তোমাতে_আমি_মুগ্ধ –১৩

0
414

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১৩)
#ফারহানা_জান্নাত

“বিজয়ীনি আমি অনেক কয়বার প্লেনে উড়ছি, কিন্তু মেয়ে’রা যে প্লেনে ঘুরাতে পারে! সেটা’তে কখনো ঘুরি নাই। একটু ঘুরাবে?”

“ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছেন!”

“না সরাসরি পটানোর চেষ্টা করছি। তোমার হাতের থাপ্পড় খেয়ে তোমার প্রেমে পড়ছি। হেই তুমি কি আমার হবু বউ হবে? ডোন্ট অরি, অনেক ভালোবাসা দিবো তোমাকে। আমি আমার আব্বু’কে তোমার কথা বলছি।”

–এবার রুমাইশা কেশে উঠে, এই ছেলে কি বলছে এসব! একদিন চড় খেয়ে পড়ের দিন বউ হওয়ার প্রস্তাব? রুমাইশা একটু মজা নেওয়ার জন্য বলে,

“ঐ যে পাশের টেবিল দেখছেন! ওখানে আমার ভাইয়া বসে আছে। আমার ভাইয়া’কে পটিয়ে আমাকে নিয়ে ভেগে যান। আই এম রেডি, আন্নের বউ হওনের লাইগা।”

–রুমাইশার এমন কথায় পাশে থাকা অনেকেই হেঁসে দেয়। রুমাইশা মুখ ভেঙ্গাই, বিজয় সেই টেবিলে তাকায়। একজন’কে সে চিনে, ডাঃ আহনাফ শাহরিয়া, পাশের জন’কে চিনে না। নিজে’কে ঠিক করে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। সবাই আগ্রহ হয়ে বিজয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। এখন কি হবে সেটা দেখা’র জন্য! বিজয় গলা পরিষ্কার করে রাহুলের সামনে দাড়িয়ে সালাম দেয়। তারপর মিনমিন সুরে বলে,

“আপনি কি আমার জেস শালা হবেন? আমি ভালো বোন জামাই হবো। আর আপনি ভাববেন না যে, আপনার বোন’কে আমি সুখে রাখতে পারবো না। আমি সব সুখ আপনার বোন’কে এনে দিবো”

“ওহ হুম, তোমাকে তো চিনলাম না, তোমার পরিচয়? আর তুমি কি রুমাইশার বিষয়ে কিছু জানো?”

“আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট ৩য় বর্ষে পড়ছি। আমার বাবা একজন ডাক্তার। আর রইলো বিজয়ী’নির কথা, আমি অতীতের কথা মনে রাখি না। সে জন্য ওর অতিত নিয়ে ভাববো না। আমি বর্তমান ও ভবিষ্যতে’র জন্য ওকে চাই।”

“আজ কাল ছেলে মেয়ে’রা এতো’টা ছন্ন ছাড়া যে, সিনিয়র, জুনিয়র কাউকে মানে না। সবার সামনে প্রপোজ করতে পারলেই নিজেকে বড় মনে করে। আচ্ছা বিজয়, এতো মানুষের সামনে যে প্রপোজ করলে! যদি তোমাকে ফিরিয়ে দেয়, তাহলে কষ্ট হবে না?”

“আহনাফ ভাইয়া, আপনি তো জানেন আমি কেমন। যা একবার চাই সেটা নিজের করেই ছাড়ি। বিজয়ী’নিকে আমার ভালো লাগছে। সে জন্য রিলেশন না বিয়ের প্রপোজাল দিচ্ছি।”

“আমার বোন যদি রাজি হয় তাহলে আমি না করবো না। আমাকে রাজি না করে আমার বোন’কে রাজি করো যাও।”

–রাহুল কথা’টা বলে রুমাইশার দিকে তাকায়, আহনাফ আর রাহুল সেখান থেকে উঠে যায়। রুমাইশা’কে ইশারায় তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়ার জন্য বলে দেয়। রুমাইশা উঠতে যাবে তখন বিজয় ওর সামনে এসে দাঁড়ায়।

“তোমার ভাইয়া কিন্তু অন্য ভাইয়ের মতো ভিলেন না। আমাকে অনুমতি দিয়ে দিছে, তুমি কি আমার বউ হবে? তাহলে আমি আব্বু’কে নিয়ে তোমাদের বাসায় যাবো।”

“যে ছেলেটা আমাকে অপমান করলো, এক দিনে সে আমাকে ভালোবেসে ফেলছে!! একটু বেশি হয়ে গেলো না ড্রামা’টা? প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমন করছেন না তো!”

