#ঘৃনার_মেরিন 4
part : 28
writer : Mohona
.
নীড় কালো পোশাক পরে দারিয়ে আছে।
মেরিন : ওদেরকে এখানে কেন ধরে এনেছেন?
নীড় : অনাহারীকে আহার করাতে।
মেরিন : মানে?
নীড় : এখনই জেনে যাবে।
মেরিন : আমি কিছু জানতে চাইনা। আপনি ওদেরকে ছেরে দিন।
নীড় : পারবোনা গো। ওদের ২জনকে ছেরে দিলে ওদের কি হবে গো?
মেরিন : কাদের?
নীড় : আমার হাতের দিকে লক্ষ্য রাখো… ওই যে ওদের…
মেরিন তাকালো। দেখলো ৭টা কুকুর। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে যথেষ্ট হিংস্র। সেই সাথে ক্ষুধার্তও ।
মেরিন : এসবের মানে কি?
নীড় মেরিনের কাধে হাত রাখলো । মেরিন সরিয়ে দিতে চাইলে নীড় শক্ত করে ধরে রাখলো ।
নীড় : রিল্যাক্স মাই জানপাখি বনপাখি… রিল্যাক্স।
মেরিন : ডোন্ট কল মি বনপাখি।
নীড় : আমি তো ডাকবোই। ব…ন…পা…খি… 📣… যাইহোক কোথায় ছিলাম যেন? ও হ্যা মনে পরেছে। আসলেকি এই কুকুর ৭টা না ভীষন হিংস্র। এরা মানুষের মাংস খেতে খুব ভালোবাসে। ১বার ভেবেছিলাম এদেরকে বাঘের পেটে ঢোকাবো। পরে ভাবলাম যে এদের এতো যোগ্যতা নেই যে এরা বাঘের পেটে যাবে। তাই আমি এই ৭জনের ব্যাবস্থা করেছি। তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। জাস্ট কয়েক মিনিটের মধ্যে এদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে ।
মেরিন : ছারুন এদের নীড়।
নীড়: কিন্তু কেন? ছারবো কেন? ওদেরকে আমি এভাবেই ধ্বংস করতে চাই। এই ছেরে দাও ওদের…
মেরিন : না… না । আপনি মনির আর নিলয়কে ছেরে দিন…
নীড় : ছেরেই তো দিয়েছি।
মেরিন : নীড় আপনি ওদের কোনো ক্ষতি করবেন না… ওরা এখন মরতে পারেনা। এভাবে মরতে পারেনা। ওদেরকে আমি মারবো।
নীড় : নো। হাত-পা কাটা… গুলি করা কমন। বাট দ্যাট ইজ আনকমন … এর খেকে যন্ত্রনার হয়তো আর কিছুই নেই । দে ডিজার্ভ দ্যাট…
মেরিন : ছারুন আমাকে…
নীড় : না…
নীড় মেরিনের ১হাত ধরেই রাখলো।
.
মেরিন চাইছেনা ওই বোবা প্রানীগুলোর ওপর গুলি ছুরতে। ঠিক করলো ওখানে ১টা ফাকা গুলি করবে। এতে হয়তো কুকুরগুলো পালিয়ে যাবে।
মেরিন গানটা বের করে ট্রিগার প্রেস করে অবাক হয়ে গেলো । বুঝতে পারলো বুলেট নেই।
নীড় : চলছেনা বুঝি? চলবে কি করে? বুলেটস গুলো যে আমার হাতে…
মেরিনের ভীষন রাগ হচ্ছে। হয়তো ১জনের শীকার অন্যকেউ কেরে নিলে এমনই লাগে। দেখতে দেখতে বাবা-ছেলে বিলীন হয়ে গেলো। হয়তো এমন নৃশংস মৃত্যু কারোই হয়না।।।
নীড় মেরিনের হাতটা ছেরে দিলো। মেরিন রাগের চোটে ফেটে যাচ্ছে।
নীড় : কেমন লাগলো সারপ্রাইজ গিফ্টটা?
মেরিন নীড়কে থাপ্পর মারলো। এরপর নীড়ের কলার ধরলো।
মেরিন : কেন ? কেন করলেন আপনি এমন? কেন আমার শীকার আপনি করলেন ? কেন কেন কেন…
নীড় : কারন তুমি আমি যে অভিন্ন। যা তোমার তা আমার। যা আমার তা তোমার।
মেরিন : না মোটেও না। আমার প্রতিশোধ কখনো আপনার হতে পারেনা । এটা কেবল আমার আমার আমার। কোন অধিকারে আপনি এমনটা করলেন? আপনার কোনো অধিকার নেই ।
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে কিস করে বসলো।
নীড় : এই অধিকারে আমি এমনটা করেছি…. বুঝেছো?
মেরিন : ইউ হ্যাভ টু পে ফর দিস…
মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে। তখন পাশ থেকে পেলো
নীড় : বললে না তো সারপ্রাইজটা কেমন লাগলো?
