বিপরীতে তুমি আমি পর্ব ১৭

0
557

#বিপরীতে_তুমি_আমি
#পর্বঃ১৭
#লেখনি_সুমাইয়া_ইসলাম

ছুটির ঘন্টায় কিরণ সেই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়েছিল। সেই যে ছুট লাগিয়েছিল পেছন ফিরে অর্ণবকে দেখার দুঃসাহস আর হয় নি। সেদিনের পর থেকে মনের চোর যেন ডাকাত হয়ে ওঠলো। এক দেখার পছন্দ তীব্র ভালোলাগায় উপনীত হল। অর্ণবকে দেখার জন্য লুকানোরও প্রয়োজন হতো না, না হতো বাহানার।
মনে মনে শিক্ষকদের ধন্যবাদের ঝুলি ঢেলে দিলো। মনের খুশি যখন ঠোঁটে ফুটে ওঠলো তখনই এক রাম ধমকে চমকে ওঠলো কিরণ। সামনে তাকিয়ে দেখতে পেলো অর্ণব দাঁড়িয়ে। অবাক হলো ভিষণ। কিছুক্ষণ আগেই তো তাদের শিক্ষক আজাদ হোসেন কথা বলছিলেন। সেখানে হুট করে আবার এ ছেলে গেল কখন? কিরণের ভাবনার মাঝে আবারো কথা বলল অর্ণব। চোখে মুখে বিরক্তি ভাব। আজাদ স্যারকে উদ্দেশ্য করে অত্যন্ত মার্জিত ভাষায় বলে,

স্যার! আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম ছোট বাচ্চাদের এতো বড় একটা প্রতিযোগিতায় নামাবেন না। আমি বিগত দশ মিনিট যাবৎ যা বলেছি শতভাগ নিশ্চিত এ মেয়ে একটা শব্দও মনোযোগ নিয়ে শোনে নি।

কিরণ মাথা নিচু করে ফেললো। সত্যিই সে কিছুই শোনে নি। শোনবে কি? সে তো খেয়ালই করে নি কখন অর্ণব আলোচনা করা শুরু করেছে। কিন্তু তাই বলে কি এমন ধমক দেওয়া লাগে?
আজাদ হোসেন কিরণের দিকে এগিয়ে আসলো। কিরণ ওঠে দাঁড়ালে তিনিও নরমভাবে বললেন,

আমার জানা মতে তুমি অত্যন্ত মনোযোগী একজন শিক্ষার্থী। তোমার থেকে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলাটা আশা করা যায় না। শুধুমাত্র আমার কথাতেই তোমাকে নেওয়া হয়েছে। নতুবা যেখানে ঢাকাসহ দেশের আরো নাম করা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে লড়াই করতে হবে সেখানে তোমার মত ছোট বয়সীর মেয়েকে নেওয়াতে কারো সম্মতি ছিল না। আমি খেয়াল করছি তুমি বেশ কয়েকদিন যাবৎ অন্য মনস্ক থাকো। এমন হলে কিন্তু তোমাকে বাদ দিতে বাধ্য হবো যেইটা তোমার জন্য খুবই অলাভজনক হবে। এমন সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না। সো মাই ডিয়ার! গেট সিরিয়াস।

কিরণ মাথাটা নিচু করেই সম্মতি জানালো। সে নিজেও চায় না এ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়তে। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ তার স্বপ্ন পূরণ করতে একটু একটু এগিয়ে যেতে পারবে। তাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে বসলো। অর্ণবের দিকে আর ঝুকবে না। সব নষ্টের মূলই যেন এ অর্ণব। পড়াশোনায় মন বসছে না অর্ণবের জন্য। হুট করে জীবনের রুটিন পরিবর্তন হয়ে গেল অর্ণবের জন্য। নিজেও যেন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বয়সের এ পর্যায়ে এমন বিরূপ অনুভূতি জীবন পরিবর্তন করে রেখে দেয় সম্পর্কে কিরণ জানে। তাই এখন থেকে আর নয়।

কিন্তু আর নয় বললেই কি মন থেমে থাকে? যে মন একবার ছুটেছে সে তো ছুটন্ত ট্রেনের মতো। সেই ট্রেনে আরোহী ব্যতীত সাধ্য কার ট্রেন থামানোর? মাথা নিচু করে অর্ণবের দিকে তাকাতেই দেখলো অর্ণব আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। মন প্রাণ এবার সম্পূর্ণ সামনের মানুষটার দিকে। না চাইতেই কিরণের নজর যাচ্ছে বারবার অর্ণবের দিকে। হাত নাড়িয়ে কি সুন্দর সে কথা বলে! যত্নে আছড়িয়ে রাখা চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে এক দুটো উড়ছে। প্যান্টে গুজে রাখা শার্টটাও ঢিলে ঢেলে পড়ে রয়েছে অর্ণবের শরীরে। তারাও বোধ হয় অর্ণবের প্রেমে ভিষণ ভক্ত। নতুবা ওমন সুন্দর করে লেগে থাকে নাকি? কিরণের মনে হঠাৎ করে হিংসা অনুভূত হলো। এ সুদর্শন পুরুষটা যদি অন্য কারো হয়?

