#গুছিয়ে_রাখা_আবেগ
#পর্ব_১৬
#আজরিনা_জ্যামি
মাঝে পার হয়ে গেছে একটা দিন। আরুহি ওর মা আর ভাইয়ের সেবায় পুরোপুরি সুস্থ। আজ থেকে আরুহি ভেবেছে নিজেকে আরহামের বোন হিসেবে পরিচয় করাবে। তাই সে আজ আরহামের সাথেই ভার্সিটি যাচ্ছে। আরহাম কালো শার্ট ইং করেছে আর কালো প্যান্ট পরেছে। আরুহি কালো বোরকা আর কালো রঙের হিজাব সাথে সোনালি চিকন ফ্রেমের চশমা। আজ অন্যদিনের তুলনায় আরুহিকে বেশি সুন্দর লাগছে। আরুহি আর আরহাম একসাথে গাড়ি থেকে নামলো। সকলে তো অবাক হয়ে দেখছে দেখবে না কেন এক রঙের ড্রেস এই দুজন কে কেউ কোনদিন একসাথে কথাও বলতে দেখেনি হুট করে তারা একসাথে ভার্সিটি এসেছে ব্যাপারটা ঠিক হজম হচ্ছে না।আরুহি আর আরহাম নিজেদের মতো হেঁটে চলছে আরুহি বলল,,
“ভাইয়া সে ও কি আমাদের এভাবে দেখে অবাক হয়েছে ইস যদি তার অবাক হওয়া চেহারা টা দেখতে পেতাম।”
‘দেখছে তো বটেই সেদিন বেচারা কে কনফিউজড করলি আর আজ নিজেই ধরা দিচ্ছিস ব্যাপারটা তার ঠিক হজম হচ্ছে না।”
“এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা তার পরেই সব কিছুর দি ইন্ড।”
তখন আফরিন ডাক দিল,,,
“ঐ বান্ধবী আরু!”
ওরা পেছনে তাকিয়ে দেখলো রোজা আর আফরিন আসছে। আফরিন কাছে এসে বলল,,
“ঐ বান্ধবীর ভাই আজ এতো সেজে ভার্সিটি আসা হয়েছে কেন?”
তখন আরহাম মুচকি হেসে বলল,,
“বোনের বান্ধবীকে ফিদা করার জন্য।”
“চেহারা নাই ভালা ব্যাটা পরছে আবার কালা এরে কি আর লাগবে ভালা।”
এ কথা শুনে আরুহি আরহাম আর রোজা আফরিনের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। আরুহি বলল,,,
“এই তুই আমার ভাইকে ইনডিরেক্টলি কালো আর খারাপ চেহারা বলেছিস। ভুলে যাসনা এই মানুষটার জন্যই কতো পাগলামি করছিস। যা তোর সাথে বিয়ে ক্যানসেল তুই ধলা পোলা দেইখা বিয়ে কইরা নিস। আমার ভাইয়ের আশেপাশে ঘুরবি তো ঠ্যাং ভাইঙ্গা ফেলমু। আমার ভাই কম কিসে দ্যাখ আমার ভাইরে দেখে কতো মেয়ে ফিদা হয়ে গেছে আজই একটা কে আমার ভাইয়ের বউ বানাবো। যা সামনে থেকে সর।
“আরে বইন আমি ওটা মিন করে বলি নাই। তুই চেতোস কেন? আর আপনি এখন যান এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। আপনি ভার্সিটির টিচার স্টুডেন্টদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকলে অনেকে খারাপ ভাবতে পারে। আর হ্যা কাল থেকে কম সেজে আসবেন। আমার জামাই খালি আমার অন্য মেয়েরা কেন দেখবে। আর আরু তোর ভাই কালা হোক আর দেখতে খারাপ হোক বিয়ে তো আমি এরেই করমু। ওটা তো খালি ছন্দ কইছি।”
আরহাম আফরিন এর ওভাবে বলার কারণ বুঝতে পারল আফরিন জেলাসি থেকে বলছে। আরহাম মুচকি হেসে চলে গেল। তখন রোজা বলল,,,
“ঐ আরুহি বইন তুই এতো রাগোস কেন তুই বুঝিস না আমগো আফরিন জেলাস। এতো গুলো মাইয়া কেমনে ড্যাবড্যাব কইরা তাকায় রইছে আরহাম ভাইয়া এর দিকে আফরিন তো কইবোই। জেলাসি এমন একটা জিনিস তারা ভালারে ভালা বলে না, তারা তারে বলে কালা।”
এ কথা শুনে আরুহি হাসলো তা দেখে রোজাও হাসলো। আফরিন রেগে বলল,,
“এই তোরা একদম আমাকে রাগাবি না।”
“ওকে আচ্ছা আফরিনের বাচ্চা!
“রোজার বাচ্চা!”
