বিপরীতে তুমি আমি পর্ব ৯

0
640

#বিপরীতে_তুমি_আমি
#পর্বঃ০৯
#লেখনি_সুমাইয়া_ইসলাম

পেট্রোলের নুডুলস! ভালো হয় নি খেতে? সবার জন্য তাদের পছন্দ মতো খাবার বানিয়েছি। তোরটা কেন বাদ যাবে তাই না! সকালেই শুনলাম তুই পেট্রোল দিয়ে নুডুলস রান্না করিস। সত্যি তুই অসাধারণ!

ভাবলেশহীনভাবে সোফায় বসে মিহুকে উদ্দেশ্য করে বলল অর্ণব। মিহু অবাক না হয়ে পারলো না। এ পর্যন্ত দু দু বার মিহু বমি করেছে। অর্ণবের দেওয়া নুডুলস মুখে তুলতেই দৌড়ে যেতে হয় ওয়াশরুমে। ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করতে করতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শরীর ছেড়ে দিয়েছে। তার মাঝেই অর্ণবের কথা শুনে মুখ হাত দিয়ে আরেক দফায় ছুটে গেল পুনরায় ওয়াশরুমে। অর্ণব নিজের মতোই বসে বসে দেখে যাচ্ছে মিহুর নাজুক অবস্থা। মিনিট পাঁচেক পর মিহু ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে হয়ে এল। হাতে তোয়ালে নিয়ে মুখ মুছসে। কিছু সময়ের ব্যবধানে মিহুর অবস্থা নাজেহাল। দূর্বল শরীর নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মনে চাচ্ছে অর্ণবের সাথে বোঝাপড়া করার কিন্তু তার জন্য মিহুর শরীরে একবিন্দু শক্তি অবশিষ্ট নেই। বিছানায় বসার পূর্বেই হাতে হেঁচটা টান খেয়ে তাল বেসামাল হয়ে পড়লো। দেয়ালে আঁটকে পড়লো। অর্ণবের বলিষ্ট হাত চাপ দিয়ে ধরলো মিহুর নরম নরম দু গাল। ব্যথায় কুঁকড়ে ওঠলো। চোখ খুলে অর্ণবের দিকে তাকাল। ক্ষোভে আনাচে-কানাচেতে পূর্ণ চোখ। লাল টকটকে হয়ে আছে। ছুঁলেই মনে হয় র*ক্ত ঝড়ে পড়বে। কেঁপে ওঠলো মিহুর আত্মা! যেন শয়ং আজরাইল সামনে। ছুটার জন্য ছটফট করতেই অর্ণব আরো জোরে চেপে ধরলো। রাগ ওর শিরা উপশিরায় মিশে গেছে। পায়ের পাতা থেকে মাথার চুলের গোড়া পর্যন্ত যেন রাগে টনটন করছে। অর্ণব দাঁতে দাঁত চেপে মিহুর ভয়ার্থ চোখে তাকিয়ে বললো,

চাইলেই দু মিনিটে মে*রে গু*ম করে দিতে পারি। মানসিকভাবে অসুস্থ রোগী! কে জানে হয়তো পাগলামি করে নিজের ক্ষতি করে দিয়েছে। এতো তদন্তও হবে না। তাই এটাই প্রথম ও এটাই শেষ আমার কিরণের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা। দ্বিতীয় বার করার জন্য তুই থাকবি না! তোর জন্য ভালো আমাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবি।

অর্ণব ছেড়ে দিলো মিহুকে। দ্রুত পায়ে ত্যাগ করলো এ রুম। মিহু অর্ণবের থেকে ছাড়া পেয়ে যেন জান ফিরে পেল। মাত্রাতিরিক্ত হাঁপাতে লাগলো। কোনো রকমে বিছানায় গিয়ে বসলো। বিছানার পাশেই রাখা জগ আর গ্লাস। ভয়ে হাত পা কাঁপছে। গ্লাসে পানি ঢালতে গিয়ে খানিকটা নিচে পড়ে গেল। কিন্তু কোনো খেয়াল তার নেই। ভয়ে এবং অপমানে কাঁপছে। চোখ যেন রাগে অন্ধকার হয়ে আসছে। এক দমে পানিটুকু খেয়ে নিল। লম্বা নিশ্বাস নিয়ে ওঠে দাঁড়ালো। আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিখুঁত ভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করছে। ঝলমলে সোজা চুলগুলো পিঠে ছড়িয়ে থাকে তার। গায়ের রং এ নেই কোনো কমতি। বিদেশীয় রং যাকে বলে। মসৃণ ত্বক, নীল চোখ, চোখা ভ্রু, ফোলা ফোলা ঠোঁট তার। মেদহীন ছিপছিপে পেটও রয়েছে। স্ত্রীর মাঝে এসব কিছুই তো একজন পুরুষ খোঁজে। তবে অর্ণব কেন অবহেলা করছে? কেন দূর দূর করছে তাকে? কিসের কমতি তার মাঝে? এসব ভেবেই উন্মাদ লাগছে মিহুর নিজেকে। জেদ রাগে চুল চেপে ধরে বিছানায় গিয়ে বস। ক্রমাগত ঢুলছে। বিরবির করে প্রলাপ করতে থাকে,

