#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#আলো_ইসলাম
১৭.
— ছুটির কথাটা শুনে তাশরিফ প্রস্থান করে সেখানে থেকে। বাকি কথাগুলো শোনার মতো সাহস বা ধৈর্য তার নেই।
— আমার কথাটা বোঝার চেষ্টা করো ছুটি! রোহানের কথায় ছুটি চোখ মুছে নিজেকে স্থীর করে বলে বলুন।
— একটা কথা ভেবে দেখো, সব কিছুর মধ্যে আমরা কিন্তু আসিফকেই খুঁজে পাচ্ছি৷ অন্য কারো নাম বা অন্য কেউ এই কেসের সাথে নেই বা আসছে না। আসিফ যদি নিজ ইচ্ছায় আমাদের সামনে না আসতো আর এতসব ঘটনা না হতো তাহলে আমরা কখনো রিয়েলাইজই করতে পারতাম না যে এখানে কাছের কেউ থাকতে পারে। রোহানের কথায় সবার ভ্রু কুচকে আসে। ছুটি বোঝার চেষ্টা করে রোহানের কথাটা।
– আমার কথা তোমরা বুঝোনি তাই তো? রোহানের প্রশ্নে আবির বলে একটু ক্লিয়ার করো প্লিজ।
– দেখো আবির,অনেক সময় আমরা যেমন ভাবি তেমন কিছুই থাকে না আর যেটা ভাবতে পারিনা সেটাই ঘটে থাকে৷ আই মিন সব দেখা সত্য হয়না৷ দেখার মধ্যেও অনেক ফাঁড়াক থাকে আমাদের। আমি তো একজন এডভোকেট তাই আমি এইটা ভালো জানি বা বুঝি বলতে পারো৷ আমার তো মনে হচ্ছে সব কিছুর পেছনে আসিফই আছে। সেদিন আসিফ যখন বাসায় আসে তখনই ওকে দেখে সুবিধার লাগেনি আমার৷ তাছাড়া ও ছায়ার দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলো বারবার। তোমরা ব্যাপারটা নোটিশ করেছো কি-না জানি না, বাট আমি দেখেছি। আমার তো মনে হচ্ছে আসিফ কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরে ছুটিকে ডাকে। এরপর প্রমাণ গুলো দিয়ে ব্রেন ওয়াশ করতে চেয়েছে আমাদের। কারণ শুধু আমরাই বিশ্বাস করি ব্রো নির্দোষ। আর আমরা যে এটা নিয়ে ভাবছি এটাও আসিফ বুঝতে পারে। খুব বড় মাপের খেলোয়াড় মনে হচ্ছে আসিফকে।
— তাশরিফ কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো আমাদের। মনে হচ্ছে ও আমাদের সত্যিটা বলতে চাই এবার। তাশরিফের কথাগুলো তোমার শোনা উচিত ছিলো ছুটি। ছুটি অসহায় চোখে তাকায়৷ তার মানে সে ভুল ভাবছিলো এতখন৷ সত্যি কি এমন কিছু হচ্ছে৷ তাশরিফ ভাইয়া নির্দোষ, সব কিছুর পেছনে কি আসিফই আছে? মাথার মধ্যে ভনভন করে উঠে ছুটির৷ দুই হাতে চেপে ধরে মাথা। আর ভাবতে পারছে না৷ ভুল করে ফেলেছে সে। তবে তাশরিফকে তো এই বিষয়ে কিছু বলেনি এখনো। কি বলতে চাই তাশরিফ এখন শুনবে ছুটি। ছুটির চোখ দুটো চকচক করে উঠে। মুখে হাসি এনে রোহানের দিকে এক প্রকার তেড়ে এসে রোহানের দুটো গাল ধরে টেনে দেয় ছুটি ।
– ধন্যবাদ উকিল সাহেব। আপনি না বললে সত্যি আমি একটা ভুলের মধ্যে থেকে যেতাম৷ আমি তো এইভাবে ভাবিনি কথাগুলো। কি না একটা বোকামি করতে যাচ্ছিলাম। থাংকু থাংকু বলে একটু জোরে গাল টিপে দেয় ছুটি। ওর কান্ডে সবাই হতবাক। ছায়া শব্দ করে হেসে দেয়। আবির মুখ চেপে হাসে। আর এদিকে রোহানের অবস্থা হযবরল।
– আমি আসছি, ছুটি বেরিয়ে যায় এক ছুটে।
– এটা কি হলো? রোহান বিস্ময়কর চাহনি।
– আপু বেশি উত্তেজিত হয়ে আপনাকে ধন্যবাদ প্রকাশ করলো আর কি। ছায়া বলে মুচকি হেসে।
– আচ্ছা ও গেলো কোথায়? আবির বলে ভ্রু কুচকে।
– মনে হয় তাশরিফ ভাইয়ার কাছে। চলেন আমরাও যায়। ছায়ার কথায় সবাই বেরিয়ে আসে ঘর থেকে।
– ছুটি সোজা তাশরিফের ঘরে আসে। কিন্তু তাশরিফ ঘরে নাই। ছুটি ওয়াশরুম, বারান্দায় হন্নি হয়ে খুঁজে হতাশ হয়। এর মধ্যে বাহিনী হাজির হয় সেখানে।
তাশরিফ ঘরে নেই? আবির বলে।
– নাহ! হতাশ হয়ে বলে ছুটি। আবির বাড়ির দারোয়ানকে ডাকে উপরে।
– তাশরিফ কি বেরিয়েছে একটু আগে?
