“বাবু তুই ১৫ বছরের একটা মেয়ে’কে কিভাবে বিয়ে করতে পারলি? মেয়েটা তোর থেকে ১০ বছরের ছোটো। একজন ডাক্তার হয়ে এটা কিভাবে করলি তুই বাবা। তোর থেকে আমি এটা কখনো আশা করি নাই৷ আমি তোকে বিয়ের কথা বললেই তো না করতি আর এখন?”
–আহনাফ শাহারিয়ার মায়ের কান্না দেখে বিরক্ত হচ্ছে। কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করে সেই ৩০ মিনিট থেকে কান্না করছে। কেউ একটা বার শোনার চেষ্টা করলো না কেনো এই ভাবে বিয়েটা করলো সে। ইচ্ছে করে কি কেউ ১০ বছরের ছোটো মেয়ে’কে বিয়ে করবে? আহনাফ কিছুটা ধমকের সুরে বলে,
“মম প্লিজ তোমার কান্না থামাও। আমার কিন্তু মাথা গরম হচ্ছে, সেই কখন থেকে নেকা কান্না শুরু করছো তুমি। আমাকে কথা বলার সুযোগ তো দিবা নাকি?”
“আমার কান্না তোর কাছে নেকা মনে হচ্ছে বাবু? বিয়ে করতে না করতে মায়ের সাথে এমন ব্যাবহার করছিস তুই! দু’দিন পর তো আমাকে লাথি মেরে বের করবি বাড়ি থেকে।”
“মম এসব কি বলছো? পাগল হয়ে গেছো নাকি! আমাকে কথা বলার সুযোগ দেও প্লিজ। বাবাই যদি আসে তাহলে কিন্তু অঘটন ঘটবে।”
“অঘটন ঘটার আগে এসব মনে হয় নি? একজন ডাক্তার হয়ে কিভাবে তুই তোর হাঁটুর বয়সের একটা মেয়ে’কে বিয়ে করলি!? আমার সন্মানের কথা একটা বার ভাবলি না। বের হয়ে যা আমার বাড়ি থেকে। আর একটা মূহুর্তের জন্য তোর মুখ দেখতে চাইনা।”
–অয়ন খান, গ্রামের সনামধন্য একজন ব্যাক্তি। এই গ্রামে তার নাম ডাক ভালোই আছে। একজন চেয়ারম্যান তিনি, যেখানে বাল্যবিবাহ তিনি বন্ধ করছেন। সেখানে নিজের বড় ছেলে এমন কাহিনি করলে তার সন্মান থাকবে কই থেকে? আহনাফে’র গালে পরপর দু-তিন’টা চড় বসিয়ে দেয়। আহনাফ তাল সামলাতে না পেরে কিছু’টা দূরে ছিটকে পড়ে। পাশেই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রুমাইশা। অয়ন খান রাগের বসে মেয়েটা’কে ধাক্কা দেয়। রুমাইশা পড়ে যেতে নিলেই কোনো রকম আহনাফ ধরে নেয়। তারপর বাবাই’য়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
“বাবাই একটু বোঝার চেষ্টা করো, আমি অনেক’টা ভেবে চিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কথা একটু শোনো দয়া করে। রাহুল আছে না..”
“আমি তোর একটা কথাও শুনতে চাই না। এখনি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাও। তোমার মতো কুলাঙ্গার ছেলে আমি এই বাড়িতে রাখবো না। এতো কষ্ট করে ডাক্তারি পড়ালাম আর তুমি!”
“বাবাই আমাকে মাফ করো। দয়া করে মেয়েটা’কে গ্রহণ করো। ওর এখন আমি ছাড়া আর কেউ নাই।”
“বের হয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে। আর যদি কখনো এই বাড়িতে দেখি, তাহলে তোমার মা’কে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিবো।”
“বাবাই!”
–আহনাফ অবাক হয়ে যায়, তার জন্য তার মা কেনো এসব ভোগ করবে? আহনাফ একবার রুমাইশার দিকে তাকিয়ে হাতটা ধরে এক কাপড়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারপর এক ফেন্ড’কে ফোন দেয়,
“দুই রুমের একটা বাড়ি খোঁজ, আজকেই মধ্যেই সব ঠিক কর। আর একটা সংসার সাজাতে যা যা লাগে সব কিনে ফেল। আমি রাতে রুমাইশা’কে নিয়ে সেই বাসাতে উঠবো। বাসা’টা আমার হসপিটাল থেকে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে হওয়া চাই।”
–অপর পাশের কথা না শুনে আহনাফ ফোনটা কেটে পকেটে ঢুকিয়ে রাখে। ১ ঘন্টা আগের কাহিনি থেকে ঘুরে আসি,
–দরজার কলিং বেল বাজায় আহনাফে’র মা এসে দরজা খুলে দেখে তার বড় ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে একটা ছোট বাচ্চা মেয়ে, মালিহা খান ছেলের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে মেয়ে’টা কে। আহনাফ মায়ের ভাবনা বুঝতে পেরে নিজে থেকেই বলে,
“মম ও হচ্ছে তোমার বড় ছেলের বউ, রুমাইশা খান। আজ থেকে ও এই বাড়িতেই থাকবে। আমি আজ সকালে ওকে বিয়ে করছি মম।”
“কিহ!”
