হৃৎপিণ্ড_২ ( দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ) পর্ব ২৬

0
348

#হৃৎপিণ্ড_২
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্ব_২৬
#জান্নাতুল_নাঈমা
____________________
অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে এবার কনে পক্ষ বর কনে সহ ফিরবে নিজ বাড়ি। কিন্তু ইমন সেই যে তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে বাড়ির সামনে গেলো আর ফেরার নাম নেই। কোন রকমে নিজের চোখের পানিগুলো আটকানোর চেষ্টা করছে মুসকান। মুরাদ মুসকান’কে দেখে কিছু একটা আঁচ করে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,

“মুসু শরীর খারাপ লাগছে? ”

“আমিতো বললাম দাদাভাই আমার খারাপ লাগছে তবুও ভাবির সাথে যেতে দিলেনা। ”

“আরে রাগ করস কেন বর ছাড়া নাকি একা ফিরতে হয়না এটা নিয়ম। ”

“বর যদি তার বন্ধু বান্ধবদের মাঝে বিভোর থাকে ছ্যাঁচড়ার মতো ঘন্টার পর ঘণ্টা আমাকে এখানে অপেক্ষা করতে হবে! ”

সায়রী মুসকানের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে বললো,

“দাঁড়া আমি ডেকে আনছি ওকে।”

“একদম যাবে না আপু আমি দেখতে চাই ঠিক কতোক্ষণ পর তার আসার সময় হয়। ”

মুসকানের রাগের মাত্রা বুঝতেই মুরাদ দ্রুত ফোন বের করে ইমনকে কল দিলো। এদিকে বরের বাড়ির সকলেই ঘিরে আছে মুসকানকে। সকলের থেকে বিদায় নিলেও সকলে অপেক্ষা করছে ওদের গাড়ি অবদি ওঠিয়ে দেওয়ার জন্য। ঠিক পনেরো মিনিট বাদে এলো ইমন। তার পিছনে অভ্র একটি ট্রলি নিয়ে এলো। যেখানে ইরাবতী ইমন মুসকান দু’জনেরই দুদিনের পোশাক সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়েছে। ইমন আসতেই মুসকান মুরাদকে উদ্দেশ্য করে বললো,

“দাদা ভাই আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমি কি গাড়িতে বসতে পারি? ”

মুরাদ আতঙ্কিত হয়ে মুসকান’কে ধরে সিটে বসিয়ে দিলো। সায়রীও ওঠে পড়লো তারপর ইমনও কোন বাক্য ব্যয় না করে গাড়িতে ওঠে বসলো। মুসকান সায়রীর দিকে কিছুটা চেপে বসে নিচু স্বরে প্রশ্ন করলো,

“দিহুভাই কোথায় আপু সারাদিনে একবারো নজরে পড়েনি। ভাইয়া কি আসেনি? ”

থতমত খেয়ে গেলো সায়রী জোর পূর্বক কিঞ্চিৎ হেসে জবাব দিলো,

“তুই ভালো করেই জানিস মুসু আমি ওর ব্যাপারে কিছু জানিনা। ”

ছোট্ট একটি শ্বাস ছাড়লো মুসকান। সায়রী নিশ্চুপ হয়ে কাঁচ নামিয়ে রাস্তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো, বিষণ্ন মনে রাতের শহর দেখতে বিভোর হয়ে গেলো সে। ড্রাইভার মনোযোগ সহকারে গাড়ি চালাচ্ছে, মুরাদ বসে ফোন ঘাটছে মুসকান তীব্র অস্বস্তি নিয়ে সায়রী আর ইমনের মাঝখানে বসে আছে। হঠাৎ করেই ইমন মুরাদের সঙ্গে টুকটাক কথা বলতে শুরু করলো। টপিক ছিলো গুটিকয়েক বন্ধু বান্ধবদের কিছু হাস্যরসাত্মক কাণ্ড। আলোচনার এক পর্যায়ে মুরাদ উচ্চস্বরে হেসে ওঠলো। হাসলো ইমনও। ওদের দুজনের হাসিতেই প্রচন্ড বিরক্ত বোধ করলো সায়রী এবং মুসকান। সায়রীর মনটা খুব ছটফট করছে দিহানের জন্য। সেই যে রাগ করে ছাদ থেকে নিচে নেমে গেলো তারপর না দেখা আর না কোন কথা হয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ইমন, মুরাদ বা অন্য কেউ দিহানকে নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। আলিয়া একবার জিজ্ঞেস করেছিলো কিন্তু কিভাবে যেনো কথায় কথায় বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে গেলো। এদিকে মুসকান বিরক্ত হচ্ছে এতো বড়ো অপরাধ করেও ইমনের কোন হেলদোল নেই। দিব্যি খুশিতে গদগদ করে কথা বলছে। বেশ শব্দ করেই নিঃশ্বাস ছাড়লো মুসকান। তার নিঃশ্বাসের তীক্ষ্ণ শব্দটা ইমনের কানে বারি খেতেই আড়চোখে মুসকানের দিকে তাকালো সে। মুখ টিপে গেসে মুসকানের পিছন দিয়ে একহাত ঢুকিয়ে একদম নিজের দিকে চেপে বসালো। মুসকান চমকে ওঠে খানিকটা রেগেও গেলো মৃদু আর্তনাদ করে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে একবার সায়রী একবার মুরাদের দিকে তাকালো। ইমন সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো মুসকানকে নিজের দিকে চাপতে লাগলো। মুসকান এবার রাগি লুকে তাকিয়ে চাপা স্বরে বললো,