মেরিন পাশ ফিরে দেখে ওর গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে নীড়ের গাড়ি চলছে। মেরিন রেগে ওর দিকে তাকালো।
নীড় : ওভাবে তাকিও না গো ।মরে যাবো…
মেরিন হুট করেই ব্রেক মারলো। নীড় বুঝতে পারেনি মেরিন এমনটা করবে। মেরিন ব্রেক মেরেই গাড়িটা ঘুরিয়ে নিলো। স্পিডটা আরো বারিয়ে দিলো।
নীড় গাড়ি ঘুরাতে ঘুরাতে খানিকটা পিছে পরে গেলো। আর পেলোনা।
নীড় : কতোদূর পালাবে তুমি বনপাখি? ফিরবে তো তুমি তোমার নীড়েই…
মেরিন ওর শাস্তি মহলের সবকিছু ভেঙে ফেলল।
.
বিকালে ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরে আরেকদফা অবাক হলো। সারাবাড়ি সাজানো। যেন কোনো উৎসব ।
নীড়-নীলিমা-নিহাল হাত ধরে নাচছে। আর গাইছে।
‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’…
মেরিন কিছুই বুঝতে পারলোনা যে ঘটনাটা কি?
নীলিমা : হেই মেরিন… চলে আয় চলে আয়… আজকে এই সেলিব্রেশনে তুই বাদ যাবি কেন? আর সেলিব্রেশনটা তো তোরই…
মেরিন : মানে?
নিহাল : মানে আজকে তোমার জীবনের কালো অধ্যায় থেকে ২টি কলঙ্ক বিতারিত হয়ে গিয়েছে …
মেরিন কিছু না বলে ওপরে চলে গেলো।
আসলে ওরা ৩জন মিলে মেরিনকে সেই সময় সেই হাসি খুশি পরিবার ফেরত দিতে চাইছে যেটা ও হারিয়ে ফেলেছে…
আইডিয়াটা নীড়েরই… ও ওর মা-বাবাকে সবটা বলে দিয়েছে। সবটা জেনে নিহালেরও আফসোস হলো… আজকে বুঝতে পারলো মেরিনের প্রতিটা আচরনের কারন। সবাইকে অবিশ্বাস করার কারন। সবাইকে ঘৃণা করার কারন। হয়তো অন্যকেউ হলে জীবনের সাথে হার মেনে নিজের জীবনটাই দিয়ে দিতো….
.
৩দিনপর…
মেরিন : দাদুভাই…
দাদুভাই : আরে দিদিভাইযে… আসো।
মেরিন : না…
দাদুভাই : না? তোমাকে এমন লাগছে কেন বলেছো।
মেরিন : বিকজ ইউ হার্ট মি ফর দ্যা ফার্স্ট টাইম…
দাদুভাই : দিদিভাই… নীড়ের জানার অধিকার আছে।
মেরিন : না উনার কোনো অধিকার নেই…
দাদুভাই : অমন করে বলতে নেই। ও তোমার স্বামী … ওর জানার অধিকার আছে। ও তোমাকে ভালোবাসে…
মেরিন : লাগবেনা আমার কারো ভালোবাসা। আমি ঘৃণাতেই সন্তুষ্টু । তুমি ঠিক করোনি দাদুভাই… একদম ঠিক করোনি…
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : প্রতিশোধের খেলা যখন শুরু হয়েই গিয়েছে তখন তখন তখন।।। জুলহাসকেও বা বাচিয়ে রেখে লাভ কি… সোহেলকেও বা বাচিয়ে রেখে লাভ কি? এই ২জন মানুষ সেতুর খুব পছন্দের । প্রানভ্রমর যাকে বলে। তাইনা মিস্টার খান…
কবির : ইয়েস মাই চাইল্ড।ইয়েস…
মেরিন : সবসময় দাদুভাইয়ের ফাসির ভয় দেখিয়েছেনা আপনাকে? এবার ওর চোখের সামনে ওর বৃদ্ধ বাবা ফাসিতে ঝুলবে। জুলহাস দ্যা মাস্টার মাইন্ড…
কবির : ওকে কি তুমি তোমার শাস্তি মহলে শাস্তি দিবে?
মেরিন : দেখি মৃত্যু কোথায় আছে ওর… তবে ঠিক ২৫ঘন্টা পরই হবে। সেতুর চোখের সামনেই হবে। ঠিকানা আপনাকে জানিয়ে দিবো। আসছি।
কবির : মামনি…
মেরিন : ডোন্ট কল মি দ্যাট মিস্টার খান।
কবির : সরি… এখনও কি ১টা বার আমাকে বাবা বলে ডাকা যায়না?
