#একটা_বসন্ত_বিকেলে
#অরনিশা_সাথী
|৯|
দুহাতে মাথা চেপে ধরে ঘুম থেকে উঠে বসলো ফারাবী। মাথাটা প্রচন্ড ভারী হয়ে আছে। মূহুর্তেই চেহারার রঙ পালটে গেলো আয়াতের বিয়ের কথা মাথায় আসতে। গায়ে থেকে চাদড় সরিয়ে বিছানা থেকে নামতে গেলেই লক্ষ্য করলো নিজের দিকে। ওর জামা পাল্টানো দেখে ভ্রু কুঁচকালো। মনে করার চেষ্টা করলো কাল রাতে কি হয়েছিলো৷ মাথায় একটু প্রেশার দিতেই কাল রাতের সব কথা মনে পড়ে গেলো ফারাবীর৷ সারা ঘরে চোখ বুলিয়েও রাইতাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে ডাকলো ওকে৷ মূহুর্তের মাঝেই রাইতা ঘরে এসে উপস্থিত হলো। ফারাবী ওর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“কি হয়েছিলো কাল রাতে?”
–“কেন মনে নেই কিছু?”
–“যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও। কাল রাতে কি উল্টাপাল্টা কিছু করেছি আমি?”
–“নিজের বিয়ে করা বউয়ের সাথে আর উল্টাপাল্টা কি করবে?”
–“বউ হিসেবে মানি না তোমায়৷ পরিষ্কার করে বলো, কাল রাতে কিছু হয়েছিলো আমাদের মাঝে?”
–“নাহ।”
–“আমাকে চেঞ্জ করিয়ে দিয়েছে কে?”
–“ফাহিম(ফারাবীর ছোট ভাই)।”
–“সত্যি বলছো?”
–“এখন ফাহিমকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করবো?”
–“নাহ ঠিক আছে।”
কথাটা বলে ফারাবী ওয়াশরুমের দিকে এগোতে গিয়েও আবার থেমে যায়৷ রাইতার দিকে ঘুরে বললো,
–“সত্যি কিছু হয়নি তো আমাদের মাঝে? আমার যতদূর মনে পড়ে আমি তোমায়___”
–“বিছানা অব্দি নিয়ে গেছিলে, কিন্তু শেষ অব্দি কাছে টেনে নেওনি আমায়৷”
কথাটা শুনে শান্ত হলো ফারাবী৷ ওয়াশরুমের দিকে যেতেই রাইতা পেছন থেকে বললো,
–“আমি তো তোমার বিয়ে করা বউ ফারাবী৷ তাহলে আমাকে কাছে টেনে নিতে সমস্যা কি? একটা বার কি সুযোগ দেওয়া যায় না আমায়?”
–“বিয়েটা তুমি ছল চাতুরী করে করেছো। তোমায় বউ হিসেবে মানি না আমি, তাই কাছে টেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
–“কিন্তু আয়াতের তো বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে এখনো কেন___”
–“কখনোই মানবো না তোমায়।”
আর এক মূহুর্ত দাঁড়ালো না ফারাবী। ওয়াশরুমে চলে গেলো। রাইতা ছলছলে চোখে ফারাবীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। এই মানুষটাকে কি ও কখনোই পাবে না? সারাজীবন কি এভাবেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যাবে? ডুকরে কেঁদে উঠলো রাইতা।
–
অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিলো শ্রাবণ৷ আয়াত এক মগ কফি এনে শ্রাবণের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
–“আপনার কফি।”
শ্রাবণ হাতে ঘড়ি পড়ে কফির মগটা হাতে নিয়ে সোফায় বসলো। কফিটা শেষ করে উঠে দাঁড়ালো। গায়ে কোর্ট জড়িয়ে আয়াতের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আয়াতের দিকে নিজের ফোন এগিয়ে দিয়ে বললো,
–“আপাতত এটা রাখো বাসায় কথা বলার হলে বলে নিও।”
–“এটা তো আপনার ফোন।”
–“আমার কাছে আরো একটা আছে।”
–“লাগবে না, আমি আমার ফোন আনানোর ব্যবস্থা করছি।”
–“তার প্রয়োজন পড়বে না। আর হ্যাঁ কেনাকাটাও বোধহয় করা দরকার তোমার তাই না? বিকেলের মধ্যে ফ্রি হলে আমি নিয়ে যাবো, নয়তো শানকে নিয়ে চলে যেও তুমি আমি বলে রাখবো ওকে।”
–“লোক দেখানো বউয়ের জন্য এসব করার কি কোনো দরকার আছে?”
