#মন_বিনিময়
#পর্বঃ৩০
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
রঙ-বেরঙের মরিচ বাতির আলোয় সজ্জিত বিয়েবাড়ি। চারদিকে মানুষের ভীড়, দম ফেলার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই যেন কোথাও! একটু পরেই শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান, বরযাত্রী এসে যাবে যেকোনো মুহুর্তে। শেষ মুহুর্তে সবকিছুর তদারকিতে ব্যস্ত গুরুজনেরা, পাছে কোনোকিছুর কমতি না রয়ে যায় কোথাও! মেহমানদের সাথে আসা ছোট বাচ্চারা এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছে, বড়দের ব্যস্ততায় তাদের যেন কোনোই হেলদোল নেই। এরই মাঝে একজোড়া চোখ এত ভীড়ের মধ্যেও ক্লান্তিহীনভাবে খুজে চলছে কাউকে। স্বপ্নিলের মেজাজ তীক্ষ্ম, কিন্তু কেন তা সে জানেনা৷ হঠাৎ করেই ভীষণ বিরক্ত লাগছে ওর, এত হইচই, চারদিকে সাউন্ডবক্সে গান বাজছে সব মিলিয়ে মাথা ধরার উপক্রম। তার মধ্যে সকাল থেকে রাহিতার দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা, যা মন-মেজাজ আরও বি’ষিয়ে দিয়েছে স্বপ্নিলের। মেয়েটা কোথায় যে গেছে, রেডি হয়েছে কিনা তাও জানেনা স্বপ্নিল। সেদিন তো পাঞ্জাবির বাহানায় তাও দেখা মিলেছিলো কিন্তু আজ সেটাও করা যায়নি! বলতে গেলে এমনটা করার সুযোগই পায়নি স্বপ্নিল কেননা রুমে ঢুকতেই বিছানার উপর স্যুট-প্যান্ট দেখে স্বপ্নিল বুঝে এটা রাহিতার কারসাজি৷ তাই চুপচাপ হতাশ মুখে রেডি হয়ে বাইরে চলে আসে। এরপর সবার সাথে এ কাজ সে কাজ দেখতে দেখতেই বাকি সময় কেটে যায়। সবমিলিয়ে বিরক্তিতে স্বপ্নিলের মেজাজ যখন তুঙ্গে ঠিক তখনি একটি হাত পেছন থেকে কাধে হাত রাখে ওর। মেয়েলি স্পর্শ অনুভব করায় এটা কে হবে অনুমান করে মুহুর্তেই স্বপ্নিলের চেহারায় বিরক্তির রেখা সরে গিয়ে হাসির দেখা মিলে, সেভাবেই পেছন ঘুরতে সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে দেখে ও চমকে যায়!
রাহিতা নয়, স্বপ্নিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমিরা, যে সম্পর্কে স্বপ্নিলের খালাতো বোন। যার আরেকটি পরিচয়, সে আনিকার ছোট বোন। আমিরাকে হঠাৎ করে এতদিন পর দেখে স্বপ্নিল বিস্ময় প্রকাশ করে বলে,
—কিরে, তুই এতদিন পর এখানে? কখন এসেছিস? হলুদে আসিস নাই কেন?
—আমি একটু আগেই এসেছি, ভাইয়া। একবার ভেবেছিলাম আসবোনা, পরে কাল হঠাৎ মনে হলো অনেকদিন বিয়ে খাইনা, আসা উচিত আমার।
তাই সকালের বাস ধরে চলে এসেছি একবারে৷ আসতে যেহেতু লেট হয়ে যাবে তাই একবারে পার্লার থেকে সেজেই এসেছি বিয়েবাড়িতে। এজন্য বেশি দেরি হলো। কেমন আছো?
—আছি, খারাপ না।
—এখনো মনমরা হয়ে থাকো নাকি? অবশ্য তোমায় দেখে তো সেটা মনে হচ্ছেনা! লাস্ট যেদিন দেখেছিলাম তার চেয়ে অনেকটাই ফ্রেশ ও হাসিখুশি লাগছে তোমায়৷
আগ্রহভরে বলে উঠলো আমিরা। ওর কথার বিপরীতে স্বপ্নিল মাথা নাড়িয়ে বলে,
—তা অবশ্য ভুল বলিসনি। আমি যেমনটা থাকবো ভেবেছিলাম, তার চেয়ে তো অনেক ভালো আছি এখন আলহামদুলিল্লাহ!