মেরিন কবিরের দিকে ঘাড় কাত করে
বলল : বাবার দায়িত্ব ১৮বছর বয়স থেকে শুরু হয়না… বাবার দায়িত্ব শুরু হয় ভ্রুনকাল থেকে। যেই ১৮টা বছর কেরে নিয়েছেন আমার সেই ১৮বছর ফেরাতে পারবেননা। যতোই বাধ্যতা থাকুক তবুও আপনি আমার আম্মুর মনে যে দাগ কেটেছেন সেটা ক্ষমার অযোগ্য । যদি আমার আম্মু সুস্থ হওয়ার পর আপনাকে ক্ষমা করে তখন ভেবে দেখবো আপনাকে বাবা বলে ডাকা যায় কি না…
বলেই মেরিন চলে নিলো।
কবির : আচ্ছা বাবা বলে নাই ডাকলে… এটাতো বলো তোমার কি হয়েছে? ২দিন দেখলাম তুমি বুকে হাত দিয়ে বসে ছিলে। ধীরে ধীরে হাত বুলাচ্ছিলে। কি হয়েছে তোমার? তুমি ঠিক আছো তো?
মেরিন : মেরিন বন্যা কখনো কাউকে জবাব দেয়না মিস্টার খান… আপনাকে তো একদমই না। নিজের লিমিটে থাকুন।
মেরিন চলে গেলো। কবিরের চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরলো।
( কাহিনিটা কি বলো তো সবাই? কবির-মেরিন একসাথে? ভুল লিখলাম? না ঠিকই লিখেছি। )
.
{{{
নিলয়ের অসভ্যতামীর কারনে যখন মেরিন নিলয়ের মাথায় আঘাত করে তখন নিলয়ের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত পরতে থাকে। নিলয়ের চিৎকারে সবাই ছুটে আসে । দেখে মেরিনের হাতে ফ্লাওয়ার ভাস… নিলয়ের মাথা থেকে রক্ত পরছে। দাদুভাই মেরিনের কাছে ছুটে গেলো।
দাদুভাই : কি হয়েছে দিদিভাই?
মেরিন : ও আমার সাথে অসভ্যতামী করতে চাইছিলো। আর তাই আমি ওকে শিক্ষা দিয়েছি।
সেতু : কি করে ফেলেছে আমার নিলয়টার মাথা ফাটিয়ে। তোর সাহস তো কম না। তোকে আমি…
মেরিন ফ্লাওয়ার ভাসটা সেতুর পা বরাবর ছুরে মারলো।
মেরিন : যা করেছেন এতো তা ভুলে যান… এখন থেকে নতুন আমিকে দেখবেন…
সেতু : তু…
দাদুভাই : সেতু ওকে এখনই এখান থেকে বের করে দাও। এ বাড়ির ত্রিসীমানায় যেন আর না দেখি…
সেতু : কিন্তু বা…
দাদুভাই : এ বাড়িতে আমার কথাই শেষ কথা…
সেতু নিলয়কে ধরে ধরে বের করলো । কবির মেয়ের চোখের তেজ দেখছে। ও চাইতো মেরিন এমন হোক। ও চাইতো সেতুর অত্যাচারের প্রতিবাদ করুক। তাই এতোদিন ধরে আড়ালে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে সেতুকে দিয়ে অনেক বাজে ব্যাবহার করিয়েছে। যেন মেরিন কিছু বলে বা করে। কিন্তু মেরিন করেনি। নিজেই কষ্ট পেয়েছে। কবির নিজেও অনেক কথা শুনিয়েছে । তবুও মেরিন কিছু বলেনি।
কবির ভাবতো মেরিন ওকে ঘৃণা করুক তাতে ওর দুঃখ নেই। কিন্তু নিজে শক্ত হোক। যেন এই সেতু মেরিনের সামনে মাথা তুলে দারাতে না পারে… তবে মেরিন নিজেই কষ্ট পেতো। আর তাই মেয়ের এই রূপে কবিরের আনন্দ হচ্ছে ।
দাদুভাই : কবির… এখান থেকে যাও।
কবির বেরিয়ে গেলো। তবে আড়ালে দারিয়ে রইলো ।
.
দিদিভাই : নিজের মধ্যে যে আগুনটা সৃষ্টি করেছো সেই আগুনটা নিভতে দিওনা। প্রয়োজন হলে নিজেকে আগুন বানিয়ে ফেলবে। তবুও এই আগুন নিভতে দিবেনা। এরা সবাই তোমাকে ঘৃণা করে তাইনা? এখন তুমি এদের দেখিয়ে দিবে ঘৃণা কি? #ঘৃণার_মেরিন হতে হবে তোমাকে। যার কোনো উইকনেস নেই…. বুঝেছো?
মেরিন : হামমম দাদুভাই…
দাদুভাই : কাল-পরশুই আমি তোমাকে ক্যারাটে স্কুলে অ্যাডমিট করাবো।
.
