ঘৃণার মেরিন সিজন ৪( পর্ব ৩০+৩১)

0
692

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 30
writer : Mohona

.

নীড় : এক্সকিউজ আস…
জন : …
মেরিন : জন… কিছু বলেছি তোমাকে…
জন বাধ্য হয়ে নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
নীড় : তুমি কি আমাকে বের করতে চাইছো?
জন : স্যার প্লিজ… আপনি বোঝার চেষ্টা করুন। আসলে …
নীড় : অতৃপ্ত আত্মা তু… একি… কোথায় গেলো?
জনও পাশ ফিরে দেখে মেরিন নেই।
জন : ম্যাম কোথায় গেলো?
নীড় : ধ্যাত … কোথায় ভাবলাম বউটার সাথে সারাদিন থাকবো… হুহ। মেরিনের কোথায় যাওয়ার কথা ছিলো তা কি তুমি জানো?
জন মনে মনে : জানি। বাট বলাটা কি ঠিক হবে?
নীড় : এই জন… কিছু জিজ্ঞেস করলাম তো ।
জন : না মানে স্যার আমি জানিনা।
নীড় : বিশ্বাস হলোনা। । দেখি সরো… আচ্ছা শোনো… নতুন প্রজেক্টটা যেন কোথায়?

.

টনি : ইনোগ্রেশন প্রোগ্র্যামটা কবে করলে ভালো হবে?
মেরিন : কাজ এখন ১০০% ফিনিশ হয়নি। আর তাই সেলিব্রেশন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা বেকার…
টনি : বাট কাজ তো প্রায় শেষ ।
মেরিন : প্রায় শেষ আর শেষের মধ্যে অনেক পার্থক্য …
টনি : সরি…
মেরিন : সরি বলার মতো এমন স্টুপিড রিজন আর আবিষ্কার না করলে খুশি হবো।
টনি : হামমম। মেরিন…
মেরিন : ইয়েস…
টনি : লেটস হ্যাভ অ্যান কফি?
মেরিন : মাত্রই বললাম যেন সরি বলার আর কোনো কারন যেন না সামনে আসে। আর এখনই?
টনি : আসলে…
মেরিন : স্টপ… তু…

নীড় : হ্যালো জানু।।।
মেরিন টনির পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখে নীড় এগিয়ে আসছে।

নীড় : দেখলে ঠিক চ…
নীড়ের চোখ গেলো টনির দিকে। টনিকে দেখেই ও চিনতে পারলো। মেজাজ বিগরে গেলো।
মেরিন : আপনি এখানে?
নীড় টনির গলা চেপে ধরলো। মেরিন অবাক হয়ে গেলো।
মেরিন : নীড়… ছারুন ওকে। ছারুন…
নীড় : তোর জন্যই সব হয়েছে। তোর জন্যই… না তো তুই সেদিন মেরিনকে কোলে নিয়ে হসপিটালে যেতি… না তো আমার মাথা খারাপ হতো… আর না আমি ড্রিংকস করতাম আর না এতো কাহিনি হতো। আজকে তোকে আমি মেরেই ফেলবো…

মেরিন নীড়কে টেনে সরিয়ে আনলো…
মেরিন : পাগল হয়েছেন আপনি? কি করছেন টা কি?
নীড় : ছারো আমাকে… আমি মেরেই ফেলবো…
মেরিন : স্টপ ইট নীড়… অনেক হয়েছে ।
টনি অবাক হয়ে ২জনকে দেখছে।
মেরিন : কি বলে যাচ্ছেন পাগলের মতো?
নীড় : বোঝোনা তুমি কি বলছি? জানোনা লাগে কিছু?
মেরিন : আপনার কথার কোনো ভিত্তি নেই। বাসায় যান বা যেখানে খুশি যান। বাট এখন থেকে চলে যান। প্লিজ।
নীড় : নো। তুমি যাবে আমার সাথে। আমি কিছুতেই এই লোকটার সাথে তোমাকে রেখে যাবোনা।
মেরিন : আমার কাজে ডিস্টার্বনেস আমার মোটেও পছন্দনা । সো প্লিজ লিভ। চলো টনি…
মেরিন যেতে নিলে নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন : পাগল হয়ে গিয়েছেন নীড় ? নামান আমাকে।
নীড় : চুপ। ফালতু কথা বললে কিস করতে করতে নিয়ে যাবো …
মেরিন : নীড় নামাতে বলেছি কিন্তু …
নীড় কোনো কথা না শুনে মেরিনকে গাড়িতে বসিয়ে বাসায় নিয়ে গেলো।

.