– না তো সাব! ছোট সাব তো বাড়ি থেকে বের হয়নি ছুটি আপারে আনার পর। দারোয়ান বলে।
– আচ্ছা তুমি যাও। ছুটি বলে।
– তাশরিফ ভাইয়ারে খুঁজছেন? তিনি তো ছাদে গেলো দেখলাম। কাজের মেয়েটা বলে।
– ছুটি আর এক মুহুর্ত দাঁড়ায় না। সোজা ছাদে দৌড় লাগায়।
– আমরা একটু পরে যায়? ছায়া বলে ওদের থামিয়ে।
– কেনো? রোহান জিজ্ঞেস করে।
— আপাই আগে কথা বলে নিক ভাইয়ার সাথে এরপর আমাদের ডাকলে আমরা যাবো।
– ছায়ার কথাটা ভেবে দেখে আবির আর রোহান৷ এরপর ওরা ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসে।
— ছুটি গিয়ে তাশরিফের পেছনে দাঁড়ায়। ছুটে যাওয়ার কারণে হাঁপিয়ে গেছে অনেক। ছুটি হাঁটুতে হাত রেখে ভড় দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে তুমি এখানে।
– ছুটির কথায় তাশরিফ ঘুরে তাকায়। ছুটিকে হাঁপাতে দেখে বিস্মিত হয়ে বলে কি হয়েছে, এইভাবে হাঁপাচ্ছো কেনো?
– কিছু না৷ দৌড়ে এসেছি তাই একটু। ছুটি কথাটা বলতে দুইবার থামে৷ অনেকদিন পর একটা দৌড়ে প্রতিযোগিতা হলো যেনো তার।
– তাশরিফ ঘুরে দাঁড়ায় আবারও পকেটে হাত রেখে।
– তুমি এখানে কেনো? তাশরিফ বলে গম্ভীর কণ্ঠে।
– তুমি না কি বলবে বলেছিলে! সেটা শোনার জন্য তো আসলাম। তাশরিফ তাচ্ছিল্যের হাসি দেয় একটা। তবে ছুটির অগোচরে।
– কি হলো চুপ কেনো বলো? ছুটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে।
– কি বলবো? তাশরিফের অভিমান প্রকাশ পাই ছোট বাক্যে তবে ছুটি সেটা উপলব্ধি করতে পারে না।
– কি বলবে মানে! ছুটি তাশরিফের কাধে হাত রেখে তার দিকে ফেরায়।
– তুমি সবাইকে বলেছো তুমি কিছু একটা বলতে চাও আমাদের, এমনকি আমাকেও বলেছো। কি একটা ইমপোর্টেন্ট কথা বলার আছে আমাদের
এখন বলো সেটা।
— তাশরিফ হাসে। যেটা দেখে ছুটি ভ্রু কুচকে তাকায়।
– বলার অনেক কিছু ছিলো সত্যি,কিন্তু এখন সব হারিয়ে গেছে৷ আমার মধ্যে আর কোনো কথা অবশিষ্ট নেই ছুটি । তুমি চলে যাও এখান থেকে। আমি একটু একা থাকতে চাই৷ বেশ স্বাভাবিক ভাবে কথাগুলো বলে তাশরিফ। ভীষণ অভিমান জমা হয়েছে তার মধ্যে। নিয়তি বারবার তাকে নিয়ে খেলা করছে।
— দরজার আড়ালে তুমি ছিলে তাই না? হঠাৎ ছুটির এমন কথা শুনে ঘাবড়ে যাওয়া ফেসে তাকায় তাশরিফ। আমরা যখন কথা বলছিলাম তখন একটা ছায়া সরে যেতে দেখি দরজার পাশ থেকে। যদিও তখন এতটা খেয়াল করিনি বা ভাবিনি বিষয়টা নিয়ে কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ওইটা তুমি ছিলে।
– তাশরিফ আবারও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
– কি বলছো এইসব। আমি কখন কোন দরজার আড়ালে ছিলাম? তাছাড়া তোমরা কি কথা বলছিলে না বলছিলে আই ডোন্ট কেয়ার। সাথে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে তাশরিফের।
— আমার দিকে ঘুরো! ছুটির কথায় তাশরিফ আবারও ঘুরে দাঁড়ায়।