৫দিনপর…
মেরিন নিশানা লাগানোর অনুশীলন করছে। কিন্তু পারছেই না… বারবার ব্যার্থ হচ্ছে। তাই সবকিছু ছুরে ফেলে হাটুতে মুখ গুজে বসে রইলো। তখন শুনতে
পেলো : এখন তোমার নিশানা ঠিক জায়গায় লাগবে…
মেরিন মাথা তুলে কবিরকে দেখলো। দেখে কবির নিজের কপালে লাল রং দিয়ে গোল করে মার্ক করে ওর মুখোমুখি দারিয়ে আছে ।
মেরিন : আপনি? আপনি এখানে কি করে এলেন? বেরিয়ে যান।
কবির : বেরিয়ে তো যাবোই। তার আগে দেখবোনা তোমার নিশানা কতোটা কাচা…
মেরিন : মোটেও কাচা নয়…
কবির : দেন প্রুভ ইট… আমার কপালের এই জায়গাটাতে লাগাও… পরপর ৩টা… তাহলে বুঝবো…
মেরিন রেগে গিয়ে লাগালো । আর ঠিকঠিক লাগলো।
মেরিন : প্রুভ পেয়েছেন?
কবির : হামমম পেয়েছি। এর বিনিময়ে আমি তোমাকে কিছু দিতে চাই …
মেরিন : আমি আপনার থেকে কিছুই চাইনা…
কবির : নিজের দাদুভাইয়ের জন্য দেখো।
মেরিন : মানে?
কবির : ১মিনিট…
কবির ল্যাপটপে দাদুভাইয়ের সেই ভিডিওটা প্লে করলো। মেরিন দেখে অবাক হলো ।
মেরিন : এটা দিয়ে নিশ্চয়ই আপনি দাদুভাইকে ব্ল্যাকমেইল করবেন ?
কবির : না। এটা দিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।
মেরিন : মানে?
কবির সবটা বলল।
মেরিন : বাহ বেশ মজাদার কাহিনিতো।
কবির : বিশ্বাস করাটা তোমার ব্যাপার। তবে আমি আমার মৃত মায়ের নামে শপথ করে বলছি যে আমি ১বিন্দুও মিথ্যা বলিনি…
মেরিন : আমার আম্মুকে নাইবা করতেন বিয়ে। নানাভাইকে বাচাতে গিয়ে তো আমার আম্মুকে হাজার মৃত্যু দিলেন। আর আজকে কেন এমন কিছু করছেন? বুঝেছি। যেন আপনি গুডলিস্টে থাকতে পারেন…
কবির : না। যেন তোমাকে ঘৃণার মেরিন হতে সাহায্য করতে পারি। মনে রাখবে ঘৃণাই সব থেকে বড় সত্য। ঘৃণাকে যদি নিজের মধ্যে ধারন করতে পারো তবেই তুমি সফল হবে। পরাজয়ের সাথে অপরিচিত থাকবে…
মেরিন : ঘৃণার পথ পারি দিতে আমার আপনাকে প্রয়োজন নেই।
কবির : কিন্তু আমার তোমাকে প্রয়োজন আছে। শিক্ষকের সম্মান পিতা-মাতার পরই। কিন্তু মনে রেখো পিতার কাছে যে শিক্ষা পাওয়া যায় সে শিক্ষা ১০জনের কাছেও তুমি পাবেনা। আমি কেবল ঘৃণার পথে তোমার পথ নির্দেশক হতে চাই। সেতু কেমন তা আমি জানি। বাবা নয়। তাই তোমার আমাকে আপাদত প্রয়োজন। নিজেকে শক্ত বানাতে। যখন ঘৃণাকে ধারন করবে তখন না হয় আমাকে শাস্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রেখো। তবে বাবাকে এসব বলোনা প্লিজ…
মেরিন : …
কবির : শোনো তুমি বন্যা। নিজেকে আগুন বানাবেনা । কারন আগুনে পুরলে ছাই অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু পানি গ্রাস করলে ছাইও অবশিষ্ট থাকেনা। ১৬ আনাই বিলীন হয়ে যায় ।
মেরিনকে সকল কিছুতে পারদর্শী করে তোলাতে ৬০% অবদান কবিরের। তবে তা কেউ জানেনা। আজও মেরিন কবিরকে বাবা বলে ডাকেনি। কবির আজও ওর অপরাধী ।
নিরার যেদিন হাত-পা ভাঙা হয় সেদিন কবির হসপিটালে রেগেরুগে যায় মেরিনকে এটা বলতে যে নিরার হাত-পা কেন ভাঙা হলো? হাত অথবা পা কেটে দিলে সেতুর বেশি কষ্ট হতো।
আর নীলিমা… নীলিমা মেরিনের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলো। তবে কবির ওর সত্যটা নীলিমাকে জানায়। আর নীলিমা মেরিনকে আপন করে নেয় । এই বিষয়টা মেরিন জানেনা।
}}}
.