মেরিন : এসবের মানে কি ?
নীড় : এসবের মানে এটাই যে তুমি ওই ছেলেটার সাথে কোনো কাজ করবেনা। কোনো প্রজেক্ট করবেনা। দ্যাটস ফাইনাল…
মেরিন : আপনি কে বলুন তো আমাকে না করার? কেউনা।।।
নীড় : আমি তোমার স্বামী…
মেরিন : স্বামী? দেখেছেন… আপনি না বললে না আমার মনেই পরতোনা যে আপনার আর আমার মাঝে সম্পর্কটা ঠিক কি? থ্যাংকস ফর দ্যাট । আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। তো মিস্টার স্বামী … আপনার কি সেবা করতে পারি? পা টিপে দিতে পারি নাকি গলা? দেখুন … কাঠের পুতুল চিনেন? নট জাস্ট কাঠের… মাটির পুতুল বা যেকোনো পুতুল… চিনেন তো নাকি? ১টা মাটির পুতুলের সাথে মানুষের কিন্তু সবটাই মিলানো যায়… চোখ-নাক-কান-হাত-পা … সব। কিন্তু সেটাতে প্রাণ থাকেনা। প্রাণহীন হয়। অার এটাই পার্থক্য। ঠিক তেমনি স্বামী আর নামমাত্র স্বামীর মধ্যেও ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান… নামমাত্র স্বামীদের না স্ত্রীদের ওপর কোনো অধিকার থাকেনা … তাই আপনার আমার ওপর কোনো অধিকার নেই … আমি আবার অবিচার করিনা… আপনার ওপরও আমার কোনো অধিকার নেই ।
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে বসালো… ওর হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।
নীড় : আমি তোমাকে ভালোবাসি …
মেরিন : আমি তো বাসিনা।আর তাছারাও ভিক্ষা আর ভালোবাসা পাবার স্ট্যাটাস আমার না…
নীড় : মেরিন তুমিই আমার ভালোবাসা ছিলে… নিজের একটুখানি ভুলের জন্য নিজের আসল ভালোবাসাকে চিনতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা … আমি জানি সেদিনের জন্য তুমি রেগে আছো। ফেয়ার এনাফ… বাট… সেদিন টনি কো…
মেরিন : টনি কোলে করে আমাকে হসপিটালে নেয়া দেখে জেলাস হয় আপনার স্বামী স্বামী মনোভাব জেগে ওঠে । তাইতো?
নীড় : না। হয়তো এই প্রথম তোমার ধারনা ভুল … শোনো…
মেরিন : আমি কিছু শুনতে চাইনা। আমি এটা ভালোভাবেই জানিযে সমগ্র পুরুষজাতিই এক। নিজেরা চাইবে পিওর গার্ল। বাট নিজেরা … নিজেরা যা করবে তাই জায়েজ… তারা মনে করে ধর্ষন করাও তাদের জন্য ফরজ …
নীড় : তুমি আমাকেও এমন করো ?
মেরিন : না মনে করিনা। কারন মনে করার কোনো কারন নেই । ইটস ট্রু এন্ড প্রুভড অলসো…
নীড় : …
মেরিন : আপনাকে আমি ভালোবাসতাম জেনেও , আপনি আমার সাথে বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও আপনি নিরার সাথে মেলামেশা করেছেন… ইন্টিমেট হয়েছেন… আর সেটা আপনার কাছে সঠিক বলেই মনে হয়েছে। অথচ অথচ অথচ … আপনি আমাকে ভালোবাসেননা। ঘৃণা করেন। তবুও কেউ ১জন আমি একটু অসুস্থ হওয়ায় আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া আপনার রাগার কারন ছিলো। কারন আমি আপনার স্ত্রী। অথচ আমাকে স্ত্রী হিসেবে তখন মানতেনও না। চমৎকার …
নীড় : মেরিন সবার ভালোবাসার ধরন এক নয় ।
মেরিন : আপনি আমাকে ওখান থেকে এনে এই স্টুপিড টপিক তুলে আমার পাক্কা ১টা ঘন্টা নষ্ট করলেন। সো আই হ্যাভ টু গো…
বলেই মেরিন চলে গেলো। নীড়ের মনে হলো এই কথাগুলোর মাধ্যমে মেরিন নিজের কষ্টগুলো ঝেরে গেলো। প্রকাশ করে গেলো। তাই আর কিছু বললনা।

.