মুচকি হেসে বলে স্বপ্নিল। সে হাসি লক্ষ্য করে অন্তরে এক প্রকার প্রশান্তি অনুভব করে আমিরা। কেননা সে নিজেই দেখেছিলো তার বোনের মৃত্যুর পর স্বপ্নিলের কেমন অবস্থা হয়, কতটা ভেঙে পড়ে সে। তাইতো বিবেকবান আমিরা নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বপ্নিলের বিয়ের পর ওর অফিস যেয়ে আনিকার ডায়েরি দেখায় ওকে। বোনের অতীত সম্পর্কে সবকিছু স্বপ্নিলকে বলে দেওয়ার কাজটা সে এজন্যই করে যাতে স্বপ্নিল জীবনে মুভ অন করতে পারে, নিজের অতীত ভুলে বর্তমানকে সাদরে গ্রহণ করতে পারে! তাই আজ স্বপ্নিলের কথায় ও স্বাভাবিক আচরণে ভীষণ খুশি হয় আমিরা৷ উচ্ছাসিত গলায় বলে,
—যাক! শুনে খুব খুশি হলাম। এভাবেই ভালো থাকো সারাজীবন। তা তোমার বউ কোথায়? মা-র জন্য তোমার বিয়েতেও তো যেতে পারিনি, আবার ছবিও তো দেখিনি ভাবীর।
—জানিনা। ও যে কই আছে, কি করছে কিছুই জানিনা আমি!
হতাশ মুখে বলে স্বপ্নিল। তা শুনে সরু চোখে চেয়ে আমিরা প্রশ্ন করে,
—ওমা, তা কেন? এখন আবার এটা বলোনা যে ভাবীর সাথে তোমার সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি? কামঅন ভাইয়া, মাস পার হয়েছে তোমাদের বিয়ের। যথেষ্ট সময় এটা মুভঅন করার…
—আরে ধুর, তুই অযথাই ভুল বুঝছিস। এমন কিছুই না। আমাদের মধ্যে সব পুরোপুরি ঠিক না থাকলেও যথেষ্ট স্বাভাবিক আমরা, দুজন একে-অপরের সাথে বেশ কম্ফোর্টেবল এখন। আমি তো এজন্য বলছিলাম কারণ কাজের চাপে সকাল থেকে আমি ও রাহি কেউ কারও চেহারা দেখারও সুযোগ পাইনি।
—ইশ রে! আচ্ছা পরে দেখা হবে সমস্যা নেই। আপাতত ছবি দেখাও ভাবীর! দেখি তো কে সেই লাকি মেয়ে যে আমাদের স্বপ্নিল ভাইকে পেলো?
আমিরার কথায় হাসতে হাসতে রাহিতার ছবি দেখানোর জন্য পকেট থেকে ফোন বের করছিলো স্বপ্নিল। পরক্ষণেই ওর হাসিমুখ মিলিয়ে গেলো যখন পুরো ফোন ঘেটেও রাহিতার একটা ছবিও পেলোনা। না নিজের সাথে, না ওর একার৷ হুট করেই স্বপ্নিল অনুভব করলো বিয়ের এতদিনেও রাহিতার সাথে একটা সিংগেল কাপল পিক নেই ওর কাছে, এমনকি রাহিতার কোনো সিংগেল ছবিও তার সংগ্রহে নেই। বিষয়টা কেন যেন খারাপ লাগলো স্বপ্নিলের। সে এতদিন এটা খেয়াল করেনি কেন? আশ্চর্য!
__________________
বরযাত্রী মিনিট পাচেক এর মধ্যে চলে আসবে বাসায়। তা শুনে সকলের ব্যস্ততা কয়েকশো গুণ বাড়লো। এদিকে গাঢ় নীল রঙের শাড়ি পড়ে সেজেগুজে রেডি হওয়া রাহিতা অবশেষে বউয়ের রুম থেকে বের হতে পারলো। এতক্ষণ শাশুড়ি ও বাড়ির মেয়েদের সাথে বাড়ির বউ হিসেবে কনের সাথে বসেছিলো রাহিতা। মনে মনে স্বপ্নিলের সাথে দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও মুখফুটে এটা সে বলতে পারেনি কাউকে, না-ই বের হতে পেরেছে রুম থেকে। তাই অবশেষে সুযোগ মিলায় রাহিতা যেন হাফ ছেড়ে বাচলো! আশেপাশে তাকিয়ে বাড়ির মেইন ফটকের দিকে এগোতেই স্বপ্নিলকে চোখে পড়লো তার। শুধু স্বপ্নিলকে দেখলো বললে ভুল হবে, অচেনা এক মেয়ের সাথে হাস্যোজ্জ্বল স্বপ্নিলকে দেখলো। যা দৃষ্টিগোচর হতেই চলন্ত কদম নিজ থেকেই থেমে গেলো রাহিতার। ভ্রুযুগলে ভাজ ফেলে সেদিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো সে, পরপর এগিয়ে গেলো তাদের দিকে। ধীরে ধীরে স্বপ্নিলের পেছনে এসে দাড়ালো রাহিতা। এদিকে স্বপ্নিল নিজের কথায় ধ্যানমগ্ন থাকায় ওর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা নিশ্চুপ রাহিতার উপস্থিতি অনুভব করতে পারেনি, যা আরেকটু কস্ট দিলো রাহিতার ঈর্ষান্বিত মনকে! স্বপ্নিল ওর উপস্থিতিও টের পেলোনা তাই বলে? কি এমন ব্যস্ত সে অন্য মেয়েটার সাথে! সারাটা দিন যে তাদের দেখা হয়নি সেটার কোনো প্রভাব পড়েছে লোকটার উপর? পড়েনি! এজন্যই ওকে ভুলে ঠিকই অন্য মেয়ের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠেছে!
