ফিলোফোবিয়া
ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির )
৩৮.
( কার্টেসী ছাড়া কপি নিষেধ )
যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ত পথঘাট। চারদিকে হাজার হাজার লোকজন, কর্মজীবনের ব্যস্ততা। শীতের মায়া অনেক আগে ছেড়ে, চারিদিক কাঠফাটা গরমে মেতেছে । প্রিয় বাড়ি ফিরেছে সবে। কলিং বেল চাপতেই, রহিমা এসে দরজা খুলল। ওড়নার ঝুলে থাকা অংশ দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে ভিতরে ঢুকল প্রিয়। সোফায় গা এলিয়ে ক্লান্ত ভঙ্গিতে বসল। রহিমা খালা এক গ্লাস ঠান্ডা পানি এনে প্রিয়’র দিক এগিয়ে দিলো। গালভরা হাসি নিয়ে বলল,
‘ আম্মা স্যারের ছোট ভাই আইছে।’
পানি শেষ করে টেবিলের উপর গ্লাস রাখতে রাখতে প্রিয় উত্তর দিলো,
‘ কে সমুদ্র ভাই?’
‘ না, একবারে ছোটোটা। কি জানি নাম কইলো…ওহ মনে পড়ছে শাদ।’
প্রিয় ভ্রু কুঁচকে নিলো। শাদ সচরাচর এখানে আসে না। বিয়ের পর থেকে এখন একদমই আসে না। শতাব্দের সাথে কোন জরুরী তলব পড়লে সরাসরি তার হাসপাতালে যায়।
‘ শতাব্দ বাড়ি নেই, বলেননি?’
‘ কইছি, কিন্তু সে কইলো। স্যারের সাথে না তোমার সাথে দরকার। বারান্দায় অপেক্ষা করতাছে তোমার।’
কপালের ভাঁজ আরো গভীর হলো। প্রিয়’র সাথে শাদের কি দরকার! সোফা ছেড়ে বারান্দার দিক পা বাড়াল প্রিয়। যাওয়ার সময় রহিমা খালাকে জলখাবারের ব্যবস্থা করতে বলল।
বারান্দার কাঠের চেয়ারে বসে আছে শাদ। দৃষ্টি ফোনের স্কিনে। প্রিয়’র পায়ের ভাঁজ পেয়ে চোখ তুলে তাকাল। সামনা সামনি চেয়ারটায় বসল প্রিয়। শাদ টেবিলের উপর মোবাইল রাখল। মোবাইলের স্কিনে কয়েক সেকেন্ডে জন্য তুরফার হাস্যোজ্জ্বল মুখখানা ফুটে উঠল। যা চোখ এড়ালো না প্রিয়’র। নীরবতা ভাঙ্গতে প্রিয় বলল,
‘ রাস্তায় জ্যাম ছিল তাই ফিরতে দেরি হলো। অনেকক্ষণ যাবত অপেক্ষা করছিলে! ভীষণ জরুরী কিছু?’
শাদ চুপ করে বসে। চোখজোড়া টেবিলে। ভিতরে ভিতরে কথা গোছাচ্ছে। কি বলবে, কোথা থেকে শুরু করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। প্রিয় সন্দিহান দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। শাদের উত্তর নেই কোন। খানিক অপেক্ষা করে, জোরাল স্বরে বলল,
‘হ্ঠাৎ আমার সাথে কি প্রয়োজন! ‘
হ্ঠাৎ শাদ বলে উঠল,
‘ আমার হয়ে তুরফার কাছে তরফদারি করেছেন কেন?’
প্রিয় হতভম্ব। সাথে সাথে কোন উত্তর দিলো না। একটু সময় নিয়ে বলল,
‘ তুরফার কথা ভেবে। তোমার আসেপাশে থাকলে সেভ থাকবে। তোমার ফুপু কিছু করার আগে কয়েকবার ভাববে।’
ঠোঁট মেলে হাসল শাদ। সামনের দিক ঝুকে আসলো, বলতে শুরু করল,
‘ আপনার এই শক্তপোক্ত কঠিন রূপটা যে লোক দেখানো তা বেশ ভালো করে জানি আমি। বিয়ে মানেন না অথচ শ্বশুর বাড়ি্র মানুষের জন্য টান আপনার। আপনি শুধু তুরফার জন্য না। আমার কথা ভেবে, ওর কাছে আমার প্রেমের তরফদারি করেছেন! তাই না?’
উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল প্রিয়। ঝাঁঝাল গলায় উত্তর দিলো,
‘ হ্যাঁ করেছি তো! শ্বশুরবাড়ির মানুষের প্রতি কোন টান-ফান নেই আমার। আমি এখনো তোমাকে অতটাই অপছন্দ করি। আমি চাইনি আরেকটা প্রিয়’র জন্ম হোক। সেদিন তোমার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা, আহাজারিতে অনেক বছর আগের পুরানো আমি’কে দেখেছি। আমি জানি ভালোবেসে না পাওয়ার যন্ত্রণা কতটা ভ*য়ানক। তাই তুরফাকে বুঝিয়েছি। আমি তোমার ভাইয়ের বউ সেই খাতিরে নয়। চোখে বেঁধেছে। মানবতার খাতিরে সব করেছি।কারণ আমার মনে হয়েছে তোমার ভালোবাসা খাঁটি।’
হাসল শাদ। খানিক চুপ থেকে বলল,
‘ পৃথিবীতে যদি কাউকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা হচ্ছে শতাব্দ ভাই। ছোট থেকে আমার রোল মডেল। ভাইয়ের মত চলন, বলন সবকিছু অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। ভাইয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষটা হতে চাইতাম। আপনি আসার আগ অবধি ছিলামও। যেই ভাইয়ের জীবনে আপনার আগমন ঘটলো। অমনি সব পাল্টে গেল। ভাইয়ের প্রায়োরিটি লিস্টে আমার দ্বিতীয় স্থান হলো। ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছিলাম না। মূলত সেই ঈর্ষা থেকেই আপনাকে অপছন্দ, বিরক্ত করা। ফার্ম হাউজে পিকনিকের দিন না বুঝে আপনাকে ওয়াশরুমে বন্ধ করে দেই। এত ভ*য়ঙ্কর কিছু হয়ে যাবে, আমার তা বিন্দু মাত্র আইডিয়া ছিল না। বাড়ি ফিরে ভাইয়ের ভ*য়ঙ্কর তোপের মুখে পড়লাম। সেই থেকেই দুজনের মাঝে শক্তপোক্ত অদৃশ্য একটা দেয়াল দাঁড়াল। সেই দেয়ালের কারণ আপনাকেই মানতাম। আরো বেশি অপছন্দ করতে শুরু করলাম। কিন্তু কলেজে যখন তুরফার সাথে পরিচয় হলো। এত বছর ধরে মেনে আসা মস্তিষ্কের সব থিউরি উল্টেপাল্টে গেল। আমাদের বন্ধুত্ব হলো, বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায় গড়ালো। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। হ্ঠাৎ তুরফা যখন জানলো আমি ইমান্দিপুরের চেয়ারম্যানের ছেলে, উষ্ণচরের ছবি বেগম আমার ফুপু। অমনি আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করল। সম্পর্ক ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দিলো। অদ্ভুত ঘৃ*ণার দৃষ্টিতে আমাকে দেখতে শুরু করল। ওর ভাষ্যমতে লুবনা আপা, লিমন ভাই ওর বড় বোন তদ্রাকে খু*ন করেছে। দুজন টিনেজার কাউকে কি করে খু*ন করতে পারে! যদিও এটা ওর ভুল ধারণা। তুরফা মানতে চাইছেনা।…আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বারবার। এখন আমি ভাইয়ের ব্যাপারটা খুব করে বুঝতে পারি। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবাসলে সেই মানুষটা প্রায়োরিটি লিস্টের সবচেয়ে চূড়ায় থাকে। তার গায়ে লাগা সামান্য আঘা*ত ও বুকে যেয়ে বিঁধে! এখন আপনাকে অপছন্দ হয়না। চোখে চোখ মিলাতে লজ্জা লাগে। মূলত সেই কারণেই এড়িয়ে চলা। এতবছর অপছন্দ করা মানুষটার মুখোমুখি হয়ে কিভাবে কি বলবো, সেই লজ্জাবোধ থেকেই এমন আড়ষ্ট রুক্ষ আচরণ।’
প্রিয় চুপ থেকে শাদের সবকথা শুনল। শাদ চোখ তুলে তাকাচ্ছেনা। চোখে মুখে ভীষণ অপ*রাধবোধ। খানিক নীরব থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
‘ তোমার সত্যি মনে হয় দুজন টিনেজার কাউকে খু*ন করতে পারেনা? লিমন, লুবনা নিরপরাধ!’
শাদ বিস্ময় চোখে তাকাল। তাচ্ছিল্য হাসল প্রিয়। বলল,
‘ তুমি আইডিয়া করতে পারবেনা, তারা কতবড় অমানুষ, ভয়*ঙ্কর শ*য়তান। মাথায় বড় ঘোমটা টেনে থাকা তোমার ফুপু ছবি বেগম কতটা জ*ঘন্য মহিলা। এক একটা নর্দমার কীট!’
শাদ হতভম্ব, অবাক। চোখে স্পষ্ট কৌতূহল। সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ আসলেই কি ওরা এমনটা করেছে? কি ঘটেছে স্পষ্ট খুলে বলুন। আর আপনি এসব কি করে জানেন!’
