বাদলা দিনের কৃষ্ণচূড়া পর্ব ৫

0
558

#বাদলা_দিনের_কৃষ্ণচূড়া❤️
#লেখনীতে:সারা মেহেক

রজনীর ব্যাপ্তিকাল দীর্ঘ হচ্ছে। সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত নেমেছে বহুক্ষণ পূর্বে। বর্ষণ পরবর্তী শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে পরিবেশে। আশেপাশের ঝোপঝাড় কম জঙ্গলের ন্যায় স্থানে ঝিঁঝি পোকা ডাকছে। এ ডাক’ই যেনো রজনীর গাঢ়ত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে তুলছে। রজনীর এ চিরচেনা পরিবেশেও নাজ নতুন কিছু অনুভব করছে। চারপাশে বহমান বন্য হিম হাওয়া, মাটির সোঁদা ঘ্রাণ তার অভিজ্ঞতার তালিকায় নতুন৷ তবে পুরোপুরি নতুন বলা যায় না৷ কারণ বর্ষণ পরবর্তী এ আবহাওয়া সে শহরেরও উপলব্ধি করেছে। তবে গ্রামীণ পরিবেশের মতো এতো খাঁটি ও মন উজার করা পরিবেশ উপভোগ করেনি সে। ঢাকায় থাকতে মাটির সোঁদা ঘ্রাণ তীব্রভাবে কখনোও অনুভব করতে পারেনি সে। আর এ বহমান শীতল হাওয়া রুমে প্রবেশ করেই বদ্ধ হয়ে যেতো। সেখানে হৃদয় শীতলকৃত এ হাওয়া গ্রামীণ পরিবেশের ন্যায় বিশুদ্ধ হতো না। ফলে এ মনোরম পরিবেশের প্রকৃত স্বাদ কখনোই সে ওভাবে অনুভব করতে পারেনি৷ কিন্তু গ্রামীণ পরিবেশে এ বৃষ্টি অন্যরকম এক মাধুর্যতা নিয়ে এসেছে। শীতল হাওয়ারা অবাধ্য হয়ে ছুটছে। কারণ তাদের ছুটে চলার স্থান সীমাবদ্ধ নয়। বরং অনবরুদ্ধ।

বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর নাজ তার বাকি চার চাচাতো ভাইকে বারান্দায় ডেকে আনে। তারা বারান্দায় চেয়ার এনে বসে গল্পের আসর জমিয়ে বসে৷ তন্মধ্যে একবার নাজের ফুফু তাদের ফোন দিয়েছিলো। না জানিয়ে মেয়ের বাড়িতে এভাবে যাওয়ায় ফোনের ওপাশ থেকে তাদের ফুফু বাক্যের মাধ্যমেই উত্তম-মধ্যম দিয়েছিলেন। কিন্তু নাজদের দল তা এক কানের মাধ্যমে শুনে অপর কান দিয়ে বের করে দেয়।

ওমর মোল্লা মাত্রই বাড়িতে ঢুকেছেন। তীব্র বন্য হাওয়ার দাপটে বহু কষ্টে বাজার হতে বাড়ি পর্যন্ত পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন তিনি৷ বাড়িতে ঢুকে রসুইঘরে সদাই দিয়ে নতুন ঘরের বারান্দার দিকে পা বাড়ালেন তিনি। উদ্দেশ্য নয়া আগত কুটুমদের সাথে সাক্ষাৎ করা৷ কিন্তু দু কদম পেরোতে অমনিই বাড়ির বিদ্যুৎ চলে গিয়ে চারপাশ ঘোর কৃষ্ণাভ বর্ণ ধারণ করলো। নাজসহ বাকি সকলে মুখ দিয়ে বিরক্তি সূচক শব্দ নির্গত করলো। ওমর মোল্লা তৎক্ষনাৎ হাঁক দিয়ে বললেন,
” সুহানা মা, জলদি হ্যারিকেন নিয়ে আয়। এদিক এক্কেবারে আন্ধার হইয়া গেছে।”
এই বলে ওমর মোল্লা পিচ্ছিল উঠোন ধরে অতি সাবধানতার সহিত পা ফেললেন। ধীরেসুস্থে কয়েক কদমেই তিনি বারান্দায় চলে এলেন। নাজদের উদ্দেশ্যে বললেন,
” চিন্তা কইরো না বাবারা। বসে থাকো। হ্যারিকেনআসতেছে। ”

নাজ মসৃণ গলায় বললো,
” সমস্যা নেই চাচা। আমরা বসেই আছি।”

