#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 26
writer : Mohona
.
মেরিন : 😒…
নীড় মেরিনের দিকে এগিয়ে এলো। মেরিনের গালে হাত রাখলো।
নীড় : খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছিনা তোমাকে…. তুমি আমাকে বিশ্বাস করে নিজের জীবনটা আমার হাতে তুলে দিয়েছিলে। কিন্তু আমি তার মর্যাদা দিতে পারিনি… আম সরি…. কি ভেবেছিলে এমন কিছু বলবো? মোটেও না। সরি বলবোনা। কারন সরি বলার অপশন নেই । আমি রাখিনি… আচ্ছা বিধবাদের মতো সাদা শাড়ি কেন পরেছো কেন? আমি কি মরে গিয়েছি নাকি হামমম? আর কখনো সাদা শাড়ি পরবেনা…
মেরিন : সাদা বৈধব্যের রং কিনা আমি জানিনা। তবে ৭রঙের মিশ্রনে সৃষ্ট এই সাদা রং টা আমার কাছে সব থেকে গাঢ় রং… ঘৃণার মতো এই রংটাও ১টা সত্য। মৃত্যুর সাথে কেবল এই রংটাই সাথে যায়…
নীড় : তোমার কথার জবাবনা অনেক সময় দেয়া সম্ভব হয়না… তবে বুকে গিয়ে বিধে তীরের মতো… না ভেতরে নেয়া যায় আর না বাহিরে বের করা যায়… যাই হোক আমি জানি জন্মদিনে তুমি আম্মুর আরালে তবে আম্মুর সাথে থাকো । আজকে আমরা ২জন আম্মুর সাথে জন্মদিন পালন করবো…
মেরিন : ….
নীড় :কি হলো ? চুপ হয়ে গেলে যে?
মেরিন : কারন এতোদিনের অভ্যাসটা পাল্টাতে হবে।
নীড় : মানে… ?
মেরিন : মানে আম্মুর সাথে আজকে আর দিনটা কাটানো যাবেনা …
নীড় বুঝতে পারলো মেরিনের কথার মানে।
নীড় : তুমিই থাকো। আমি চলে যাচ্ছি…
বলেই নীড় চলে গেলো। ১রাশ হতাশা নিয়ে । সারাদিনে আর ১ফোটা পানিও মুখে দিলোনা।
নীড় : ভুলের পরিমানটা যখন খুব বেশি বেরে যায় তখন ভালোবাসাটা চাপা পরে যায়… গভীর খাদে পরে যায় …. তার ওপর উরে এসে বসে পরে ধুলাবালি… অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় ভালোবাসার… তাই চাপা পরার আগেই কিছু করতে হবে…
.
একটু রাত করেই মেরিন ফিরলো । দেখে নীড় রুমে নেই… তখন মিনি ট্যারেস থেকে গিটারের শব্দ আসছে । মেরিন গেলো। দেখলো নীড় গান গাইছে।
নীড় :
🎤🎵🎶
সে মানুষ চেয়ে চেয়ে
ফিরেতেছি পাগল হয়ে
মরমে জ্বলছে আগুন
আর নেভেনা…
আমায় বলে বলুক
লোকে মন্দ
বিরহে তার প্রান বাচেনা
দেখেছি…
দেখেছি রুপসাগরে
মনের মানুষ কাঞ্চা সোনা ….
পথিক কয় ভেবোনারে
ডুবে যাও রূপসাগরে
বিরলে বসে করো
যোগ সাধনা…
একবার ধরতে পেলে
মনের মানুষ ছেরে যেতে আর দিওনা
দেখেছি…
দেখেছি রুপ সাগরে
মনের মানুষ কাঞ্চা সোনা
ও তারে ধরি ধরি মনে করি
ধরতে গেলেই আর পেলেমনা
দেখেছি রুপসাগরে
মনের মানুষ কাঞ্চা সোনা…
🎤🎵🎶
নীড়ের কন্ঠে কষ্ট শুনে মেরিন পৈশাচিক হাসি দেয়ার কথা। কিন্তু দিতে পারছেনা … কিছু না বলো ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো। তাও ২টা। হয়তো ১টাতো কাজ হবেনা। তাই ২টা খেলো । এদিকে বুকেও আজকে ব্যাথাটা উঠেছে। আর আজকে দিনটা বরাবরই খুব ভারী ছিলো। তাই আজকে ঘুমানোটা একটু বেশিই প্রয়োজন ।
.
২দিনপর…
দাদুভাই : তুমি আমাকে এখানে নিয়ে এলে যে নীড় দাদুভাই…?