কেন অর্ণব? কেন? কেন আমাকে দেখো না? কি আছে ওই কিরণের মাঝে? কিরণ কি আমার থেকেও বেশি সুন্দরী? কেন আমায় ভালোবাসো না? কেন?

চিৎকার করে দাঁড়িয়ে পড়ে মিহু। রাগে দিক বেদিক ভুলে ঘর এলোমেলো শুরু করলো। মস্তিষ্কে শুধু একটাই বাক্য প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরলো “কেন আমাকে ভালোবাসো না অর্ণব?”

অগোছালো ঘরের মাঝে বসে রইলো অনেক সময়। ব্যর্থতায় জেদ চেপে বসছে। টেবিল হাঁতরে ফোনটা খুঁজে নিয়ে বসলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে নিজে নিজেই কথা বললো,

অর্ণব! আমাকে তো ভালোবাসতেই হবে। ওই কিরণের জন্য তুমি আমাকে শাস্তি দিলে তো? কালকের ঘটনা কিরণের জন্য কিছুই ছিল না। হবে এবার। তোমাকে ছুটে আসতে হবে আমার কাছে।

—-

অর্ণব রুমে এসে দেখতে পেলো কিরণের ঘুমন্ত মুখ। সকালে খেয়ে আবারো ঘুমের ঔষধের প্রভাবে ঘুমিয়েছে। রাতে যন্ত্রনায় ঘুমোয় নি। নীরবে চোখের জল ফেলেছে সারা রাত। তাই এ অবেলায় ঘুমাচ্ছে। ধীর পায়ে এসে হাটু মুড়িয়ে বসলো কিরণের সামনে। লাল হয়ে যাওয়া হাতটা মেলে রেখেছে পাশেই। অর্ণবের যে চোখে কিছু মুহুর্তেই ছিল ক্ষোভ সেই চোখেই এখন প্রেম! ব্যথা! প্রিয়তমার যন্ত্রনার উপলব্ধিতে কাতরতা! মোমের মতো হাতটা র*ক্তলাল হয়ে আছে। আলত করে হাতটা ছুঁয়ে দিল। বাম হাতে হাতটা রেখে ডান হাতে বিছানার পাশের ছোট্ট টেবিল থেকে একটা মলম নিয়ে নিলো। তুলোর মতো ছুয়ে ছুয়ে মলম লাগিয়ে দিলো। লোমগুলোও হয়তো টের পায় নি। সাবধানে হাতটা রেখে পায়েও মলম লাগিয়ে দিল। বিভৎস লাগছে পা টা। সারা রাত তার প্রিয়তমা যন্ত্রণায়, ব্যথায় কাতরিয়েছে অথচ সে কিছুই করতে পারে নি। বারবার মনে হচ্ছে নাগরিক দায়িত্ব কর্তব্যের কাছে স্বামীর দায়িত্ব সে পালন করতে পারি নি। ভালোবাসার খারাপ সময়ে সহযোগী হতে পারে নি। অর্ণবের বুকের বা পাশটা চিন চিন ব্যথা করে ওঠলো। মনে হলো যেনো কাটা ঘায়ে মরিচের ছিটে পড়েছে। চোখ জ্বলে ওঠলো। কিরণের মলিন মুখটা ভেতরা যেন ছিড়ে নিচ্ছে। পায়ের পাতাতেই ছোট্ট করে চুমু দিয়ে ওঠে গেলো। লম্বা একটা গোসল দরকার তার।