তখনি পেছন থেকে আওয়াজ আসলো,,
“এক্সকিউজ মি!”
তিনজনেই পেছনে ঘুরে দেখল আবরার। তা দেখে আরুহি বলল,,
“ইয়েস প্লিজ!”
“ক্যান আই গেট এ ওয়ান মিনিট টক টু ইউ।”
“নো আই হ্যাভ নো টাইম।”
‘প্লিজ!”
“সরি !”
বলেই আরুহি আফরিন দের বলল,,
“কিরে ওভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন ক্লাসের সময় হয়ে গেছে দেখেছিস।”
আরুহি হাটা শুরু করলো আফরিন আর রোজা ওর পিছু পিছু ছুটলো। ওরা তিনজন ক্লাস শেষ করে আরহামের জন্য অপেক্ষা করছে আজ আরহাম আর আরুহি একসাথে অফিস যাবে। তখনি কোথা থেকে নিতু আসলো ওদের কাছে। এসে বলল,,
“বাহ আরুহি তুমি তো দেখছি খুব ফাস্ট!”
“মানে কি বলতে চাইছেন আপনি।”
“দুদিনেই বিজনেস ম্যান আরহাম মাহমুদ খান ওরফে নতুন টিচার কে পটিয়ে ফেলেছো। আগে তো কথা বলতেও দেখতাম না এখন একসাথে গাড়িতে আসলে তা কি দিয়ে বস করলে শুনি। রূপের তো ঐ অবস্থা।”
এ কথা শুনে আরুহিরা তিনজনেই হাসলো যেন কেউ বোধহয় ওদের জোক শুনিয়ে দিয়েছে। আরুহি হাসি থামিয়ে বললো,,
“মিস নিতু দেশ আপডেট হলেও আপনাদের মতো কিছু অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এখনো আপডেট হতে পারে নি।একসাথে ছেলে মেয়ে দেখলেই কি তারা লাভার হয় নাকি। নাকি তারা রিলেশন শীপে থাকে। একসাথে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে ভাইবোন ও হতে পারে কোন সমস্যা হলে লিফট ও দিতে পারে। এটা আপনাদের এই ছোট মস্তিষ্কে আসেনা।”
“আমাকে জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই। তোমার মতো মেয়েকে ভালো মতো চেনা আছে।”
তখন আফরিন বলল,,
‘নিতু আপু তুমি কয়দিন হলো আরুকে চেনো আমি ওকে প্রায় দশ বছর ধরে চিনি এখনো পুরোপুরি চিনতে পারি নি আর তুমি এই কয়েকদিনেই ওকে চিনে ফেললে।”
তখন রোজা বলল,,
“তোমার অসুস্থ মস্তিষ্কের কাছে আরুহিকে চিনতে এক জনম ফুরিয়ে যাবে। এখন এখানে না দাঁড়িয়ে কেটে পড়। তাছাড়া আমাদের টিচার আরহাম স্যারের সাথে আরুহির কি সম্পর্ক সেটা তোমার না জানলেও চলবে।”
এ কথা শুনে আরুহি বলল,,
“আরে না এভাবে বলছিস কেন? উনি যখন জানতে চাচ্ছেন তাহলে কিছু হিন্ট দিই। আমার পুরো নাম আরুহি মাহমুদ খান। উনার নাম কি বলুন তো মিস।”
“আরহাম মাহমুদ খান।”
“তাহলে এই নামের ধারায় আপনার মাথায় ঠিক কি আসে বলুন তো। আমাদের কি সম্পর্ক থাকতে পারে।”
তখনি পেছন থেকে আওয়াজ আসলো,,
“বোনু তোর ক্লাস শেষ! এখন চল!”
আরুহি বলল,,
“হ্যা ভাইয়া চলো এই আফরিন তুই কি আমাদের সাথে যাবি। তোকে নামিয়ে দিয়ে যাবো।”
‘না ভাই তোগো লগে যামু না আমার শরম করে উনার সামনে। আমি ভাইয়ার লগে যামু।”
এ কথা শুনে রোজা হেঁসে উঠল। আর বলল,,
“”ওরে আরুহি শুনছোস মাইয়া আবার শরম পায়।”
“আচ্ছা আল্লাহ হাফেজ পরে দেখা হচ্ছে।”
আরুহি আর আরহাম একসাথে গাড়ির দিকে চললো। নিতু তো শক ওরা যে ভাইবোন হতে পারে এটা ওর মাথায়ই আসে নি। ও বলল,,
“তারমানে ওরা ভাইবোন!”
“এইতো লাইনে এসেছো হুম ওরা ভাইবোন।”
_______________
“আরহাম ভাইয়া আমি তোমাদের সাথে অফিসে যাবো।”
“আমাদের অফিসে গিয়ে তুমি কি করবে আবরার?”
“প্রেম করবো!”
