#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
‘৬’
– ছুটি ওয়াশরুম থেকে বের হয় তখনই তাশরিফ যায় ঘরে। পাশে ছায়া দাঁড়িয়ে। ছুটিকে দেখে ছায়া প্রায় উত্তেজিত কন্ঠে বলে আপাই দেখ কে এসেছে। ততখনে ছুটির দৃষ্টি তাশরিফে আবদ্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ তিন বছর পর এত কাছে থেকে দেখছে মানুষটাকে ছুটি। ভেতরে না দেখার যে তৃষ্ণা ছিলো সেটা যেনো এক নিমিষে হারিয়ে গেছে। শান্তি অনুভব করছে ভেতরে। শীতল করা দক্ষিণা বাতাস যেনো ছুটিকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সেই চেনা মুখ,চেনা মানুষ কিন্তু অনেক পরিবর্তন আজ সব কিছুর। হাসিখুশি মুখটায় নেই কোনো মায়া,না আছে শান্তির প্রতিচ্ছবি। শুধু মলিনতা, হতাশা আর অনেকটা আক্ষেপ এই চেহারা জুড়ে।
-চুল গুলো উষ্কখুষ্ক, অথচ এই চুল নিয়ে ছুটি আর তাশরিফের মধ্যে কত দ্বন্দ্ব হয়েছে। তাশরিফ চুল বড় রাখতে পছন্দ করতো। চুলের প্রতি তার যত্ন ছিলো আকাশসম। একটা মেয়েও হয়তো এতটা কেয়ার করে না চুলে যতটা প্রায়োরিটি তাশরিফ তার চুলকে দিতো। কখনো কাউকে স্পর্শ করতে দিতো না তাশরিফ তার চুল। তার নির্দিষ্ট একটা ভাঁজ ছিলো চুলে। কেউ হাত দিলে যেনো সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। আর ছুটি ঠিক ততবারই সেটা করতো। সব অতীত আজ ফিকে। স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ তারা মলিনতার চাদরে মুড়ে। আজও সেই চুল আছে তাশরিফের কিন্তু কোনো যত্ন নেই। নেই সে নির্দিষ্ট ভাঁজ, গোছানো মনোভাব।
— তাশরিফও ছুটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই যে দীর্ঘ সময় গেছে তার মধ্যে তাশরিফ পারেনি ছুটির সাথে দেখা করতে, তাকে কাছ থেকে দেখতে। ইলহাম কে ভালোবাসার কথা বলার পরই ছুটি সরে যায়। হারিয়ে যায় তাশরিফের থেকে। তাশরিফ অনেকবার ডেকে পাঠায় এমনকি নিজেও এসেছিলো ছুটির সাথে দেখা করতে কিন্তু ছুটি অনেক সময় ছায়াকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছে কখনো কাঙ্ক্ষিত ভাবে উপস্থিত ছিলো না। এরপর একটা সময় তাশরিফ উপলব্ধি করতে পারে ছুটি ইচ্ছে করে তার থেকে দূরে সরে গেছে কিন্তু কেনো? এই উত্তর অজানা ছিলো তাশরিফের কাছে। আজও কি সেই অজানায় রয়ে গেছে তাশরিফ?