নীড় মেরিনকে দেখছে । কিছু ১টা চলছে মেরিনের মাথায় । কিন্তু কি তা ধরতে পারছেনা।
নীড় : এইযে অতৃপ্ত আত্মা…
.
চলবে…
#ঘৃনার_মেরিন 4
part : 29
writer : Mohona
.
নীড় : এইযে অতৃপ্ত আত্মা …
মেরিন : …
নীড় : তুমি কি চুপ থাকার প্রতিজ্ঞা করেছো?
মেরিন : আমার সবকাজেই আপনার সমস্যা ?
নীড় : না সমস্যা না। বাট আমার মনে হচ্ছে তােমার ওই ভয়ানক মাথায় ভয়ংকর কিছু চলছে তাই ভাবছি…
মেরিন : আমাকে নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আপনি আপনার বনপাখিকে নিয়ে ভাবুন…
নীড় : তাইতো ভাবছি।
মেরিন : আমি আপনার বনপাখি নই। তাই আমাকে নিয়ে ভাবারও প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার বনপাখির কথা ভাবুন… খুব শীঘ্রই সে পিতৃহারা হতে চলেছে …
কথাটা শুনে নীড় বেশি অবাক হয়ে গেলো। নিরা পিতৃহারা হবে… এরমানে মেরিন কবিরকে মেরে ফেলবে…
নীড় : মেরিন…
মেরিন : এমন ডাকের মানে কি?
নীড় : কবির বাবা তো কেবল নিরার বাবা নয়। তোমারও । হ্যা তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে ঠিকই । কিন্তু পিতৃহত্যার মতো অসহনীয় পাপটা তুমি কোরোনা…
মেরিন বাকা হাসি দিলো নীড়ের না বোঝাতে …
নীড় : তুমি একদম এভাবে হাসি দিবেনা… এটা বড়ই বিপদজনক।
মেরিন : আমি যখন বলেছি যে নিরার বাবাকে মারবো। তখন মারবো… আপনারও ক্ষমতা নেই ়আমাকে আটকানোর …
বলেই মেরিন শুয়ে পরলো।
নীড় মনে মনে : এমনভাবে নিরার বাবা নিরার বাবা বলছে যেন নিরার বাবা আর ওর বাবা আলাদা… সত্যিই এমনটা নয়তো? বাবাকে তো মেরিন মিস্টার খান ডাকে… তাহলে কি? ছিঃছিঃ… এগুলো ভাবাও পাপ। সেতু আন্টি তো বাবাকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো… তবে কাল সকালেই আমি কবির বাবাকে এমন সুরক্ষিত জায়গায় রাখবো যে কেউ জানতে পারবেনা যে বাবা কোথায় আছে?
.
সকাল হতেই নীড় খান বাড়িতে যেয়ে কবিরকে নিয়ে বেরিয়ে পরলো। গোপনা ১টা জায়গায় নিয়ে গেলো ।
কবির : তুমি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এলে?
নীড় : মেরিনের হাত থেকে বাচাতে…
কবির : মেরিনের হাত থেকে বাচাতে???
নীড় : এতো অবাক হওয়ার কিছুই নেই… কারন আপনি কোনো মহান বাবা নন যে মেরিন আপনাকে মারতে চাইবেনা। জায়েজ আছে আপনাকে মারতে চাওয়া। আপনাকে নিজের বাবা বলেই ডাকেনা। ও ঠিক করেছে যে নিরার বাবাকে মারবে। সো আপনার জীবন আজকে বিপদে। নিজের ওপরই রাগ লাগছে যে কেন আপনাকে রক্ষা করছি। কিন্তু আপনি তো মেরিনের বাবা… তাই এতো বড় কলঙ্কটা আমি ওর ওপর লাগতে দিতে পারিনা… আর তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে রক্ষা করছি…
কবির : যদি ভাগ্যে মৃত্যু থাকে তবে হবে। কিন্তু আজকে আমার ১টা জায়গায় যাওয়া ভীষনভাবে প্রয়োজন… তাই আমাকে যেতে দাও…
নীড় : নো মিনস নো…
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। কবিরকে বন্ধ করে…
কবির : ধ্যাত। এখন আমি বের কি করে হবো? মেরিন তো আজকে জুলহাস আর সোহেলকে শেষ করবেই করবে… মোবাইলটাও তো নীড়ের কাছে… ওই ২জন অপরাধীর শাস্তি আর সেতুর আহাজারী দেখার জন্য যে কবে থেকে অপেক্ষা করে আছি… আমাকে পালাতেই হবে…
তখন কবির ওপরের দিকে তাকিয়ে দেখে বেশ খানিকটা ফাকা জায়গা । ওখান দিয়ে আরামসে পালানো যাবে। কিন্তু অতো উচুতে উঠবে কি করে… কিন্তু উঠতেই হবে।
কবির অসাধ্য সাধন করলো… বের হলো…
.