ইতোমধ্যে সুহানা জ্বলন্ত পিতলের কুপিসহ রসুইঘর হতে বেরিয়ে এলো। তার মনোযোগী দৃষ্টিজোড়া কুপির শিখার উপর নিবদ্ধ। আঁখিজোড়ায় খানিক উদ্বিগ্নতা। কখন যেনো অবাধ্য হাওয়ার তোড়ে আগুন নিভে যায়, এই ভয়ে সে হাতের তালু কুপির পার্শ্ববর্তী পরিবেশে রেখে দপদপকৃত শিখা আগলে রেখেছে। রসুইঘর থেকে বেশ কিছুদূর চলে আসার পর অকস্মাৎ তীব্র হাওয়ায় কুপির শিখা নিভে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালালো। বহমান হাওয়ারা যেনো আজ প্রতিযোগিতায় নেমেছে, এ কুপির শিখা নিভিয়েই দম নিবে। নিভন্ত শিখার উদ্বেগে সুহানার পদযুগল থমকে গেলো। সে বাম হাত দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালো কুপির শিখা রক্ষা করতে। কয়েক মুহূর্তের প্রচেষ্টায় হাওয়ার তোড় কমে এলে সে তার চেষ্টায় সফলও হলো। এ পর্যায়ে নিশ্চিন্তে সম্মুখে অগ্রসর হলো সে।

রসুইঘর হতে উঠোনের সম্পূর্ণ মুহূর্ত নাজের আঁখিজোড়া আবদ্ধ ছিলো সুহানার পানে। সুহানার হলদে রূপে নিবদ্ধ হয়েছিলো সে৷ অপার মুগ্ধতায় ছেয়ে গিয়েছিলো তার আঁখিজোড়া। তার এ মুগ্ধতা, এ ধ্যান কাটলো সুহানার মিষ্টিমধুর কণ্ঠস্বরে। সুহানা কুপিসহ বারান্দায় এসে ওমর মোল্লার হাতে কুপিটা ধরিয়ে দিলো। ওমর মোল্লা জিজ্ঞেস করলেন,
” হ্যারিকেনের কি হয়েছে?”

সুহানা মাথার ওড়ানাটা কপালের দিকে এগিয়ে এনে বললো,
” তেল ফুরিয়ে গিয়েছে আব্বা। আম্মা হ্যারিকেনে তেল ভরছে। উনারা যেনো আঁধারে বসে না থাকে এজন্যই আর অপেক্ষা না করে কুপি নিয়ে এলাম।”

” আইচ্ছা। রান্ধানবাড়ি আর যা বাকি ছিলো তা তোর আম্মা রান্ধা শুরু করছে?”

” হ্যাঁ আব্বা। আরেকটু সময় অপেক্ষা করো রাতের খাবার হয়ে এসেছে প্রায়। ”
এই বলে সুহানা রসুইঘরের দিকে পা বাড়ালো। নাজ চেয়ে রইলো সুহানার পানে। তার এ দেখার কাজে বিঘ্ন ঘটালো মিরাজ। সে ওমর মোল্লাকে জিজ্ঞেস করলো,
” কারেন্ট কখন আসবে চাচা?”

ওমর মোল্লা খানিক লজ্জিত হেসে বললেন,
” তা কইবার পারি না বাবা। তবে এই ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ গেলে সহজে আসবার চায় না। ”

ওমর মোল্লার এহেন হতাশামূলক কথায় উপস্থিত সকলে বিরক্তিসূচক শব্দ করলো। বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে ভূতের ভয় কাটাতে হাবিব ওমর মোল্লার সাথে কথায় মশগুল হলো। খানিক বাদে বাকি চারজনেও ওমর মোল্লার সাথে ভাবখাতির জমাতে উদ্যত হলো।

.

অম্বরে মেঘপুঞ্জের আনাগোনা। শুভ্র ধূসর রঙ মিশ্রিত মেঘপুঞ্জ অনবরত ছুটে চলছে। আজও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্তত আবহাওয়ার আগাম সংবাদ তাই বলে। তারই সূত্র ধরে বেশ অনেকক্ষণ যাবত দূর গগনে ক্ষীণ মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। বাতাবরণে বয়ে চলছে উষ্ণ হাওয়া। যে হাওয়া মিশে আছে আদ্রতা।
সুহানা সকালে কলেজে গিয়েছিলো। ক্লাস শেষ করে একটি প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে বাজলো দুপুর বারোটা। বাড়িতে এসে ব্যাগ রেখে পোশাক বদল করতে না করতেই রশিদা বেগম তাকে ওমর মোল্লার দুপুরের খাবারের জন্য ভাত, তরকারিসহ পাঠিয়ে দিলো মাঠে। শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও মুখ দিয়ে টু শব্দটুকু না করে খাবার নিয়ে বেরিয়ে পড়লো সে।

