#হৃৎপিণ্ড_২
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্ব_২২
#জান্নাতুল_নাঈমা
____________________
তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। সে বিষাদের ছায়াই যেনো নেমে এসেছে মুরাদের পুরো পরিবারের বুকে। মরিয়ম আক্তার নিজেকে শক্ত করার যথেষ্ট চেষ্টা করছে। তবুও তার বুক ফাটা আর্তনাদ বেরিয়ে আসছে। বাপ মরা ছেলে, মেয়ে দুটো’কে নিয়ে সংসার তার। আজ সে সংসার ছেড়ে আদরের ছোট্ট কন্যাটি চলে যাচ্ছে পরের সংসারে।
মেয়েদের বলা হয় ‘পরের ধন’। একদিন-না-একদিন তাদের নিজের ঘর ছেড়ে পরের ঘরে চলে যেতে হয়। কিন্তু এই চলে যাওয়াটা যে কতোখানি বেদনাদায়ক হয় তা কেবল একটি মেয়ে এবং মেয়ের পরিবারই উপলব্ধি করতে পারে। যেদিন একটি মেয়ে বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্বামীর ঘরে যায়, সেদিনটি হয় বড় বেদনাবিধুর। সবার চোখে থাকে অশ্রু। মুসকানের বাবা নেই কিন্তু বাবার থেকেও বেশি কিছু বড়ো ভাই মুরাদ। মাথা নিচু করে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে মুরাদ। দু’পরিবারের পরিচয় পর্ব শেষে বিদায়ের মূহুর্তেই ভেঙে পড়েন মরিয়ম আক্তার। মেয়ে’কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। ইমনের হাত চেপে আর্তনাদ করে বলেন,
“বাবাগো আমার কলিজার টুকরো টাকে সারাজীবনের জন্য তোমার হাতে তুলে দিলাম। তুমি ওকে দেখে রাইখো, আমার কলিজাটা বড়ো অবুঝ তুমি ওরে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিও। ”
ইমন মরিয়ম আক্তার’কে ভরসা দিলো। আশেপাশে তাকিয়ে কেবল মুরাদকে খুঁজলো। একপাশে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দিহানকে ইশারা করলো মুরাদ’কে নিয়ে আসার জন্য। মুরাদ নিজেকে সামলানোর বৃথা চেষ্টা করে ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে তুলে এগিয়ে এলো। সকলেই ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ইমন মুসকানকে। মুরাদ মুসকানের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়াতেই ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে ফেললো মুসকান। এবার আর চোখের জল আঁটকে রাখতে পারলো না মুরাদ। কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়লো তার চোখ বেয়ে। বোনের কপালে স্নেহের ছোঁয়া দিয়ে বুকে টেনে নিলো। ইমনের একহাত চেপে ধরে বললো,
“আমার বিশ্বাসের অমর্যাদা কখনো করিস না ইমন। আমার অতি মূল্যবান সম্পদটি আজ তোর হাতে তুলে দিচ্ছি। এর যথার্থ মূল্যায়ন করবি আজীবন। ”
একে একে চাচা,চাচি,মামা,মামি,খালা,খালু,ভাই-বোন, বন্ধু বান্ধব সকলের থেকে বিদায় নিলো বর কনে। কিন্তু কনের কান্না ক্রমাগত বাড়তেই থাকলো। মুরাদ বোনকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাঁটছে, মুসকানের একহাত তখনো ইমনের হাতের মুঠোয়। সকলেই ওদের গাড়ি অবদি পৌঁছাতে এলো। মরিয়ম আক্তার’কে রিমির মা সামলাচ্ছেন। তাকে আর গাড়ি অবদি আসতে দেওয়া হয়নি৷ এদিকে গাড়িতে বসেও মুরাদকে ছাড়লো না মুসকান। কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান প্রায় হওয়ার অবস্থা। উপায় না পেয়ে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিলো মুরাদ ইমনের বাসা অবদি পৌঁছে দিয়ে তবেই ফিরুক। সকলের কথামতো ইমনের সম্মতিতে মুরাদ মুসকানকে নিয়েই গাড়িতে বসলো। তখনো ইমন মুসকানের হাতটি শক্ত করে ধরে আছে। মুসকানের ডানপাশে ইমন বা পাশে মুরাদ বসেছে। গাড়ির সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে বসেছে ইমনের ফুপাতো ভাই অভ্র। বাকি গাড়িতে সবাই যার যার স্থানে বসেছে। মুসকানের সঙ্গে রিমির নানী এবং সায়রীই ইমনের বাড়িতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে বলা হয় ডোলাধরা। অর্থাৎ ডোলাধরায় যাচ্ছে সায়রী এবং মুরাদের নানী শাশুড়ি।
.