চারদিন পর কিরণের পায়ে ড্রেসিং করিয়ে দিচ্ছে অর্ণব নিজেই। হাতের ছ্যাকা খাওয়া ভাবটা প্রায় মিলিয়ে এসেছে। পায়ের ফোঁসকা পড়া ওপরের চামড়াটাও ম*রে ওঠেছে। কিরণ চুপচাপ বসে আছে বিছানায়। পা মেলিয়ে, পিঠে বালিশ ঠেকিয়ে। পা টা অর্ণবের কোলের উপরে। ড্রেসিং তো পা নিচো নামিয়েও করা যায়। ওভাবে কোলে নেওয়ার কি হলো? কিরণের মনে হলো ওর পা বোধ হয় অর্ণবের নিকট পছন্দের কোনো খেলনা। প্রায় আধঘন্টা যাবৎ ওভাবে নিয়েই পিঁপড়ার গতিতে ঔষধাদি লাগিয়ে যাচ্ছে। কিরন ভেতরে ভেতরে উশখুশ করছে। পায়ে অর্ণবের ছোঁয়ায় মেরুদন্ড বরাবর শীতল শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। বুকে তোলপাড়ের সূচনা ঘটছে। ঠোঁটটাও একটু পর পর শুষ্ক হয়ে আসছে। নিজের ইন্দ্রীয়গুলোর প্রতি ভিষণ রাগ জমা হচ্ছে কিরণের। কিছুতেই কাবু হবে না। অর্ণবকে দেখলেই যেনো এরা লাফিয়ে ওঠে। আর ছুয়ে দিলে তান্ডব! চুড়ান্ত পর্যায়ের বেহায়া! নির্লজ্জ!
অর্ণব উপরের চামড়ার শেষের একটু ওঠিয়ে ফেলতেই ব্যথায় কুকিয়ে ওঠে কিরণ! আচমকা কিরণের আর্তনাদে চমকে ওঠে অর্ণব। উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে কিরণের দিকে তাকায়। কিরণের চোখে ইতিমধ্যে পানি জমে যায়। অর্ণবের চোখে সে পানি পড়তেই মুখটা ফ্যকাশে হয়ে যায়। কন্ঠে আকুলতা নিয়ে বলে,

একটু সবুর কর প্লিজ! এবারের মতো ক্ষমা কর। আর ব্যথা পাবে না কথা দিচ্ছি।

কিরণ স্পষ্ট দেখতে পেলো অর্ণবের আকুলতা। শুনতে পেলো! অনুভব হলো! অর্ণব নির্দ্ধিধায় তাকে ভালোবাসে। অর্ণবের ভালোবাসায় কোনো খাদ না তখন কিরণ দেখেছে না আজ দেখছে। তবে কেন এ দেয়াল তাদের মাঝে? কিরণ অর্ণবের ঘোরে পড়ে যাচ্ছে। তার বাইশ বছরের প্রেমিক আর ত্রিশ বছরের স্বামী। বিচ্ছেদের সময়টাও দীর্ঘ। আনুমানিক সাত কিংবা আট। ভাবতে গেলে এই কয়েকটা বছরের প্রতিটা রাত দিন কিরণের কাছে অপেক্ষার হিমালয় মনে হয়েছে। আবার ভাবতে গেলে চোখের পলকে যেনো সবথেকে দামী জিনিসটা না পাওয়া থেকে পাওয়া হয়ে গেলো। তার বাইশ বছরের প্রেমিক হিসেবে আজ রাত ত্রিশ বছরের স্বামীকেই অধিক সুদর্শন মনে হয়। সর্বেসর্বা ভাবো পুরুষ সে। তার বৈশিষ্ট্যে, আচরণে, ব্যাক্তিত্বে পৌরষবোধের ছায়া। ঝলমলে কালো বাদামি চুলে বাহিরের রোদ সোনালী করে তুলেছে। অগোছালো হয়ে কপালে বেহায়ার মতো লেগে আছে। দুদিনের অযত্নে ফর্সা গাল জুড়ে ছোট ছোট দাঁড়ির বিচরণ। মনোযোগে কাজ করার ফলে একটু পর পর চোখের পলক পড়ছে। পুরুষ মানুষের ভারি পল্লব হওয়ার পিছনের কারণটা কিছুতেই বুঝতে পারে না কিরণ। মাঝে মাঝে ভিষণ হিংসার স্বীকার হয়। আবার মাঝে মাঝে রাগও হয় ঝলমলে চুলগুলোর কারণে। কোথায় তার চুলগুলো ওমন ঝলমলে না। বন্য লতাপাতার মতো পেছানো, কোঁকড়া। ঘন কালো কোঁকড়ানো। শুধুমাত্র কোঁকড়ানো বলেই চুলগুলো তার হাটু ছুঁইছে না। অথচ সেখানে ঝলমলে সোজা হলে হয়তো মন মতো লম্বা হতো।