আয়াতের এমন কথায় শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো শ্রাবণ। অতঃপর আয়াতের দিকে ফোন এগিয়ে দিলো আবারো। আয়াত না রাখতে চাইলেও শ্রাবণ একপ্রকার জোর করেই আয়াতের হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে। শ্রাবণের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আয়াত তপ্ত শ্বাস ফেললো। শ্রাবণ অফিস যাওয়ার পর সানিয়া মেহরাব দরজায় কড়া নাড়লেন। আয়াত দাঁড়িয়ে পড়লো উনাকে দেখে, দ্রুত আঁচল টেনে ঘোমটা দিলো মাথায়। তা দেখে সানিয়া মেহরাব মুচকি হেসে বললো,
–“এটা এখন থেকে তোমার নিজের বাড়ি। আগে বাবার বাসায় যেভাবে থাকতে এখানেও সেভাবে থাকো, কোনো সমস্যা নেই আমার। আমি তো ছেলের বউ না, মেয়ে এনেছি আমার জন্য।”
সানিয়া মেহরাবের কথা শুনে আয়াতের মুখ হাসি ফুটে উঠলো। বললো,
–“আপনি বসুন না আন্টি, দাঁড়িয়ে আছেন কেন?”
–“আন্টি বললে রেগে যাবো আমি। একটু আগেই না বললাম মেয়ে এনেছি আমি?”
–“স্যরি মা।”
–“আচ্ছা আমিও তুই করে বলি, তোর কোনো আপত্তি নেই তো? তুমিটা ভালো লাগছে না।”
আয়াত সম্মতি জানালো। সানিয়া মেহরাব বসে আয়াতকে নিজের পাশে বসালেন। ওর হাতদুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
–“শ্রাবণ কি কাল রাতে তোর সাথে বাজে বিহেভিয়ার করেছে আয়ু?”
সানিয়া মেহরাবের প্রশ্নে চমকালেন আয়াত। কি উত্তর দিবে ভেবে পেলো না। আয়াত কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো,
–“আচ্ছা মা, উনি ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার এসবে বিশ্বাস করেন না কেন?”
সানিয়া মেহরাব যেন জানতেন আয়াত এমন কিছু জিজ্ঞেস করবে উনাকে। তাই তো সরাসরি বললো,
–“আমাদের প্রেমের বিয়ে ছিলো। শ্রাবণের চাচা/ফুপি নেই। আমাদের বিয়ের মাস দেড়েক বাদেই শ্রাবণের দাদা মারা যান। বছর ঘুরতেই আমার কোল আলো করে শ্রাবণ এলো। শ্রাবণের মাঝেই যেন ওর বাবা নিজের বাবাকে খুঁজে পেলেন। বাবা আর দাদুর ভীষণ আদরের ছিলো ও। শ্রাবণের যখন সাত বছর বয়স তখন আমি আবার কন্সিভ করি। শানের জন্ম হলো। মাস ছয়েক বাদে শ্রাবণের দাদু মারা গেলো। তখনো সব ঠিকঠাক ছিলো। শ্রাবণের বাবার দুই ছেলের প্রতি ভালোবাসার কোনো কমতি ছিলো না৷ কিন্তু হঠাৎ করেই তার আচরণ বদলে যেতে শুরু করে। শানের যখন চার এবং শ্রাবণের এগারো বছর বয়স তখন উনি হঠাৎ বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে আসে। আমার পুরো পৃথিবী থমকে গেছিলো সেদিন। আমার আর আমার সন্তানদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যুক্তরাষ্ট্রে স্যাটেল হয়ে যায়। এরপর আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি আমাদের। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম লোকটাকে। লোকটা আমার ভালোবাসা আর বারো বছরের সংসার দুটো সন্তান সবকিছু পেছনে ফেলে অন্য নারীর সাথে নতুন জীবন শুরু করে। এরপর আমিও তার বাসা ছেড়ে বাবার বাসায় উঠি নিজের সেভিংস দিয়ে ভাইয়ের সাথে পার্টনারশিপে বিজনেস শুরু করি। আল্লাহ’র রহমতে আজ আমরা এই অবস্থানে।”
