#বিরহ_শ্রাবণ
#পর্ব_৫
#লেখিকা:সারা মেহেক
আমার কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন প্রোজ্জ্বল ভাই ও অভ্র ভাই। দুজনের চাহনিতে ভড়কে যাওয়ার একটা আভাস। অভ্র ভাই কিঞ্চিৎ উৎকণ্ঠিত গলায় জিজ্ঞেস করলেন,
” কি হলো? আমরা কি করলাম?”
অভ্র ভাইয়ের এহেন কণ্ঠ শুনে ঠোঁট চেপে নিজের হাসি নিয়ন্ত্রণ করলাম। অতঃপর ভীষণ অবাক হওয়ার ভান করে বললাম,
” আপনারা এমন এটা আগে কিভাবে বুঝতে পারিনি আমি! আপনাদের এ গোপন কথা কেউ জানে না নিশ্চয়ই? জানলে আপনারা এতোদিন এই এলাকায় টিকতে পারতেন না। ”
প্রোজ্জ্বল ভাই এবার খানিক বিরক্ত হলেন। অধৈর্য্য কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” কিসের গোপন কথা? আর তুই এমন হাবভাব দেখাচ্ছিস কেনো?”
” সে কি! এমন হাবভাব দেখাবো না তো কি করবো! আপনাদের সম্পর্কে এতো বড় সত্য জানার পর এর চেয়েও বেশি রিয়েক্ট করার কথা ছিলো আমার। ”
অভ্র ভাই ও প্রোজ্জ্বল ভাই আমার কথার কোনো আগামাথা বুঝতে না পেরে একে অপরের দিকে চাইলেন। অভ্র ভাই জিজ্ঞেস করলেন,
” আরে, আমাদের নিয়ে কি জেনেছো? পুরো কথাটা বলবে তো।”
আমি গলার স্বর ধীর করলাম। চুপিসারে বললাম,
” আপনারা যে একে অপরকে ভালোবাসেন, একে অপরের সোল মেট, এটা আমাকে আগে বলবেন না! আগে বললে আমি আপনাদেরকে সবসময় এক্সট্রা স্পেস দিতাম। বলি কি, আপনাদের এই সম্পর্ক এখানে কেউ মেনে নিবে না। এজন্য আমি এডভাইস দিবো, আপনারা দুজন আগামীকাল রাতেই পালিয়ে যান৷ অন্য কোথাও গিয়ে নিজেদের নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করুন। ”
এই বলে আমি ঠোঁট চেপে নিজের হাসি দমিয়ে রেখে দুজনের চেহারার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। অতঃপর প্রোজ্জ্বল ভাই ও অভ্র ভাই যা প্রতিক্রিয়া দিলেন তাতে আমি কোনোভাবেই নিজের হাসি দমিয়ে রাখতে পারলাম না৷ ফলস্বরূপ ফিক করে হেসে ফেললাম।
অভ্র ভাই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন যে, নিজের সম্পর্কে অষ্টম আশ্চর্যজনক কোনো খবর শুনেছেন এবং আচমকা আকাশ হতে ধাপ করে তালগাছের মাথায় পড়েছেন যেনো৷ আর প্রোজ্জ্বল ভাই হা করে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। নিজেকে নিয়ে হয়তো ভাবছেন, ‘আমি আসলেই এমন! আমি কবে থেকে এমন হলাম!’