এ কথা শুনে আরহাম আর আরুহি আবরারের দিকে অবাক হয়ে তাকালো। আবরার আগে থেকেই আরহামের গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে। ওরা গাড়িতে ওঠতেই ও ও পেছনের সিটে উঠে বসলো। আরহাম জিজ্ঞেস করতেই আবরার এই কথা বলল। আরহাম বলল,,
“মানে বুঝতে পারলাম না?”
“আরে আরহাম ভাইয়া আমাদের যে ডিলটা কনফার্ম হয়েছিল ওটার কিছু কাজ বাকি আছে। ওটা নিয়ে অফিসিয়াল ভাবে কিছু কথা বলতে হবে। তোমাকে না কাল রাতে বললাম।”
“ওহ আচ্ছা আগে বললেই হতো। এমন ঢং করছে না জানি কি। আগে তো ভাইয়াকে আপনি করে বলতেন একদিনেই এতো উন্নতি কোথা থেকে করলেন।”
আরুহির কথা শুনে আবরার বলল,,
“আরহাম ভাইয়া তোমার বোনের মাথা টা বোধহয় জ্বরে পুরোটাই গেছে। এখন কথা বলার ভঙ্গি দেখছো।আর আরহাম ভাইয়া এর আগে আমাদের ক্লাইন্ট ছিল এখন বোনের জামাই হবে। তাই আপনি থেকে তুমি বলছি।”
“ভাইয়া গাড়ি স্টার্ট দাও আজাইরা কথা শুনছো গাড়িতে বসে।”
“আমার সব কথাই তো আপনার আজাইরা লাগে।”
‘এখন তো দেখছি মাথা আমার না আপনার খারাপ হয়ে গেছে মিস্টার নিশান আবরার। দুদিনে কথার ধরনই পাল্টে ফেলেছেন।”
আরহাম গাড়ি স্টার্ট দিল। আরুহি আর কিছু বললো না প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। আবরার একবার আরুহির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“আরহাম ভাইয়া আমার একটা কথা রাখবে?”
‘কি কথা?”
“তোমার বোনকে আমার সাথে বিয়ে দেবে।”
এ কথা শুনে আরহাম তাড়াতাড়ি করে ব্রেক মারলো। আরহাম আর আরুহি দুজনেই একসাথে একেঅপরের দিকে তাকালো । আরহাম আবরারের দিকে তাকিয়ে বলল,,
“মানে কি বলছো তুমি?”
“বলছি তোমার বোনকে আমার সাথে বিয়ে দেবে। তোমার বোনকে আমি পছন্দ করি।”
“ওহ আচ্ছা কিন্তু আমার বোনের বিয়ে তো ঠিক হয়ে গেছে। এখন বললে তো হবে না তুমি লেট আবরার!”
এ কথা শুনে আবরারের বুক টা মোচড় দিয়ে উঠলো । চোখটা ও ছল ছল করে উঠলো তাহলে কি ও আরুহি কে পাবে না। আরহাম গাড়ি ছাড়লো। আবরার কোনরকম নিজেকে সামলিয়ে বলল,
“সত্যি! বিয়েটা কবে?”
“আমাদের বিয়ে একদিনেই হবে।”
“ওহ আচ্ছা!”
আবরার ছলছল চোখে আরুহির দিকে তাকিয়ে বলল,
“আপনার বিয়ে ঠিক বললেন না তো?”
“আপনি আমার সেই রকম একজন নাকি যে আপনাকে সব বলতে হবে।”
এ কথা শুনে আবরার আর কিছু বললো না। শুধু বলল,,
“নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা অনেক! অনেক ভালো থাকবেন ইনশাআল্লাহ।”
আরুহি সামনের আয়না থেকে সব দেখছে কিন্তু আবরারের দিকে তাকাচ্ছে না । আবরার পাঁচ বছর আগে আরুহির সাথে সব জেনেও যা করেছে আজ আরুহিও তা ফেরত দিচ্ছে। আবরার বলল,,
“ভাইয়া আমাকে এখানেই নামিয়ে দাও। কাল অফিস গিয়ে কথা বলবো। আমার একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে।”
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
আরহাম গাড়ি থামালে আবরার নিঃশব্দে গাড়ি থেকে নেমে পরে। আর বলে,,
“আচ্ছা ভাইয়া কাল দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।”
আবরার চলে গেল। আরহাম গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বলল,,
“এরকম টা কি করার দরকার ছিল?”
