প্রেম প্রেম পায় পর্ব ২৯

0
809

#প্রেম_প্রেম_পায়
#স্বর্ণালী_সন্ধ্যা
পর্ব ঊনত্রিশ

২৯.
সকালের আলো ফুটতে শুরু করলেই নীতির ঘুম ভেঙে যায়। মাথা উঠাতে গিয়েই ঘাড়ে দারুন ব্যথা অনুভব করলো।ব্যথার কারনে মুখ দিয়ে আহ জাতীয় আওয়াজ বের হয়ে এলো। আওয়াজ শুনে ফারাজের ঘুম ভেঙে গেল। পাশে তাকিয়ে দেখলো নীতি জেগে গিয়েছে। হাই তুলে কাধ ডলতে ডলতে বলল,
‘ঘুম ভাংলো?’

নীতি চমকে তাকালো ফারাজের দিকে। ঘুমের ঘোরে থাকায় সে খেয়ালও করে নি কোথায় আছে। নীতিকে চমকে যেতে দেখে ফারাজ বলল,
‘কাল এখানেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। আপনার জন্যও আমিও আর নামতে পারি নি।’

নীতি লজ্জিত বোধ করলো। কি একটা ব্যপার হয়ে গেল এটা? কেউ জানলে তো খারাপ ভাববে। তাড়াতাড়ি এখান থেকে নামতে হবে৷ এটা ভেবে সে তাড়াতাড়ি করে দাঁড়িয়ে গেল। ফারাজের দিকে এক পলক তাকিয়ে স্যরি বলে নিচের দিকে দৌড়। ফারাজ নীতির কান্ড দেখে অবাক হলো না। সে জানত এমনি কিছু করবে নীতি।

ফারাজ এর মধ্যে কোনো তাড়া নেই। সে বসে বসে সকালের রঙবদল দেখছে। ভোরের বাতাস! ইশ এরকম স্নিগ্ধ মুহুর্ত আর কি আছে?
কাল রাতে ফারাজ যখন থামে তখন সে বুঝতে পারে নীতি তার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। নীতিকে জাগাতে গিয়েও জাগাতে পারে নি। বসে থাকতে থাকতে সেও যে কখন ঘুমিয়ে গেল।

নীতি রুমে এসে টেনশন এ পড়ে গেল। ফারাজ তাকে কি ভাববে?যদি তাকে গায়ে পড়া ভাবে? সে তো ইচ্ছা করে কিছু করে নি। ভাবতে গিয়ে তার কান্না চলে আসলো।

সকালে নাস্তা করার সময় নীতিকে দেখে ফারদিন আহমেদ বললেন,
‘রাতে ঘুমাও নি মামুনি?’

প্রশ্নে অপ্রস্তুত বোধব করলো নীতি। নীতি কি বলবে ভাবতে লাগলো। মূলত সে ফারাজের সাথে সারা রাত ছাদে ছিল ব্যাপার টা তাকে বেশ ডিস্টার্ব করে দিচ্ছে।
নীতি কিছু বলবে ভাবতে ভাবতেই ফারাজ বলল,
‘বাবা নীতিকে কিছু কাজ দিয়েছিলাম তাই করছিল বোধ হয়।’

ফারদিন আহমেদ খেতে খেতে ছেলেকে হালকা ধমকে বললেন,
‘বাড়িতে আবার কাজ দিস কেন ফা’জিল।রেস্ট ও নিতে দিস না মেয়েটাকে।’

ফারাজ নীতিকে বলল,
‘নীতি আজ আপনার অফিসে যেতে হবে না। বাসায় ঘুমোন।আপনার ঘুম হয় নি বোঝা যাচ্ছে।’

নীতি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফারাজ খাওয়া শেষ করে বের হয়ে গেল। নীতি ভাবছে ফারাজ কি তার উপর রাগ করেছে। তাকে খারাপ ভাবছে না তো?

ফায়াদ নীতিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলল,
‘নীতি তোমার কি দুর্বল লাগছে?’

নীতি মিথ্যা বলল না। তার আসলেই কেমন যেন দুর্বল ও অস্থির লাগছে।

আখি বেগম নীতির পাশে ছিল তাই ফায়াদ তার মা কে বলল,
‘মা একটু দেখো তো ওর জ্বর আছে নাকি?’