অতঃপর প্রোজ্জ্বল ভাই আমার কথাটি পুরোপুরি আয়ত্ত এবং উপলব্ধি করতে পেরে অকস্মাৎ আগ্নেয়গিরির ন্যায় ফেটে পড়লেন। প্রবল ক্রোধে আমার উপর চড়াও হওয়ার পূর্বেই আমি এক দৌড়ে সেখান থেকে সিঁড়িঘরের নিকট চলে এলাম। পিছে ঘুরে দেখলাম অভ্র ভাই সর্বশক্তি দিয়ে প্রোজ্জ্বল ভাইকে আটকে রেখেছেন। ওদিকে প্রোজ্জ্বল ভাই নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এরই মাঝে উনি আমার উদ্দেশ্যে আক্রোশের সহিত ঝেঁঝে উঠা গলায় বললেন,
” চন্দ্রিমার বাচ্চা চন্দ্রিমা। তোকে একবার হাতের কাছে পেয়ে নেই, তারপর তোর একদিন কি আমার একদিন। ”
অভ্র ভাই পিছন হতে প্রোজ্জ্বল ভাইকে স্থির করতে বললেন,
” প্রোজ্জ্বল, আস্তে কথা বল। এই রাতে এতো জোরে কথা বললে এলাকার লোকজন জড়ো হতে সময় লাগবে না। ”
প্রোজ্জ্বল ভাই পূর্বের ন্যায় বললেন,
” জড়ো হোক। সারা এলাকাবাসী জানুক। এই চন্দ্রিমা যে কত বড় বজ্জাত সবাই জানুক। ”
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের এ ক্রোধান্বিত রূপ দেখে আমার মনে শীতল অনুভূতি হলো। আমাকে একা হাতে কাজ করতে বলার প্রতিশোধ একটু হলেও যে নিতে পেরেছি এই ভেবে স্বস্তি পেলাম। তবে অভ্র ভাইয়ের হাত থেকে প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের ছুট পাওয়ার পূর্বেই এখান থেকে কেটে পড়তে হবে। না হলে আজ প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বয়ং মামা মামিও ব্যর্থ হবেন৷ এজন্য আমি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলাম। পিছে উনাদের উদ্দেশ্যে বললাম,
” আপনারা দুজন মিলে ছাদটা পরিষ্কার করে আসবেন। আমি এখন ঘুমাতে যাবো। ডিস্টার্ব করবেন না কেউ। ”
এই বলেই আমি দ্রুত নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে দিলাম। অতঃপর ধাপ করে বিছানায় বসে রীতিমতো হাঁপাতে লাগলাম। ওদিকে দুজনের অবস্থা কি, তা অল্পবিস্তর অনুমান করলাম। প্রোজ্জ্বল ভাই ক্রোধের বশে বেলুনের মতো ফুলছেন। ফুলছেন তো ফুলছেনই। কিন্তু হঠাৎ শান্তশিষ্ট অভ্র ভাই যে কি না অধিকাংশ সময় নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, সে প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের ক্রোধের বেলুন ফাটিয়ে শান্ত করছেন তাকে। এই হলো প্রোজ্জ্বল ভাই ও অভ্র ভাইয়ের সম্পর্ক। পুরোপুরি বিপরীত একে অপরের থেকে। একজন পানি হলে অপরজন আগুন। যদিও মারাত্মক প্রতিকূল পরিবেশে এই পানিও আগুনের রূপ ধারণ করে!
——————
পরেরদিন প্রোজ্জ্বল ভাই কলেজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি লুকিয়ে লুকিয়েই সময় পার করেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যেনো প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের ঈগল পাখির নজরে না পড়ি। আমার এ লুকোচুরি দেখে মামি সন্দেহের সুরে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
” নিশ্চিত কোনো অকাজ করেছিস তাই না চন্দ্রিমা?”
আমি মামির প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার বদলে উল্টো দাঁত কেলিয়ে হেসেছিলাম। আমার এ হাসিই মামির সন্দেহকে হাতে কলমে সত্য প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট ছিলো। মামি পরে বলেছিলেন,
” এজন্যই প্রোজ্জ্বল তোকে সকাল থেকে খুঁজছিলো। কি এমন করেছিস তুই যে সকাল সকালই ও তোকে খুঁজছিলো?”
মামির এ প্রশ্নের জবাব সরাসরি না দিলেও মনে মনে ঠিকই আওড়ালাম আমি,
” আপনার ছেলের সাথে তার বন্ধুর সম্পর্ক বহুদূর গড়িয়ে দিয়েছি। যদিও এ নিয়ে আমার আফসোস নেই। কারণ মাঝে মাঝে আপনার ছেলেকে একটু নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরালে আমার খুব অস্থির অস্থির লাগে। ”
মামি পুনরায় একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করাতে তখন বললাম,
” তেমন কিছুই না মামি। আপনি তো আপনার ছেলেকে চিনেনই। সে তো নাকের কাছ দিয়ে পিঁপড়ে চললেও হাতি চলেছে বলে বাড়ি মাথায় উঠিয়ে নেওয়া পাবলিক। ”
আমার কথায় মামি মৃদু শব্দে হাসলেন। দুপুরের খাবার রান্নার জন্য টুকটাক গোছগাছ করতে করতে বললেন,
” আজ আম্মা আসবে জানিস তো?”