–মালিহা খান মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পড়ে। মেয়েটা’কে দেখে তার নিতান্ত বাচ্চা বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া আহনাফ একজন ডাক্তার হয়ে এমনটা কিভাবে করতে পারে? মালিহা খান অবাক কন্ঠে বলে,
“বাবু তুই এসব কি বলিস? তুই ঢাকা থেকে কবে ফিরলি! আর কি বলিস। মেয়েটা তোর বউ হতে যাবে কিভাবে।”
“মম আমি কথা ঘুরাতে চাই না। আজকে আমি এই মেয়েটা’কে বিয়ে করছি। আজ থেকে ও মিসেস আহনাফ খান।”
“মেয়েটার বয়স কতো আহনাফ?”
–অবাক হয়ে মালিহা খান কথাটা বলে, আহনাফ ভয়ে ভয়ে বলে,
“১৫ বছর মম।”
“মেয়েটা তোর থেকে গুনে গুনে ১০ বছরের ছোট আহনাফ। তুই এই টুকু বাচ্চা মেয়ে’কে কিভাবে বিয়ে করতে পারলি। তোর বয়েস ২৫ বছর আর মেয়েটার তেরো। তুই কি গাঞ্জা খেয়ে আজ বাসায় ফিরছিস?”
“মম প্লিজ আমাকে দেখে কি তোমার মজার মুড মনে হচ্ছে? আমি সিরিয়াস মম। আমি বিয়ে করছি, তুমি তো চাইতে আমি যেনো বিয়ে করি।”
“তাই বলে তোর থেকে ১০ বছরের ছোট মেয়ে’কে নাকি?”
–মালিহা খান ছেলের গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। তারপর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে মরা কান্না শুরু করে। বর্তমান- আহনাফ রুমাইশা’কে নিয়ে কাছের একটা হসপিটালে আসে। যেখানে তার প্রিয় বন্ধু রাহুল এক্সিডেন্ট করে বেডে শুয়ে আছে। আহনাফ রুমাইশা’কে রাহুলে’র পাশে বসতে বলে বাহিরে যায়। প্রায় আধাঘন্টা পর এসে একটা ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“রুমাইশা জামা চেঞ্জ করে আয় যা। শরীর ঘেমে গেছে তোর, শরীরে মাটি লেগে আছে অনেক। আর কান্না করিস না রাহুল ঠিক হয়ে যাবে। আমি সাথে করে নিয়ে যাবো ভাবিস না কিছু।”
“ভাইয়া, রাহুল ভাইয়া কবে ঠিক হবে৷ আমি রাহুল ভাইয়ার সাথে কথা বলবো। আমি বাবাই’য়ের কাছে যাবো ভাইয়া।”
“রুমাইশা স্টপ প্লিজ, একদম বাড়ির কথা আমার সামনে উঠাবি না। জামা চেঞ্জ করে আয়, আমি আজকেই রাহুল’কে আমাদের সাথে ঢাকা নিয়ে যাবো। ওখানে গিয়ে আমি যে হসপিটালে জব করি সেখানে ওকে ভর্তি করাবো। যা ফ্রেশ হয়ে আয়, আমি খাবার নিয়ে আসছি। সকাল থেকে তো কিছু মুখে দেস নাই।”
“ভাইয়া না খেলে আমি খাবো না। আমাকে তো ভাইয়া খাইয়ে দেয়। আমি একা একা খাইতে পারি না। ভাইয়া ভালো হয়ে আমি ভাইয়ার সাথে খাবো।”
–আহনাফ রাগে একটা ধমক দেয়। রুমাইশা কাঁদতে কাঁদতে ফ্রেশ হয়ে এসে, রাহুলে’র হাত ধরে পাশে বসে পড়ে। আহনাফ একটা প্লেটে করে বিরিয়ানি এনে রুমাইশার মুখে সামনে এক লোকমা ধরে। রুমাইশা ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে বলে,
“আমি খাবো না ভাইয়া। রাহুল ভাইয়া বলছে অপরিচিত কারো হাতে না খেতে। তারা নাকি ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যায়, আর টাকা দিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে।”
“আমি কি অপরিচিত কেউ?”