টনি : নীড় তোমাকে খুব ভালোবাসে তাইনা?
মেরিন : নন অফ ইউর বিজনেস… লেটস ব্যাক টু ওয়ার্কস ।
বলেই মেরিন এগিয়ে গেলো।
টনি : হয়তো নীড়ের এমন আচরনের জন্যই ও তোমার জীবনে। ও হয়তো তোমার মতোই । ভালো থাকো এভাবে ।

নীড় : ধুর ভালো লাগেনা। কোনো দুঃখে যে … আজকে এই রুমটা আমাদের ছবি দিয়ে সাজাই… হয়তো ভালো লাগতেও পারে … আমি জানি ভালো লাগে। কিন্তু প্রকাশ করেনা । তবে আম্মুর চিকিৎসাটা আবার নিজের হাতে নিতে হবে…

রাতেরবেলা মেরিন এসে দেখলো। সব ওদের কিছু মুহুর্ত। যেগুলোর বেশিরভাগ মেরিন বন্দী করেছিলো। পরেরগুলো নীড় বন্দী করেছে। মেরিন ওগুলো সরিয়ে ফেলতে নিলে
নীড় বলল : যদি আজকে এগুলোর সাথে কিছু করো তো কসম আল্লাহর আজকে এখন জানটা দিয়ে দিবো …

মেরিন : …
মেরিন থেমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পরলো।

.

কিছুদিনপর…
মেরিন : আপনি আমার হাত ধরে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?
নীড় : লং ড্রাইভে…
মেরিন : আমি কোথাও যাবোনা। ছারুন হাত।
নীড় : এতো ছারুন ছারুন কোরোনা তো… ভালো লাগেনা… একটু চুপ থাকতে পারোনা?
মেরিন : আপনি আমার থেকে দূরে থাকতে পারেননা ?
নীড় : না। তুমি আয়রন আমি ম্যাগনেট তাই আকর্ষনটা বেশি । কোনো কথানা…

নীড় ড্রাইভ করছে। মেরিন চুপচাপ বসে আছে। চোখ বন্ধ করে। ভালো লাগছেনা কিছুই। মাঝেমাঝে ইচ্ছা হয় সবকিছু ছেরেছুরে দুরে কোথাও পালিয়ে যেতে। কিন্তু পারেনা ।

নীড় : মেরিন…
মেরিন : …
নীড় : মেরিন…
মেরিন : …
নীড় : মেরিন …
মেরিন : শুনছি…
নীড় : আম্মুর চিকিৎসার দায়িত্ব দাওনা আবার… প্লিজ…
মেরিন : আম্মু কেবল আমার আম্মু। আর কারোনা…
নীড় : দেখো… আমি ভালোভাবেই কথা বলছি…
মেরিন : আমিও ভালোভাবেই বললাম…
নীড় : এখন তোমার ভাষাতেই কথা বলতে হবে।
মেরিন : মানে?
নীড় : তুমি তোমার মামাবাসার গার্ডসদেরকে ফোন করে জিজ্ঞেস করো তো… দেখো তো আম্মু ওখানে আছে কিনা …
মেরিন : মানে?
নীড় : আহা করোইনা…
মেরিন ফোন করলো। জানতে পারলো যে কনিকা ওখানে নেই… রেগে নীড়ের দিকে তাকালো ।
নীড় : রাগের ভয়ে কিছুই নেই। আম্মু যেখানেই আছে সুরক্ষিত আছে। এখন যদি রেগে গিয়ে আমাকে মেরে ফেলো তবে কিন্তু ৭জনমেও আম্মুর খবর পাবেনা।
মেরিন : আম্মু কোথায় নীড়?
নীড় : বললাম তো সেফ আছে।
মেরিন : নীড় শেষবারের মতো জানতে চাইছি বলুন যে আম্মু কোথায়? না হলে কিন্তু আমি …
নীড় : শহরের বুকে আগুন জ্বালাবে। তাইতো? বাট তবুও লাভ হবেনা। সো… রাগ দেখিয়ে লাভ নেই।
মেরিন : ….
নীড় : ওখানে ১টা ফাইল আছে দেখো…
মেরিন : …
নীড় : আহ দেখোইনা…
মেরিন হাতে নিলো।
নীড় : ঠান্ডা মাথায় আম্মুর চিকিৎসার ভার আমার হাতে তুলে দেয়ার কনট্র্যাক্ট পেপারটা পড়ে সিগনেচার করে দাও। প্লিজ।
মেরিন : অসম্ভব। কোনোদিনও না।
নীড় : ভাবো ভাবো… ভালোমতো ভাবো… বাট ইউ হ্যাভ নো আদার অপশন।
মেরিন : মেরিন বন্যার লিমিট এই সাধারন কাগজ ডিসাইড করতে পারেনা। আমি সিগনেচার করলেও কি আবদ্ধ করতে পারবেন আমাকে?
নীড় : পরেরটা পরে ভেবে নিবো..
মেরিন ১টা বাকা হাস দিলো ।
মেরিন : এখানেই তো মাত খেয়ে গিয়েছেন… মেরিন প্ল্যানিং ছারা কোনো কাজ করেনা।
নীড় : সিগনেচার প্লিজ মাই বনপাখি…
মেরিন সিগনেচার করে দিলো ।

.