আমি মুহূর্তেই আনন্দ উদ্বেলিত হয়ে চোখজোড়া বৃহদাকার ধারণ করে বিস্মিত কণ্ঠে বললাম,
” আজ আসছে নানু! কখন? কার সাথে?”
” বিকেলের দিকে আসবে সম্ভবত। তোর হাসনাহেনা নানুর ছেলে জামিল ভাই রাখতে আসবে আম্মাকে। ”
আমার কণ্ঠে পূর্বের ন্যায় উচ্ছ্বাস। আমি উৎফুল্লিত স্বরে বললাম,
” আমি গিয়ে তাহলে নানুর রুমটা গুছিয়ে রেখে আসি। ”
এই বলে আমি যেতে নিলাম। কিন্তু মামি আমার হাত ধরে পথ রোধ করে বললেন,
” তোর নানুর রুমে গোছানোর মতো কিছুই নেই। শুধু কাজ ফাঁকি দেওয়ার ধান্দা তাই না!”
মামির হেন কথায় চোর ধরার মতো ধরা পড়ে গেলাম আমি। ঠোঁটের কোনে আলগোছে চোরা হাসি দিয়ে মামির দিকে চেয়ে রইলাম। আমি যে আসলেই রান্নাঘরের কাজ থেকে বাঁচতে নানুর রুমে যেতে চেয়েছি তা মামি এভাবে বুঝে ফেলবে অনুমান করতে পারিনি আমি। ফলে কিঞ্চিৎ আড়ষ্ট কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
” আপনি কি করে জানলেন মামি?”
আমার প্রশ্নে মামি হো হো করে হেসে উঠলেন। বললেন,
” তোকে ছোট থেকে চিনি। পাঁচ বছর বয়স থেকে তোকে মানুষ করে এসেছি। সেক্ষেত্রে তোকে চিনবো না, এমন ভাবনা রাখা বোকামি ছাড়া কিছুই না। ”
মামির কথার প্রত্যুত্তরে আমি মৃদু হাসলাম। সত্যি বলতে ছোট বেলায় মাকে হারানোর পর মামিই আমার মায়ের জায়গা নিয়ে ফেলেছেন। মামিকে আমি মনেপ্রাণে মা বলে মেনে নিয়েছি। আর মানবোই না বা কেনো, পাঁচ বছর বয়সের সেই ছোট্ট আমি’কে মামি মানুষ করে আজ উনিশ বছর বয়সের এক কিশোরী বানিয়েছেন। যে কিশোরী তার সুখ, দুঃখ, প্রয়োজন, অপ্রয়োজনে সবসময় তার মামিকে পাশে পেয়েছেন সে কিশোরী এই মামি নামক মায়ের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকবে। মাঝে মাঝে এই ভেবে খানিক অবাক হই যে, আমার আপন মায়ের থেকে আমি মামিকে বেশি ভালোবাসি! অবশ্য এর পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণও আছে। পাঁচ বছর বয়সে একটা বাচ্চার ভালোমন্দ, ঘৃণা-ভালোবাসা বুঝার কতটুকু জ্ঞান থাকে! সেই ক্ষুদ্র বিকশিত জ্ঞান নিয়েই আমি মামির সাথে থাকতে শুরু করি। তাকে মা মানতে শুরু করি। এতে কোনো সন্দেহ নেই, মামিও তখন হতে আমাকে নিজের মেয়ে ভাবতে শুরু করেন।
মামির সাথে দুপুরের খাবার রান্না শেষে রাতের খাবারের সরঞ্জাম গোছগাছ করতে শুরু করলাম। পরে যোহরের আজান দিলে গোসল করে, নামাজ পড়ে সবার জন্য খাবার বাড়তে সাহায্য করলাম মামিকে। আমাদের কাজের মাঝেই প্রোজ্জ্বল ভাই ও মামা বাড়িতে চলে এলেন৷ প্রোজ্জ্বল ভাই বাড়িতে ঢুকার সাথে সাথেই আমার দিকে শকুনি চাহনিতে একবার চাইলেন। আমি বরাবরের মতো মনে সাহস নিয়ে উনার এহেন চাহনিকে উপেক্ষা করে কাজে মনোযোগ দিলাম।
—–
বিকেলের দিকে নানু চলে এলেন। দীর্ঘ দশদিন পর নানুকে দেখায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে সাথে সাথেই জড়িয়ে ধরলাম নানুকে। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললাম,
” এতোদিন আমার ছাড়া কিভাবে ছিলে নানু? আমার কথা কি একবারো মনে আসেনি? বোনের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছো, ভালো কথা। কিন্তু তাই বলে দশদিন!”