নীতির কপালে গালে হাত দিয়ে দেখলেন আসলেই নীতির গায়ে জ্বর জ্বর।তিনি নীতিকে তাড়াতাড়ি ওষুধ খাইয়ে রুমে পাঠিয়ে দিলেন ঘুমানোর জন্য।

ফায়াদ হাসপাতালের জন্য বের হতেই তার অপরাজিতার কথা মনে পড়লো। প্রতিদিন সে আগেই বের হয়। আজ একটু লেট এ বের হয়েছে। ভাবলো লেট যখন হয়েছেই গিয়ে অপরাজিতাকে চমকে দিবে।এই টাইমে অপরাজিতার ক্লাস হয়। হয়তো সেও রাস্তায় এখন।
গাড়ি ঘুরিয়ে অপরাজিতার কোচিং এর রাস্তায় গেল। সেখানে গিয়ে ফায়াদ নিজেই চমকে গেল। অপরাজিতা পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে কোচিং এর রাস্তার সাইডে। কাউকে সে সাহায্য ও করতে দিচ্ছে না। রাগে ফুসছে সে। ফায়াদ তাড়াতাড়ি বের হয়ে অপরাজিতা কাছে গেল।

‘এসব কি?’

ফায়াদকে দেখে অপরাজিতা খানিকটা অবাক হলো।ফায়াদের এখন এখানে থাকার কথা না। সে দাড়াতে গিয়েও ঠাস করে বসে পড়লো ব্যথার কারনে। ফায়াদ এগিয়ে গিয়ে হাত ধরে দাড়া করালো তাকে। গাড়িতে বসিয়ে হাসপাতালেই নিয়ে গেল।
পা চেক করিয়ে নিজের চ্যাম্বারে আরেকটি চেয়ারে তার পাশে বসিয়ে রাখলো। পায়ে মোচড় খেয়েছে পড়ে গিয়ে।
ফায়াদ জিজ্ঞেস করলো,
‘কিভাবে হলো?’

রাগ টা আবার চড়ে বসলো অপরাজিতার মাথায়। ফোসফোস করে বলল,
‘কতগুলো ফাজিল ছেলে বাইক চালিয়ে এমন ভাবে আসছিল যে আমি রাস্তার যে পাশে ছিলাম হুট করে সেখানে এসে পড়ছে। সরতে গিয়ে পড়ে গিয়েছি। তারা হাসতে হাসতে চলে গেছে আমি পড়ে গিয়েছি দেখে।’

ফায়াদের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।
‘তুমি রাস্তার সাইডেই ছিলে তো?’
ফায়াদ রেগে যাচ্ছে।

অপরাজিতা বলল,
‘হুম’

ফায়াদ বহু কসরত করে নিজেকে শান্ত করলো। এখন তো ছেলেগুলো আর পাবে না সে। শান্ত কণ্ঠে বলল,
‘ ছেলেগুলো থেকে সাবধান।নেক্সট টাইম এদের বাইক চোখে পড়লে আগে থেকে কেয়ারফুল থাকবে।’

‘জি’

ফায়াদ এবার স্বাভাবিক ভাবে বলল,
‘বই খাতা আছে না সাথে?’

‘হুম’

‘বের করে পড়া শুরু করো’

‘কি??’

চিৎকার করে উঠলো অপরাজিতার।
ফায়াদ স্বাভাবিক ভাবে বলল,
‘হ্যা পড়তে বসো। এখানেই পড়ো। আজ তো আর ক্লাসে যেতে পারছো না। পরে আমি দিয়ে আসবো।’

অপরাজিতা নাটকিয় ভাবে বলল,
‘কুচ ভি! আমি পড়বো না এখন।’

ফায়াদ মুচকি হেসে বলল,
‘আর ১০ দিন পর রেসাল্ট না?দেখবো তো কি করো’

অপরাজিতার রেজাল্টের কথা শুনেই কলিজার পানি শুকিয়ে গেল।রেজাল্ট খারাপ হলে সে খুব মন খারাপ করবে কারন সে অনেক পড়েছে।
আর কথা না বলে বই বের করে পড়তে লাগলো। ফায়াদও তার কাজ করছে। রোগী দেখছে।

বেশ অনেকটা রোগী দেখার পর ফায়াদ অপরাজিতাকে বলল,
‘মেডিক্যাল এর জন্য প্রস্তুতি নাও নি কেন?’

অপরাজিতা বই থেকে মাথা তুলে টেবিলে ভর করে গালে হাত দিয়ে বলল,
‘আপনি ডাক্তার তো।’

‘তো?’

অপরাজিতা ভাবলেশহীন ভাবে বলল,
‘দুজনেই ডাক্তার হলে সংসার ভেসে যাবে। সারাদিন হাসপাতালেই থাকলে আপনারে দেখবো কখন!’

ফায়াদ মাথায় হাত দিয়ে বলল,
‘এটা কোনো কারন হলো?’

