হৃৎপিণ্ড_২ ( দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ) পর্ব ১৭

0
341

#হৃৎপিণ্ড_২
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্ব_১৭
#জান্নাতুল_নাঈমা
_____________________
ইমনের ধমক খেয়ে মুখ গোমরা করে নিচে চলে গেছে মুসকান। এদিকে সায়রী দরজা খুলে ইমনের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,

“তোর বাসা আমার কোন সেফটিই নেই দেখছি এমন হলে নিজের সেফটির জন্য ডিফারেন্ট কিছু ভাবতে হবে আমাকে। ”

কথাগুলো বলেই হনহনিয়ে নিচে চলে গেলো সায়রী। ইমন ক্রোধে ফেটে পড়ে ভিতরে ঢুকে দিহানকে কিছু বলতে উদ্যত হবে তার পূর্বেই দিহান ডান হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ‘ওমাগো ওরে বাবারে খেয়ে ফেলছে আমারে!’ বলতে বলতে ইমনের সম্মুখে এসে দাঁড়ালো। দিহানের অমন মর্মান্তিক অবস্থা দেখে পেট চেপে হাসি এলো ইমনের। তবুও হাসলো না সে। নিজের এটিটিওড বজায় রেখে ক্রোধান্বিত স্বরে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,

“কেউ যদি ভেবে থাকে এখানে কারো বউ রয়েছে তাহলে ভুল। এখানে কারো বউ নেই, আমি কারো বউকে যত্ন করে এ বাড়িতে জায়গা দেইনি। ”

“ভাই আগে আমার হাতের ব্যবস্থা কর পরে বউয়ের খোঁজ দিস। ”

বলেই ব্যথায় আহ উহ করতে থাকলো। ইমন চাপা হেসে নিচু স্বরে বললো,’নিচে চল’। যতোই হোক বন্ধু তো… তাই বন্ধুত্বের টানে দিহানকে নিচে নিয়ে ব্যান্ডেজ করে মেডিসিন দিলো। ডানহাতে ব্যান্ডেজ করে সোফায় তব্দা খাওয়া অবস্থায় বসে রইলো দিহান। তার ঠিক সম্মুখে সিঙ্গেল সোফায় বসে আছে ইমন৷ মুখে তার দুষ্টু হাসি। মিটি মিটি হাসছে আর ফোন চাপছে সে। দিহান ওর হাসি দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বললো,

“শালা ওরে কি তোর বাসায় কিছু খাইতে দেস নাই? একবারে আমার রক্ত,মাংস সব চুষে নিছে! ”

“না খাওয়াই রেখে দিছি যাতে তোর মতো উদ্ভট প্রাণী’কে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে হজম করতে সুবিধা হয়!”

বিরবির করে সমানে ইমনকে বকতে লাগলো দিহান। ইরাবতী আর আয়েশা সবার জন্য খাবার বাড়ছিলো তখন। একে একে ড্রয়িং রুমে সবাই এসে উপস্থিত হলো৷ তখনি আলিয়া মুসকান আর সায়রীর কথা স্মরণ করলো। ইরাবতী জানালো মুসকান সায়রীর সাথে রান্না ঘরে রয়েছে। ওদের আলাপের মাঝেই সায়রী আর মুসকান বেরিয়ে এলো। দিহান চোখ মুখ কুঁচকে বসে রইলো৷ সায়রী ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ইরাবতীকে বললো,

“আন্টি মুসুকে একটু পরই মুরাদ নিতে আসবে ওকে বসিয়ে দেই? ”

