#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
“২”
–” আবির হলো তাশরিফের ভাই, বন্ধু, আবার ছোট থেকে পথচলার সাথী। আবির তাশরিফের বা তাশরিফের পরিবারের র:ক্তের কেউ না। কিন্তু তাও খুব কাছের একজন। যাকে মমতা খান নিজের আরেক সন্তান বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন, ছোট থেকে বড় করেছেন। আবির তাশরিফের বাবা-মাকে, মা-বাবা বলে ডাকে।
– তাশরিফের ৪তম জন্মদিনে তাশরিফের বাবা আর মা একটা এতিমখানায় যায়, তাশরিফের জন্মদিন উপলক্ষে তারা প্রতি বছর কোনো না কোনো এতিমখানা যায়,সেখানে তাশরিফের জন্মদিন পালন করেন এতিম বাচ্চাদের নিয়ে। সে খুশির দিনটা তারা বঞ্চিত শিশুদের সাথে উদযাপন করে। এতে তাশরিফও আনন্দ পেতো, তার মধ্যে ভালো চিন্তাভাবনার উদ্ভব হতো।
– সে বছরও যখন তারা তাশরিফের জন্মদিন উপলক্ষে একটা এতিমখানায় যায় সেখানে আবিরও ছিলো। মাত্র দুই কি আড়াই বছর বয়স হবে। আবির সেখানে নতুন আসে দুই-তিন দিন আগে। আর এসে পর্যন্ত আবির শুধু কান্না করে চলেছিলো। কেউ তাকে থামাতে বা সামলাতে পারে না৷ আবিরের বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনায় মা’রা যাওয়াতে তাকে দেখার মতো কেউ ছিলো না। যার জন্য তার এক রিলেটিভ তাকে এতিমখানায় দিয়ে যায়।
— আবির ছোট থাকায় শুধু মা মা করছিলো। মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য বায়না করে চলছিলো সব সময়। যার জন্য সে সব সময় কান্না করতো। ওইখানে গিয়ে মমতা খান ছেলের হাত দিয়ে চকলেট দেওয়ায় সব বাচ্চাদের। আবিরকে সেখানে নিয়ে আসা হলে তাশরিফের দৃষ্টি সেদিকেই যায়। কারণ সব বাচ্চার মধ্যে শুধু আবিরই কান্না করতে ছিলো।
– তাশরিফ আবিরের সামনে গিয়ে চকলেট ধরলে আবির কান্না থামিয়ে ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে থাকে শুধু। এরপর তাশরিফ ইশারা করে আবিরকে চকলেট নিতে বললে আবির হঠাৎই হেসে চকলেটটা নেয়৷ এতে সবাই একটু স্বস্তি পাই। কারণ আবির এসে পর্যন্ত সেভাবে কিছু খাইনি৷ কেউ তাকে খাওয়াতেও পারে না।
– সারাদিনটা তাশরিফ আবিরের সাথে কাটায়, খেলাধুলা করে। তাশরিফকে পেয়ে আবির যেনো সব ভুলে গেছে৷ সে যেনো তার পরিবারের কাউকে পেয়ে এমন খুশিতে মেতেছে।
– বিকেলে যখন চলে আসার সময় হয় তখন তাশরিফ আবিরকে বলে সে চলে যাবে। আবার আসবে তাকে দেখার জন্য। দুই বছরের বাচ্চা আবির কি বুঝেছিলো কে জানে, হয়তো তার একদিনের খেলার সাথীর অনুপস্থিতি ফিল করতে পেয়েছিলো তাই সে আবারও কান্না করতে শুরু করে তখন। এতে তাশরিফের অনেক খারাপ লাগে। তাশরিফ আবিরকে বোঝাতে থাকে। এতটুকু একটা বাচ্চা আবার আরেক বাচ্চাকে সামলানোর চেষ্টা করছে দেখে মমতা খান অবাকই হয়েছিলেন সেদিন তাশরিফকে দেখে।
— মমতা খান আবিরের কাছে গেলে আবির মা মা করে উঠে। সবারই একটা মায়া কাজ করে আবিরের প্রতি। তাছাড়া এতিমখানার সবাই বিরক্ত হয়ে উঠে আবিরের উপর। সব সময় কান্না করলে কারোই ভালো লাগার কথা না।
— মা আমরা আবিরকে বাড়ি নিয়ে যায়। ওর তো কেউ নেই, দেখো না কিভাবে কান্না করছে আবির। আমরা চলে গেলে ওর মন খারাপ হবে। তাশরিফের মুখে এমন কথা শুনে বেশ চিন্তিত হয়ে যায় তাশরিফের বাবা। তাছাড়া তাশরিফেরও একজন খেলার সঙ্গীর প্রয়োজন, যদি আবির আর সে মিলেমিশে থাকে তাহলে তো ভালো হবে। সব কিছু ভেবে তাশরিফের বাবা আবিরকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ এবং সেটা এতিমখানার লোকদের জানায়। এরপর থেকে আবির একটা পরিবার পাই, মমতার মতো একজন মা, তাশরিফের মতো একজন বড় ভাই, বন্ধু সব কিছু পাই সে। তাশরিফের বাবাও আবিরকে নিজের সন্তানের স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছে সব সময়।
