কিশোরী কন্যার প্রেমে পর্ব ৩০

0
615

#কিশোরী_কন্যার_প্রেমে
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৩০
.
তখন সময়টা সন্ধ্যা। অর্ঘমা নিজের রুমে বসে বসে বিড়ালছানার সাথে সময় কাটাচ্ছিল। বাসায় সে আর মিনা বেগম ছাড়া কেউ নেই। কলিংবেলের শব্দে উঠে দাঁড়াল অর্ঘমা। কিন্তু সে যেতে যেতেই মিনা বেগম দরজা খুলে দিয়েছেন। তিনি ড্রয়িংরুমেই ছিলেন। অর্ঘমা গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখল দরজার ওপাশে অভ্র আর নিধি দাঁড়িয়ে আছে। অবাক হয়ে গেল সে। এবার কিছুটা এগিয়ে গিয়েই দাঁড়াল ব্যাপারটা বোঝার জন্য। দরজা খুলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সামনে তাকালেন মিনা বেগম। পরক্ষণেই হুংকার ছেড়ে বললেন,
-“এই মেয়েটার সাথে তুই কোত্থেকে ফিরছিস অভ্র?”
নিধি কাচুমাচু ভঙ্গিতে অভ্রর পেছনে চলে গেল। মিনা বেগমকে সে বড্ড ভয় পায়। ভদ্র মহিলা যে তাকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না সেই সম্পর্কে সে অবগত। অভ্র পেছন থেকে নিধিকে সামনে এনে তার হাত ধরে বলল,
-“এই মেয়েটা এখন থেকে তোমার পুত্রবধূ।”
-“কীহ্?”
ভীষণ রকমের ভড়কে গেলেন মিনা বেগম। তার চোখ দু’টো যেন কপালে উঠে গেল। কিছু বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে চমকে গেছে অর্ঘমাও। তার ভাই বিয়ে করে ফেলেছে? তাও আবার তারই বান্ধবী নিধিকে? তার মুখেও কোনো শব্দ নেই বলার মতো। সে শুধু আড়চোখে মিনা বেগমের দিকে তাকাচ্ছে।

আজ অভ্রর অফিস বন্ধ ছিল। সকালে নিধি ভার্সিটি যাওয়ার পর অভ্র ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে বাবা-মাকে নিধির ব্যাপারে জানালে তৎক্ষণাৎ বেঁকে বসেন মিনা বেগম। অভ্রর বাবার তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি শুধু বলেছেন,
-“দেখো বাবা, সারাজীবন সংসার তুমি করবে। ওই মেয়ের সাথে জীবন তুমি কাটাবে। তাই তুমি যা ভালো বুঝো সেটাই করো। জীবন তোমার, সিদ্ধান্তও তোমার। তুমি তো আর সেই ছোট্টটি নেই যে তোমাকে এই বয়সে ভালোমন্দ বোঝাব আমি। নিজের ভালোমন্দ অবশ্যই তুমি নিজে বুঝতে শিখেছ। তোমার যদি মনে হয় নিধি তোমার উপযুক্ত তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই ওকে পুত্রবধূ হিসেবে মানতে।”
বাবার সহজসরল স্বীকারোক্তি শুনে অভ্র খুশি হলেও পরক্ষণেই মায়ের চেঁচামেচির কারণে তার সেই খুশিতে ভাঁটা পড়ল। তিনি কোনোভাবেই তার একমাত্র ছেলের বিয়ে এমন মেয়ের সাথে হতে দিবেন না যার কিনা নিজের বলতে কিছুই নেই। এমন কি পরিবারও না। মায়ের সাথে বহুক্ষণ কথা কাটাকাটি হওয়ার পর অভ্র রেগে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর এখন ফিরল নিধিকে সাথে নিয়ে।
-“তোর মাথা ঠিক আছে অভ্র? কী বলছিস এটা তুই?”
-“ঠিকই বলেছি মা। নিধি এখন থেকে তোমার পুত্রবধূ। আমি আর ও বিয়ে করে নিয়েছি।”
-“অভ্র!”
-“আমি সকালেই বলেছিলাম, বিয়ে করলে আমি নিধিকেই করব।”
-“আমার কথার কী কোনো দাম নেই তোর কাছে? এতবার বারণ করা স্বত্বেও তুই এই মেয়েকে বিয়ে করতে পারলি?”
-“প্রথমত, নিধিকে আমি ভালোবাসি। দ্বিতীয়ত, ও প্রেগন্যান্ট। আর বেবিটা আমার।”
ঝড়ের গতিতে একটা থাপ্পড় পড়ল অভ্রর গালে। থাপ্পড়টি মেরেছেন মিনা বেগম। রাগে তার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। যে ছেলেকে নিয়ে তিনি এত গর্ব করতেন, সেই ছেলে কিনা শেষমেশ এমন একটা কাণ্ড ঘটাল? ছিঃ ছিঃ! আর কোনো শব্দ অপচয় না করে তিনি হনহনিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন। অভ্র নিধির হাত ধরে ভেতরে ঢুকল। অর্ঘমা এগিয়ে এসে কিছু না বলে নিধিকে নিয়ে রুমের ভেতরে গেল। রুমে যেতে যেতে চোরের মতো আশেপাশে তাকিয়ে গলার স্বর নিচু করে প্রশ্ন করল,
-“তুই সত্যি সত্যি প্রেগন্যান্ট?”
অপ্রস্তুত হলো নিধি। লজ্জাও পেল কিছুটা। অস্বস্তিতে কাচুমাচু অবস্থা তার। অর্ঘমা কী বলবে ভেবে পেল না। শুধু মৃদু হেসে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বান্ধবীকে অভিনন্দন জানাল।
___
নীরদ নিজের আর অর্ঘমার বিদেশে যাওয়ার সকল কাগজপত্র তৈরি করছে। কাগজপত্র পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলেই সে অর্ঘমাকে বিয়ে করে নিবে। কোনো অনুষ্ঠান করবে না। একদম ঘরোয়া ভাবে বিয়েটা সেরে ফেলবে। যদি তার পরিবার না মানে তাহলে শুধু বন্ধু-বান্ধব, অভ্র আর নিধিকে নিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলবে। নীরদ শতভাগ নিশ্চিত তার পরিবার থেকে এই বিয়ে কোনোভাবেই মানবে না। তবুও বিয়েটা করলে তার ওপর রাগ করবে সবাই। বড়জোর কথা বলবে না কয়েকদিন। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো অর্ঘমার সাথে সহজ হতে পারবে না তারা, ব্যস! এইটুকুই।