হঠাৎ করে গালে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে ওঠলো কিরণ। ঘোর ভেঙে তাকাতেই অর্ণবকে নিজের খুব নিকটে আবিষ্কার করলো। পায়ের দিক তাকাতেই দেখলো পরিপাটি করে ব্যন্ডেজ করা। তীক্ষ্ণ সেই দৃষ্টিটা বরাবররের মতো কিরণের দিকে। হাত দিয়ে গাল বেয়ে শুকিয়ে যাওয়া পানি হাত দিয়ে মুছে দিলো অর্ণব। সামনের আংশিক কিছু চুল কানের পিঠে সযত্নে গুজে দিলো। দুজনার মাঝে দুরত্ব খুবই কম। এক জনের নিশ্বাসের শব্দ অন্যজন শুনতে পাচ্ছে অনায়েসে। কিরণের নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসছে ক্রমাগত। দৃষ্টি নিজের দিয়ে বসে আছে। অর্ণব খেয়াল কিরণের বাম হাত মুষ্টিমেয় হয়ে আছে। খামচে ধর রেখেছে ওড়নার আঁচল। কিরণের অগোচরেই মিটমিটিয়ে হেসে নিলো। কিরণকে আরেকটু ঘাটিয়ে দিতে অর্ণব ওর বাম হাতটা কিরণের পেটের বাম পাশের বিছানায় রাখলো। আরেকটু ঝুকে গেলো কিরণের দিকে। কিরণের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,

তুমি বেসামাল হলে আমি নিজেকে কি করে সামলাবো বউ?

অর্ণব আর এক মূহুর্তে অপেক্ষা না করে ওঠে চলে যায়। সাথে ঠোঁটে করে নিয়ে যায় অমায়িক সেই হাসি। আর কিরণ কেবল তাকিয়ে রয় অর্ণবের পানে। লোকটা ওকে কিভাবে লজ্জা দিয়ে চল গেল! গাল গরম হয়ে এলো কিরণের। বিরবির করে মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো,

” অসভ্য মানুষ! ”

টানা এক সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থেকে আজ বাহিরের পরিবেশ দেখছে কিরণ। নিজের বিশ্ব বিদ্যালয়ে কতদিন পর এসে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পায়ের ক্ষত প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ শুকিয়ে গিয়েছে। বাকি পাঁচ শতাংশের ঝুকি নিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কারণ আজ থেকে তার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। এ পরীক্ষার সাথেই শেষ হবে দীর্ঘ সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় পথচলা এবং নতুন স্বপ্নের সূচনা। দীর্ঘকাল নিজের মাঝে পুষে রাখা স্বপ্নের কর্মস্থলের। সাংবাদিকা।

ক্যম্পাস প্রাঙ্গনে এসেই দেখা হয়ে গেল হৃদ, তন্নি, কেয়া ও পাবনের সাথে। ওরা অপেক্ষা করছিল কিরণের জন্যেই। বহুদিন পর দেখা হওয়ায় কুশলাদি বিনিময় করে পরীক্ষার হলে চলে গেল। তন্নি ও কিরণের সিট কাকতালীয় ভাবেই একই কক্ষে হওয়ায় দুজনেই বেশ খুশি হলো। বাকি তিনজন আলাদা আলাদা কক্ষে। হৃদের মন খারাপ হয়ে গেলো। একা একা পরীক্ষা দেওয়া ওর একদমই পছন্দ না। কিন্তু নিরূপায়!

পিনপতন নীরবতায় পরীক্ষায় চলছে। কাগজের উপর কলমের সংঘষের আওয়াজ কেবল শ্রবণযোগ্য। কিরণের অর্ধেক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শুরু থেকেই কিরণ খেয়াল করেছে সামনের দুই সিটের কিছু বিষয় বেশ অস্বাভাবিক। প্রথমত গুরুত্ব না দিলেও এখন মনে হচ্ছে বিষয়টা দেখা প্রয়োজন। কিন্তু সময়ও বেশি নেই। বিষয়টা দেখতে গেলে সে পরীক্ষা শেষ করতে পারবে না। তাই লরখায় মনোযোগ দিলো। পনেরো মিনিট যেতেই হঠাৎ কিরণ ওঠে দাঁড়ায়। নিরবিচ্ছিন্ন নীরবতা বিচ্ছিন্ন করে উপস্থিত শিক্ষককে উদ্দেশ্য বলে,

স্যার! এ পরীক্ষা হবে না। এ পরীক্ষা বাতিল করা হোক।

উপস্থিত সকল শিক্ষার্থী অবাক হয়ে তাকালো কিরণের দিকে। কেন পরীক্ষা হবে না? কেন এতোক্ষণ যাবৎ পরীক্ষা দিয়ে হুট করে পরীক্ষা বাতিল করতে চায়ছে কিরণ? শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীদের মনে উদায় হয় একই প্রশ্ন।

চলবে ~~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here