নানু আমার অভিযোগে হাসলেন। আমার পিঠে আলতো চাপড় বসিয়ে বললেন,
” নানুকে ছাড়া দশদিনও চলতে পারিস না….তাহলে বিয়ের পর কিভাবে থাকবি?”
আমি তৎক্ষনাৎ নানুকে ছেড়ে দিয়ে চোখমুখ কুঁচকে বললাম,
” আমি বিয়েই করবো না৷ তো তোমাকে ছাড়ার কথা তো দূরে থাকলো। ”
নানু উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। তার সাথে হেসে উঠলেন মামা, মামি ও জামিল মামা। নানু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে স্নেহার্দ্য কণ্ঠে বললো,
” এমন বললে তো হয় না। মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছিস, বিয়ে তো করতেই হবে। সে আজ হোক বা কাল হোক। ”
” কিসের বিয়ে! আজকালকার ছেলেগুলো তো একেবারে যাচ্ছেতাই। ”
এই বলে আমি আড়চোখে প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের দিকে চাইলাম। পরোক্ষভাবে উনাকে টিপ্পনী কেটে বললাম,
” আজকালকার ছেলেদের ক্যারেক্টার ঢিলা। কখন তারা কিরূপে নিজেদের প্রদর্শন করে, বুঝার উপায় থাকে না। ”
এই বলেই চট করে আমি নানুর দিকে তাকালাম। নানু মুচকি হেসে পূর্বের ন্যায় বললো,
” তোর জন্য ওমন ছেলে আনবো না কি! আমার চাঁদের মতো সুন্দরী নাতনির জন্য তো হিরের টুকরো ছেলে আনবো। ”
” ওসব হিরের টুকরো ছেলেগুলো বাইরে দিয়েই হিরে। কিন্তু ভেতর দিয়ে তো ঠিকই সস্তা লোহার টুকরোর মতো। ”
আমাদের নানী নাতনির এ কথোপকথনে অকস্মাৎ ব্যাঘাত ঘটালেন প্রোজ্জ্বল ভাই। নানুর উদ্দেশ্যে অতি স্বাভাবিক তবে আমার উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সহিত উনি বললেন,
” দাদু, জার্নি করে এসেছো। রেস্ট না নিয়ে হুদাই পেত্নীর সর্দারের সাথে কথা বলছো কেনো? রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নাও৷ ”
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের কথার সুরে ঢের বুঝতে পেলাম, উনি ক্রোধে ভেতরে ভেতরে ফুলে বোম হয়ে গিয়েছেন। কোনো সন্দেহ নেই, সময়ে অসময়ে আচমকা আমার উপর এ বোম ফাটাবেন উনি। এখন এ মুহূর্তে উনাকে রাগিয়ে দেওয়ার মতো মস্ত বড় দুঃসাহসিক কাজ করায় নিজের উপরই নিজের প্রচণ্ড রাগ হলো।
—
রাতের খাবার খেয়ে প্রত্যাশা আপু ও মামির সাথে সবকিছু গোছগাছ করে রাখলাম। কাজ শেষে প্রত্যাশা আপু নিজের রুমে চলে এলো। তবে আমি নিচেই রয়ে গেলাম। গলা শুকিয়ে আসায় এক গ্লাস পানি খেয়ে তবেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম।
সিঁড়ির পাশেই প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের রুম। অর্থাৎ সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেই সোজা উনার রুমে চলে যাওয়া যায়। আমি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে দেখলাম প্রোজ্জ্বল ভাই হাতের উপর হাত রেখে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উনার শকুনি চাহনি আমার উপর। এ চাহনি এমন যে, এক্ষুনি বোধহয় আমাকে কাঁচা চিবিয়ে ফেলবেন। উনার এহেন চাহনি দেখে অগোচরে শুকনো একটা ঢোক গিললাম আমি।
প্রোজ্জ্বল ভাইয়ের ক্রোধে জর্জরিত এ থাবা হতে বাঁচতে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে নিজের রুমে চলে আসতে চাইলাম। কিন্তু প্রোজ্জ্বল ভাই সে সুযোগ দিলেন না। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসতেই উনি আমার হাত জাপটে ধরে এক টানে নিজের রুমে নিয়ে এলেন।
®সারা মেহেক
#চলবে
(