“এটা কি হচ্ছে নানাভাই? ”

ইমন মুচকি হেসে ফিসফিস করে বললো,

“একটু রোমান্টিক হওয়ার জন্য মন আনচান করছে ডিয়ার। ”

“মানে! দাদাভাই আছে প্লিজ ছাড়ো। ”

“কিচ্ছু হবে না। ”

ইমন ফিসফিস করে এটুকু বলতে বলতেই মুসকানের শাড়ি ভেদ করে উন্মুক্ত পেটটায় হাত বিচরণ শুরু করলো। পুরো শরীর শিরশির করে ওঠলো ওর। আবেশে চোখ বুজে আসলো নিঃশ্বাস হয়ে গেলো ভারী। এমন সময় মুরাদ কিছুটা পিছনে তাকিয়ে বললো,

” তোর দাদিটা নাকি খুব প্যাঁচাল পারে? ”

অতিকৌশলে মুরাদের দিকে স্বাভাবিক ভণিতায় তাকিয়ে উত্তর দিলো ইমন,

“মাঝে মাঝে প্যাঁচাইলা মানুষও ভাল্লাগে। ”

সামনে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো মুরাদ বললো,

“আমার বোনকে বেশি ঘাটতে আসলে গুষ্টি উদ্ধার করে দিমু। ”

কিছু বললো না ইমন কারণ তার মনোযোগ এখন মুসকানের দিকে। তাকে থামানোর জন্য নিজের সমস্ত শক্তি ব্যয় করে হাতে নখ ডাবিয়ে দিচ্ছে মুসকান। তবুও কিঞ্চিৎও হাত সরেনি ইমনের। ওষ্ঠকোণে ঝুলানো ছিলো প্রশস্ত হাসি। ইমনকে কোনভাবেই শাস্তি দিতে না পেরে টলমল চোখে বড়ো বড়ো করে তাকালো মুসকান। মুসকান সিরিয়াস হয়ে গেছে বুঝতেই আলগোছে হাত সরিয়ে নিলো ইমন। সায়রীকে ডেকে প্রশ্ন করলো,

“কিরে মন খারাপ। তোদের মেয়েদের মুড অফ অন হতে একটুও সময় লাগে না তাইনা? ”

চমকিত ভঙ্গিতে ফিরে তাকালো সায়রী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,

“ফিরে এসে ডক্টর দেখাতে হবে ইমন আমি খুবই টেনশনে আছি। ”

“চিন্তা করিস না আমরা আছি তো। ”

অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো সায়রী। বুকের ভেতর টা কাঁপছে তার এই বাক্যটা যদি আজ দিহান বলতো খুব শান্তি পেতো সে। তার যে দিহান’কে প্রয়োজন।
.
ইমন মুসকানকে নিয়ম অনুসারে ঘরে তোলা হলো। রিমির মা বড়ো বাটি করে দুধ চিতই আরেকটি বড়ো প্লেটে পায়েস নিয়ে এলো। তারপর ইমন মুসকানকে পাটিতে বসিয়ে পিঠা আর পায়েস খাওয়ালো বাকি সবাইও ওদের সঙ্গে যোগ দিলো। কিছু সময় গল্পস্বল্প করে সবাই চলে গেলো ফ্রেশ হতে। ইমন আর মুসকান’কেও বলা হলো পোশাক পাল্টাতে।
.
ইমন আর মুরাদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে কিছু একটা আলোচনা করছে। ক্লান্ত মুসকান রুম থেকে উঁকি দিয়ে ইমনকে মুরাদের সঙ্গে দেখে ছোট্ট একটি শ্বাস ছেড়ে রুমের ভিতরে চলে গেলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে এক একে সেফটিপিন গুলো খুলতে শুরু করলো। শেষ একটি সেফটিপিন খোলার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হলো তাই নিজে আর চেষ্টা না করে রুমের বাইরে উঁকি দিলো। ইমন তখনি দরজার সম্মুখে এসে দাঁড়ালো ভ্রু উঁচিয়ে ইশারা করলো,

