঠান করার কথা ছিল অনেক পরে, কিন্তু এখন করে নিলে মন্দ হয় না। আমি বেয়াইনের সাথে কথা বলে দেখবো। পরে যদি তারা অনুষ্ঠান করতে চায়, তো আবার করতে পারে। আমার শরীরটাও দিনদিন খা*রা*পে*র দিকে যাচ্ছে৷ কবে না মৃ*ত্যু এসে দরজায় কড়া নাড়ে!”
মিঠুর ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠলো। মা মা*রা যাওয়ার আগে সে অন্যদের দেখে নিজেই নিজেকে বলতো, মা বা বাবা দুজনের কারো কিছু হলে সে বোধহয় খুব একটা কষ্ট পাবে না। বরং তার জীবন আনন্দে কাটবে। মা বাড়ি গেলে বকাঝকা করবে না, কোন অন্যায় করলে বাবা শাসন করবেন না। কিন্তু ছোটো মিঠুর ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো মা মা*রা যাওয়ার পর। জীবনটা অন্ধকারে তলিয়ে যেতে লাগলো। মাকে মিস করতে লাগলো প্রতিনিয়ত। এখন বাবার কিছু হয়ে গেলে সে নিঃস্ব হয়ে যাবে। কখনো কোথাও মা*রা*মা*রি, গো*লা*গু*লি হলেই বাবা পাগলের মতো হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে পড়েন। রাত-দিন মানেন না। যত রাতই হোক, ছেলে নিরাপদে আছে কি-না তা না জানা পর্যন্ত ক্ষান্ত হন না তিনি। মিঠু মাঝেমাঝেই বাবাকে মেজাজ গরম করে কড়া কথা শোনায়,“আমি নিজেকে সামলে রাখি। তুমি এই শরীরে কেন বের হও? যদি তোমার কিছু হয়ে যায়? আমার উপর ক্ষোভ মেটাতে যেকোন দিক থেকেই তোমাকে আক্রমণ করতে পারে। এরপর থেকে তুমি আর মা*রা*মা*রি হলে ছুটে আসবে না।”
বাবা মিঠুর কথা শোনেন। এক কান দিয়ে প্রবেশ করে তো অন্যকান দিয়ে বের করে দেন। পরেরবার ঠিকই আবার ছুটে যান। মিঠু এখন মস্তিষ্ক সজাগ রাখে। মা*রা*মা*রি হলেই সে দুজনকে ঠিক করে রাখে বাবাকে সেফ জেনে রাখতে। বাবার ঈষৎ হলদেটে চোখের দিকে তাকালো মিঠু। আগের মতো সতেজ নেই কিছুই। নিস্তেজ, নিভু নিভু একজোড়া চোখ। গভীর চোখে বাবাকে পর্যবেক্ষণ করে কোমল স্বরে বলল,“তোমার কিছু হবে না বাবা। তোমাকে আরো অনেক বছর বাঁচতে হবে, আমাদের জন্য বাঁচবে।”
ছেলে সচরাচর এতটা নরম হয়ে কথা বলেনা। বাবা নিজেও একটা ধাক্কা খেলেন। পরপরই আবেগী হয়ে গেলেন। চোখ ভিজে এলো। মিঠু স্পষ্ট টের পেলো বাবার চোখে মূল্যবান অশ্রু। মুহূর্তেই কঠিন হয়ে বলল,“নিজের দিকে খেয়াল দাও। এসব উলটাপাল্টা চিন্তা বাদ দিও৷ আমি বের হচ্ছি।”
মিঠু বেরিয়ে গেল। বাবা উঠে মাহমুদের বাসার দিকে পা বাড়ালেন। আয়েশা সুলতানার সাথে বিয়ে সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করা প্রয়োজন।
আজ সূর্য তেজহীন। ঠান্ডার পরিমাণ অন্যদিনের তুলনায় বেশি। গায়ে চাদর জড়িয়ে কাঁধে ব্যাগ চেপে অফিস থেকে বের হলো সুহা। আকস্মিক হাতে কোন শক্ত হাতের ছোঁয়া পেয়ে চমকে উঠলো। হাত থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মুখাবয়ব দেখার চেষ্টা করতেই এক সুশ্রী, সৌষ্ঠব পুরুষ নজরে পড়লো। কিছু বলার পূর্বেই হাত ধরে সামনে এগিয়ে গেল মিঠু। সুহার পা জোড়া চলছে, কিন্তু চোখজোড়া স্থির৷ একধ্যানে তাকিয়ে রইলো মিঠুর মুখপানে। গাড়ির কাছে এসে থামতেই মিঠু সুহার দিকে ঘুরে তাকালো। চোখ দিয়ে ইশারা করলো ভেতরে ঢুকে বসতে। সুহা এখনো তাকিয়ে আছে। মিঠু চাপা হাসলো। মাথা ঝুঁকিয়ে খানিক দূরত্ব রেখে দাঁড়ালো মিঠু। ফিসফিস করে বলল,“আমাকে এত ভালোলাগে? চলুন আজই বিয়ে করে ফেলি। তখন যত ইচ্ছে দেখতে পারবেন।”
সুহার ঘোর কাটলো। থতমত খেয়ে দৃষ্টি লুকানোর চেষ্টা করে তড়িঘড়ি করে বলল,“কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?”