কথা বলতে বলতে অর্ণব কিরণের দিকে এগিয়ে এলো। সামনে দাঁড়িয়ে গম্ভীরভাবো বললো,

আমার টপিকগুলো সব বুঝতে পেরেছো? কেন বিপক্ষে বলছি আমরা সেইটার সাথে একমত তো?

কিরণ সোজা হয়ে দাঁড়ালো ঠিকই কিন্তু শান্ত হয়ে কথা বলতে পারলো না। অশান্ত শ্বাস প্রশ্বাস। নিচের দিকে দৃষ্টি রেখে নিচু স্বরে বলে,

জ্বি!

এখানে কি তোমাকে কেউ দেখতে এসেছে? তুমি কি পাত্রপক্ষের সামনে বসে আছো?

হঠাৎ অন্য ধরনের কথা শুনে কিরণ মাথা তাকালো। উপস্থিত সকলেরই মুখ হাসি হাসি। কিন্তু কিরণের বোধগম্য হলো না এমন কথার। মাথা নাড়িয়ে না বলতেই অর্ণব আবারো বলে,

তাহলে মাথা নিচু করে মিন মিন করে কথা বলছো কেন? তুমি একটা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছো। তোমার কথা হতে হবে সুস্পষ্ট। সেখানে তোমার কথা শোনার জন্য একটা মাইকের প্রয়োজন বোধ করছি। আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলো।

কিরণ একদিকে ভিষণ অস্বস্তি অনুভব করছে তো অপরদিকে লজ্জা। কিভাবে সকলে তাকে দেখে হাসছে। বারবার ওকে নিয়েই কেন পরে আছে অর্ণব তার উত্তর মেলাতেই নারাজ হয়ে যাচ্ছে। মনের ভেতর একটু করে রাগ জমা হচ্ছে। নিজেকে সংযত করে ছোট্ট একটা ঢোক গিলে মাথা উঁচু করে। অর্ণবের দিকে তাকাতেই ওর আত্মা শুকিয়ে আসছে। ছেলেটাও যেন ইচ্ছে করে এসব করছে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিটা যেন ধারালো তীরের মতো। বিঁধে পড়ে। সেই দৃষ্টিতেই চোখে রেখেই কিরণ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,

আমার.. আমার কোনো দ্বিমত নেই।

ভিন্ন কোনো আইডিয়া?

কিরণ মাথা নাড়াতে যাবো তার আগেই অর্ণব আবারো মৃদু ধমকে বলে,

মুখে বলবে। আরেকবার মাথা নাড়াবে তো খবর আছে।

না। নেই।

আচ্ছা! তবে আগামীকাল সকলেই এই টপিকের উপর একটা চার্ট নিয়ে আসবো। আলোচনা আরো খোলামেলা হবে।

সকলের উদ্দেশ্যে কথা বলে নিজের সিটে যাওয়ার আগে পুনরায় দাঁড়িয়ে পড়লো। কিরণের দিকে তাকিয়ে বললো,

বাসায় গিয়ে বেশি বেশি চোখের দিকে কথা বলার চেষ্টা করবে। তাকিয়েই থেমে থাকা যাবে না। কে জানে ছোট মানুষ কাউকে ভালোলেগে তাকিয়ে থাকবে আর আমরা তোমার জন্য হেরে বাসায় ফিরবো।