নীড় : তুমি আমাকে বলেছিলে যেদিন আমি মেরিনকে ভালোবাসবো সেদিন তুমি আমাকে মেরিন আর আম্মু বৃষ্টিকে কেন ভয় পায় সেটা বলবে… আজকে আমি বলছি… আমি মেরিনকে ভালোবাসি… ভীষন ভালোবাসি… আমাকে কেবল বৃষ্টির রহস্য না… মেরিনের পুরো অতীত জানতে চাই। প্লিজ বলো… মেরিনকে স্বাভাবিক করতে আমার ওর অতীত জানাটা খুব প্রয়োজন । বলোনা প্লিজ…
দাদুভাই : হামম বলবো। তবে ১টা প্রশ্নের উত্তর দাও। ভয় নেই উত্তর না দিলেও আজকে সবটা বলবো ।
নীড় : বলো কি প্রশ্ন ?
দাদুভাই : তুমি কাকে ভালোবাসো? বনপাখিকে না #ঘৃণার_মেরিন কে?
নীড় : দুজন একই দাদুভাই…
দাদুভাই : এক হলেও আকাশ – পাতাল পার্থক্য আছে… তোমার সেই ভালোবাসার বনপাখি আজকে সবার ঘৃণার মেরিন… তাই আমার এটা জানা প্রয়োজন যে তুমি কাকে ভালোবাসো?
নীড় : ২জনকেই। তবে ঘৃণার মেরিনকে বেশি… আর এই ঘৃণার মেরিনকে আমি স্নেহের বনপাখি বানাবো। আবার…
দাদুভাই : দেখা যাবে…
দাদুভাই বলতে শুরু করলো…
.
[
অতীত…
২৯বছর আগে। শমসের খান আর কনিকার বাবা তপন মাহমুদ ছিলো বেস্টফ্রেন্ড । কবির আর কনিকাও ছিলো বেস্টফ্রেন্ড। কয়েকবছর আগে কনিকার মা আর ভাই গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় … এরপর কনিকাই তপনের সব। কবির কনিকা কলেজ লাইফ পর্যন্ত একসাথেই ছিলো। কনিকা মেডিকেলের স্টুডেন্ট হয়ে যায় । কবির-কনিকা যে কলেজে পড়তো তপন সেই কলেজেরই ১জন প্রভাষক ছিলেন ।
কবির বাবার অনেক বাধ্য ছেলে ছিলো। কখনই বাবার কথার অবাধ্য হয়নি…
তপন আর শমসেরের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো যে কবির-কনিকার বিয়ে দেবে।
আর কবির-কনিকা ২জন ভালো বন্ধু হওয়াতে ২বাবা মনে করেছে যে হয়তো তারা সফল হবে।
কনিকা কবিরকে ভালোবাসে। তপন জানে যে কনিকা কবিরকে ভালোবাসে ।
কবির কনিকাকে বন্ধুই ভাবে। তবে কবিরের জীবনে অন্য কোনো মেয়েও নেই ।
.
রাবেয়া : বলছি শোনো না… ছেলে তো নিজের পায়ে দারিয়ে গিয়েছে। এখন কনামাকে বাড়ির বউ করে আনার সঠিক সময়। আর কতোদিন অপেক্ষ করবো বলো তো?
শমসের : ঠিকই বলেছো। আজই কবিরের সাথে কথা বলবো।
রাবেয়া : হামম।।
সন্ধ্যায় কবির অফিস থেকে ফিরলে শমসের ডাক দেয়।
কবির : হ্যা বাবা…
শমসের : ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো। কথা ছিলো…
কবির : হামমম।
কবির নিচে এলো।
কবির : বলো বাবা…
শমসের : আমার তোমার বিয়ে করাতে চাই… কন…
কবির : বিয়ে?
শমসের : হ্যা বিয়ে।
কবির : বাবা এখনই বিয়েনা। আরো কয়েকটা বছর যাক।
রাবেয়া : আর কতো… আমার বুঝি মন চায়না ছেলের বউয়ের মুখ দেখতে?
কবির : মা… বিয়ে করবোনা সেটা তো বলিনি… বলেছি পরে…
শমসের : পরে মানে কি?
কবির : বাবা আনি প্রিপেয়ার নই।
শমসের : তো আমি তো কালই তোমাকে বিয়ে করতে বলছিনা। সব ঠিকঠাক হতেও তো সময় লাগবে। ২-৩মাসতো এমনিতেই চলে যাবে।
কবির : কিন্তু বাবা…
শমসের : আমার ওপর কথা বলবে তুমি?
কবির : বাবা আমাকে ভাবার জন্য একটু সময় দাও।
শমসের : ওকে। ৩দিন দিলাম । তবে ৩দিন পর জবাব যেন হ্যা ই হয়…
কবির রুমে চলে গেলো।
কবির : এখনই বিয়ে? তারওপর বাবা না জানি কারসাথে কার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে …
.