২দিনপর…
মেরিন কলমটা হাতে নিয়ে ঘুরাচ্ছে ।
জন : ম্যাম আপনিকি কনিকা ম্যামকে নীড় স্যারের থেকে ছারিয়ে আনার কথা ভাবছেন?
মেরিন : ওটা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। যখন ইচ্ছা তখন কাজটা করতে পারি। মিস্টার চৌধুরী জিতে গিয়েছে ভেবে হ্যাপী থাকুক ।
জন : তাহলে কি এমন ভাবছেন?
মেরিন : বেশ জটিল কিছু…
জন : মানে?
মেরিন : বলা যাবেনা। কারন এতোগুলো বছরে এই প্রথম তোমাকে আর দাদুভাইকে বিশ্বাস করতে পাচ্ছিনা…
জন : ম্যাম আমি…
মেরিন : আমার সাথে গাদ্দারি করোনি। আই নো। বাট … তোমার সমস্যা কি জানো? তুমি আমার কথা বড্ড বেশি ভাবো।
জন : …
মেরিন : যাই হোক… নেক্সট উইক ইনোগ্রেশন … দায়িত্ব তোমার …
জন : জী ম্যাম…
জন বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : আমার প্রতি তোমার স্নেহটা বড্ড বেশি…

.

৩দিনপর…
মেরিন রিপোর্ট হাতে নিয়ে বসে আছে । হয়তো ওর জীবনের মূলত যে কারো জীবনের সেরা রিপোর্ট এটা। ও মা হতে চলেছে। কিন্তু ও বুঝতে পারছেনা যে ও কিভাবে রিয়্যাক্ট করবে… বেশ কিছুক্ষন ঝিম ধরে বসে থেকে মেরিন হাহা করে হেসে উঠলো।

মেরিন : কংগ্র্যাচ্যুলেশন মিস্টার চৌধুরী … আপনি আমার থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন … হ্যালো… আই নিড অ্যা ডিভোর্স পেপার। আর আপনার কাছে ৩ঘন্টা আছে। কি করবেন কতো টাকা খরচ করবেন কাকে ঘুষ দিবেন সেটা আপনার মাথা ব্যাথা।

.

নীড় বাসায় ফিরলো। ফিরে দেখে মেরিন কিচেনে। নীড় অবাকের সাথে খুশিও হলো। তবে কেন যেন ১টা অদ্ভুদ ভয় হচ্ছে ।
নীলিমা-নিহাল পপকর্ন খেতে খেতে মেরিনকে রান্না করছে। আর মেরিনের কাজকর্মের কারন ভাবছে।
নীড় : গাইস… তোমরা এভাবে বসে আছো যে ?
নীলিমা : আবার কি হয়েছে রে?
নীড় : কি হবে?
নীলিমা : তুই কিছু করেছিস ?
নীড় : আরে সবকিছুতে আমাকে আসামী বানাও কেন বলোতো ? ও তো আর নতুন কিচেনে ঢোকেনি …
নিহাল : আরে দের ২মাস ধরে তো কিচেনে ঢোকেনা। তাই …
নীড় : সবকিছুতে আমার বউটাকে এতো সন্দেহ কোরো না তো …
নিহাল-নীলিমা : 😒
নীড় মনে মনে : ভয় তো আমারও হচ্ছে। কিছু তো ১টা হয়েছে…

মেরিন পানির গ্লাস নিয়ে এগিয়ে এলো। মুখে মিষ্টি ১টা হাসি । নীড় আরো বড় ঝটকা খেলো।
মেরিন : এই নিন…
নীড় : …
মেরিন : কি হলো? নিন।
নীড় নিলো।
মেরিন : পানি খেয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন। আজকে সবার পছন্দের খাবার রান্না হয়েছে। আমি দাদুভাইকেও আসতে বলেছি। আজকে সবাই একসাথে খাবো…

.

চলবে…

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 31
writer : Mohona

.

