‘ভাইয়া যে তোকে পছন্দ করে জানিস?’
কথাটা শুনে চকমকানোর কথা থাকলেও চমকায় না অবনি। বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টে স্বাভাবিক গলায় বলে,
‘তোকে তোর ভাই বলেছে?’
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে নাদিয়ার।
‘তা বলেনি। কিন্তু আমার ভাই তুই সামনে থাকলে কেমন যেন শান্ত হয়ে যায়। ভাইয়ার হুটহাট রেগে যাওয়ার স্বভাব। কিন্তু তুই আসার পর ভাইয়াকে আর রাগতে দেখিনি। বিশেষ করে তুই আশেপাশে থাকলে ভাইয়া যেন অন্যরকম কোনো মানুষে পরিনত হয়।’
বই বন্ধ করে নাদিয়ার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় অবনি। চাহনিতে ভ্রুক্ষেপহীন ভাব।
‘একটা বাইরের মানুষের সামনে তোর ভাই নিশ্চয়ই খু*না খু*নি আর ভাংচুর করবে না?’
বিরক্ত হয় নাদিয়া। ভ্রু কুঁচকে বলে,
‘দেড় বছর আমাদের বাসায় থাকার পরও কি এখনো বাইরের মানুষ তুই? আর আম্মু শুনলে কয়েক ঘা দিবে তোকে।’
পরক্ষণেই চোখ চকচক করে উঠে নাদিয়ার। প্রফুল্লচিত্তে পুনরায় বলে,
‘শুন, আমার ভাবি হয়ে যা প্লিজ! তুই আমার ভাবি হলে বেশ জমবে কিন্তু।’
‘আমি তোকে কখনো বলেছি তোর ওই গোমড়ামুখো ভাইকে ভালো লাগে বা তোর ভাইয়ের বউ হতে চাই?’
‘ভালোয় ভালোয় বলছি সুযোগ থাকতে অফার বুঝে নাও। এই অফার কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য। পরে কিন্তু আফসোস করবি। অফার শেষ হয়ে গেলে কেঁদেকেটে ম’রে গেলেও আর আমার ভাবি বানাবো না।’
ধাম করে নাদিয়ার পিঠে কিল বসিয়ে দিল অবনি।
‘কালকে মিডটার্ম আর তুই এখানে ফাজলামো করছিস?’
‘ওসব পড়াশোনা তোদের জন্য। আমি তো ভাই বিয়ে ফিয়ে করে সংসারী হয়ে যাবো। ওসব আর আমার মাথায় ঢুকবে না।’
নাদিয়া চলে যেতেই তপ্ত শ্বাস ফেলে অবনি। পড়াশোনার সুবাদে দূরসম্পর্কের এক ফুফুর বাসায় উঠেছে সে। এখান থেকেই ভার্সিটি যেতে সুবিধা। এবাসায় থাকার সাথে সাথে যে আরো একজনের মনেও জায়গা করে নিয়েছে ব্যপারটা অজানা নয় তার। মেয়েদের ইন্দ্রিয় খুব প্রখর হয়। দূর থেকে তাকে দেখলেও বুঝতে পারে। মানুষটার চোখের ভাষা সে বুঝে।মাতাল করা চাহনি। সুযোগ পেলে কেমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে। যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছে সেদিন থেকে দূরে দূরে থাকে সে। বাসা ছেড়ে হলেও উঠতে চেয়েছিল। সে চায়নি তার দিকে কেউ আঙুল তুলুক। তবে বাঁধ সাধেন আফসানা খানম। বাসা ছেড়ে যাওয়ার কারণ দেখাতে বললে কিছুই বলতে পারেনি অবনি। অতঃপর আফসানা খানম সাফ সাফ গলায় বলেছিলেন,
‘কারন দেখাতে না পারলে বাসাও ছাড়তে পারবি না।’
বাসা ছেড়ে যাওয়া হয়নি তবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে সে। নিজের অনুভূতিকেও করেছে সতর্ক। নিজের সীমারেখা যেন অতিক্রম না করে। অবাধ্য মন কখন কোনদিকে মোড় নেয় বলা তো যায় না।
____________________
চুলোয় চায়ের পানি বসিয়েছেন আফসানা খানম। সন্ধ্যার নাস্তায় কি বানানো যায় ভাবতে ভাবতে উনার পিছনে এসে উপস্থিত হয় অবনি।
‘কি ভাবছো ফুফু?’
‘আজ নাস্তায় কি খাবি?’
অবনি অনুরোধের সুরে বলে,
‘আজ নাস্তা আমি বানাই ফুফু?’