এর মাঝে বেশ কয়েকবার থানায়ও গিয়েছিল নীরদ। কিন্তু ফলাফল সেই শূন্যই। অফিসার মোটা অংকের টাকা খেয়ে বসে আছে শাকিলের কাছ থেকে। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো স্টেপ সে নিচ্ছে না। উল্টো এই কেসটা মিথ্যে প্রমাণ করার সকল চেষ্টা করছে। নীরদ বুঝে গেছে পুলিশ তাদের সহায়তা করবে না। এখন যে পক্ষের টাকা আছে আইন সেই পক্ষকেই সমর্থন করে। আর তাদের টাকা থাকলেও শাকিলের মতো অতো টাকা নেই যে আইনকে কিনে নিবে। পুলিশের অযৌক্তিক কথাবার্তায় একরাশ রাগ নিয়ে থানা থেকে ফিরে এসেছে নীরদ। অর্ঘমাকে এসবের কিছুই জানায় নি। মেয়েটা এমনিতেই প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে দূর্ঘটনাটার কথা ভেবে। এসব বলে সেই কষ্টের দাবানলে আর ঘি ঢালতে চায় না সে।
___
দু’হাত ভরতি মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বাসায় এসেছে নীরদ। অভ্রর দিকে তাকিয়ে সেই কখন থেকে মিটমিট করে হাসছে সে। অভ্র বেচারা একটু পর পর শুঁকনো কাশি দিয়ে ফোনের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এভাবে যদি লজ্জার হাত থেকে বাঁচা যায় নীরদের কাছ থেকে। কিন্তু নীরদ তো নীরদই। অভ্রর পাশে বসে গলা ঝেড়ে নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
-“কী ভাই? কী হলো এটা?”
-“কোনটা?”
-“বাচ্চাটা কোত্থেকে এলো?”
অভ্র বেশ বুঝতে পারছে নীরদ তাকে খোঁচাতে এসেছে।
-“আকাশ থেকে টপকেছে।”
-“তুমি ঢিল না মারলে তো টপকানোর কথা ছিল না, তাই না?”
-“তোর এই খোঁচাখুঁচির অভ্যাস যাবে না?”
-“কেন যাবে? আমি তো শুধু সত্যিটা বলি।”
-“অনেক সত্যি বলে ফেলেছিস ভাই। এবার চুপ থাক।”
-“ঠিক আছে, থাকলাম চুপ। তবে আমি এখনো একটা জিনিসই ভেবে পেলাম না। তোমার বোনের সাথে আমার এতদিনের সম্পর্ক। আজ পর্যন্ত তো ওকে একটা কিসও করলাম না। আর তুমি আমার পরে নিধির সাথে সম্পর্কে জড়িয়েও ডিরেক্ট বাবা হয়ে গেলে?”
অভ্র খুকখুক করে কেশে উঠল। সে চেয়েও পারছে না নীরদকে কিছু বলতে। আড়চোখে নীরদের দিকে তাকিয়ে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে বলল,
-“বোন হয় আমার। এসব কী বলিস তুই আমার সামনে? এর থেকে অর্ঘমাকে নিয়ে বাইরে থেকে ঘুরে আয়। তবুও তোর এই খোঁচাখুঁচি বন্ধ কর।”
-“হবু বাবাদের এত রাগ করতে হয় না। বাবুর উপর এফেক্ট পড়বে।”
-“চাচ্ছিসটা কী তুই?”
-“তোমার মতো সাহসী হতে চাইছি।”
-“ভাই, হাতজোড় করে মাফ চাইছি তোর কাছে। তুই আর এই ব্যাপারে কোনো কথা বলিস না।”
-“ভেবে দেখব। তবে তার আগে তোমার বোনকে একটু দেখে আসি।”
অভ্র হাতজোড় করে নীরদকে যেতে বলল। নীরদও হাসতে হাসতে উঠে এগিয়ে গেল অর্ঘমার রুমের দিকে।
___
অর্ঘমা চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল ব্যালকনির জানালার সামনে। সে গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবতে ব্যস্ত। নীরদ রুমের দরজা চাপিয়ে দিয়ে গিয়ে পেছন থেকে অর্ঘমাকে জড়িয়ে ধরে টুপ করে গালে একটা চুমু খেয়ে নিল। চমকে উঠল অর্ঘমা। নীরদ দিন দিন বেপরোয়া স্বভাবের হয়ে উঠছে তার জন্য। ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য হলেও সে উপভোগ করতে পারছে না আজ। বরং তার খারাপ লাগছে, কষ্ট হচ্ছে। যার ফলে মেজাজটাও বিগড়ে আছে তার। ছেলেটা এত অবুঝ কেন? কেউ কীভাবে জেনে শুনে নিজের জীবনটাকে এমন একজনের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে যে মেয়ে কী না একজন ধর্ষিতা?

