ঘৃণার মেরিন সিজন ৪(পর্ব ১)

0
1017

#ঘৃণার_মেরিন 4
part : 1
Writer : Mohona

.

ডক্টর : দেখুন আমরা তো আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি…
মেরিন : ওহ রিয়েলি…. এটাকে সাধ্যমতো চেষ্টা বলে…? আপনারা এমন চেষ্টাই করছেন যে ১৫বছর ধরে ফলাফল শূন্য… কি দারুন চেষ্টা আপনাদের…. গ্রেট। তাইনা…
ডক্টর : দেখুন মানসিক রোগীকে সুস্থ করার জন্য মেডিকেল ট্রিটমেন্টই প্রধান হয়না… নিয়ম করে মেডিসিন খেলেই কেউ সুস্থ হয়ে ওঠেনা…. এটা আগে এতোদিন আপনার দাদুভাইকে বলেছি… আর এখন আপনাকেও বলছি…
মেরিন : তো কি করবো আমি? মিস্টার খানকে আমার আম্মুর এখানে আসতে বলবো?
ডক্টর : ভালো হয় তিনি এলে…
মেরিন : না তো সে আসবে আর না তো আমি তাকে আসতে বলবো…
ডক্টর : তাহলে হয়তে আপনার অপেক্ষার পাল্লা ভালো হবে…
মেরিন : আমি আমার আম্মুকে বিদেশ নিয়ে যাবো।
ডক্টর : পৃথিবীর সেরা হসপিটালে নিয়ে যান। লাভ হবেনা। আপনার দাদুভাই তো তাকে লন্ডন নিয়ে গিয়েছিলো। এতে ফলাফল আরো খারাপই হয়েছে ভালোনা। আর তাকে এখান থেকে কোথাও শিফ্ট করা হলে সে অসুস্থ হয়ে পরে। এন্ড ইউ নো দ্যাট…
মেরিন : আমার মনে হচ্ছে আমি কিছুই জানিনা… আপনারা আপনাদের ডাক্তারি পেশা বাদ দিয়ে কোনো হোম টোম চালান… যেটা আপনাদের দ্বারা হয়ই না… হচ্ছেই না… সেটা করছেন কেন বলুন তো… ডক্টরস আর জাস্ট ইউজলেস…
ডক্টর : দেখুন মিস খান… কাইন্ডলি আমার পেশা কে অপমান করবেননা…
মেরিন : করলে কি করবেন???
ডক্টর : আমি তো কিছু করার কথা বলিনি… আমি জাস্ট অনুরোধ করছি… যাইহোক… ১জন নতুন সাইকিয়াট্রিস্ট এর সম্পর্কে জেনেছি… তাকে এখন আমাদের জগতে ইয়ং স্টার বলে… সে অল্প সময়ে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। ভীষন মেধাবী…
মেরিন : আপনি এমনভাবে তার প্রশংসা কেন করছেন? আমি তাকে বিয়ে করবো?
ডক্টর : না না সেটা বলিনি… আসলে সেই ডক্টরটা মিসেস খানের মতো ৩টা কেইস সল্ভ করেছে। হয়তো তিনি চেষ্টা করলে মিসেস খানকে সুস্থ করতে পারবেন…
মেরিন : তো কোনো শুভলগ্নের অপেক্ষায় না থেকে তার সাথে যোগাযোগ করুন…
ডক্টর : সেটারই চেষ্টা করছি…
মেরিন : এখানেও চেষ্টা … দ্যাট মিনস আরো ১৫ বছর।
ডক্টর : নো নো… আসলে ডক্টরটা অনেক মুডি…. সেটাই করে যেটা করতে তার মনে চায়…
মেরিন : আমি আর কিছু শুনবো না… আই হেইটা দ্যা ওয়ার্ড ‘নো’ … সো আগামী ৩দিনের মধ্যে যেন তাকে এখানে আনা হয়… যতোটাকা লাগে। আর যদি না আনতে পারেন তাহলে তার নাম ধাম ঠিকানা দিন… কালকেই হাজির করবো…
ডক্টর : নো নো… আমরাই আনিয়ে নিবো…
মনে মনে : ডক্টরটা যে সাইকো .. যদি এই মেরিন বন্যা খান তাকে তুলে আনে এখানে… তবে সে চিকিৎসা করা তো দূর… উল্টা বাই চান্স যদি জানে আমি তার নাম বলেছি… তো তো আমি শেষ। আর ওই ডক্টর যদি মিসেস খানকে সুস্থ না করে তবে এই মেরিন বন্যা খান তো আমাকে ওপরে পাঠিয়ে দিবে…

মেরিন : ওকে…
ডক্টর আবুলের মতো ১টা হাসি দিলো।
মেরিন : বাই দ্যা ওয়ে… তার নাম কি?
ডক্টর : সামথিং আহমেদ চৌধুরী…
মেরিন : ওকে… ৩দিন পর দেখা হচ্ছে…
ডক্টর : 😅।

( মেরিন… নাম তো শুনেছেনই… মেরিন বন্যা খান… নায়িকা। )

.