ইরাবতী সম্মতি দেওয়ার পাশাপাশি সকলকেই বসতে বললো। সাথে সাথেই ইমন ওঠে দাঁড়ালো। মুসকানের দিকে আড়চোখে এক পলক তাকিয়েই যা বোঝার বোঝা হয়ে গেলো তার। বাঁকা হেসে গটগট করে উপরে ওঠে গেলো সে। দিহানের হাতে ব্যান্ডেজ তাই সে হালকা পাতলা নাস্তা করে চলে গেলো। যেহেতু মুরাদ আসছে সেহেতু তার ছুটি তবে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার সায়রীর এট্যানশন পাওয়ার চেষ্টা করেছে লাভ হয়নি। শেষে ব্যর্থ প্রেমিক সেজে ফিরে গেছে সে৷ দিহান চলে যাওয়ায় সায়রী যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। সমস্ত দুঃশ্চিন্তা দূরে ঠেলে খাওয়ায় মনোযোগ দিলো সে। খেতে বসে সকলেই টুকটাক কথাবার্তা বলছে কিন্তু মুসকান একদম নিশ্চুপ। তেমন খাচ্ছেও না সে। শুধু হাত দিয়ে খাবারগুলো নাড়াচাড়া করছে। সকলে ভাবছে সে লজ্জা পাচ্ছে কদিন পর এটা তার শ্বশুর বাড়ি হবে তাই কিছুটা জড়তা কাজ করছে। কিন্তু ভিতরের খবর একজন ব্যাতিত আর কারো বোধগম্য হয়নি।
.
পোশাক পাল্টে ফ্রেশ হয়ে নিচে এলো ইমন৷ ততোক্ষণে অনেকেরই খাওয়া হয়ে গেছে বাকি শুধু আলিয়া আর মুসকান। মুসকান খেতে পারছে না নিজের বাড়ি বা বলে খাবার নষ্ট করে ওঠে যেতেও পারছে না৷ এদিকে আলিয়া খাচ্ছে কম বকবক করছে বেশি। এই বিয়ে নিয়ে গল্প করছে তো এই তার স্কুল,কলেজ জীবনের কাহিনী শেয়ার করছে। কখনো বা জানতে চাচ্ছে মুসকান ইমনের লাভ স্টোরির স্টার্টিং টা কিভাবে হয়েছিলো। মুসকান তো কিছু বলতেই পারছেনা। শুধু জোর পূর্বক মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছে। এমন মোমেন্টে চেয়ার টেনে মুসকানের সম্মুখে বসলো ইমন। ইরাবতী তাকে খাবার বেড়ে দিয়ে আবার আয়েশার সাথে আলাপে ব্যস্ত হলো। ইমন বসেই আলিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,

“গল্প করার সময় কি চলে যাচ্ছে খাওয়ার সময় এতো কিসের কথা? পাঁচ মিনিটে ওঠবি। ”

আলিয়া দাঁত কেলিয়ে হেসে মুখ ভরে খাবার তুললো। এদিকে মুসকানের হার্টবিট সমানতালে ধুপধুপ আওয়াজ করে যাচ্ছে। তার গলা দিয়ে একটি দানাও নামছে না। তারওপর গম্ভীর রাগি ইমন চৌধুরী এ মূহুর্তে তার সামনে শুভ্র, শীতল রূপে বসে আছে। সদ্যই গোসল সেরেছে ইমন হালকা আকাশী রঙের টিশার্ট আর কালো রঙের ট্রাউজার পরে আছে সে। ঠিক যেনো আস্ত এক শুভ্রনীল আলাশ সম্মুখে বসা রয়েছে মুসকানের। এক ঢোক গিলে চোরা চোখে আর একবার ইমনকে দেখে নিয়ে খাওয়ায় মনোযোগ দিলো৷ বলাবাহুল্য মুসকানের পরনেও আকাশী রঙের গাউন প্লাস সাদা রঙের ওড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা দেওয়া। খাওয়া শেষ করে আলিয়া যখন ওঠে পড়বে ঠিক তখনি চিল্লিয়ে ওঠে বললো,

“এ বাবা তোমরা দু’জন ম্যাচিং ড্রেসে প্ল্যান করে পরেছো নিশ্চয়ই? ”

পরোক্ষণেই ইমনের দিকে তাকিয়ে চুপসে গেলো আলিয়া হিহিহি করে বললো,

“ওহ না প্ল্যান না কিন্তু তুমি ভাবি’কে দেখে ম্যাচিং করে পরেছো তাইনা? ”

বলতে বলতে দাঁত কেলিয়ে হেসে সোফায় গিয়ে সায়রীর পাশে বসলো সে। এদিকে ইমন মুখের বিরক্তি ভাবটা কমিয়ে আলিয়ার থেকে মুসকানের দিকে তাকালো। খাবার খেতে খেতে বললো,

“কি ব্যাপার প্লেট থেকে কিছুই তো কমছে না সমস্যা কি? ভালোয় ভালোয় দশমিনিটে সব শেষ করবে। নো এক্সকিউজ। ”

মেজাজ এবার বেশ চটে গেলো মুসকানের। কিন্তু একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারলো না। শুধু ফুঁসতে ফুঁসতে প্লেটের সব খাবার মুখে তুলে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করলো। এভাবে পরপর কয়েকবার মুখে দিতেই গলায় খাবার আঁটকে কাশতে শুরু করলো। এক পর্যায় পর দিকে বমি করে ডায়নিং টেবিল ভাসিয়ে দিলো। ইমন হতভম্ব হয়ে দ্রুত গ্লাসে পানি ভরে মুসকানের পাশে দাঁড়ালো। একহাত মাথায় চেপে ধরে অপর হাতে মুখের কাছে পানি দিলো। ইরাবতী, সায়রী সহ সকলেই ওদের কাছে এসে হতভম্ব হয়ে গেলো। সায়রী মুসকানকে ধরে নিয়ে বেসিনের কাছে গেলো। ইরাবতী ছেলের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি’তে তাকিয়ে বললো,

