#রঙিন_খামে_বিষাদের_চিঠি
#পর্বঃ১৬
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি
৩৫,
রোজার সাথে তাদের বাসায় ঢুকলো আয়াত এবং রিয়ানা। ঢুকতেই দুজনই অবাক হয়ে যায়। সবাই একদম নতুন জামাকাপড় পরে তৈরি হয়ে সোফায় বসে আছে। ইয়াসিন সাহেব, ফাতেহা খানম, জুবায়ের, রায়াদ চারজনই উপস্থিত। জুবায়েরকে দেখে ভ্রুকুটি করে তাকালো রিয়ানা। এই লোক তো রায়াদ সাহেবের বন্ধু। তবুও সব-টা সময় এই বাসাতেই পরে থাকে। অদ্ভুদ লাগলো রিয়ানার কাছে। আয়াত ফাতেহা খানমের দিকে অগ্রসর হয়ে বললো,
“আন্টি, সবাই একদম এত সাজগোজ করে রেডি! ব্যাপার কি? কোথাও যাচ্ছেন আপনারা?”
ফাতেহা খানম বললেন,
“না মা, আমরা কোথাও যাচ্ছি না। তোমার আংকেল এমনিই আমাদের নিয়ে ডিনার করতে নিয়ে যাবে বলে মনঃস্থির করলো। এজন্য ডাক দেওয়া তোমাদের।”
“এটা তো রোজা বললো না। তাহলে আমরাও একটু সেজেগুজে বেরুতে পারতাম৷”
আয়াত মুখ ফুলিয়ে কথাটা বললো। ফাতেহা খানম হাসলেন আয়াতের প্রতিক্রিয়া দেখে। উঠে এসে আয়াতের গালে হাত রেখে বললেন,
“আমার ৩টা মেয়ে-ই মাশা আল্লাহ পরি। তাহলে আলাদা করে সাজগোজের কি প্রয়োজন!”
আয়াত বললো,
“আচ্ছা বাদ সেসব। কিন্তু আচমকা কি উদ্দেশ্যে এই ডিনারে যাওয়া? একটু কারণ তো বলুন আন্ট!”
“কিছু না মা। এমনিই অনেকদিন পরিবারকে সময় দেওয়া হয়না। এজন্য ভাবলাম আজ ফ্রি আছি। একটু একসাথে সময় কাটাই।”
ইয়াসিন সাহেব বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে আয়াতের দিকে তাকিয়ে কথাটুকু বললেন৷ রিয়ানা দরজার কর্ণারে চুপচাপ দাড়িয়ে সবার কথাবার্তা শুনছিলো। ইয়াসিন সাহেবের কথা কর্ণগোচর হতেই সে আনমনে একটু হাসলো। এক বন্ধু মেয়ে সময় চাইলেই দোষ দিয়ে এড়িয়ে যায়। আরেকজন নিজ ইচ্ছেয় সময় দিতে চায়। আকাশ পাতাল তফাৎ। রিয়ানার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠা হাসি আর কেউ খেয়াল না করলেও জুবায়ের, রায়াদ দুজনই খেয়াল করলো। রিয়ানাকে কোনো ঝগড়া ছাড়াই আজ থ্রিপিস পরে আসতে দেখে একটু শকড হয়েছে দুজনই। এজন্য না চাইতেও তাকে খেয়াল করছিলো দুজনে। জুবায়ের রায়াদের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো,
“ঘাড়ত্যাড়া মানুষের হঠাৎ করে সোজা হওয়া! হজম হয় কেন?”
রায়াদের কানে জুবায়েরের কথা-টা যেতেই সে কটমটিয়ে তাকালো জুবায়েরের দিকে। জুবায়ের বোকা চাহনীতে হাসার চেষ্টা করলো। বললো,
“এত রাগিস কেন কথায় কথায়?”