এইটুকু বলে চোখ মুছলো সানিয়া মেহরাব৷ আয়াতের চোখেও পানি। সানিয়া মেহরাব আবারো বললেন,
–“শ্রাবণের বাবাকে আমার এতদিনের ভালোবাসা, আমাদের বারো বছরের সংসার জীবনের মায়া, এবং বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনও আটকাতে পারেনি। এমন কি নিজের সন্তানের কথাও ভাবেনি লোকটা। শ্রাবণ তখন সবই বুঝে। সেই থেকে ছেলেটা আমার এসবে বিশ্বাসী না। ভেবেছিলাম বড় হলে সবটা ঠিক হয়ে যাবে, বুঝতে শিখবে সবাই ওর বাবার মতো না৷ কিন্তু আমার ছেলেটা বাবার মতো ভাবে সবাইকে৷ তাই তো এসবে বিশ্বাসী না৷ হারানোর ভয় পায় ও৷ ভাবে যদি নিজের জীবনের সাথে কাউকে জড়ালে সেও ওকে ছেড়ে যায় যেমন ভাবে ওর বাবা আমাদের ছেড়ে গেছিলো, তাই কাউকে জড়াতে চায় না। বিয়েও করতে চায়নি। আমার জেদের কাছে হার মেনেই এ বিয়েতে রাজি হয়েছে। বড্ড বেশি ভালোবাসে ছেলেটা আমাকে। তাই তো আমার কথা ফেলতে পারেনি৷ তুই পারবি না ওর জীবনটা গুছিয়ে দিতে? পারবি না নিজের ভালোবাসা দিয়ে ওর বেরঙিন জীবনটাকে রঙিন করে তুলতে? সবাই ওর বাবার মতো না৷ সবাই সবার ভালোবাসার মানুষটাকে ছেড়ে যায় না৷ ওর এই ভুলটা ভাঙাতে পারবি না? বল আয়ু পারবি না?”
এই মূহুর্তে আয়াতের কি বলা উচিত ও ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। সানিয়া মেহরাব আবারো একই প্রশ্ন করলেন। আয়াত আমতা আমতা করে বললো,
–“চে্ চেষ্টা করবো আম্ আমি।”
আয়াতের উত্তর শুনে খুশি হলো সানিয়া মেহরাব। তারপর আয়াতের সাথে গল্প জুড়ে দিলো। শ্রাবণ শান ওরা কি করতে ভালোবাসে কি খেতে ভালোবাসে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
–
রিংটোনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আয়াতের। ফোন হাতে নিয়ে নাম্বার চিনতে পারলো না। পরমূহুর্তেই মনে পড়লো এটা শ্রাবণের ফোন। কে না কে ফোন দিয়েছে এই ভেবে আয়াত আর রিসিভ করলো না। উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে রুম থেকে বের হতেই শানের সাথে দেখা হলো। শান আয়াতকে দেখে একগাল হেসে বললো,
–“ভাইয়া ফোন করেছিলো রিসিভ করোনি কেন?”
–“উনার ফোনটা আমাকে দিয়ে গেছেন, আমি ভেবেছিলাম হয়তো উনারই কোনো ফোন হবে। আর তাছাড়া আমি তো উনার নাম্বার চিনি না তাই রিসিভ করিনি।”
–“ভাইয়া রেডি হতে বলেছে তোমায়।”
–“কেন?”
–“এতকিছু তো বলেনি। ফোন দিয়ে শুধু বললো, তোর ভাবীকে ফোন দিচ্ছি ধরছে না। তুই একটু গিয়ে রেডি হতে বল ওকে।”
শানের কথায় আয়াত ভ্রু কুঁচকালো। শান ফিক করে হেসে দিয়ে বললো,
–“সত্যি ভাইয়া এটাই বলেছে।”
মনে মনে হাসলো আয়াত। লোকটা সত্যিই তাহলে বাইরে স্বাভাবিক সব কাপলদের মতোই বিহেভিয়ার করছে। আর ঘরের ভিতর আসলেই আবার বলবে বিয়ে মানি না সম্পর্ক মানি না। শান আয়াতকে চুপ থাকতে দেখে বললো,
–“কি হলো কি ভাবছো?”
–“কিছু না।”
–“রেডি হয়ে নাও, ভাইয়া কিন্তু খুব পাংচুয়াল।”
আয়াত সম্মতি জানিয়ে আবার ঘরে ঢুকতে গেলেই শান পেছন থেকে বললো,
–“আয়ু ভাবী?”