— আপনি? বিস্ময় নিয়ে বলে ছুটি। তাশরিফের ভ্রু কুচকে আসে।
– আপনি? আমি কখনো তোমার আপনি সম্বোধনে ছিলাম বলে মনে পড়ছে না তো? তাশরিফের কথায় দমে যায় ছুটি। ছোট একটা ঢোক গিলে বলে সে তো আপনারও সম্বোধনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাশরিফ বুঝতে পারে ছুটি কি বোঝাতে চাচ্ছে। ছুটির দিক হতে চোখ সরিয়ে নিয়ে বলে, তিন বছর অনেক দীর্ঘ সময় ছুটি। আর এই দীর্ঘ সময়ে একটা মানুষ ঠিক কতটা কাছের বা কতটা আপন ছিলো বুঝতে একটু সমস্যা হয়। তাই হুট করে সে তুই বলাটা আর হয়ে উঠে না৷ যেমন তোমার মুখ থেকে তুমিটা আসেনি।
— ছুটি কিছু বলতে যাবে তার আগে ছায়া বলে আপনারা কথা বলুন আমি আসছি।
— উনার জন্য নাস্তার ব্যবস্থা কর ছায়া! হীন কন্ঠে বলে ছুটি।
– তার কোনো দরকার নেই। আমি তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি শুধু। ছায়া তুমি যাও। তাশরিফের কথায় ছায়া মাথা নাড়িয়ে জ্বি বলে ছুটির দিকে তাকিয়ে চলে যায়।
— কেনো করছো এইগুলা? তাশরিফের কথা বুঝতে পারে না ছুটি। তাই কৌতুহলী হয়ে বলে মানে?
– তুমি আমাকে বিয়ে করবে কেনো বলেছো? ছুটির মুখশ্রী স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাশরিফ এমন কিছু বলবে ছুটি সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলো।
— এটা আমাকে জিজ্ঞেস না করে আপনি রানীমাকে জিজ্ঞেস করতেন। ছুটি নিজেকে একদম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
– তুমি আমাকে বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলে এটা আমি জানি ছুটি। তাহলে কেনো পুনরায় সিদ্ধান্তের বদল ঘটলো জানতে পারি? তাশরিফের যেনো আগ্রহের শেষ নেই।
— আপনাকে বিয়ে করতে চাওয়ার পেছনে মহৎ কোনো কারণ নেই যেটা আমাকে ঘটা করে বলতে হবে। সবাই চেয়েছে আমি শুধুমাত্র সে চাওয়াতে সায় দিয়েছি, এর বেশি কিছু ভাববেন না।
– বেশি কিছু থাকার কথাও নয়। ছুটির কথা শেষ হতেই তাশরিফ কথাটা বলে। ছুটি বিমুঢ় চোখে তাকায় তাশরিফের দিকে।
– এখানে কিছু টাকা আছে ধরো! হঠাৎ তাশরিফ টাকা কেনো দিচ্ছে ভেবে কপাল কুচকে আসে ছুটির।
– কিসের টাকা? কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করে ছুটি।
—
আমি জানি, এই বিয়েটা তোমার ইচ্ছেতে হচ্ছে না। আম্মা,আঙ্কেল আন্টি সবাই তোমাকে চাপ দিয়েছে বিয়েটা করার জন্য। যার জন্য তুমি অবশেষে রাজি হয়েছো,হতে বাধ্য হয়েছো। এই টাকা গুলো নাও আর অনেক দূরে চলে যাও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরে আসবে। তাশরিফের কথায় কি রিয়াকশন দেবে ছুটি এটাই বুঝে উঠতে পারে না। মনের মধ্যে চাপা আর্তনাদ জেগে উঠে।
— আমাকে কি আপনার বাচ্চা মনে হয়? যে কেউ আমাকে যেকোনো কাজে জোর করবে আর আমি সেটা করবো। আমার নিজের কি কোনো মতামত নেই?
– তাশরিফ টাকাসহ বাড়িয়ে রাখা হাত নামিয়ে নেয়। বিস্ময়কর চাহনি নিয়ে বলে তার মানে এই বিয়েটা তুমি নিজ ইচ্ছেতে করছো?
– অবশ্যই! যদিও আমি শুধুমাত্র রানীমার জন্য বিয়েতে করতে রাজী হয়েছি এর বাইরে কিছু না ভাবলে খুশি হবো।
– কিন্তু আমি চাইনা এই বিয়ে করতে। তাশরিফের কথাটা কর্ণপাত হতেই চোখ ছলছল করে আসে ছুটির। কিন্তু তাশরিফকে সেটা বুঝতে দেয়না সে।
– আপনি এই কথা আমাকে কেনো বলছেন! রানীমাকে গিয়ে বলুন।
– বিয়েটা তোমার সাথে হচ্ছে আমার। তাই আমি মনে করি আমার মতামত তোমাকে জানানো প্রয়োজন। যে তোমাকে বিয়ে করতে রাজি নয় সব কিছু জানার পরও তুমি তাকে বিয়ে করবে?