পরদিন…
কবির অফিসে বসে কাজ করছে। তখন সেতু রুমে ঢুকলো। সেতু এই অফিসে কাজ করে। প্রায় ৬মাস ধরে।
সেতু : স্যার আসবো?
কবির : হামমম ।
সেতু ঢুকলো।
কবির : ফাইলের কাজগুলো শেষ?
সেতু : জী স্যার। এইযে।
কবির : হামমম।
সেতু : স্যার আপনাকে এমন লাগছে কেন? অসুস্থ ?
কবির : না।
সেতু : তবে কি কিছু ভাবছিলেন? না মানে রুমে ঢোকার সময় দেখলাম এক ধ্যানে কি যেন ভাবছেন। তাই বললাম আর কি… সরি…
কবির : না আসলে আপনাদের বড় স্যার মানে বাবা… বিয়ের কথা বলছে। যদি ভুল কেউ পরিবারে চলে আসে তবে জানিনা কি হবে?
কথাটা শুনে সেতুর মুখ অন্ধকার হয়ে গেলো ।
সেতু : না স্যার… শমসের স্যার ঠিক মেয়েকেই আনবে।
বলেই সেতু বেরিয়ে গেলো।
সোজা গেলো ওর বাবার কাছে। ওর বাবার নাম জুলহাস। তিনিও এই অফিসেই কাজ করতো। সিকিউরিটি গার্ডের। তবে ৩বছর আগে চুরির দায়ে তাকে বেক করে দেয়া হয়। কবির বা শমসের কেউই জানেনা যে সেতুর বাবা সেই চোর জুলহাস।
জুলহাস নিজের সুন্দরি মেয়েকে অফিসে ঢুকানোর ব্যাবস্থা করে। মেয়ে চাকরি পেয়েও যায়। উদ্দেশ্য ছিলো যে সেতুকে দিয়ে কবিরকে ফাসাবে। আর সেতুকে খান বাড়ির বউ বানাবে। সবকিছু হাতিয়ে নিবে। শমসের কে উচিত শিক্ষা দিবে। কিন্তু কবিরকে ফাসাতে পারেনি…
সেতু : এখন কি হবে?
জুলহাস : যখন সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠেনি। তখন আঙ্গুল বাকাতে হবে। কবির যখন পটেনি তখন ওকে ফাসাতে হবে…
সেতু : কিভাবে বাবা?
জুলহাস ১টা ভিডিও দেখালো। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে শমসের ১জনকে গুলি করে মারছে।
সেতু : সেকি বাবা… শমসের খান খুনি?
জুলহাস : না… সে তো তার বন্দুক দিয়ে ফাকা গুলি করেছিলো। পেছন থেকে গুলিটা করেছি আমি।
সেতু : এটা দিয়ে শমসের খানকে ব্ল্যাকমেইল করবো?
জুলহাস : না… কবিরকে…
সেতু : মানে?
জুলহাস : খুব সহজ… শমসের খানকে ব্ল্যাকমেইল করা যাবেনা। কারন সে জান সত্যটা । কিন্তু কবির জানেনা। আর কবির নিজের বাবাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সেই সাথে নিজেদের ‘খান’ পদবীকেও। ও নিজের বাবার গায়ে কোনো দাগ লাগতে দিবেনা। যাই হয়ে যাকনা কেন।
সেতু : হামমম।
জুলহাস : ১বার কবিরের বউ হয়ে সবকিছু হাতিয়ে নে… এরপর কবিরকে ডিভোর্স দিয়ে তুই তোর সোহেলকে আবার বিয়ে করে নিবি…
.
পরদিন…
কবির : কি ব্যাপার সেতু…? আপনি আমাকে এখানে ডাকলেন যে?
সেতু : এখনই বুঝতে পারবেন…
বলেই সেতু কবিরকে ভিডিওটা দেখালো। আর ভিডিওটা দেখে কবিরের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।
কবির : এটা হতে পারেনা। আমার বাবা কারো খুন করতে পারেনা। এটা মিথ্যা।
সেতু : না মিস্টার কবির। এটা শতভাগ সত্য ।
কবির : এই ভিডিও তুমি কোথায় পেলে?
সেতু : পেয়েছি কোথাও।
কবির : তোমাকে আমি ২০লাখ টাকা দিবো। এই ভিডিওর বদলে।
সেতু : আপনি খুব ভালো বিজনেসম্যান। তাই সওদা খুব ভালোই করতে পারেন। তবে ২০লাখ টাকাতে যে আমার হবেনা ।
কবির : কতো লাগবে বলো?