— তাশরিফ খান ড্রাইভ করছে পাশে বসে আছে আবির। দুজনেই চুপচাপ হয়ে।
— মেয়েটা কি আমাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছে? হঠাৎই বলে উঠে তাশরিফ। তাশরিফের কথায় আবির হকচকিয়ে উঠে কিছুটা।
— হঠাৎ এই প্রশ্ন করছিস যে? আবির ঘুরে প্রশ্ন করে তাশরিফ কে।
– যেটা জিজ্ঞেস করছি সেটার উত্তর দে! তাশরিফের কথায় আবির মুখটা মলিন করে বলে না।
– আবিরের মুখে না শব্দটা শোনামাত্র তাশরিফ মুচকি হাসে৷ যেটা আবিরের চক্ষুগোচর হয়না।
– আম্মাকে বলিস, যদি মেয়ে রাজি থাকে তবে আমার বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই। তাশরিফ কথাটা বলে আপন মনে আবার ড্রাইভ করতে থাকে৷ এইদিকে রসগোল্লার ন্যায় চোখ করে তাকিয়ে থাকে আবির৷ তাশরিফ এই কথা বলছে তার যেনো বিশ্বাসই হচ্ছে না।
– সত্যি বলছিস ভাই! মেয়ে যদি রাজি থাকে তাহলে তোর কোনো প্রবলেম নেই?
– কেনো তুই না এই মাত্র বললি মেয়ে রাজি না আমাকে বিয়ে করতে। তাহলে এত খুশি হওয়ার কি আছে এই কথাতে?
– মেয়ে রাজি না কিন্তু রাজি হতে কতখন! আবিরের হেয়ালি জবাব।
– যে মেয়ে প্রথমেই না করে দিয়েছে তার দ্বিতীয়বার রাজি হওয়ার কারণ দেখছি না আমি। সম্ভব হতো যদি সে আগের তাশরিফ খান হতাম আমি। এই কথাটা তে তাশরিফের মধ্যে ক্ষোভের প্রকাশ পাই।
–মেয়েটা কে শুনবি না? আবির বলে। তাশরিফ শটকার্ট জবাব দেয়,প্রয়োজন মনে করিনি।
মেয়েটা কে তুই তো এখনো জানিস না তাশরিফ আর এখন জানাতে চাইও না। আগে ছুটিকে রাজি করাই তারপর তোকে বলবো। মনে মনে বলে আবির।
— ছুটি ঘরে এসে বারান্দায় চলে যায়
বারান্দায় থাকা দোলনায় গা এলিয়ে দিয়ে বসে সে। মনের মধ্যে অস্থিরতা, অনেক অনেক প্রশ্নের উঁকিঝুকি নিজের মধ্যে। যার উত্তর খুব দরকার তার।
— এরই মধ্যে ছায়া আসে! ছায়াকে দেখে ছুটি চোখের কোণে আসা পানি আড়াল করার চেষ্টা করে।
— বৃথা চেষ্টা করিস না আপাই! এই চোখের পানি আজ প্রথম দেখছি না। কথাটা বলে ছায়াও ছুটির পাশে গিয়ে বসে।
– কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ছায়া বলে একটা কথা বলবো আপাই? ছায়ার কথায় ছুটি উঠে দাঁড়ায়। তারাহীন আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা টানা দীর্ঘশ্বাশ ছেড়ে বলে আমি জানি তুই কি বলতে চাস। তোর মধ্যেও অনেক প্রশ্ন আছে আমি এটাও জানি।
– স্বাভাবিক নয় কি আপাই? আমি না তোকে মিলাতে পারলাম না সত্যি! কিছুক্ষণ আগের তুই আর এখনকার তুই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। কিন্তু কেনো আপাই? কৌতুহল ভীষণ ছায়ার।
— আমি চাইনা আমার অনুভূতি গুলো আবারও সক্রিয় হোক, কারো কাছে নতুন ভাবে প্রকাশ হোক। কথাটা বলে ছুটি থেমে যাই।
– আচ্ছা আপাই, কিছুক্ষণ আগে যে কথাগুলো বললি তুই তাশরিফ ভাইয়ার সম্পর্কে সে-সবে বিশ্বাস করিস ? ছুটি চমকানো চোখে তাকায়।
– ছায়া তাচ্ছিল্যের হাসি রাখে। ছুটি চোখ নামিয়ে নেয়।
– সে সব কথা নাহয় বাদই দিলাম, তুই যে আব্বুকে বড় মুখ করে বলে আসলি কুঁড়েঘরে বিয়ে করতেও আপত্তি নেই তোর, এটা আমি কোন সত্যির মাঝে ধরবো বলতে পারিস?