— ছুটির অসহায় চাহনি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কি বলবে সে বুঝতে পারছে না।
– দেখো ছুটি, আমি তোমাকে সম্মান করি বন্ধু হিসেবে। হয়তো তোমার কাছে আর কোনো সম্পর্কের মানে নেই কিন্তু আমি এখনো বিশ্বাস করি আমাদের অদৃশ্য একটা সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাই আমি চাইনা তোমার প্রতি সে সম্মান সে শ্রদ্ধা নষ্ট হয়ে যাক আমার। আমার অনিশ্চিত জীবনের সাথে জুড়তে চাইনা তোমাকে। চাইনা নতুন সম্পর্ক।
— আমাকে মাফ করো ছুটি, আমি আর তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা। আমি জানিনা আমার ভবিষ্যৎ কি, আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে সামনে কিন্তু আমি আর কষ্ট দিতে চাইনা তোমাকে। একবার না বুঝে তোমাকে কষ্ট দিয়েছি আমি, হয়তো সেটা দেরিতে বুঝেছি কিন্তু এখন সব জেনেবুঝে আমি পুনরায় তোমাকে সে দুঃখের অনলে পুড়াতে চাইনা। আমার জীবন অভিশপ্ত হয়ে আছে যে, সে অভিশপ্ত জীবনে আর কাউকে জড়াতে চাইনা। মনে মনে বলে তাশরিফ।
— ইলহাম কে আপনি খু’ন করেছেন? প্রসঙ্গ এড়িয়ে জিজ্ঞেস করে ছুটি। তাশরিফ চমকপ্রদ চোখে তাকায়৷ যেনো এই প্রশ্ন তার কাম্য ছিলো না ছুটির কাছে। তাশরিফ বেশিক্ষণ তার দৃষ্টি ধরে রাখতে পারে না ছুটির দিকে। নিজেকে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে।
– কি হলো জবাব দেন? পুনরায় বলে ছুটি।
– তুমি খুব ভালো করে জানো আমি কি করেছি না করেছি, ইনফ্যাক্ট দুনিয়ার সবাই জানে সেটা। তোমাকে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। তাছাড়া আমি এটাও জানি তুমি আমাকে ঘৃণা করো একজন খু’নি হিসেবে, তবে সে ঘৃণা আজ ফিকে হলো কিভাবে?
– কে বলেছে আমি এখন আর ঘৃণা করিনা আপনাকে? ছুটির এই কথায় আশাহীন হয়ে তাকায় তাশরিফ।
– আপনার প্রতি আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে। কোনো পরিবর্তন এসেছে বলে আমার মনে হয়নি। তাহলে আপনি কেনো এমন ভাবছেন বুঝলাম না?
– এতই যখন ঘৃণা করো তবে বিয়ে করতে চাও কেনো? একটা খু’নির সাথে কেনো নিজের জীবন জড়িয়ে নষ্ট করতে চাচ্ছো?
– দায়িত্ববোধ বা কৃতজ্ঞতা বলতে পারেন! আপনাদের উপর অনেক কৃতজ্ঞতা জমে আছে আমাদের। সেটাই তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
– তাশরিফ যেনো এমন উত্তর আশা করেনি ছুটির থেকে। ক্রমেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে একটা।
— আপনি কিন্তু আমার কথায় জবাব দিলেন না?