নীরদ তাকে এসব ভাবতে বারণ করেছিল। সে-ও ভাবা বাদ দিয়েছিল। কিন্তু লোকজন তাকে ভুলতে দিলে তো! আজ নীরদের মা ফোন দিয়েছিল তাকে। ফোনে নীরদের মায়ের সাথে নুসরাতও ছিল। তারা অনেক কিছুই বলেছে। যদিও ভদ্রভাবে বলেছে কিন্তু অর্ঘমা তো আসল খোঁচাটা ঠিকই বুঝেছে। নুসরাত একদম সাফ সাফ ভাবে বলে দিয়েছে সে নিজের ননদকে নীরদের বউ করে নিয়ে আসতে চায়। মেয়েটা নাকি অনেক ভালো। নীরদকে পছন্দও করে। এর বিপরীতে অর্ঘমার বলার কিছুই ছিল না। সে শুধু এতটুকুই বলেছিল যে নীরদ তাকে ভালোবাসে। তখন নীরদের মা বলেছেন, ‘ভালোবাসা আজ আছে। এখন তোমাদের বিয়ে হলে আশেপাশের লোকজনের কথা রোজ রোজ শুনতে হবে নীরদকে। কয়েক মাস পর বা কয়েক বছর পর তখন আর এই ভালোবাসাটা থাকবে না। থাকবে শুধু তিক্ততা আর বিরক্তি। তখন ভালোবাসাটা গায়েব হয়ে যাবে। তাই তোমাদের ভালোর জন্যই বলছি তুমি নীরদের থেকে দূরে থাকো। ও এখন আবেগের বশে এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে। পরে ওকেই ভুগতে হবে। আর আমি চাই না আমার ছেলের ভবিষ্যত নষ্ট হোক। আমার কথাটা বুঝতে পেরেছ তুমি?’ অর্ঘমা তখন নীরব ছিল। মুখে আর কোনো শব্দ ছিল না বলার মতো। সত্যি কথাগুলো সবসময় তেঁতো হয়। তার কাছেও তেঁতো লেগেছে। কল কাটার পর থেকে বারবার নীরদের মায়ের বলা কথাগুলো তার কানে রেডিওর মতো বেজে চলেছে। নীরদের কাজকর্ম তার রাগের আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে।