“এখানে আমি কি করলাম যা করার তুমি আর নিশান করলে। গাধাটা ছেলেটার নামও জিজ্ঞেস করলো না কার সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে এখন কষ্ট পেলে আমি বা তুমি কেউ দায়ী না ও নিজেই দায়ী।’
“তা ঠিক বলেছিস।”
“এবার উনি নিশ্চয়ই আমার মতো বুঝতে পারবে।”
_________________
রাতে আরুহির ফোনে একটা মেসেজ আসলো আবরারের ফোন থেকে তাতে লেখা,,
“খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে চিরকুট লেখার। কিন্তু লিখলাম না এখন তো বোধহয় তোমার চিরকুট লেখার মানুষ হয়ে গেছে হয়তো। সে কি জানে তুমি চিরকুট লিখতে অনেক পছন্দ করো। আচ্ছা তুমি তাকে চিরকুট লিখবে আমাকে যেভাবে লিখতে। আচ্ছা সে কি আমার মতো তোমার চিরকুটের অপেক্ষায় থাকবে। সে কতো লাকি আমি তোমাকে এতটা ভালোবেসেও আর তোমার জন্য এত অপেক্ষা করেও পেলাম না। সে তোমাকে কোন সাধনা ছাড়াই তোমাকে পেয়ে গেল।”
আরুহি এটা দেখে খুশি হলেও একটু কষ্ট লাগলো। ও লিখলো,,
“আপনি কোনদিন আপানার ভালোবাসার কথা বলেন নি আমায়।”
“মেয়েদের নাকি পাওয়ার আছে মেয়েরা সব বুঝতে পারে তাহলে আপনি কেন বুঝতে পারলেন না আমি আপনাকে ভালোবাসি। কেন আমার চোখে আপনার প্রতি ভালোবাসার গভীরতা দেখতে পেলেন না। আমি তো বলেছিলাম সব ভুলে নতুন করে শুরু করতে। তখন আপনি বললেন চেষ্টা করবেন তাহলে তখন আপনি এই বিষয়ে আমাকে বললেন না কেন? আমি তো আপনাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। না পেয়ে হাড়িয়ে যাওয়ার দুঃখটা একটু কম হলেও পেয়ে হাড়িয়ে ফেলাটা অসহ্য যন্ত্রণার। আজকাল আপনাকে দেখার ইচ্ছে যেন আমায় শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবুও আপনাকে বলতে পারি না। ঐ কথাটা শোনার পর আমি ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছি। অজানা কষ্ট ভেতরে আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু কাঁদতে পারছি না। আমি হেরে গেছি আরুহি একবার নয় বারবার হেরে গেছি কখনো নিজের কাছে কখনো পরিস্থিতির কাছে।”
এই লেখাটা পড়ে আরুহির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরল। সেও এভাবে কেঁদেছিল কিন্তু আবরারের মতো এভাবে প্রকাশ করতে পারেনি। ভালোবেসে সবাই কাঁদে কেউ আড়ালে আবডালে আবার কেউ প্রকাশ্যে। কিন্তু প্রকাশটাই যে সবার ভাগ্যে জোটেনা। আরুহি কিছু লিখলো না ফোনটা বন্ধ করে রাখলো। তখন রেহানা খান আরুহির রুমে এসে বলল,,
“কিরে আরুহি ঘুমিয়ে পরেছিল?”
“না মা এসো না!”
রেহানা খান আরুহির বিছানায় বসলো আরুহি ওনার কোলে মাথা রাখলো আর বলল,,
‘মা মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও না।”
উনি মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর বলল,,
“আচ্ছা আরুহি তোরা আনোয়ার খান কে ছেড়ে এলি কেন? আর মাহমুদ ই কেন ওনাদের থেকে আলাদা হলো।”
“তোমাকে পাওয়া যাচ্ছিল না শুনে খান বাড়ির সবাই ধরে নেয় তুমি অন্যকারো সাথে পালিয়ে গেছো। খান বাড়ির মানসম্মান সব ডুবিয়েছো। তখন খান বাড়ির সকলেই তোমার নামে অনেক খারাপ কথা বলতে লাগলো। এমন কি আমাকে আর ভাইয়াকে কথা শুনাতে ছাড়তো না। বাবা এগুলো থেকে মুক্তি পেতে বিসনেসের কাজে ডুবে থাকতে শুরু করে। আমাকে সবসময় শাসন করে রাখা হতো মার ও দেওয়া হতো আমিও নাকি বড় হলে মায়ের মতো হবো। এই জন্যই একটু জেদ করলেই ফুপি আমাকে মারতো। একদিন বাবা সব দেখে ফেলে ভাইয়া সব জেনেও চুপ করে ছিল আমি বলেছিলাম বলে কিন্তু সেদিন ভাইয়া বাবাকে আমাদের ওপর করা সব অত্যাচারের কথা বাবাকে বলে দেয়।বাবা সেদিনই সবার সাথে রেগে আমাদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।তারপর বাবা আর ও বাড়িতে কোনদিন যায় নি। তারপর দাদুভাই আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আর আমরা ওদের থেকে আলাদা হয়ে যাই।
চলবে,,