#অস্তিত্ব
#পর্বঃ০৯
#বনলতা
রাত দশটা পার হয়ে গিয়েছে। একটু আগেই শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে ও রেজিস্ট্রি হয়েছে আশার।কবুল বলার সময় মায়ারা যা কান্ড করেছে তা বলার বাহিরে।আশা যখনই কবুল বলতে যায় ওমনি মায়ারা হেসে ওকে ভ্যাঙায়।কান্না করা তো দুরের কথা আশা হাসতে হাসতে শেষ।
বিয়ে বাড়ির এই এত এত মানুষের মধ্যে চরম অস্বস্তিতে আছে ইফতি।বিয়ে করতে এলে এত ভোগান্তিতে পড়তে হয় জানা ছিলোনা তার।আর জানবেই বা কেমন করে আগে তো আর চার পাঁচটা বিয়ে করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে রাখেনি।এটাই প্রথম। আর একটাই বউ তার।হুম ইফতির বউ আশা।একেবারে শরীয়তী আর আইনগত। কেউ দাবী করতে পারবেনা।
ইফতি রায়হান।বাবা আশরাফ রায়হান।নারায়নগঞ্জে থাকে।নিজস্ব ব্যবসা,গাড়ি,বাড়ি সব আছে।আশাকে প্রথম দেখেছিলো ইফতি ওর বন্ধুর ভাইয়ের বিয়েতে। বিয়েটা হয়েছিলো আশার মামার বাড়ির পাশে।সদ্য কলেজে ওঠা কিশোরী তখন সে।গিয়েছিলো মামার বাড়িতে বেড়াতে।বিয়ের বর দেখতেই সে সেদিন গিয়েছিল ছাদে।
সাহস করে বিয়ে বাড়িতেও যায়নি।ওর মামির ওমন চঞ্চলতা পছন্দ নয়।তাইত ছাদেই দাড়িয়ে ছিলো সে।গায়ে টি-শার্ট আর প্লাজু পড়ে, চুলগুলো হাতখোপা করে হাতে পেয়ারা নিয়ে খেতে খেতে দেখার চেষ্টা করছিলো সে।
হঠাৎই দেখতে পায় বরের মতোন পাগড়ি পড়ে কেউ দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে। ছাদ থেকেই আশা চেচিয়ে উঠেছিল সেদিন,”এই যে বর তাকান একটু দেখব,”হাতের সিগারেটটা ফেলে দিয়ে ইফতি তাকিয়েছিলো ওর দিকে। আসলে শ্রাবনের পাগড়ি ইফতির মাথায় শ্রাবনই দিয়েছিলো।আশা মনে করেছিলো ওটাই বর।তাইত আবারও চেচিয়ে বলেছিলো,”এই যে বর আরেকটি বার তাকান,অন্তী দেখেনাই।”
একটা মেয়ে টি-শার্ট প্লাজু পড়া।বাতাসে কপালের ছোট ছোট চুলগুলোর অবাধ্য উড়াউড়ি।ভাবতে বাধ্য করেছিলো ইফতিকে।সেই ভাবনাকে পাত্তা না দিয়ে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে।তাইত বাসায় জানিয়েছিল সবটা।যার কারনে আজ আশা তার।
—————————-
মুহিনের হাতে গিটার।তার সুরে সুরে গান গাইবে মায়া।প্রথমে মায়া তারপর সবাই মিলে গাইবে।
প্রেম থাকে রঙিন ফুলে
ভরা নদীর দুকুলে
প্রেম আছে মনের খাতায়।
চোখেরও পাতায় পাতায়
প্রেমের শুরু আছে
সিমানা জানা নেই।
শুন্য থেকে আসে প্রেম
পুর্ন করে দিতে
সর্গ সুখের আশায়
নামে মাটির পৃথিবীতে।
সীমানা হয়ে তুমি আছো এই মনো
ভালোবাসি তোমায় কত জানা নেই।
বিরহ হয়ে তুমি আছো এই প্রেমে
ধ্রুব তাঁরা কাকে বলে জানা নেই
আর কেউ নেই হৃদয়ে
তুমি মিশে আছো আমি তে
শুন্য থেকে আসে প্রেম
পুর্ন করে দিতে
সর্গ সুখের আশায়
নামে মাটির পৃথিবীতে ❤️
চলবে