একসময় আর সহ্য করতে না পেরে নীরদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে মাথার চুল দু’হাতে খামচে ধরে ফ্লোরে বসে পড়ল অর্ঘমা। নীরদ বিস্ময় ভরা চোখে তাকিয়ে অর্ঘমার দিকে। চোখের জলে নিমিষেই ভিজে উঠেছে গালজোড়া। চোখ বন্ধ করে অর্ঘমাকে অনবরত কিছু বিরবির করতে দেখে তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসল নীরদ। অর্ঘমার মাথায় হাত রাখতেই ছিটকে সরে গেল সে। চোখেমুখে একরাশ ভয় নিয়ে বারবার দূরে যেতে বলতে লাগল নীরদকে। হঠাৎ এসবের মানে নীরদ বুঝল না। তার চোখে শুধু বিস্ময় খেলা করছে। অর্ঘমার ব্যবহারে পাগলামো প্রকাশ পাচ্ছে। ধক করে উঠল তার হৃদয়। মেয়েটাকে আবার কেউ উল্টো পাল্টা কিছু বলেনি তো? এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই অর্ঘমা জোরে কেঁদে উঠল। বিষয়টাতে চমকে উঠল নীরদ। কী থেকে কী হলো বা কী হচ্ছে কিছুই তার বোধগম্য হচ্ছে না। অভ্র আর নিধি একপ্রকার দৌড়ে এলো। অর্ঘমাকে কাঁদতে দেখে কারণ জিজ্ঞেস করলে নীরদ চুপ রইল কিছু সময়। অর্ঘমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে এগিয়ে গেল তার দিকে। অর্ঘমা পেছাতে চাইলেও পারল না। পিঠ দেয়ালের সাথে ঠেকে গিয়েছে তার। নীরদ হাঁটু গেড়ে বসে তার গালে হাত রাখতেই গাল ঘুরিয়ে নিল অর্ঘমা। এবার দু’হাতে অর্ঘমার গাল ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল। চোখ বন্ধ করে নীরদের হাত সরানোর জন্য জোরাজোরি করতে লাগল। অভ্র আর নিধি একে অপরের দিকে তাকিয়ে আবারো ওদের দিকে তাকাল। তারা নীরব দর্শকের মতো দেখছে সবকিছু।

নীরদ কোনো প্রশ্ন না করে অর্ঘমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। অর্ঘমার ধৈর্যের বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। রাগের মাথায় হাত দ্বারা উল্টো পাল্টা আঘাত করতে লাগল সে নীরদকে। নিজের মুখ অর্ঘমার কাঁধে গুঁজে চুপচাপ তাকে জড়িয়ে ধরে বসে আঘাত সহ্য করতে লাগল। অর্ঘমা কান্নার পাশাপাশি নিজের সকল অভিযোগ খোলাসা করে দিল নীরদের কাছে। কিছু বলল না নীরদ। চোখ বন্ধ করে সেভাবেই বসে রইল। হুট করে অর্ঘমাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। টেবিলের উপর থেকে গ্লাস নিয়ে পানি খেয়ে চোখ বন্ধ করে মাথার চুলগুলো মুঠোয় নিয়ে টানতে লাগল। চোখ মেলে অর্ঘমাকে একবার দেখে নিয়ে হনহনিয়ে বেরিয়ে গেল। অভ্রও বের হয়ে গেল নীরদের পেছন পেছন।

অর্ঘমা শান্ত হয়েছে অনেক সময় নিয়ে। শান্ত হওয়ার পর থেকে বিছানায় গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে। পাশেই নিধি বসে অর্ঘমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। একটা সময় পর অর্ঘমা ঘুমিয়ে গেল। কান্নার ফলে ঘুমের রেশটা বেশ গাঢ়ই হলো তার।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here