“কি করে হলো এসব? ”

“কি করে আর হবে আমার তো সব দিকেই বিপদ! এই মেয়েটা নিজের প্রতি একটুও কেয়ারিং না। আর অন্য কেউ তার কেয়ার করতে আসলেও সহ্য হয় না। সমস্ত কেয়ারকে ঠিক এভাবেই ভাসিয়ে দেয়। ”

শেষ কথাটুকু ডায়নিং টেবিলের বমির দিকে ইশারা করে বললো ইমন। তারপর জগ হাতে নিয়ে পুরো জগের পানিটুকু বমির জায়গায় ঢেলে দিয়ে পারুল কে চিল্লিয়ে ডেকে বললো সব পরিষ্কার করতে। আর ইরাবতী’কে বললো,

“অন্তত এক গ্লাস জুস খাওয়াতে পারবে মা? ”

ছেলের অসহায়ত্ব দেখে অবাক না হয়ে পারলো না ইরাবতী। ইমন যে ঠিক কতোটা চিন্তিত কতোটা সিরিয়াস মুসকানকে নিয়ে এ মূহুর্তে ইমনের মুখ দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে। মন থেকে কাউকে ভালো বাসলেই এই অনুভূতি হয় না বরং মন থেকে কাউকে নিজের অনুভব করলেই এমন অনুভূতি সম্ভব। এই যে মুসকান ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে না খাবারে প্রতি তার এতো অনীহা। নিজের শরীরে প্রতি একটু যত্নশীল নয়। এতে তার কোন চিন্তা নেই অথচ মরিয়ম আক্তারের পর ইমনই এতোটা চিন্তিত। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ইরাবতী বললো,

” কি বলি বলতো? না খেয়ে খেয়ে পেটে পিত্তি পড়ে গেছে পাকস্থলী মনে হয় চুপসে গেছে। ওর মা তো কম চেষ্টা করেনা ভাই আর কতোই করবে এ বাড়ি আসুক সব ঠিক হয়ে যাবে। এতো চিন্তা করিস না। ”

কথাগুলো বলেই ইরাবতী মুসকানের কাছে গেলো। ইমনেরও আর খাওয়া হলো না। চাপা একটি শ্বাস ছেড়ে উপরে চলে গেলো সে। প্রায় বিশ মিনিট পর একটু স্বাভাবিক হলো মুসকান। মুরাদও এসেছে। মুরাদের সঙ্গে ইমন উপরে মিটিং বসিয়েছে। মিটিংয়ের মেইন বিষয় ‘তোর বোনের সমস্যা কি?’
প্রতুত্তরে মুরাদ উত্তর দিয়েছে, ‘মূলত আমার বোনের কোন সমস্যা ছিলো না কিন্তু আমার বন্ধু তার জীবনটা সমস্যাময় করে দিছে!’

ইমন দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

“ফাইজলামি করস? দুনিয়ায় কি আর কোন মেয়ে নাই? ”

“সত্যি আছে? থাকলে কি আর দ্যা গ্রেট ইমন চৌধুরী আমার বোনের জন্য দিওয়ানা হয়? ”

কথাটা বলেই বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসলো মুরাদ। ইমন ব্যার্থ হয়ে বললো,

“আসলে কাকি মা দুনিয়াতে দুইটা তেজপাতা এনেছে। আর দূর্ভাগ্যবশত দুইটাই আমার জীবন তেজপাতা করে ছাড়ছে!”

অট্রস্বরে হেসে ওঠলো মুরাদ বললো,

“ক’দিন পরতো পুরো অধিকার, পুরো দায়িত্ব পাচ্ছিস এইকটা দিন ধৈর্য ধর তারপর যেভাবে পারবি সব তোর মতো করে তৈরী করে নিস। তোর ওপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে আমার সেই ভরসা থেকেই বলছি মুসুর ব্যাপারে তোর ইচ্ছা তোর সিদ্ধান্তই শেষ। ”

“ভেবে বলছিস? ”

“তবে রাগটা একটু কমিয়ে ”

হেসে ফেললো ইমন বিরবির করে আবার একটু বকেও দিলো। মুরাদ বললো,

“বোনটা একটু বেশিই অভিমানী। ”

“অতিরিক্ত পাকনাও বটে। ”

কথাটি বলেই দুপুরের ঘটনা খুলে বললো ইমন। মুরাদ সব শুনে বললো,

“দোষ তো দিহানের তুই ওরে ধমক দিছোস ক্যান?”