অর্ণবের কথায় এবার সকলেই হেঁসে ওঠে। উপস্থিত স্যারও মুচকি হাসে। তিনি বড় শান্ত স্বাভাবের মানুষ। শিক্ষার্থীদের সাথে নরম ব্যবহারই সর্বদা দেখে এসেছে তারা। বেশ হাস্যরসাত্মকও বটে। কিন্তু যতই হোক শিক্ষক হওয়ার সুবাদে অর্ণবকে মৃদু ধমক দিলেন। এতে সকলের অট্ট হাসি থেমে গেলেও হাসি থামে নি। কিরণ ঠোঁট ভেঙ্গে কান্না আসতে চাইলো। সকলের সামনে এভাবে বলার কোনো প্রয়োজন কি ছিল অর্ণবের? কথা বলতে পারে না, কারো দিকে তাকাতে পারে না এসমস্ত কথা মোটেও কিরণের জন্য খাটে না। সে যথেষ্ট সুন্দর ও সুস্পষ্টভাবে কথা বলতে জানে। ছোট থেকেই বিভিন্ন জায়গায় নিজের প্রতিভা দেখিয়েছে। কিন্তু তার এই প্রতিভার অন্তরায় হঠাৎ করে এসে দাঁড়ালো অর্ণব। কিন্তু অর্ণব কি তা বুঝতে পারে?
কিরণের রাগে চোখে পানি জমা হতে শুরু করলো। তাকে হেনস্তা করা হলো এমন খেয়াল হলো হঠাৎ। নিচের দিকে তাকিয়েই অর্ণবকে দিকে আড় চোখে দেখলো। কি সুন্দর তাকে হেনস্তা করে এখন মাসুম মানুষের মতো স্যারের কথা শুনছে। কিরণের মন চাইলো সুন্দর চুলগুলো ধরে ছিড়ে নিতে। কিন্তু তা আর হবার কোথায়? মুখ ফুলিয়ে বাকিটা ক্লাস করে বেড়িয়ে গেল নিজের মতো।

তবে যাওয়ার আগে অর্ণবের দিকে তাকিয়ে দুঃষ্টু হাসি দিয়ে বেড়িয়ে গেল। এতো বড় অপমানের জবাব না দিয়ে বসে থাকা কিরণের পক্ষে মোটেও সম্ভব না। কিরণ হেঁটে যেতে যেতে নিজেই বেরবির করে বলে ওঠলো,

আমাকে সবসময় বাচ্চা বলে হেনস্তা করা তাই না? বুঝবেন এবার বাচ্চামি কাকে বলে? খারুছছছছছছ!

দুদিন কিরণ একদম চুপচাপ হয়ে ছিল। আগের মতোই শান্ত, মনোযোগী কিরণ। অনর্ব চেয়েও যেনো তার কোনো ভুল ধরতে পারে না সেভাবেই নিজেকে তৈরী করে। তবে ঘটনা ঘটে দুদিন পর।
অর্ণব কেবলি নিজের ক্লাসে প্রবেশ করেছে। কাঁধের ব্যাগ বেঞ্চে রাখতে রাখতেই খেয়াল করলো ক্লাসের সকলেই তাকে দেখে হাসছে। মৃদু হাসি। নিজেকে ভিষণ অদ্ভুত মনে হলো। হাসির পাত্র হওয়ার মতো কোনো কাজ সে করে নি। তবে কেন হাসছে সকলেই? কপালে ভাজ রেখেই বেঞ্চে বসে। তার পাশেও কেউ বসে নি আজ। অদ্ভুত! মনে খচখচানি রেখে ব্যাগের চেনটা খুলতেই চোখ যায় বোর্ডে। ধপ করে যেন আগুন ধরে ওঠলো মাথায়। শব্দ করে ব্যাগটা রেখে ওঠে দাঁড়ায়। কি সাংঘাতিক ব্যপার! দ্রুত হেঁটে বোর্ডের কাছে যায়। বিচ্ছিরী এক মানুষের ছবি। আকৃতি জিরাফের মতো লম্বা। মাথাটা যেমন ছোট তেমনি চোখ দুটো বড় বড়। পেটের দিকে যেন কেউ দড়ি দিয়ে চেপেছে এমনই চিকন। চুলের ধরণ যেন বাঁশ বাগান। তারই পাশে সাইনবোর্ডের মতো লেখা ” অর্ণব! দ্যা গ্রেট খারুছ গন্ডার, ইম্পোর্টেটড ফ্রম উগান্ডা ”
অর্ণব কাছে যেতেই সকলেই উচ্চস্বরে হেসে দেয়। এত সময় তারা নীরবে হাসলেও এখন তা তাকে দেখিয়েই হাসছে। হাসিতে বিদ্রুপ স্পষ্ট। অর্ণবের কপালের রগ ফুলে ওঠে। এ যাবৎ তাকে নিয়ে এমন মজা করে নি কেউ। আজ বড় হয়ে বাচ্চাদের মতো মজার স্বীকার করে লজ্জা এবং রাগে লাল হয়ে এলো মুখটা। দ্রুত বোর্ড মুছে বেরিয়ে গেল বাহিরে। তার এখন ঠান্ডা হাওয়া প্রয়োজন। রাগ উড়িয়ে নিয়ে যাবে এমন হাওয়া। বারান্দার বাঁধ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই চিকন একটা হাসির শব্দে নিচের দিকে তাকালো। এক ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল যেন মনে। কিছুক্ষণ আগের রাগ বরফের মতো পানি হয়ে এলো। হালকা নীল রঙ্গের ফ্রক ও সাদা ঢোলাঢুলি পাজামা পরিহিত মেয়েটি অবিরাম হেঁসে যাচ্ছে। হেসেই যেন সে বিশ্বজয়ী। সবুজ নরম ঘাসের উপর বসে থাকা বান্ধবীর কোলের উপর হেঁসে লুটিয়ে পড়ছে। কোমর ছুঁই ছুই ঝুটি করা চুলগুলো হালকা এলোমেলো হলেও সেদিকে তার খেয়াল নেই। সূর্যের তীর্যক আলো গাছের পাতার ফাঁকে তার উপরেই পরেছে। অর্ণবের মনে হলো তার সামনে এ বুঝি কোনো পুতুল। প্রচন্ড ভীরের মাঝে স্পট আলোতে থাকা জীবন্ত কোনো পুতুল। অর্ণবের হৃদযন্ত্রটা দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করে। আর তার প্রতি ধুকপুকে শোনতে পেল ‘ সূর্যরাণী’।