“ভুল ধারণা তোমার মনে। আমি সত্যি বলছি, বিয়ে করার কথা বলছি। প্রপোজ রিলেশনশিপ এর জন্য করছি না যে, রিলেশন করে ধোঁকা দিবো। এখন তোমার উওর বলো।”

“আমি বিবাহিত”

–রুমাইশা কথাটা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। রাকিবা তার পিছু নেয়, বিজয় ভ্রু কুঁচকে ফেলে। এই মেয়েটা বিবাহিত না সেটা তো সে বুঝতে পারছে। হয়তো তাকে মিথ্যা বললো, বিয়ে করবে না সে জন্য। রাহুল আর আহনাফ একটা সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আহনাফ অনেকক্ষণ পর মুখ খোলে।

“কি জন্য ডাকছিস বলবি তো নাকি? এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পুঙ্গু হয়ে যাবো তো। সেই কখন ডাকছিস, এখনো কিছু বলছিস না। এবার কিন্তু রাগ উঠছে।”

“এতো তাড়াতাড়ি খেঁপে যাস কেনো আহনাফ? তুই সিদ্ধান্ত নিতে সব সময় ভুল কেনো করিস! বুঝে শুনে, ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারিস না? কেনো তোর জন্য অন্য কেউ কষ্ট ভোগ করবে!”

“মানে?”

–আহনাফ কপালে ভাজ ফেলে বলে, সে রাহুলের কথার মানে কিছু বুঝতে পারছে না। রাহুল এবার সিরিয়াস কন্ঠে বলে,

“মুন্নি’কে ভুলে যা, আর রুমাইশা’কে সব বলে দে। রুমাইশা তোকে ভালোবাসে, কিন্তু তুই মুন্নিকে ভালোবাসিস দেখে তোকে কিছু বলে নাই। এখন তো মুন্নি নেই, তাহলে ওকে গ্রহণ করতে পারবি না?”

“তোর বোন একটা সময় আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু। তোর কথা রাখতে গিয়ে আমি মুন্নির সাথে ব্রেকআপ করতে চাইছিলাম। কিন্তু কি হলো না হলো, বাসায় যাওয়ার পর আমার সাথে সম্পর্ক শেষ করলো। তাহলে ও কোন সময়’টাতে আমাকে ভালোবাসলো!”

“তুই তো কখনো ওর ছেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে চেষ্টা করিস নাই। আর কেনো করবি! তখন তো তোকে ভালোবাসার জন্য মুন্নি ছিলো। যাই হোক এখন অতীত ভুলে রুমাইশা’কে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর।”

“আমাদের ডিভোর্স হয়ছে ভুলে যাচ্ছিস! আর ডিভোর্স পেপার আমাকে দিয়ে যাস, বাকি সই’টা আমি করে দিবো।”

“রুমাইশা ডিভোর্স পেপার খুলে ও দেখে নাই। আর তুই নিজে ও সই করিস নি। তাহলে ডিভোর্স কিভাবে হলো! মেইন কথা, তোরা এখনো স্বামী স্ত্রী হিসাবে আছিস।”

–আহনাফ শাহরিয়া অবাক হয়ে যায়, রুমাইশা তাহলে ডিভোর্স পেপার খুলে দেখে নি। আহনাফ চিন্তিত সুরে বলে,

“বাসা থেকে মেয়ে দেখছে, আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগছে। বারবার বারণ করছি, আমি কাউকে বিয়ে করবো না। কিন্তু ওদের জেদ, আমাদের বউমা চাই বউমা চাই।”

“তাহলে তুই ভেবে দেখ, তুই অন্য কাউকে বিয়ে করবি না। আর মুন্নি কখনো ফিরে আসবে না, সো তুই রুমাইশা’কে তো গ্রহণ করতে পারিস নাকি? নাকি ওকে ও স্ত্রী হিসাবে মানতে পারবি না। আমি আজ সঠিক উওর চাই আহনাফ।”

“সব সিদ্ধান্ত হুটহাট নিয়ে বিপদে পড়ি, আমাকে সময় দে ভেবে তোকে জানাবো।”

“বেশি সময় নেস না আহনাফ, রুমাইশা দিন দিন তোর প্রতি দূর্বল হচ্ছে। আর যদি ওকে গ্রহণ না করিস, তাহলে তুই অন্য কাউকে বিয়ে কর। তোর ওয়াইফ’কে দেখলে ও কখনো তোর পিছে পড়বে না।”

“আমি বিয়ে করবো না, আমার কথা কি বুঝিস না!? একটা পুরুষ আর কয়জন’কে ভালোবাসবে? মুন্নির সাথে রিলেশন থাকা কালিন আমি রুমাইশার সাথে যা করছি! তার জন্য আমি অনুতপ্ত।”

“মুন্নির ব্যাপারটা কি রুমাইশা’কে জানিয়ে দিবো?”