ইমন গভীর এক শ্বাস ছেড়ে বললো,

“হুম নিজের সংসারের বারোটা বাজিয়ে আমার সংসারে গ্যানজাম শুরু করছে। ”

মুরাদের সঙ্গে টুকটাক প্রয়োজনীয় কথা বলে দিহান সায়রীর সমস্যা মিটানোর উপায় বের করে মিটিংয়ের সমাপ্তি ঘটালো দুজন। তারপর মুসকানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো মুরাদ। ইমন ওদের গেট অবদি এগিয়ে দিয়ে মুরাদের সামনেই মুসকান’কে বললো,

“কিছু কাজ আছে সেরেই রাত ন’টা কল করবো। ”

মুসকান চুপচাপ মুরাদের বাইকে ওঠে বসলো। ইমন নির্নিমেষ চোখে চেয়েই রইলো তবুও মুসকান ইমনের দিকে তাকালো না। তাই ইমন একদম পিছনে গিয়ে মুরাদকে বললো ‘সাবধানে যাইস ‘কথাটি বলেই পিছন থেকে মুসকানের হাত চেপে ধরলো। মুরাদ বললো, ‘চিন্তা করিস না পৌঁছে কল দিব’

ইমনের শক্ত হাতের বাঁধন ছাড়াতে হাত মোচড়াতে গিয়েও থেমে গেলো মুসকান। অভিমানী চোখে ইমনের দিকে তাকালো। টলমল সে দৃষ্টি দেখে ইমন ফিসফিস করে বললো,

” আমার বউকে আমি প্রয়োজনে একশটা ধমক দিব এতে মুরাদের বোনের কি? ”

মুখো ভঙ্গি স্বাভাবিক হয়ে এলো অনেকটা। মুখশ্রী’তে কিছুটা লালিমা দেখতে পেয়েই স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে হাত ছেড়ে দিলো ইমন। মুরাদকে বললো,

“টান দে। ”
___________________
দেখতে দেখতে কেটে গেলো বারোটা দিন। দিন গুলো দুজন ব্যাতিত অনেকের কাছে চোখের পলকেই কেটে গেলো। দু’বাড়িতে আত্মীয় স্বজনে ভরে ওঠেছে। গত দু’দিন ধরে ইমনের সঙ্গে তেমন কথা হয়নি মুসকানের। এর আগের দিনগুলোতে রাত এগারোটা অবদি দু’জন ফোন আলাপ করেছে। কিন্তু গত দু’দিনে এক মিনিটের ওপরে কোন কথাই হয়নি দুজনের। ইমন ফ্রি সময় পার করলেও মুসকান সারাদিন বিজি থাকে রাতে বোনদের সাথে ঘুমানোর ফলে ইমনের সঙ্গে কথাও বলতে পারেনা। এই অমানবিক অত্যাচার সইতে না পেরে অকুলান প্রায় হয়ে গেছে মুসকান৷ ইমনও কম অস্থিরতায় ভুগছে না। আগামীকাল মেহেদী অনুষ্ঠান। সকলে মিলে প্ল্যান করছে কে কোন ড্রেস পরবে। কে কোন মেহেদী পরবে মুসকান’কে কে মেহেদী পরিয়ে দেবে? পার্লার থেকে লোক আনবে নাকি নিজেরাই? এসব নিয়েই আলোচনা করছে মুসকানের মামাতো, খালাতো ভাইবোনরা। এমন সময় রিমির ফোনে কল এলো ইমনের। সে জানালো ইমনের ফ্রেন্ড রিক্তার নিজস্ব পার্লার রয়েছে সেখান থেকেই লোক আসবে এবং অনুষ্ঠানের সব কটা দিনই তারা সাজাবে মুসকানকে।
কথাটা শুনে রিমি ভীষণ খুশি হলো। ফোন কানে রাখা অবস্থায়ই সবাইকে জানালো ইমনের কথাটা। সবাই তো হৈচৈ করে ওঠলো। সে হৈচৈ এর শব্দে ইমন কেশে ওঠলো তারপর রিমিকে বললো,

“এবার খুশি হয়ে সবাই মিলে আধঘন্টার মাঝে মুরাদের একমাত্র বোনকে রেডি করে বাড়ির সামনে পাঠিয়ে দাও তো। নয়তো এই খুশি বেশিক্ষণ টিকবে না। ”

“সন্ধ্যা না হয়ে গেছে এই সন্ধ্যেবেলা কেন ভাইয়া?”

“আহ রিমি কোন প্রশ্ন করোনা জলদি পাঠিয়ে দাও ওয়েট করছি আমি। ”

“শাড়ি পড়াবো ভাইয়া? ”

“না না তাহলে আধঘন্টার জায়গায় চারঘন্টা চলে যাবে। আমার ওকে আধঘন্টা পরই প্রয়োজন। ”

চলবে…
রিচেক দেইনি। অনেক ব্যস্ত সময় কাটছে। তবুও পাঠকদের একদিনের বেশি অপেক্ষা করাতে মনটা বেশ নারাজ হচ্ছিল। তাই ঝটপট যা পারি লিখে দিলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here