অদ্ভুত এক ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে আজ৷ সূর্যেই নেই কোনো তেজ, অথচ ভ্যাপসা গরমে পরিবেশ অতিষ্ঠ। তবে ঢিমা মেঘপুঞ্জের চলাচলে এটুকু নিশ্চিন্ত হওয়া যায় যে কিছুকালের মাঝেই হয়তো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে পড়বে। এই ভেবে সুহানা স্বস্তি পেলো। খাবার নিয়ে ধানক্ষেতের আইল ধরে হেঁটে চলছে সে। কিছুদূর যেতেই তাদের জমিতে ওমর মোল্লাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে সে৷ খাবার নিয়ে ওমর মোল্লার নিকট যেতেই ওমর মোল্লার ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি ফুটে উঠে। বসা অবস্থাতেই সুহানার হাত হতে খাবারের বাটিগুলো নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” সাগরি কই রে? আজ ও আইলো না ক্যান? আজ তো ওর আসবার কথা।”

সুহানা কামিজ ঠিকঠাক করে জমিতে বসে এক গাল হেসে বললো,
” কেনো? আমি আসলে সমস্যা?”

ওমর মোল্লা মেয়ের মাথায় আলতো আদরের পরশ বুলিয়ে বললো,
” তুই আইলে সমস্যা হইবে ক্যান। আমি তো আরোও খুশি হইছি তোক দেখে।”

সুহানা মুচকি হাসলো। বললো,
” ওর আজ কলেজ থেকে ফিরতে দেরি হবে। সামনে ও পরীক্ষা না? এজন্য আজ ফর্ম পূরণ করাবে। ”

ওমর মোল্লা ছোট্ট করে জবাব দিলেন,
” ওও।”

সুহানা প্রত্যুত্তরে কিছু বলতে যাবে। কিন্তু এর পূর্বেই নাজ সেখানে উপস্থিত হলো। অকস্মাৎ নাজকে দেখে ভড়কে গেলো সুহানা। বিস্মিত হলেন ওমর মোল্লা। ভারী চমকিত গলায় নাজকে জিজ্ঞেস করলেন,
” নাজ বাবা? তুমি এইখানে আইলা ক্যামনে?”

জবাবে নাজ এক গাল হেসে বললো,
” প্রকৃতির টানে। ”

নাজের এমন অদ্ভুত জবাবে বিস্মিত হলেন ওমর মোল্লাসহ সুহানাও। সুহানা কুঞ্চিত ভ্রুজুগলসহ জিজ্ঞেস করলো,
” মানে?”

নাজ পূর্বের ন্যায় বললো,
” এতো চমৎকার একটা পরিবেশ উপভোগ করতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। হাঁটতে হাঁটতে দূর থেকে চাচাকে দেখলাম। তাই এখানেই ছুটে চলে এলাম৷ ”

নাজের জবাবে ওমর মোল্লা মুহূর্তেই বলে উঠলেন,
” আরে বাবা বসো বসো। দাঁড়ায় আছো ক্যান? একাই আইসো?”

নাজ কোনোরূপ চিন্তাভাবনা ছাড়াই জমিতে বসে পড়লো। বললো,
” হ্যাঁ, চাচা একাই এসেছি। গ্রামটা একটু ঘুরে দেখার জন্য বের হলাম। ”

” ভালা বুদ্ধি। তো কোথায় কোথায় ঘুরছো?”

” এখনও কোথাও ঘুরেনি চাচা। আসলে পথ চিনি না তো। তাই কোথায় ঘুরবো, কিভাবে ঘুরবো বুঝতে পারছি না।”

” ওও আইচ্ছা। এক কাজ করবার পারো। একটা ভ্যান ঠিক করে ঘুরবার পারো। আমাদের গ্রামখানা অনেক সুন্দর। তুমি যতো দেখবা ততোই মুগ্ধ হইবা। জমি থেকে একটু দূরে গেলেই গ্রামের প্রাইমারি ইশকুল। ইশকুল পারলোই মসজিদ। মসজিদ……”

ওমর মোল্লাকে মাঝপথে থামিয়ে নাজ খানিক ইতস্তত সহকারে বললো,
” আসলে এভাবে বললে কিছুই চিনবো না চাচা। আবার সব জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরেও মজা নেই। এই যে, ধানক্ষেতের মাঝে হাঁটতে ইচ্ছে হলে তো আর ভ্যান দিয়ে যাওয়া যায় না। তাই বলছিলাম যে, আমার গাইড হিসেবে সুহানা যদি আমার সাথে আসতো তাহলে আমার ভালো হতো। ”