মেরিন ডক্টরের রুম থেকে বেরিয়ে এলো… তখন দেখলো ওর মা কনিকাকে দেখতে পেলো। কোলে ১টা পুতুল নিয়ে এদিক সেদিক ছুটছে আর খিলখিল করে হাসছে। এই মেন্টাল অ্যাসাইলাম থেকে অন্যকোথাও নিলে ও মায়ের মুখে এই হাসিটা দেখতে পায়না। তাই তো এখান থেকে শিফ্ট করেনা। এই জায়গাটার সাথে ওর মা কনিকার বেশ স্মৃতি জরিয়ে আছে। কারন কনিকা ইন্টার্নির পর এখানে জয়েন করেছিল…

মেরিন এগিয়ে যেতে নিয়েও আবার ফিরে আসে। কারন ওকে দেখেই হয়তো কনিকা পালাবে…

কিছু না ভেবে মেরিন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।

.

হাই ভলিউমে গান বাজিয়ে প্রচন্ড স্পিডে ড্রাইভ করছে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন … 😴

গানের সাথে নীড়ও তাল মিলিয়ে গাইছে…

নীড় :
I’m at a party I don’t wanna be at

And I don’t ever wear
a suit or tie , yeah…

wnderin if I…..
……..

cause i don’t care when
i’m with my baby…

ওদিকে মেরিনও ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে। সেই সাথে ওয়াইনও খাচ্ছে মাঝে মাঝে। গ্রামের পথ। তাই তেমন চওড়া নয়। সরু… তবে ২টা গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে। মেরিনের গাড়ির স্পিড নীড়ের গাড়ির স্পিডের থেকেও বেশি। তাই অল্প সময়ে নীড়ের গাড়ির নাগাল পেলো । মেরিন হর্ন বাজালো… নীড় শুনলো না। মেরিন ননস্টপ হর্ন দিতেই লাগলো। নীড়ের কানে পৌছালো।

নীড় : হর্ন…
নীড় লুকিং মিররে দেখলো মেরিনের গাড়ি।
নীড় : আমাকে হর্ন দিচ্ছে। আবার আমার গান শোনার মধ্যেও ব্যাঘাত ঘটালো। তবে তারথেকেও বড় কথা … আমার নাগালের মধ্যে এলো কিভাবে। বাহ অনেক স্পিড তো? কে এই গাড়ির মালিক? দেখতে হয় তো….

তবে নীড় দেখতে পেলোনা মেরিনকে। ওদিকে মেরিনতো হর্ন বাজিয়েই যাচ্ছে।
নীড় : আচ্ছা স্টুপিড তো। হর্ন দিয়ে দিয়ে কানের মাথা খেয়ে ফেললল… নো নো নো… এর শাস্তি তো তােমাকে পেতেই হবে… চলো রেস করি….

নীড় অল্প একটু সাইড দিলো। মেরিন যেতে নিলে নীড় আবার মেরিনের গাড়ির সামনে চলে এলো।
মেরিন বামে গেলে নীড়ও বামে যায়। আর মেরিন ডানে গেলে নীড়ও ডানে যায়।

নীড় : ওয়াও নাইস গেইম। ঢারা পর্যন্ত এভাবেই যাবো। হাউ গ্রেট আই অ্যাম …
কিন্তু মেরিনের মেজাজ তো মহা খারাপ হয়ে গেলো।

মেরিন : এর কি মরার ভয় নেই যে এ মেরিন বন্যা খানের সামনে আসছে…. জানেনা যে আমি এর সাথে কি করতে পারি… আমার সাথে কোন সাহসে গেই খেলছে… হাও ডেয়ার হিম…

মেরিন আরো বাজালো। বাট জনাব নীড় তো নীড়ই…

মেরিন : ওকে… খেলেটা শুরু করেছো তুমি মিস্টার অর মিসেস হুয়াটএভার…
মেরিন গাড়ির স্পিড কিছুটা কমিয়ে ব্যাকে নিলো ।