–আহনাফ অবাক হয়ে কথাটা বলে, রুমাইশা মাথা নাড়িয়ে বুঝায় না। আহনাফ বোঝে রুমাইশা ইচ্ছে করে এমন করছে। এতো বড়ো মেয়ে ওকে বিক্রি করতে যাবে কোন দুঃখে? আহনাফ হালকা ধমক দিয়ে বলে,
“তাহলে! আমি তোকে বিক্রি করতে যাবো কেনো। তোকে কেউ কিনবে না বুঝলি। ক্লাস টেনে পড়িস কিন্তু তোর ভাই তোকে মানুষ করতে পারলো না৷ চুপচাপ খেয়ে নে তো, জালাস না আমাকে।”
“ভাইয়া না বললে আমি খাবো না। তুমি পরিচিত কিন্তু তোমার হাতে তো কখনো খাইনি। তাই একটা কথা ও বলবে না আচ্ছা?”
–আহনাফ জোর করেও রুমাইশা’কে খাওয়াতে পারে না। প্রায় ৪ ঘন্টা পর রাহুলে’র জ্ঞান ফিরে, তখন সময় দুপুর ২টা। রুমাইশা ভাইয়ার সাথে কথা বলতে চায়, কিন্তু মুখে অক্সিজেন মাক্স থাকায় কথা বলতে পারে না। আহনাফ ডাক্তারদের সাথে কথা বলে সব ঠিকঠাক করে নেয়। তারপর রাহুল’কে বলে,
”তোর পিচ্চি কে একটু বল আমার হাতে যেনো খাবার খায়৷ সকাল থেকে না খেয়ে আছে, আমি নাকি কিডনাপ করে ওকে বিক্রি করবো! সে জন্য আমার হাতে খাবার খায় নি।”
–রাহুল ঐ অবস্থায় হালকা হাসে, রুমাইশা বলে হলে ও দুষ্টামি বেশি করে। আর সে তো খাবে না অন্যের হাতে সে জন্য নানান গল্প বানিয়ে নেয়। রুমাইশা ভাইয়ার হাত ধরে বলে,
“ভাইয়া আমি কি আহনাফ ভাইয়ার হাতে খাবার খাবো? তোমাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে আমাকে আবার বিক্রি করবে না তো?”
“হ’রে ভাই, তোর বোন এমন জ্ঞান শূন্যহীন কেনো? এরে তো কেউ কিনবে না। তাহলে ওকে কার কাছে বিক্রি করবো!? তুই ওরে বুঝা নয়তো না খেয়ে শুক্টি হয়ে যাবে। যতই হোক বউ আমার, ডাক্তারের বউ না খাওয়ার জন্য মরে যাবে এটা তো হয় না।”
–রাহুল ইশারায় আহনাফে’র হাতে খেতে বলে। রুমাইশা খাবার খেয়ে বসে থাকে। প্রায় কয় মিনিট পর ৩জন ছেলে মেয়ে আসে। রাহুল’কে ওরা এম্বুলেন্স এ উঠিয়ে দেয়। রুমাইশা’কে এম্বুলেন্স এ না নেওয়ার জন্য চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। আহনাফ পড়ে যায় বিপাকে, এই মেয়ে’কে এখন কিভাবে বুঝাবে সে?
“রুমাইশা শান্ত হোও, আমরা তোর ভাইয়ার কাছেই যাবো। আর যারা তোর ভাইয়া’কে নিয়ে গেলো সবাই তোর ভাইয়ার বন্ধু ছিলো। বড় হসপিটালে রাহুল’কে ভর্তি করিয়ে দিবো। আমি তোকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি চিন্তা করিস না।”
“তুমি আমার ভাইয়া’কে মেরে ফেলবে না-তো? তোমার বাবা যদি আমার ভাইয়াকে খুন করে তাহলে?”
“কি সব বলিস! বাবাই আমার উপর রেগে আছে তোদের উপর না। ভয় নাই আমি তোকে তোর ভাইয়ার কাছেই নিয়ে যাবো।”
–রুমাইশা এবার শান্ত হয়, কান্না বন্ধ করে গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রায় ৬ ঘন্টা পর তারা ঢাকা এসে পৌঁছায়। রুমাইশা’কে রাহুলের সাথে দেখা করিয়ে তারা নতুন বাসায় এসে উঠে। রুমাইশা মুখটা ছোট করে বলে,
“ভাইয়া তুমি আমাকে এখানে আনলে কেনো?”
“আজ থেকে এখানেই থাকবি। রাহুল সুস্থ হলে ওকে ও এখানে রাখবো ওকে? রাত হয়ে গেছে এখন ঘুমিয়ে পর। সকালে তোকে রাহুলের কাছে দিয়ে আমি হসপিটালে যাবো কাজ আছে তা করবো।”
“আমি কোথায় ঘুমাবো ভাইয়া?”