গাড়িতে বসেও কেঁদে যাচ্ছে মুসকান। মুরাদ ওকে অনেক ভাবে বোঝাচ্ছে আর ইমনকে আড়চোখে দেখছে। মুসকানের এই কান্না ইমন’কে কতোখানি যন্ত্রণা দিচ্ছে তা কেবল মুরাদ ওর দৃষ্টিজোড়াতেই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। একদম শক্ত হয়ে স্থির চোখে বসে আছে ইমন৷ নিঃশ্বাস ফেলছে কিনা এটুকুও বোঝা যাচ্ছে না। নিঃসন্দেহে তার বোনোর জন্য একমাত্র উপযুক্ত পাত্র ইমন। যা প্রতিটা সেকেণ্ড উপলব্ধি করতে পারে মুরাদ। সময় গড়াতে না গড়াতেই চৌধুরী বাড়ির চমকপ্রদ আলোক সজ্জায় সজ্জিত গেটের সম্মুখে এসে গাড়ি থামলো। অভ্র গাড়ি থেকে নামতেই ভাই,বোনরা ছুটে এলো। ইরাবতী ইমনের দাদি,ফুপু, খালারা সকলেই ছুটে এলেন৷ গাড়ির ডোর খুলে প্রথমে মুরাদ নামলো। তারপর মুসকান’কে নামতে বললো। ইমন মুসকান’কে সাবধানে নামতে সহায়তা করে মুসকানের পর নিজেও নেমে দাঁড়ালো। ইরাবতী পরম স্নেহে মুসকান’কে কাছে টেনে নিলেন। নিচু স্বরে জিজ্ঞেস করলেন, তার মা কিছু দিয়েছে কিনা। মুসকান মাথা নাড়িয়ে ডানহাত এগিয়ে দিলো। ইরাবতী মৃদু হেসে জিনিসটি নিয়ে তারপর ওর কাধ জড়িয়ে এগিয়ে চললো ভিতরের দিকে। সবাই যখন বউ নিয়ে বিজি হয়ে গেলো৷ মুসকানও যখন সবার ভীরে কান্না থামিয়ে দিলো মুরাদ তখন শুধুমাত্র ইমনের থেকে অনুমতি নিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে গেলো। কারণ তার মায়ের পাশে এখন তাকে খুব প্রয়োজন। মা,বোন,স্ত্রী সবাইকে সামলাতে হবে তাকে। কারো প্রতি এক চুল পরিমাণ দায়িত্বেরও কমতি রাখতে চায় না সে।
__________________
বাড়ির সকলে বউ দেখে মিষ্টি খাওয়াচ্ছিলো। সাথে ক্যামেরা ম্যান তুলছিলো ছবি। বেশ ক’জন মিষ্টি খাওয়ানোর পর নেক্সট আরেকজন মিষ্টি খাওয়াতে গেলেই গা গুলিয়ে বমি পায় মুসকানের। ইমন তখন বাঁধা দিয়ে খাওয়াতে নিষেধ করে আর বলে এখন এসব বন্ধ করতে। ইরাবতীও সবাইকে বলে এবার ওদের একটু রেষ্ট করা দরকার। পোশাক পাল্টে রাতের খাবারও খেয়ে নেওয়া উচিৎ। অলরেডি দশটা বেজে গেছে। সবাই যার যার মতো সরে যায়। অনেকে আবার পোশাক পাল্টানোর জন্য ভিতরে যায়। ইমনও ওঠে দাঁড়ায় এবং উপরের দিকে চলে যায়। ইরাবতী মুসকানকে বসতে বলে এবং জানায় সে নিজেই উপরে নিয়ে যাবে ওকে। মুসকানের পাশে তখন বসে ছিলো রিমিট নানি,আর ইমনের দাদি। ড্রয়িং রুম ফাঁকাই বলা চলে। আকরাম চৌধুরী দুরে একপাশে বসে ফোনে কথা বলছে। ইরাবতী সহ বাকিরা রান্নাঘরে। সোফায় বসে ছিলো মুসকান তার পাশেই দাদি নানি। ইমনের দাদি এমন নিরিবিলি পরিস্থিতি দেখে মুসকানের বাহুতে নিজের কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে বললো,
” কিলো…নাতবউ কিছু টিছু খাইছো নাকি? ”
মুসকান অবুঝের মতো তাকিয়ে রইলো। নানি মুখ টিপে হেসে কিসব ইঙ্গিত দিলো। আর দাদি সরাসরি বলেই ফেললো,
“শুনো নাতবউ বাচ্চা ধরলে ধরুক গা ওষুধ মান খাও? এখনকার ছেড়িরা ওষুধ টষুধ খাইয়া জীবনের বারোটা বাজাই দেয়। পরে পাছে আর বাচ্চা ধরে না। ভালো কথা কই শোনো ওষুধ জানি খাও না। আকরামরে তো আল্লাহ আর সন্তান দিলো না ঐ একজনই৷ এইবার তোমরা এক হালি পোলাপান নিয়া আসোতো। ”
লজ্জায় চোখ,মুখ রক্তিম হয়ে গেলো মুসকানের। কান দুটো গরম হয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস বেরোতে শুরু করলো তার। হাত,পায়ে শুরু হলো মৃদু কম্পন। বুকের ভিতরটা কেঁপে কেঁপে ওঠলো। গলা শুকিয়ে হয়ে গেলো কাঠ। মাথাটা করতে থাকলো ভন ভন ভন ভন৷ এরই মাঝে দাদি আবারো বলে ওঠলো,