সেতু : কোনো টাকা লাগবেনা…
কবির অবাক হলো।
সেতু : অবাক হওয়ার কিছু নেই… আসলেই আমার কোনো টাকা লাগবেনা। আমি আপনার বউ হতে চাই…
কবির : সেতু…
কবির সেতুকে থাপ্পর মারলো।
কবির : ছোটলোক… ভাবলেন কি করে যে আমি আপনার মতো ১টা মেয়েকে বিয়ে করবো? যার না আছে বংশপরিচয় আর না আছে খান বাড়ির বউ হবার কোনো গুন…
সেতু : না নেই। তবুও আমি হতে চাই। যদি আপনি আমাকে বিয়ে না করেন তবে এই ভিডিওটা খবরের দেখাবে। বুঝেছেন ?
কবির সিডি প্লেয়ারটা ভেঙে ফেলল। ক্যাসেট টাও ভেঙে ফেলল।
সেতু : আপনি কি ভেবেছেন? ওটা ভেঙে ফেললেই আমি হেরে যাবো? আমার কাছে আরো ১টা আছে। ভাবুন… আপনাকে সময় দিলাম ভাবার… যদি আপনি আমাকে মেরে ফেলেন তবুও আপনার লাভ হবেনা। আমাকে মেরে ফেললে এই ভিডিও টেলিকাস্ট ঠিকই হবে…
কবির চলে গেলো। কোনো পথ খুজে পেলোনা। কতো উপায় খুজলো। কিন্তু ব্যার্থ হলো…ও কিছুতেই নিজের বাবার ওপর আচ আসতে দিবেনা। ও জানে যদি ওর বাবা খুনও করে থাকে তবে হয়তো সেটাও ঠিক। কিন্তু আদালত তো সেটা বুঝবেনা।
.
২দিনপর…
শমসের : গত কালকে তো ৩দিন শেষ হলো। আজকে তোমার ছেলে সিদ্ধান্ত শোনাবে।
রাবেয়া : হামমম। আর শোনো ছেলেটাকে বেশি বকাবকি কোরোনা। ছেলে বড় হয়েছে তো…
শমসের : যতোই বড় হোক… আমাদের কাছে তো সেই ছোট্টটিই আছে। কি বলো?
রাবেয়া : তা ঠিক…
শমসের : কবির এখনও অফিস থেকে ফিরছেনা কেন বলো তো ? জবাব দিতে হবে বলে নিরুদ্দ্যেশ হয়ে গেলো না তো…
রাবেয়া : কি যে বলো। চলে আ…
তখন রাবেয়ার নজর গেলো দরজার দিকে। যা দেখলো তাতে যেন ওর মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।
শমসের : কি হলো তুম…
শমসেরও দরজার দিকে তাকালো। দেখলো। কবির দারিয়ে আছে। পাশে বধুবেশে ১টা মেয়ে …
.
( কবিরের দিকটা শমসের খান জানেনা। আর হ্যা জানি পার্টটা খুব ছোট হয়ে গিয়েছে। আসলে আজকে যে দিবো সেটাই ভাবতে পারিনি। কালকে ১টা বড় পার্ট দিবো। )
চলবে…
#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 27
writer : Mohona
.
কবিরের পাশে বধুবেশে ১টা মেয়ে দারিয়ে আছে …
শমসের কবিরের দিকে এগিয়ে গেলো ।
শমসের : সেতু এভাবে তোমার সাথে কেন? হামম?
কবির : …
শমসের : কিছু বলছি তো নাকি…
কবির : সেতু এখন আমার সসসস্ত্রী বববাবা …
শমসের : কি বললে তুমি? আরেকবার বলো..
কবির : …
শমসের : বলো
কবির : আমি কবিরকে বিয়ে করেছি…
শমসের : বেরিয়ে যাও আমার বাসা থেকে। আজকে থেকে তোমার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই…
কথাটা শুনেই সেতুর মাথায় যেন বাজ পরলো ।
তখন ওখানে তপন আর কনিকা উপস্থিত হলো । দেখে অবাক হলো।
তপন : কি হচ্ছে এখানে?
শমসের : দেখ… তোর আদরের প্রিয় ছাত্র বিয়ে করে এসে দারিয়েছে। তাও বংশপরিচয়হীন অফিসের ১জন স্টাফকে।
কথাটা শুনে যেন কনিকার দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেলো।
শমসের : বেরিয়ে যেতে বল ওকে এ বাড়ি থেকে…
তপন : আহ খান… থাম।
তপন কবিরের সামনে গিয়ে দারালো।
তপন : কবির… তোমার মতো ছেলের কাছে কিন্তু আমরা এটা আশা করিনি… তুমি যদি এই মেয়েটাকে ভালোবেসে থাকো তবে বলতে…
কবির : সসসরি স্যার । আসলে বাবা কোনোদিনও রাজি হবেনা। এটা ভেবেই আমি …
তপন : বাবাকে না বলতে বাট আমাকে তো বলতে পারতে…
কবির : সরি স্যার…
তপন : নাম কি আমাদের বউমার?