“কেনো আমার সাথে!”
–আহনাফ অবাক হয়ে কথাটা বলে। যদিও এখন তার সম্পর্ক চাহিদা নিয়ে ভাবছে না। কিন্তু বিয়ে যখন হয়ছে তখন তো অবহেলা করতে পারবে না। রুমাইশা কাঁদো কাঁদো মুখে বলে,
“ভাইয়া বলছে ছেলেদের সাথে এক বিছানায় না ঘুমাতে। আমি তোমার কাছে থাকবো না। আমি বাড়ি যাবো, তুমি পঁচা লোক।”
“হায় রে রাহুল, এ আমি কাকে বিয়ে করলাম ভাই। উফ, একা ঘুমাতে পারিস? আর এই তুই কি ছোট বাচ্চা নাকি? বিয়ে সম্পর্কে তো সব বুঝিস তাই না!”
“হুম, বাট আমি তোমার কাছে থাকবো না।”
“তাহলে ঐ রুমে গিয়ে ঘুমাও। দরজা লাগিয়ে দেওয়ার দরকার নেই, ভয় পেলে আমাকে ডাক দেস কেমন?”
“আচ্ছা”
–রুমাইশা অন্য রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আহনাফ কিছুক্ষণ ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করে রাত ১১টার সময় ঘুমিয়ে যায়। রুমাইশা নতুন জায়গায় কখনো ঘুমাতে পারে না। এদিক সেদিন করে প্রায় ১০:৪০ এর দিকে ঘুমিয়ে পরে।
[পরিচয়]
–আহনাফ খান, বাড়ির বড়ো ছেলে। ছোট বোন অনার্স প্রথম বর্ষের কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ছে। মা-মালিহা খান, বাবা-অয়ন খান। চট্টগ্রামের একটা গ্রামে তাদের জন্মস্থান। বাবা একজন সুনামধন্য চেয়ারম্যান। দু’বার থেকে লোকজন তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে রাখছে। মানুষ হিসাবে তিনি অনেক ভালো। মা প্রাইমারির শিক্ষক, আহনাফ ৩মাস আগে একজন ডাক্তার হিসাবে জয়েন্ট করে।
–রুমাইশা চৌধুরী, বড় ভাই রাহুল চৌধুরী। বাকিটা গল্পে আসতে আসতে জানিয়ে দেওয়া হবে। আজ সকালে এক দূর্ঘটনার রাহুল এক্সিডেন্ট করে বসে। তারপর থেকেই যতো অঘটন ঘটলো। খুব ভোরে রুমাইশা ঘুম থেকে উঠে। সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস রাহুল নিজে করাইছে। সকালে উঠে নামাজ পড়া এটা রাহুলের রুলস ছিলো।
“ভাইয়া, আহনাফ ভাইয়া উঠো। আহনাফ ভাইয়া উঠো আমি ভাইয়ার কাছে যাবো।”
“ওম এতো সকালে কেউ ডাকে নাকি! যা তো ঘুমাতে দে। রাজ আমাকে বিরক্ত করিস না, রাতে ঘুম হয়নি আমার।”
“ভাইয়া আমি রাজ না তো, আমি রুমাইশা।”
–আহনাফ লাফিয়ে উঠে ঘুম থেকে। সে তো ভুলেই গেছিলো সে এখন বিবাহিত। রাজ তার রুমমেট ছিলো। ৩টা মাস তারা এক সাথে থাকছে। কিন্তু রুমাইশা তাকে এতো সকালে ডাক দেয় কেনো সেটা বুঝে উঠতে পারে না। ঘুমঘুম কন্ঠে বলে,
“কি হয়ছে এতো সকালে ডাকলি কেনো? মাত্র তো ৫:২০ বাজে। গিয়ে ঘুমা এতো সকালে তোকে উঠতে হবে না।”
“আমি নামাজ পড়লাম, তুমি নামাজ পড়ো না ভাইয়া?”
“কিহ! ওহ নো সরি, আজকে আমার তো ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হয়ে গেলো। সিট, জামাতের সাথে নামাজ পড়া লাগতো। তুই গিয়ে ঘুমা আমি পড়ে নিয়ে যাচ্ছি তোকে যা।”
–সকাল ৮টা, আজকে বাহির থেকে খাবার এনে দুজন মিলে খেয়ে নেয়। তারপর রুমাইশা’কে সাথে নিয়ে হসপিটালে যায়। আহনাফ রুমাইশা’কে রাহুলের কাছে রেখে নিজের কাজে যায়। রাহুল এখন ঠিকমতো কথা বলতে পারছে। আহনাফ চলে গেলে রাহুল রুমাইশা’কে বলে,
চলবে?………………
#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১)
#ফারহানা_জান্নাত