মিঠুর ঠোঁটে নিটোল হাসি। রগঢ় করে বলল,“খু*ন করতে নিয়ে যাচ্ছি।”
সুহা গায়ে মাখলো না। চোখমুখ অন্ধকার করে বলল,“আমি এখন বাসায় যাবো।”
“যাবেন, আমি যখন বলবো তখন।”
বলেই গাড়ির দরজা খুলে দিল মিঠু। সুহা অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। এতদিন কোন খবর না নিয়ে এখন এসেছে প্রেম দেখাতে। পুরুষ মানুষ সহজে পেয়ে গেলে তার শখের নারীকেও কদর করতে ভুলে যায়। সে আমারই আছে ভেবে একমুঠো প্রেম বাড়িয়ে দিতে ভুলে যায়। অথচ তার অবহেলায় অপরপ্রান্তের মানুষটি যে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়, সে খেয়াল রাখেনা। মিঠু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,“উঠে বসুন, আজকের বিকেল শুধুই আপনার।”
সুহা দূরে সরে দাঁড়ালো। মিঠু দৃষ্টি ক্ষীণ করে বলল,“আমি কি চলে যাব? অনেক কষ্ট করে সময় বের করেছি। আবার কাজে লেগে পড়লে এক সপ্তাহেও দেখা পাবেন না আমার।”
সুহা রাগে ফোঁসফোঁস করে গাড়িতে চড়ে বসলো। মিঠু হেসে ফেললো নিঃশব্দে। দরজা আটকে নিজেও ঘুরে এসে ড্রাইভিং সিটে বসলো।
সারারাস্তা সুহা গোমড়ামুখে বসে রইলো। গাড়ি এসে থামলো কোলাহলহীন একটি জায়গায়। মিঠু নেমে হেঁটে এগিয়ে গেল লেকের ধারে। সুহা চুপচাপ গাড়িতে বসে রইলো। অনেকটা সময় পর মিঠুকে আসতে না দেখে সে-ও নেমে পড়লো। ছোটো ছোটো কদম ফেলে মিঠুর পাশে এসে দাঁড়ালো। মিঠু ঘাড় না ঘুরিয়েই বলল,“এই কাজটা করতে এতক্ষণ ভাবতে হয়েছে?”
সুহা মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। তার অভিমান দেখে হাসলো মিঠু। কৈফিয়তের সুরে বলল,“আমি ব্যস্ত ছিলাম। অনেক রাত করে বাসায় ফিরতে হয়, ততক্ষণে আপনি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েন। তা ভেবেই আর কল দেওয়া হয় না।”
সুহা গমগমে স্বরে বলল, “আমি কি কৈফিয়ত চেয়েছি না-কি?”
মিঠু পকেট হাতড়ালো। কচমচে আওয়াজ সৃষ্টি হচ্ছে। সুহা কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে রইলো পকেটের দিকে। মিঠু কিছু একটা বের করলো। বাদামের প্যাকেট। সুহার হাতে ধরেয়ে দিল। সুহা বোকার মতো চেয়ে থেকে বলল,“কী করবো?”
“খোসা ছাড়িয়ে দিন।”
সুহার রাগ হলো। নাক ফুলিয়ে ফোঁস করে শ্বাস নিলো। কপট রাগ দেখিয়ে বলল,“খোসা ছাড়ানোর দায়িত্ব প্রেমিকের। প্রেমিকা কেন খোসা ছাড়াবে? নিন আপনার বাদাম আপনিই খোসা ছাড়ান।”
মিঠু মিটিমিটি হাসলো। কয়েক কদম এগিয়ে গেল সুহার দিকে। ভড়কে গেল সুহা। দু-কদম পেছালো সে। মিঠু উপরের ঠোঁট দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে ধরলো। পরক্ষণে ফিসফিস কন্ঠে বলল,“আপনি আমার প্রেমিকা?”
শিউরে উঠলো সুহা। চোখ পলক ঝাপটালো ঘনঘন। মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।
মিঠু মন্থর কন্ঠে বলল,“একদিন কী বলেছিলেন মনে আছে? আমি আপনার প্রেমিক হলেও আপনি না-কি আমার প্রেমিকা নন। অথচ আজ সেই আপনিই নিজ মুখে নিজেকে আমার প্রেমিকা দাবি করছেন?
শুনুন মাদকতা! আপনি আমার প্রেমিকা নন, অর্ধাঙ্গিনী হয়ে যান।”
সুহা অস্থির হয়ে উঠলো। বলল,“আপনি আমায় কীসের জন্য ভালোবাসেন?”