“আমাকে সময় দে প্লিজ”

“তুই সত্যি টা বলতে পারিস আহনাফ। তুই রুমাইশার প্রতি বিরক্ত হলে, আমি ওকে অন্য যায়গায় বিয়ে দিবো।”

“বললাম তো ভাবার জন্য আমার সময় চাই। ৩-৪ মাস সময় দে, আমি আর হুট করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আর তোর বোন তো বিজয়ের সাথে এখন ফুর্তি করতে ব্যাস্হ।”

“যানি না কি করবি কর। আমার আর এসব বলতে ভালো লাগছে না। মুন্নির বিষয়ে ওকে জানাবো না, তোর মন চাইলে জানাবি না চাইকে জানাবি না। আর রাতেই আমি চট্টগ্রাম যাচ্ছি।”

–আহনাফ নিজে ও আর কোনো প্রশ্ন করে না। দু’জনে নিজ বাড়িতে চলে যায়। রাহুল কিছু ফলমূল কিনে রুমাইশার ভাড়া বাসায় যায়।

“এতোক্ষণ থেকে কই ছিলে ভাইয়া?”

“দরকার ছিলো, ছেলেটা কে ছিলো? আর এভাবে সবার সামনে প্রপ্রোজ করে বসলো কেনো! কিছু বলতে পারিস না?”

“আমি কি বলবো? তোমাকে দেখে দিলাম, আর তুমি কিছু না বলে উল্টে আমার কাছে পাঠিয়ে দিলে। ছি ভাইয়া ছি, তুমি ভিলেন হতে পারো না? এই ভাবে তোমার বোনকে কেউ প্রপোজ করছে, আর তুমি বসে বসে দেখছো।”

“শোন তোকে একটা কথা বলি, ভালোবাসা কিন্তু পাপ না, খারাপ ও না। আমাদের একজন’কে ভালো লগাতেই পারে। আর সেটা সে প্রকাশ করবে এটা স্বাভাবিক। আর তাই বলে আমরা তাকে অপমান করবো এটা ঠিক না। এক’বার দু’বার দেখবো, পড়ে যদি দেখি সে ছেঁচড়া’মি করছে, তাহলে কিছু কথা শুনিয়ে দিবো।”

“ও বাবা’রে এতো কিছু, আচ্ছা সমস্যা নাই। আমি তাহলে এবার থেকে ভালো ব্যাবহার করবো কেমন?”

“হুম, প্রথমে কাউকে অপমান করতে যাবি না। কথা ও শুনাবি না, শুধু তুই তোর মনোভাব বুঝিয়ে বলবি। মানে, রিলেশন করবি না, মানে তুই নিজের ইচ্ছে টা জানিয়ে দিবি ব্যাস। আমি আশা করি ছেলেরা এতোটা ও ছেঁচড়া না যে, বুঝিয়ে বলার পর বিরক্ত করবে।”

“ছেলে হয়ে ছেলের পক্ষ নিবা এটাই তো স্বাভাবিক হুহ।”

“আমি কারো পক্ষ নিচ্ছি না, তবে কিছু ছেলে আছে, যাদের লজ্জা সরম কিছু নেই। বারবার বিরক্ত করে, তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত বুঝলি?”

“হ্যা না বুঝে কি উপায় আছে বলো। যাই হোক তুমি কবে যাবা?”

“যাবো, একটু পর বেডি হবো। সাবধানে থাকিস, আর কিছুর দরকার হলে ফোন করিস। অসুস্থ হলে আহনাফ কে জানিয়ে দেস। আর বৃষ্টি’তে ভিজিস না যেনো, তোর গলার সমস্যা আছে।”

“আচ্ছা যথা আজ্ঞা”

–রাহুল হালকা হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। রুমাইশা, রাহুল আর রাকিবা মিলে খাওয়া দাওয়া করে নেয়। তারপর রাহুল কিছুক্ষণ দেড়ি করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য চলে যায়। রাকিবা নিজের রুমে গিয়ে পড়তে বসে। রুমাইশা ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়ে, শরীর এতো’টা ও ভালো না। ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় রুমাইশার, ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে! আহনাফে’র নাম্বার থেকে ফোন আসছে। ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে,

“রুমাইশা?”