‘খেয়ে আর কাজ নেই। পরে তোর মা বলবে তোকে দিয়ে আমরা কাজ করাই।’
‘মাই বলেছে তোমায় হাতে হাতে সাহায্য করার জন্য।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে। এখন বল কি খাবি নাস্তায়।’
গরম গরম চায়ের সাথে সিঙারা বানানোর আয়োজন চলছে। আফসানা খানম সিঙারা বানিয়ে দিচ্ছে আর অবনি সেগুলো ভাজছে। তন্মধ্যে কলিংবেল বেজে ওঠে। রান্নাঘর থেকে হাঁক ছেড়ে নাদিয়াকে ডাকলেন তিনি। দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। রুম থেকে নাদিয়া মুখ ভেঙচি দিয়ে বলে,
‘তোমাদের দরজা তোমরা খুলো আমার এতো ঠেকা পড়েনি।’
নাদিয়ার এমন উত্তরে রেগে গেলেন আফসানা খানম।
‘বাপের আশকারা পেয়ে পেয়ে দিনদিন বেয়াদব হচ্ছে মেয়েটা।’
‘আমি যাচ্ছি ফুফু।’
চুলোর আঁচ হালকা কমিয়ে সদর দরজার দিকে পা বাড়ায় অবনি। দরজা খুলে ক্লান্ত, অবসন্ন মাহ্ফুজকে দেখে থতমত খেয়ে গেলো। ঘাড় বাঁকিয়ে দেয়াল ঘড়ি দেখল সে। এখন মাহ্ফুজের আসার সময় না। মাহ্ফুজ এসেছে জানলে জীবনেও সে দরজা খুলতে আসতো না। মানুষটাকে সামনাসামনি দেখলে হাঁটু কাঁপে তার।সারা শরীর অবশ হয়ে আসে।
অবনিকে দেখে থমকায় মাহ্ফুজ। হৃদযন্ত্র তড়িৎ গতিতে লাফাতে শুরু করল। মাথায় ঘোমটা থাকা। কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম। একেবারে বউ বউ লাগছে তাকে। অবনির দিকে অপলক তাকিয়ে শুকনো ঢুক গিলে সে।
মাহ্ফুজ কে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে দেখে দ্রুত পায়ে রান্নাঘরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় অবনি। ঠিক তখনই শুনতে পেল,
‘একটু শরবত বানিয়ে দিবি প্লিজ?’
রান্নাঘরে যেতেই আফসানা খানম প্রশ্ন করলেন,
‘কে এসেছে রে?’
অবনি ফ্রিজ খুলে লেবু বের করতে করতে জবাব দেয়,
‘তোমার ছেলে এসেছে।’
‘আজ এতো তাড়াতাড়ি?’
‘জানি না। তবে হাতে অনেক গুলো শপিং ব্যাগ দেখলাম।’
আর কথা বাড়ায় না কেউ। অবনি লেবুর শরবত বানিয়ে নিয়ে গেল মাহ্ফুজের কাছে। ট্রি টেবিলের উপর গ্লাসটা রেখে ধীর গলায় বলে,
‘তোমার শরবত।’
বলে আবারও দৌড় লাগায় রান্নাঘরের দিকে। এতোক্ষণ চোখ বুঁজে ছিলো মাহ্ফুজ। অবনির আওয়াজ পেয়ে মাথা তুলে তাকায়। ততক্ষণে সে রান্নাঘরে চলে গেছে। নৈঃশব্দ্যে হাসে মাহ্ফুজ। মেয়েটা যে তার থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকে বেশ বুঝতে পারে। নিজের অনুরক্তি লুকানোর কত চেষ্টা মেয়েটার।
________________
সপ্তাহ খানেক চলে গেল।
একদিন হুট করেই ব্যাগ ভর্তি মাছ আর টাটকা শাক সবজি নিয়ে বাসায় এসে উপস্থিত হলো অবনির বাবা মামুনুর রশীদ। সদাই গুলো আফসানা খানম এর হাতে দিয়ে বলেন,
‘পুকুরে জাল ফেলেছি বুবু। ইয়া বড় বড় মাছ উঠেছে। ভাবলাম তোমাদের জন্য নিয়ে যাই। তাছাড়া মেয়েটা আমার বড় বড় পাঙাশ মাছ পছন্দ করে । মেয়েকে রেখে কিভাবে খাই বলো তো। তাই মেয়ের মা পাঠিয়ে দিলো।’
কপট রাগ দেখালেন আফসানা খানম।
‘আমরা কি তোর মেয়েকে বড় বড় মাছ খাওয়াই না?’