প্রিয় নীরব। শাদের উত্তেজনা কৌতুহল দেখে মুখ খুলল। বলল,
‘ তুরফার বড় বোন তদ্রা আমার সমবয়সী ছিল। দুইহাজার এগারোতে বড় আপার বিয়েতে দেখেছিলাম একবার।তুরফার মা সালেহা আন্টি বড় খালার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। সেই সুবাদে চেনা। সাহেলা আন্টি মোহসিন আঙ্কেল দুজনই সরকারী হাসপাতালে ডক্টর। ঊষ্ণচর বাড়ি হলেও কাজের তাগিদে ঢাকাতেই থাকতেন। দুইহাজার তেরোতে ছুটিতে তন্দ্রা তুরফাকে দাদির কাছে ঊষ্ণচর বেড়াতে আসে। কোন এক বিকালে বাহিরে নদীর পাড়ে ঘুরতে বের হলে, ঝোপের কাছে কয়েকজন মাদক আসক্ত ছেলে মেয়েকে দেখে। ঘাবড়ে যায় তদ্রা তুরফাকে নিয়ে পিছু ফিরে যেতে নিলে, মাতাল লিমন এসে তদ্রার হাত চেপে ধরে। তদ্রা তুরফাকে পালাতে বলে। ঘাবড়ে যায় ছোট তুরফা। বোনের হাত ছাড়িয়ে দূর ঝোপের আড়ালে পালায়। ভয়ে কাঁপতে লাগে। বোনকে কি করে বাঁচাবে বুঝে উঠতে পারছিল না ছোট্ট তুরফা। ততক্ষণে চারিদিকে সবাই এসে তদ্রাকে ঘিরে ফেলেছে তখন। তদ্রা হাত ছাড়ানোর জন্য চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে, লুবনা এসে মুখে কাপড় বেঁধে দুই ভাইবোন মিলে টেনে হিঁচড়ে ঝোপের কাছে নিয়ে যায়। গ্রামে ইলেকশন চলছে তখন। তাদের ধারণা ছিল তাদের এসব কাজের কথা তদ্রা গিয়ে গ্রামে ছড়াবে। মাতাল লুবনা লিমন তাদের সঙ্গীদের নিয়ে ট*র্চার করে তদ্রাকে । তদ্রা বারবার ইশারায় বোঝাতে চাইল তারা বুঝেনি, মুখ বেঁধেই নি*র্মম অ*ত্যাচার চালায়। সিগারেটের আগুন দিয়ে জায়গা জায়গা ঝলসে দেয়। বোনের উপর এমন অত্যাচার দেখে সাহায্যের জন্য ঝোপের আড়াল থেকে অগোচরে বেরিয়ে বাড়িতে দাদীর কাছে ছুটে যায় তুরফা। যখন দাদিকে নিয়ে ফিরে আসে আশেপাশে কেউ ছিলনা তখন। চারিদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি চলে। রাতে গিয়ে তদ্রার লা*শ পানিতে ভেসে উঠে। লা*শ ময়নাতদ*ন্তের জন্য পাঠাতে রিপোর্ট আসে, ধর্*ষনের পর গলা টি*পে হ*ত্যা করা হয়েছে। আঙ্কেল আন্টি কেস করলে ছবি বেগম ছেলে মেয়েকে বাঁচাতে পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার ক্লিয়ার রাখতে সব জায়গায় টাকা খায়িয়ে পুরো ব্যাপারটা অপমৃ*ত্যু বলে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। আর এই দুনিয়া সত্যের চেয়ে টাকার ভাষায় বেশি চলে। পুরো ব্যাপারটা মাত্র কয়েকদিনের ভেতর ধামাচাপা পড়ে যায়। সাথে ছবি বেগম হুমকিও দেয় যে, যদি এই নিয়ে পরবর্তীতে কোন ঝামেলা করে তাহলে তুরফাকেও ছাড়বেনা তারা। আঙ্কেল আন্টি ন্যায় পাওয়ার সব চেষ্টা বন্ধ করে দেয়। বড় মেয়ের পর ছোট মেয়ে হারাতে চাননি তারা। ‘
শাদ স্তব্ধ, হতভম্ব বসে। শাদের বিমূঢ় চাহনি। লুবনা লিমন ফুপু এমনও করতে পারে! শাদের চাহনীতে প্রিয় বলল,
‘ বিশ্বাস হচ্ছেনা তাইনা? প্রমাণ দেখে নিশ্চয়ই বিশ্বাস হবে?’