কবির : সেতু…
তপন : বউকে নিয়ে ভেতরে ঢোকো।
শমসের : তপন ও এ বাড়িতে ঢুকবেনা । ওর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
তপন : আহ খান… সবসময় মাথা খারাপ করতে নেই… আসো কবির। আসো বউমা…
২জন ঢুকলো। তপন বলল মা-বাবাকে সালাম করতে। কবির-সেতু শমসের-রাবেয়া-তপন কে সালাম করলো।
শমসের : তপন তুই…
তপন : খান। বাচ্চারা যখন বড় হয়ে যায় তখন বাবাদের এতো রাগ করতে হয়না। কবির… সেতুকে নিয়ে ওপরে যাও। আমি খানের সাথে কথা বলছি…
কবির সেতুকে নিয়ে ওপরে গেলো।
.
শমসের : তপন … আম চেয়েছিলাম যে কনামা আমার বাড়ির বউ হোক… আর ছেলেটা…
তপন : আমার মেয়েকে আমি ছিনিয়ে নেয়ার শিক্ষা দেইনি খান । বাবা-ছেলের সম্পর্ক ভেঙে … কারো ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে কখনো আমার মেয়ে কখনো সুখী হবেনা।
শনসের : কনামার কথাটা ভেবেছিস?
কনিকা : আংকেল… কবির আমার বেস্টফ্রেন্ড ছিলো আছে আর থাকবে। আর তাছারাও কবির তো আমাকে কখনো কোনো কমিটমেন্ট দেয়নি… আর আমি কি তোমাদেরও মেয়ে নই…
তপন : বিয়ে যখন হয়েই গিয়েছে তখন আর কিছু করার নেই রে… মেনে নে… কনার ভাগ্যে কবির নেই। তাই ওদের বিয়ে হলোনা। আসলে ভাগ্যের ওপর কিছুই নেই…
কবির সিড়ির ওখান থেকে সবটা শুনলো।
কবির : কনার সাথে আমার বিয়ের কথা বলছিলো বাবা?
.
সেতু : কবির…
কবির : নাম নেবেনা তুমি আমার। ব্ল্যাকমেইল করে বউ হয়ে তো এসেছো … তবে মনে রাখবে এই দরজার বাহিরে তুমি আমার বউ। ভেতরে না…
সেতু : তুমি আমার ব্ল্যাকমেইলটাই দেখলে… আমার ভালোবাসাটা দেখলেনা…
কবির : ভালোবাসা ? হ্যাহ ভালোবাসানা। আমি বেশ বুঝতে পেরেছি… তুমি কেবল আমাদের সম্পত্তির জন্য ।
সেতু : না। তোমাকে ভালোবেসে করেছি…
কবির : ভালোবাসলে বলতে তুমি…
সেতু : কি বলতাম?? বললে কি তুমি আমাকে বিয়ে করতে? তোমার বাবা রাজী হতো? গরীবের ভালোবাসা পূর্নতা পায়না। আর তোমাক আমি খুব খুব খুব ভালোবাসি…
কবির : জাস্ট শাট আপ ।
বলেই কবির বেরিয়ে গেলো।
.
কনিকা একদম ভেঙে পরেছে। বাবার কাছে
লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাবারা সবটা বোঝে।
কনিকা হসপিটাল থেকে বাসায় পৌছে ফ্রেশ হয়ে ছাদে বসে আছে। তখন তপন পেছন থেকে এসে মেয়ের কাধে হাত রাখলো।
কনিকা ঘুরে দেখে যে বাবা দারিয়ে আছে । হাতে ২কাপ কফি ।
কনিকা : আরে বাবা তুমি? বসো..
তপন বসলো। এরপর কফি বারিয়ে দিলো। কনিকা নিলো।
কনিকা : তুমি আবার কষ্ট করতে গেলে কেন?
তপন : মামনি…
কনিকা : হামমম।
তপন : আমি তোমার বাবা হলেও আছি মা হলেও আছি আর বন্ধু হলেও আছি… আমি আমার মনের কথা কাকে বলবো? তোমাকে। তুমি তোমার মনের কথা কাকে বলবে ? আমাকে তো … তাইনা? আমাদের সমস্যা তো আমাদেরকেই সল্ভ করতে হবে। তাইনা ?
কনিকা বাবার বুকে মাথা রাখলো । কান্নায় ভেঙে পরলো।
তপন : মামনি …
কনিকা : বাবা কবিরকে ভালোবাসি বাবা।। হয়তো আমারই ভুল ছিলো। কখনোই বলিনি… কখনো না.. এই টপিক নিয়েই কখনো কোনো কথা বলিনি… হয়তো তাহলে আজকে এতো কষ্ট হতোনা …
তপন : হামম। তবে মামনি… তুমি তো আমার স্ট্রং মামনি … তাইনা?