তাশরিফ কাঠ গলায় বলে ইলহাম আমার ব্যক্তিগত সম্পদ তাই ওর বিষয়ে কথা বলার অধিকার কারো নেই, এমনকি তোমারও নেই। তাই ওই বিষয়ে কোনো কথা আমি বলতে চাইনা তোমার সাথে। আমি তোমাকে যেটা বলতে এসেছি সেটা হলো এই বিয়ে আমি করতে চাইনা এবং তুমিও করবে না! ইটস দ্যা ক্লিয়ার?
— আপনি এইভাবে স্বীকার করবেন না। ঠিক আছে, সত্যি পর্যন্ত যেতে আমাকে যা করতে হয় আমি তাই করবো। কেনো এতো লুকোচুরি, জীবনের প্রতি অনিহা আমি সব জানবো আর আপনি সেটা বলবেন আমাকে। আমি আপনার দেখানো পথেই চলবো তাশরিফ ভাই, মনে মনে বলে ছুটি।
– কি হলো চুপ করে আছো কেনো? কি বললাম শুনতে পাওনি? তাশরিফ যেনো হুট করে রেগে যায়।
— আপনি এই বিয়ে করতে চান-না তাই তো? ছুটির কথায় তাশরিফ ভ্রু কুচকে বলে তাই তো বললাম এতখন।
– ঠিক আছে আপনাকে বিয়ে করতে হবে না৷ আর আমিও এই বিয়ে করবো না। ছুটি বিয়ে করবে না কথাটা শুনে তাশরিফের বুকের মধ্যে ধক করে উঠে। কিন্তু তার তো খুশি হওয়ার কথা তাহলে এমন চিনচিন অনুভব হচ্ছে কেনো বুকে।
– কি এবার খুশি আপনি? ছুটির কথার জবাব দেয়না তাশরিফ।
– কি হলো বলুন, আমি বিয়ে না করলে আপনি খুশি আমি এটা ধরে নেবো?
– হ্যাঁ আমি এই বিয়ে করতে চাইনা৷ তাই এটাই ভালো হবে তুমিও বিয়েটা না করে দেবে। তাশরিফ শটকার্ট জবাব দেয়।
– তাহলে তাই হলো! এই বিয়ে বাতিল, আমি আপনাকে আজ কথা দিচ্ছি আপনি না চাইলে এই বিয়ে কখনোই হবে না কিন্তু!
– কিন্তু কি? কৌতুহলী হয়ে বলে তাশরিফ।
– আমার কিছু শর্ত আছে, যদি আপনি সেগুলো শুনেন বা মানেন তাহলে আমি এই বিয়ে করবো না। রানীমাকে বলবো সে যেনো এই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। হঠাৎই ছুটির রুপ বদল দেখে ঘাবড়ে যায় তাশরিফ। কি করতে চাইছে ছুটি?
– আমি বিয়ে করবো না, তুমিও করবে না ব্যাস এখানে শর্ত কেনো আসবে?
– শর্ত আসবে এই কারণে যে, আমি বিয়েটা করতে চাই আর আপনি সেটা চাননা।। তাই আমার দিক হতে শর্ত প্রযোজ্য। ছুটিও যেনো তাশরিফের কথায় তাল মিলিয়ে যায়।
– কি শর্ত শুনি? বিস্ময় নিয়ে বলে তাশরিফ।
– এই যে এলোমেলো, অগোছালো চলাফেরা সেটা বন্ধ করতে হবে। আগের তাশরিফ খানকে ফিরে আসতে হবে। এই যে আপনি এখন যে মানুষটা দাঁড়িয়ে আছেন সামনে সে অচেনা, বড্ড অচেনা সবার কাছে। তাই এই তাশরিফ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছুটির কথার ভাঁজে ভাঁজে তাশরিফের কপাল কুচকে আসে। সেই আগের ছুটিকে ফিল করতে পারছে আজ তাশরিফ। সেই শাসন, ঝগরুটে মনোভাব, অধিকারবোধ সব কিছু আজ আবারও দেখতে পাচ্ছে তাশরিফ।
– তুমি বললেই কি আমাকে সব মানতে হবে? কে তুমি?