নীড় আবার খান বাড়িতে গেলো। জানে মেরিন ওখানে যাবে। আর যদি কবিরকে না পায় তবে নির্ঘাত ও তান্ডব করবে। তাই নীড় ওখানে গেলো। গিয়ে দেখে যে সেতু-নিরা নেই…
নীড় : দাদুভাই… ওরা কোথায় ?
দাদুভাই : জন এসে ওদের নিয়ে গেলো।
নীড় : তাহলে কি বাবাকে না পেয়ে ওদেরকে।।
দাদুভাই : কি ওদেরকে?
নীড় : দাদুভাই ও কি ওর শাস্তি মহলেই আছে?
দাদুভাই : সেটা তো বলতে পারছি না?
নীড় : কেন যেন মনে হচ্ছে ও ওর শাস্তিমহলে নেই… আসছি দাদুভাই…
দাদুভাই : কোনো সমস্যা দাদুভাই?
নীড় : না। দেখি মেরিনকে কোথায় পাওয়া যায় ?
.
সেতু : আমাদের এখানে কেন নিয়ে এসেছিস ? মেরে ফেলতে ?
নিরা : ও মারকাট ছারা আর জানে কি ?
মেরিন : তোদের এতোকিছু কে বা কারা ভাবতে বলেছে বলতো? যেখানে আমি আছি তখন তোরা কেন ভাবছিস বলতো ? আমি তোদেরকে মঞ্চ নাটক দেখাতে এনেছি…
নিরা : মঞ্চ নাটক…?
মেরিন : হামমন মঞ্চনাটক। পর্দাটা ওঠানো হোক…
তখন ওদের সামনে থাকা কালো পর্দাটা উঠে গেলো । আর দেখতে পেলো যে জুলহাস আর সোহেল ঝুলে আছে। তাও ভীষন অদ্ভুদ ভাবে। নিচে ফুটন্ত গরম পানি। তার কেবল ২-৩হাত ওপরে ২টা ভিন্ন ভিন্ন তক্তা বা বোর্ড টাইপ কিছুতে জুলহাস আর সোহেলকে দার করানো। সেই বোর্ডটাও ঝুলেই আছে। ওদের পাও বাধা। আর হাতও বাধা। এমনকি ওদের গলতেও দরি। ওদের দারিয়ে থতে অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে। পা পুরে যাচ্ছে… মাথার ওপরও রোদ আছে। ওরা ছারা সবাই ছায়ায় বসে আছে।
নিরা : নানু…
সেতু : বাবা…. সোহেল…
মেরিন : নিরা ডার্লিং… আজকে আমি তোকে তোর বাবার সাথে পরিচয় করাবো।
নিরা : বাবার সাথে পরিচয় মানে?
মেরিন : বাবার সাথে পরিচয় মানে আসল বাবার সাথে পরিচয়। কবির ফয়সাল খান তোর আসল বাবা না। ওই যে ঝুলে আছে। ওইটাই তোর আসল বাবা। সোহেল।
নিরা : কি যাতা বলছিস ? মাম্মি ও কি বলছে এসব?
সেতু : ….
মেরিন : আরে বললাম তো। ওই সোহেল তোর বাবা। মিস্টার খান নয় । তোর শরীরে খান বাড়ির রাজকীয় রক্ত নই। তোর মার মতো তোর শরীরেও ছোটলোক ভিখিরি গুষ্ঠির রক্ত।
নিরা : মাম্মি কি বলছে ও? আমি খান বাড়ির মেয়ে নই? বাবা আমার আসল বাবা নয়?
মেরিন : নো নো & নো…
সেতু : ওদেরকে ছেরে দে । মুক্ত করে দে।
মেরিন : হ্যা মুক্ত করে দিবো। তার আগে তোর মেয়েে ওর বাবার সত্যিটা বল … বল ওর বাবা কে ?
নিরা : বলো মাম্মি… কে আমার বাবা?
সেতু : সোহেল তোর বাবা …
নিরা : কি বলছো কি মাম্মি… ওই লোকটা আমার বাবা?