— বিস্ময়কর চাহনি ছুটির! একের পর এক প্রশ্নে তলিয়ে যাচ্ছে সে। কারণ ছায়ার কাছে লোকানোর কোনো কিছুই নেই যে তার। ছায়া যে সব অনুভূতি, সব পরিস্থিতির সাক্ষী ছুটির জীবনের।
— ছুটি জবাব দিতে পারে না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
– জানি তো জবাব দিতে পারবি না তুই! কিন্তু বাড়াবাড়ি টা বেশি হয়ে গেছে আপাই! যে মানুষটা একের পর এক বিয়ে রিজেক্ট করে গেছে, পড়াশোনা হ্যানোত্যানো অজুহাত দিয়ে বিয়ে নামক শব্দ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে শুধুমাত্র একটা মানুষের জন্য সেখানে আজকের কথা গুলো বড্ড বেমানান।
– চুপ কর ছায়া! প্লিজ আর কিছু বলিস না। কি করতাম আমি বল আমায়? বিয়ে করতে রাজী হয়ে যেতাম! সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে দিতাম? যে মানুষটা আমার অনুভূতি কখনো বুঝেইনি, যে কখনো আমার ভালোবাসাটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেনি তাকে সুযোগ পেয়ে বিয়ে করে নিতাম আমি? যার মধ্যে আমার জন্য কোনো অনুভূতি নেই। অন্য একজন কে ভালোবাসে যে তাকে বিয়ে করতে বলছিস আমায়? এতটা নিচ মনে হয় তোর আমাকে? তোর আপাই-এর কি কোনো আত্মসম্মান নেই ছায়া? আমার ভালোবাসা, আমার অনুভূতির কি কোনো মূল্যই নেই?
— কেনো এখনো অভিমান পুষে রাখছিস আপাই? এটা কি সঠিক সময় অভিমানের? তাশরিফ ভাইয়ার একজনকে খুব প্রয়োজন, একটা ভালোবাসার মানুষের খুব যে দরকার। আচ্ছা আপাই তুই দেখিস না তাশরিফ ভাইয়া কেমন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন! এই মানুষ’টাকে কি মেলাতে পারিস তুই? অবশ্য তুই দেখবি কি করে? তিনটা বছর যে মানুষটার ধারেকাছেও যাসনি তাকে না বোঝাটাই স্বাভাবিক।
— উনি ঠিক হয়ে যাবে দেখিস? উনাকে কিছুটা সময় দে, উনি ঠিক নিজেকে গুছিয়ে নেবে! ছুটি বলে সরল মনে।
– তিনটা বছর কম সময় নয় আপাই! দিন দিন ভাইয়ার অবনতি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ছে না আমার। তুই তো দেখিস না রানীমার অবস্থা। আমি যাই আমি দেখি। কেউ ভালো নেই।
– আচ্ছা ছায়া একটা কথা বল আমায়! ইলহাম কে মা’রার দায়’টা ও নিজের মাথায় নিলো কেন? যেখানে তাশরিফ ভাইয়া নিজের চেয়েও ইলহাম কে বেশি ভালোবেসেছিলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো তারা? ছুটি বলে সন্দেহ নিয়ে।
– বাহ রে আপাই! আজ তুই এই কথা জিজ্ঞেস করছিস! আমি তো জানি আর বাকি সবার মতো তুইও বিশ্বাস করিস তাশরিফ ভাইয়ায় ইলহাম ভাবিকে খু”ন করেছে। বাবার টাকার জোরে তাশরিফ ভাইয়া জামিন হয়ে বেরিয়ে এসেছে।
– তুই বিশ্বাস করতিস না? ছুটি প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ছায়ার দিকে।
– বিশ্বাস করতাম না কথাটা বললে মিথ্যা বলা হবে! কিছুটা বিভ্রান্তিতে আমিও আদিষ্ট হয়েছিলাম৷ কিন্তু এখন পুরো বিশ্বাস আছে তাশরিফ ভাইয়া নির্দোষ।