মেরিন : আজকে সবাই একসাথে খাবো …
নীড় : মেরিন …
মেরিন : হামম।
নীড় : আর ইউ ওকে?
মেরিন : কেন আমার কি হবে?
নীড় : না হওয়াই ভালো ।
নীড় ফ্রেশ হতে গেলো। একটুপর দাদুভাই এলো । সবাই মিলে একসাথে ডিনার করলো।

খাওয়াদাওয়ার পর সবাই হলরুমে গিয়ে বসলো।

দাদুভাই : দিদিভাই …এবার তো বলো … এতো খুশি কেন?
মেরিন : দাদুভাই … ১টা তোতাপাখিকে খাঁচায় বন্দী করে রাখলে তাতে পাখির মালিকটা বেশ কিছুদিন আনন্দিত থাকে। তবে পাখিটা না … তবে ১টা সময় মালিক বোর হয়ে যায় খেলায় … সে বুঝে যায় যে পাখিটাকে মুক্ত করার মধ্যে পাখিটার যেমন সুখ তেমন তার নিজেরও সুখ। কারন পাখিটার মধ্যে আর ভালো লাগার কিছু থাকেনা। থাকে বিরক্তি। খাচায় থেকে থেকে পাখি বিরক্ত হয়ে যায়। আর বিরক্ত পাখিকে দেখে পাখির মালিক। তাই সে পাখিকে মুক্তই করে দেয়। মন উঠে যায় পাখিটা থেকে। আর মুক্তিতে দুজনই ভালো থাকে…
নীড় কিছুটা আন্দাজ করলো।

দাদুভাই : দিদিভাই … কিছুই বুঝতে পারলামনা …
মেরিন : বুঝে যাবে… কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করো

.

সকালে…
নানাধরনের বাদ্যযন্ত্রে আর গুলির শব্দে বাসার সবার ঘুম ভাংলো। ছুটে নিচে গেলো। দেখলো নানাধরনের মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বাজছে। আর তারসাথে তাল মিলিয়ে মেরিন ফাকা গুলি করছে। প্রেস-মিডিয়াও আছে। মেরিনের পরনে সেই বিয়ের পোশাক। সাজটাও তেমন….

নীড় : এসব কি?
দাদুভাই : এসব কেন দিদিভাই ?
নীলিমা : কি হয়েছেরে তোর?
মেরিন : সব বলবো… তবে তারআগে আমি আমার প্রা…..নের স্বামীটাকে এই পোশাকটা পরে আসতে বলো। প্লিজ…
সবাই মেরিনের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো এটা সেই পোশাক যেটা ওদের বিয়েতে নীড় পরতে বাধ্য হয়েছিলো।
নীলিমা : তোরা কি আবার বিয়ে করবি?😃।
মেরিন : বলবো তো। মিস্টার চৌধুরী চেঞ্জ করে আসুক দেন বলবো।
নীড় : ওই পোশাকটা কেন পরবো?
মেরিন : সেটাও পরার পর জানতে পারবেন …

মেরিনের জোরাজোরিতে নীড় পরে এলো। মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন : বিফোর উই স্টার্ট … আমি আপমাকে ছোট্ট ১টা গিফ্ট দিতে চাই। মে আই মিস্টার স্বামী?
নীড় : …
মেরিন : নিরবতা সম্মতির লক্ষন। তাই দিয়েই দেই…

.

বলেই মেরিন ১টা গিফ্ট বক্স নীড়ের হাতে ধরিয়ে দিলো।
মেরিন : ইটস ফর ইউ…
নীড় : কি আছে এতে ?
মেরিন : মুক্তির সনদ …
নীড় : মানে?
মেরিন : খুলে দেখুন…
নীড় খুলে দেখে ডিভোর্স পেপার। যেটাতে মেরিন অলরেডি সিগনেচার করে দিয়েছে …

দেখে নীড়ের রক্তের বেগ কয়েকগুন বেরে গেলো। চোখ ২টা আগুনের গোলার মতো হয়ে গেলো। মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন বেশ স্বাভাবিকভাবেই ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মেরিন : কেমন লাগলো সারপ্রাইজ গিফ্ট?
নীড় দাতে দাত চেপে
বলল : এসবের মানে কি?
মেরিন : কোন সব? এই ব্যান্ড পার্টি এন্ড প্রেস-মিডিয়া ? মেরিন বন্যার বিয়ে হয়েছিলো যেমন করে তেমন করে এটাও হবে। উৎসব মুখর পরিবেশে। পেয়েছেন উত্তর ?
নীড় : আমি এই পেপারসের কথা বলছি… এর মানে কি ?
মেরিন : অ … ১জন অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ হয়ে এই কথা বলছেন? সে স্যাড … এই পেপারসের মানে হলো এটা যে এটা আমাদের ভিভোর্স পেপার। আজকে আমাদের ডিভোর্স। হ্যাপি ডিভোর্স ডে। এন্ড হ্যাপি ইনডিপেনডেন্স ডে টু ইউ…
দাদুভাই : কি বলছো কি দিদিভাই?
মেরিন : হামম দাদুভাই…
শুরু হয়ে গেলো প্রেস-মিডিয়া ওয়ালাদের হৈচৈ।
নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।

.