প্রচণ্ড তৃষ্ণায় পানি পান করছিলো সুহানা। অকস্মাৎ নাজের শেষোক্ত কথাটি শুনে বিষম খেলো সে। বিস্ময়ে চোখজোড়া বৃহদাকার ধারণ করিয়ে বার কয়েক কাশি দিলো সে। এদিকে ওমর মোল্লার চাহনিতে বিস্মিত ও ইতস্তততা বিরাজ করছে। তিনি কিছু বলতে উদ্যত হতেই নাজ পুনরায় বললো,
” কিছু মনে করবেন না চাচা। আসলে আমার পরিচিত কেউ এ মুহূর্তে নেই যে আমাকে গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাবে। রায়হান তো ব্যস্ত, রায়হানের বোন গিয়েছে স্কুলে। যদিও সুহানার সাথে গতকালই প্রথম দেখা হয়েছে। তবুও ওর সাথে একটু হলেও তো পরিচিতি আছে। এজন্যই বলছিলাম৷ দয়া করে ‘না’ করবেন না চাচা। সুহানাই আমার শেষ ভরসা। ”

ওমর মোল্লা এবার দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন। নাজের এমন কঠিন আবদার তিনি মানবেন কি করে তা চিন্তা করতে লাগলেন তিনি। এদিকে সুহানা পড়লো বিপাকে৷ সে তো নাজের সাথে এ অযাচিত ভাবে টপকে পড়া ভ্রমণে যেতে চাইছে না এবং সে এও জানে, নাজের এহেন কথা বলার ঢঙে ওমর মোল্লা গলে একদম পানি হয়ে যাবে। যেহেতু ওমর মোল্লা ভীষণ নরম প্রকৃতির একজন মানুষ সেহেতু মেয়ের হবু শ্বশুরবাড়ি হতে আসা কুটুমের আবদার না করতে পারবেন না। এ কারণে সুহানাই আগ বাড়িতে এ প্রস্তাব নাকচ করতে উদ্যত হলো। কিন্তু তার মুখ খোলার পূর্বেই ওমর মোল্লা ইতস্ততিত কণ্ঠে বললেন,
” আচ্ছা বাবা যাও। তোমারে আর কেমনে না করি। তবে গ্রামের মইধ্যে মানুষজন যেখানে চলাফেরা করে সেখানে একটু কম যাইয়ো। মানে সুহানারে একটু আড়াল করবার চেষ্টা কইরো। বুঝোই তো বাবা। গ্রামের পরিবেশ কেমন।”

ওমর মোল্লার অনুমতি পেয়ে নাজ যেনো হাতে চাঁদে পেলো, এমন খুশি হলো সে। কিন্তু তার এ উপচে পড়া খুশির তোড় বাইরে দেখালো না সে। বরং যথাসম্ভব শান্ত রয়ে ওমর মোল্লাকে নিশ্চিন্ত করে বললো,
” আপনি চিন্তা করবেন না চাচা। এখন থেকে সুহানা আমার দায়িত্ব। আই মিন, এই ঘুরাঘুরির সময়টুকুতে। ”

নাজের কথায় সুহানা বিরক্ত হলো। ভীষণ বিরক্ত৷ তার মন চাইছে অতি দুঃখে এই জমিতেই গড়াগড়ি খেতে। সে মনে মনে ক্রোধিত স্বরে বললো,
” কি দরকার ছিলো আব্বা এই শহুরে প্রাণীটার আবদার মানার? অসহ্য। ”

ওমর মোল্লা সুহানাকে বললেন,
” যা মা। নাজ বাবারে ঘুরায় নিয়ে আয়। ভালোমতোন সব দেখাইস৷ আর সাবধানে থাকিস।”

বাবার কথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও সুহানা উঠে দাঁড়ালো। তার দেখাদেখি নাজও উঠে দাঁড়ালো। সুহানা সামনের দিকে অগ্রসর হতে নাজও তার পিছু পিছু অগ্রসর হলো৷ সুহানার সাথে ঘুরাঘুরির এ সুযোগ পেয়ে নাজের ঠোঁটের কোন হতে যেনো হাসিই উবে যাচ্ছে না। এ যেনো স্থায়ী হাসি। কিন্তু সুহানার ঠোঁটে কিঞ্চিৎ পরিমাণও হাসির দেখা মিললো না। উপরন্তু সে ভীষণ বিরক্তি নিয়ে স্বগোতক্তি করে বললো,
” আজ যদি এই শহুরে প্রাণিকে গ্রাম ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্লান্ত না করিয়েছি তবে আমার নাম সুহানা না। তবেই ব্যাটা বুঝবে অন্যের অনিচ্ছায় ঘোরার মজা। ”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here