“এই বুড়ির কথা মালুম না করলে পরে কিন্তু পস্তাতে হবে৷ স্বামীর বয়সের দিকে যেনো নজর থাকে। এই বয়সে পুরুষ মানুষ রা হালি হালি বাচ্চার বাপ থাকে। শুনলাম তোমার ভাইয়ের বউও পোয়াতি। আশেপাশে সবাইরে দেইখা ইমনেরও কিন্তু মন চায় বাচ্চা কাচ্চার বাপ হইতে। খালি জানি নিজের কথা ভাবো না স্বামীর সুখের কথাও ভাইবো। ”
অস্বস্তি তে বসে থাকাই যেনো দায় হয়ে গেলো। আশেপাশে দৃষ্টি বুলিয়ে দুরুদুরু বুকে মাথা নিচু করে রইলো মুসকান। তখনি ইরাবতী এসে বললো,
“আরে ফুপু কি যে বলেন সবে বিয়ে হলো আগে শশুর বাড়ি কি তা বুঝুক স্বামী,সংসার বুঝুক তারপর না হয় বাচ্চার চিন্তা। ”
“রাখো তোমার বোঝাবুঝি এই বোঝাবুঝি করতে করতে তোমার ছেলের বয়স বুঝি বসে থাকবে। ছেলের চুলে যে পাকন ধরছে সেই খেয়াল আছে। শেষমেশ না এমন হয় বাচ্চা দেখে লোকে প্রশ্ন করে বসে এইগুলা কি আপনার নাতি,নাতনী! ”
লজ্জায় মাথা কাটা গেলো ইরাবতীর থমথমে মুখে বললো,
“আমার ছেলের কতো আর বয়স হয়েছে ফুপু। চল্লিশ তো হয়ে যায়নি। ”
“বত্রিশ বছর বয়সকে তোমার কম মনে হয়? এখন বাচ্চা না নিলে আর কবে বাচ্চার মুখ দেখবো কও শুনি? আমার আকরাম তো ছাব্বিশ বছর বয়সেই বাচ্চার মুখ দেখছে। ”
“থাক ফুপু এসব কথা এখন থাক মুসকান চলো উপরে চলো। ”
দাদি এবার মুসকান’কে চেপে ধরে বললেন,
“যা বললাম মনে থাকে জানি নয়তো মনে রাখিস নিজের কপাল নিজে খাবি। পুরুষ মানুষের মন কিন্তু অতো সহজ না। ”
মুসকানও থমথমে মুখে নানির দিকে তাকালো৷ সেও দাদির কথাকে সমর্থন করলো। মুসকান এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এবার ইরাবতীর দিকে তাকালো। ইরাবতী ওকে ওঠিয়ে আশ্বস্ত করে বললো,
“তারা আগের দিনের মানুষ এসব বলবেই। এসব মাথায় না নিতে আমাদের যখন নাতী-নাতনীর প্রয়োজন হবে আমরা নিজেরাই আবদার করবো মা।”
মুসকানকে বোঝাতে বোঝাতে সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিয়ে গেলো ইরাবতী। ইমন তখন রুম থেকে বেরিয়ে এলো। সাদা রঙের টিশার্ট, কালো রঙের ট্রাউজার পরিহিত ছিলো সে,চুলগুলো ছিলো ভেজা। তার শুভ্র মুখমণ্ডল দেখে বোঝাই যাচ্ছে সবেমাত্র শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে সে। মা আর বউকে দরজার সম্মুখে দেখে হালকা কেশে ওঠে বেরিয়ে ওদের যাওয়ার পথ করে দিলো। মুসকান মাথা নিচু করে রুমে ঢুকলে ইরাবতী একটু পিছিয়ে ইমনকে বললো,
“বাসার বাহিরে যেনো না যাওয়া হয়। ”
ইমন শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
“সায়রীর ওখানে যাচ্ছি আলিয়ার রুমে আছে না? ”
ইরাবতী মাথা নাড়াতেই ইমন চলে গেলো। ইরাবতীও স্বস্তি নিয়ে রুমে ঢুকে মুসকানকে হেল্প করলো পোশাক ছাড়তে। যে কাজ ননদ বা অন্য আত্মীয় রা করার কথা ছিলো সে কাজ দায়িত্ব এবং স্নেহ মাখিয়ে ইরাবতীই করে দিচ্ছে। এতো কিছুর মাঝে ইরাবতীর এই কেয়ারটুকু অনেকটা তৃপ্তি দিলো মুসকানকে। এবং নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করলো আজীবন এই মানুষগুলোর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে সে। যাদের মাধ্যমে সে পেয়েছে তার ভালোবাসার মানুষ তার স্বামী’কে।
.