“কারণ তুই ভালো কথা কম, ফাল’তু কথা-ই বেশি বলিস। ইচ্ছে তো করে গলা টি’পে ধরি।”
জুবায়ের গলা-টা এগিয়ে দিয়ে বললো,
“নে ধর। তোর জন্য আমার জান সবসময় কুরবান করতে রাজী আছি।”
রায়াদ ফাজলামির মাঝেও জুবায়ের কথা শুনে আলতো হাসলো। ভাগ্যিস ফ্রেন্ডশিপ এক্সেপ্ট করেছিলো! নয়তো এই পাগল-টাকে কোথায় পেত! জীবনে আর কিছু না হোক জুবায়েরের মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে আফসোস নেই রায়াদের। জুবায়ের রায়াদের হাসির প্রতিত্তোরে নিজেও হাসলো। ইয়াসিন সাহেব সবাইকে তাড়া দিলেন বেরুনোর জন্য। সবাই নিচে নেমে আসলো। ইয়াসিন সাহেব নিজেই ড্রাইভ করবেন। এজন্য গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করলেন। জুবায়ের এবং রায়াদ জুবায়েরের বাইকে যাবে। এজন্য দুজন আগেই বাইক নিয়ে চলে যায়। লোকেশন জানা-ই আছে। ইয়াসিন সাহেব গাড়ি বের করতেই পেছনে রোজা, আয়াত এবং রিয়ানা বসলো। ফাতেহা খানম এবং ইয়াসিন সাহেব সামনে বসলেন। সবার বসা হয়ে যেতেই গাড়ি স্টার্ট করলেন ইয়াসিন সাহেব। রিয়ানা জানালার ধারে বসেছে। আয়াত মাঝখানে, রোজা অন্যপাশে। আয়াত বোনের কাঁধে মাথা এলিয়ে বসলো। দুজনেই এক আবহাওয়ায় ছোট থেকে বড় হওয়ায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় নিজেদের মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা-ই হয়ে যায় তাদের জন্য। ঠান্ডা পরিবেশে বড় হয়ে এদেশের গরম আবহাওয়ায় মাথা ধরে যায় দুজনের-ই। এরমাঝে বাসার সব কাজ একা হাতে সামলানো! আয়াতের মাথা ব্যথা ধরে বসেছে। এ কারণে রিয়ানার কাঁধে মাথা রেখে বসা তার। রিয়ানা এক পলক বোনকে দেখে আয়াতের মাথার চুলে হাত চালিয়ে দিলো। আলতো হাতে টেনে দিয়ে কপালে ম্যাসাজ করে দিতে থাকে। সে জানে তার বোন কখন এমন নেতিয়ে পরে। আয়াতের খুব বেশি খারাপ না লাগলে সে এমন নিস্তেজ হয়ে যায় না। রোজা দুবোনের দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ। কেমন একটা আফসোস হচ্ছে তার। ইশশ তার-ও যদি এমন বোন থাকতো! তাহলে তার বন্ডিং টাও আয়াত এবং রিয়ানার মতো হতো। আফসোস তার বোন নেই। আছে রাগী, গম্ভীর, বদমেজাজি একটা ভাই। রোজা রায়াদের কথা ভেবে গাল ফুলিয়ে বাইরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
৩৬,
রায়াদ এবং জুবায়ের আগেই রেস্টুরেন্টের সামনে এসে পার্কিং লটে বাইক পার্ক করে দুজনেই বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে বাকিদের জন্য অপেক্ষা করছে। গুলশান-২ এর সিক্স সিজন হোটেলের স্কাই পুল রেস্তোরায় এসেছে তারা৷ ফোনের স্কিনে সময় দেখলো। আট-টা বাজতে চলেছে৷ ১১টার মাঝে রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। বাবা-মায়ের আসতে এত লেইট কেন হচ্ছে! বুঝতে পারছেনা রায়াদ। জ্যামে পরেছে হয়তো। এই ভেবে রাস্তার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো দুজনে। জুবায়ের ফোনে মনোযোগ দিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করছে। রায়াদ জুবায়েরের দিকে তাকিয়ে মেজাজ হারিয়ে বললো,
“জলজ্যান্ত একটা মানুষ পাশে দাড়িয়ে। তার সাথে কথা না বলে তোর ফোন ঘাটাঘাটি করতে হচ্ছে?”
“জলজ্যান্ত মানুষ আমার বেশি কথা সহ্য করতে পারেনা।”
জুবায়ের মেয়েদের মতো ঠোঁট বাকিয়ে কথা-টা বললো। রায়াদ দুম করে।জুবায়েরের পিঠে কিল বসিয়ে দেয়। থমথমে গলায় বলে,
“মেয়েদের মতো ফেইস রিয়েকশন দিবিনা। রাগ উঠে।”
“ওটা তোর নাকের ডগাতেই থাকে।”
“বাদ দে। আগে বল ঐ মেয়ের বাবা! আয়াতের মতো মেয়ে জুটেছিলো! ভেঙে দিয়েছিস! এসব কথার মানে কি? এ ক’দিন না আমার সাথে তেমন কথা বলছিস। না আমার সাথে যোগাযোগ করছিস। সে-ই যে বাসা থেকে গেলি; আজ আম্মু ফোন না দিলে আসতিও না।”
“তুই বাসায় ডেকেছিলি; সেদিন গিয়েছিলাম তোদের বাসায়। তোর আংকেল মানে আয়াত এবং রিয়ানার বাবা। উনাকে দেখে কিছু-টা ভয় পাই। উনার নজর এড়িয়ে চলে যেতে ধরে বাইক সহ আমি পরে যাই পাকা রাস্তায়। ভয় আর ব্যথা আবার সেদিন বৃষ্টি! সব মিলিয়ে জ্বর এসে পরে। দূর থেকে দেখলাম আংকেল আংকেল ডাকছিস। গেইজ করি উনি তবে আয়াতের বাবা। পরে রোজার কাছে কল দিয়েও বিস্তারিত জেনে নিই। এজন্য তখন চলে গেলেও পরে আসতে ভয়-ই লাগছিলো।”
“কিন্তু আংকেল তোর কি করলো?”