দিন কাটতে লাগলো । কনিকাও নিজেকে সামলে নিয়েছে। তবে বিয়ে করতে কিছুতেই রাজী হচ্ছেনা …
.
বেশকিছুদিনপর…
তপন অনেক অসুস্থ। হার্ট অ্যাটাক করেছে । হসপিটালে অ্যাডমিট। যথেষ্ট অসুস্থ । ডক্টররা কিছুই বলতে পারছেনা।
কনিকা বাহিরে দারিয়ে কাদছে । তপন শমসেরের সাথে কথা বলতে চায়। তাই শমসের ভেতরে ঢুকে কথা বলছে।
কবির : কান্না কোরোনা। স্যার ঠিক হয়ে যাবে। আর তুমি এমন করে ভেঙে পরলে স্যারকে কে সামলাবে?
কনিকা : …
কবির : তুমি না স্ট্রং গার্ল …
কনিকা : বাবা ঠিক হয়ে যাবে তো কবির ?
কবির : হামমম। তুমি একটু বসো। আমি আসছি .. স্যারের সাথে দেখা করে…
কনিকা : হামম।
তপন : খান… আমি জানি তুই আমার মেয়েটাকে খুব আদর করিস… কিন্তু তবুও…. বাবার মন তো…
শমসের : তুই ঠিক হয়ে যাবি। এতোটা ভেঙে পরলে কি হবে?
তপন : সময় বেশি নেইরে আমার হাতে। তবে আফসোস ১টাই যে… একমাত্র মেয়েটারও বিয়ে যেতে পারলাম না… কি জবাব দিবো স্রষ্টাকে ? মেয়েটা রাজিও হলোনা…
শমসের : সব দোষ আমার ছেলেটাররে… ওর জন্য সব…
তপন : নারে। সবটাই ভাগ্য। এখন কনা কবিরকে ভালোবেসে ফেললে কি হবে? কবির তো বাসেনি… কোনো প্রতিশ্রুতিও তো দেয়নি… আসলে মেয়ে মানুষ তো তাই যাকে ১বার মনে জায়গা দেয় তাকে ভুলতে পারেনা।
শমসের : তুই যতোই কবিরের সাপোর্ট করিসনা কেন… আমি জানি কবিরের জন্যই সবটা হয়েছে। মেয়ের চিন্তায় চিন্তায়ই… তোর এই দশা …
২বন্ধুর সব কথা কবির শুনে ফেলল । ও তপনকে ভীষন ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে। আর কনিকাকেও। হয়তো প্রেমিক হিসাবে না। বন্ধু হিসাবে… নিজের ওপর রাগ উঠলো
অনেক ভেবে ও কনিকার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো কাজী অফিসে।।
কনিকা : তুমি এখানে কেন নিয়ে এলে?
কবির : বিয়ে করতে…
কনিকা : তুমি কি পাগল হয়েছো?
কবির : কনা… স্যারের জন্য। প্লিজ।
কনিকা : কোনোদিনও সম্ভব না। কোনোদিনও না… তুমি বিবাহিত…
কবির : আমি কিছু জানিনা । আমি কেবল জানি স্যারকে আমি এভাবে দেখতে পারবোনা… এই অপরাধবোধ আমাকে মেরে ফেলবে…
কবির জোর করেই কনিকাকে বিয়ে করলো। অনেক ড্রামা হলো। সেতু তুলকালাম শুরু করলো।
কবিরের সামনে পুরোপুরি নিজের খারাপ রূপ প্রকাশ করলো।
.
৬মাসপর…
তপন মারা গেলো। কনিকা একেবারে ভেঙে পরলো। সেতু মা হতে চলেছে। কনিকার অবস্থা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। ডক্টর বলেছে যে হাওয়াবদল করতে। তাই এক প্রকার সেতুর লাথে যুদ্ধ করেই কবির কনিকাকে নিয়ে হাওয়াবদল করতে গেলো। মোটামোটি সুস্থ হলো। ২০-২৫দিন পর ফিরে এলো …
কবির কনিকাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু সেতুর জন্য কিছু করতে পারেনা।
নিরার জন্ম হলো। কবির জানে এটা ওর মেয়ে না… সোহেলের মেয়ে। কিন্তু কিছু করার নেই। নিরার নাম রাখতে চেয়েছিলো মেরিন সেতু রাজী হয়নি… ও রাখলো নিরা।
এরই মধ্যে সবাই জানতে পারলো যে কনিকা মা হতে চলেছে।
সেতু : বাচ্চা নষ্ট করাে কবির…
কবির : না।
সেতু : তোমাকে করাতে হবেই ।
কবির : না বলেছি না। ও আমার সন্তান ।
সেতু : তাহলে তুমি করবেনা তো?