‘জি!আমি লেকচারার হতে চাই’

ফায়াদ বাহবা দিয়ে বলল,
‘উমম গুড চয়েস।’

অপরাজিতা চমৎকার এক হাসি দিল।
ফায়াদ এবার জিজ্ঞেস করলো,
‘তুমি তখন কাউকে ধরতে দিচ্ছিলে না কেন?সাহায্য করতে দিচ্ছিলে না কাউকেই।’

অপরাজিতা গাল ফুলিয়ে বলল,
‘মেজাজ খারাপ লাগছিল। ছেলেগুলোকে সামনে পেলে হাড্ডি ভে’ঙে হাতে ধরায় দিতাম।’

ফায়াদ চোখ বড় বড় করে বলল,
‘আমার সামনে তো খুব ভদ্র সাজো!’

অপরাজিতা দাঁত কেলিয়ে বলল,
‘আমি তো ভদ্রই’

ফায়াদ মাথা নেড়ে বলল,
‘হুম খুব! তো আমাকে সাহায্য করতে বাধা দাও নি কেন?’

অপরাজিতা এবার নাটক শুরু করলো,
‘আপনি হচ্ছেন আমার প্রাণপ্রিয় প্রণয় পুরুষ যাহাকে আমি বহুত বহুত পেয়ার —‘

ফায়াদ অপরাজিতার গাল টেনে বলল,
‘হয়েছে হয়েছে।পড়েন!’

খিলখিল করে হাসলো অপরাজিতা। ফায়াদ দেখলো তা মন দিয়ে।

দুপুরবেলা নীতির ঘুম ভেঙে গেল। জ্বর বাড়ছে। কিন্তু তাকে কাবু করতে পারে নি এখনো। নীতির কিছুই ভালো লাগছে না। ফারাজ আজ একটু অন্যরকম ছিল তার সাথে। কারন কি?না! এভাবে সে থাকতে পারবে না। তার এখনি যেতে হবে ফারাজের কাছে।

দুর্বল শরীর নিয়েই রেডি হলো সে।রুম থেকে বের হতেই আখি বেগম প্রশ্ন করলেন,
‘এ কি কোথায় যাচ্ছো?’

‘অফিসে মণি।’

‘কিন্তু কেন? তোমাকে দেখে তো বেশি সুস্থ মনে হচ্ছে না।’

নীতি ব্যাকুল ভাবে বলল,
‘একটু কাজ আছে মণি। আমাকে যেতে হবে।’

বলে সে অপেক্ষা করলো না। বের হয়ে গেল। আখি বেগম পিছু ডেকেছিলেন কিন্তু শোনে নি মেয়েটা।
আখি বেগমের টেনশন লাগলো। তিনি ফারাজকে ফোন করে জানিয়ে দিলেন।

নীতি অফিসে পৌছাতেই সোজা ফারাজের কেবিনে চলে গেল। সে যেহেতু ফারাজের অ্যাসিস্ট্যান্ট তাই কেউ কিছু ভাবলো না। কেবিনে প্রবেশ করতেই দেখলো ফারাজ একজন ক্লাইন্ট এর সাথে কথা বলছে। নীতিকে দেখে ফারাজ কিছু বলল না। নীতিও কিছু বলল না।দাঁড়িয়ে রইলো কথা শেষ হওয়ার।
কথা শেষ হতে ক্লাইন্ট রুম থেকে বের হলো।ফারাজ চেয়ার থেকে উঠে নীতির সামনে দাড়িয়ে ভ্রু কুচকে বলল,
‘আপনি অসুস্থ হয়েও অফিসে এসেছেন কেন?’

‘আপনি আমাকে খারাপ ভাবছেন?’

নীতি একটা ব্যপারে ভয় পাচ্ছে। সে জানে না সেটা হয়েছে কিনা। ফারাজ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
‘খারাপ কেন ভাববো?’

নীতিব অসহায় ভাবে বলল,
‘আপনি আমার সাথে আই কন্টাক্ট স্কিপ করে কথা বলছেন।’

ফারাজ এবার স্বাভাবিক ভাবে বলল,
‘আপনি ভুল ভাবছেন।বাসায় যান আমি ড্রাইভার কে বলে দিচ্ছি।’

নীতি ব্যাকুলভাবে বলল,
‘স্যার প্লিজ!’

ফারাজ নীতির এই অবস্থা দেখে আর লুকাতে চাইলো না। সে নীতির মুখপানে তাকালো। তারপর বলল,
‘আপনি কাল ঘুমের ঘোরে কথা বলছিলেন জানেন?কি বলেছিলেন জানেন?’