মনে মনে ফুসে উঠে রাহিতা।
পরক্ষণেই গলা ঝেড়ে নিজের উপস্থিতির জানান দেয় খানিকটা ক্রু’দ্ধ ভাবেই! আওয়াজ পেয়ে পেছনে তাকাতেই গোমড়া মুখের রাহিতাকে নজরে পড়ে স্বপ্নিলের। সাথে সাথেই মুখের হাসি আরেকটু বেড়ে যায়। রাহিতাকে পেছন থেকে টেনে নিজের পাশে নিয়ে এসে বলে,
—সারাদিন পর তোমার দেখা পেলাম। এতক্ষণে সময় হলো বুঝি?
—হুম
রাহিতার ঠান্ডা উত্তরে স্বপ্নিল খানিকটা চমকে যায়। পরক্ষনেই মাথা না ঘামিয়ে সামনে দাঁড়ানো আমিরার সাথে ওকে দেখা করিয়ে দিতে বলে,
—রাহি, এটা আমিরা, আমার খালাতো বোন। সীমা খালামনির ছোট মেয়ে। আমিরা, ও রাহিতা। আমার বউ।
—হুম তা তো দেখেই বুঝেছি, ভাইয়া। ভাবী কেমন আছো? এই প্রথম তোমার সাথে দেখা হলো।
—ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো, আপু।
—আমি ভালো আছি। সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে এ সময় হুট করে চলে এলাম বিয়েতে। মা-ও জানেনা বুঝেছো? এখন দেখে চমকে উঠবে নির্ঘাত! তবে ভাবী, তুমি কিন্তু খুব সুন্দর। স্বপ্নিল ভাইয়ার সাথে বেশ মানিয়েছে।
—তাই? তুই বললি আর বিশ্বাস করতাম?
আমিরার কথার বিপরীতে বলে উঠে স্বপ্নিল। ওর কথায় সে বলে,
—উফফ! তুমিও না ভাইয়া। আগের মতোই ফাজলামি করো শুধু। আচ্ছা, দাড়াও তোমাদের একটা ছবি তুলে দিই তারপর দেখো।
আমিরার কথায় স্বপ্নিল মনে মনে কু’টিল হাসে৷ সূক্ষ্মভাবে করা তার কৌশল কাজে লেগে গেলো। মূহুর্ত বিলম্ব না করে স্বপ্নিল নিজের ফোন এগিয়ে দিলো আমিরার দিকে। রাহিতা নীরবে সবকিছু দেখছিলো শুধু৷ পোজ দেওয়ার জন্য স্বপ্নিল রাহিতার দিক তাকালেও, সে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আগেকার ন্যায় ভো’তা মুখে দাঁড়িয়ে আছে সামনের দিকে। এবার স্বপ্নিল হুট করে রাহিতার বাহু টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। কিঞ্চিৎ বিস্ময়ে রাহিতা তাকাতেই বললো,
—কি? এভাবে তাকাচ্ছো কেন? ছবি তো মানুষ এভাবেই তুলে। তুমি এত দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে তো এক ফ্রেমেই আটবোনা আমরা! কাছে আসো, বোকা মেয়ে।
স্বপ্নিলের কথায় হতভম্ব রাহিতা কি রিয়েকশন দিবে ভেবে পাচ্ছেনা। মানুষের সামনে এরকম নির্লজ্জ কথাবার্তা কে বলে? অদ্ভুত! রাহিতার চেহারা দেখে ও স্বপ্নিলের কথায় হেসে ফেললো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমিরা। হাসতে হাসতেই বললো,
—ভাইয়া, তুমি আর বদলাবে না তাইতো? ইশ, রাহিতা ভাবী লজ্জা পাচ্ছে দেখো!