অর্ণবের মোহ ভেঙে গেল কিরণের চিল্লানোতে। কিরণের পাশে থাকা সাথীকে ধরতে গিয়ে ওঠে দাঁড়িয়েছিল কিরণ। দৌড়ে ধরতে যেতেই হুট করে আছড়ে বসে পড়ে। ব্যথায় মুখ থেকে মৃদু চিৎকার করে ওঠে,

– আল্লাহ্! আমার কোমর!

কিরণের ব্যথা কাতুরে মুখশ্রী অর্ণবের চোখে মুখেও প্রতিফলিত হয়। কিন্তু পরক্ষণেই তা বদলে যায় হাসিতে।
কিরণ আছাড় খেয়ে ভালো করে বসে দেখতে পেলো পায়ের নিচে মার্কার কলম। তার পোষাকের পকেট থেকেই পড়েছে। কখন কিভাবে পড়লো তা বুঝতে পারে নি। তার উপর পা পড়তেই এমন ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটলো। ব্যথা তো পেলোই উল্টো সম্মানহানিও হলো। লজ্জায় কিরণ সেখানেই ঠায় মেরে বসে রইলো।

অর্ণবও হেঁসে ক্লান্ত হয়ে একটু ধম নিলো। কোমর ধরে হেঁসে নিয়েছে সে। মূলত কিরণের পায়ের নিচ থেকে মার্কার ওঠাতে দেখার পর থেকেই এই হাসির উদ্ভব ঘটে। লম্বা এক নিঃশ্বাস নিয়ে কিরণের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে নিচের দিকে ঝুকে যায়। পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে নেয়। কলম দিয়ে রেলিং এ দাঁড়িয়ে কিছু লিখলো। ছোট্ট করে মুড়িয়ে কিরণের ঠিক মাথা বরাবর ছুড়তেই সরাসরি তা লেগেও যায়।
কিরণ টের পেয়ে আসে পাশে তাকিয়ে টিস্যু খুঁজে পেলো। কপাল কুচকে টিস্যু পেপারটা খুলতেই দেখতে পেলো গোটা গোটা অক্ষরে ভারি সুন্দর করে লেখা,

‘ ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।’

কিরণ লেখাটা পড়েই আশেপাশে না তাকিয়ে সেই অবস্থায়ই সোজা উপরের দিকে তাকাতেই অর্ণবের হাস্যজ্জল মুখটা দেখতে পেলো। ছেলেটা বুঝে গেছে তবে! আবার তার মধ্যে হাসছেও কেমন করে! সেই মোহিত হাসি। মন খুলে তাকিয়ে দেখাও ভিষণ দায়! মাথা নিচু করে টিস্যুকে হাতের মাঝে মুড়িয়ে নিতে নিতে বিরবির করে বলে,

অসভ্য ছেলে! হাসি দিয়েই মেরে ফেলার ধান্দায় থাকে। আর আমার মনও চূড়ান্ত বেহায়ার মতো সেই হাসিতেই মরতে যায়।

কিরণ ওঠে দাঁড়ালো। একটু কষ্ট হলো কিন্তু তা প্রকাশ করলো না। চুপচাপ মাথা নিচু করে হাঁটলো ক্লাসের উদ্দেশ্যে। ঠোঁটে এসে ভির করলো এক রাশ হাসি। বাতাস সুর ভেসে আসলো,

মন তোরে বলিরে যত,
তুই চলেছিস তোরই মতো,
সাধ্য কি আমার ছুটি তোর পেছনে?

চলবে ~~~~

গতকাল দুপুরের পর আমাদের এলাকায় কারেন্ট ছিল না। ছিল না রাতেও। ফোন বন্ধ হয়ে ছিল বলেই কালকে গল্প লিখতে পারিনি। আজকে সকাল থেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গল্প লিখেছি। ভুলক্রটি বেশি হতে পারে। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here