– বন্ধু! একটু আগে আপনি কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ছুটির কথায় তাশরিফ বাকহারা হয়ে যায়। নিজের বলা কথায় এইভাবে জড়িয়ে যাবে বুঝিনি।
– সবশেষে মোস্ট ইমপোর্টেন্ট যেটা, সেটা হলো ইলহাম। ইলহামের সাথে কি হয়েছিলো কেনো আপনি খু’নের আসামি হয়ে ঘুরছেন তার সব আমাকে জানতে হবে।
– বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে ছুটি। আমি তোমাকে বিয়ে করবো না জাস্ট জানাতে এসেছি। তোমার উপদেশ বা তোমার শর্ত মানতে না তাশরিফ কথাটা বলে চলে যাবে তখনই ছুটি পেছন থেকে বলে, ইলহামের ভাই কোথায় তাশরিফ ভাইয়া?
– থমকে দাঁড়ায় তাশরিফ। অবিশ্বাস চাহনিতে ঘুরে তাকায় ছুটির দিকে।
– কোথায় রেখেছেন ওকে! কেনো সামনে আনছেন না ইমরানকে ( ইলহামের ভাই)। তাহলে তো সব সত্যি সামনে এসে যায়। কথায় ইমরান বলুন।
— তাশরিফ ছুটির দিকে এগিয়ে এসে ছুটির দুই হাতের বাহু শক্ত করে চেপে ধরে চোখ লাল করে বলে আমি ইলহামকে খু’ন করেছি। ইমরানকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি, তুমি যে আশ্বাস বা ভরসা নিয়ে এইসব করছো সব কিছু মিথ্যা। তাই বলবো সে দুঃস্বপ্ন দেখো না। তুমি মনে মনে যেটা ভাবো সেটাই সত্যি, আমি খু’নি, তুমি মানলেও এটাই সত্যি না মানলেও এটাই সত্যি। বুঝেছো তুমি?
– ছুটি অপলক দৃষ্টিতে তাশরিফের দিকে চেয়ে আছে৷ হাতে ব্যথা পাচ্ছে সে, কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই।
– যদি সত্যি আমার বর্তমান ভাবনায় ভুল থাকে, যে আশ্বাস বা আশার প্রদীপ নিয়ে আমি আপনার সত্যিটা জানার চেষ্টা করছি সেটাই কোনো ফাক থাকে বা কোনো ভাবে বুঝতে পারি সত্যি আপনি অপরাধী, আপনি ইলহামের খু’নি, তবে আমি আপনাকে শাস্তি দেবো। নিজ হাতে আপনাকে আইনের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবো আর আপনার ফাঁ’সি যেনো নিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা আমি করবো । আর তার জন্য সত্যিটা জানা খুব দরকার আমার। কি হয়েছিলো সেদিন এটা জানা খুব দরকার। তাশরিফ ছুটিকে ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যায় হন্তদন্ত পায়ে। তাশরিফ বেরিয়ে যেতেই ছায়া ঢুকে ঘরে। এতখন সে দরজার আড়ালে ছিলো। তাশরিফ কি বলে তাই জানার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলো সে, তাই নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি আড়ি পাতে ঘরে।
— আপাই তুই কি সত্যি বিয়েটা আর করবি না?
– জানিস ছায়া, ইলহামের ভাইয়ের কথা আসাতে উনি রেগে গেলেন অনেক, খুব রিয়াক্ট করলো কিন্তু কেনো?
চলবে…
❌কপি করা নিষেধ ❌ সম্পুর্ণ কাল্পনিক চরিত্র কাল্পনিক ঘটনা। বাস্তবতা খুঁজে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না এবং আমাকেও বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না দয়া করে। গল্পের সংগতি বজায় রেখে আমি পর্ব সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি মাত্র। ভুলক্রুটি মাফ করবেন।