নীড় : হেই ভয় পেয়েছে… মনে ঘুরে যাবে…. মজা পেলাম খেলাটায়।।। টু মাচ ভীতু…
তবে নীড়ের ধারনা ভুল প্রমান করে মেরিন ২গুন স্পিডে এগিয়ে এসে নীড়ের গাড়ির পিছনে লাগালো ধাক্কা…
নীড় : ওহ শীট…
প্রচন্ড বেগ নিয়ে এসে আঘাত করায় নীড়ের গাড়ি ওর নিয়ন্ত্রনের কিছুটা বাহিরে চলে গেলো আর অনেকটাই মেরিনের নিয়ন্ত্রনে চলে গেলো। এরপর মেরিন নীড়সহ ওর গাড়িটাকে অগভীর ফাদে ফেলে দিলো…

ফেলে মেরিন গাড়ি থেকে নামলো।
মেরিন : আই ডোন্ট নো হু আর ইউ…. বাট মেরিন বন্যা খানের পথের সামনে এলে এমনটাই হয়…সো ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু প্লে গেইম উইথ মেরিন বন্যা খান…

বলেই মেরিন চলে গেলো।

.

নীড় কোনোরকমে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এলো। একে রাত তারওপর অমাবস্যা… চারদিক অন্ধকার। তারওপর নীড়ের গা ভরতি কাদা। নীড়ের রাগ সাংঘাতিক বারছে…
নীড় : মেরিন বন্যা খান …আই উইল সি ইউ…
তখনই দেখলো কেউ ১জন বাইক নিয়ে আসছে… সেটা দেখে নীড় বাকা হাসি দিলো। জোর-জুলুম করে বাইকটা নিয়ে নিলো। আর যেতে যেতে
বলল : এখানেই দারিয়ে থেকো না হয় গুটি গুটি পায়ে সোজা এগিয়ে এসো । কাজটা হলে বাইক দিয়ে দিবো।

নীড় সর্বোচ্চ গতিতে বাইক চালাচ্ছে….
নীড় : মিস হুয়াটএভার খান…. কোথায় আপনি….

নীড় দেখতে পেলো মেরিনের গাড়ি ।
নীড় : হেয়ার ইউ আর…

নীড় বাইক নিয়ে যেয়ে একেবারে মেরিনের গাড়ির সামনে থামালো। মেরিন কোনোরকমে ব্রেক চাপলো। সংঘর্ষত হতে হতে বেচে গেলো। নীড় আশেপাশে দেখে নিলো কোনো কাদা টাদা আছে কিনা। না নেই….

মেরিন ক্ষেপে গাড়ি থেকে নামলো। আর নীড় স্টাইল মেরে বাইক থেকে নামলো…
মেরিন : ইউ….
মেরিন নীড়ের সামনে যেতেই নীড় মেরিনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। উদ্দেশ্য মেরিনের গায়ে কাদা ভরিয়ে দেয়া…. মেরিন নীড়ের হাটু বরাবর দিলো একটা লাথে …
নীড় খানিকটা পিছে সরে গেলো…. এরপর মেরিন ঠাস করে নীড়কে ১টা থাপ্পর মারলো…
এরপর নিজের গানটা নীড়ের কপালে ঠেকাল।
মেরিন : হাউ ডেয়ার ইউ টু টাচ মি।। নীড় মেরিনের চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলো…

নীড় : কেন আপনি কোহিনুর … যে আপনাকে টাচ করা যাবেনা… দেখে তো মনে লেডি মাফিয়া… ভয় পাইনা আপনার খেলনা পিস্তলে… আর তাছারাও খেলাটা আপনি শুরু করেছেন তাই শেষ আমি করলাম। যদিও আপনার মতো মেয়ে জরিয়ে ধরা তো দূরের কথা টাচ করার ইচ্ছাও আমার নেই… বাট দুর্ভাগ্যবশত এখানে কাদা টাদা নেই যে আপনাকে কাদায় ডুবাবো। তাই যেই কাদায় একটু আগে আমাকে ডুবিয়েছিলেন সেই কাদাই আপনার শরীরে ভরিয়ে দিলাম । সিম্পল। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের পেছনে লাগা আর বিদ্যুৎ কে হাতে ধরা একই…

‘নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন’ …. ‘আহমেদ চৌধুরী’ …

নীড় নিজের ডায়লগ মেরে চলে গেলো। লোকটাকে বাইক ফেরত দিতে।

মেরিন গানটা নীড়ের পেছনে তাক করলো…

মেরিন : নো নো নো… তারাতারির কাজ বোকার… হ্যালো জন…

জন : হ্যা ম্যাম বলুন…
মেরিন : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন …
জন : কি করতে হবে ওর…
মেরিন : সাইকিয়াট্রিস্ট অর নট….? ইয়েস হোক অর নট হোক… ব্রিং হিম টু মি… ইউ হ্যাভ ২৫আওয়ার্স…
জন : ওকে ম্যাম…

.