সেতু : হামমম।
মেরিন : অ… কংগ্রেচ্যুলেশন নিরা।।। তুই আজকো তোর বাবার পরিচয় জানতে পারলি। বাট।।। তোর দুর্ভাগ্যবশত আজই তো বাবা পরকালে চলে যাবে। সো স্যাড… সেই সাথে তোর মায়ের বাবাও…
সেতু : না তুই এমন করবি না মেরিন… প্লিজ এমন করিস না। আমি তোর কাছে হাত জোর করছি…
মেরিন : তুই হাত কেন? শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জোর করলেও আমি শুনবোনা।
সেতু : তুই যে বললি যে তুই মুক্ত করে দিবি।
মেরিন : হামমম। মুক্ত করে দিবো। এই পৃথিবীর মোহোমায়া থেকে মুক্ত করে দিবো। আর মিসেস খান তুই আমাকে এতোটুকু চিনিস না? আমার মুক্ত করা মানে কি সেটা তোর বোঝা উচিত ছিলো …
সেতু : আমার অসহায় বয়ষ্ক বাবাটাকে ছেরে দে। তার এই বয়স দেখেও কি তোর মায়া হচ্ছেনা…
মেরিন : মেরিন হার্টলেস। আর কি বলল অসহায় বাবা? হাহাহা।।। অনেকদিন পর দারুন কৌতুক শুনলাম । টু মাচ ফানি … অসহায়… তাও তোর বাবা? নো নো নো। হি ইজ অ্যা বর্ন ক্রিমিনাল…
সেতু : ছেরে দে… প্লিজ ছেরে দে …
মেরিন : ছেরেই দিবো… তোর শখ ছিলো যে তুই আমার দাদুভাইকে ফাসিতে ঝোলানোর স্বপ্ন দেখতি না তুই… এখন তোর চোখের সামনে তোর বাবা ফাসিতে ঝুলবে। সব বুদ্ধি তো ওই মাস্টার মাইন্ডেরই ছিলো। তাই তো … জন ওদের হাত পায়ের রগ কেটে দাও…
জন : ম্যাম বোর্ডটা…
মেরিন :ওটা আমি গুলি করে সরিয়ে দিবো…
সেতু : না মেরিন না।
নিরা : মেরিন এমন করিসনা…
জন ২জনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিলো …
রক্ত ঝরতে লাগলো। ছটফট করতে লাগলো ২জন। সেতু-নিরা ওদের যন্ত্রনায় আহাজারি করতে লাগলো। কবির ছদ্মবেশে দারিয়ে সবটা দেখছে।
সেতুর কান্না ওকে পৈশাচিক আনন্দ দিচ্ছে…
মেরিন দুই হাতে ২টা গান নিলো। এরপর ২জনের বোর্ডের সাথে জোরা লাগানো দরি গুলো বরাবর একের পর এক গুলি করতে লাগলো। ২হাত দিয়ে ২জনের টা একসাথে সরালো। বোর্ডটা গরম পানিতে পরলো। আর ওরা ফাসির দড়িতে ঝুলতে লাগলো।
সেতু আর নিরার সে কি কান্না … আর ওদের কান্না দেখে বাবা-মেয়ের আনন্দ হচ্ছে… অনেকবেশি আনন্দ ।
.
সারাদিন মেরিনকে খুজে ব্যার্থ হয়ে নীড় বাসায় ফিরলো। দেখে মেরিন বসে বসে কি যেন করছে। আবার ফোনেও কথা বলছে ।
নীড় : তুমি এখানে?
মেরিন : হ্যা আমি। যদিও এখানে অন্যকারো থাকার কথা তবুও আমি …
নীড় খেয়াল করে দেখলো মেরিন কালো রঙের শাড়ি পরে আছে । কয়েকটাদিন ধরে মেরিন সাদা শাড়িই পরে আসছে। তবে আজকে হুট করে আবার কালো? মেরিনকে রিল্যাক্সড লাগছে। এতোদিন পর মেরিনকে আবার অজানা লাগছে ।
মেরিন : যাই হোক আমি আছি আমি নেই… এসব নিয়ে ভাবার অনেক সময় আছে। এখন বলুন কালকে আপনি কোন রঙের স্যুট পরবেন? ব্ল্যাক অর হুয়াইট …
নীড় : কালকে পরবো মানে?
মেরিন : কালকে পরবেন মানে কালকের পার্টিতে …
নীড় : পার্টি ? কিসের পার্টি ?
মেরিন : আমার পার্টি। গ্র্যান্ড পার্টি। আফটার অল মেরিন বন্যার পার্টি। জমকালো না হলে কি হয় ?
মেরিন এতো ঠান্ডা মাথায় কথা বলছে… সেতু আর নিরাকে কি মেরে দিয়েছে কবিরকে না পেয়ে? নাকি কবিরের সন্ধান পেয়ে ওকে মেরেও ফেলেছে … নীড়ের মাথা ভনভন করে ঘুরছে । তারওপর সকাল থেকে কিছু খায়নি… পরে যেতে নিলো… মেরিন খপ করে ধরে ফেলল।
মেরিন : আপনার জন্য প্রকৃতির নিয়মটাই বদলে যাচ্ছে। আসলে গিয়েছেও। স্বামীরা স্ত্রীদেরকে সামলায়… আর আমার বেলায় উল্টা । আপনাকে আমার সামলাতে হয় ।
মেরিন নীড়কে বসিয়ে দিলো।
মেরিন : খাবার নিয়ে আসছি …
নীড় মেরিনকে কোলে বসিয়ে দিলো।
নীড় : ওরে আমার বনপাখিরে … তোমার আর আমার জন্য না পুরো প্রকৃতিই উল্টা । না তোমার মতো কেউ আছে আর না আমার মতো … সকলের থেকে ভিন্ন বলেই আমরা এক। নীড়-মেরিন। বর্ষন-বন্যা …
মেরিন : আপনি আমি আলাদা।
নীড় : সে কি কেন ?