জুবায়েরের কথা শুনে অবাক হয় রায়াদ, এরপর প্রশ্ন-টা করে। জুবায়ের হাসলো, হাসিমুখে বললো,
“পরিচয় ভুলে যাচ্ছিস আমার! জুবায়ের চৌধুরী রায়াদ। দাদার একমাত্র নাতী, বাবার একমাত্র ছেলে। চৌধুরী বংশের একমাত্র উত্তরাধিকারি। সে বাড়ি ছেড়ে টইটই করে বেড়াচ্ছে! তাকে তো ঘরে বাধা দরকার এবার! অথচ ঐ ঘর-টা আমার জন্য জাহান্নাম বানিয়ে দিয়েছে স্বয়ং তারা-ই।”
“কিন্তু এরসাথে তোর আয়াতের, তার বাবার কি সম্পর্ক?”
“জবের জন্য ঢাকা ছেড়ে গেলেও এরমাঝে বাবার কল পাই আমি। বাড়িতে যেতে বলে ইমার্জেন্সি। যাওয়ার পর দেখলাম বিয়ের কথা তুলেছে তারা। পাত্রী-কে দেখে উনারা সব পছন্দ করেই রেখেছিলো। শুধু আমি যাওয়ার পর আমায় দেখে কথা পাকাপোক্ত করতে আয়াতের বাবা আমাদের গ্রামে আসেন। কিন্তু আমাদের বাড়ি অব্দি পৌঁছানোর আগেই আমি তাদের মুখোমুখি হই। মুখে মাস্ক, মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস, শার্ট, জিন্স পরে নিজেকে আড়াল করে সুন্দর মতো উনাদের বলি, ছেলে সম্পর্কে তাদের যা জানানো হয়েছে সব মিথ্যা। তার পড়াশোনা নেই, জব নেই। বাবার টাকায় চলে। বাড়ির মানুষ ভালো না। মেয়েকে আঁটকে রাখবে। বাবা-ছেলের মিলেনা বলে ছেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। ছেলের সম্পর্কে তার বাবা মিথ্যা জানিয়ে বিয়ে করাতে চাচ্ছে।আয়াতের বড় আংকেল আমার বাবার বিজনেস পাটনার। এজন্য উনাকে দেখেই চিনেছিলাম।১৪-১৫বছর বয়সে উনাকে দেখেছিলাম। এরপর বাড়ি ছাড়া আর এত বছর পর দেখা। আমি তো বড় হয়ে গেছি এজন্য হয়তো ঠিকঠাক চিনতে পারেননি আমায়। কিন্তু আমি চিনেছিলাম। উনি আমার কথা বিশ্বাস করতে চাচ্ছিলেন না। বললাম, আমি ছেলের বেস্টফ্রেন্ড। আমি কি করে তার সম্পর্কে মিথ্যা বলি! আর একটা মেয়ের জীবনও বা কি করে নষ্ট হতে দিই! এলাকার আমার সাথের আরও ২-৪জন ছেলেপুলে-কে দিয়ে আমার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলাই। ওনারা যেখানে নেমেছিলেন! সেখান থেকেই বিদায়। মাঝখানে শুধু দু-ভাই ওখানেই ঝগড়া শুরু করেছিলেন। আয়াতের বাবা বারবার বলছিলেন, তার শিক্ষিত নম্র ভদ্র মেয়ের জন্য এমন ছেলে কি করে সিলেক্ট করলেন উনি! তখন বুঝতে পারি বাবার বিজনেস পাটনারের ভাই উনি। উনার সাথেও বাবার তুমুল ঝগড়া হয় এসব কথা নিয়ে। এজন্য ফিরতে দেরি হয়। আর আমিও কেটে পরি ঝগড়া দেখে। এখন আয়াতের বাবা আমায় দেখে চিনে ফেলবেন নিশ্চিত! এই ভয় হচ্ছে। বলেছিলাম এক রকম। এখন অন্য রকম দেখলে তো বিপ’দ। বাবার মুখে শুনেছিলাম আমার ছবিও উনাকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আয়াতের ছবি আমি দেখিনি, আর হয়তো সে-ও আমার ছবি আগে দেখেনি। যার ফলে দুজন দুজনকে চিনিনি, কিন্তু আংকেল কে তো চিনি। উনি আমায় দেখলে ব্যান্ড বাজিয়ে দিবেন তো। এজন্য মুখোমুখি হতে ভয় লাগছে।”
৩৭,
রায়াদ সব শুনে বিস্ময়ে বিমূঢ়। মাঝখানে এত কাহিনী হয়ে গেছে! রায়াদ হাত কপালে উঠে যায় সরাসরি। জুবায়ের বুকে হাত বেঁধে দাড়িয়ে আছে। তখনই ইয়াসিন সাহেব সবাইকে নিয়ে পৌছে যান। গাড়ি পার্ক করে সবাই নামার পর রায়াদ বলে,
“এসব এখন বাদ থাকুক। পরে ভাবা যাবে।”
“হুম।”
জুবায়ের মাথা হেলিয়ে সম্মতি দেয়। দুজনে এগিয়ে যায় রিয়ানা-দের দিকে। রায়াদ তার বাবার দিকে তাকিয়ে জিগাসা করে,
“এত লেইট হলো?”