আয়াত পেছন ফিরে ভ্রু কুঁচকে শানের দিকে তাকালো। শান মুচকি হেসে বললো,
–“এখন থেকে তোমায় ভাবী বলবো। কোনো আপত্তি আছে?”
আয়াত মুচকি হেসে বললো,
–“উঁহু।”
অতঃপর আয়াত ঘরে চলে গেলো রেডি হতে৷ আলমারি খুলতেই চোখে পড়লো কালকের কেনা গোলাপি রঙের টিস্যু শাড়িটা। আয়াত সেটা বের করলো পড়ার জন্য৷ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পড়ছে আয়াত। কাঁধে আঁচল ফেলে দিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে কুচি ঠিক করছিলো আয়াত৷ সেসময়ে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে শ্রাবণ। চোখ যায় সরাসরি আয়াতের উপর। আয়াত কুচিগুলো ধরেই পেছন ফিরে তাকায় কে এসেছে দেখার জন্য। দরজার সামনে শ্রাবণকে দেখতে পেয়ে চমকায় আয়াত। শ্রাবণের দৃষ্টি তখন সম্পূর্ণ ভাবে আয়াতের উপর। আয়াত দ্রুত আঁচল ঠিক করে উলটো ঘুরে দাঁড়ায়। বুকে হাত দিয়ে দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে ও। ভেবেছিলো এসময়ে ঘরে কেউ আসবে না। শান তো জানেই ও রেডি হচ্ছে আর সানিয়া মেহরাবও নিজের ঘরে৷ শ্রাবণের অফিস থেকে ফিরতে কম হলেও আধ ঘন্টা লাগবে এই ভেবে দরজা লক না করেই এমনিতে আটকে রুমেই শাড়ি পড়ছিলো ও। কিন্তু কে জানতো শ্রাবণ চলে আসবে এত তাড়াতাড়ি? লজ্জায় আয়াতের মাথা কাটা যাচ্ছে। শ্রাবণ বেশ কিছুক্ষণ আয়াতের পানে তাকিয়ে থেকে কোর্ট খুলে টাওয়াল হাতে নিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে চলে গেলো। এতক্ষণে যেন আয়াত হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। এই ফাঁকে আয়াত তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলো। মিনিট দশেক বাদে শ্রাবণ ওয়াশরুম থেকে বের হলো। আয়াত জিজ্ঞেস করলো,
–“কিছু লাগবে আপনার?”
–“উঁহু। নিচে যাও তুমি, আমি আসছি।”
আয়াত সম্মতি পেয়ে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। লম্বা একটা শ্বাস ফেলে চেঞ্জ করে নিলো শ্রাবণ। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে গায়ে পারফিউম লাগাতে লাগাতে ভাবলো আয়াতের কথা। একটু আগের দৃশ্যটাই যেন বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তপ্ত শ্বাস ফেলে বললো,
–“বিয়েতে কি সত্যিই অদ্ভুত কোনো বন্ধন আছে? আমি কি আয়াতের মায়ায় আটকে পড়ছি?”
মনে মনে এসব বিড়বিড় করে পকেটে ফোন ঢুকিয়ে নিলো। অতঃপর হাতে ঘড়ি পড়তে পড়তেই বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে।
আয়াত সোফায় বসে সানিয়া এবং শানের সাথে কথা বলছিলো। শ্রাবণকে দেখেই আয়াত বসা থেকে দাঁড়ালো। শ্রাবণ পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো আয়াতের দিকে। এই শাড়িটাতে ভীষণ মানিয়েছে ওকে৷ পরমুহূর্তে চোয়াল শক্ত হয়ে এলো শ্রাবণের। টিস্যু শাড়ি এটা। যার ফলে আয়াতের পেট স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে৷ মূহুর্তেই আবার নিজেকে সামলে নিলো। তাতে ওর কি? শ্রাবণ তো আর বিয়ের এই সম্পর্কে বিশ্বাসী না। আয়াতের যা ইচ্ছে করুক, এতে ওর কিছু যায় আসে না। এই ভেবে শ্রাবণ মাকে বলে বেরিয়ে গেলো। আয়াতও ওদের থেকে বিদায় নিয়ে ছুটলো শ্রাবণের পেছনে।
চলবে~