— আমি কি বিশ্বাস করি আর কি বিশ্বাস করিনা সেটা তুইও জানিস না ছায়া! যে মানুষটা আমাকে ভালোবাসে না, আমাকে চাইনা, এত কিছুর পরও বিয়েতে দ্বিমত যার, তাকে আমি চাইনা বিয়ে করতে। আমার ভালোবাসা আমার অনুভূতি আমার কাছে অনেক সম্মানের। আমি সেগুলো এইভাবে উপেক্ষা করতে পারিনা। থাক’না এক পাক্ষিক ভালোবাসা, একতরফা অনুভূতি, আমি তো এই নিয়ে আছি আর এইভাবে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই সম্মানের সাথে। তবে হ্যাঁ, আমিও চাই মানুষ টা সুস্থ ভাবে বাঁচুক, নির্দোষ প্রমাণ করে সবার সামনে মাথা উঁচু চলুক আবার। সে জগতে ফিরে যাক আবার যেটা একমাত্র তার জন্য যোগ্য তার স্থান৷ উনি যে গানকে ভালোবাসে, তার কণ্ঠ যে গানের জন্য তৈরি এটা যেনো আবারও উপলব্ধি করতে পারেন উনি।
– কি ভাবছিস তুই? ছুটিকে আনমনা হতে দেখে জিজ্ঞেস করে ছায়া। বিচলিত হয়ে তাকায় ছুটি তাতে।
– আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবো ছায়া! হঠাৎ ছুটির মুখে এমন উদ্ভট কথা শুনে ছায়া ভ্রু কুচকে চিৎকার দিয়ে বলে কিহ? পাগল হয়ে গেছিস আপাই?
– আমি যা বলছি একদম ভেবেচিন্তে বলছি! আব্বু যেকোনো ভাবে আমাকে বিয়েটা দেওয়ার চেষ্টা করবে আমি জানি। কিন্তু আমি কোনো ভাবেই এই বিয়ে করবো না। আব্বু রানীমাকে দেওয়া কথা রাখতে আমাকে যেকোনো ভাবে রাজি করাবে এটা তুইও ভালো করে জানিস?
– হুম তা ঠিক বলেছিস তুই? কিন্তু আপাই…
– কোনো কিন্তু নয় বোন! আব্বুকে বোঝাতে হবে আমি এই বিয়ে করতে কোনো ভাবেই রাজী না৷ আর বিয়ে না করার জন্য আমি অনেক কিছু করতে পারি।
– যদি আব্বু রাগ করে বা হিতে-বিপরীত হয় তখন? ছায়া চিন্তায় পড়ে যায়।
– কিছু হবে না৷ হয়তো আব্বু প্রথমে রাগ করবে কিন্তু পরে ঠিক মানিয়ে নেবে দেখিস। আমার কাছে যা টাকা আছে তাতে দুই-তিন দিন নিশ্চিন্তে চলে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আসলে তখন আমি চলে আসবো।
– আমার কিন্তু খুব ভয় করছে আপাই। তুই কেনো আর কি ভেবে এইসব করছিস সত্যি আমি বুঝতে পারছি না। ছায়াকে বিচলিত হতে দেখে ছুটি ছায়ার দুই গালে হাত রেখে বলে ভরসা আছে না তোর আপাই এর প্রতি?.
– অনেক ভরসা আর বিশ্বাস করি আপাই তোকে। আমি জানি তুই যা করবি সেটা ভেবেচিন্তে সঠিক টাই করবি।
– ছুটি মুচকি হেসে বোনকে আগলে নেয় বুকে।
– জীবনের নতুন মোড় আনতে চলেছি আমি, জানিনা কি আছে ভবিষ্যতে। কিন্তু আমি চাইনা আমার অনুভূতি গুলো কে হেয় করতে মনে মনে ভাবে ছুটি…
চলবে…
(❌কপি করা নিষেধ ❌ গল্পের নাম নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছে। আমি এই গল্পের থিম অনুযায়ী ৩টা নাম সিলেক্ট করে বাদ দিই সে একই নামে গল্প থাকায়৷ এরপর যখন শেষ এই নামটা দিলাম তখন সবাই বলছে এই নামেও নাকি একটা গল্প চলে গেছে অলরেডি। তবে এক নামে গল্প, এক নামের মানুষ কত আছে বা থাকে। তাই নাম নিয়ে আমি আর ভাবছি না নতুন করে । গল্পের থিম,গল্প না মিললে হলো আমার মতে। ভুলক্রুটি মাফ করবেন।