জিভে কামড় দিলেন। অপরাধীর স্বরে বলেন,
‘ছি! ছি! কি বলো বুবু? এসব ভাববো কেন? পুকুরে জাল ফেললে মেয়েটা বড্ড খুশি হতো। আহ্লাদী স্বরে আবদার করতো বড় মাছটা যেন ঘরে আনি। একটা মাত্র মেয়ে আমার। বাবা মা হয়ে গলা দিয়ে মাছ নামবে বলো?’
ভার্সিটি থেকে ফিরে নিজের বাবাকে দেখে যেন আকাশের চাঁদ পেয়ে গেলো অবনি। দু হাতে ঝাপটে ধরে বাবাকে। অভিমানী স্বরে বলে,
‘মাকে আনলে না কেন? কতদিন হয়ে গেলো মাকে দেখি না।’
নিজের থেকে মেয়েকে ছাড়াতে চাইলেন মামুনুর রশীদ।
‘আমার গা থেকে মাছের গন্ধ আসছে মা।’
অবনি ছাড়লো না। বরং আরো শক্ত করে ধরলো।
‘বাবাদের গা থেকে কোনো দুর্গন্ধ আসে না। বাবাদের গায়ের গন্ধটা বড্ড শান্তির।’
মামুনুর রশীদ বুঝলেন মেয়ের সাথে পেরে উঠবেন না৷ মেয়ের কথার কাছে হার মেনে তিনিও সযত্নে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। সান্ত্বনা দিলেন মেয়েকে।
‘আমি ঢাকা এসেছি মা মাছের গাড়ি নিয়ে। ভাবলাম তোকে একবার দেখে যাই। তাই তোর মা জোর করে এগুলো ধরিয়ে দিলো।’
বড় পাঙাশ মাছ দেখে চোখ দু’টো চকচক করে উঠে অবনির।
‘মাছ এনেছো বাবা? কতদিন হলো খাই না।’
পরক্ষণেই মুখটা কালো করে বলে,
‘এবাসার কেউ পাঙাশ মাছ খায় না।’
আফসানা খানম বলেন,
‘কে বলল খাই না? খাই তো। আনা হয় না আরকি। মামুন একবার আয় আয়েশাকে নিয়ে। ঢাকা শহরটাকে একবার তোর বউ দেখে যাক।’
‘আসবো বুবু। ধান বুনা শেষ হউক।’
সেদিন আর থাকলেন না মামুনুর রশীদ। ঘন্টা তিনেক থেকে আবার ফিরে গেলেন গ্রামে।
___________________
রাতে রান্নার সময় অবনি বায়না করে সে রান্না করবে। নিজের মতো করে ঘন ডাল, পাঙাশ মাছ ভুনা আর করলা ভাজি করে। টেবিলে সবকিছু সাজিয়ে রাখতেই নাদিয়া আর মাহ্ফুজ এসে বসল। করলা ভাজি আর পাঙাশ দেখে রেগে গেল মাহ্ফুজ। কঠিন গলায় প্রশ্ন করলো,
‘এগুলো রান্না হয়েছে কোন সাহসে?’
নাদিয়া ভয়ে ভয়ে বলে,
‘অবনি রান্না করেছে। পাঙাশ মাছ নাকি অবনির প্রিয়। মামু নিয়ে এসেছে গ্রাম থেকে।’
অবনির প্রিয় শুনে কিছু না বলে মাহ্ফুজ। চেয়ার টেনে বসল। এর মাঝেই সেখানে আফসানা খানম আর অবনি এলো।
‘ফুফু আজ আমি সবাইকে খাবার বেড়ে দেই?’
মিষ্টি হেসে সায় দিলেন আফসানা খানম।
অবনি সবার পাতেই একটু একটু করে করলা ভাজি দিলো।
প্লেটে করলা ভাজি দেওয়ার পরও মাহ্ফুজকে হাঙামা করতে না দেখে বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে হয়ে গেলো আফসানা খানম এবং নাদিয়ার। চোখ বড় বড় করে দুজন দুজনকে দেখতে লাগল। এ যেন অষ্টম আশ্চর্য কিছু।
আফসানা খানম হতবিহ্বল চোখে ছেলের খাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন। ছোট ছোট লোকমা মুখে তুলছে মাহ্ফুজ। নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। যে ছেলে করলার নাম শুনলেই রেগে যায় সেই ছেলে কিনা বিনাবাক্যে করলা ভাজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে? উনাকে আরো অবাক করে মাহ্ফুজ বাটি থেকে এক পিস পাঙাশ মাছ পাতে তুলে নিলো।
মাথা ঘুরতে লাগল উনার। সব কেবল স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হচ্ছে। নিজের খাওয়ার কথা ভুলে গেলেন তিনি। অবিশ্বাস্য গলায় প্রশ্ন করলেন,
‘তুই আমার ছেলে মাহ্ফুজ তো?’