ঘরে যেয়ে একটা ফাইল নিয়ে ফিরে আসলো। শাদের দিক এগিয়ে দিয়ে বলল,
‘ এখানে দেখো তদ্রার মৃ*ত্যুর কারণ স্পষ্ট লেখা। ওই যমজ ভাইবোন, ছবি বেগম অগণিত নির্দোষ মানুষের উপর অত্যা*চার করেছে। লিমনের বিয়েটা কিভাবে হয়েছে নিশ্চয়ই জানো? কুকাজ করতে গিয়ে ধরা না পড়লে ওই গরিব অসহায় মেয়েটাকে বিয়ে করত না কখনো। আর আমা্র আর খালার সাথে যা করেছে তার সবটাই তো জানো।’
ফাইলের দিক ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে শাদ। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। তুরফার এত বলার পরও তাকে একবার বিশ্বাস করল না। উল্টো তাকে ভুল প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগলো। রাগী কাঁপা কাঁপা গলায় বলল শাদ,
‘ সামনে কি করবেন! কোন প্লান আছে। আমাকে বলুন কি করতে হবে আমাকে।’
‘ তুমি সত্যি সাহায্য করতে চাও?’
শাদের অকপট উত্তর,
‘ তুরফাকে অবিশ্বাস করে অনেক বড় ভুল করেছি। যদি আমার সাহায্যে ওর বোনের ন্যায় বিচার পাওয়া যায়। আমার একটু হলেও শান্তি মিলবে তবে। আপনি শুধু বলুন কি করতে হবে আমাকে!’
শাদের ক্রোধান্বিত মুখখানায় চেয়ে রইল প্রিয়। খানিক চুপ থেকে বলল,
‘সময় আসুক বলব।’
শাদের সাথে প্রিয়’র আরো কিছুক্ষণ কথা হলো। যাওয়ার সময় শাদ পেছনে ফিরে করুন গলায় বলল,
‘ জানিনা সামনে কি হবে। আপনার উদ্দেশ্য কি! আমার ভাই আপনাকে ভালোবাসে। প্রচন্ডরকম, পাগলের মত। এতটা কেউ কাউকে কখনো ভালোবাসতে পারে, জানতাম না। যদি আপনার বিচ্ছেদের পরিকল্পনা থাকে, বলবো না থেকে যেতে। বললেও মানবেনা, জানি। কারণ আপনার উপরও অ*ন্যায় হয়েছে। তবে এতটুকু আপনাকে বলবো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার কাজ শেষ করে দূরে চলে যান। যত সময় যাবে ভাইয়ের ভালোবাসা আরো গাঢ়রূপ নিবে। আপনি চলে গেলে নিজেকে সামলাতে ততটাই কষ্ট হবে। আর আমি আমার ভাইকে সেই নরকের উত্তপ্ত আগুনে পুড়তে দেখতে পারবো না! আমার কষ্ট হবে।’
শাদ চলে যাওয়ার পর প্রিয় সারাদিন বসে ভাবলো। নাওয়া খাওয়া হলোনা আর। দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে থাকলো। শাদের শেষ কথা গুলো মনে গেঁথেছে। সত্যি-ই তো! যত দিন যাবে শতাব্দের অনুভূতি বাড়বে। সেও দিনদিন শতাব্দের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে চলবেনা। যেই উদ্দেশ্যে এসেছে, সেই কাজ সেরে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে। দোলনা ছেড়ে উঠল প্রিয়। এই কয়েক বছর অনেক তল্লাসি করেছে। ঊষ্ণচরে ছবি বেগমের মাদ*ক ব্যাবসার কাগজপত্র গুলো হয়তো এখানেই আছে। যার জন্য ছবি বেগম শতাব্দের সামনে দুর্বল। মাথা নত করে এখনো। যা বলে তাই শুনতে বাধ্য। ইমান্দিপুরের শতাব্দের ঘরে খুঁজেছে, কিছু মিলেনি সেখানে। এখানে আছে নিশ্চয়ই। শতাব্দ এখন বাড়িতে নেই। ঘর তল্লাসী করার এটাই সুযোগ। তড়িঘড়ি হাতে শতাব্দের ঘরে খোঁজাখুঁজি শুরু করল। ঘরের কোথাও কোন কিছু নেই। আলমারী খুলে দ্বিতীয় পাল্লায় খোঁজ করতেই পেয়ে গেল। উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে উঠল প্রিয়। যেই ফাইল নিয়ে ফিরে যাবে, অমনি একটা চিঠির খামে প্রিয়’র চোখ আটকাল। তার বাবার নামে চিঠি। প্রেরক বড় খালা আয়শা বেগম।বাবার চিঠি শতাব্দের কাছে কেন? আর খালা-ই বা কেন বাবাকে চিঠি লিখেছিল। কিসের চিঠি এটা! শত চিন্তা-ভাবনা এড়িয়ে চিঠির খাম খুলল প্রিয়।
চলবে……..
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।
( ব্যস্ত ছিলাম রিচেক করার সময় পাইনি, চোখে ভুল পড়লে ধরিয়ে দিবেন🌺)
টাইপোগ্রাফি: Maksuda Ratna আপু🌺❤️