মেরিন : আপনি আমি কখনো এক হতেই পারিনা। আমি সকলের ঘৃণার আর আপনি সকলের ভালোবাসার। না তো আমাকে ভালোবাসা যায় আর না আপনাকে ঘৃণা করা যায়না…
নীড় : আর তাই বুঝি আমাকে এতো ভালোবাসো…
মেরিন : ভালোবাসা মরে গিয়েছে নীড়।। মরে গিয়েছে।।।
নীড় : তাই ? তবে এখন কি আছে শুনি? ঘৃণা…
মেরিন : আমি তো আপনাকে ঘৃণা করার যোগ্যও নই…
বলেই মেরিন উঠে চলে গেলো।
নীড় : বউ পেয়েছি কপাল গুনে… কথা কম রহস্য বেশি বলে।।।
.
পরদিন …
জমকালো অনুষ্ঠান শুরু হলো। গ্র্যান্ড পার্টি যাকে বলে… কবিরকে সুস্থ স্বাভাবিক দেখে নীড় আরও একটু অবাক হলো। পার্টির থিম কালো। সবার কালো পোশাক। সবকিছু কালো । ডেকোরেশনও হয়েছে কালো গোলাপের। এ যেন কালো অন্ধকারের মেলা।
নীড় : বলছিলাম কি মিসেস অতৃপ্ত আত্মা … আজকের খাবারও কি সব কালো ?
মেরিন : অনেকটাই…
নীড় : খাবো কি করে তাহলে আজকে…
মেরিন : অন্যদিন যেভাবে মুখ দিয়ে খাবার খান আজকেও সেভাবেই খাবেন। সিম্পল।
নীড় : কাউল্লা খাবার ক্যামনে খাবো???
মেরিন : ভাষার কি অবস্থা।
নীড় : হুহ… তুমি কি বুঝবে খাওয়ার সুখ? খাবার মানে সুখ-শান্তি-জীবন… আহা …
মেরিন : 😒
.
৩দিনপর…
মেরিন অফিসে বসে কাজ করছে । হুট করে ঘাড়ের মধ্যে কারো স্পর্শ অনুভব করলো। পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড়।
মেরিন : আ…
নীড় : টুকি…
মেরিন : আপনি আমার অফিসে কি করছেন ?
নীড় : তোমাকে বড্ড বেশি মিস করছিলাম। এমনিতেও বসে বসে কোনো কাজ নেই…
মেরিন : আপনি পৃথিবীর প্রথম ডক্টর যে এতো ফ্রি থাকেন।
নীড় : কি করবো বলো দিনে হাজারটা রোগী দেখতে আমার ভালো লাগেনা। স্পেশালদের ভালো লাগে।
মেরিন : এখন আপনি এখান থেকে যান… কাজ না থাকলে বসে বসে মাছি তারান।
নীড় : তুমি ধীরে ধীরে আনরোমান্টিক হয়ে যাচ্ছো । খালি আমার থেকে দূরে দূরে থাকো। কেন বলো তো?
মেরিন : আপনার স্পর্শ আর আপনার উপস্থিতি এখন আমার সহ্য হয়না … তাই। ভেরি সিম্পল …
নীড় : 😂।
মেরিন : হাসছেন কেন?
নীড় : সেইম সেইম … ভাবনা আমারও ছিলো আগে। আর এটা ভেবেই আমার ভীষন করে হাসি পাচ্ছে।
মেরিন : আপনি এখন যান ।। যান এখান থেকে।
নীড় : না আমি যাবোনা। আজকে তোমার সাথেই থাকবো।
মেরিন : জন… জন…
জন এলো।
জন : জী ম্যাম…
মেরিন : থ্রো হিম আউট…
জন তাকিয়ে দেখে নীড় দারিয়ে আছে।
নীড় : হাই মিস্টার শালা…
মেরিন : আপনি কি পাগল হয়ে গিয়েছেন?
নীড় : পাগলের কি আছে? বউয়ের ভাই তো শালাই হয় বলো…
মেরিন : জন … কি বলেছি শুনতে পাওনি? উনাকে বের করে দাও।
জন আরো ১বার ফেসে গেলো।
নীড় : জন এখন তুমি এখান থেকে যাও। নাহলে এমন কিছু দৃশ্য দেখতে হতে পারে যা তুমি দেখতে চাওনা…
জন : 😓।
মেরিন : নীড়কে বের করে দাও।
নীড় : জন চলে যাও…
মেরিন : নীড়কে বের কর।
নীড় : এক্সকিউজ আস…
.
(