__________________
ভার্সিটি থেকে একটা মিনি ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে। ভোরে রওনা হয়ে সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসবে।
নখ খুঁটছে নাদিয়া। টেনশনে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
‘ভাইয়া আমাকে জীবনেও যেতে দিবে না।’
অবনির হাত দুটো ধরে অনুনয় করে নাদিয়া।
‘তুই একটু ভাইয়াকে বল না। আমি জানি তুই বললে ভাইয়া রাজি হবে। তোর কথা কখনো ফেলবে না।’
অবনি ফাঁকা ঢুক গিলে বলে,
‘ আ,, আমি?’
‘হ্যা তুই। তুই বললে ভাইয়া সাথে সাথে রাজি হয়ে যাবে। প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! আমার অনেক দিনের শখ তাজ মহল দেখবো।’
‘মাফ কর বোন। তুই ফুফুকে বল। ফুফু বললে তোর ভাই রাজি হবে।’
‘আম্মু বললেও ভাইয়া রাজি হবে না। তুই একটু দেখ না প্লিজ!’
‘আমার দ্বারা সম্ভব না। তোর ভাই কে বলা।’
মুখটা পাংশুটে হয়ে গেলো নাদিয়ার। মলিন স্বরে বলে,
‘আচ্ছা তাহলে তুই যা।’
তপ্ত শ্বাস ফেলে অবনি।
‘আচ্ছা যাচ্ছি। মুখটাকে বাংলার পাঁচ এর মতো না রেখে এবার হাসি দে।’
_______________
ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে মাহ্ফুজ। দরজায় দাঁড়িয়ে শুষ্ক ওষ্ঠ ভিজিয়ে নিলো অবনি। মিনমিনে গলায় বলে,
‘আসবো?’
চমকায় মাহ্ফুজ। শুধু চমকাল না অবনিকে নিজের রুমের সামনে দেখে ভীষণ অবাকও হলো।তবে মুখে তা প্রকাশ করলো না। নিরেট গলায় বলে,
‘আয়।’
রুমে এসে ওড়নার ত্রিকোণ পেঁচিয়ে আমতাআমতা করতে লাগল।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মাহ্ফুজ বলে,
‘কিছু বলবি?’
শুকনো ঢুক গিলে কাঁপা কাঁপা গলায় চোখ বন্ধ করে বলে,
‘নাদিয়া ট্যুরে যাবে।’
মাহ্ফুজ এর সহজসরল স্বীকারোক্তি,
‘নাদিয়া কোনো ট্যুরে যাবে না।’
ফিরতি আর কিছু বলার সাহস পেলো না। সুড়সুড় করে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
খাবার টেবিলে মুখ গোমড়া করে বসে আছে নাদিয়া। খাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে তার ছিলো না। ভাইয়ের ভয়ে খেতে এসেছে।
চেয়ার টেনে বসে মাহ্ফুজ। বিরিয়ানির ঘ্রাণ নাকে ঠেকতেই আফসানা খানমকে করে প্রশ্ন করে,
‘টেবিলে ভাত আবার রান্নাঘর থেকে বিরিয়ানির ঘ্রাণ আসছে। বিরিয়ানি রান্না করেছো নাকি?’
প্লেটে ভাত বাড়তে বাড়তে তিনি জবাব দিলেন।
‘কাল তো অবনি ট্যুরে যাবে তাই ওর জন্য রান্না করলাম।’
চমৎকৃত হলো মাহ্ফুজ।
‘আমি তো ট্যুরে যেতে নিষেধ করলাম।’
‘নাদিয়া যাচ্ছে না তো। শুধু অবনি যাবে।’
ধপ করে রাগের পারদ বেড়ে গেলো মাহ্ফুজ এর।ক্যাটক্যাটে গলায় বলে,
‘সবাই কে কি নাম ধরে বলতে হবে যে ট্যুরে যাওয়া যাবে না? নাদিয়া যাবে না মানে কেউ যাবে না।’
‘অবনি গেলে সমস্যা কি? তোর বোন তো আর যাচ্ছে না।’
‘আমি যেহেতু নিষেধ করেছি কেউ যাবে না। সো কেউই যাবে না।’
আফসানা খানম চোখের ইশারায় অবনিকে আশস্ত করা মাহ্ফুজ এর নজর এড়ালো না।
‘কাল যদি কেউ বাসার বাইরে পা দেয় তাহলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।’
#চলবে
#লুকানো_অনুরক্তি (০১)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)