কবির : না।
সেতু : তাহলে আমি এই ভিডিও নিয়ে পুলিশের কাছে যাবো ।
কবির : যাও। আমি আমার বাবার জন্য আমার সন্তানের জীবন কেরে নিতে পারবোনা।
সেতু ভাবলো যে এই অস্র এখন কাজে লাগবেনা।
সেতু : বেশ সন্তানকে আনতে চাইছো আনো। তবে।। তবে তুমি কনিকা আর তোমার ওই সন্তানের থেকে দূরে থাকবে।
কবির : ওরা আমার দায়িত্ব।
সেতু : দেখো কনিকাকে তুমি আমার অনুমতি নিয়ে বিয়ে করোনি। তোমাদের বিয়ে কিন্তু বৈধ নয়। যদি আমি আদালতে যাই… তখন কি কি হতে পারে তা তুমি ভালোমতোই জানো …
কবির : তুমি এতো খারাপ?
সেতু : হামমম। আমার কথা না মানলে তোমার বাবা , তোমার বেস্টফ্রেন্ড আর তোমার অনাগত সন্তান … শেষ।
কবির : বেশ যাবোনা
সেতু : এভাবে বললে হবেনা । গ্যারান্টি লাগবে।
কবির : মানে?
সেতু : কনট্র্যাক্ট পেপার বানাবো। আর সেটাতে তুমি সিগনেচার করবে।
কবির : বেশ করবো…
মেরিন পৃথিবীতে এলো। কনিকা মেরিন নাম রাখলো।
.
৫বছরপর…
শমসের আর কবির অফিসের কাজে ঢাকার বাহিরে গিয়েছে। বাসায় রাবেয়া-সেতু-কনিকা-নিরা-মেরিন…
এরমধ্যেই রাবেয়ার শরীরটা খারাপ করলো। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই রাতের বেলা কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা কনিকা । সেতুও বসে আছে রাবেয়ার পাশে। সেতু অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করেছে। তবে জ্যামে নাকি আটকে আছে। তাই কনিকা ভাবলো যে অ্যাম্বুলেন্সের আশায় না থেকে গাড়িতে করেই রাবেয়াকে নিয়ে যাওয়ার।
কনিকা কবিরকে ফোন করলো। সবটা বলল।
কনিকা : আমি মাকে গাড়িতে করেই হসপিটালে নিয়ে যাই?
কবির : না না।। এটা অনেক রিস্কি । অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষা করো।
কনিকা : কিন্তু…
কবির : কোনো কিন্তু না। আমি আর বাবাও আসছি।
কবির রেখে দিলো। কনিকারও কিছু করার নেই।
অ্যাম্বুলেন্স এখনো এসে পৌছায়নি। আরো নাকি সময় লাগবে। এদিকে রাবেয়ার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই রিস্ক নিয়েই কনিকা ঠিক করলো গাড়িতে করে রাবেয়াকে হসপিটালে নেয়ার। তবে দুর্ভাগ্যবশত রাবেয়ে পথেই মারা গেলো।
কবির খুব অভিমান করলো। এতোদিন সেতুর চাপে পরেই বাজে ব্যাবহার করেছে।
তবে ইদানীং অভিমানের জন্য ।
এভাবেই দিন কাটতে লাগলো।
৪-৫বছর কেটে গেলো । ১দিন কবির জানতে পারলো যে সেতু কনিকা-মেরিনের বিরুদ্ধে কোনো প্ল্যান করছে । কিন্তু কি সেটা জানেনা। তবে এটা জানে যে কনিকা আর মেরিনের জানের ঝুকি আছে ।। তাই কবির উপায় না পেয়ে কনিকার সাথে এমন ব্যাবহার করলো যে কনিকা রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাবার বাড়ি চলে যায় । আর যাওয়ার আগে বলে যায় যে ও এ বাড়িতে সেদিনই ঢুকবে যেদিন কবির নিয়ে আসবে ।
সেদিন বৃষ্টির রাতে শমসেরের কথা কবির পুরোটা শুনেইনি। যাও শুনতো দেখে সেতু দারিয়ে। তাই না শুনেই বেরিয়ে যায়।
যখন সেতুর আড়াল হলো। তখন কি হয়েছে জানার জন্য কবির ছুটে যায়। গিয়ে দেখে শমসের ওখানে । কবির কিছুই বুঝতে পারেনা ঘটনা কি ঘটেছিলো। আজও জানেনা। কেবল জানে যে কোনো ১টা বিপদ এসেছিলো।
মেরিনের বয়স যখন ১৭ তখন নিলয় মেরিনের সাথে অসভ্যতামী করে। মেরিন ওর মাথায় ১টা বারি মেরেছিলো। সেদিন থেকে ভয়ংকরী মেরিনের পথ চলা শুরু হয়।
শমসের নীড়কে সেই বৃষ্টির রহস্যের কথাও বলল।
]
.