মিঠুর কন্ঠে ধীরে ধীরে আরো গভীর হলো।
“ভালোবাসতে কোন কারণ লাগে না। আমি আপনাকে ভালোবাসি একজন অভদ্র প্রেমিকের মতো। যে আপনার দেহ, মন দুটোই চায়। আমি আবারও বলছি, আমি ভীষণ অভদ্র। কেবল আপনার মনটা ভালোবেসে দেবদাস হয়ে আপনাকে অন্যের বুকে দেখতে পারার মতো প্রেমিক আমি নই। আপনার মন, দেহ সবটাই আমার। কেবল বৈধতা পাওয়ার অপেক্ষায়।”
লজ্জায় সুহার কান গরম হয়ে উঠলো। গাল দুটো ক্রমশ ফুলে আরক্তিম হয়ে উঠছে। এত ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষ হয়! তার তো লাজলজ্জা আছে। মানুষটা কি বোঝে না? নত হয়ে থাকা দৃষ্টি পড়লো লেকের টলটলে জলে। তাদের দুজনের অবয়ব পানিতে ফুটে উঠেছে। মাঝে একটুখানি দূরত্ব। এই দূরত্বটুকু পছন্দ হলো না সুহার। মনে মনে হিংসে হলো। তবে নিজ থেকে দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়ার মতো সাহস তার নেই। জড়তা কাজ করে। মিঠু কি কিছু বুঝতে পারলো? দূরত্ব ঘুচিয়ে মুঠোয় সুহার হাত বন্দি করে নিলো। দুজনের বাহুর সাথে বাহু ঘেঁষে গেল। মিঠু জলের দিকে তাকিয়ে বলল,“দেখুন্, পানিতে একজোড়া শালিকের প্রতিচ্ছবি।”
★★★
অরু খাওয়া, ঘুম, পড়াশোনা বাদ দিয়ে রামির বিরহে দিন কাটাচ্ছে। চায়ের কাপে ঠোঁট ভিজিয়ে চোখমুখ কুঁচকে ফেললো। কেমন তিক্ত স্বাদ। অথচ চায়ের স্বাদ প্রতিদিনের মতো একই। বারান্দায় উদাসী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থেকে অরুর মনে হলো যদি রামির ঠোঁটের ছোঁয়া থাকতো, তবে এই তিক্ত চায়ের স্বাদও অমৃত মনে হতো। এখন রামির সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু এখন ডিউটিতে আছে রামি। অরু গালে হাত দিয়ে বসে রইলো।
রামি ইউনিফর্ম পরে ডিউটি শেষ করে বের হতে নিতেই এয়ার হোস্টেস লিয়া ওঁর হাতে একটা কাগজ গুঁজে দিল। রামি মেয়েটার চাহনি দেখেই বুঝতে পেরেছে অনেক কিছু। পা থামিয়ে ডাকলো রামি।
“মিস….!”
রিনরিনে মিষ্টি কন্ঠ শোনা গেল,
“লিয়া, লিয়া চৌধুরী।”
রামি হাতের কাগজটি খুলে দেখার প্রয়োজন মনে করলো না। হাত থেকে ফেলে দিয়ে লিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,“আমার ছোট্ট ঝ*গ*ড়ু*টে একটা বউ আছে। তাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি।”
বলেই রামি হেসে চলে গেল। কথাগুলো বলার সময় তার চোখমুখ প্রফুল্ল ছিল। লিয়া মেয়েটা অপমানিত বোধ করলো। ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে বললেই হতো। কাগজটি এভাবে ফেলে দেওয়ায় তার ইগো হার্ট হলো। অথচ কত ছেলে তার পেছনে পড়ে আছে। যারা আমাদের পাত্তা দেয় না, আমরা তাদের পেছনেই পড়ে থাকি।
ইউনিফর্ম চেঞ্জ করে লম্বা একটা গোসল নিলো রামি। ট্রাউজার পরে চুল না মুছেই অরুকে ভিডিও কল দিল। সাথে সাথেই রিসিভ হলো। অরুর হাস্যজ্জ্বল মুখখানি ভেসে উঠতেই বুকটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। অরু শুরুতেই প্রশ্ন করলো,“তোমার ছুটি হবে কবে?”
রামি চোখ ছোটো ছোটো করে বলল,“মাত্র দুদিন হলো ছুটি কাটিয়ে এসেছি। কী ব্যাপার! ডাক্তার সাহেবা দেখছি আমার বিরহে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারের এই অবস্থা হলে জনসাধারণের চিকিৎসা করবে কে?”
অরু মুখ ছোটো করে বলল,“সত্যিই তোমায় মিস করছি।”
মায়া মায়া মুখ। ডিম লাইটের মৃদু আলোতে অরুকে দেখে ঘোর লাগছে রামির। সে চোখ সরালো না। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলো অরুকে। বেশ মোহনীয় লাগছে তাকে। রামি হঠাৎ করে ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দিল। অরু বুঝতে পারলো না কিছুই। বরং তার রাগ হলো। সারাদিনে এখন একটু কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। তার প্রেমনদীতে হাবুডুবু খাইয়ে দূরে পালাতে চাইছে।
#চলবে……