“একে তো জ্যাম। এরমাঝে তিন জনই রাস্তায় ফুচকা দেখে লাফালাফি শুরু করে দিয়েছিলো। রেস্টুরেন্টের খাবারের থেকে ফুচকা ওদের বেশি প্রিয়। তা খাইয়ে নিয়ে আসতে দেরি হলো।”
রায়াদ ইয়াসিন সাহেবের উত্তর শুনে তিনজনের দিকেই বিরক্তিমাখা চাহনীতে তাকায়। কি আছে এই ফুচকার মাঝে! কে জানে। দেখলেই একেক-টা মেয়ে পাগল হয়ে যায় অদ্ভুত। রায়াদ সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“চলো তবে ভেতরে যাওয়া যাক?”
রায়াদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে সবাই হোটেলের ভেতরের দিকে পা বাড়ায়৷ রিয়ানার এই প্লাজু পরে হাঁটতে কি যে বিরক্ত লাগছে! ইচ্ছে তো করছে তার জিন্স পরতে। কিন্তু সাথে নেই। নয়তো পাল্টে নিতো। সাদা এবং হালকা সবুজ রঙের কম্বিনেশনের জামা এবং সাদা সালোয়ার ওরনা পরেছে রিয়ানা। রায়াদ আড়চোখে আরও একবার রিয়ানাকে দেখে নিলো। মেয়ে-টার এমন ড্রেস পরে থাকতে কি হয়! পোশাকেই নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। শরীর দেখিয়ে তো শুধু নির্লজ্জ ছাড়া কিছুই মনে হয়না রায়াদের। অথচ লজ্জা নারীর ভূষণ। রায়াদ দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। লিফটের সামনে এসে সবাই লিফটের ভেতরে ঢুকে পরে। ১৪তলায় এসে লিফট থামে। ওরা বেরিয়ে এসে সিড়ি বেয়ে ১৫তলায় উঠে। সেখানেই স্কাই পুল রেস্তোরাঁ। যার ডান সাইডে মাঝারি সাইজের-ই বলা চলে এমন পুল। এবং বাম সাইডে বসার ব্যবস্থা করা। বুফে সিস্টেম রেস্তোরাঁ এটা। পুলের পশ্চিম পাশে হাঁটাচলার একটু ফাঁকা স্পেস আছে। সবাই ঘুরেফিরে রেস্তোরাঁ-টা দেখতে থাকে। রিয়ানা সোজা গিয়ে রেলিং ঘেষে দাড়িয়ে পরে। দৃষ্টি, রাতের লাল-নীল লাইটের আলো, রাস্তায় সোডিয়ামের আলোয় ঝকমক করা ব্যস্ত এক টুকরো ঢাকা শহরের বুকে। সবার জীবন-ই ব্যস্ততায় বয়ে যাচ্ছে স্রোতের মতো। শুধু রিয়ানা-ই কি সে-ই এক ব্যক্তিতে আঁটকে আছে! ভেবে পেলোনা রিয়ানা। ছাড়লো দীর্ঘশ্বাস। তার ভাবনার মাঝেই রোজা ডাক দিয়ে বললো,
“আপু এসো, সবাই খাওয়া শুরু করেছে।”
রিয়ানা পা বাড়ালো সেদিকে।
চলবে?
ভুলত্রুটি মার্জনীয়, মাথা ব্যথায় আজ আর রিচেইক দেইনি। সব ইনফো গুগল থেকে কালেক্ট করা। ভুল হলে মার্জনীয়, জানিয়ে দিবেন একটু সঠিক-টা। আমি এডিট করে নিবো। আসসালামু আলাইকুম।