— আইম সরি! সত্যি আমি অনেক বড় ভুল করেছি কিছু সময়ের জন্য আমার বিশ্বাস থেকে সড়ে গিয়ে। তবে আমি আমার ভুলটা আবার বুঝতেও পেরেছি। আমার মন বলছিলো এটা সত্যি হতে পারেনা তাই তো তোমার কাছে ছুটে আসলাম সত্যিটা জানতে। তুমি কি এবারও ফিরিয়ে দেবে আমায়? নিদারুণ অবেদনীয় বাক্য যেটা উপেক্ষা করার সাধ্যি যেনো কারো নেই।
– আমার কিছু ভালো লাগছে না ছুটি প্লিজ লিভ। নিজেকে আবারও কঠিন দেখানোর প্রচেষ্টা তাশরিফের।
– আজ আমি সব সত্যি না জেনে কোথাও যাবো না। আমি জানি তুমি সব কিছু বলতে চেয়েছিলে আজ কিন্তু আমার বোকামির জন্য, ছুটির মধ্যে অপরাধী ভাব।
– তাশরিফের বুক ভরা হতাশার দীর্ঘশ্বাস।
– আমার ভাগ্যটাই এমন, তোমার কোনো দোষ নেই ছুটি । সঠিক নিয়মে কোনো কিছুই হয়নি আমার জিবনে। না নিজে ভালো থাকতে পারলাম আর না কাছের মানুষ গুলোকে ভালো রাখতে পারলাম৷ জানো ছুটি, ইলহামকে খুব ভালোবাসতাম আমি৷ প্রথম দেখায় তার যে মায়ায় ডুবেছিলাম আমি সে মায়া কখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। একসাথে পথ চলার প্রয়াসে এক হলাম আমরা৷ কিন্তু দেখো কি পরম সৌভাগ্য আমার, সেটা স্থায়ী হলো না। আবার আমার প্রিয় মানুষটার, খু’নের জন্য আমি দায়ী হয়ে আছি গোটা পৃথীবির কাছে। আমি কাউকে বলতে পারিনি আমি কিছু করিনি, আমি আমার প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে আমার কষ্ট হচ্ছে, আমার একটু শান্তনা দরকার আমি বলতে পারিনি।
– কয়টা প্রমাণ আর আমার উন্মুক্ত স্বীকারোক্তি সবকিছু সত্যি হয়ে দাঁড়ালো সবার কাছে। আসল সত্যটা কেউ বোঝার চেষ্টাই করলো, কেউ বুঝলো না আমি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়েছি, আমি আমার অর্ধাঙ্গিনীকে হারিয়েছি। আমারও কষ্ট হয় আমিও মানুষ! তাশরিফ কান্নায় ভেঙে পড়ে কথাগুলো বলে। ছুটির দম বন্ধ হয়ে আসছে। চোখ ভরে পানি চলে আসে তারও। ছাদের দরজার পাশে তিনজন দাঁড়িয়ে কান্না করছে তাশরিফের কথা শুনে৷ ছায়া রা আর ধৈর্য রাখতে পারিনি তাই নিজেরাই চলে এসেছে আর এসেই তাশরিফের কথাগুলো শুনে সবাই।
— আমি আর পারছি না ছুটি, আমি এবার মুক্তি চাই। আমি ক্লান্ত এই লুকোচুরি করতে করতে। অপরাধের বোঝা আর টানতে পারছি না আমি৷ মূর্তির ন্যায় হৃদয়হীন হয়ে থাকতে পারছি না আর৷ আমার একটা আশ্রয় দরকার, একটু শান্তির দরকার, আমি প্রাণ খুলে একটু নিশ্বাস নিতে চাই। কিন্তু আমার হাত-পা বাঁধা। আমি চাইলেও কিছু করতে পারছি না৷ কাউকে কিছু বলতে পারছি না৷ আম্মা কষ্ট পাচ্ছে তোমরা কষ্ট পাচ্ছো তারপরও নিরুপায় আমি। কি করলে শান্তি মিলবে, কিভাবে নির্দোষ প্রমাণ করবো আমি বুঝতে পারছি না। আমি বাঁচতে চাই ছুটি, আমি আমার জন্য বাঁচতে চাই, আম্মার জন্য বাঁচতে চাই তোমাদের জন্য বাঁচতে চাই৷ আমি আমার গানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই। ছুটি কি বলবে বুঝতে পারছে না। কিভাবে সান্ত্বনা দেবে তাশরিফকে তার জানা নেই। এত কষ্ট একটা মানুষের মধ্যে তারা কখনো বুঝতেই পারেনি৷ এই শক্ত আবরণের মাঝে যে পুরোটা দুঃখের পাহাড় উপলব্ধি করতে পারেনি একবারও।