—তোর ভাবীর প্রতিদিনের রুটিন বিনাকারণে লজ্জা পাওয়া। এটা নতুন কিছু না।
—এই আপনি চুপ করবেন?
দাতে দাত চেপে বলে রাহিতা। ওর মনে স্বপ্নিলের প্রতি একটা চাপা রা’গ রয়েই গেলো এতক্ষণ একবারো ওর খোজ না নেওয়ার জন্য, যা এ মুহুর্তে আমিরার সামনে প্রকাশ করলোনা সে। এদিকে রাহিতার কথায় হেসে ফেলে স্বপ্নিল ও আমিরা।
অতঃপর স্বপ্নিল ভদ্রছেলের ন্যায় রাহিতাকে কাছে নিয়ে ওকে ধরে পোজ দেয়। রাহিতাও ছবির খাতিরে হাসিমুখে ক্যামেরায় তাকায়। দুজন হাসিমুখে দুজনের দিকে তাকিয়ে, ঠিক যেন একটা পারফেক্ট কাপল মনে হচ্ছে তাদের। আমিরাও সুযোগ বুঝে ক্যামেরায় ক্লিক করে ফটাফট। মুহুর্তেই ক্যামেরাবন্দী হয় কিছু দুজনার একত্রে কিছু ছবি। ফোন হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ দুজনের ছবি দেখে আমিরা হঠাৎ আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলে,
—আসলেই তোমাদের মেড ফর ইচ আদার মনে হচ্ছে৷ হয়তো তোমার সাথে স্বপ্নিল ভাইয়ার জুটি লেখা ছিলো এজন্যই এভাবে তুমি ভাইয়াকে পেলে, ভাবী। যে জায়গায় আজ আমার বোনের থাকার কথা ছিলো কিন্তু সে জায়গা কখনো তার ছিলোনা। এজন্যই তার হওয়ার আগে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলো!
ওর কথায় খানিকটা খারাপ লাগে রাহিতার৷ মেয়েটার হয়তো কস্ট লাগছে নিজের বোনের কথা মনে হওয়ায়। কিন্তু একিসাথে আমিরার প্রতি মুগ্ধ হয় সে, কতটা সাবলীলভাবেই না সে ভাগ্যকে মেনে নিয়েছে নির্দ্বিধায় যেটা তার মা, সীমা বেগম করতে পারেননি। মা-মেয়ে তবু তাদের মধ্যে কত পার্থক্য!
ভাবুক রাহিতা মুখ খুলে আর কিছু বলবে, সে মুহুর্তে বরপক্ষ চলে আসায় ওর কথা অপূর্ণ থেকে গেলো। সে চটজলদি আর সবার সাথে গেটের দিকে চললো। স্বপ্নিলও রাহিতার পিছু পিছু যাবে এমন সময় আমিরা পেছন থেকে বললো,
—ভাবীর কি কোনোকিছু নিয়ে মন খারাপ, ভাইয়া? দেখে মনে হলো কেন জানি।
—তোরও মনে হয়েছে? আমিও তাই ভাবছিলাম। কি যে হলো ওর হঠাৎ বুঝলাম না! কথা বলতে হবে রাহিতার সাথে। কিন্তু সুযোগই পাচ্ছিনা খুব একটা, এটাই হলো কথা!
—আচ্ছা। একটা কথা, মা কি এখানে কোনো সিন ক্রিয়েট করেছে? ভাবীকে বা তোমায় কোন কথা শুনিয়েছে?
আমিরার কথায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে স্বপ্নিল। মাথা নাড়িয়ে বিষাদ সুরে বলে,
—খালামনিকে তুই চিনিস না? সে কি ছেড়ে দিবে? আমাকে বললে না হয় আমি শুনতাম কিন্তু রাহিতার তো দোষ নেই কোথাও তবুও তিনি রাহিতাকেই সুযোগ পেলে খোটা দেয়।
স্বপ্নিলের কথা শুনে শ্বাস ফেলে আমিরা। সে জানতো নির্ঘাত তার মা এমন কিছু করবে। মূলত এজন্যই সে এসেছিলো এখানে কি হচ্ছে তা দেখতে। আর স্বপ্নিল-রাহিতাকে দেখে যা বুঝার সে বুঝে গেছে। এখন থেকে মায়ের উপর খেয়াল রাখবে সে। ওর ভাবনার মাঝেই স্বপ্নিল চলে যেতে যেতে বলে,
—তোর সাথে পরে কথা বলবো। এখন বরযাত্রীদের আপ্যায়ন করতে হবে। আয়!
#চলবে