নীতির চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। এই ভয়টাই সে পাচ্ছিল। সে হয়তো জানে সে কি বলতে পারে। কিন্তু সে তো বলতে চায় নি কখনো। এভাবে তো কখনোই নয়। ফারাজ কি তাকে এখন দূরে সরিয়ে রাখবে? আগের মতো কথা বলবে না?
নীতি নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। হুট করে একা লাগছে তার। মনে হচ্ছে এবার বোধ হয় সত্যিই একা হয়ে যাবে সে।

ফারাজ আর কিছু বলবে তার আগেই নীতি বের হয়ে গেল। ফারাজ সেদিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। নীতি ম্যাচুর মেয়ে।সে আশা করে নীতি উলটা পালটা কিছু করবে না।
নীতি অফিস থেকে সোজা বাসায় আসলো। এসেই রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিল।আখি বেগম ডাকতেই সে বলল,
‘মণি আমি একটু ঘুমাবো। পড়ে দরজা খুলে দিব।’

আখি বেগম সেটা ফারাজকে জানাতেই ফারাজ বলল টেনশন নিতে না। আখি বেগম ভাবলেন হয়তো মেয়েটার তার পরিবারের কথা মনে পড়ছে।

সন্ধ্যা বেলা নীতি দরজা খুলে দিয়েছিল।আখি বেগম রুমে ঢুকে বুঝলেন খুব জ্বর এসেছে মেয়েটার। পট্টি দিয়ে দিলেন বেশ কিছুক্ষন নীতির সাথে বসে ছিলেন তিনি। যত্ন পেয়ে নীতি আখি বেগমের কোলে মাথা দিয়ে শুলো। আখি বেগম মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে নীতির। নীতির চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। সে থেমে থেমে বলল,
‘আমার কেউ নেই কেনো মণি? আমি এতো একা কেন?’

আখি বেগমের কলিজায় বিধলো কথাটা। সে নীতিকে জড়িয়ে ধরে বলল,
‘আছি তো মা।আমরা আছি তোমার জন্য।তুমি আমার মেয়ে না?’

নীতি আখি বেগমকে আরেকটু শক্ত করে ধরলো৷ আখি বেগম ধীরে ধীরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন৷ আবার ঘুমিয়ে গিয়েছে সে। ফায়াদ তাকে চেক করে ওষুধ দিয়েছে। অপরাজিতা ফোন এ জানতে পেরে আসতে চায় কিন্তু ফায়াদ মানা করে। যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছে। অপরাজিতা জিদ করছিল বলে ধমকও খেয়েছে। শেষে রাগ করে অপরাজিতা ফোনই কেটে দিয়েছে।

ফারাজ বাসায় এসেছে বেশ লেট করে৷ বাসায় এসে নীতির অবস্থা জেনে খুব খারাপ লাগলো। সবাই যখন যার যার রুমে তখন ফারাজ আস্তে ধীরে নীতির রুমে আসে। একদিনেই শুকিয়ে গিয়েছে নীতি।ফারাজের খুব মায়া লাগলো। সে বেশ অনেকটা সময় নীতির পাশে বসে ছিল।
নিজের রুমে যাওয়ার জন্য উঠতেই নীতি ধীর স্বরে ডাক দিল,
‘ফারাজ’

ফারাজ পিছু ঘুরলো। এই প্রথম মেয়েটা তাকে নাম ধরে ডেকেছে। সুস্থ অবস্থায় থাকলে কি ডাকতো?

নীতি বলল,
‘আমার কথা শুনুন প্লিজ!’

ফারাজ আবার বসলো। আস্বস্ত করে বলল,
‘শুনছি।’

নীতি ফারাজের দিকে তাকিয়ে আবার কেদে উঠলো । সে দুর্বল কণ্ঠে ফোপাঁতে ফোপাঁতে বলল,
‘আপনি প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না।আমি আপনাকে কখনোই বলতাম না। আমার কেউ নেই ফারাজ। আপনি আমাকে বাচিয়েছিলেন, আপনি পাশে ছিলেন বলে বেচে আছি। নাহয় আমার আকড়ে ধরে বাচার মতো কেউ নেই। আপনি আমার সাথে দূরের মানুষের মতো কথা বলবেন না প্লিজ।আমার খুব খারাপ লাগছে।আমি অনুভুতি লুকিয়ে রাখতে পারবো তবে আপনার থেকে দূরে একা বাচতে পারবো না। প্লিজ!’

ফারাজ শুনলো সব। সে শান্তভাবে বলল,
‘ঘুমোন নীতি। আপনার অনেক জ্বর।ঘুমালে ঠিক হয়ে যাবেন’

নীতি আবার বলতে চাইলো,
‘আপনি আপনি’

ফারাজ থামিয়ে দিল।
‘উহু কথা নয়’

মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। নীতি বিরবির করতে করতে আবার তলিয়ে গেল ঘুমে। ফারাজ দরজা ভিরিয়ে দিয়ে বের হয়ে এলো রুম থেকে। জীবন তাকে কোথায় নিয়ে যাবে জানে না সে। তবে বড্ড ক্লান্ত সে। হয়তো নীতি মেয়েটাও তাই।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here