— ছুটি কাঁপা কাঁপা হাতে তাশরিফের হাত ধরলে তাশরিফ নিজেকে সামলাতে পারেনা। আবেগি হয়ে জড়িয়ে ধরে ছুটিকে। জমিয়ে রাখা কষ্ট, নিঃস্বঙ্গ অনুভূতি নিঙড়ে দেয় চোখের পানিতে।
– আমি ইলহামকে মা/রিনি বিশ্বাস করো ছুটি! আমি তো অনেক ভালোবাসতাম,আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিলো ও৷ ওকে কেনো মা/রবো আমি বলো? আসিফের কথা বিশ্বাস করো না প্লিজ৷ এই অবিশ্বাসের বেড়াজালে আমি আর জড়াতে চাইনা। তোমরা যদি আমাকে অবিশ্বাস করো তাহলে আমার আর কোনো জায়গা থাকবে না ভরসার৷ আমি যে শান্তিটা পেতাম তোমাদের দেখে সেটাও হারিয়ে ফেলবো। আমি নির্দোষ ছুটি আমি নির্দোষ।
– ছুটি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে। ইতি মধ্যে সবাই তাশরিফের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
— শান্ত হও তাশরিফ ভাইয়া। আমরা আছি তো তোমার সাথে
ছুটির কথায় ভরসা পাই তাশরিফ।
– আমরা সবাই তোর সাথে ছিলাম আর আছি। তোর কিছু হবে না তাশরিফ আবির বলে। তাশরিফ ছুটিকে ছেড়ে দেয়।
– তোরা এখানে? তাশরিফ বলে চোখ মুছে।
— তোর মধ্যে কষ্ট আছে বুঝতাম কিন্তু এতটা যন্ত্রণা নিয়ে আছিস কখনো বুঝিনি। আবির বলে নুয়ে পড়া কন্ঠে।
– অনেক কথা হয়ছে, এবার ব্রো তুমি সবটা ক্লিয়ার করবে আমাদের। আসলে কি হয়েছিলো সেদিন,কেনো ইলহাম ভাবি খু’ন হলো? ইমরান কোথায়? কে জড়িত এইসবের পেছনে? রোহানের কথায় তাশরিফ ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সব বলবো তোদের আজ। কিছু লোকাবো না আজ আমি । এবার আসল অপরাধী সামনে আসা দরকার।
— এরপর তাশরিফ সবটা খুলে বলে ওদের৷ সব শোনার পর সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। ভাবনাহীন হয়ে পড়ে কিছু সময়ের জন্য। মানুষ এত জঘন্য কিভাবে হতে পারে ভেবে পাচ্ছে না।
– মাঝে আর একটা দিন! এর মধ্যেই আমাদের যা করার করতে হবে। আসিফের মুখোশ সবার সামনে খুলতে হবে৷ এমন কিছু করতে হবে আমাদের যে,আসিফ নিজ মুখে সব স্বীকার করে। আর ইমরানও যাতে আমাদের হাতে আসে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। কিন্তু কিভাবে? ছুটি বলে ভাবান্তর হয়ে।
— তুমি কোনো চিন্তা করো না ব্রো! বাকিটা সামলে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের৷ কি পারবো না আমরা? রোহান ছুটির দিকে তাকিয়ে বলে কথাটা। ছুটি মুচকি হেসে বলে অবশ্যই, আর আইডিয়াও পেয়ে গেছি আমি।
– সত্যি? কি আইডিয়ারে আপাই? ছায়া বলে উত্তেজিত হয়ে।
– এখানে তোর ভূমিকা বেশি ছায়া, পারবি তো ভরসা রাখতে আমাদের? ছায়া হকচকিয়ে উঠে ছুটির কথায়.। আ- আমি আবার কি করবো? ভয়ার্ত কন্ঠে বলে ছায়া….
চলবে…
❌