পরদিন…
দুপুর ১টা …
নীড়ের ঘুম ভাঙলো।
নীলিমা : নীড়… এই নীড়। আর কতো ঘুমাবি…
নীড় : উঠে পরেছি মামনি….
নীলিমা : খুব তারাতারি উঠেছিস… বলি এমন ঘুমন্ত ডক্টরের কাছে কোন রোগী আসবে শুনি?
নীড় : না আসলে নেই। মন চেয়েছে ডক্টর হয়েছি … এরমানে তো আর এটা না যে দিনে হাজারটা রোগী দেখতে হবে… যে আসবে সে মোস্ট ওয়েলকাম…
নীলিমা : এখন দয়া করে কিছু খেয়ে উদ্ধার করো…. তোমার বনপাখির সাথে কথা বলো…

বলেই নীলিমা নিচে নেমে এলো।

নীলিমা : সারারাত জেগে ওই শাকচুন্নির সাথে ফোনে প্রেম করবে আর দিনেরবেলা চোরের মতো ঘুমাবে।

.

একটুপর…
নীড় নিচে নেমে এলো। ব্রেকফাস্ট করছে। তখন কোথায় থেকে ১দল কালো পোশাকধারী লোক এসে হাজির হলো। নীলিমা তো দেখেই ভয় পেয়ে গেলো…
নীড় : আপনারা কারা? কি চান এখানে….?
জন : আপাদত আপনাকে চাই… চলুন…
বলেই জন দহনের মুখের সামনে ক্লোরোফর্ম স্প্রে করলো। কারন জন ভালোমতোই জানে যে বেহুশ না করলে নীড়কে নেয়া সম্ভব না। আর নীড়কে না নিলে মেরিন ওকে শেষ করে দিবে…

নীলিমা : আরে এই… তোমরা আমার ছেলেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো … এই … দারাও… এই শোনো…

ওরা নীড়কে নিয়ে চলে গেলো। নীলিমা চিন্তায় দিশেহারা হয়ে গেলো। নীলিমা নীড়ের বাবা নিহালকে ফোন করলো…

.

২ঘন্টাপর …
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো…
মেরিন : অনেক সময় নিলেন মিস্টার আহমেদ চৌধুরী হোশে আসতে…
নীড় চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে মেরিন দারিয়ে আছে। সবুজ আকাশী রঙের লেডিস শার্ট আর সাদা রঙের লেডিস জিন্স পরা। উচু করে ঝুটি করা… হাতে গান…
নীড় : ইউ…
বলেই নীড় উঠতে নিলো। কিন্তু উঠতে পারলোনা। কারন হাত-পা বাধা… তাও অদ্ভুদভাবে। অথচ এতোক্ষন তো ছিলোনা। যেই উঠতে গেলো অমনি এগুলো কোথায় থেকে এলো।

মেরিন : এটা মেরিনের অন্ধকার রাজ্য । মেরিনের শাস্তিপুরী… এখানে আমার ইচ্ছাই শেষ ইচ্ছা।
নীড় : আমাকে এখানে ধরে আনার কারন কি? কালকে জরিয়ে ধরার শাস্তি…?
মেরিন : মেরিন বন্যা খানকে জরিয়ে ধরার শাস্তি মৃত্যুদন্ডও হতে পারতো। বাট বাট বাট…
নীড় : বাট হুয়াট…
মেরিন : মেরিন বন্যা খান কখনো কাউকে জবাব দেয়না…
বলেই কিছু কাগজ নীড়ের দিকে এগিয়ে দিলো।
মেরিন : সিগনেচার প্লিজ…
নীড় : সিগনেচার?
মেরিন : ইয়েস সিগনেচার… আপনি এখন থেকে আমার আম্মুর পারসোনাল ডক্টর হবেন… যতোদিন না আমার আম্মু সুস্থ হবে ততোদিন আপনি কেবল আর কেবল আমার আম্মুরই চিকিৎসা করবেন…সেটার অ্যাগ্রিমেন্ট।
নীড় : হুয়াট ? আমি এটাতে সিগনেচার করবো…. এটা আপনি ভাবলেন কােন সাহসে….
মেরিন হাহা করে হেসে উঠলো..
মেরিন : সাহস…. সাহস …. সাহসের সাথে মেরিন বন্যা খানের সম্পর্কটা বেশ নিবিড় … ইটস মাই বেস্টফ্রেন্ড…. সিগনেচার করুন…

.

চলবে….???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here