সকলে মিলে হাসিঠাট্টা করছে ইমনের সুসজ্জিত রুমে বসে। ভেজা চুলে বাসন্তী রঙের লাল পাড় শাড়ি পরিহিত মুসকান গুটিশুটি হয়ে বসে আছে বিছানার একপাশে৷ শরীরটা আর চলছে না তার মন চাচ্ছে মাথাটা বালিশে গুঁজে দিতে। শরীরটা এলিয়ে দিতে বিছানায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণায় অসহনীয় লাগছে তার। ইমনের ভাই,বোনরা রুম থেকে যাচ্ছেও না ইমনও রুমে আসছে না। সব মিলিয়ে অসহ্য হয়ে ওঠেছে মুসকান। ফোনটা কোথায় আছে তাও জানেনা৷ আসার পর থেকে মা বা ভাইয়ের সাথে কথাটুকুও হয়নি। তার দাদাভাই কোনদিক দিয়ে চলে গেলো টেরও পেলোনা এই নিয়ে অভিমানের কমতিও রইলো না তার। ইমনের ওপরও বিশাল অভিমান জমা হয়ে আছে তার। এতো এতো অভিমান জমিয়ে রাখতে রাখতে সে এখন খুবই ক্লান্ত। তার এই ক্লান্তি ভরা মুখোশ্রী দেখে মায়া হলো সায়রীর। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নিয়ে সকলকে তাড়া দিয়ে বললো,ঘুমাতে যেতে। কিন্তু কেউ রুম ছাড়তে রাজি নয়৷ এমন সময় দিহান ঢুকলো রুমে বললো,
“বাসর সাজানোর জন্য তোমাদের জানি পারিশ্রমিক কতো ছিলো? ”
সকলে এবার হৈহৈ করে বলে ওঠলো,
“পনেরো হাজার, পনেরো হাজার। ”
দিহান এবার কলার উঁচিয়ে আড়চোখে সায়রী’কে দেখে নিয়ে ভাব নিয়ে বললো,
“যদি আরো পাঁচ হাজার যোগ করে দেওয়া হয় কতো সেকেন্ডে রুম ছাড়বে? ”
সকলে মিলে হৈহৈ রৈরৈ করতে করতে বললো,
“দু’সেকেণ্ড ”
বলেই সকলে এক লাইনে বেরিয়ে গেলো। আলিয়া তো দিহানের গাল টেনে দিয়েও গেলো। তা দেখে সায়রী ফুঁসে ওঠে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। দিহান মুচকি হেসে বললো,
“আহারে রমণীরা কেন যে আমার গালটাকে এতো পছন্দ করে… ওষ্ঠাধর কি কারো নজরে পড়ে না নাকি।”
মুসকান অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সায়রীর দিকে। সায়রী নিজেকে শক্ত করে নিয়ে দিহান’কে উদ্দেশ্য করে মুসকান’কে বললো,
“মুসু ওকে বল রুম ছাড়তে নয়তো আমার হাতে খুন হতে হবে। ”
দিহান দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে সায়রী’কে উদ্দেশ্য করে মুসকান’কে বললো,
“মুসু ওকে বলে দে আমি ওর হাতে খুন হতেও প্রস্তুত।”
এমন সময় ইমন রুমে ঢুকলো আর বললো,
“কেন আমার বউ কি তোদের মতো গাঁজা খাইছে নাকি? ”
চলবে…
রিচেক দেইনি ভুল হয়েছে হয়তো অসংখ্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।