“কি সমস্যা? ”

মুসকান উত্তর না দিয়ে ইমনকে পাশ কাটিয়ে রিমির রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। তখনি ইমন ওর আঁচল টেনে ধরলো। চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো মুসকানের আশেপাশে তাকিয়ে চট করে রুমে ঢুকে বিরক্তি প্রকাশ করে বললো,

“তোমার সমস্যা কি? টানছো কেন? ”

“প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চলে যাওয়া কোন ধরনের বেয়াদবি। ”

অগ্নিমূর্তি ধারণ করলো মুসকান অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আঙুল তুলে বললো,

“কোনটা বেয়াদবি কোনটা আদবি সেটা তোমার থেকে শুনতে বিন্দুমাত্র ইচ্ছুক নই আমি। ”

ঠাশ করে দরজা লাগিয়ে দিলো ইমন। মুসকানের দিকে দৃঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

“আঙুল নামাও। ”

“নামাবো না আপনার কথা শুনতে আমি বাধ্য নই। সরেন, সামনে থেকে সরেন আপনাকে দেখলেই আমার গা জ্বালা করছে। ”

বলেই দরজার দিকে এগিয়ে গেলো মুসকান। ইমনের মেজাজও খারাপ হয়ে গেলো কথা শুনে। আবার এই রাগের পেছনে কারণও টের পেলো। কিন্তু কিভাবে সবটা ম্যানেজ করবে তাই মাথায় ধরলো না। তবুও চেষ্টায় কমতি রাখলো না। আঁচল ধরতে গিয়েও পারলোনা মুসকান আগেই আঁচল দু’হাতে বন্দি করে নিয়েছে। অবাক হয়ে হাত বাড়িয়ে ধরতে গিয়ে পিছন থেকে ব্লাউজের ফিতায় টান দিলো ইমন। দরজার সিটকেরি খোলার শব্দ হতেই দ্রুত ওকে টেনে বুকে পুরে নিয়ে দরজা আবার ঠাশ করে লাগিয়ে দিলো। মুসকান ‘ উম উম’ শব্দ করে ইমন থেকে সরে যেতেই ইমন ওকে পাঁজা কোল করে নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো। বাচ্চাদের মতো মুড়িয়ে বুকে নিয়ে বসেই বললো,

“আমাকে দেখলেই গা জ্বালা করছে? এবার স্পর্শে যন্ত্রণা করবে। ”

বলেই ওকে মুড়িয়ে নিয়ে পিঠের কাছের সেফটিপিন খুলে আঁচল খুলে ফেললো। মুসকান আঁতকে ওঠে খামচে ধরলো ইমনের হাত। হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে করতে বললো,

“তুমি আমাকে একটুও ছুঁবে না, প্লিজ না আমি সহ্য করতে পারছিনা। ঐ মেয়েটা তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো, তোমরা একে অপরের গালে গাল ছুঁইয়েছো ছিঃ ছাড়ো আমায়। ”

কথাগুলো বলতে বলতেই ইমনের দুগাল খামচে ধরলো। অসাবধানতাবশত চোখেও লেগে যায়। চোখে লাগতেই আর্তনাদ করে মুসকান’কে ছেড়ে দেয় ইমন। মুসকান ছাড় পেয়ে দ্রুত ওঠে দাঁড়ায় রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দু’পা বাড়িয়েও থেমে যায়৷ পিছন ঘুরে দেখে একহাতে ইমন নিজের চোখ চেপে ধরে আছে। আরেকটু সুক্ষ্ম ভাবে তাকিয়ে বুঝলো চোখ দিয়ে পানিও বের হচ্ছে। তা দেখে বুকটা কেঁপে ওঠলো। ভয়ার্ত মুখশ্রী’তে কাছে গিয়ে ইমনের হাত ধরে ব্যস্ত গলায় বললো,

” কি হয়েছে চোখে লেগেছে আমি বুঝতে পারিনি সরি, দেখি আমাকে দেখতে দাও। ”

ইমনের হাত সরানোর চেষ্টা করলো মুসকান কিন্তু সে হাত চেপে ধরে রইলো। মুসকান ভয় পেয়ে ব্যাথাতুর দৃষ্টি তে তাকিয়ে হালকা ফুঁ দিতে শুরু করলো। অনেকটা সময় এমন করার পর অপরাধীর ন্যায় মুখ করে ইমনের পাশে চুপটি করে বসলো মুসকান। ইমন দীর্ঘসময় চোখ ধরে চুপ মেরে বসে থাকার পর গম্ভীর গলায় উত্তর দিলো,

“বসে আছো কেন পোশাক পাল্টাও যাও। ”

“আমি সরি আমি বুঝতে পারিনি। ”

“হ্যাঁ আজ রাতে আমিও কিছু বুঝবো না এবার যাও পোশাল ছাড়ো। ”