নীড় : বারাবারিটা বেশি হয়ে গেলোনা?
মেরিন : আমার লাগলো কম হয়েছে…
নীড় : এতোদিন যেটা বলিনি আজকে সেটা বলছি… আই অ্যাম সরি… যা করেছি ভুল করেছি… আমি মনে করেছিলাম আমার না বলা সরিটা তুমি বুঝে নিবে… কিন্তু বোঝোনি . প্লিজ সরি…
মেরিন : সরি ? সরি ফর হুয়াট ?
নীড় : সরি ফর এভরিথিং… এই ঘৃণার খেলা বন্ধ করো প্লিজ…
মেরিন : পারবোনা গো মিস্টার চৌধুরী। ঘৃণার খেলা যে আমার বড্ড শখের খেলা। আপনাকে বোঝাতে পারবোনা যে এটা আমার কতোটা প্রিয় খেলা…
নীড় : ডিভোর্স এক তরফা হয়না মেরিন। জাস্ট তোমার একার সিগনেচার করাতে কিন্তু আমাদের ডিভোর্স হবেনা… আমারটাও লাগবে। আর আমি মরে গেলেও সিগনেচার করবোনা।
বলেই নীড় কাগজটা ছিরে ফেলল।
মেরিন : মিস্টার চৌধুরী… আমার কাছে আমার কথাই শেষ কথা। আপনি সিগনেচার করবেন কি করবেননা সেটা সম্পুর্নই আপনার ব্যাপার। বাট… আমি তো করে দিয়েছি। তাই আমার কাছে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এন্ড সো… আপনি আমার কেউনা… রইলো আপনাক বাড়ি… রইলো আপনার ঘর… রইলো আপনার বিছানা , রইলো আপনা সবকিছু… আপনার সবটা আজকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম। যেমন ঘটা করে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আপনার বউ হয়েছিলাম। আপনাকে বন্দি করেছিলাম। ঠিক তেমনি ঘটা করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আপনাকে মুক্ত করে দিয়ে গেলাম। খান বাড়ির মেয়ে খান বাড়িতে ফিরবে । যেভাবে যে সাজে বেরিয়ে ছিলো আপনার সাথে সেভাবেই ঢুকবে… গুডবাই মিস্টার চৌধুরী…

নীড় : বাসা থেকে তো দূরের কথা…পারলে এই রুম থেকে এক পা বের হয়ে দেখাও …
মেরিন : আপনার কি মনে হয় আমি বের হতে পারবোনা?
নীড় : পারলে বেরিয়ে দেখাও। আমিও দেখি তুমি আজকে কিভাবে রুমটা থেকে বের হও…
মেরিন : আপনি আমাকে আটকাবেন???
নীড় : বললাম তো পারলে আজকে বের হয়ে দেখাও…
মেরিন : আর যদি বের হই।
নীড় : প্রশ্নই ওঠেনা।
মেরিন : যদি বের হই । তাহলে?
নীড় : বললাম তো প্রশ্নই ওঠেনা।
মেরিন : তবুও ধরুন আমি যদি বের হতে পারি তবে?
নীড় : তবে হার মেনে নিবো…
মেরিন ১টা বাকা হাসি দিলো।
মেরিন : আপনার মনে আছে আমি আপনাকে ১টা কথা বলেছিলাম যে… আপনি ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করেননা তাই হেরে যান… মনে আছে?
নীড় : হামমম।
মেরিন : আমি কখনো কোনো কাজই কারন ছারা করিনা…
নীড় : …
মেরিন : কালকে রাতে খাবার টেস্টি ছিলো তো?
নীড় বুঝতে পারছে ও ওর শরীরের বল হারাচ্ছে …
নীড় : তততুমি আআআমার খখখা…
বলতে বলতে নীড় পরে যেতে নিলো। ওর শরীর একদম বলশূন্য হয়ে পরলো…
নিচে পরার আগে মেরিন ওকে ধরে ফেলল। বেডে শুইয়ে দিলো। নীড় সব দেখতে পাচ্ছে শুনতে পাচ্ছে। কিন্তু পলক ফেলা ছারা আর কোনো কাজই করতে পারছেনা…