সবটা শুনে নীড়ের চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। আজকে নীড়ের মনে হচ্ছে যে মেরিন কোনো ভুলই করেনি। ও যা করেছে সবই ঠিক করেছে।
দাদুভাই : ছেলেদের কাদলে মানায় না দাদুভাই…
নীড় : না দাদুভাই কাদছিনা… ভাবছি। কখনো কখনো কাউকে চিনতে আমরা কতো ভুল করে ফেলি … সবকিছুরই যে ২টা দিক থাকে সেটা ভুলে যাই…
দাদুভাই : হামমম। আর তাই অপরাধ প্রমানিত না হলে কাউকে অপরাধী ঘোষনা নেয়া ঠিক নয়।
নীড় : আচ্ছা দাদুভাই মেরিন তো ভুলের শাস্তি দেয়। তাহলে এদের মতো অমানুষদের কেন বাচিয়ে রেখেছে?
দাদুভাই : দিদিভাই মনে করে যে … ওরা যতোটা না দিদিভাইয়ের অপরাধী তারথেকে অধিক গুন বেশি কনামায়ের অপরাধী … তাই এতোদিন ধরে মায়ের সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
নীড় : কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে যে আম্মু ঠিক হলে ওই নরপশুগুলো মুক্তি পেয়ে যাবে।
দাদুভাই : কেন? এমন কেন লাগছে?
নীড় : আমার মনে হয় আম্মুর মনটা খুবই নরম। তাই সে তাদেরকে ক্ষমা করে দিবে। আর মেরিনকে ওদেরকে শাস্তি দিতে দিবেনা। হয়তো আইনী কোনো ব্যাবস্থা নিবে। আর মেরিনের পক্ষে কোনোদিনও আম্মুর কথার অবাধ্য হওয়া সম্ভব নয়। এতোদিনে এটা বুঝে গিয়েছি।
দাদুভাই : হামমম হয়তো।
.
রাতে…
মেরিন ঘুমের ভান ধরে আছে। আর নীড় মেরিনকে দেখছে।
নীড় মনে মনে : কালকে অনেক বড় ১টা দিন জান… হয়তো একটু রাগ করবে কিন্তু অনেকটা প্রশান্তি পাবে। আমি জানি… তোমার প্রতিশোধ কেবল তোমার নয় আমারও… হামম আমারও…
.
পরদিন…
মেরিন : হ্যালো…
জন : ম্যাম।
মেরিন : হামমম।
জন : ম্যাম বন্দীমহল থেকে মনির আর হসপিটাল থেকে নিলয় উধাও।
মেরিন : হুয়াট?
জন : জী ম্যাম। ওরা কিভাবে বেরিয়েছে? কোথায় দিয়ে পালিয়েছে কোনো ভাবেই জানতে পারছিনা। আর কোথাও ওদের সন্ধানও পাচ্ছিনা।
মেরিন : ফাইন্ড দেম জন। ফাইন্ড দেম। আমি জীবীত মনির-নিলয় চাই। যেভাবেই হোক…
জন : সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ম্যাম….
মেরিন বন্দীমহলে গেলো। ওখানটা দেখতে লাগলো। ওখানে আপেলের বারতি অংশ দেখতে পেলো । যার মানে এখানে কেউ খেয়েছে। মনির এমন অবস্থায় ছিলোনা যে পালাবে। ওকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। মেরিন হসপিটালে গেলো। সেখানে ১টা জুতোর ছাপ দেখতে পেলো।
কিছু ১টা ভেবে মেরিন মোবাইলে চেক করে দেখলো নীড় কোথায় ? নীড়ের গলায় যে লকেটটা পরিয়েছিলো তাতে ট্র্যাকার লাগানো ছিলো।
মেরিন নীড়ের কাছে পৌছালো। দেখলো ওর সন্দেহই ঠিক। ওই মনির-নিলয়কে নিয়ে গিয়েছে। তবে একটু অবাক হলো ওদের অবস্থা দেখে। ও ভেবেছিলো যে নীড় ২জনকে ওর হাত থেকে বাচাতে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানে এসে দেখতে পেলোযে ওদের শরীরের অর্ধেকটা মাটির নিতে আর বাকীটা ওপরে…
নীড় : আমি জানতাম যে তুমি ঠিকই পৌছে যাবে আমার কাছে। যেভাবেই হোক…
মেরিন পাশ ফিরলো। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। কালো পোশাক পরে…
.
চলবে…