বুকের ভিতর ধক করে ওঠলো মুসকানের। ইমনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর হাত ধরে বললো,

“দেখি কতোটা লেগেছে? ”

ইমন হাত সরিয়ে ওঠে দাঁড়ালো বললো,

“একটুও লাগেনি পোশাক চেঞ্জ করো মুসকান,ভালো লাগছে না এসব। ”

বলেই রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলো ইমন৷ মুসকানও মুখ ভাড় করে পোশাক পাল্টে নিলো। সকলের সঙ্গে মিলে রাতের খাবারও খেয়ে নিলো। যদিও মুসকান বরাবরের মতো খুবই অল্প খেলো। তবুও খেয়েছে এই অনেক সকলের কাছে।
.
রাত তখন সাড়ে এগারোটা বাজে। মুরাদের সাথে একাকী কথা বলে ছাদ থেকে নিচে নেমে এলো ইমন। মুসকানের রুমের পাশেই মরিয়ম আক্তারের রুম। কিন্তু আজ সে রুমে সায়রী আর মুসকানের মামাতো বোন মারুফা ঘুমিয়েছে। ইমন সবটা বুঝেই মুসকানের রুমে প্রবেশ করলো। মুসকান ঘুমিয়ে পড়েছে দেখতেই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। গালের দিকে জ্বালা করছে ভীষণ। ছোট ছোট খোঁচা দাঁড়ির জন্য নখের আঁচ গুলো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। ভাগ্যিস তার বউয়ের হাতে জোর কম তাই তেমন দাগ পড়েনি জোর থাকলে আর উপায় ছিলো না। ভেবেই মৃদু হেসে বিছানায় গিয়ে বসলো। দু’বার মুসকান বলে ডাকতেই মুসকান নড়েচড়ে ধড়ফড়িয়ে ওঠে বসলো৷ কিছুক্ষণ সময়ে আবার শান্তও হয়ে গেলো। ইমন তার দিকে কিছুক্ষণ নির্নিমেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো,

“মাথা যন্ত্রণা করছে মাথাটা টিপে দাও তো। ”

একবার হাই তুলে ঘুম ছাড়ানোর চেষ্টা করলো মুসকান তারপর ইশারা করলো শুয়ে পড়তে৷ ইমন চুপচাপ শুয়ে পড়লো। মুসকান ওর দিকে চেপে বসে কোমলীয় হাতজোড়া দিয়ে মাথা টিপে দিতে শুরু করলো। ইমন চোখ বুজে ফেললো ঘন শ্বাস ফেলতে ফেলতে বললো,

“মুসু পৃথা আমার বন্ধু। বাংলাদেশী হলেও জার্মানেই বেড়ে ওঠা ওর। কিছু বন্ধু থাকেই গায়ে পড়া স্বভাবের এদের ভদ্র ভাবে এড়িয়ে চলতে হয়৷ আজ যা হয়েছে হুট করেই হয়েছে আমি বুঝেও ওঠতে পারিনি৷ এটাকে এতোটা সিরিয়াস নেওয়ার কিছু নেই। ”

“মাথা ব্যাথাটা সিরিয়াস নাকি এসব বলার জন্য সিচুয়েশন মাত্র? ”

এমন একটি প্রশ্নে আচমকাই মুসকান’কে টেনে শুইয়িয়ে বিছানার সঙ্গে চেপে ধরলো ইমন। দু’হাতের ফাঁকে আঙুল ঢুকিয়ে শক্তভাবে চেপে ধরে চোখে চোখ রেখে বললো,

“এতো বুদ্ধিমতী হতে কে বলেছে? ”

“ছাড়ো সব বোঝা শেষ আমার যাও না যাও ওর কাছে যাও। ”

“এতো সুখ ছেড়ে ওখানে মরতে যাবো কেন? ”

বলেই মুসকানের গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো ইমন। কয়েকপল ধস্তাধস্তি করে মুসকানকে কন্ট্রোলে সর্বোচ্চ বেহায়ার মতো আচরণও করে ফেললো। লজ্জায় খিঁচ মেরে গেলো মুসকান। ইমনের থেকে ছাড় পাওয়ার জন্য কান্না করেও দিলো। এক পর্যায়ে মেজাজ বিগরে গেলো ইমনের। অসহ্য হয়ে রাগের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়াতে কামড় বসিয়ে দিলো গলায় আর থুতনিতে। বেশ ব্যাথা দিয়ে রাগে ফোঁসতে ফোঁসতে ছেড়েও দিলো অতঃপর বিছানা ছেড়ে রুম থেকেও বেরিয়ে গেলো। যাওয়ার আগে বললো,

“একটু ছুঁতেই যদি এই অবস্থা হয় আর জীবনে বাচ্চার মুখ দেখতে হবে না আমার! ”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here