“হ্যা আমি বলছি”

“এখন শরীর কেমন? ঔষধ খাইছো নাকি! আর রাহুল কই?”

“শরীর ভালো, খাইছি, আর ভাইয়া ২ ঘন্টা আগেই এখান থেকে গেছে। কেনো ভাইয়া কি আপনাকে জানিয়ে যায় নি!”

“না বলছিলো যাবে, একটু কথা কাটাকাটি হয়ছে আমাদের। কি করছো?”

“ঘুমাইছিলাম, আপনি ফোন করছেন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আপনি কি করছেন?”

“এই তো ছাঁদে বসে আছি। কাল তো শুক্রবার বার, তোমার ক্লাস নেই।”

“হ্যা”

“আচ্ছা শোনো”

“ইশ এইভাবে কেও বলে নাকি! আমি তো পাগল হয়ে যাবো। ডাক্তার সাব এই ভাবে বলবেন না দয়া করে। আমার তো দিলে ব্যাথা লাগে।”

–আহনাফে’র মুখ আপনা আপনি হা হয়ে যায়, সে কি এমন বলছে যে রুমাইশা এসব বলছে!? মেয়ে মানুষ মানেই, বেশি বোঝে। আহনাফের হাসি পায়, কিন্তু হাসি থামিয়ে বলে,

“আমি বিবাহিত হলে খুশি হবা, নাকি আমি বিয়ে করলে খুশি হবা। কোনটা ফাস্ট ফাস্ট বলো দেখি মেয়ে।”

“কোনো টাই না, তবে আমাকে বউ বানালে বেশি খুশি হবো। ডাক্তার সাহেব আমি কিন্তু প্রেম করা শিখে গেছি। আমার সাথে প্রেম করবেন? আপনাকে প্রতিদিন সিগারেট খাওয়ার টাকা দিবো।”

–আহনাফ কেশে উঠে, সম্ভবত ছেলে’রা মেয়েদের চকলেট আইসক্রিম দেয়। কিন্তু এখানে উল্টো, রুমাইশা ঘুষ দিতে চাচ্ছে। আহনাফ অবাক কন্ঠে বলে,

“ছি পঁচা মেয়ে, এসব কি বলছো? আমি এসব ছাই পাস খাই না। এসব খেতে হয় না জানো না তুমি?”

“ডাক্তার সাহেব আপনার ঠোঁট আগের থেকে কালো হয়ে গেছে। তাহলে কি বোঝবো! আপনার বউ কি কামড় দিয়ে কালো বানিয়ে দিছে?”

“আসতাগফিরুল্লাহ, এসব কি বলো! ছি এসব বলতে নেই। আমি তোমার সিনিয়র, সিনিয়রদের সাথে এভাবে কথা বলতে হয় না রুমাইশা।”

“তো কিভাবে বলতে হয়য়য় স্যায়য়র”

–রুমাইশা টেনে টেনে কথাটা বলে। আহনাফ রেগে যায়, সে এমনি ফোন করছিলো। এখন মেয়েটা বেশি বেশি করছে দেখে ফোনটা কেটে দেয়। ভাবতে থাকে, রুমাইশা’কে বাসায় তুলবে নাকি নতুন করে বিয়ে করবে। ভেবে নেয় কয়টা মাস যাক, তারপর রুমাইশা’কে বাসায় তুলবে।

–আজ শুক্রবার, এই দিনটাই প্রায় বেশির ভাগ মানুষ ঘুরতে বের হয়। কেউ বউ বাচ্চা নিয়ে, কেউ গার্লফেন্ড/বয়ফেন্ড নিয়ে। কেউ আবার নতুন জীবন সঙ্গী নিয়ে। বিবাহের ১ মাস হয়ছে এমন কাপল বেশি দেখা যায়। নতুন বউ নিয়ে তারা ঘুরতে আসে।

–ঘুরতে আসছে রুমাইশা ও রাকিবা। অন্যদিকে আসছে বিজয়ের ফেন্ড সার্কেল। আজ মেলা বসছে একটা জায়গায়, সেখানে অনেক ভির জমেছে। জমজমাট এক মেলা, রুমাইশা আর রাকিবা শাড়ি পড়ে ঘুরতে আসছে। তাদের কাছে অসুস্থ তা পড়ে, আগে আনন্দ করা। দূর থেকে বিজয় রুমাইশা’কে দেখতে পায়। সে জন্য ফুলের দোকন থেকে এক গাছি ফুলের তোরা নিয়ে আসে। জোর করে রুমাইশা’র হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,

চলবে?………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here