মেরিন : কালকে আপনার খাবারে আমি ১টা ড্রাগস মিশিয়ে ছিলাম। যেটা ১০-১১ ঘন্টার মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখায় … সো… দেখিয়ে দিলো। ৩ঘন্টার জন্য আপনার সমগ্র শরীর অসার হয়ে থাকবে … আর আমি আপনার চোখের সামনে দিয়ে এই রুম থেকে বেরিয়ে যাবো। দেন এই বাসা থেকে…

নীড়ের চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো।

মেরিন : আমি জানতাম আপনার সাথে বলে আমি পারবোনা… তাই। আমার কথাই শেষ কথা। কোন কাজ করলে তার ফলাফল কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করে সেটার টোটকাও আমি ভেবে রাখি… বললাম না ঘৃণার খেলাটা আমার শখের খেলা। এটা না তো বন্ধ করবো … আর নাতো হারবো। মৃত্যু পর্যন্ত চালিয়ে যাবো… গুড বাই মিস্টার চৌধুরী… গুড বাই…

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো। নীড় কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো …

.

দাদুভাই : দিদিভাই… আসবো?
মেরিন : আসো দাদুভাই …
দাদুভাই : কাদছিলে বুঝি ?
মেরিন : না।।।
দাদুভাই : আমার কাছেও কি আড়াল করবে ?
মেরিন : কি করবো বলো? আড়াল করার কারন যে দিয়ে দিয়েছো…
দাদুভাই : তোমার কি সত্যি এটা মনে হয়?
মেরিন : দাদুভাই… প্রকৃতির বাহিরে কিছুই নেই। তুমি আমিও এই প্রকৃতির অংশ । আর প্রকৃতি নিয়মের একটু ব্যাতিক্রম কিছু ঘটলেই প্রকৃতি তার ধ্বংসাত্মক রূপ ধারন করে। তুমি প্রকৃতিবিরোধী কাজ করেছো। মেরিন ঘৃণার। অথচ তুমি সেই মেরিনকে অস্বাভাবিক হারে ভালোবাসো …
দাদুভাই : আমি কোনোদিনই তোমার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করিনি… কারন তোমার কোনো সিদ্ধান্তই কখনো ভুল ছিলোনা। কিন্তু… এবার তোমার সিদ্ধান্ত তোমার জন্য ভুল। নীড়কে শাস্তি দিতে যেয়ে তুমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছো। নিজেকে কষ্ট দিচ্ছো…
মেরিন : নিজেকে ভালোবাসা আর ঘৃণা করার মধ্যে ১টা অন্যরকম সুখ আছে দাদুভাই …
দাদুভাই : দিদিভাই… দেরিতে হলেও তুমি হারবে… রেস্ট করো…
বলেই দাদুভাই বেরিয়ে গেলো…

.

নীড় বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে আর ভাবছে… এই ঘটনা ঘটানোর কারন কি? ডিভোর্স …? কেন এই ডিভোর্সের খেলা…? মেরিন তো সেদিনও বলল যে ও নীড়কে ছারবেনা। আগে চেয়েছিলো নীড়কে ভালোবেসে বন্দী করে রাখতে… আর এখন চায় ঘৃণা করে… তাহলে?

নীড় : তাহলে… তাহলে … তাহলে… মেরিন … মেরিন মা হতে চলেছে… আর আমি বাবা… হ্যা … হ্যা সেটাই। ও বলেছিলো যদি আমি ওকে ছোট নীড় দেই তবে ও আমাকে মুক্ত করে দিবে… আমি বাবা হতে চলেছি… আমি বাবা হতে চলেছি… ইয়াহু… আমি বাবা হতে চলেছি…
নীড় আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলো…

নীড় : তোমার সারপ্রাইজ গিফ্ট তবে ডিভোর্স পেপার নয়… তোমার বার বার বলা গুড বাই গুড বাই ছিলোনা… তোমার কোনো কাজই কারন ছারা হয়না… এসবের মধ্যে দিয়ে তুমি আমাকে “গুড নিউজ” দিতে চেয়েছিলে… “গুড নিউজ” … অন্যসব স্ত্রীরা স্বামীকে এই খবরটা দেয় লজ্জা লজ্জা মুখ করে… বলে ওগো শুনছো… তুমি বাবা হতে চলেছো… আর আমার বউ কি করলো??? ধ্যাত… তোমাকে তোমার মতো করেই জব্দ করতে হবে । যতোদূর আমি তোমাকে চিনি তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছো… যাবো যাবো… তোমার কাছে যাবো। একটু হোমওয়ার্ক করে নেই। তুমি ভবিষ্যতের জন্য ২ধাপ এগিয়ে আছো। আমার পরিকল্পনা এখনও শূন্য … দেখি তোমার মতো করে ভাবতে পারি কিনা…

.

২দিনপর…
নীড় খানবাড়ি পৌছালো। দেখে সারাবাড়ি সাজানো …
নীড় : আমার আগমনের জন্য তো এই সজ্জা হতে পারেনা। কেইস টা কি? দেখি ভেতরে যাই…
ভেতরে গিয়ে নীড় দেখে বধুবেশে নিরা বসে আছে।
নীড় মনে মনে : এই ফ্রডটা বউ সেজে বসে আছে??? ওহ গড… বাই অ্যাট এনি চান্স আমার সাইকো বউ এর সাথে আমার বিয়ের বন্দোবস্ত করেনি তো? করতেই পারে। আফটার অল মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী… বাট মাই মিসেস… এবার যে একটু হলেও ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবে এসেছি … 😏।

নীড় মেরিনের রুমে গেলো। দেখলো মেরিনের রুমটা মোমবাতি দিয়ে সাজানো। মেরিন রকিং চেয়ার টাতে বসে আছে সেটার চারদিকেও মোমবাতি। মেরিন লাল রঙের ১টা শাড়ি পরে বসে আছে । চোখ জোরা বন্ধ ।

নীড় রুমে ঢুকলো।

মেরিন : বড্ড দেরি করে ফেলেছেন… আপনার বউটা কতোক্ষন ধরে অপেক্ষা করে আছে আপনার অফিশিয়াল বউ হবে বলে…

নীড় : অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়। লেট হার ওয়েট …

মেরিন দারালো।

নীড় : জানো না হওয়া এক্স বউ… আমি ভাবছিলাম যে তোমার জন্য কি মিষ্টি নিয়ে আসবো? কারন মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে তোমাকে দেখিনি… কি আনা যায় কি আনা যায় ভেবে অবশেষে পেলাম তোমার জন্য উপহার…
নীড় মেরিনের মুখোমুখি দারালো…
নীড় : ভেবে পেলাম তোমার উপহার তো আমি… আমার থেকে ভালো উপহার তোমার জন্য আর কিছু হতে পারোনা ।
মেরিন : …
নীড় : থ্যাংকস ফর দ্যাট সারপ্রাইজ গিফ্ট এন্ড দ্যা গুড বাই …

.

মেরিন : মোস্ট ওয়েলকাম।
নীড় : নেক্সট প্ল্যানিং কি?
মেরিন : ডিভোর্স কমপ্লিট করা।
নীড় : নো সেটাতো হয়না। ল’ জানোনা।
মেরিন : জানি… বাট বেবিটা তো আপনার নয় …
নীড় একটু ধাক্কা খেলো। মেরিন বোমা ফাটাবে বুঝতে পেরেছিলো। তবে এভাবে তা বোঝেনি।
নীড় : তাই ? তো কার ?
মেরিন : টনির…

‘টনি’ নামটা নীড়েক মেজাজ বিগরানোর কারন হয়ে উঠলো ।

মেরিন : জানেন আমি বিয়েটাতে বিশ্বাস করতামনা … তাই টনির সাথে সম্পর্কে থাকলেও বিয়ে করিনি। আপনি আমার পথের সামনে এসে অনেক বড় ভুল করেছেন… তাই জেদের বসেই বিয়েটা করতে হয়েছে। ঠিকই বলেছিলেন আপনি আমার সম্পর্কে…
নীড় : বাচ্চাটা যে আমার না তার প্রমান কি?
মেরিন : আমার মুখের কথা কি যথেষ্ট নয়। আর এমন মিথ্যা আমি কেন বলবো?
নীড় : মেরিন বন্যা সব করতে পারে। গিভ মি দ্যা প্রুভ…
মেরিন ; ওয়েট অ্যা মিনিট…
বলেই মেরিন ১টা ফাইল আনতে গেলো। কিন্তু পেলোনা । খুজতে লাগলো।

নীড় : তুমি কি এটা খুজছো ?
মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে দেখে সেই ফাইলটা।
নীড় : বাচ্চাটার ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট আমার কাছে হেটে হেটে চলে এসেছে। যেটা হসপিটালের মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুমি বানিয়েছো।
মেরিন অবাক হলো।
নীড় : তোমাকে আমি এখন ১টা থাপ্পর মারবো। ভয় নেই আসতে করেই মারবো যেন বেবি আঘাত না পায় … থাপ্পরের কারনটা ৩-৪ঘন্টা পর বলবো…
মেরিন : আপনার সাহ…
নীড় মেরিনকে থাপ্পর মেরে দিলো …

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here